প্রেমময়নেশা ২৮+২৯

0
321

#প্রেমময়নেশা(The story of a psycho lover)
পর্ব-২৮
#Jannatul_ferdosi_rimi(লেখিকা)
আয়ুশ ইশাকে দেখে থেমে গেলো। আদি ও অন্যান্য ফ্রেন্ডসরাও থেমে গেলো। ইশা বলে উঠলো- আয়ুশ তোমার সাথে আলাদা কথা আছে তাই প্লিয।
আদি বলে উঠলো- আয়ু্শ তুই বরং ইশার সাথে যা আমরা আছি এখানে। আয়ু্শও সম্মতি দিলো।আয়ুশ কোট এর কলার ঠিক করতে করতে বলে উঠলো- হ্যা বলো কী বলবে?
ইশা বলে উঠে- তুমি ফোন চেক করেছো? কতবার কল করেছি
আয়শের সোজাসোজি উত্তর-বাস্কেট বল খেলছিলাম।
ইশা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে উঠে-
আয়ুশ কেন করছো আমার সাথে এইরকম। কয়দিন পরে আমাদের বিয়ে।
আয়ুশ পকেটে হাত রেখে বলে উঠে- আমি আবার কি করলাম।
ইশা খানিক্টা অভিমান এর সুরে বলে উঠে- তুমি আমাকে ইগনোর করছো আয়ু্শ।
ইশা আয়ুশকে জড়িয়ে ধরে বলে উঠে-
আগে তুমি এমন ছিলেনা, অনেক ভালোবাসতে আমাকে।
ইশাকে কেন যেনো জড়িয়ে ধরতে কোথাও বাঁধা দিচ্ছে আয়ুশের। মনে হচ্ছে এখানে অন্য কারো থাকার কথা।
আয়ুশঃ আমি নিজেও জানি ইশা। আমার অনেক হিসাব মিলছেনা। কেন হচ্ছে আমার সাথে এইরকম(মনে মনে)
।।।।।।।।
এদিকে,,
আমান একটি ডাইরিতে রিমির একটি ছবি রেখছিলো সেইটা দেখে যাচ্ছে। মোটা ফ্রেমের
আমানঃ ( সেদিন আমি তোমাকে এইভাবেই দেখিছিলাম রিমিপাখি)

।।।।
অতীত,,,
সেদিন রাস্তায় সকলের সামনে রিমি বিয়ের বেনারশি পড়ে রাস্তায় ধপ করে বসে পড়ে,,তার শরীর দুর্বল লাগছে প্রচন্ড। সে আর পারছেনা।
ফারহান সুমু ও রিমির বাবা-মা রিমির দিকে ছুটে যায়।

রিমি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলো।
সুমুঃ ফারহান তাড়াতাড়ি এম্বুলেন্স ডাকুন।
ফারহান ফোন করে দেয়।

তখনি একটি গাড়ি এসে থামে।
আমান আজ ভেবেছিলো অয়নকে এসে একেবারে চমকে দিবে। তার প্রেক্টিস আজ শেষ হয়ে গিয়েছিলো সে রাতের ফ্লাইট ধরে যত দ্রুত সম্ভব
এসেছিলো অয়নের বিয়ে এসে একেবারে চমকে দিবে বেস্টফ্রেন্ড বলে কথা। কিন্তু মাঝপথে নবুবধুকে এই অবস্হায় দেখে সে তাড়াতাড়ি গাড়ি থেকে নেমে আসে।

আমানঃ কি হয়েছে উনার??

সুমুঃ আমার বোন অজ্ঞান হয়ে গিয়ছে

আমামঃ আমি ডক্টর।

রিমির মাঃ তাহলে দেখুন না

ফারহান ও ফারহান এর বাবা গাড়ি আনতে গিয়েছিলো।

আমান ঝুকে রিমির দিকে সাথে সাথে থমকে যায়। কাজল লেপ্টে একেবারে লেপ্টে গিয়েছি মুখের মায়াবী বর্ন একেবারে ফুটেছে। আমানের হার্টব্রিট ফাস্ট হয়ে গিয়েছিলো। তাও আমান নিজেকে সামলিয়ে রিমিকে কোলে তুলে নিজের গাড়িতে নিয়ে যায় সাথে সাথে সুমু ও রিমির মা ও যায়।

হসপিটালে,,
আমান রিমিকে চেকাপ করে যাচ্ছে। সুমু ফারহান ও আশরাফ সাহেবকে ফোন করে এসে পড়তে বলেছে।
তারা মাত্র চলে এসেছে।

রিমির বাবাঃ আমার মেয়ে কোথায়??

সুমুঃ ডক্টর দেখছে।

ফারহানের মনের অবস্হা একেবারে খারাপ নিজেকে কোনোরকম সামলিয়েছে সে।

আমান কেবিন থেকে বের হয়ে আসতে আসতে বলে উঠলো-
উনার আসলে কি হয়েছে?

ফারহানকে দেখে আমান অবাক।

ফারহান ও অবাক!

আমানঃ ফারহান তুই??

ফারহানঃ আমান তুই? দেশে এসেছিস?

(অয়ন ফারহান ও আমান তিনজন এ ছোটবেলা থেকে একই স্কুলে পড়তো। একে অপরের বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলো ওরা)

আমানঃ আজকে তো অয়নের বিয়ে তাই ওকে সারপ্রাইজ দিতে এসেছি কিন্তু উনার (রিমিকে উদ্দেশ্য করে)এই অবস্হা কেন উনার হাজবেন্ড কোথায়?

আমানের কথা শুনে রিমির মা জোড়ে কেঁদে দেয়। ফারহানও নিজেকে সামলাতে পারেনা সেও কেঁদে দেয়।

আমানঃ আরে তুই কাঁদছিস কেন??

ফারহানঃ আমাদের জানের জিগার আমাদের দোস্ত আর বেঁচে নেই রে।

আমান যেনো এক মুহুর্তের জন্য থমকে যায়।

ফারহান কাঁদতে কাঁদতে আমানকে সব খুলে বলে।

প্রতিউত্তরে আমান নিশ্চুপ থাকে।

সে ধপ করে চেয়ারে বসে কাঁদতে থাকে। বন্ধুর বিয়ের সারপ্রাইজ দিতে এসে তার মৃত্যুর খবর আমান আশা করেনি।

তখনি কেবিন থেকে জোড়ে ভাজ্ঞচুড় এর শব্দ আসে।

নার্স এসে বলে উঠে-
ডক্টর আমান পেশেন্ট কেমন যেনো করছে
সব কিছু ভেজ্ঞে ফেলছে।

সবাই তাড়াতাড়ি দৌড়ে রিমির কাছে যায়।

আমি সবকিছু ভেজ্ঞে ফেলছি আর বলে উঠছি
আমার সাইকো কোথায়??

আমার হাতের ক্যানেলও আমি জোড়ে টান দিয়ে খুলে ফেলায় আমার হাত দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে সেদিকে আমার খেয়াল নেই।

সবাই এসে আমাকে আটকানোর চেস্টা করছে।
এক পর্যায়ে আমি চিৎকার করে কেঁদে উঠি।

আমান শুধু রিমিকে দেখেই যাচ্ছে। আজ মেয়েটার বিয়ে ছিলো কতই স্বপ্ন ছিলো তার ।
আমান তার বেস্ট ফ্রেন্ড হারিয়ে কতটা কস্ট পাচ্ছে এই মেয়েটা তো নিজের ভালোবাসার মানুষকে হারিয়েছে।।।
আমানের এক অন্যরকম মায়া কাজ করেছিলো সেদিন।

দি যায় মাস যায় বছর যায়। এখন রিমি আমানের হসপিটালের স্টুডেন্ট। আমান রিমির প্রফেসার এই
এই প্রফেসার-স্টুডেন্ট সম্পর্কের থেকেও বড় দিকটি হচ্ছে আমান এখন ভালোবাসে তার রিমিপাখি প্রচন্ড পরিমানে। যে ভালোবাসায় নেই কোনো চাওয়া-পাওয়া আছে শুধুই ভালোবাসা।

।।।।।

আজ টকোপিকে নিয়ে ভালোমার বাড়ি যাবো। ভালোমাকে দেখাতে। টকোপি আমার সাথে একেবারে মিশে রয়েছে। এক দিনেই বেশ ভালো বন্ধুত্ব হয়েছে আমাদের।

আমাকে দেখে দাঁড়োয়ান চাচা বলে উঠলো-
রিমি মা তুমি আইছো?

আমি বলে উঠলাম- হুম চাচা

এই বলে আমি টকোপিকে নিয়ে সদর দরজা দিয়ে প্রবেশ করলাম যতবারই এই বাড়িতে আসি ততবারই উনাকে অনুভব করি
উনার সাথে আমার কত স্মৃতি রয়েছে।

রুশনি তার ফ্রেন্ডসদের সাথে ব্রেকফাস্ট করছিলো রিমিকে দেখে রুশনি বলে উঠে-।তুমি এখানে?

আমি বলে উঠলাম- ভালোমার সাথে দেখা করতে এসেছি।

রুশনি বিরক্তির সুরে বলে উঠে- কলি আপু ঘুমাচ্ছে এখন দেখা হবেনা আর এইভাবে তুমি আমার বাড়িতে আসবেনা

রিমিঃ এইটা ভালোমার বাড়ি।

রুশনিঃ কিন্তু এখন এই বাড়ির কর্তি আমি বুঝেছো?
এই বাড়িতে বেশি আসবেনা

আমি হাত ভাজ করে বলে উঠলাম- অয়নেরও ভালোমার জন্য আমি এই বাড়িতে আসবো।
উনি যদি এই বাড়িতে আসেন আর আমাকে যদি না পায় তখন??

রুশনি হু হা করে হেঁসে উঠলো।
তার বান্ধুবিরাও হেঁসে দিলো।

রুশনিঃ শুনো শুনো বোঁকা মেয়েটার কথা শুনো অয়ন নাকি ফিরবে মরা মানুষ ফিরেছে কখনো?

আমি বলে উঠলাম- আমার অয়ন মারা যায়নি বেঁচে আছে। উনি

রুশনিঃ তুমি নিজেই ওকে মেরেছো বুঝেছো

রিমিঃ মানে?

রুশনিঃ তোমার মতো অলক্ষিকে বিয়ে করতে গিয়েই আমাদের হিরে টুকরা ছেলের এতো বড় এক্সিডেন্ট হলো এখন ও আমাদের মাঝেও নেই।

আমি চিৎকার করে বলে উঠলাম- নাহ উনি বেঁচে আছে।

এই বলো আমি টকোপি কে নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বেড়িয়ে গেলাম।

।।।।।।।।।
আয়ুশ স্মোকিং করে যাচ্ছে একের পর এক।
আদি আয়ুশ এর কাছে এসে বলে উঠে-
ইশা কস্ট পাচ্ছেরে আয়ুশ মেয়েটা তোকে অনেক ভালোবাসে।

আয়ুশ পকেটে হাত রেখে বলে উঠে- আমি নিজেও জানিনা রে। কেমন যেনো আমার সাথে হয়।

আদিঃ ঠিক হয়ে যাবে তুই অনেক বড় ট্রমা থেকে ফিরেছিস তো তাই। বিয়েটা হয়ে গেলেই দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে

আয়ুশঃ আই হোপ সো ইয়ার।

এদিকে,,
আমি দৌড়াতে দৌড়াতে লেকের পাড়ে চলে আসলাম। টকোপি আমাকে আদর করে যাচ্ছে যাতে আমি না কাঁদি। আমি কাঁদতে কাঁদতেই বলে উঠলাম- টকোপি সবাই কেমন যেনো। কেউ বিশ্বাস করেনা রে। আমি জানি আমার সাইকো আমার অয়ন ফিরবে। আমি যতই মানুষের সামনে শক্ত হয়ে থাকিনা কেন দিনশেষে আমিও মানুষ তখন নিজেকে আর সামলাতে পারিনা। মন চায় সবকিছু ছেড়ে অনেক দূরে চলে যাই। আমি আর পারছিনা রে।। আমি টকোপিকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরি।
।।।।।।
#দ্বিতীয়_অধ্যায়
চলবে কি??

#প্রেমময়নেশা(The story of a psycho lover)
#পর্ব-২৯( অনুভুতির ভেজালে)
#Jannatul_ferdosi_rimi(লেখিকা)
টকোপি জড়িয়ে কেঁদেই যাচ্ছি সমানে।তখনি অনুভব করি আমার পাশে কেউ আছে। আমি ঘাড় ঘুড়িয়ে দেখি আমান স্যার। আমান স্যার এখানে আপনি? আমি প্রশ্ন ছুড়ে দিলাম। আমান হাতের উপর ভর দিয়ে বসে বলে উঠলো-একটা কথা কি জানো রিমিপাখি? কিছু মানুষের চোখে জল এক্টুও মানায় নাহ। কাঁদলে তাদের নাক একেবারে লাল হয়ে যায় কাজল একেবারে ঘেটে যায়। তখনি খুব ইচ্ছে করে সেই চোখের জল মুছে দিতে।কিন্তু আমরা যা চাই তা তো সবসময় হবেনা তাইনা? আমিও তাও কেঁদেই যাচ্ছি। আমান বলে উঠে- কি হয়েছে রিমিপাখি? কাঁদছো কেন??
আমি কাঁদতে কাঁদতে বলে উঠলাম- কেউ বিশ্বাস করেনা কেন??
উনি বেঁচে আছেন?? আমি জানি উনি ফিরবেন।
তাও কেই বিশ্বাস করেনা। সবাই আমাকে নিয়ে হাঁসাহাঁসি করে।
আমান বলে উঠলো- তুমি অয়নকে ভালোবাসো?
রিমিঃ হুম!
আমানঃ নিজের ভালোবাসার প্রতি বিশ্বাস নেই??

রিমিঃ নিজের থেকেও বেশি। এই আশা নিয়েই তো আমি এতোদিন বেঁচে আছি।

আমান শুধু দেখে যাচ্ছে রিমিকে অয়নের ফিরে আসার প্রতিক্ষায় এখনো হয়তো মানুষটা নিজেকে শক্ত রেখেছে।

আমানঃ তাহলে মানুষের কথার গুরুত্ব দিলে চলবে?অয়ন যদি জানতে৷ পারে তার রিমিপরী কেঁদে যাচ্ছে তখনি কিন্তু নিজের সাইকো রুপ ধারণ করবে । তখনি ভেঁ ভেঁ করে কাঁদলোও কিন্তু লাভ হবেনা

আমি ফিক করে হেঁসে দিলাম

আমানঃ তোহ নিজের চোখের জল মুছো। তোমার মুখে মিস্টি হাঁসি যে বড্ড মানায়।

টকোপি আমার কোল থেকে আমান স্যার এর কোলে চলে গেলেন

আমান টকোপিকে আদর করে যাচ্ছে।

রিমিঃ টকোপির আপনার সাথে এমনভাবে মিশছে যে আপনারা কত দিনের চেনা

আমান বিষম খায়।

রিমিঃ কি হলো??

আমানঃ আসলে অইযে বললাম নাহ বিড়াল আমার পছন্দ তাই৷।

রিমিঃ ওহ আচ্ছা আপনিও কি সবার মতো বিশ্বাস করেন উনি ফিরবেন না??

আমানঃ আমি বিশ্বাস করি রিমিপাখি অয়ন ফিরবে।

রিমিঃ সত্যি???(খশি হয়ে)

আমানঃ তিন সত্যি(মুচকি হেঁসে)

আমানঃ( অন্তুত এই মেয়েটার জন্য হলেও তুই ফিয়ে আয় দোস্ত প্লিয মেয়েটা যে তোকে বড্ড ভালোবাসে তা তুই জানিস?? তোর রিমিপরী তোকে বড্ড ভালোবাসে)

।।।।।।।।
In london,,,,
আয়ুশ নিজের বাইক্টা সাইডে রেখে সানগ্লাস টা খুলে বাড়ির ভিতরে ঢুকে।। মিসেস মল্লিকা নিজের ক্লাইন্ট দের সাথে ফোনে কিছু কথা বলছিলেন
আয়ুশকে দেখে ফোনটা রেখে বলে উঠেন–
আমার আয়ুশ বেটা কাম হিয়ার কুয়িকলি।।

আয়ুশ মল্লিকাকে গিয়ে জড়িয়ে ধরে।।

আয়ুশঃ ইউ নো মম আজকে তোমাকে অনেক মিস করেছি

মল্লিকাঃ তাই আমার বাচ্ছাটা আমাকে মিস করেছে।

আয়ুশ মল্লিকার হাত ধরে চুমু খায়।

আয়ুশঃ আয়ু্শ সবসময় তার মাম্মাকে মিস করে

নিদ্র তার অফিসের কোট পড়তে পড়তে বলে উঠে-
আমার হয়েছে এক সমস্যা আমার দুই ছেলেই তার মা কে বেশি ভালোবাসে।

মল্লিকাঃ বুঝেছি হিংসা হচ্ছে??

আয়ুশঃ আয়ুশ নিজের বাপিকেও অনেক ভালোবাসে

এই বলে আয়ুশ নিদ্রকে জড়িয়ে ধরে।

মল্লিকাঃ দেখবো এই ভালোবাসা কতদিন থাকে?
কয়দিন পর তো বিয়ে তখন বউ ই সব হবে।

নিদ্রঃ যেমন এখন আমার কাছে তুমি

মল্লিকা রাগ দেখিয়ে বলে উঠে-
নিদ্র তুমিওনা

আয়ুশ হেঁসে বলে উঠে- আমার কাছে আমার বাপি মাম্মাম সবার আগে

মল্লিকাঃ আমরা জানি তো

নিদ্রঃ কিন্তু ইশাকেও ইম্পোর্টেন্স দিতে হবে

মল্লিকাঃ সেসব বাদ দাও। ইশার বাবা-মা বলেই দিয়েছেন তারা আর রিস্ক নিতে চাইনা এইবার তাড়াতাড়ি বিয়েটা দিয়েই দিবে।

আয়ুশঃ বাট মম আই নিড সাম টাইম নাও।
(আমার কিছু সময় চাই)

নিদ্রঃ ওয়াট আর ইউ সেয়িং আয়ুশ?
(তুমি কি বলছো আয়ুশ?)

মল্লিকাঃ লুক আয়ুশ অলরেডি ২ বছর তুমি টাইম নিয়েছো আর না ইশা মেয়েটাও তোমার জন্য কম সেক্রিফাইজ করেনি। ওকে আর অপেক্ষা করানো ঠিক হবেনা

নিদ্রঃ আমরা ডেট ফিক্সড করছি। আর তোমরা তো একে অপরকে ভালোবাসো সো সমস্যা কি??

আয়ুশঃ বাপি আমার মনের মধ্য দিয়ে যে কি যাচ্ছে তা শুধু আমিই জানি
আমার মনে হচ্ছে যা হচ্ছে তা ঠিক না কিন্তু কেন??(মনে মনে)

।।।।।।
এদিকে,,,
হসপিটালে,,,
আমি আমান স্যার এর সাথে পেশেন্ট দের দেখে যাচ্ছি। আমান স্যার এর পার্সোনাল এসিস্টেন্ট তাই।এতে আমারও পড়তে বেশ সুবিধাই হয়।

আমান রোগিদের কিছু মেডিশিন প্রেস্ক্রাইভড করে যাচ্ছে আর আমিও ভালো করে দেখে নিচ্ছি।

আমান প্রেশক্রিভশন লিখতে লিখতে বলে উঠে-
এখন আপ্নি যেতে পারেন মিস রিমি।

রিমিঃ ওকে স্যার।

আমি আমার এপ্রোটান হাতে নিয়ে দেখি নার্স রা প্রায় গিলে খাচ্ছে আমান স্যারকে আমি মুচকি হাঁসি দিলাম।

বাইরে বের হওয়ার সাথে সাথেই লিসা আমাকে বলে উঠলো- তোর কি ভাগ্য রে আমান স্যার এর এসিস্টেন্ট তুই

রিমিঃ হুম ভাগ্য একটু ভালোই অনেক কিছু শিখতে পারছি পড়াটা সহজ হবে।

লিসাঃ আরে গাঁধি রেএএ আমি সেইটা বলিনি আমি বলেছি যে আমান স্যার সবার ক্রাশ তার এসিসেন্ট তুই হতে পেরেছিস

রিমিঃ দেখ এইসব কথা আমার একদম পছন্দ না জানিস ( রেগে)

লিসাঃ আম জাস্ট কিডিং উইথ ইউ সরি!!

আমাদের সবাইকে প্রিন্সিপাল স্যার আজ ডেকেছেন।।
আমান স্যার ও রয়েছেন। কেউ কিচ্ছু বুঝতে পারছেনা।।

প্রিন্সিপালঃ সো স্টুডেন্স তোমাদের এখানে যে কারনে ডাকা হয়েছে
তোমরা সবাই জানো কয়েকদিন আগের টেস্ট এর রেজাল্ট চলে এসেছে আমাদের কাছে
এবং ফাইভ পয়েনট এ এসেছে পাঁচজন স্টুডেন্ট।
যারা লন্ডন এ কনফারেন্স এ পার্টিসেপেট করতে পারবে এবং আমান স্যার এর সাথে।

সবাই তো অনেক এক্সাইটেড৷ লন্ডনের কনফারেন্স ওয়াও কিন্তু আমার সেদিকে কোনো ইন্টারেস্ট নেই।

আমার তো উনার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

প্রিন্সিপালঃ তো পাঁচজন এর মধ্যে যাচ্ছে
মিশু, সাবিলা, লিনা, টিনা এন্ড রিমি

বাকি চারজন তো খুশিতে একেবারে আত্তহারা
বাকিরা হতাশ

আমানও খুশি তার রিমিপাখির জন্য

হাঁসি নেই আমার মাঝে নাহ আমি লন্ডন যেতে পারবো নাহ কিছুতেই।।

প্রিন্সিপালঃ বাকিদের হতাশ হওয়ার কিছুই নেই ।
আশা করি সবাই নেক্সট টাইম চান্স পাবে।

আমি বলে উঠলাম- সরি স্যার আমি পারবো নাহ।

সবাই অবাক!

প্রিন্সিপালঃ এইসব কি বলছো রিমি? তোমার মতো ব্রিলিয়ান্ট একজন স্টুডেন্ট এইরকম সুবুর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করা উচিৎ নাহ।

রিমিঃ সরি বাট আমি পারবো নাহ।

।।।।।।
আমান ঃ স্যার আমার মনে হয় মিস রিমিকে একটু সময় দেওয়ার দরকার।

রিমিঃ বাট( আমি কিছু বলবো তার আগেই প্রিন্সিপাল স্যার বলে উঠেন)

—ওক রিমিকে সময় দিচ্ছি।।

।।।।।।।
রিমির মাঃ মা রে এতো বড় সুযোগ হাতছাড়া করেস না

রিমিঃ মা আমি বললামতো আমি যাবো নাহ মানে যাবো নাহ

টকোপিকে বিস্কুট খাওয়াতে খাওয়াতে বলে উঠলাম আমি।

আশরাফ সাহেবঃ কিন্তু কেন যাইতে চাইছিস না??

রিমিঃ উনি যদি আসেন আর আমাকে না পায় তখন?? নাহ নাহ এতো বড় রিস্ক নেওয়া যাবেনা

আশরাফ সাহেব আশাহত হলেন এই মেয়েকে নিয়ে আর পারা যায়না।

তখনি ফারহান প্রবেশ করতে করতে বলে উঠলো-
কিন্তু শালিকা সাহেবা এমন যদি হয় লন্ডন এ গিয়ে অয়নকে তুমি পেয়ে গেলে তখন??

আমি বিসময় নিয়ে জিজুর দিকে তাকিয়ে আছি

রিমির মাঃ বাবা তুমি এসেছো? সুমু কেমন আছে আমার কাব্য দাদু ভাই( সুমুর ছেলের নাম) কেমন আছে
?

ফারহানঃ ভালো মাহ।

আশরাফ সাহেবঃ এখন ফারহান তুমিও ওকে বুঝাও।।

ফারহানঃ দেখো এমনও তো হতে পারে তোমার সাইকো লন্ডনের কোনো আনাচে কানাচে আছে তখন কী করবে?? তুমি লন্ডনে যেয়ে তোমার সাইকোকে পেয়েও যেতে পারো

আমি বলে উঠলাম- হ্যা তাই তো।।

ফারহানঃ আর এদিকে আমরা তো রইলাম ই অয়ন আসলে আমরা আছি তো তখন তুমি চলে আসবে।

রিমিঃ হুম আমি যাবো লন্ডন

সবাইঃ আলহামুদুল্লিল্লাহ!!

তখনি ফারহান এর ফোনে একটা কল আসে।

ফারহানঃ আমি একটু আসছি

ফারহান কলটি রিসিভ করে বলে উঠে-
আমান রিমি রাজি!!

।।।।।।
এদিকে,,
আয়ুশ কেন যেনো শান্তি পাচ্ছেনা একটা অন্যরকম ফিলিং হচ্ছে যা তার অজানা।।

আমি তোমাকে খুঁজেছি প্রান্তরে প্রান্তরে, ?
তোমাকে খুজেছি শহরে -নগরে বন্দরে বন্দরে ?
——- আলমগীর গোলাপ!






বাকিটা আগামী পর্বে
চলবে কি?
( এইটা একটা রোমান্টিক থ্রিলার উপন্যাস
সবাই হয়তো থ্রিলার তেমন একটা পছন্দ করেন না
হয়তো বোরিং ফিল করেন আমাকেও বোধহয় বিরক্তি লাগছে গল্পটার প্রতি বিরক্তি লাগছে)
#দ্বিতীয়_অধ্যায়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here