তুই আমার শেষ পর্ব

0
1508

#তুই__আমার
#লেখাঃ সাফিয়া_জান্নাত_মুন
#পর্ব ২০
#শেষ_অংশ

———-
চোখ খুলে কাব্য মেঘাকে নিজের বুকের মধ্য পেলো কাব্য এক হাত মেঘার কোমর জরিয়ে ধরে আছে। চোখ খুলে দেখতে এক ঝটকায় সরিয়ে ফেললো মেঘাকে নিজের বুক থেকে সরিয়ে বিছানা থেকে নেমে ফ্লোরে বসে মাথা চেপে ধরলো আর কাল রাতের কথা মনে করতে থাকলো কিন্তু কিছুইতেই কিছুই মনে আসছে না সব ঝাপসা ঝাপসা মনে হচ্ছে তার কাছে।
কিন্তু নিজেকে এই অবস্থা আর মেঘার অবস্থা দেখে বেশ বুঝা যাচ্ছে কাল রাতে ওদের মধ্য কি কি হয়েছে।
কাব্য কিছুই ভাবতে পারছে না নিজেকে নিজের দোষী বলে বোধ হচ্ছে। কিভাবে একটা মেয়ের সাথে সে এমন করতে পারে?? এটা তো তার প্রথম ড্রিংক না যে সে এতো বেসামাল বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
এখন সে কি করবে?? তার কি করার আছে? মেয়েটা এখন তার সাথে কিছুই করবে না তো? তাকে কি ছেড়ে দিবে??

কাব্য একমনে সব ভেবে চলেছে তার চোখ মুখে চিন্তার ছায়া ভাবলেশহীন ভাবনা ভাবতে ভাবতে মেঘার দিকে চোখ পড়তে দেখলো মেঘা শান্তির ঘুম ঘুমাচ্ছে কাব্য এখন বিরক্ত রেখায় ফুটে উঠে ভাবচ্ছে, কি মেয়ে? আমার সাথে এতো কিছুই করে এখন কিভাবে শান্তির ঘুম ঘুমাচ্ছে? নাহ এভাবে মেয়েটাকে দোষ দেওয়া আমার ঠিক হচ্ছে না মেয়েটা তো আমার জন্য প্রথম ড্রিংক করেছিলো তাই হয়তো আমার চেয়ে তার নেশা না কাটাই স্বাভাবিক। সব দোষ তোর কাব্য তোর তোর।
কাব্য মুখ ফুলিয়ে কান্নার ভান ধরে বসে রইলো।

মেঘার ঘুম ভাঙ্গতে কাব্য কে নিচে বসে থাকতে দেখে ঘাবড়ে গিয়ে ভাবতে শুরু করে দিলো, ওনি তো আমার আর ওনার সম্পর্ক টা ভুলে গেছে তাই এই বৈধ সম্পর্ক টাকে অবৈধ ভাবচ্ছে। এক দীর্ঘ নিশ্বাস চেপে ধরলো মেঘাকে, সে টা ছেরে মেঘা ভেবে নিলো সে কাব্যকে সব বলবে আগের মতো কোনো কিছুই মনের মধ্য চেপে রাখবে না,মেঘা উঠে দারালো এক রাশ সাহস নিয়ে এগিয়ে গেলো কাব্যর দিকে কাব্য সামনে গিয়ে হাটু গেড়ে বসে কাব্যর দিকে শান্ত চোখে তাকালো,
মেঘা কিছুই বলতে যাবে তার আগে কাব্য ফট করে মেঘার হাত ধরে ফেললো আর জানি মেঘার মুখের বুলি কেরে নিয়ে বলতে লাগলো,
আমায় প্লিজ ক্ষমা করে দেও?

আপনি প্লিজ ক্ষমা চাইবেন না আপনি আমার কথা টা?
(মেঘা কে থামিয়ে দিয়ে কাব্য বললো,)

দেখো আমি যা করেছি আমি ভুলে করেছি আর দেখো আমার তোমার প্রতি কোনো ফিলিংস নেই নেশাঘোরে সব জাস্ট হয়ে গেছে। আমি একজন কে ভালোবাসি আমি শুধু তাকে ছাড়া অন্যকাউকে নিজের জীবনে ভাবতে পারি না। তোমার প্রতি আমি একটা অন্যায় করে ফেলেছি

(এবার কাব্য মেঘাকে থামিয়ে দিয়ে বললো,,)

আপনি কাউকে ভালোবাসেন??

হুম। (অনেকটা ভয় পেয়ে বললো)

কাকে বাসেন?

প্রি প্রিয়তা। (আমতা আমতা করে বললো)

কিইইই। (বলে মেঘা এক হাত দিয়ে ভর করে ফ্লোরে পা ফেলে বসে পড়লো কিছুইক্ষন চুপ করে থেকে বললো,,)
আচ্ছা, আমি নিজে আপনার সাথে প্রিয়তার বিয়ে দিবো তাও আজ।

কিইই এই সত্যি বলছো তো? মানে আমার বিশ্বাস হচ্ছে না।
(কাব্য উঠে রীতিমতো লাফালাফি করছে।)

মেঘা কাব্য এর দিকে তাকিয়ে শান্ত গলায় বললো, হুম
মেঘা আর কিছুই না বলে ওয়াশরুমের দিকে পা বারালো।

শাওয়ারের নিচে মেঘা দারিয়ে আছে পানি গুলো জোর ধাক্কায় গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু আজ মেঘার চোখ থেকে কোনো পানি পড়ছে না। আজ মেঘার সবকিছুই যে শেষ হয়ে গেছে যেটুকু বিশ্বাস আর ভালোবাসা ছিলো তাও শেষ হতে চলেছে। আর কোনো কিছুই মেঘা আশা করে না কোনো কিছুই না। যখন আশা নেই তখন হারাবার ভয় ও নেই।
!
!
!
!
!
!
!
৩০ মিনিট ধরে সবাই লিভিং রুমে গোল হয়ে বসে আছে।
কারো মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছে না। আয়েশা বেগম নিজের কোলে থাকা মিশুর মেয়েকে ঘুম পাড়াতে ব্যস্ততা দেখাচ্ছেন।
মিশু গাল ফুলিয়ে বসে আছে।
একমাত্র কবির নিরাবতার বাধ ভেঙ্গে বললো,
দেখ মেঘা তুই যা বলছিস তা বুঝলাম কিন্তু তোর নিজের জীবনের কথা টা কে ভাববে সেটা আমায় বুঝা?

ভাই আমি তোমায় ভাই কেনো ডাকি জানো?

এমনি বলিস হয়তো।

না, কাব্য তোমায় ভাই বলে এইজন্য।

আচ্ছা এটার সাথে তোর কথার কি সম্পর্ক?

ভাই কাব্য আমাকে ভালোবেসে কি পেয়েছো বলতো পারো? আমার কাছ থেকে এক রাশ ঘৃণা আর এতো মানুষ এর ধোকা এতোকিছুইর পর যখন ও সব ভুলে গিয়ে একটা নতুন জীবন পেয়েছে এই জীবনে সে যখন অন্য কাউকে নিয়ে সুখে থাকতে চায়, অন্যকারো সাথে তার জীবন টা সুন্দর স্বাভাবিক থাকে এটা আমার বড় পাওয়া এর থেকে বেশি কিছুই আমার চাই না।

মেঘা তুই নিজেকে দোষ দিচ্ছিস কেনো? তুই তো ইচ্ছা করে এইসব করিসনি সব হয়ছে ভাগ্য ছিলো তাই।

এটা ধরে নেও না ভাই ভাগ্য ছিলো তাই।

কবির মেঘার দিকে তাকিয়ে হাফ ছেড়ে বসে পড়লো। সে আর মেঘাকে বুঝাতে পারবে না এমন টা বুঝা যাচ্ছে তাকে দেখে।

কিন্তু আপু তুই কোথায় যাবি??

মিশু আমি এখন বর্তমানে একটা অর্নাথ আশ্রমে যাবো, যে টা হয়তো আমার আসল ঠিকানা।

আপু তুই আমার আমার মেয়ে কে ছাড়া থাকতে পারবি?

পাড়বো না বলেও পারতে যে আমায় হবে।

অন্য কিছুই কি তুই?

না মিশু এটাই হবে।

আয়েশ বেগম অনেকক্ষণ চুপ থেকে বললো,,কাব্যর এই ভালোবাসা মেঘা প্রতি ছিলো আর এখন মেঘার ভালোবাসাটা কাব্যর প্রতি। তোমাদের ভালোবাসা শুধু দিয়ে গেছে আদো কিছুই পেয়ে উঠা হয়নি। হয়তো বিধাতা তোমাদের মিল লিখে রাখেননি আবার লিখে রেখেছেন অন্য ভাবে।
আয়েশা বেগম আর কথা বাড়ালেন না তিনি সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে গেলেন।
!
!
!
!
খুব অল্প সময়ে মেঘা প্রায় মোটামুটি সব ব্যবস্থা করে ফেলেছে। ১০ ১২ জন বন্ধুবান্ধব কে খবর দিয়েও ফেলেছে এর মধ্য এসে পড়বে বলে। কাজী সাহেব কে ডাকতে পাঠিয়ে দিয়েছে। প্রিয়তা নাকি পার্লার থেকে সেজে তবে আসবে।
এটা ভেবে ভেবে নিজের রুমে অস্থিরতার পায়চারি করছে কাব্য।
এর কোনো মানে হয় বলো? সাধারন একটা বিয়ে হচ্ছে এতো সাজসজ্জা এর বা কি আছে?? নিজের পাঞ্জাবি এর হাতা ফ্লাট করতে কারতে কাব্য মেঘা কে বললো, কিছুই বলছে না যে?

আজ মেঘা চুপ চাপ দারিয়ে কাব্য কে দেখছে প্রান ভরে দেখছে। কাব্যকে সবুজরং এর সুতি সুতার পাঞ্জাবি টায় বড্ড মানিয়েছে তার গাঢ় ফর্সা গায়ের রঙ টা আরো গাঢ় লাগছে। সাথে ডার্ক গোলাপি ঠোঁট গুলোর অস্থিরতার কাপাকাপি বড্ড মন কাটাছে মেঘার।
কাব্যর দুই তিন ডাকে মেঘা ভাবনাচিন্তা ফেলে বললো, হুম

কি হুম? আমি এতো কথা বলে যাচ্ছি তার রিপ্লাই হিসাবে শুধু হুম বলছো তুমি।

মেঘা এবার কাব্য দিকে তাকিয়ে বললো,, ভালোবাসা কি অদ্ভুত না? যেকোনো সময় যেকারো সাথে হয়ে যেতে পারে। আর ভালোবাসার জন্য মেডনেস কাজ গুলো করা সম্ভব হয়ে উঠে না তাই না।

মেঘার কথার মধ্য জানি কেউও জোর করে ঢুকে পড়লো আর বললো, নিচে বউ কাজী সবাই এসে গেছে নিচে আসো বলেই নিজের ব্যস্ততার সুরে কোথায় মিলিয়ে গেলো সে জানে।

মেঘা ধীমি ধীমি পায়ে হেটে কাব্যর কাছে গেলো। তার হাত ধরে নিয়ে যাচ্ছে। মেঘা যেতে যেতে বললো,, ভালোবাসা টা হচ্ছে রূিদয়ের বন্ধন আপনার যে ছোট হ্রপিন্ড টা আছে না সেটার ধকপকানি যখন শুনতে পাবেন অনুভব করতে পারবেন ঠিক তখনি নিজের ভালোবাসা টাকে অনুভব করতে পারবেন। যখন সে আপনার কাছে থাকবে তখন ধকধক শব্দ আপনার কান অব্ধি ভেসে চলে আসবে। এতো শব্দ শুধু জানান দিবে এসে সে প্রিয় এসে সে।

কাব্য থমকে দারালো। মেঘা মুচকি হাসছে। মেঘা কাব্যর হাত ধরে প্রিয়তার পাশে বসিয়ে দিলো।
এক সস্তির নিশ্বাস ফেলো বললো, নিজের সব দায়িত্ব থেকে আমি মুক্তি পেলাম আজ হয়তো ভালোবাসার আরেক অধ্যায় শুরু হবে।
মেঘা কথা বাড়ালো না কাব্য যে তার দিকে তাকিয়ে আছে সেদিকে খেয়াল ও করলো না, সে চললো তার নিজের ঠিকানায় পিছুই ঘুরে সে দেখচ্ছে না আর দেখার সময় তার নেই। পিছুই সে ঘুরবে না।

মেঘার কানে ভেসে আসলো বলুন কবুল,,,,
মেঘা আর কিছুই শুনতে চায় না তাই জোর পায়ে হেটে বাহিরে চলে আসলো সে হেটে চলেছে তার শাড়ির আচল যে রাস্তায় ছড়েছে বয়ে যাচ্ছে তার দিকে তার কোনো খেয়াল বোধয় আর তার নেই। রাস্তার মানুষজন কোনো কিছুই তার চোখ পড়ছে না তার রাস্তা মনে হয় সোজা পথ বয়ে যাচ্ছে তো যাচ্ছে।
পিছোন থেকে এক গাড়ি যে তাকে ধাক্কা দেওয়ার উদ্দেশ্য ছুটে আসছে তাও সে খেয়াল করছে না।
ঠিক গাড়ির একটু পাশ কাটিয়ে কেউ একজন মেঘা কে টেনে নিজের বুকের মধ্য নিয়ে এসে ফেললো।
মেঘা রেগে গিয়ে তাকে নিজের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ধাক্কা মারতে লোকটি একটু দূরে সরে গিয়ে দারালো।
মেঘা তার দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে বললো,

আপনি এখানে??

মেঘা আমায় ছেড়ে প্লিজ যেয়েও না প্লিজ।

আপনার তো প্রিয়তা আছে। (মুখ ফুলিয়ে বলছে)

কিসের প্রিয়তা? ও শুধু আমার বান্ধুবী এই এক মাসে যখন আমার সবাইকে চিনতে বড্ড কষ্ট হচ্ছেছিলো তখন ও আমাকে এসে প্রোপোজ করে আমি তাতে হ্যা করে দেই আর এইজন্য,,

এইজন্য আপনি ওকে বিয়ে করতে যাচ্ছিলেন?

হুম,আমি মরিচিকার পিছে ছুটেছিলাম যে তাই আমার অনুভূতি গুলো কে বুঝতে পারিনি। আমি কি করবো বলো হসপিটালের বেডে শুয়ে আমার কিছুই মনে আসছিলো না আমি কিভাবে সেখানে এসেছি? কেনো এসেছিলাম? কি হয়েছিলো আমার সাথে? আমার কিছুই মনে আসছিলো না কিছুই না তখন আমার জীবনটা ছিলো সম্পর্ন নতুন। যেখানে কিছুই লেখা পৃষ্টার মাঝে মুঝে গেছে কিছুই আর রেয়ে গেছে ফাকা পৃষ্ঠা।
কিন্তু যখন পর্যন্ত তুমি আমার কাছে ছিলে তখন পর্যন্ত আমি ভালো ছিলাম কিন্তু যখন তুমি আমার কাছ থেকে দূরে যাচ্ছিলে তখন খুব কষ্ট হচ্ছিলো আমার নিশ্বাস আটকে আসছিলো মনে হচ্ছিলো আমার জান টা বের হয়ে যাচ্ছে আমি জোরে জোরে নিশ্বাস নেওয়ার জন্য ছোটফোট করছিলাম তখন শুধু তোমার মুখ টা ভেসে উঠেছে আমার চোখের সামনে শুধু তোমার।
আর দেরি করতে চাই না সময়ের প্রতিটা সেকেন্ড এর মূল্য দিয়ে বলছি, I love u

মেঘা কাব্যকে জরিয়ে ধরে বললো, I love u too
আমি আপনাকে ছাড়া নিজের অস্তিত্ব কে কল্পনা করতে পারি না। আমার নিশ্বাসপ্রশ্বাস জুরে শুধু কাব্য আর কাব্য।

কাব্য আরো শক্ত করে ধরলো মেঘাকে আর বললো
ভালোবাসা ঠিক তার সঠিক মানুষ টাকে খুঁজে নেয় তাই না মেঘ।

মেঘ নাম টা শুনে চমকে উঠলো মেঘা আর কাব্যর বুক থেকে মাথা তুলে বললো,,
আপনি আমায় মেঘ ডাকছেন আপনার কি?

না আমার কিছুই মনে আসেনি মেঘ আমার শুধু অনুভূতি গুলো জেগে উঠছে আর তারা আমার মস্তিষ্ক রূিদয় স্পন্দনে জোর শব্দেন্দ্রিয় করে বলছে তুই আমার #তুই_আমার।

মেঘা কাব্য থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বললো, আমি যে আপনার বউ এটা আপনার মনে পড়বে না কোনো দিন?

কিইই তুমি আমার বউ??

হুম।

তুমি মিসেস মেঘা কাব্য চৌধুরী?

হ্যা হ্যা হ্যা, আফসোস একটা সারাজীবন এটা আপনার মনে আসবে কি না সন্দেহ।

আচ্ছা আমার কি বিয়ে বয়স হয়েছে? আমাদের কি বাল্য বিবাহ হয়েছিলো নাকি? (কোমড়ে হাত রেখে বললো)

কি বলবেন আপনি?? (চোখ রাঙ্গিয়ে বললো)

আচ্ছা মানলাম রাগ হতে হবে না, একটা কথা বলবো। (ঠোঁট টা কামড়ে ধরে আছে)

হুম বলুন কি বলবনে? (ভ্রু কুচক্রে)

এ নিয়ে আমাদের কততম বাসর হলো?

মেঘা লজ্জায় রক্তিম লাল হয়ে উঠলো কাব্যর দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে বললো,,
জানি না জানি না জানি না

মেঘা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করছে আর কাব্য তার পিছুই পিছুই আসছে।

#সমাপ্তি___________
#Happy_Ending_______

[সবাইর প্রতি অবিরাম ভালোবাসা গল্পটা এতোটা পছন্দ করার জন্য। অসুস্থার জন্য আগে শেষ করে দিচ্ছি। আপনাদের যদি আমার লেখা ভালো লেগে থাকে তো কমেন্টে জানিয়ে দিন নেক্সট আরো সুন্দর কোনো গল্প নিয়ে আসবে কি না? সুস্থ হলে তাহলে আরেক খানা লিখবো। সবাই ভালো থাকবেন]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here