প্রেমময়নেশা ৩২+৩৩

0
317

#প্রেমময়নেশা(The Story of a psycho lover)
#পর্ব-৩২(আয়ুশ কে??)
#Jannatul_ferdosi_rimi(লেখিকা)
স্পর্শটা গভীর হয়ে যাচ্ছে। আমি চোখ খুলতে গিয়েও পারছিনা। আস্তে আস্তে স্পর্সটা হারিয়ে যাচ্ছে। আমি চট করে চোখ খুলে ফেলি। কেউ নেই।
রাত প্রায়-২টো চারদিকে রাতের নিস্তব্ধতা। টকোপি নিজের কেট বেড এ আরামের সাথে ঘুমাচ্ছে। কিন্তু আমার চোখে ঘুম নেই। লন্ডেনে প্রথম রাতেই এইরকম অভিজ্ঞতা হবে ভাবিনি। এইটা কি শুধুই আমার মনের ভুল নাকি অন্যকিছু?? জানিনা আমি। কিন্তু কেউ তো নেই।
।।।।।।।।।।।
ল্যাম্পোসট আলোয় কারো মুখে ফুটে উঠছে বাঁকা হাঁসির রেখা।

।।।।
নানা কলপ্নার মধ্য দিয়ে রাত পার করলাম..।।

সকালে,,,
টকোপির জন্য বিস্কুট নিয়ে আসলাম । তখনি কলিং বেল বেজে উঠলো-
আমি তাড়াতাড়ি গিয়ে দরজা খুলে দেখলাম একটা বড় প্যাকেট। আমি তাড়াতাড়ি তুলে নিলাম। এইটা আবার কি??
কার এইটা?? ওয়েটারকে ডাক দিলাম।
ওয়েটার বলে উঠলো–জ্বী ম্যাম কিছু বলবেন??

রিমিঃ এইটার কার???

ওয়েটারঃ আপনার রুমের সামনে তখন মেইবি আপনার ই হবে।

আমি বলেে উঠলাম–
কিন্তু কে দিয়েছে কিছু জানেন???

ওয়েটারঃ সেটা তো বলতে পারবো নাহ ম্যাম।

আমি কিছু বললাম নাহ।।
পেকেট টা নিয়ে ঘরে আসলাম।

এক্টা বড় বক্স এর মতো পেকেট টা। খুলে দেখি অনেক বড় ট্যাডি। এতো বড় টেডি দিলো??
আজব। ওমা আবার হ্যাপি টেডি ডে লেখা। আজকে টেডি ডে। কিন্তু এইসব মানে কি আজব।
কিন্তু টেডি টা অনেক কিউট। টকোপি আমার কোলে উঠে টেডিটা দেখে যাচ্ছে।

আমি বলে উঠলাম- কিরে তোর পছন্দ হয়েছে??
টকোপি কি বুঝলো কে জানে??
টেডি টা নিয়ে খেলে যাচ্ছে।

আমান দূর থেকে দেখে যাচ্ছে। অনেক ভয়ে ছিলো সে। যত দূর জানে সে দিলে রিমি গিফট টা নিতো না। তাই এই ব্যাবস্হা। যাক বাবা। রিমিপাখি শেষমেষ গিফট টা নিলো।

আমান মুচকি হেঁসে চলে গেলো।

আয়ুশ নিজের ঘরে বসে কিছু একটা করছিলো।
তখনি নিদ্র প্রবেশ করে।

নিদ্রঃ আমার বেটা কি করছে??

আয়ুশ নিজের সু এর ফিতা লাগাতে লাগাতে বলে উঠলো-
তেমন কিছুনা ড্যাডি!!জাস্ট বাইরে যাবো একটু প্যাক্টিস আছে।

নিদ্র বলে উঠলো-
কালকে স্টিক হসপিটালে বড় কনফারেন্স আছে। তুমিও যাবে আমার সাথে।

আয়ুশ বলে উঠলো-
কেন???
আমার কাজ আছে।

নিদ্রঃ দেখো আয়ুশ তুমি অন্তত ইশানের মতো হয়ো নাহ।
তুমি বলেছিলে অফিস জয়েন করবে তাই।
আর অই হসপিটালে আমাদের কম্পানি বড় ইনভেস্টমেন্ট করেছে তাই।।
তোমাকেও যেতে হবে।

আয়ুশ বলে উঠলো–
ঠিক আছে আমি যাবো।

নিদ্রঃ আমি নিশ্চিন্ত হলাম( মাথা নাড়িয়ে)

।।।।।।
রুশনি ব্রেডে বাটার নিচ্ছে। রুশান এসে বলে উঠে-
আজকে কোমপানির বড় ডিল বাইরে থাকবো।

রুশনিঃ তোমার কি হয়েছে বলো? তো??
আজকাল বাইরে একটু বেশিই থাকছো।।

রুশানঃ অফিসের অনেক কাজ থাকে। তাই
তুমি এইসব বুঝবেনা।।

রুশনিঃ আমি বুঝতে চাই রুশান।
মেয়েটা বাড়িতে তোমার এতো কাজ ওকে কি একটু সময় দেওয়া যায়না???

রুশানঃ এতো কৈফিয়ত আমি দিতে পারবোনা(খানিক্টা ধমকের সুরে)

রুশান নিজেকে সামলে বলে উঠলো-
অফিস থেকে এসে সানার সাথে কথা বলবো আসছি।

রুশান বেড়িয়ে গেলো।

রুশনি কিছুই বলতে পারলো নাহ।

।।।।।।
In London,,,
আমরা সবাই ব্রেকফাস্ট করছি। আমান বলে উঠলো–
আমাদের সবাইকে কিন্তু আজকে প্রস্তুতি নিতে হবে ওকে???

আমরা সবাই বলে উঠলাম- জ্বী।

আমানঃ কালকে সবাই কনফারেন্স টা ভালোভাবে করতে পারবেন আশা করি( চশমা টা ঠিক করে)

আমানঃ কিন্তু রিমি মানে আপ্নারদের সবার এখানে অসুবিধা হচ্ছেনা তো??
লিসা বলে উঠলো-
অনেক বড় এলাহি আয়োজন করা হয়েছে স্যার।আমাদের সমস্যা নেই।

টিনা সুপ খেতে খেতে বলে উঠলো-
আমান স্যার আমরা প্রথমবার লন্ডনে এসেছে শহরটা ঘুড়ে দেখবো নাহ???

আমান টিসু দিয়ে ঠোটের কোনায় মুছতে মুছতে বলে উঠলো–
অবশ্যই কিন্তু কালকে আমাদের কনফারেন্স শেষ হোক তারপর।
তাছাড়া আমরা আছি তো অনেকটা দিন।

কিন্তু এইসব কিছুই আমি শুনছি না।
কিসব ঘটে যাচ্ছে আমার সাথে লন্ডনে আসার সাথে সাথে।

আমান বলে উঠলো-মিস রিমি আপনি ঠিক আছেন??তো??

আমি খানিক্টা থতমত খেয়ে গেলাম

রিমিঃ জ্বী

আমানঃ এতো চুপচাপ যে।

রিমিঃ না আসলে এমনিই।

আমানঃ ওহ আচ্ছা।।।

আমানঃ তো যা বলছিলেন আপনার প্রিপেইড হয়ে থাকবেন। আশা করি আপ্নারা আমাদের সম্মান রাখবেন।

রিমিঃ আপনি কোনো চিন্তা করবেন নাহ আমরা নিজের সবোর্চ্চ চেস্টা করবো।

আমানঃ সেই আশা রয়েছে আমার।

যেহুতু কালকে একটা ইন্টারনেশনাল কনফারেন্স।
অনেক বড় একটা দিন আমার জন্য।
আমাকে নিজের সবোর্চ্চ চেস্টা করতে হবে।

টকোপি আমার কোলে রয়েছে। টকোপিকে আদর করে যাচ্ছি আর কিছু রিপোর্টস দেখছি।।।

সকালে,,,
কালকে রাতে অন্তত তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি আমার সাথে। কিন্তু সকাল থেকে আমার কেমন যেনো একটা ফিলিং হয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু কেন??
জানি না আমি। আজকে এতো বড় কনফারেন্স তাই.??
নাহ কিচ্ছু বুঝতে পারছিনা।

আমান সাদা এপ্রোন হাতে নিয়ে এসে বলে উঠে-
রিমিপাখি তুমি তৈরি?
আমি নিজের এপ্রোন টা নিতে নিতে বলে উঠলাম- চলুন!!

আমান ঃ চলো।
বাই দা ওয়ে তোমাকে আজকে অনেক সুন্দর লাগছে।

আমি অবাক হয়ে আমান স্যার এর দিকে তাঁকিয়ে আছি।

তিনি হয়তো নিজেও জানেন না কি বলেছেন তাই তাড়াতাড়ি গাড়ির দিকে রওনা হলেন।

আমরা সবাইও গাড়িতে উঠে বসলাম।
গাড়ি বললে ভুল হবে একটা মিনি বাস।

সব মেয়েরা আমানের দিকে তাকিয়ে আছে।
আমি জানালার দিকে তাকিয়ে আছি।

।।।।।।
আয়ুশ চুলগুলো জেল দিয়ে সেট করে নিলো।
গায়ে কালো সুট। ডেশিং লুক। মুখে টেডি স্মাইল।

মল্লিকাঃ বেটা তুমি রেডি??

আয়ুশঃ হুম মম।

নিদ্র হাতে ঘড়ি লাগাতে লাগাতে বলে উঠে-
তাহলে চলো যাওয়া যাক। বেশি সময় নেই।

আয়ুশঃ চলো।

।।।।।।
আমরা সবাই অকোডোরিয়াম এ চলে এসেছি।
অনেক বড় কনফারেন্স হবে। ভিন্ন দেশ থেকে ভিন্ন ডক্টরস এসেছে। সবাই হার্ট সার্জন।
উনি তো এইসব বড় বড় শো তেই আসতেন। উনাকে টিভিতে দেখা যেতো আহা।
আচ্ছা এখানে যদি উনি চলে আসেন আর আমাকেও এই পোষাকে দেখেন তখন???

।।।।।
আয়ুশ গাড়ি থেকে নেমে গেলো।
আয়ুশের টেডি স্মাইলে মেয়েরা যেনো শেষ হয়ে যাচ্ছে। কালো সুট এ ওয়াও।।।

মল্লিকা ও নিদ্র ও নেমে যায়।।।

আয়ুশের এক অদ্ভুদ ফিলিং হচ্ছে কিন্তু কেন সে জানে না।।

এইরকম হওয়ার তো কথা নয়।

একজন বড় প্রফেসর বলে উঠলো-
প্রথমেই সবাইকে থ্যাংকস এন্ড কিছুক্ষন পরেই আমাদের কনফারেন্স শুরু হবে।

আমার নার্ভাস লাগলেও কেন যেনো একটা অন্যরকম ফিলিং হচ্ছে।।

আমান বলে উঠে-
আর কিছুক্ষন এর মধ্যে শুরু হবে।
আশা করি সবাই প্রস্তুত।

আমরা বলে উঠলাম- হ্যা।

আমানঃ এখন সবাই বসে পড়ুন
আমান এর কথামতো সবাই নিজেদের জায়গা বসে পড়লো।
।।।।।।।।
ইশার একটুও ভালো লাগছেনা
আয়ুশ নাকি কনফারেন্স ও গিয়েছে তাকে কেন বলেনি??
তাহলে সেও চলে যেতো আজকাল আয়ুশ কেমন যেনো হয়ে গিয়েছে ভালো লাগেনা।
হুহ।।।

প্রফেসর মাইক টা হাতে নিয়ে বলে উঠলো-
এখন আসছেন আমাদের হসপিটালের কন্ট্রিবিউটার
নিদ্র খান মল্লিকা খান ও আয়ুশ খান।

সবাই জোড়ে হাত তালি বাজালো।

আয়ুশ খান নামটা শুনে কেন জানি আমার হার্টব্রিট ফাস্ট হতে লাগলো।
উফফ কিজন্য??

আয়ুশ স্টেজের দিকে যত যাচ্ছে তার কেমন একটা ফিলিং হচ্ছে
।।
মল্লিকা নিদ্র তারা স্টেজে প্রবেশ করলো।
আয়ুশ নিজেকে সামলে স্টেজে উঠে গেলো।

আমরা সবাই স্টেজে তাকাতেই আমি থমকে গেলাম
এ কাকে দেখছি আমি।

আমান যেনো নিজেকে বিশ্বাস করতে পারছেনা।।
আমি কাঁপাকাঁপা কন্ঠে বলে উঠি—

অয়ন আপনি ।।।।।।।।।।





।।



।#দ্বিতীয়_অধ্যায়।।
চলবে কি??
(আমি তো ভালা না ভালা লইয়াই থাইকো

#প্রেমময়নেশা(The Story of a psycho lover)
#পর্ব-৩৩(প্রমিজ)
#Jannatul_ferdosi_rimi( লেখিকা)
আমি একেবারে থমকে গেলাম।এতো আমার অয়ন। আমান ও নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছেনা। আমার কিরকম এখন রিয়েক্ট করার উচিৎ আমি ঠিক বুঝতে পারছিনা। আয়ুশ নিজের আসনে বসে পড়লো। আমাদের প্রফেসর আমাদের সামনে এসে বলে উঠলো-
ডক্টর আমান আপ্নারা নিজেদের আসনে বসে পড়ুন।

??????????
আমানের এখন খেয়াল আসলো। কনফারেন্স শুরু হয়ে গিয়েছে। সে পাশে খেয়াল করে দেখে রিমি নেই। রিমিপাখি কোথায়?? ওমা রিমি তো স্টেজের দিকে যাচ্ছে। আমান ও রিমির দিকে ছুটে যায়।এদিকে আমি কিছু না ভেবে স্টেজের দিকে ছুটে চলেছি।
নিদ্র মাইক হাতে নিয়ে কিছু বলবে আমি চিৎকার করে বলে উঠলাম–
অয়ন!!
কন্ঠস্বর টা শুনে আয়ু্শ সহ সবাই পিছনের দিকে ঘুড়ে যায়। একটি মেয়ে গাঁয়ে তার মেডিকালের এপ্রোন। চোখ গুলো একেবারে লাল হয়ে রয়েছে মেয়েটি কাঁদছে। মেয়েটিকে দেখে আয়ুশের হার্টব্রিট ফাস্ট হতে লাগলো। কিন্তু কেন??
আর তাকেই বা মেয়েটি অয়ন বলছে কেন.?
মল্লিকার মেয়েটিকে সুবিধার লাগছেনা। এই মেয়েটি কে?

????

আমি তাড়াতাড়ি স্টেজে উঠে গেলাম। আমান ও এসে পড়লো।

আমি নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতে পারছিনা।
যেই মানুষটার জন্য আমি এতো বছর অপেক্ষা করেছি। আজ সে আমার সামনে।
আমার অয়ন। আচ্ছা এইটা কোনো স্বপ্ন নয়তো??ইচ্ছে করছে উনাকে একটু ছুয়ে দেখি। যেই ভাবা সেই কাজ উনার গাল ছুয়ে দিলাম। আয়ুশ যেনো রিমির মায়াবি চোখে হারিয়ে গেলো।
এদিকে বাকিরা বুঝতে পারছেনা মেয়েটি কি করছেকি এইসব।
হ্যা উনি তো সত্যি আমার সাইকো।

আমি শব্দ করে কেঁদে দিলাম।

আমান ও ছলছলে চোখে বলে উঠে–
অয়ন দোস্ত।

আমি কাঁদতে কাঁদতে বলে উঠলাম–
আপনি বড্ড স্বার্থপর কিভাবে আপনার রিমিপরীকে ছাড়া থাকতে পারেন।
আপনি জানেন না?? আপনার রিমিপরী
তার সাইকো কে কতটা ভালোবাসে
হ্যা।

আয়ুশ অফুস্টস্বরে বলে উঠলো-
রিমিপরী!!!

এই ডাক টা শুনার জন্য আমার কান অপেক্ষা করছিলো।
আমি আরো জোড়ে কেঁদে দেই।

রিমির হাত এখনো আয়ুশের গালে

আয়ুশ কি বলছে কিছুই সে নিজেও যেনো বুঝতে
পারছেনা।

মল্লিকা প্রচন্ড রেগে যায়। এতো ড্রামা তার সহ্য করতে পারছেনা।

মল্লিকা তাড়াতাড়ি গিয়ে আয়ুশের থেকে রিমিকে সরিয়ে দেয়।

মল্লিকাঃ ইউ স্টুপিড গার্ল এইসব কি করছো???

আমি বলে উঠলাম–উনি আমার অয়ন।

আয়ুশঃ অয়ন??(অবাক হয়ে)

মল্লিকাঃ কিসের অয়ন। ও আমাদের বড় ছেলে। খান
ইন্ড্রাস্টির এক মাত্র উনার নিদ্র খানের ছেলে আয়ুশ খান।

আমান অবাক হয়ে যায়।
আমানঃ হ্যা একেবারে আমাদের অয়নের মতো দেখতে( মাথে নেড়ে)

আমি বলে উঠলাম–
অয়নের মতো মানে?? আমি জানি উনিই অয়ন।

এই বলে আমি উনার কাছে গিয়ে বলে উঠি–
আমাকে দেখুন না। আপনার রিমিপরী। চিনতে পারছেন না?? আপনার ভালোবাসা।
যাকে আপনি নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসতেন।

আয়ুশঃ দেখুন মিস। আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে।
আমি আয়ুশ খান। অয়ন নই।।

নিদ্র এইবার বলে উঠে–
আপ্নারা কি সেরা হার্ট সার্জন অয়ন চৌধুরীর কথা বলছেন??
আমান বলে উঠলো–
হ্যা।
।নিদ্রঃ আপনি নিশ্চই অয়ন চৌধুরী হবু বউ ছিলেন(রিমিকে উদ্দেশ্য করে)

(লেখিকা ঃ জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)

আমি বলে উঠলাম– হবু বউ ছিলাম মানে কি??
এখনো আছি। এইসে উনি আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে।

নিদ্রঃ আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে। আয়ুশ আমাদের বড় ছেলে। তার চেহারা হয়তো অয়ন চৌধুরীর সাথে মিলে গিয়েছে। কিন্তু তার পিছনেও বড় কাহিনী

নিদ্র কে বলতে না দিয়ে মল্লিকা বলে উঠলো–
নিদ্র অইসব বাদ দাও!!
অইসব ড্রামা আর টলারেট করা যাচ্ছেনা। যতটুকু শুনেছি অয়ন চৌধুরীর মারা গিয়েছে।
আমি বলে উঠলাম–।নাহ উনি বেঁচে আছেন আমাদের সাম্নেই আছেন।

এই আপনি বলুন না??? আপনি আমার অয়ন।
আমি উনার কাছে গিয়ে বলে উঠলাম।
আয়ুশ রিমির দিকে তাঁকিয়ে আছে।
সত্যি এই মেয়েটার হবু স্বামি এই পৃথিবী নেই সেটা জানা স্বত্তেও এই মেয়ের নিজের ভালোবাসার মানুষের প্রতি বিশ্বাস।

।।।।।??????
মেয়েটার প্রতি এক অদ্ভুদ টান অনুভব করছে
আয়ুশ কিন্তু কেন???
জানে না আয়ুশ।

আয়ুশ নিজেকে সাম্লে নিয়ে বলে উঠলো–
দেখুন আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে।
আমি আয়ুশ খান।

আমি দুপা পিছিয়ে যাই। এ কি বলছেন উনি?
আমি কীভাবে ভুল করবো। নাহ আমার সাইকো কে অন্তত আমি চিনতে ভুল করতে পারিনা।

আয়ুশ এক্সকিউজ মি চলে যায়। আমি ধপ করে চেয়ারে বসে পড়ি।

আমান আমার কাছে এসে বলে উঠে–
রিমিপাখি।
আমি কাঁদতে কাঁদতে বলে উঠলাম–
উনি কি করে আমাকে ভুলে যেতে পারে??
উনি আমার সাইকো আমি জানি।

মিসেস মল্লিকা বলে উঠে–
আজকে কি এইসব ড্রামাই হবে???
এতো বড় কনফারেন্স? একটা ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স কি এইভাবে নস্ট হয়ে যাবে???

প্রফেসারঃ ডক্টর আমান। আপনি আমার স্টুডেন্ট কে সামলান।

আমানের ইশারা অনুযায়ী লিসা ও রিয়া আমাকে ধরে নিয়ে যায়। স্টুডেন্টস রুমে।

এদিকে আমার মাথা ফাকা হয়ে রয়েছে। কি করবো কি আমি।

আমান বলে উঠলো-
আমি ক্ষমাপ্রার্থি। আসলে আপনার হয়তো বুঝতে পারছেন যে।

নিদ্র বলে উঠে-
আমরা বুঝতে পেরেছি। এইটা স্বাভাবিক।
আমরা কিছুক্ষন বিরতি নেই।
আমাদের মনে হয় কমেটির সাথে কিছু কথা বলার দরকার।
এই কনফারেন্স টা যদি অন্য একদিন করা হয় ভালো হবে।
মিস রিমিও নিজেকে সামলাতে পারবে।

আমান কৃতজ্ঞতার সুরে বলে উঠে–
অনেক অনেক ধন্যবাদ।।

?????

এদিকে,,
আমার চোখ থেকে জল গড়িয়েই পড়ছে।

আমার ভালোবাসা আমার সাইকো আমাকে চিনলো নাহ।

কীভাবে???

লিসা বলে উঠলো- দোস্ত একটু শান্ত হোও।
এইভাবে কাঁদিস না।

আমি বলে উঠলাম–
নাহ উনি কীভাবে পারলো???

আমি তাড়াতাড়ি উঠে দাড়িয়ে বলে উঠলাম–আমি এখুনি যাবো। উনার কাছে( কাঁদতে কাঁদতে)

রিমি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যেতে নিলে
আমান এসে রিমিকে ধরে ফেলে।

আমান কে দেখে বাকিরা বাইরে চলে যায়।

আমানঃ কোথায় যাচ্ছো?? রিমিপাখি(উদ্নিগ্ন হয়ে)

আমি বলে উঠলাম–আমাকে যেতে হবে উনার কাছে।।(কোনোরকম উঠে দাঁড়িয়ে)

আমানঃ নিজের দিকে তাঁকিয়েছো???
রিমিপাখি ??
কতটা দুর্বল হয়ে পড়েছো???(ধমক দিয়ে)

রিমিঃ নাহ নাহ আমাকে যেতেই হবে উনার কাছে
কেউ আমার কথা বিশ্বাস করবেনা।
আমি তো জানি উনি আমার অয়ন।(আহত কন্ঠে)

আমানঃ হুম যাবে কিন্ত আগে নিজেকে সুস্হ করতে হবে।

আমি অবাক হয়ে উনার দিকে তাঁকায়।

আমি বলে উঠলাম-
আপনি বিশ্বাস করেন উনি আমার অয়ন???

আমান বলে উঠলো-
আমার রিমিপাখির উপর বিশ্বাস আছে যে তার ভালোবাসার কখনো মিথ্যে হতে পারেনা

আমার অনেক শান্তি লাগছে যে উনি অন্তত আমাকে বিশ্বাস করেন।

আমি বলে উঠলাম- এখন আমার যাওয়া উচিৎ।

আমান বলে উঠলো-
তুমি যাবে কিন্তু এখন না।

রিমিঃ কিন্তু কেন??

আমানঃ দেখো রিমিপাখি। অনেক কিছুই আমার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। সে আমাদের অয়ন কিন্তু
কেন সে আমাদের চিনতে পারছেনা। বিশেষ করে তোমাকে।

রিমিঃ এখন কি করবো??

আমানঃ আমরা অনেকদিন লন্ডনে আছি। সুতরাং
আমাদের আগে সব ভেবে নিতে হবে।
এখন আমাদের হোটেলে ফিরে যেতে হবে।

রিমিঃ কিন্তু উনাকে ছাড়া।

আমান আমাকে কাছে এসে আমার হাত নিজের মুঠোয় নিয়ে বলে উঠলো–
আমার উপর ভরসা আছে তোমার??

আমি বলে উঠলাম- হুম!!

আমান বলে উঠলো–
তোমার সাইকো কে তোমার কাছে ফিরিয়ে দিবো।
আজ প্রমিজ ডে টে আমার প্রমিজ।

আমি বলে উঠলাম– সত্যি???

আমানঃ তিনি সত্যি(মুচকি হেঁসে)

।।।।।।???????

আমান ও বাকিরা গাড়িতে আগে আগে উঠে পড়ছে।
লিসা আমাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে।
রাস্তায় কিছু বিদেশি স্মোকার রা স্মোক করছিলে
রিমিকে দেখে একজন বলে উঠলো-
হাও সেক্সি সি( বাজেভাবে তাঁকিয়ে)

কথাটা আমার কানে আসতে লিসার হাত ধরে দ্রুত গাড়ির দিকে চলে এলাম।

।।।।।।??
ছেলেটা ও বাকিরা বাজে ভাবে হেঁসে যাচ্ছে
তখনি ছেলেটার হাত একটা চাকু এসে গেথে যায়।
ছেলেটা ব্যাথার চিৎকার করে দেয়।
ছেলেটার হাত থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে।

কালো হুডি পড়া একজন বলে উঠে–
আমার জিনিসে কেউ নজর দিলে এর থেকেও ফল খারাপ হবে আমার প্রমিজ!!(বাঁকা হেঁসে)

।।।।।

।।




#দ্বিতীয়_অধ্যায়
চলবে কি??
(কালকে গল্প দিতে নাও পারি। আবার দিলে পার্ট ছোট হবে। কিছুটা ব্যস্ত থাকবো।
কেউ আবার ?নেগেটিভ নিয়েন না)
(আজকের পর্ব কেমন হয়েছে জানাবেন কিন্তু ❤️)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here