#প্রেমময়নেশা(The story of a psycho lover)
#পর্ব-২০(চৌধুরী বাড়িতে বিয়ে-)
#Jannatul_ferdosi_rimi(লেখিকা)
আমরা সবাই শপিং মলে চলে এসেছি।। ভালোমা খালামনি সানা আপু সবাই নিজেদের মতো শপিং করে চলেছে। অয়ন আমাকে নিজের পছন্দের বিয়ের বেনারশী + জুয়েলারী কিনে দিবে। আমিও অয়নের পছন্দের সাঁজেই নিজেকে সাঁজাতে চাই।
শপিং মলের সব থেকে বড় শো-রুম টায় একের পর এক বেনারশী আমাকে দেখানো হচ্ছে। সব গুলোয় এক্সক্লুসিভ একেক্টা যেনো একেক্টার থেকে সেরা। সেরা তাঁতির সেরা বুনা শাড়ি গুলো।কিন্তু এক্টাও অয়নের পছন্দ হচ্ছেনা। তার ভাষ্যমতে তার রিমিপরী সব থেকে স্পেশাল বেনারশী পড়বে। সেলসম্যান বলে উঠলো- স্যার, ম্যাডামের জন্য লাল বেনারশী বেশ মানাবে। সানা আপুও বলে উঠলো-তার সাথে ভাড়ি ভাড়ি গহনা। মিসেস কলি বলে উঠলেন- চৌধুরী বাড়ির বউ হবে সে তার তো সোনায় মুড়িয়ে দিতেই হবে। আমি চুপচাপ হয়ে সব শুনে যাচ্ছি ভাড়ি গহনা ওহ মাই আল্লাহ।আমি ভাড়ি গহনা একেবারে সহ্য করতে পারিনা। অয়ন সবাইকে থামিয়ে দিয়ে বলে উঠে- আমার রিমিপরীকে হাল্কা গোলাপী বেনারশীতেই বেশ মানাবে। আর তার সাথে হাল্কা সাজের গহনা।যার সাথে ফুটে উঠবে-তার সেই মায়াবতী চেহারা। যার প্রেমে হাজারো বার পড়তে আমি রাজি । আমরা সবাই মুগ্ধ হয়ে শুনছি।
এই বলে অয়ন একটি সুন্দর তাঁতের বুনা এক্সক্লুসিভ এক বেনারশী পছন্দ করে আমার গাঁয়ে জড়িয়ে ধরে।। সবাই আমার দিকে মুগ্ধ হয়ে তাঁকিয়ে আছে।
মিসেস কলিঃ সত্যি আমার মেয়েটাকে এই শাড়িতেই বেশ মানিয়েছে।
বিভিন্ন ভাড়ি গয়না থেকে অয়ন আমাকে হিরের এক সুন্দর হাড় গলায় পড়িয়ে দেয়।
অয়নঃ ব্যাস এই সিম্পল সাঁজেই অয়নের রিমিপরীকে মায়াবতী লাগছে। যার জন্য অয়ন হাজারোবার সাইকো হতে রাজি আছে।❤️
।।।।।।।।।।।
এদিকে পায়েল বার বার এদিক সেদিক তাঁকাচ্ছে বারবার তার মাথায় এক অন্যতম প্ল্যান ঘুড়ছে। এই বিয়েটা হওয়া মানে সবকিছু শেষ হয়ে যাওয়া কিছু একটা করতে হবেই কিন্তু কী করবে পায়েল? কিচ্ছু বুঝতে পারছেনা সে। এই অসুখের নাটক দিয়েও কি অয়নকে নিজের দিকে টানতে পারেনি পায়েল?রিমির ভালোবাসার জোড় এতো?
চৌধুরী বাড়িতে লেগেছে বিয়ে। বাড়িটা নিজেকে এক অন্যরকম রুপে সজ্জিত করেছে। কেননা আজ রিমি ও অয়নের মেহেংদী। কালকে বিয়ে।সেরা হার্ট সার্জন ডক্টর অয়ন চৌধুরীর বিয়ে বলে কথা স্পেশাল তো হবেই। । আর হলুদ কাল সকালে। সবকিছু মিসেস কলি ও রুশান সামলাচ্ছে। মিসেস কলির কিছু জরুরি হিসাব করছিলো তখনি রুশনি এসে বলে উঠে- আপু!
মিসেস কলিঃ হুম বল!
রুশনিঃ অয়নের বিয়েতে তো সবাই আসছে। ওরা আসবেনা?
মিসেস কলি যেনো মুহুর্তেই রেগে গেলেন
ধমকের সুরে বলে উঠে-
চুপ একদম চুপ! ওদের নাম তুই মুখেও নিবিনা।
ও তো আমার সব কিছুই কেড়ে নিয়েছে।আমি চাইনা আমার ছেলের শুভ কাজে তারা আসুক। তাছাড়া তারা লন্ডনে আছে সেখানেই থাকুক।
রুশনিঃ চাইলে কি আর অতীত ভুলা যায়।
মিসেস কলির চোখ থেকে টুপ করে জল গড়িয়ে পড়লো আবার সেই কালো অতীত তাকে মনে করানো হচ্ছে। রুশান এসে সব শুনে। রুশনিকে ধমকের সুরে বলে উঠে- আহ রুশনি তুমিও না যাও বাইরে গিয়ে অনেক কাজ আছে।
রুশনিঃ আমাকে আর চুপ করিয়ে বা কী হবে?
রুশান এসে রুশনিকে নিয়ে গেলো। এদিকে মিসেস কলি কান্নায় ভেজ্ঞে পড়লো।
অয়ন কালো পাঞ্জাবি ও কালো কটি পড়েছে। চুলগুলো স্পাইক করা। এম্নিতেই অয়ন সুন্দর তার মধ্যে সাদা রংটা যেনো তার গাঁয়ে একেবারে মানিয়েছে। আজ তার জন্য একটা স্পেশাল দিন।
ফারহান এসে বলে উঠে- বাহ আমার দোস্তকে আজ সেই লাগছে। ফারহানকেও আজ বেশ লাগছে। হলুদ পাঞ্জাবিতে
ফারহানকে দেখে অয়ন পিঠে কিল দেওয়া শুরু করলো।
ফারহানঃ আরে দোস্ত কি হয়েছে? তোর বিয়েতে কি এসে ভুল করলাম নাকি?
অয়নঃ শালা তুই হলো আমার বেস্টফ্রেন্ড আর তুই দেরি করে আসলি(মারতে মারতে)
ফারহানঃ দোস্ত তোর মেহেংদীর দিনে আমার মতো মাসুম কে মেরে তুই কি জেলে যেতে চাস?
অয়নঃ দরকার পড়লে তাই করবো বুঝেছিস
ফারহানঃ মাফ চাই। দোস্ত আসলে একটা জরুরি মিটিং পড়ে গিয়েছিলো।
অয়নঃ আমার থেকে এখন মিটিং বেশি জরুরি।
ফারহানঃ সরি তো ইয়ার এখন আমি এসে পড়েছি
এখন তোর সুন্দর সুন্দর শালিদের সাথে লাইন মারবো।
অয়নঃ ভাবি তোকে জেন্তো রাখবে।
সুমাইয়ার কথা মনে পড়তেই ফারহান চুপ হয়ে যায়।
অয়নঃ শালা তুই ভাবির একটা ছবিও দেখালি না ওয়াই? আর ভাবিকে কেন নিয়ে আসিস নি।
ফারহানঃ সেসব অনেক কথারে ছাড় একদিন পরে সব খুলে বলবো।
অয়ন বুঝলো ফারহান কিছু একটা নিয়ে আপ্সেট হয়েছে তাই সে কথা বাড়ালো নাহ।
এদিকে বাবা-মা সুমু এখনো আসিনি।আমাকে পার্লারের মেয়েরা সাজিয়ে ঘরে রেখে গেছে।
সুমু আসলে সানা আপু সুমু ও অয়নের অনন্য কাজিন সিস্টার রা আমাকে স্টেজে এ নিয়ে যাবে।
আমি বেশি কিছু সাজিনি। একটা কালো স্টং এর লেহেংগা পড়েছি। চুলগুলো ছাড়া এম্নিতেও আমার চুপ একটু বেশিই সিল্কি তাই বোধহয় খুব একটা খারাপ লাগছেনা। আমি যে খুব ফর্সা তা কিন্তু নয় গাঁয়ের রংটা কিছুটা চাপা আর উনি কত ফর্সা। মাঝে মাঝে ভাবি লোকটা আমার জন্য এতোটা সাইকো এতোটা সিরিয়াস কিন্তু আমার মধ্যে এমন কি আছে?
—-
তোমার মধ্যে মায়া আছে আমার রিমিপরী যার মাধ্যমে আমি বারবার তোমার প্রেমে পড়ি।
আমি পিছনে তাঁকিয়ে দেখি অয়ন।
অয়ন আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলে উঠে-
রুপবতী তো সবাই হতে পারে! মায়াবতী কজন ই বা হতে পারে?
অয়ন আমার কানের কাছে স্লো ভয়েসে বলে উঠলো-
ইউ আর মাই অনলি মাই।!!অয়নের স্লো ভয়েস যোনো একেবারে মনের মধ্যে তীরের মতো ঢুকলো।আমি আবেশে চোখ বন্ধ করে ফেললাম।
এদিকে,
সুমাইয়া আজকে শাড়ি পড়েছে তাকে অনেক সুন্দর লাগছে। ফারহান একটা কাজে যাচ্ছিলো সুমাইয়া কে দেখে সে যেনো থমকে গেলো। সুমাইয়া এখানে কি করছে? সুমাইয়ারো সেম অবস্হা ফারহান এখানে কি করছে? তার পিছু পিছু চলে আসলো না তো!
ফারহান কিছু বলবে তার আগেই সুমাইয়া বলে উঠে-
আমার পিছু পিছু আপনি আমার বোনের মেহেংদী অসুষ্ঠানও চলে আসলেন।
ফারহানঃ মানে কি বলছো? আমি তো আমার বেসড় ফ্রেন্ড এর মেহেংদী তে এসেছি।
সুমাইয়া ঃ অয়ন ভাইয়া আপনার বন্ধু?
ফারহানঃ আর রিমি ভাবি তোমার আপন ছোট বোন।
সত্যি আল্লাহ কখন কার সাথে কিসের উসিলায় দেখা করিয়ে দেন তা শুধু সেই জানেন।
ফারহানঃ সুমু আমার কথাটা তো শুনো
সুমাইয়াঃ দেখুন আমি চাইনা আমার বোনের বিয়েতে কোনো সিনক্রিয়েট হোক।
ফারহানকে কিছু বলতে না দিয়ে সুমাইয়া চলে যায়।
ফারহানঃ এতো অভিমান কেন? আল্লাহ যখন তোমার সাথে আমাকে দেখা করিয়েই দিলো এখন আমি তোমার অভিমান দূর করবোই!
।।।।।।।
অয়ন আর আমি একসাথে স্টেজে আসার সাথে সাথে আমাদের উপরে ফুলের বর্ষন হওয়া শুরু করলো।
সবাই রিমি- অয়নের দিকে মুগ্ধ হয়ে তাঁকিয়ে আছে।
সত্যি একসাথে অনেক সুন্দর লাগছে। দুজনেই একই কালার পড়েছে ম্যাচ করে।রিমির বাবা-মার মুখেও হাঁসি। মিসেস কলির মুখেও তৃপ্তির হাঁসি।
ফারহান বলে উঠলো-
কি লাগছে দুজনকে ?
সুমাইয়া ঃ যেনো একে অপরের জন্য তৈরি হয়েছে ❤️
ফারহানঃ আর আমরা?
সুমাইয়া চুপ হয়ে রইলো!
গান বাজতে শুরু হলো।
সানা আপু আর বাকিরা আমাকে স্টেজে বসালো।
মেহেংদী দিবে তাই কিন্তু অয়ন বলে উঠে-
আমার বউ তাই সবার আগেই আমিই দিবো।
আমরা সবাই অবাক! মেহেংদী তাও উনি
সানাঃ তুমি মেহেদী দিতে জানো?
ফারহানঃ দোস্ত নিজের বউয়ের হাত টা নষ্ট করতে চাস নাকি!
অয়নঃ অয়ন সব পারে ওকে? ডোন্ট আন্ডারেস্টেড মি।
অয়ন আর কিছু না বলে
আমার পাশে বসে।
অয়নঃ রিমিপরী তোমার হাত টা কি পেতে পারি?
আমি মুচকি হেঁসে আমার হাত দিয়ে দিলাম
উনি মেহেদি দিয়ে প্রথমে নিজের নাম লেখলেন আমার হাতে। আর গাওয়া শুরু করলেন-
?Mehedi wale haath woh tere payal wale paanv ?
mehedi wale haath woh tere payel wale
paanv?( এই বলে উনি আমার পায়ে এক সোনার পায়েল পড়িয়ে দেন)
আবারো মেহেদি দেওয়া শুরু করে
?Yaad bahut Aate hain mujko
tu aur apna gaanv ?
?kchichi pagdandi ke raste Aur neem ki chbanv
Yaad bahut Aate hain mujko tu aur apna gaanv
mehedi wale hath ❤️
(সানা আপুরা সবাই নেঁচে যাচ্ছে গানে আমি সবাই হাত তালি দিয়ে যাচ্ছি আর উনি মেহেদি দিয়ে যাচ্ছেন অবাক করার বিষয় উনি অনেক সুন্দর করে মেহেদি পড়িয়ে দিচ্ছেন)
?
Gaanv ka woh Talaab
jahan har Roz mila karTa Tha
baatein karte karte Teri choodi bhi
ginTa tha( উনি আমার আমার হাতে এক সোনার চুড়িও পড়িয়ে দিলেন)
সত্যি আজ বলতে দিদ্বা নেই আমার সাইকো পেয়ে আমি নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করি ❤️❤️
।
।
।
#প্রেমময়নেশা(The Story of a psycho lover)
#পর্ব-২১(বাজিমাত?)
#Jannatul_ferdosi_rimi(লেখিকা)
পায়েল এইসব দেখে নিজেকে সামলাতে পারছেনা।অয়ন আর রিমি এতো কাছাকাছি।অয়ন রিমিকে এতো ভালোবাসে তার থেকেও বেশি?অয়ন কি তাকে তাহলে কোনোদিনও ভালোবাসেনি।সব উত্তর তাকে আজ দিতেই হবে। ফারহান ও সুমাইয়ার দিকে তাঁকিয়ে গাইতে লাগলো?
Kyea tune abbhi rakhe prem ke O sandhes?
patthar banke chadpar teri detha tha jo pek ?
yaaad mujhe rakhta hae aptu abhi unko dekh ?
kya tere hoto ko patha hae abhi mere nam ?
kya tere hoto ko patha hae abhi mere nam?
(সুমাইয়া মুগ্ধ হয়ে দেখছে ফারহানকে)
একটা মেয়ে সুমাইয়ার হাতে মেহেদী পড়াচ্ছিলো সে বলে উঠে-
ম্যাম আপনার কি কোনো মনের মানুষ আছে যার নাম আপনার হাতে লিখবো?
সুমাইয়া নিজের অজান্তেই বলে উঠে-
ফারহান। মেয়েটিও মুচকি হেঁসে সুমাইয়া হাতে ফারহান লিখে দেয়। সুমাইয়ার সেদিকে খেয়াল নেই সে তো ফারহানকে দেখতে ব্যস্ত।)
?Yaad bohat ayte ho mujko tu or apna ghaanv ?
mehedi wale hath wooh tere payeel wale pannav ?
mehedi wale hath wooh tere payeel wale pannav ?
yaad bohat ayte ho mujko tu or apna ghaanv ?
(ফারহান নিজের চোখ মুছে ফেলে এই গানের মাধ্যমে সে যেনো অনেক কথায় সুমাইয়াকে বলেছে যা শুধুই নিজের মনের কথা আচ্ছা সুমাইয়া কি তা বুঝেছে?)
এদিকে অয়ন আমাকে অনেক সুন্দর করে মেহেদি পড়িয়ে দিলেন। সত্যি অনেক সুন্দর লাগছে। উনি কত সুন্দর গান গাইতে পারে। উনার দেখি গুনের শেষ নেই। ফারহান অবাক হয়ে বলে উঠে- বাহ দোস্ত তুই দেখি কত সুন্দর করে পড়িয়ে দিতে পারিস।
অয়ন বাঁকা হেঁসে বলে উঠে- দেখিছিস অয়ন চৌধুরী পারেনা এমন কাজ খুবই কম-ই আছে।
সুমু আমার কাছে এসে বলে উঠে- সত্যি তুই অনেক লাকিরে।
ফারহানঃ আমার দোস্ত তোমার হবু জামাই তাই।
রিমিঃ শুধু কি আমিই লাকি। আপনার স্ত্রীও অনেক
লাকি হবে ফারহান ভাইয়া। আপনি কত সুন্দর গান
গাইতে পারেন।
রিমির কথার শুনে
ফারহান সুমাইয়া এর দিকে তাকায়। সুমাইয়া অপ্রস্তুত হয়ে উঠে।
আমি বুঝলাম নাহ আমার কথা শুনে সুমু আর ফারহান ভাইয়া একে অপরের দিকে তাকাচ্ছে কেন?তারা কি একে অপরকে আগে থেকে চিনে?তাদের হাবভাব দেখে তো তাই মনে হচ্ছে। কিন্তু তা হলে সুমু আমাকে বলতো কি জানি?
আচ্ছা উনি কোথায়?
অয়ন হসপিটাল এর বিষয় নিয়ে ফোনে কিছু আর্জেন্ট কথা বলছিলো বাগানে। বাগানে এখানে তেমন কেউ নেই। সবাই স্টেজের এর দিকে।
পায়েল অয়ন এর পিছনে এসে দাঁড়ায়। অয়ন ফোনে কথা শেষ করে পিছনে তাঁকিয়ে দেখে পায়েল।
অয়নঃ পায়েল তুমি? অসুস্থ শরীরে এখানে আসলে গেলে কেন( হাত ভাজ করে)
পায়েলঃ যাক তাও তোমার মনে আছে? আমি অসুস্হ। আচ্ছা অয়ন একটা কথা বলি?
তুমি কি আমাকে কোনোদিন ভালোবাসো নি?
অয়ন সোজাসোজি উত্তর দেয়–
ভালোবাসতাম। কিন্তু সেটা শুধুই অতীত!
পায়েলঃ কিন্তু প্রথম ভালোবাসা কি এতো সহজেই ভুলা যায়? আর তুমি যদি সেটাই করে থাকো তার মানে বুঝে যেতে হবে তোমার ভালোবাসায় খাত ছিলো!
তাই এতো সহজে আমাকে ভুলে গিয়ে তুমি রিমিকে ভালোবাসতে পারছো।
অয়ন যেনো মুহুর্তেই রেগে যায় –
সে বলে উঠে-
খাত তাও আমার ভালোবাসায়? নাহ পায়েল যার প্রতি একবার গভীর থেকে একেবারে ভিতর থেকে ঘৃণা চলো আসে না তাকে অন্তত আর ভালোবাসা যায়না। তখন ঘৃণার কাছে ভালোবাসা ফিকে হয়ে যায়।
পায়েল অবাক হয়ে বলে উঠে-
ঘৃণা মানে?
অয়নঃ এতোটা ভালোবাসতাম তোমাকে। তুমি কি করলে অন্য একজন এর হাত ধরে চলে গেলে আমাকে একা করে। কিসের কম ছিলো আমার মধ্যে? বলতে পারো তুমি? তুমি ছলনাময়ী আমার সাথে শুধু শুধু ছলনাই করে গেলে তুমি এখানো করে যাচ্ছো!( বলতে বলতে এক ফোটা জল গড়িয়ে পড়ে অয়নের চোখ থেকে)
ভালোই হয়েছে তুমি না চলে গেলে আমার রিমিপরীকে আমি পেতাম নাহ।
পায়েলঃ মানে(অবাক হয়ে)
অয়ন এবার নিজের চোখমুখ শক্ত করে বলে উঠে-তুৃমি কি সত্যি অসু্স্হ? পায়েল?
পায়েল এইবার কাঁপাকাঁপা কন্ঠে বলে উঠে-
এইসব কি বলছো? অয়ন তুমিও আমার রিপোর্ট দেখেছ? আমার ডক্টর এর সাথেও তুমি কথা বলেছো।
অয়নঃ আর কত মিথ্যে বলেবে তুমি পায়েল। এতোটা নাটক কীভাবে করতে পারো তুমি?তোমার তো নাটকের মঞ্চে নাম দেওয়া উচিৎ।(তাচ্ছিল্যের সুরে)
পায়েল অসহায় কন্ঠে বলে উঠে-
অয়ন!
অয়ন আবারো রেগে বলে উঠে-
ভুলে যেওনা আমি অয়ন চৌধুরী। আমিও ডক্টর।
অয়ন চৌধুরীকে বোকা বানানো এতোই সহজ হাহ। তোমার সো কল্ড ডক্টরের জালিয়াতি আর তোমার নাটক আমি ধরে ফেলেছিলাম।প্রথম দিনই। তাও তোমাকে এই বাড়িতে নিয়ে এসেছি আমার একটি কার্যসিদ্বি করতে।
পায়েলঃ কার্যসিদ্ধি মানে?
অয়নঃ তোমাকে আমার সাথে দেখলে রিমিপরী জেলাস ফিল করবে আর বুঝবে সে আমাকে কতটা ভালোবাসে। আর সেই রেজাল্ট তুমি আজ নিজ চোখেই দেখতে পারছো আমাদের বিয়ে। তাই আমাদের বিয়েতে তোমার একটা বড় ক্রেডিট পাওনা।
পায়েল এর পায়ের তলা থেকে যেনো মাটি সরে গিয়েছে। এতোদিন অয়ন তার সাথে গেম খেলছিলো।
অয়ন আবারোও বলে উঠে-
তুমি কেন করেছো কিসের জন্য করেছো। সেইটা আপতত বাকি থাক। তুমি আমার বাড়িতে এসেছো।বিয়েটা ইঞ্জয় করো। বিয়েটা শেষ হোক।
পায়েল চুপ হয়ে থাকে
অয়নঃ তারপর তোমাকে দেকে নিবো পায়েল।( মনে মনে)
অয়ন গটগট করে চলে যায়। এদিকে পায়েল কি করবে কিচ্ছু বুঝতে পারছেনা। তার পুরো মাথা যেনো ঘুড়ছো। অয়ন যেনো পুরো খেলায় #বাজিমাত করে দিলো
এদিকে সুমাইয়া যেতে লাগলে ফারহান তার পথ, আটকে দাঁড়ায়।
অয়ন আমার কাছে ফিসফিস করে বলে উঠে-
রিমিপরী!
উনার কন্ঠে আমি কেঁপে উঠলাম
উনি আমার বন্ধ চোখ জোড়ায় শব্দ করে চুমু খায়।
ফারহান সুমাইয়া হাত দুটো নিজের হাতে পুড়ে নেয়।
সুমাইয়া ঃ কি হচ্ছে? কি?ছাড়ুন কেউ দেখে ফেল্লে খারাপ ভাবতে পারে।
ফারহানঃ আমি আর পারছিনা সুমু! প্লিয ফিরে এসোনাহ ( ছলছলে চোখে)
সুমাইয়াঃ কল মি.সুমাইয়া। সুমু বলার অধিকার টাও আপনি হারিয়েছেন।
ফারহান সুমাইয়া হাত টুকু ধরে আস্তে করে চুমু খায়।
ফারহানঃ তাহলে তোমার হাতে আমার নাম লিখা কেন? যদি অধিকার -ই না থাকে তাহলে তোমার মেহেংদী রাজ্ঞা হাতে আমার নাম টি কেন?
সুমাইয়া মুখ ঘুড়িয়ে নেয়।
ফারহান ঃ আর কত অভিমান করবে?
( সুমাইয়া আর ফারহান এর কাহিনী শুরু হয়েছিলো ৩ বছর আগে)
অফিস যাওয়ার দিন ফারহান একদিন সুমাইয়া কে দেখে । খোলা চুলে শাড়ি পড়া হলুদ পাখি লাগছিলো।
তাকে। সেদিনই ফারহান সুমাইয়া কে পছন্দ করে ফেলে।
সুমাইয়া কে প্রপোজও করেছিলো কিন্তু সুমাইয়া রিজেক্ট করে দেয় ফারহানকে। ফারহান হাল ছাড়েনা। কিন্তু একদিন সুমাইয়া ফারহানকে না করতে পারেনা। সুমাইয়া ফারহানকে ভালোবেসে ফেলেছিলো। কিন্তু যেদিন সুমাইয়া ফারহানকে প্রপোজ করবে সেদিনই সে জানতে পারে ফারহান এর গার্লফ্রেন্ড ছিলো সে শুধু সুমাইয়ার সাথে টাইম পাস করেছিলো। সুমাইয়া একেবারে ভেজ্ঞে পড়ে। কিন্তু একদিন ফারহান বুঝতে পারে সে সত্যি সুমাইয়া কে ভালোবাসে কিন্তু
ততদিনে সুমাইয়ার মনে অভিমানের বীজ বপন হয়ে গিয়েছে)
সুমাইয়া ঃ বললাম তো আপনি আমার আপন নন!
তো অভিমান কিসের
ফারহানঃ আমার মা বলছিলো আমার জন্য নাকি মেয়ে দেখছে
কথাটা শুনেই সুমাইয়ার বুকের ভিতর মুচর করে উঠে-কি বলছে কি ফারহানের বিয়ে
সে কীভাবে অন্য কারো সাথে তাকে দেখবে?
সুমাইয়া চলে যায়।। ফারহান তার চলে যাওয়ার পানে তাঁকিয়ে থাকে।
অনুস্ঠান খুব সুন্দর করে কেটেই যায়।
রিমি আজ চলে যাচ্ছে রুশনি ছাড়া সবারই মন খারাপ। অয়নের দম-বন্ধ হয়ে যাচ্ছে । সে কীভাবে থাকবে তার রিমিপরীকে ছাড়া? একদিন ও যে তার জন্য ১ যুগ এর সমান।
মিসেস কলিঃ আমার রিমি মা কালকে তুই আমার ছেলের হাত ধরে চৌধুরী বাড়ির বউ হয়ে আসবি।
আমি কিছু না বলে ভালোমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম।
কেন যেনো আমার কিচ্ছু ভালো লাগছেনা
আমি তাঁকিয়ে দেখলাম উনি অসহায় চোখে আমার দিকে তাঁকিয়ে আছেন।
আমি গাড়িতে উঠে পড়লাম। বাবা-মা ও সুমুও উঠে পড়ে উনাকে কোথাও দেখছিনা।
গাড়ি চলতে শুরু করে। আমার কেন যেনো অনেক কস্ট হচ্ছে। কালকেও তো চলে আসবো কিন্তু তাও!!
এদিকে
অয়ন কিছু একটা ভেবে বাঁকা হাঁসি দেয়।
মাঝরাতে,,,
হঠাৎ ঘুমের মধ্যে আমি অনুভব করি
।
।
।।
।
।।
।।।
।।
#প্রথম_অধ্যায়
চলবে কি?
( হি হি হি?অয়ন পায়েলকেও বোঁকা বানিয়েছে পাঠকদের ও বানিয়েছে। অয়ন নাকি আজাইরা পাব্লিক ?? আরো কতকিছু এখন দেখলেন তো রিমির কিছুই প্রমাণ করার দরকার নেই আমাদের হিরো সব-ই জানে হুহ? বিকজ হিরো ইজ হিরোই ?)
(কালকে বাসায় একটা প্রোগ্রাম ছিলো তাই গল্প দিতে পারিনি)