#প্রেমময়নেশা(The Story of a psycho lover )
#পর্ব-৩৪(ভালোবাসা দিবস স্পেশাল)
#Jannatul_ferdosi_rimi(লেখিকা)
——এ কোন সমীকরন ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায় আমায় প্রতিক্ষন ?
—————–পাগলপাড়া আমি ফাগুনের সাতকাহন❤️
আজকে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। প্রতিবছর উনার জন্য আমি সাজতাম। যদি উনি চলে এসে পড়েন।
আমি উনাকে শাড়ি পড়ে একেবারে চমকে দিবো।
উনি সত্যি ফিরে এলেন। উনাকে আমি পেয়েও গেলাম। কিন্তু উনার তো আমাকে মনেই নেই।
হাতের অনামিকা হাতের দিকে তাঁকালাম।উনার দেওয়া সেই আন্টি এখনো হাতে রয়েছে।
টকোপি আমান স্যার এর কাছে। এই টকোপি সারাদিন আমান স্যার এর কাছেই থাকে।
তখনি ফোনের বেঁজে উঠলো–আমি গিয়ে ফোন ধরলাম।
????????
তখনি ওইপাশ থেকে রাগান্বিত কন্ঠে কেউ বলে উঠে–
হ্যালো রিমি বলছো??
আমি বলে উঠলাম–
জ্বী!!
আমি ইশা বলছি।
রিমিঃ কিন্তু আপনাকে ঠিক চিনলাম নাহ।
ইশা বলে উঠলো–
আমি আয়ুশের হবু স্ত্রী।
আমি যেনো থমকে গেলাম
আমি কাঁপাকাঁপা কন্ঠে বলে উঠলাম–
উনার হবু স্ত্রী মানে??? আমি উনার হবু স্ত্রী। অয়ন চৌধুরীর।
ইশা বলে উঠলো–
হে ইউ ও কোনো অয়ন টয়ন না।
ও আমার আয়ুশ।
আমাদের এন্গেজমেন্ট ও কয়েকদিন পর।
তোমাকে যেনো আমার আয়ুশের ত্রিসীমানায় না দেখি ওকে???
এই বলে ইশা কট করে ফোন কেটে দেয়।
আমি খানিক্টা ঠোট বিজিয়ে নিলাম।
উনার এন্গেজমেনট মানে??
উনার তো আমার সাথে অনেল আগেই এন্গেজমেন্ট হয়ে গিয়েছে। তাহলে কীভাবে??
কান্নাগুলো গলায় দলা-পাকিয়ে আসছে।
চিৎকার করে কান্না করতে ইচ্ছা করছে।
কোনোরকম ওয়াশরুমে গিয়ে মুখে পানি ছিটিয়ে নিলাম।
সাওয়ার এর নিচে বসে পড়লাম।
টুপটাপ করে পানি গড়িয়েই পড়ছে। আমার সেদিকে খেয়াল নেই।
।।।।।।??????
আমান টকোপিকে আদর করতে করতে বলে উঠলো–
এইযে টকোপি তোকে আমি কী করতে বলেছিলাম
??রিমিপাখির খেয়াল রাখতে আর তুই এখানে পড়ে আছিস??
(হ্যা ভাই টকোপি আমানের। রিমি যাতে একাকিত্ব অনুভব না করে তাই আমান তার সবথেকে প্রিয় টকোপিকেও রিমিকে দিয়ে দিয়েছে।৷কিন্তু রিমি তা জানেনা)
টকোপি কি বুঝলো কে জানে?? সে আমানের কাছে আরো ঘেসে বসে পড়লো।
আমানঃ আচ্ছা শুন তোকে যে জন্য ডেকেছি।
আজকে তো পহেলা ফাল্গুন। ভালোবাসা দিবস।
আমি রিমিপাখির জন্য অনেকগুলো গোলাপের তোড়া এনেছি।
কিন্তু রিমিপাখিকে কীভাবে দিবো??
এম্নিতেই ও অনেক আপসেট আছে।
আচ্ছা আয়ুশ কি সত্যি অয়ন??
যদি অয়ন হয়ে থাকে তাহলে নিজেকে আয়ুশ বলছে কেন???
আচ্ছা এইসব পড়ে ভাব্বো। এইবার ফুলগুলো রিমিপাখিকে দিয়ে আসি।
???।।।।।
।।
আমি তোয়ালে দিয়ে মাথায় পেচিয়ে আয়নায় দাড়ালাম।
চোখ একেবারে কান্নার ফলে ফুলে গিয়েছে।
আমিও মানুষ আর কত সহ্য করবো??
কাঁদতে কাঁদতে বলে উঠলাম–
উনি তো বলেছিলেন। অয়ন নিজেকে ভুলে যেতে পারে কিন্তু তার রিমিপরীকে নাহ।
আমি কাঁদতে কাঁদতে বসে পড়ি।
আমান রিমির জন্য গোলাপ নিয়ে এসেছিলো
রিমির কস্ট দেখে তারও যেনো
বুকের ভিতরে অজস্র রক্তক্ষনন হচ্ছে।
এইটাই হয়তো ভালোবাসে।
আমান দরজায় গোলাপ রেখে ও টকোপিকে রেখে যায়।
গোলাপ গুলো আর দেওয়া হলো না।
এদিকে,,,,
আয়ুশ ইজি চেয়ারে বসে মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে।
তার কেমন যেনো মাথা ফাক ফাক লাগছে।
বার বার রিমির সেই অস্রুমাখা চেহারা ভেঁসে উঠছে
মেয়েটার প্রতি এই একদিন এতোটা টান অনুভব করছে আয়ুশ। কই ইশার প্রতি কোনোদিন এই টান অনুভব হয়নি।
হয়েছে শুধুমাত্র সহানুভুতি।
কিন্তু এই সহানুভুতি কি ভালোবাসা??
উহু একদম -ই না। কেমন একটা দ্বিধায় পড়ে যাচ্ছে।
নিজেকে অনেক সুন্দর করে সাজিয়েছে ইশা।
আজকে ভালোবাসা দিবস ই নিজের মনের কথা ব্যক্ত করবে সে।
নিজেদের মধ্যে সবকিছু ঠিক করে ফেলবে সে।
কোনো ৩য় ব্যক্তিকে সে আসতে দিবেনা
গাড়ি থেকে নেমে পড়ে ইশা।
এই প্রথম আয়ুশের জন্য শাড়ি পড়েছে সে।
মল্লিকার থেকে শুনেছে আয়ুশ গেস্ট হাউজ এ আছে।
হটাৎ কলিংবেল বাজায় হচকিয়ে যায় আয়ুশ।
এই সময় আবার কে আসলো??
।।।।।।।।।।???
ইশান নিজের গার্লফ্রেন্ড এর সাথে টাইম পাস করছিলো তখনি তার ফোনে একটা কল আসে।
নাম টা দেখে সে একেবারে বিরক্ত হয়ে যায়।
সে রিসিভ করে।
অইপাশ থেকে কেউ কান্নামাখা কন্ঠে বলে উঠে-
ইশান তুমি আমাকে এতো ইগ্নোর করছো কেন??
আজকে ভালোবাসা দিবস
ইশানঃ কত টাকা লাগবে বলো??
বিরক্ত করছো কেন.?
সে বলে উঠে–
ইশান। আমাদের কি টাকার সম্পর্ক।
আমি তোমাকে কত ভালোবাসি।
তোমার জন্য অ
।
তাকে থামিয়ে ইশান বলে উঠে–
আমি আসছি।।
।।।।।।।।।??
.
।।।।।।।।
ইশাকে এইসময় দেখে আয়ুশ অনেকটায় অবাক হয়।
আয়ুশ ঃ তুমি এখানে??
ইশা বলে উঠলো–
আচ্ছা তুমি কি আমাকে বাইরেই দাঁড় করিয়ে রাখবে
আয়ুশ সরে দাঁড়ালো।
ইশা ভিতরে ঢুকলো।
আয়ুশ বলে উঠে–
কিন্তু তুমি এখানে??এখন
ইশা বলে উঠলো–
আজ কি? ভুলে গিয়েছো??
আয়ুশ বলে উঠলো—
আজ তো রবিবার।
(লে
ইশাঃ উফফ আয়ুশ তুমিওনা। আজকে ভেলান্টাইন্স ডে।
ভুলে গেলে??
আয়ুশঃ ওহ!!
ইশাঃ আমার দিকে একটু তাঁকাও।।
আয়ুশ বলে উঠলো—
কি তাঁকাবো??
ইশাঃ আয়ুশ।।
দেখো আমি আজ শাড়ি পড়েছি।
আমাকে কেমন লাগছে???
আয়ুশ প্রচন্ড বিরক্ত নিয়ে বলে উঠে—
প্রচন্ড বিরক্ত লাগছে।
এইসব শাড়িতে তোমাকে একটুও মানাচ্ছেনা
ইশা ঃ আয়ুশ(ছলছলে চোখে)।
তাহলে কাকে মানায়???
আয়ুশের চোখে তখনি রিমি সেই কান্নামাখা মুখশ্রি ভেসে উঠে
কিন্ত কেন?? অই মেয়েটার প্রতি কেন আয়ুশ এতো টান অনুভব করে জানেনা আয়ুশ।।
ইশাঃ আয়ুশ তুমি এতোটা পালটে কি করে গেলে??
প্রতি ভেলান্টাইন্স ডে তে তুমি আমাকে নিজে সারপ্রাইজ দিতে আরো কত কি???
সব কি করে ভুলে গেলে???
(কাঁদতে কাঁদতে)
আয়ুশের অনেক খারাপ লাগছে সত্যি মেয়েটাকে এইভাবে বলা ঠিক হয়নি।
ইশাঃ তুমি আমাকে এক্টুও ভালোবাসো নাহ আয়ুশ
এই বলে ইশা দৌড়াতে দৌড়াতে চলে যায়।
আয়ুশ তার যাওয়ার পানে তাঁকিয়ে থাকে।
।।।।।????
আমান নামাজ পড়ে নিলো।
এখন কিছুটা শান্তির দরকার।
একমাত্র নামাজের মাধ্যমেই তা অর্জন করা সম্ভব।
আমান মোনাজাতে হাত দুটো বলে উঠে–
হে আল্লাহ!! হে পরম দয়ালু!
আপনি তো জানেন আমি মোনাজাতে কখনো আমার রিমিপাখিকে চাইনি।।
কেননা রিমিপাখি আমার হলে সে তো সুখে থাকবেনা। তার ভালোবাসা অন্যকেউ। আমি চাই আমার রিমিপাখি যাকে ভালোবাসে যাকে চায়। তাকে যেনো পেয়ে যায়।
আমার ভালোবাসার মানুষটির তার ভালোবাসার মানুষের সাথে সুখে থাকুক।
আমার মোনাজাতে আমি আমার রিমিপাখির সুখ চাই তাকে নয়।
ইশা, আয়ুশ, আমান ও রিমিকে
এক্টি গান ডেডিক্টেড করাই যায়।
?
এদিকে, আমি কেঁদেই যাচ্ছি।।
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই ?
চিরদিন কেন পাইনা??
(২বার)
——–
আজও মনে পড়ে
অয়ন আমাকে কীভাবে জড়িয়ে ধরতো
আমার জন্য পাগল হয়ে যেতো।
সেসব মুধুর স্মৃতি)
ওহে কি করলে?? বলো পাইবো তোমারে ?
রাখিবো আখিতে আখিতে ?
( আমানের মনে পড়ে যায় রিমি কীভাবে তার দিকে আশাভরা দৃস্টিতে তাঁকিয়ে ছিলো)
ওহে এতো এতো প্রেম আমি কোথা পাবো নাহ??(২বার)??
।।।।
তোমারে হ্রদয়ে রাখিতে ?
আমার সাধ্য কিবা তোমারে
দয়া না করিলে কে পারে ?
(ইশা কাঁদতে কাঁদতে গাড়িতে উঠে বসে
এই দিনে আয়ুশের সাথে তার কত সুন্দর স্মৃতি ছিলো)
।।।।।।
তুমি আপনি না এলে কে পারে ?
হ্রদয়ে রাখিতে
???
।।।।
(আয়ুশের এক অস্হিরতা কাজ করছে
মেয়েটার সাথে এইরকম না করলেও পারতো।
কিন্তু আয়ুশ বা কি করবে।
কালকে থেকে অই হসপিটালের মেয়ে(রিমিকে)
দেখে অন্যরকম ফিল হচ্ছে)
ওহে কি করিলে বলো পাইবো
তোমারে ??
রাখিবো আখিতে আখিতে।
।।।।।।।
আমি কাঁদতে কাঁদতে
কখন ঘুমিয়ে গেছি খেয়াল নেই।
তখনি কেউ মিহি কন্ঠে বলে উঠে–
Happy valentines day My lady ??
.
.।
।
।।।
।
।।
।#দ্বিতীয়_অধ্যায়
চলবে কি??
(আজকে প্রচন্ড বিজি ভেবেছিলাম দিবোনাহ
কিন্তু আজকে পহেলা ফাল্গুন আমার পাঠকদের আমি অনেক ভালোবাসি তাও কস্ট করে হলেও একটা পার্ট লিখেই দিলাম
অনেক তাড়াহুড়া করে লিখেছি)
#প্রেমময়নেশা(The story of a psycho lover )
#পর্ব-৩৫
#Jannatul_ferdosi_rimi(লেখিকা)
তার মিহি কন্ঠে একেবারে আলাদা শিহরন বয়ে যাচ্ছে। সে আমার দিকে এগিয়ে আমার হাতে কিছু একটা করে। কিন্তু আমি কিছুই দেখতে পারছিনা।ঘরটা একেবারে অন্ধকার। আমি কিছু বলবো তার আগেই ঘরের লাইট অন হয়ে যায়। ??
আশেপাশে কেউ নেই। এইসব কি হচ্ছে। উফফ মাথা ভনভন করছে। টকোপি আমার কাছে একেবারে ঘেসে বসে পড়ে। আমি বলে উঠলাম—টকোপি তুই কি কাউকে দেখেছিস?টকোপি ফ্যালফ্যাল হয়ে আমার দিকে তাঁকিয়ে আছে।
?।।।।।।
তখনি টকোপি আমার ওড়না দিয়ে টান দেয়।
আমি বলে উঠলাম–
কি হয়েছে টকোপি।
টকোপি ইশারা করে পিছনে তাঁকাতে। আমি তার ইশারা অনুযায়ী পিছনে তাঁকিয়ে দেখি নীল শাড়ি।
আরো অনেক অর্নামেনটস।
এইসব কে রাখলো?? অইগুলো নিতে গিয়ে হাতের দিকে আমার খেয়াল যায়
আমার হাতে নীল চুড়ি। নীল চুড়ি আবার কে পড়ালো??
তার মানে একটু আগে যা হয়েছে তা সব সত্যি।কিছুই আমার মনের ভুল নয়।কিছুক্ষন আগে
কেউ আমার হাতে এই চুড়ি
পড়িয়ে দিয়েছে কিন্তু কে???
তখনি দেখি শাড়ির ট্রে এর পাশে একটি ছোট্ট চিরকুট তাতে লেখা—
সত্যি বলছি শাড়িতে অদ্ভুদ সুন্দর দেখা যায় তোমাকে হুট করেই যেনো তুমি ষোড়শী নারী হয়ে উঠো আর তখনোই তোমার আচলের বাঁধা পড়ে যাই আমি বার বার।
একটি কাজ করিও তার সাথে তোমার অই মায়ামিশানো টানা চোখে গাঁড়ো করে কাজল পড়ো।
আর কারো যেনো নজর না লাগে। ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা নিও।
আমাকে বেশি খুঁজতে যেওনা আমি নিজেই
তোমার কাছে ঠিক ধরা দিবো ❤️?!!
এদিকে আমার পুরো জটলা পেঁকে যাচ্ছে
কি হচ্ছে কি এইসব?? উফফ
।।।।।।
????
আমান বই নিয়ে কিছু স্টাডি করছে। কনফারেন্স হতে এখনো কিছুটা দিন বাঁকি আছে।
তাই অনেক স্টুডেন্সরাই নিজেদের মতো লন্ডন শহর ঘুড়ে যাচ্ছে।
আমানের আবার এইসব ঘুড়াঘুড়ি ভালো লাগেনা।
তখনি তার দরজায় কড়া নাড়ে।
আমান গিয়ে দরজা খুলে অবাক হয়ে যায়।
কেননা রিমি এসেছি। সাথে টকোপিও।
টকোপি আমানকে দেখে তার কাছে দৌড়ে চলে গেলো।
আমি বলে উঠলাম–
এইযে এখন আপনাকে দেখেছে। এখন আপনাকে আর টকোপি ছাড়ছেনা।
আমান বলে উঠলো–
সেসব নাহয় বুঝলাম।কিন্তু তুমি এখানে?
আমি বলে উঠলাম–
আমি বলতে এসেছি। আপনি তাড়াতাড়ি রেডি হোন।
আমি বাইরে যাবো।
আমানঃ বাইরে?? এখন তো প্রায় ১০টা বাজে।
তুমি কি ঘুড়তে যেতে চাইছো???(ভ্রু কুচকে)
রিমিঃ খানিক্টা সেটাই।
আমান জাস্ট অবাক হয়ে রিমিকে দেখে যাচ্ছে
কালকে যে মেয়েটা এতোটা কান্না করছিলো। আজকে সে অনেকটাই হাঁসিখুশি। স্ট্রেঞ্জ।কিন্তু আমানের এতে ভালোই লাগছে। তার রিমিপাখি খুশি মানে সেও খুশি।
আমান বলে উঠলো–
আচ্ছা আমি এখনই রেডি হয়ে আসছি।
আমি বলে উঠলাম– তাড়াতাড়ি কিন্তু।
আমানঃ আচ্ছা(মুঁচকি হেঁসে)
।।।।।
সুমু কফির কাপ নিয়ে এসে দেখে
ফারহান ঘুম। কাব্য বেডে বসে একা খেলছে।
সুমু বলে উঠলো–
দেখেছো আমার জামাইটার কান্ড???
ছেলে কখন উঠে গেছে আর বাপ মরার মতো ঘুমাচ্ছে।
সুমু ফারহান এর কাছে গিয়ে বলে উঠলো–
এই আপনি ঘুম থেকে উঠবেন?? নাহ
ফারহানঃ আরেকটু ঘুমাতে দাওনা।
সুমু কিছু বলবে তার আগেই ফারহান এর মা এসে বলে উঠলো–
সুমু মা তুমি এখনো কি করছো এখানে??
তাড়াতাড়ি পড়তে বসো তোমার তো আবার কয়েকদিন পর ইন্টারভিউ আছে।
সুমু ঃ পড়বো কীভাবে মা?? আমার ছেলেটাকে নিয়েও আমার এতো কস্ট করতে হয়না যতটা আপনার ছেলেকে নিয়ে করতে হয়। আমার মনে হয় আজকে উনার অফিস যেতেই হবেনা।
ফারহান এর মা হেঁসে বলে উঠে–
আচ্ছা তুমি যাও।
আমি আমার ছেলেকে উঠাচ্ছি।
সুমু কাব্যকে কোলে নিয়ে চলে যায়।
।।।।।।
সানা মিসেস কলির জন্য ওষুধ এনেছে।
মিসেস কলিঃ আমি আর খেতে পারবো নাহ
সানাঃ খালামনি তুমি যদি এই ওষুধ না খাও
তোমার অই মেয়ে আমার অবস্হা টাইট করে দিবে।
।আমাকে আজকেও ফোন করেছিলো তুমি ঠিক মতো ওষুধ খাচ্ছো নাকি।
মিসেস কলি হেঁসে বলে উঠ–
সত্যি অই দূর বিদেশ থেকেও আমার খবর নিতে ভুলেনা।
সানাঃ আমাদের জুনিয়ার ভাবি মানুষটাই এমন।
মিসেস কলিঃ
সত্যি অই দূর বিদেশ থেকেও আমার খবর নিতে ভুলেনা
সানাঃ তা যা বলেছো।
মিসেস কলিঃ আজকে আমার ছেলেটা বেঁচে থাকলে আমাদের কত্ত সুন্দর সংসার থাকতো।ফারহান সুমুর ছেলের মতো আমার অয়ন-রিমিরও কোল আলো করে কেউ আসতো।
( এই বলে মিসেস কলি কেঁদে দেয়)
সানা মিসেস কলিকে জড়িয়ে ধরে সেও কেঁদে দেয়।
সানা যত ফারহানকে ভুলতে চায় ততই সে নামটা আবারও চলে আসে।।।
??????।।।।।
।।।
আজকে ফাইনাল ম্যাচ। আদি ও অন্যরা নিজেদের মতো প্রেক্টিস করে যাচ্ছে।
আয়ুশ এসে এখনো পৌছায়নি।
জনি ও তার টিমেরাও নিজেদের মতো প্রেক্টিস করে যাচ্ছে।
আজকে তারা আয়ুশকে কিছুতেই জিততে দিবেনা।
মেয়েরা ম্যাচ এর থেকে আয়ুশকে দেখার জন্য বেশি এক্সাইটেড। তাদের ড্রিম বয় বলে কথা।
।।।।।
??
আয়ুশ আয়নায় নিজের চুলে জেল লাগিয়ে সেট করে নিলো।
নীল কোট পড়ে বাঁকা হেঁসে ড্রয়িং রুমে চলে গেলো।
নিদ্র আর মল্লিকা নিজেদের মধ্যে কিছু কথা বলছিলো।
আয়ুশকে দেখে মল্লিকা বলে উঠে–
আমার বেটা কাম
আয়ুশ গিয়ে মল্লিকা ও নিদ্রোর পাশে বসে।
আয়ুশ বলে উঠে–
বাপি মম আমার জন্য দোয়া করো। আজকের ম্যাচটা যেনো আমি জিতে যাই।
নিদ্র বলে উঠে–
আমাদের দোয়া সবসময় তোমার সাথে আছে।
মল্লিকাঃ আমি জানি আমার চ্যাম্প জিতবেই।
আয়ুশ দুজনকে জড়িয়ে ধরে বলে উঠে–
থ্যাংকস
মম ড্যাড!!
এই বলে আয়ুশ যেতে নিলে মল্লিকা বলে উঠে–
ইশাকে বলেছ??
আয়ুশ বিষয়টা এড়ানোট জন্য বলে–
আমার দেড়ি হয়ে যাচ্ছে।
এই বলে আয়ুশ চলে যায়।
মল্লিকাঃ দেখেছো?? আমাকে এড়িয়ে গেলো।
নিদ্রঃ তুমি এতো চিন্তা করোনা। কাল-পরশু তো ওদের এন্গেজমেনট সব ঠিক হয়ে যাবে।
মল্লিকাঃ আই হোপ সো।
।।।।।।।
আয়ুশ নিজের স্টাইলে চুল্গুলো ঝাকাতে ঝাকাতে বাস্কেট বলটা লাফাতে লাফেতে কোট এ নিয়ে আসলো।
মেয়েরা হা হয়ে আয়ুশের স্টাইল দেখছে।
সত্যি সবাই ফিদাহ।।।
সবাই আয়ুশ করে চেচিয়ে যাচ্ছে।
।।
আদিঃ এইতো আমাদের কিং চলে আসলো।
রকি বলে উঠলো–
বাট আমার একটু টেনশন হচ্ছে।
রুপ ঃ তোর আবার টেনশন হচ্ছে কেন??
আদিঃ তাও আমাদের আয়ুশ থাকতে।
রকিঃ জনি যা ছেলে ও সহজে আমাদের জিততে দিবেনা।
আয়ুশ বাঁকা হেঁসে বলে উঠে–
জনি যা ইচ্ছে করুক ইয়ার।
আয়ুশ খান কে সে আটকাতে পারবেনা
।।।।।
এদিকে জনি মনে মনে শয়তানী হাঁসি দিচ্ছে।
সে নিজের পকেটে গুড়ো মরিচের স্প্রে রেখেছে।
আয়ুশ বলটা বাস্কেটে রাখতে গেলেই সে স্প্রে করে দিবে। আয়ুশের গুড়া মরিচে এলার্জি আছে।
।।।।।।
এদিকে ভার্সিটির সামনে রিমি গাড়ি থামাতে বললে
আমান অনেকটাই অবাক হয়।
আমান বলে উঠলো–
আমরা এই ভার্সিটির সামনে কেন??
আমি বলে উঠলাম–
আজকে এই ভার্সিটিতে অনেক বড় বাস্কেট টুর্নামেন্ট।
আমানঃ তাহলে কি আমরা এখানে খেলা দেখতে এসেছি রিমিপাখি??
(অবাক হয়ে)
রিমিঃ বলতে পারেন। বাট একজন কে চিয়ার করতে এসেছি।
এই বলে আমি টকোপিকে নিয়ে বেড়িয়ে যাই।
আমানও বেড়িয়ে যায়।
আমানঃ কিন্তু কাকে চিয়ার করতে এসেছি।
এখানে তোমার কোনো বন্ধু আছে কি??
রিমিঃ উফদ আপনি বড্ড কথা বলেন।
এই বলে আমি আমান স্যার এর হাত ধরে ভিতরের দিকে নিয়ে যেতে লাগলাম।
আমানের ভালোই লাগছে এই প্রথম রিমিপাখি নিজের ইচ্ছায় তার হাত ধরেছে।
ভিতরে গিয়ে আমরা অবাক।
মেয়েরা শুধুই আয়ুশ আয়ুশ করে যাচ্ছে।
মানে আমার সাইকোটার নাম করে যাচ্ছে।
বাস্কেট কোটে উনাকে দেখি উফফ কি লাগছে আমার সাইকো কে ??
আমানঃ এখানে রিমিপাখি আয়ুশের জন্য এসেছে(মনে মনে)
এদিকে আমি হিংসায় জ্বলে যাচ্ছি। ধলা শাকচুন্নিগুলো উনাকে গিলে খাচ্ছে।
যতই আমার সাইকো আমাকে না চিনুক। আমি তো জানি উনিই আমার সাইকো
আয়ুশ বাস্কেট বলটা হাতে নিবে।।
তখনি আমি চিৎকার করে বলে উঠি–।
বেস্ট অফ লাক আমি জানি আপনি জিতবেন।
আমার চিৎকার শুনে সবাই আমার দিকে তাঁকিয়ে আছে।
আয়ুশঃ এতো হসপিটালে মেয়েটা ও এখানে কীভাবে??(অবাক হয়ে)
আদিঃ এ আবার কে??
আয়ুশ রিমির দিকে আবার তাঁকালে
রিমি তার দিকে ফ্লাইং কিস ছুড়ে দেয়
এবং চোখ টিপ দেয়।
আয়ুশ ভরকে যায়।
এতো ভারি অসভ্য মেয়ে।
আয়ুশের অনেক লজ্জা লাগছে।
।।
।
।।
।।
।
।
#দ্বিতীয়_অধ্যায়
চলবে কি???
(আমার পরিক্ষা একেবারে নিকটে অনেক বিজি প্রতিদিন গল্প দেওয়া সম্ভব না তাও আমি চেস্টা করি দেওয়ার)
(কেমন হয়েছে জানাবেন কিন্তু ❤️)