যার সাথে আমার কখনো বিয়েই হয়নি তার সাথে একটু পর আমার ডিভোর্স হবে। বেশ বড় একটা বাড়ির ড্রয়িং রুমের সোফায় আমাকে বসিয়ে রেখে সবাই চারপাশে এমনভাবে দাঁড়িয়ে আছে যেন আমি ডিভোর্স দিতে না চাইলে এখনি সবাই আমার উপর ঝাপিয়ে পড়বে। বাড়িতে প্রায় দশ জন মানুষ আছে। কেউ আমাকে কিছু বলতে দিচ্ছেনা। সবাই আমার উপর অনেক রেগে আছে আর শুধু বলছে যেভাবেই হোক আজকে ডিভোর্স করিয়েই ছাড়বে। অথচ আমি জানিই না কাকে ডিভোর্স দিব আর এদের কাউকে আমি চিনিও না।
আমিতো দুই দিনের জন্য রিলেক্স করতে রাঙ্গামাটি ঘুরতে যাব বলে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। এমনিতে আমি খুব সাহসী মেয়ে। মাঝেমাঝে একা দূরে কোথাও চলে যাওয়ার অভ্যাস আমার আছে। কিন্তু আজ যখন বাসস্ট্যান্ড এ দাঁড়িয়েছিলাম তখন কিছু মানুষ আমাকে রাস্তা থেকে জোর করে এমনভাবে এখানে নিয়ে আসলো যেন তাদের বড় কোনো ক্ষতি করে আমি পালিয়ে যাচ্ছি। আর এখন বলছে ডিভোর্স দিতে হবে।
পরিস্থিতি আর সবার চেহারা দেখে বিষয়টা খুব জটিল মনে হচ্ছে। কিন্তু এই জটিলতার মধ্যে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য আমাকে কেন নিয়ে আসলো সেটাই বুঝতে পারছিনা। কিছু একটা গন্ডগোল হচ্ছে। কিন্তু গন্ডগোল টা কোথায় হচ্ছে সেটাই বুঝতে পারছিনা। এদিকে আবার গাড়ি ছেড়ে দেওয়ার সময় হয়ে যাচ্ছে। কি যে করবো! বাধ্য হয়ে শুধু চুপ করে বসে আছি। আশেপাশের সবাই অনেক কথা বলছে যার কিছুই আমি বুঝতে পারছিনা। কিছুক্ষন পর ডিভোর্স এর কাগজ নিয়ে ফাইল সহ একজন উকিল বাসার ভিতর ঢুকলো। সবাই একটু সরে গিয়ে উকিল কে সোফায় বসতে দিল।
সোফার আরেক পাশে অনেকক্ষণ ধরে একজন মধ্যবয়সি মহিলা চুপ করে বসে আছে। যার সাথে আমার ডিভোর্স হবে তার বড় বোন এই মহিলা। সে এবার গম্ভীর গলায় বললো, “শিপা, আলভি কে ডেকে নিয়ে আসো।” পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শিপা নামের মেয়েটি কাউকে ডেকে আনতে চলে গেল। মহিলাটি উকিলকে বললো, “লতিফ ভাই, সব কাগজ রেডি আছে তো? একদম দেরি করবেন না। যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করে এই বাজে মেয়েটিকে এখান থেকে বিদায় করে দিবেন।” উকিল বললো, “আপা চিন্তা করবেন না, সব আমি রেডি করে রেখেছি। শুধু দুজন সই করে দিলেই হবে।”
আমাকে বাজে মেয়ে বললো! একেই তো আমার সময় নষ্ট করছে, তারপর আবার এত খারাপ ব্যবহার? এদের কাজকর্ম দেখে এবার আমার খুব রাগ হচ্ছে। আর ধৈর্য ধরতে পারছিনা। আমি এবার রেগে গিয়ে উঠে দাঁড়ালাম আর বললাম, “দেখুন, অনেকক্ষণ সহ্য করেছি। আপনারা তখন থেকে আমাকে অপমান করে যাচ্ছেন। আপনাদের এসব পাগলামীর মধ্যে আমি আর থাকতে চাইনা। দয়াকরে আমাকে এখন যেতে দিন।” সাথে সাথে একটা ছেলে রাগি কন্ঠে বলতে লাগলো, “উকিল আসা পর্যন্ত সহ্য করতে পেরেছো আর এখন দুই মিনিটের জন্য সহ্য করতে পারছোনা? আর কত ঝামেলা করবে তুমি? কাগজে সই করে দিয়ে চলে যাও যাতে আর কখনো তোমাকে এখানে আসতে না হয়।”
আমি পিছনে ঘুরে ছেলেটির দিকে তাকালাম। মুখে অনেকটা রাগ জেদ আর কিছুটা কষ্ট মিশ্রিত চোখে একটি ছেলে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। হালকা বাদামি রঙের টি-শার্ট আর কালো রঙের ট্রাউজার পড়া, মাথার চুলগুলো অনেকটা এলোমেলো হয়ে আছে। এই ছেলেটাকে আমি আগে কোথাও দেখিনি। সে এমনভাবে রেগে তাকিয়ে আছে যে আমি কি বলবো সেটাই বুঝতে পারছিনা। তবে এই ছেলের সাথেই আমার ডিভোর্স এর আয়োজন করা হয়েছে সেটা বুঝতে পারছি।
আমি শান্তভাবে বললাম, “আপনি এভাবে আমার সাথে কথা বলছেন কেন? আমি কীভাবে আপনাকে ডিভোর্স দিব? আমিতো আপনাকে বিয়েই করিনি।” সাথে সাথেই আশেপাশের সবাই অনেক রেগে গেল। একজন বললো, “আবার নাটক শুরু করেছে। একদম আপনি করে বলছে। একটুও লজ্জা করেনা তোমার? পরিবারের সবাই এখানে আছি। যতই নাটক করো লাভ হবেনা। এখন ডিভোর্স হবেই।” কি আশ্চর্য! সবাই এমন করছে কেন? একটা মেয়ের উপর সবার এত কীসের রাগ! যার সাথে এই ছেলেটির বিয়ে হয়েছে তাকে এরা কেউ কখনো দেখেনি নাকি? আমাকে কেন সবাই এই ছেলের বউ মনে করছে? কোন ঝামেলায় পড়েছি কে জানে!
আমি তাদেরকে অনেক বুঝানোর চেষ্টা করলাম যে আমি কিছুই জানিনা। তাদেরকে বোঝাচ্ছি যে তাদের কোথাও একটা ভুল হচ্ছে, আমি তার বউ না। কিন্তু কেউ কিছু বুঝতে চাচ্ছেনা। বরং পরিস্থিতি আরো খারাপ হচ্ছে। হঠাৎ আলভী সবাইকে থামিয়ে দিয়ে আমাকে বললো, “ঐ বেগ টা তোমার। তাইতো?” আমি সোফায় থাকা আমার বেগের দিকে তাকিয়ে মাথা নেড়ে হ্যা বললাম। আলভী তার ফোন বের করে কাউকে কল দিল। সাথে সাথে আমার বেগের ভিতরে ফোন বেজে উঠলো। আমি চমকে গেলাম। এটা আমার ফোনের রিংটোন না। বেগ থেকে ফোনটা বের করে হাতে নিলাম। ফোনটাও আমার না। আলভী বললো, “এখন নিশ্চই বলবে যে এই ফোনটা তোমার না। দয়া করে আর অভিনয় করোনা। সই করে দিয়ে চলে যাও। আমি আর চাপ নিতে পারছিনা।”
আমি কি বলবো বুঝতে পারছিনা। চুপ করে পেছনে সোফায় বসে পড়লাম। আমার বেগে এই ফোন আসলো কীভাবে? কেউ নিশ্চই আমার বেগে এই ফোন টা রেখেছে। তারমানে ইচ্ছে করে আমাকে কেউ ফাঁসাতে চাইছে। কেউ নিজের স্বার্থে আমাকে ব্যবহার করতে চাচ্ছে। এখানে যত থাকবো ততই আরো বেশি ঝামেলায় পড়ে যেতে পারি। এতগুলো মানুষের সাথে আমি একা কিছুই করতে পারবো না। কেন যে বোকার মত সবাইকে এতকিছু বোঝাতে যাচ্ছি! সবাই তো শুধুমাত্র ডিভোর্স পেপারে সই করে দিতে বলছে। একটা সই করে দিলেইতো হলো। তারপর এই ছেলের সাথে আমার ডিভোর্স হোক বা না হোক তাতে আমার কী? আমিতো তাকে বিয়েই করিনি। কিন্তু আমার ফোনটা আমি এখন কোথায় পাবো? একটা ফোন গেলে যাক। কিন্তু আমি আর এক মিনিটের জন্যেও এই ঝামেলার মধ্যে থাকতে চাইনা।
আমি বললাম, “কোথায় সই করতে হবে বলুন, করে দিচ্ছি।” শুধু আলভী ছাড়া বাকি সবার মুখে এক তাচ্ছিল্যের হাসি ফুটে উঠলো। আলভীর দিকে তাকিয়ে ভাবছি একটা মানুষ আমাকে নিয়ে এতটা সিরিয়াস কেন যার সাথে আমার কখনো দেখাই হয়নি। কিছু বুঝতে পারছিনা আর বুঝতে চাইওনা। আমি ডিভোর্স পেপারে উকিলের দেখিয়ে দেওয়া জায়গায় সই করে দিলাম। এবার আলভী সই করবে। আলভীর বড় বোন বললো, “কাবিনের টাকা তো আগেই নিয়ে নিয়েছো। এখন ডিভোর্সও হয়ে গেল। এবার তুমি চলে যাও। আমার ভাইয়ের আশেপাশে যেন তোমাকে আর কখনো না দেখি।”
আশ্চর্য! আমি আবার কবে টাকা নিলাম! চোখের সামনে যা হচ্ছে তা নিয়ে ভাবতে গেলেই মনে হচ্ছে পাগল হয়ে যাচ্ছি। যাইহোক, আর কিছু ভাবার দরকার নেই। আমি কিছু বললাম না। চলে যাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়ালাম। একবার আলভীর দিকে তাকাতেই দেখি অদ্ভুতভাবে সে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। দেখে মনে হচ্ছে আমার চলে যাওয়াতে সে অনেক কষ্ট পাচ্ছে, আবার আমাকে সে সহ্য করতেও পারছেনা। খুব জানতে ইচ্ছে করছে এই ছেলেটা এত কষ্ট পাচ্ছে কেন, এখানে কেন এতকিছু হচ্ছে আর আমাকেই কেন এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু এখানে কেউ আমার সাথে কথা বলার অবস্থায় নেই আর আমিও এই ঝামেলার মধ্যে আর থাকতে চাইনা। আলভী সই করার জন্য ডিভোর্স পেপার টা হাতে নিলো। আমি আর দাঁড়িয়ে না থেকে বাড়ি থেকে বের হচ্ছি। কোথায় এসেছি কিছুই জানিনা। মানুষকে জিজ্ঞাসা করে করে রাস্তা খুঁজে নিজের জায়গায় যেতে হবে এখন।
হঠাৎ আলভী বললো, “দাঁড়াও।” এখন দাঁড়ালেই আবার কি হবে কে জানে। হাতে একদম সময় নেই। তাই শুনেও না শোনার ভান করে আমি দ্রুত হেটে যাচ্ছি। আলভী এবার চিৎকার দিয়ে বললো, “দাঁড়াও মেহেরিন।” আমি এবার থমকে দাঁড়ালাম। মেহেরিন? কে মেহেরিন? আমার নাম তো মেহেরিন না। অন্য একটা মেয়ের সাথে সবাই আমাকে গুলিয়ে ফেলছে? কিন্তু এত সহজে গুলিয়ে ফেলছে কীভাবে? এসব ভাবতে ভাবতে আমি আলভীর সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। আলভী অনেক বেশি রেগে গিয়ে বললো, “চালাকি করছো? এখানে তোমার নাম না লিখে অন্য নামে সই করেছো কেন? এটা তো তোমার সই না।”
কথাটা শুনে সবাই যেন একটা ধাক্কা খেলো। নিশ্চই সবাই ভাবছে আমি ডিভোর্স না হওয়ার জন্য ইচ্ছে করেই এমন করেছি। আমি বললাম, “আমিতো আমার নামেই সই করেছি। আমার নাম তো মেহেরিন না। আমি দিয়া।” ব্যাস, এটা শুনেই সবাই আবার রেগে গেল। আমি নাকি ডিভোর্স না দেওয়ার জন্য নাটক করেই যাচ্ছি। আলভী উকিলকে বললো, “আপনি আবার সব কাগজ রেডি করে নিয়ে আসুন।” তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বললো, “যতক্ষণ না তুমি ঠিকমত সই করবে ততক্ষণ তুমি এখানেই থাকবে। সই না করে তুমি কোথাও যেতে পারবেনা।”
এবার আমার চিন্তা বেড়ে গেল। বুঝেছি আমার আজ রাঙ্গামাটি যাওয়া হচ্ছেনা আর এই ঝামেলা থেকে বের হওয়াটাও এত সহজ না। আমি বললাম, “একবার কেন, একশবার কাগজ বদলে আনলেও আমি ঠিকমত সই করতে পারবোনা। কারণ আপনারা যাকে ভাবছেন আমি সেই মেয়ে না। মেহেরিন কীভাবে সই করতো সেটা আমি কীভাবে জানবো?” আমি যতই বুঝাতে চাচ্ছি কেউ আমার কথা বুঝতেই চাচ্ছেনা। ভাবছি একটা মেয়ে কী এমন করেছে যার জন্য সবাই মেয়েটার উপর এত বেশি বিরক্ত? অন্য একটা মেয়ের জন্য আমি বিপদে পড়ছি নাকি আমার জন্য অন্য কোনো মেয়ে বিপদে পড়ছে তা বুঝতে পারছিনা। তবে আমি যে মেহেরিন নই সেটা এখন সবাইকে বোঝাতে না পারলে অনেক ঝামেলা হয়ে যাবে।
আমি খুব সুন্দরভাবে আলভীকে বললাম, “এখানে কেউ আমার সাথে ভালোভাবে কথা বলছেনা। আপনি একটু ঠান্ডা মাথায় ভালো করে আমার দিকে তাকিয়ে বলুনতো, আমি কি কখনো আপনাকে বিয়ে করেছিলাম? আপনার যার সাথে বিয়ে হয়েছে আমি কি সেই মেয়ে?” আলভী বললো, “সত্যিই তোমাকে আজ অনেক অন্যরকম লাগছে। তবে বিশ্বাস একবার ভেঙ্গে গেলে তা আর জোড়া লাগেনা। তোমার এসব অভিনয় আমার মনকে আর বদলাতে পারবেনা।” এটা বলেই আলভী আমার সামনে থেকে একটু দূরে চলে গেল। কে কোন বিশ্বাস ভেঙ্গেছে সেটাই তো জানিনা।
নাহ, এভাবে এই সমস্যা থেকে বের হওয়া যাবেনা। আমি যে সেই মেয়েটা না সেটা বুঝাতে এখন কাউকে আমার বাসায় নিয়ে যেতে হবে। একবার নিজের এলাকায় পৌঁছাতে পারলে সবাই এমনি আমার আসল পরিচয় জেনে যাবে আর তারপর আবার আমাকে এখানে নিয়ে আসতেও পারবেনা কেউ। আমি সবাইকে অনেক অনুরোধ করলাম যাতে একবার আমাকে নিজের বাসায় যেতে দেয়। কিন্তু কেউ আমার কথার গুরুত্বই দিচ্ছেনা। হঠাৎ শিপা নামের মেয়েটি আমার কাছে আসলো। সে এই বাড়ির কে তা আমি জানিনা। শিপা এসে ফিসফিস করে আমাকে বললো, “তোমাকে যেতে দিলে তুমি সত্যিই প্রমাণ করতে পারবে যে তুমি এই বাড়ির বউ না?”
আমি সাথে সাথেই বললাম, “অবশ্যই পারবো।” মেয়েটি আলভীর বোনের কাছে গিয়ে কানে কানে কিছু একটা বললো। আলভীর বোন কিছু একটা ভেবে আমাকে বাহিরে যেতে দিতে রাজি হলো আর উকিলকে সব কাগজ রেডি করে প্রয়োজনে পরের দিন আসতে বললো। বাসার কেউ যে এই সিদ্ধান্তটি পছন্দ করেনি তা সবার মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে। শিপা, আলভী আর আলভীর বড় মামা এখন আমার সাথে যাবে। যদিও প্রথমে আলভী যেতে রাজি হয়নি, কিন্তু সবার আগে তাকেইতো বুঝাতে হবে যে আমি তার বউ নই। তাই অনেক অনুরোধ করার পর সে আমার সাথে যেতে রাজি হয়েছে। এবার বাসায় যাওয়ার পর এসব ঘটনা শুনে আমার পরিবারের মানুষদের মুখের অবস্থা কেমন হবে সেটাই ভাবছি।
আমি গাড়িতে উঠে ড্রাইভার কে আমার বাসার ঠিকানা দিলাম। সবাই চুপচাপ বসে আছে। কেউ কোনো কথা বলছেনা। আমার অনেককিছু জানতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু এখন কিছু বলে আর ঝামেলা বাড়াতে চাইনা। প্রায় দুই ঘন্টা পর আমার এলাকায় পৌঁছালাম। মনে হচ্ছে অনেক্ষন পর একটু শান্তিতে নিঃশ্বাস নিতে পারছি। আমি বাড়িতে ঢুকে দরজায় নক করতেই মা এসে দরজা খুললো। ভিতরে বাবা আর ছোট ভাইও আছে। রাঙ্গামাটি না গিয়ে আমাকে এখানে ফিরে আসতে দেখে সবার অবাক হওয়ারই কথা। আমি বললাম, “একটা ছোট ঝামেলা হয়েছে তাই ফিরে এসেছি।”
কাউকে কিছু বলার সময় না দিয়ে আমি বললাম, “এটা আমার বাসা। এইযে আমার বাবা,মা আর ছোট ভাই। এখন নিশ্চই আপনারা বলবেন যে আমি অভিনয় করার জন্য এদেরকে এখানে রেখে দিয়েছি। একটু অপেক্ষা করুন আমি আসছি।” এটা বলেই আমি আমার বেডরুমে চলে গেলাম। ফোট অ্যালবামে পরিবারের সাথে আমার ছোট থেকে এখন পর্যন্ত তোলা সব ছবি আছে। তাছাড়া এখানে আমার কোনো প্রমাণের অভাব নেই।
আমি ফটো অ্যালবাম হাতে নিয়ে রুম থেকে বের হচ্ছি এমন সময় এক মুহুর্তের জন্য থমকে গেলাম। মনে হলো ঘরের আয়নাতে একটা মেয়েকে দেখলাম। পেছনে ঘুরে আয়নার দিকে তাকাতেই আমি একদম স্তব্ধ হয়ে গেলাম। কে এই মেয়েটা? এটা তো আমি নই। আশ্চর্য! আমি দেখতে এমন হয়ে গেলাম কীভাবে! এটা তো অসম্ভব। আমার হার্টবিট বেড়ে যাচ্ছে। এখন তো আমার পরিবারের মানুষেরাও আমাকে চিনবেনা। কী করবো আমি…!!
গল্প: #মেহেরিন
১ম পর্ব
লেখা: #Jasmine_Diya
সমস্যার সমাধান করতে সাথেই থাকুন..