তোর নামের রোদ্দুর২ পর্ব 26

0
1103

#তোর_নামের_রোদ্দুর-২
#লেখনিতে:মিথিলা মাশরেকা
পর্বঃ২৬

সারাটা রাত বৃষ্টি ছিলো,ঝড় ছিলো।কিন্তু সকালের উজ্জ্বল রোদের আলোতে সবটা পরিষ্কার।আরো সতেজ।ঘুম ভাঙার পর আগে চোখে পরলো শুদ্ধর ঘুমন্ত নিস্পাপ মুখ।মাথার নিচে একহাত দিয়ে বাচ্চাদের মতো উপুড় হয়ে শুয়ে আছেন উনি।সিল্কি চুলগুলো কপালে এলোমেলোভাবে পরে আছে।নিচের ঠোটটা কিঞ্চিত উল্টানো।রাতটা যতই অন্ধকারচ্ছন্ন হোক না কেনো,আমার প্রতিটা সকাল এভাবে তাকে দেখেই শুরু হোক।তার নামের উজ্জলতাতেই কেটে যাক সে অন্ধকার।আড়মোড়া ছেড়ে মুচকি হেসে উঠে বসলাম।

কিছুক্ষন শুদ্ধর দিকে তাকিয়ে রইলাম।ওভাবে থেকেই ছাড়া চুলগুলো হাতে মোড়াতে যাবো,চোখমুখ কুচকে ফেললেন উনি।ব্যালকনির সামনের জানালা দিয়ে আসা ভোরের তীর্যক রোদ্দুর চোখে পরেছে তার।চুল ছেড়ে দিলাম।রোদের আড়াল পেয়ে ওই চোখজোড়া মলিন হয়ে পরলো আবারো।দ্বিতীয়বারের মতো ঘাড় একটু সরাতেই চোখ পিটপিট করতে লাগলেন উনি।রোদটা আরেকবার আড়াল করলাম।নিশব্দে হেসে আবারো একইকাজ করতে যাবো,চোখ খুলে ফেললেন শুদ্ধ।আমিও থমকে গেছি কিছুটা।কোনোদিক না তাকিয়ে উনি তাড়াহুড়ো করে উঠে বসলেন উনি।মাথাটা চেপে ধরে বিরবির করে বললেন,

-এ কি করেছি আমি?কি করে করলাম আমি এটা?

আমি ভ্রুকুচকে তাকিয়ে তারদিক।শুদ্ধ আমার দিক ফিরে ব্যস্ত হয়ে বললেন,

-ত্ তুই এখানেই ছিলি কাল রাতে?সারারাত আমার পাশ্….লেহেঙ্গা কই তোর?এই,এই জামা কেনো তোর গায়ে?কি হয়েছে কাল রাতে?আমি…

-কিছুই হয় নি কাল রাতে!

শুদ্ধ বিস্ময়ে তাকালেন আমার দিকে।গাল ফুলিয়ে বললাম,

-শুধু আমার চেন্জ করা দেখে এতোটা অস্থির না হয়ে নিজের দিকেও তো তাকতে পারতেন একবার!শেরওয়ানিটাই পরে আছেন এখনো!

শুদ্ধ নিজের দিকে তাকালেন এতোক্ষনে।চোখ বন্ধ করে একটা বড় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে আস্তে করে বললেন,

-থ্যাংক গড!

পুরোটাই শুনলাম আমি।ঘুরে একদম তার সামনে হাটুতে বসে চেচিয়েই বললাম,

-কিসের থ্যাংক গড হ্যাঁ?কিসের থ্যাংক গড?কাল রাতে কিছু হয়নি বলে থ্যাংক গড বলছেন আপনি?হলে কি হতো?চারবার আংটি পরিয়ে,দুবার রেজিস্ট্রি করে,তিনবার কবুল বলে বিয়ে করা বউ আমি আপনার!কি হতো কিছু হলে কাল রাতে?

শুদ্ধ বড়বড় চোখে তাকিয়ে আছেন আমার দিকে।কড়া গলায় বললাম,

-হাত ছড়ান!

-কি?

-দু হাত ছড়ান!

-ক্…

আমি নিজেই দুহাত মেলে ধরলাম তার।তারপর তার বুকে মাথা ঠেকালাম।তার শেরওয়ানিতে আকিবুকি করতে করতে বললাম,

-এবার থেকে আমার ইচ্ছাকৃত স্পর্শগুলো হজম করতে শিখুন মিস্টার বর!

…..

-বলেছিলেন একটু সময় নিলে সবটা ঠিক হয়ে যাবে।সময়ের হিসাব কষতে জানি না আমি।তবে বিশ্বাস করুন,সবটা ঠিক করে দেবো আমি শুদ্ধ।সবটা!

শুদ্ধ এবার দুহাতে শক্ত করে জরিয়ে ধরলেন আমাকে।চোখ বন্ধ করে তার বুকের মাঝে মিশে রইলাম।এবার শান্তি লাগছে।সারারাত ঝড়ো হাওয়া বাইরে তান্ডব চালিয়েছে।আর প্রায়নির্ঘুম রাতটায় মনে বয়ে চলা তুফান আমার ভেতরটাকে শেষ করে দিয়েছে।আমি তো নিজেকে শুদ্ধর কাছে সমর্পনের জন্য প্রস্তুত করেছিলাম।কিন্তু শুদ্ধ শুদ্ধই।তারদিক ফিরিয়ে দুগাল ধরতে যাচ্ছিলেন উনি আমার।আমি নিচদিকেই তাকিয়ে দাড়িয়ে।কাছে টেনে না নিয়ে বরাবরের মতো অবাক করে দিয়ে উনি সরে দাড়ালেন আমার থেকে।বিস্ময় নিয়ে মাথা তুলে বললাম,

-শুদ্ধ…

উনি আমার দিক তাকিয়েই একপা দুপা করে পেছোতে লাগলেন।অদ্ভুতভাবে হেসে আঙুল উচিয়ে বললেন,

-কষ্ট হচ্ছে তোর,তাইনা সিয়া?

-না শুদ্ধ!আমি…

-আমি তোর হৃদস্পন্দন পড়তে পারি সিয়া!

-শুদ্ধ!আজ তো….

-তোকে বলেছিলাম,তোর অনুমতি ছাড়া কিছুই হবে না!ও্ ওয়েট!

উনি কাবার্ডের দিকে এগোলেন।একটা জামা বের করে মাথা ঝারা মেরে আমার সামনে ধরে বললেন,

-চেন্জ করে আয়!

-কেনো?

-আমি বলেছি তাই!

কাদতে লাগলাম আবারো।শুদ্ধ এগিয়ে এসে আমার দুগাল ধরে বললেন,

-কাদিস না শ্যামাপাখি!তুই না বললেও আমি জানি,সবটা মানতে একটু সময় লাগবে তোর।এভাবে বিয়েটা তোর কাম্য ছিলো না।আমারো না।বিশ্বাস কর!কিন্তু সব ঠিক হয়ে যাবে দেখিস।সবটা!

-তারজন্য আগে আপনাকে ঠিক থাকতে হবে শুদ্ধ!

-তুই কাছে আছিস আমার।আর কিছুই হবে না।আই প্রমিস,আর কোনোদিন ড্রিংক করবো না আমি।দুজনে মিলে আস্তেআস্তে আমাদের ছোট্ট দুনিয়াটাকে ঠিক সাজিয়ে নেবো দেখিস!

শুদ্ধ জরিয়ে ধরলেন আমাকে।তার বুকে মাথা রেখে কাদতে কাদতে নিজেকে বোঝালাম,যে আমাকে এভাবে বোঝে,ভালোবাসে,তাকে এভাবে কষ্ট পেতে দেবো না আমি।যে করেই হোক,সবটা ঠিক করে দেবো।সবটা!শুদ্ধ কপালে ঠোট ছোয়ালেন আমার।তারপর আমাকে ছেড়ে চুপচাপ বিছানায় এসে শুয়ে পরলেন উনি।কিছুক্ষন দাড়িয়ে থেকে চেন্জ করে এসে দেখি উনি ঘুমিয়ে গেছেন।তার পাশে শুয়ে তাকে দেখতে দেখতেই রাত পার করে দিয়েছিলাম।

.
-উহুম!উহুম!

আমার গলা ঝারার শব্দ শুনে শুদ্ধ ছেড়ে দিলেন আমাকে।বললাম,

-উহুম উহুম মানে বুঝি ছেড়ে দিন আমাকে?

-তা কখন বললাম?

-ছাড়লেন কেনো তবে?বউকে দুমিনিট জরিয়ে ধরে থেকেই হাত লেগে গেছে?

-এটাই বা কখন বললাম?

-তাহলে ভদ্র বরের মতো আবারো জরিয়ে ধরুন মিস্টার বর!

শুদ্ধ একটু চুপ মেরে গেলেন।চোখ বন্ধ করে একটা ছোট শ্বাস ফেললেন উনি।তারপর চোখ খুলে হুট করেই জাপটে কোমড় জরিয়ে ধরলেন আমার।চমকে উঠে একদম কোলে গিয়ে পরেছি তার।উনি বললেন,

-এতে চলবে?

তার নাকে নাক ঘষে দিয়ে বললাম,

-দৌড়োবে!

শুদ্ধ আমার কপালে কপাল ঠেকিয়ে‌ বললেন,

-এভাবে আমাকে‌ দুর্বল ক্….

-ইনসিয়া ভাবিইইইই!

ধরফরিয়ে একদম খাট থেকেই নেমে গেলাম আমি।শুদ্ধ বিরক্তি নিয়ে বিছানা ছেড়ে নামতে নামতে বললেন,

-মামীকে বলতে ভুলে গেছিলাম এই জন্জালকে না আনার কথা!

আমি ফিক করে হেসে দিলাম।শুদ্ধ বিছানা থেকে নেমে তোয়ালে নিয়ে ওয়াশরুমের দিকে যাচ্ছিলেন।ডাক লাগালাম,

-শুদ্ধ?

উনি হাত মুঠো করে দাড়িয়ে গেলেন।পিছন না ফিরে বললেন,

-হুম?

এগিয়ে তার সামনে গিয়ে আঙুল দিয়ে কপাল দেখালাম আমার।উনি কপাল কুচকে তাকালেন।তারপর কপালে হাত দিয়ে গায়ের তাপমাত্রা মাপার ভঙিমা করে বললেন,

-কি হয়েছে?জ্বর তো নেই!

দাতে দাত চেপে বললাম,

-চিরকুটের কথাগুলো কি কাল ওই ড্রিংক এর সাথেই গুলে খেয়েছেন?

ঠোট কামড়ে দু সেকেন্ড ভাবলেন উনি।তার পরপরই কোমড় জরিয়ে কাছে টেনে নিলেন আমাকে।কপালে আলতোভাবে ঠোট ছুইয়ে শান্ত গলায় বললেন,

-গুড মর্নিং শ্যামাপাখি!

লাজুক হেসে চোখ নামিয়ে নিলাম।আমারো চোখ তুলে তাকিয়ে শক্তভাবে বললাম,

-মনে থাকে যেনো!

-ইনসিয়া ভাবিইইই!দরজা খোলো!

আলতো ধাক্কায় সরিয়ে দিলাম শুদ্ধকে।উনি বিরক্তির মুখ করেই তোয়ালেটা কাধে ঝুলিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলেন।একটু হেসে তাড়াতাড়ি দরজাটা খুললাম।মুখ হা হয়ে গেলো আমার।কাজিনদের পুরো সেনাবাহিনী দাড়িয়ে দরজায়।আমার হা হওয়া মুখসমেত আমাকও পাশ কাটিয়ে গটগট করে ভেতরে ঢুকে পরলো সবগুলো।মাহী দরজায় দাড়িয়ে ফিসফিসিয়ে বললো,

-কি ব্যাপার বলোতো ইনসিয়া ভাবি?এতোবার ডাকলাম।লেইট করলে যে দরজা খুলতে?

হচকিয়ে গিয়ে রুমের ভেতরে এগোলাম।বাকিরা সবাই এটা ওটা হাত দিয়ে দেখছে।যেনো একেকটা সিআইডি অফিসার।তামিম ভাইয়া বিছানায় আধশোয়া হয়ে বললো,

-কি সাজিয়েছিলাম ইয়ার!তামিমের হাতে জাদু আছে মাইরি!

ইমরোজ ভাইয়া ফুলের ঝোলনাটা হাতে ধরে দেখতে দেখতে বললো,

-হুহ্!এসেছে নিজের গুন গাইতে!মুল দায়িত্বে তো আমি ছিলাম।শুদ্ধ আমাকে আগে কল করেছিলো তামিম ভাইয়া!

এবার তাপসী আপু বললো,

-এই তোরা থাম তো!প্রসংশা যা করার ইনসু আর শুদ্ধ করবে।এই ইনসু?শুদ্ধ কই?

-উ্ উনি তো ওয়াশর্….

-ওওওওও!!!

ওদের এই এই সুর তোলা আওয়াজ!আমি চোখ বন্ধ করে এককোনে দাড়িয়ে রইলাম।আবারো নিজেদের মতো এটা ওটায় হাত দিয়ে দেখতে লাগলো সবাই।এতোক্ষন চুপ থেকে যীনাত আপু এসে কাধে হাত রাখলো আমার।ওকে খেয়ালই করিনি।আপুর চোখমুখ দেখে ভালো লাগছে না।আমার সিচুয়েশন কিছুটা হলেও জানে ও,বোঝে।আমি মৃদ্যু হেসে ওকে আশ্বাস দিলাম,সবটা ঠিক আছে।ও জরিয়ে ধরলো আমাকে।এরমধ্যে শুদ্ধ ট্রাউজার আর কালো টিশার্ট পরে তোয়ালে দিয়ে মাথা মুছতে মুছতে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে এলেন।ভ্রু নাচিয়ে বললেন,

-এসব কি?সবাই এখানে কেনো?

ইশান ভাইয়া বললো,

-তোমাকে দেখতে আসলাম শালাবাবু।বেশ লাগছে দেখতে!

ইমরোজ ভাইয়া বললো,

-কেমন ছিলো শুদ্ধ?বাসর?আ্ আই মিন বাসরঘর সাজানো?

এবার তামিম ভাইয়া বললো,

-তা শুদ্ধ?সকাল সকাল একদম গ্…

যীনাত আপু ওকে থামিয়ে দিয়ে বললো,

-থামো তামিম ভাইয়া!ওদের পার্সোনাল বলে কিছু তো অবশিষ্ট ছাড়ো?আর ইমরোজ?রিফাত?লজ্জা করে না তোদের গাইস?সদ্য বিবাহিত একজোড়া কপোত কপোতির ঘরে এভাবে ঢুকে পরে এইসব…শেইম অন ইউ!

তামিম ভাইয়া খিচে উঠে বললো,

-তো তুইই বা কি করিস এখানে?একদম নেকামো দেখিয়ে ভালোমানুষ সাজার চেষ্টা করবি না আমাদের সামনে।একমাত্র ফুপির একমাত্র মেয়ে বলে কিছু বলি না।এই সাদামাটার মুখোশ পরে ঘুরিস,যেনো তোর চেয়ে নিস্পাপ কেউ নেই।এজন্য কেউ কিছু বলতেও পারে না।কিন্তু আমরা জানি,ভেতরে ভেতরে তুই ঠিকই….

যীনাত আপু ছোটছোট চোখ করে এমনভাবে তাকিয়ে আছে যেনো গিলে খাবে ‌ভাইয়াকে।তামিম ভাইয়াও তার ডোন্ট কেয়ার মুডেই আছে।তাপসী আপু ‌বললো,

-কি জানিস তামিম?কই?আমি তো কিছু জানি না!ইশান তুমি কিছু জানো?ইমরোজ?রিফাত?তোরা?

রোবটের মতো মাথা ডানেবামে দুলালো ভাইয়ারা।শুদ্ধ বললেন,

-আমি কিন্তু সবার সবটাই জানি।ভালোয় ভালোয় ঘর থেকে ‌বিদেয় হও।নইলে একেকজনের ঝুলি এমনভাবে খুলবো যে,যে কারনে এসেছিলে সেই কারনটাই উল্টো বিধবে তোমাদের।

তব্দা মেরে গেলো সবাই।টের পেলাম তামিম ভাইয়া,রিফাত ভাইয়া,মাহি গুটিগুটি পায়ে বেরিয়ে যাচ্ছে।ইমরোজ ভাইয়া বললো,

-কেসটা কি হলো?

শুদ্ধ বললেন,

-কেসটা কমপ্লিকেটেড‌।ও পরে বুঝিয়ে দেবো।এবার আসুন আপনারাও!

ইশান ভাইয়া হতাশার নিশ্বাস ফেলে বললো,

-হাহ!কি সুন্দর সবাইকে সরিয়ে দিলে শালাবাবু!বিরবির করে চলেও গেলো সব!আর আমাদের সময়?কাজিনরা যা বলতো তাই হতো।বিয়ের পরও তাপসীর সাথে লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম করতে হতো আমার।মনে পরলে এখনো চোখে জল আসে আমার।ও দিন ভি কেয়া দিন থে শালাবাবু!কেয়া‌দিন থে!চলো তাপসী,চলো!আমরা যাই!

ওরা একজন আরেকজনের মুখ চাওয়াচাওয়ি করে বেরিয়ে গেলো এবার।যীনাত আপু আমার গালে হাত রেখে মুচকি হেসে বললো,

-নিচে আয়।একসাথে ব্রেকফাস্ট করবো।

আমিও হেসে মাথা নেড়ে সায় দিলাম।ও বেরিয়ে গেলো।শুদ্ধ আয়নার সামনে গিয়ে মাথা মুছছেন।একহাতে আরেকহাতের কনুই ধরে মুগ্ধ হয়ে দেখে চলেছি তাকে।সেদিকে কোনো খেয়াল নেই তার।বরং নিজের কাজে পুরোপুরি মনোযোগ।বেরিয়ে যাচ্ছিলেন উনিও রুম থেকে।কি মনে করে পিছন ফিরে বললেন,

-ফ্রেশ হয় নিচে চলে আয় তাড়াতাড়ি।ওয়েট করছে সবাই।

একটু হেসে সম্মতি বোঝালাম।উনি বেরিয়ে গেলেন।কিন্তু আমার মাথায় সবটা ঘুরপাক খাচ্ছে।এমন অদ্ভুত ব্যবহার কেনো করছেন উনি?কেনো নিজেকে যতোদুর সম্ভব দুরে রাখছেন আমার থেকে?এভোয়েড কেনো করছেন আমাকে?শুধুমাত্র বিয়েটা এভাবে হয়েছে এই কারনে?আব্বু মানেননি বিয়েটা,তার গিল্টি ফিল হচ্ছে,এই কারনে?বিয়ের জন্য আমাকে জোর করেছেন সেই কষ্টে?নাকি আরো বড় কোনো কারন???

#চলবে…

[আসসালামু আলাইকুম রিডার্স,
গল্পটা সম্পুর্নই উত্তম পুরুষ,মানে সিয়ার প্রেক্ষাপটে লেখা।তাই যখন,যেটুকো সিয়া জানতে পারবে,আপনারাও তখন,সেটুকোই জানতে পারবেন।আর অবশ্যই গল্পের পুরো সাসপেন্স ক্লিয়ার না করে ইতি টানবো না আমি।তাই আশা করবো এটুকো ধৈর্য রাখবেন আপনারা।আর এন্ডিং নিয়ে তো আগেই বলেছি।?মাঝখানে না হয় একটুআধটু আপনারাও পুড়লেন শুদ্ধর সাথে।?
ভুলত্রুটি মাফ করবেন।
হ্যাপি রিডিং❤]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here