#প্রেমময়নেশা(The Story of a psycho lover)
#পর্ব-৩৬
#Jannatul_ferdosi_rimi (লেখিকা)
আয়ুশের বেশ লজ্জা লাগছে।মেয়েটাকে যেকরম সরল-সোজা সে মনে করেছিলো তার উল্টো এই মেয়ে। অসভ্য যাকে বলে একেবারে অসভ্য। রিমির থেকে আয়ুশ চোখ সরিয়ে নিলো। এদিকে আমি মিটিমিটি হাঁসছি। যাহ বাবা সাইকোটা দেখি হেব্বি লজ্জা পেয়েছি। উফফ কি কিউট লাগছেনা উনাকে। মন চাচ্ছে উনার লাল গালে জোড়ে একটি চুমু দিয়ে দেই। আপতত মনের ইচ্ছাটাকে একটু দমানোই শ্রেয়। আমান কিছুই বুঝতে পারছেনা।
তাই আমান বলে উঠলো– রিমিপাখি এখানে আমরা কেন???
আমি বলে উঠলাম– খেলা দেখতে এসেছি সিম্পাল।
আমানঃ আয়ুশের খেলা দেখতে নাকি অয়নের??
আমি বলে উঠলাম–
আপনার কি মনে হয়??
????
আমান কিছুক্ষন চুপ হয়ে বলে উঠলো–
আমি তোমার বিশ্বাসকে যথেষ্ট সম্মান করি।
চলো বসবে চলো।
এই বলে আমান বসে পড়ে। আমিও একটি সিটে বসে পড়ি।
এদিকে আদি বলে উঠে–
মেয়েটা কেরে?? দেখে তো মনে হচ্ছে বিডির
আয়ুশঃ হুম বিডি থেকে এসেছিলো কনফারেন্স এ।
আদিঃ কিন্তু তোকে কীভাবে চিনে আর এমনই বা করলো কেন??
আয়ুশঃ একটু পর ম্যাচ শুরু হবে। তাই পরে বলবো এখন ম্যাচ এ কন্সাট্রেন্ট কর।
এদিকে জনি রিমির দিমে বাজে দৃস্টিতে তাঁকিয়ে আছে।
বাজ্ঞালি মেয়েদের প্রতি জনি বরাবর ই দুর্বলতা।
রিমিকেই সে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে। আর মেয়েটার বয়সও কম।
সান বলে উঠলো–
কিরে জনি কি দেখছিস??
জনি বলে উঠলো–
চিজটা দেখেছিস( রিমিকে উদ্দেশ্য করে)
সান ও বাজেভাবে তাঁকিয়ে বলে–
পুরো পিউর বাজ্ঞালি।
জনি শয়তানি হাঁসি দিয়ে বলে উঠে–
বাজ্ঞালিদের প্রতি বরাবর ই আমার একটু টান বেশি।
সান বলে উঠলো–
বল তোর দুর্বলতা।
জনিঃ আজকে যখন আমরা জিতবো তখন একে নিয়েই আজকের ব্রেন্ড সেলিব্রেশন করবো।
সানা ও বলে উঠলো–
একদম।
এদিকে আয়ুশ
সবকিছুই শুনে যাচ্ছে। তার চোখ একেবারে লাল হয়ে যাচ্ছে। সে তার হাত মুষ্ঠিবদ্ব করে ফেলে।
রাগে একেবারে মাথা ফেটে যাচ্ছে।
সে জানেনা কেন এইরকম হচ্ছে তার মাথায় এক্টাই প্লান ঘুড়ছে।
আয়ুশকে এই অবস্হায় দেখে আদি বলে উঠে–
আয়ুশ তুই ঠিক আছিস.? তো??
তোর চোখমুখেত এই অবস্হা কেন?
আয়ুশ হাত দিয়ে ঘাড়টা বেকিয়ে বলে উঠে–
কিছুনা জাস্ট একটু মনোসংযোগ করছিলাম
আদি বলে উঠে-ওকে চল।
ভার্সিটির সব স্যার-ম্যাম রাও চলে এসেছেন
।।।
প্রথমে স্যার চিংকং কিছুক্ষন ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে স্পিচ দেন।
তারপর মিস কুটিসাস কিচ্ছুক্ষন বক্তব্য দেন।
আমি টকোপিকে কোলে নিয়ে বলে উঠলাম–
আর কতক্ষন?? হবে এই ইংলিশ বকবক।
খেলা কখন শুরু হবে?
আমান গভীর মনোযোগ দিয়ে স্পিচ শুনছিলো
রিমির দিকে তাঁকিয়ে বলে উঠে–
কিছু বললে??
আমি বলে উঠলাম– কেন আপনি শুনেন নি??
কি করছিলেন( অবাক হয়ে)
আমান নিজের চশমাটা ঠিক করে পড়ে বলে উঠলো—
স্পিচ শুনছিলাম।
রিমিঃ আপনি এই বোরিং ইংলিশ বকবক শুনছেন
(ভ্যাবাচ্যাকে খেয়ে)
রিমির ফেস দেখে আমাম হেঁসে দেয়।
আমানঃ উনারা অনেক বড় বড় টিচার।
উনাদের লেকচার সহজে শুনা যায়না। আর উনারা অনেক ভালো লেকচার দিচ্ছেন। স্টুডেন্টস দের উৎসাহমুলক বার্তা।
আমি বলে উঠলাম–বাট এখন আমার এই লেকচার শুনার মুড নেই।
আমান হেঁসে সামনে দিকে লেকচার শুনাতে মনোযোগ।
দুই পক্ষের বাস্কেট কোর্চ অনেক্ষন লেকচার দেয়।
জনিদের কোর্চ বলে উঠে–
বেস্ট ওফ লাক বয়েস আম সিউর ইউ আর বয়েস উইল বি উইন।
জনি হেঁসে বলে উঠে–
সেটা আমরা জানিই।।
আমি আবারও বলে উঠলাম–আমি জানি আপনিই জিতবেন (উনাকে উদ্দেশ্য করে)
সবাই এইবার আমাকে গিলে খাচ্ছে।
আমান বলে উঠলো–
রিমিপাখি একটু শান্ত হোও!! আস্তে
আয়ুশ বাঁকা হেঁসে চুল্গুলো ফু দিয়ে স্টাইল করে
বলটা লাফাতে লাফাতে কোট এর দিকে নিয়ে গেলো।
সবাই আয়ুশ আয়ুশ করে যাচ্ছে।।
জনি ও বাঁকিরা আগে থেকেই প্রস্তুত।
প্রথমে আদিও রকি বাস্কেট টা নিয়ে যায়।
জনি ও বাকিরা তাদের আটকানোর চেস্টা করছে।
রকিকে আটকে রেখেছে বাকিরা।
আদি বাস্কেট টা নিয়ে যেতে নিলে
জনি আদিকে ইচ্ছে করে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
আয়ুশ বলে উঠে– এটা তো চিটিং!!
জনিঃ ইয়ার আমি ইচ্ছে করে করেনি।
আয়ুশ রাগে ফুসে উঠছে।।
এইভাবে আয়ুশের টিমের সবাইকে আটকিয়ে দিচ্ছে।
আমি নখ খাচ্ছি
অনেক নার্ভাস লাগছে।
বিপক্ষ টিম দুইবার বাস্কেটে বল ফেলে দিচ্ছে।
আরেকবার ফেলে দিলেই
তারা জিতে যাবে।।
আমানঃ মনে তো হচ্ছে
অই টিম ই জিতবে( জনিদের উদ্দেশ্য করে)
আমি বলে উঠলাম– আমার সাইকোই জিতবে।
আমার সাইকোকে হারানো কি এতো সোজা।।
আমান কিছু বলল নাহ।।।
এদিকে ইশাও চলে এসেছে।
আয়ুশের খেলা অথচ সেই জানেনা
অদ্ভুদ!!
আয়ুশ এইবার
বলটা টা নিয়ে নিয়ে লাফাতে লাফাতে বাস্কেটের দিকে নিয়ে যায়।
মেয়েরা অনেক আশা নিয়ে বসে আছে।
জনি তাড়াতাড়ি আয়ুশের কাছে গুড়া টা স্প্রে করতে থাকে যাতে আয়ুশের এলার্জি হয়।
আয়ুশের কস্ট হচ্ছে।
সে কোনোরকম বলটা নিজের কাছে রাখে।
আমি উত্তেজিত হয়ে বলে উঠলাম–
ওরা কিছু একটা স্প্রে করেছে আমি দেখেছি
আমান বলে উঠে–
এটা তো ঠিক নাহ আম্পিয়ার দেখেও না দেখার ভান করছে।
(আসলে জনি আগেই তাকে টাকা খায়িয়ে রেখেছে)।
আমি বলে উঠলাম–
উনার কস্ট হচ্ছে কেন??।অয়নের তো গুড়া মরিচে তে এলার্জি নেই।
তাহলে কি।।।
জনি ঃ এইবার আয়ুশ কিছুতেই পারবেনা।
আয়ুশ পড়ে যায়।
সবাই অনেকটা ভয় পেয়ে যায়।
আমি ভয় পেয়ে বলে উঠলাম–
আমাকে যেতে হবে উনার কাছে।
এই বলে আমি যেতে নিলে আমান বলে উঠে–
কিছুক্ষন অপেক্ষা করো!!
রিমিঃ মানে???
আমানঃ সামনে দেখো।
আমিও সামনে তাঁকালাম।
জনি বলটা নিয়ে যাবে তখনি আয়ুশ তাকে নিজের পা দিয়ে লাত্থি দিয়ে ফেলে দেয়।
ইসান ঃ এইটা কি হলো??
আয়ুশ ইনোসেন্ট ফেস করে বলে উঠলো–
সরি ইয়ার।আমি ইচ্ছে করে করিনি
এই বলে আয়ুশ উঠে গেলো
তারপর বলটা নিয়ে বাস্কেটে ফেলো দিলো।
সবাই জোড়ে হাতে তালি দিলো।
আমি জোড়ে বলে উঠলাম–
ওয়াও মেরা হিরো।।
ইশা রিমিকে দেখে
ফেলল–
এই মেয়েটা এখানে কি করছে?? ওর জন্যই আমাদের মাঝে এতো ঝামালা।
।।
।
।
।আয়ুশ বাঁকা হাঁসি দিলো।
জনি ঃ এইটা কী করে সম্ভব?? আয়ুশের তো এলার্জি ছিলো।।।(মনে মনে)
।।।।।।???
আয়ুশ একে একে দুবার বাস্কেটে বল ফেলে দিলো।
জনিরা অনেক চেস্টা করেও আটাকাতে পারলো নাহ।
।।।।।
অবশেষে আয়ুশ জিতে গেলো
আমি অনেক খুশি।
মেয়েরা তো আরোও খুশি।
সবাই আয়ুশদের কনগ্রেস করছে।
মেয়েরা আয়ুশের কাছে ছুটে যায়।
আয়ুশের সাথে সেল্ফি নিতে।
আয়ুশের চোখ বারবার রিমির দিকে যাচ্ছে।
রিমি হাত তালি দিচ্ছে।
মুখে তার মিস্টি হাঁসি।
মেয়েটার হাঁসি বেশ লাগছে ❤️!!!
।।।।।।। ??
জনি রেগে বাইরের সাইডে চলে যায়।
আয়ুশ কোনোরকম সবাইকে বলে–
হেই গার্লস গিভ মি সাম টাইম নাও ওকে???
এই বলে আয়ুশ কোনোরকম
বাইরে চলে যায়।।।
জনি রাগে ফুসছে।
এইভাবে সে জিতে গেলো।
তখনি সে ধপ করে পড়ে সজোড়ে পড়ে গেলো।
সে কোনোরকম পিছনে তাঁকিয়ে দেখে আয়ুশ।
জনিঃ আয়ুশ তুই??(অবাক হয়ে)
আয়ুশের চোখ থেকে যেনো আগুন ঝড়ছে।
সে কিছু না বলে জনিকে মারতে থাকে।
জনি বারবার আটকানোর চেস্টা করছে কিন্তু পারছেনা।
মারতে মারতে একেবারে রক্তাক্ত করে ফেলেছে।
জনি কোনোরকম বলে উঠে–
আমাকে ছেড়ে দে প্লিয।
আয়ুশ এইবার জনির বুকে সজোড়ে লাত্থি মেরে বলে উঠে–
তোর সাহস কী করে হলো??
অই মেয়েটার দিকে কুনজর দেওয়ার( রিমিকে উদ্দশ্য করে)
জনি ঃ কেন কে ও তোর???
আয়ুশ আরো ইচ্ছামতো জনিকে মেরে ফেলতে থাকে সে একেবারে পাগলপ্রাই হয়ে গেছে।
আয়ুশ জানেনা সে কেন এমন করছে।
শুধু জানে অই মেয়েটার দিকে কেউ
নজর দিলে সে চোখ ও উপড়ে ফেলতে পারে আয়ুশ।জনির নাখ দিয়ে গড়গল করে রক্ত বেড়িয়ে পড়ছে।
।
।
।
।
।
।
।
।
#দ্বিতীয়_অধ্যায়
চলবে কি??
(কেমন হয়েছে জানাবেন কিন্তু ❤️)
#প্রেমময়নেশা(The Story of a psycho lover)
#পর্ব-৩৭
#Jannatul_ferdosi_rimi( লেখিকা)
জনির নাক থেকে গলগল করে রক্ত বেড়িয়ে পড়ছে।আয়ুশ তাও যেনো শান্ত হচ্ছেনা সে মেরেই যাচ্ছে। আয়ুশের জনিকে খুন করে ফেলতে ইচ্ছে করছে। জনি কোনোরকম আয়ুশের পা জড়িয়ে বলে উঠলো– এইবারের মতো আমাকে ক্ষমা করুন। আয়ুশ আবার জনির নাক বরাবর ঘুসি দিয়ে বলে উঠলো–হুহ ক্ষমা?? রাইট???(কিছুটা ভাবার ভান করে)
।।।।।???
তারপর সে বাঁকা হাঁসি দিয়ে জনির গাল শক্ত করে ধরে বলে উঠে–তোর এই মুখ দিয়ে অই মেয়েটার সম্পর্কে বাজে কথা বলেছিল?? তাইনা??
জনি ভয়ে থরথর করে কাঁপছে।
কেননা আয়ুশকে প্রচন্ড হিংস্র লাগছে।
এদিকে আমি টকোপিকে নিয়ে উনাকে খুজে যাচ্ছি
কোথায় উনি??
ইসসস
আমি টকোপিকে বলে উঠলাম–।
কিরে তুই জানিস উনি কোথায়???
টকোপি আমার দিকে তাঁকিয়ে আছে
তখনি একটি চিৎকার ভেসে আসে।
কেউ জোড়ে চিৎকার করে যাচ্ছে।
কিন্তু কে???
টকোপি আমার কোল থেকে নেমে দৌড়ে চলে যাই।
আরে এই টকোপি আবার কোথায় গেলো।
।।।
আমি ও টকোপির পিছনে যেতে লাগলাম। এই টকোপিও না এতো জোড়ে দৌড়ায় বাবা রে বাবা।
।।।।।।
আমান বারবার এদিক অদিক তাঁকাচ্ছে।
ইশা আমানের দিকে তেড়ে আসে।
ইশাঃ অই মেয়েটা কোথায়??
আমান শান্ত গলায় বলে উঠে–
কার কথা বলছেন আপনি??
ইশা চোখমুখ শক্ত করে বলে উঠে–
কার কথা বলছি বুঝতে পারছেন না?অই অসভ্য মেয়েটা যে মেয়েটা আপনার সাথে ছিলো।
আমান এইবার রেগে যায়।
এই মেয়েটা তার রিমিপাখিকে অসভ্য বলছে।
আমান বলে উঠে–
দেখুন মিস নিজের ভাষা সংযত করুন।
আপনি কাকে অসভ্য বলছেন??
আর কে অসভ্য তা তার ব্যবহারেই বুঝা যায়।
ইশা আমানের দিকে তেড়ে বলে উঠে–
তার মানে আপনি আমাকে অসভ্য বলছেন আমাকে???
আর অই মেয়েটা সাধু??
শুনুন ভালোই ভালোই অই মেয়েটাকে বলে দিবেন আমার আয়ুশের থেকে দূর থাকতে নাহলে আমি কতটা খারাপ হতে পারি তার কোনো ধারনা নেই।
আমান হাত ভাজ করে বলে উঠে–
আপনি কোনোভাবে রিমিকে থ্রেট দিতে চাইছেন??
তবে শুনে রাখুন এই আমান শিকদার থাকতে তার রিমিপাখির গাঁয়ে একটা আচরেও দিতে দিবেনা
ইশা রাগে রাগে ফুশতে ফুশতে বলে উঠে–
সেটা দেখা যাবে।
আই উইল সি।।
এই বলে ইশা গটগট করে চলে যায়।
।।।
আমান চিন্তায় পড়ে যায়।
এই মেয়ে তাহলে আয়ুশের ফিউন্সি।
যথেষ্ট ডেঞ্জারেস মেয়ে।
এই মেয়ের থেকে রিমিকে সাবধানে রাখতে হবে।
কিন্তু আয়ুশ কি অয়ন নাকি সত্যিই আয়ুশ।
জানেনা আমান।
এইটুকু জানে তার রিমিপাখির ভালোবাসা মিথ্যে হতে পারেনাহ।।
।।।।।
মিসেস মল্লিকা গাড়িতে বসে আছে।
আজকে কিছু অফিসে ইম্পোর্টেন্ট মিটিং আছে সেগুলো হ্যান্ডেল করতে হবে।
তখনি তার ফোনে একটা কল আসে।
সে তাড়াতাড়ি কলটি রিসিভ করে বলে উঠে–
জ্বী বলুন মিসেস খান স্পিকিং!!
—+++///
মল্লিকাঃ দেখুন আমি যথেস্ট পেমেন্ট করেছি।
আপ্নারা মেডিসিন দিতে থাকুন
।—–+++++
মল্লিকাঃ আরে বাবা হ্যা!!
আমি আজকে আরো পেমেন্ট পাঠিয়ে দিবো ডোন্ট ওয়ারি।
—+++++++
মল্লিকাঃ ওকে ধন্যবাদ ( খানিক্টা হেঁসে)
।।।।।।
রুশান টাই পড়ছে
রুশনি বলে উঠলো–
কলি আপু একটু অসু্স্হ আমি তাকে ডক্টর এর কাছে নিয়ে যাচ্ছি
রুশান কিছু একটা ভেবে বলে উঠলো–
রুশনি তোমার তো একটা পার্টি আছে রাইট??
রুশনিঃ হুম তা আছে।
রুশানঃ তাহলে বরং আমিই নিয়ে যাই।
।
রুশনিঃ তুমি তো ব্যস্ত থাকো??(ভ্রু কুচকে)
রুশানঃ কলি আপুকে ডক্টর এর কাছে নিতে তো পারিই।
রুশনিঃ আচ্ছা তাহলে তুমিই ওকে নিয়ে যেও।
।।।।।??
আমি দৌড়ে গিয়ে দেখলাম।
টকোপি উনার কাছে।
আয়ুশ টকোপিকে আদর করে যাচ্ছে।
আমি তাড়াতাড়ি দৌড়ে চলে এলাম
আমি বলে উঠলাম–
টকোপি এখানে?
আয়ুশঃ ওয়াও এই কেট টা তোমার???
বাট অনেক কিউট।
আমি বলে উঠলাম–
ওর নাম টকোপি!!
আয়ুশঃ নাইস নেম।
আমি খানিক্টা চুপ হয়ে বলে উঠলাম–
কিন্ত এখানে একটি চিৎকার এর আওয়াজ আসলো
আয়ুশঃ কই আমি তো শুনলাম নাহ।
সত্যি হবু স্বামীর শোকে আপনি পাগল হয়ে গিয়েছেন।
আমি মুচকি হেঁসে বলে উঠলাম–
শোক তো বটেই। আমার সাইকো আমাকে চিনতে পারছেনা।
আয়ুশ চুপ হয়ে গেলো।
আমি উনাকে দিকে এগোতে এগোতে বলে উঠলাম–
কি আপনি আমাকে চিনতে পারছেন না???
আয়ুশঃ একি আপনি এইভাবে এগোচ্ছেন কেন??
(ঘাবড়ে গিয়ে)
আমি হেঁসে বলে উঠলাম–
এই স্মৃতি শক্তি চলে যাওয়ার সাথে সাথে কি স্বভাবও বদলে ফেললেন নাকি??
আগে তো আপনি আমার কাছে আসতেন আর আমি লজ্জা পেতাম।
আর এখন উল্টো।।
এই বলে আমি উনার একেবারে কাছে চলে আসি।
টকোপি দৌড়ে কোথায় যেনো চলে যায়।
আমি উনার এতো কাছে যে দুজনের নিঃশ্বাস এর শব্দ দুজন শুনতে পারছি।
আয়ুশ ঘেমে একেবারে ঘেমে গেছে।
আয়ুশঃ দেখুন
আয়ুশকে বলতে না দিয়ে আমি বলে উঠলাম–
দেখার জন্যই তো এতোটা কাছে এসেছি।
এই বলে আমি আরেকটু উনার দিকে ঝুকে পড়ি।
আয়ুশ রিমির সেই মায়াবী চোখের দিকে তাঁকিয়ে একেবারে থমকে গেলো।
এই টানা টানা চোখ আয়ুশকে বড্ড টানছে।
কিন্তু কেন?? এই মেয়ের মাঝে এমন কি আছে??
আমি এদিকে অনেকটা ইমোশনাল হয়ে পড়েছি।
আমি সিউর উনিই আমার সাইকো আমার ভালোবাসা।
কতদিন পরে আবার সেই চাউনি।
আমি কী করে উপেক্ষা করতে পারি??
আমি যে জানি উনিই আমার সাইকো যে নিজের রিমিপরীর জন্য সব কিছু করতে হবে।
আমি আবেশে নিজের চোখজোড়া বন্ধ করে নিলাম।
।।।।।।
আমান রিমিকে খুঁজছে তখনি দৌড়ে টকোপি আমানের কাছে আসে।
আমান টকোপিকে কোলে নিয়ে বলে উঠে–
টকোপি রিমিপাখি কোথায়??
টকোপি আমানকে ইশারা করলো অইদিকে যাওয়ার জন্য।
আমানঃ অইদিকে??
টকোপি মাথা নাড়ালো।
আমান টকোপি কে নিয়ে চলল।।
।।।।
এদিকে আমি চোখমুখ কিচে একেবারে বন্ধ করে ফেলেছি।
আয়ুশ একেবারে রিমির সেই মায়াবী মুখে হারিয়ে গেছে।
তখনি খট কে ইশা ঢুকে পড়ে
কারো পায়ের আওয়াজে আয়ুশ দূরে সরে দাঁড়ায়
আমার প্রচন্ড বিরক্ত লাগছে
দুরর।
কে এলো ।।
ইশাঃ আয়ুশ তুমি এখানে?? এই মেয়েটা সাথে কি করছো??( অবাক হয়ে)
আমি বলে উঠলাম– আপনি কে??
ইশাঃ ওহ আচ্ছা আমাকে তুমি চিনো নি??
আমি ইশা আয়ুশের হবু বউ। অইযে ফোনে বলেছিলাম না আমাদের এন্গেজমেন্ট কয়দিন পর।
আমি উনার দিকে তাঁকায়।
উনি আমার থেকে দৃসটি সরিয়ে বলে উঠে–
ফোনে মানে???
ইশাঃ ওহ তুমি বুঝবে না আয়ুশ। কিছু পার্সোনাল কথা ছিলো।
রিমিঃ এই সে ইশা শাকচুন্নি। দূর একটা না একটা শাকচুন্নি ঠিক আমার কপালে জুটে যায়।
।।।।
ইশা উনার দিকে এগিয়ে বলে উঠে–
তুমি এখানে কি করছিলে??
আয়ুশঃ কিছু কাজ ছিলো
কিন্তু তুমি এখানে??
ইশা খানিক্টা আয়ুশের কাছাকাছি গিয়ে বলে উঠে–
আমার হবু স্বামীর খেলা আর আমি আসবো নাহ এইটা কি হয়?? যেখানে সব বাইরের মেয়েরাও এসে গেছে।
( রিমিকে শুনিয়ে)
এদিকে আমি রাগে থরথর করে কাঁপছি।
ইশা ঢং করে বলে উঠে–
আয়ুশ চলো
আজকে তুমি জিতেছো একটা সেলিব্রেশন তো হওয়াই যায়
এই বলে ইশা আয়ুশের হাত ধরতে নিলে
আয়ুশ বলে উঠে–
ইশা প্লিয আমার এইসব ভালো লাগেনা।
হাত ধরবেনা।
ইশা রেগে রিমির দিকে তা্কায়।
এদিকে আমি মনে মনে হাঁসছি
বেশ হয়েছে একেবারে কত্তবারে শখ আমার সাইকোর হাত ধরতে যায়।
একেও পায়েল শাকচুন্নির মতো শিক্ষা দিতে হবে।
আয়ুশ আগে যায়।
ইশা রেগে বেড়িয়ে যেতে নিবে
তখনি আমি তাকে পা দিয়ে লাথ মেরে দেই।
ইশা একেবারে মুখ থুবড়ে পড়ে যাই।
আমি হেঁসে দেই।
রিমিঃ কি শাকচুন্নি খুব শখ আমার সাইকোর সাথে সেলিব্রেশন করার।
করাচ্ছি সেলিব্রেশন (মনে মনে)
।
।#দ্বিতীয়_অধ্যায়
চলবে কি?
#প্রেমময়নেশা(The Story of a psycho lover)
#পর্ব-৩৭
#Jannatul_ferdosi_rimi( লেখিকা)
জনির নাক থেকে গলগল করে রক্ত বেড়িয়ে পড়ছে।আয়ুশ তাও যেনো শান্ত হচ্ছেনা সে মেরেই যাচ্ছে। আয়ুশের জনিকে খুন করে ফেলতে ইচ্ছে করছে। জনি কোনোরকম আয়ুশের পা জড়িয়ে বলে উঠলো– এইবারের মতো আমাকে ক্ষমা করুন। আয়ুশ আবার জনির নাক বরাবর ঘুসি দিয়ে বলে উঠলো–হুহ ক্ষমা?? রাইট???(কিছুটা ভাবার ভান করে)
।।।।।???
তারপর সে বাঁকা হাঁসি দিয়ে জনির গাল শক্ত করে ধরে বলে উঠে–তোর এই মুখ দিয়ে অই মেয়েটার সম্পর্কে বাজে কথা বলেছিল?? তাইনা??
জনি ভয়ে থরথর করে কাঁপছে।
কেননা আয়ুশকে প্রচন্ড হিংস্র লাগছে।
এদিকে আমি টকোপিকে নিয়ে উনাকে খুজে যাচ্ছি
কোথায় উনি??
ইসসস
আমি টকোপিকে বলে উঠলাম–।
কিরে তুই জানিস উনি কোথায়???
টকোপি আমার দিকে তাঁকিয়ে আছে
তখনি একটি চিৎকার ভেসে আসে।
কেউ জোড়ে চিৎকার করে যাচ্ছে।
কিন্তু কে???
টকোপি আমার কোল থেকে নেমে দৌড়ে চলে যাই।
আরে এই টকোপি আবার কোথায় গেলো।
।।।
আমি ও টকোপির পিছনে যেতে লাগলাম। এই টকোপিও না এতো জোড়ে দৌড়ায় বাবা রে বাবা।
।।।।।।
আমান বারবার এদিক অদিক তাঁকাচ্ছে।
ইশা আমানের দিকে তেড়ে আসে।
ইশাঃ অই মেয়েটা কোথায়??
আমান শান্ত গলায় বলে উঠে–
কার কথা বলছেন আপনি??
ইশা চোখমুখ শক্ত করে বলে উঠে–
কার কথা বলছি বুঝতে পারছেন না?অই অসভ্য মেয়েটা যে মেয়েটা আপনার সাথে ছিলো।
আমান এইবার রেগে যায়।
এই মেয়েটা তার রিমিপাখিকে অসভ্য বলছে।
আমান বলে উঠে–
দেখুন মিস নিজের ভাষা সংযত করুন।
আপনি কাকে অসভ্য বলছেন??
আর কে অসভ্য তা তার ব্যবহারেই বুঝা যায়।
ইশা আমানের দিকে তেড়ে বলে উঠে–
তার মানে আপনি আমাকে অসভ্য বলছেন আমাকে???
আর অই মেয়েটা সাধু??
শুনুন ভালোই ভালোই অই মেয়েটাকে বলে দিবেন আমার আয়ুশের থেকে দূর থাকতে নাহলে আমি কতটা খারাপ হতে পারি তার কোনো ধারনা নেই।
আমান হাত ভাজ করে বলে উঠে–
আপনি কোনোভাবে রিমিকে থ্রেট দিতে চাইছেন??
তবে শুনে রাখুন এই আমান শিকদার থাকতে তার রিমিপাখির গাঁয়ে একটা আচরেও দিতে দিবেনা
ইশা রাগে রাগে ফুশতে ফুশতে বলে উঠে–
সেটা দেখা যাবে।
আই উইল সি।।
এই বলে ইশা গটগট করে চলে যায়।
।।।
আমান চিন্তায় পড়ে যায়।
এই মেয়ে তাহলে আয়ুশের ফিউন্সি।
যথেষ্ট ডেঞ্জারেস মেয়ে।
এই মেয়ের থেকে রিমিকে সাবধানে রাখতে হবে।
কিন্তু আয়ুশ কি অয়ন নাকি সত্যিই আয়ুশ।
জানেনা আমান।
এইটুকু জানে তার রিমিপাখির ভালোবাসা মিথ্যে হতে পারেনাহ।।
।।।।।
মিসেস মল্লিকা গাড়িতে বসে আছে।
আজকে কিছু অফিসে ইম্পোর্টেন্ট মিটিং আছে সেগুলো হ্যান্ডেল করতে হবে।
তখনি তার ফোনে একটা কল আসে।
সে তাড়াতাড়ি কলটি রিসিভ করে বলে উঠে–
জ্বী বলুন মিসেস খান স্পিকিং!!
—+++///
মল্লিকাঃ দেখুন আমি যথেস্ট পেমেন্ট করেছি।
আপ্নারা মেডিসিন দিতে থাকুন
।—–+++++
মল্লিকাঃ আরে বাবা হ্যা!!
আমি আজকে আরো পেমেন্ট পাঠিয়ে দিবো ডোন্ট ওয়ারি।
—+++++++
মল্লিকাঃ ওকে ধন্যবাদ ( খানিক্টা হেঁসে)
।।।।।।
রুশান টাই পড়ছে
রুশনি বলে উঠলো–
কলি আপু একটু অসু্স্হ আমি তাকে ডক্টর এর কাছে নিয়ে যাচ্ছি
রুশান কিছু একটা ভেবে বলে উঠলো–
রুশনি তোমার তো একটা পার্টি আছে রাইট??
রুশনিঃ হুম তা আছে।
রুশানঃ তাহলে বরং আমিই নিয়ে যাই।
।
রুশনিঃ তুমি তো ব্যস্ত থাকো??(ভ্রু কুচকে)
রুশানঃ কলি আপুকে ডক্টর এর কাছে নিতে তো পারিই।
রুশনিঃ আচ্ছা তাহলে তুমিই ওকে নিয়ে যেও।
।।।।।??
আমি দৌড়ে গিয়ে দেখলাম।
টকোপি উনার কাছে।
আয়ুশ টকোপিকে আদর করে যাচ্ছে।
আমি তাড়াতাড়ি দৌড়ে চলে এলাম
আমি বলে উঠলাম–
টকোপি এখানে?
আয়ুশঃ ওয়াও এই কেট টা তোমার???
বাট অনেক কিউট।
আমি বলে উঠলাম–
ওর নাম টকোপি!!
আয়ুশঃ নাইস নেম।
আমি খানিক্টা চুপ হয়ে বলে উঠলাম–
কিন্ত এখানে একটি চিৎকার এর আওয়াজ আসলো
আয়ুশঃ কই আমি তো শুনলাম নাহ।
সত্যি হবু স্বামীর শোকে আপনি পাগল হয়ে গিয়েছেন।
আমি মুচকি হেঁসে বলে উঠলাম–
শোক তো বটেই। আমার সাইকো আমাকে চিনতে পারছেনা।
আয়ুশ চুপ হয়ে গেলো।
আমি উনাকে দিকে এগোতে এগোতে বলে উঠলাম–
কি আপনি আমাকে চিনতে পারছেন না???
আয়ুশঃ একি আপনি এইভাবে এগোচ্ছেন কেন??
(ঘাবড়ে গিয়ে)
আমি হেঁসে বলে উঠলাম–
এই স্মৃতি শক্তি চলে যাওয়ার সাথে সাথে কি স্বভাবও বদলে ফেললেন নাকি??
আগে তো আপনি আমার কাছে আসতেন আর আমি লজ্জা পেতাম।
আর এখন উল্টো।।
এই বলে আমি উনার একেবারে কাছে চলে আসি।
টকোপি দৌড়ে কোথায় যেনো চলে যায়।
আমি উনার এতো কাছে যে দুজনের নিঃশ্বাস এর শব্দ দুজন শুনতে পারছি।
আয়ুশ ঘেমে একেবারে ঘেমে গেছে।
আয়ুশঃ দেখুন
আয়ুশকে বলতে না দিয়ে আমি বলে উঠলাম–
দেখার জন্যই তো এতোটা কাছে এসেছি।
এই বলে আমি আরেকটু উনার দিকে ঝুকে পড়ি।
আয়ুশ রিমির সেই মায়াবী চোখের দিকে তাঁকিয়ে একেবারে থমকে গেলো।
এই টানা টানা চোখ আয়ুশকে বড্ড টানছে।
কিন্তু কেন?? এই মেয়ের মাঝে এমন কি আছে??
আমি এদিকে অনেকটা ইমোশনাল হয়ে পড়েছি।
আমি সিউর উনিই আমার সাইকো আমার ভালোবাসা।
কতদিন পরে আবার সেই চাউনি।
আমি কী করে উপেক্ষা করতে পারি??
আমি যে জানি উনিই আমার সাইকো যে নিজের রিমিপরীর জন্য সব কিছু করতে হবে।
আমি আবেশে নিজের চোখজোড়া বন্ধ করে নিলাম।
।।।।।।
আমান রিমিকে খুঁজছে তখনি দৌড়ে টকোপি আমানের কাছে আসে।
আমান টকোপিকে কোলে নিয়ে বলে উঠে–
টকোপি রিমিপাখি কোথায়??
টকোপি আমানকে ইশারা করলো অইদিকে যাওয়ার জন্য।
আমানঃ অইদিকে??
টকোপি মাথা নাড়ালো।
আমান টকোপি কে নিয়ে চলল।।
।।।।
এদিকে আমি চোখমুখ কিচে একেবারে বন্ধ করে ফেলেছি।
আয়ুশ একেবারে রিমির সেই মায়াবী মুখে হারিয়ে গেছে।
তখনি খট কে ইশা ঢুকে পড়ে
কারো পায়ের আওয়াজে আয়ুশ দূরে সরে দাঁড়ায়
আমার প্রচন্ড বিরক্ত লাগছে
দুরর।
কে এলো ।।
ইশাঃ আয়ুশ তুমি এখানে?? এই মেয়েটা সাথে কি করছো??( অবাক হয়ে)
আমি বলে উঠলাম– আপনি কে??
ইশাঃ ওহ আচ্ছা আমাকে তুমি চিনো নি??
আমি ইশা আয়ুশের হবু বউ। অইযে ফোনে বলেছিলাম না আমাদের এন্গেজমেন্ট কয়দিন পর।
আমি উনার দিকে তাঁকায়।
উনি আমার থেকে দৃসটি সরিয়ে বলে উঠে–
ফোনে মানে???
ইশাঃ ওহ তুমি বুঝবে না আয়ুশ। কিছু পার্সোনাল কথা ছিলো।
রিমিঃ এই সে ইশা শাকচুন্নি। দূর একটা না একটা শাকচুন্নি ঠিক আমার কপালে জুটে যায়।
।।।।
ইশা উনার দিকে এগিয়ে বলে উঠে–
তুমি এখানে কি করছিলে??
আয়ুশঃ কিছু কাজ ছিলো
কিন্তু তুমি এখানে??
ইশা খানিক্টা আয়ুশের কাছাকাছি গিয়ে বলে উঠে–
আমার হবু স্বামীর খেলা আর আমি আসবো নাহ এইটা কি হয়?? যেখানে সব বাইরের মেয়েরাও এসে গেছে।
( রিমিকে শুনিয়ে)
এদিকে আমি রাগে থরথর করে কাঁপছি।
ইশা ঢং করে বলে উঠে–
আয়ুশ চলো
আজকে তুমি জিতেছো একটা সেলিব্রেশন তো হওয়াই যায়
এই বলে ইশা আয়ুশের হাত ধরতে নিলে
আয়ুশ বলে উঠে–
ইশা প্লিয আমার এইসব ভালো লাগেনা।
হাত ধরবেনা।
ইশা রেগে রিমির দিকে তা্কায়।
এদিকে আমি মনে মনে হাঁসছি
বেশ হয়েছে একেবারে কত্তবারে শখ আমার সাইকোর হাত ধরতে যায়।
একেও পায়েল শাকচুন্নির মতো শিক্ষা দিতে হবে।
আয়ুশ আগে যায়।
ইশা রেগে বেড়িয়ে যেতে নিবে
তখনি আমি তাকে পা দিয়ে লাথ মেরে দেই।
ইশা একেবারে মুখ থুবড়ে পড়ে যাই।
আমি হেঁসে দেই।
রিমিঃ কি শাকচুন্নি খুব শখ আমার সাইকোর সাথে সেলিব্রেশন করার।
করাচ্ছি সেলিব্রেশন (মনে মনে)
।
।
।
।
।
।
।
।#দ্বিতীয়_অধ্যায়
চলবে কি?