#বিষাদময়_প্রহর
#লাবিবা_ওয়াহিদ
|| পর্ব ১২ ||
ফয়সাল স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সামনের ব্যক্তিটার দিকে।
ফয়সালের ভেতরটা যেন জ্বলে-পুড়ে যাচ্ছে কোনো এক অদৃশ্য অগ্নিতে।
প্রহর সেই দূরেই দাঁড়িয়ে আছে।
ফয়সাল ছটফট করছে কিছু বলার জন্য কিন্তু সে বরাবরই ব্যর্থ।
ফয়সালের মা ছেলের দিকে একদম স্থির দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বললো,
—“চিনেছিস আমাকে বাবা? যাকে দুইদিন আগে ধাক্কা মেরে ফেলেছিলি তোকে বারণ করার জন্য? মনে আছে আমার কপালের সেই তাজা রক্তের ফোটাগুলো? দেখ, আজ কপালে ব্যান্ডেজ নিয়ে তোর কিরকম ভয়াবহ অবস্থা করলাম? আমি তোর মা ছিলাম, কিন্তু তুই তোর লালসার জন্য আমার গায়ে অব্দি হাত দিয়েছিস। কিন্তু ভুলে গেছিলি নারীরা দুর্বল নয়। তোরে যদি সেদিন বাসায় না নিয়ে ডোবায় ফেলে আসতাম তাহলে হয়তো এমন দিন আমায় দেখতে হতো না।”
ফয়সাল বিস্ফরিত চোখে তাকালো মিসেস রহমানের দিকে।
মিসেস রহমান আবারও শক্ত কন্ঠে বলে উঠলো,
—“হয়তো ভাবছিস কেন বললাম না তোকে গর্ভে ধারণের কথা।(কিঞ্চিৎ হেসে) কারণ, তুই আমার ছেলে নস আর আমি তোর জম্মদাতা মাও নই। আমি একজনকেই জম্ম দিয়েছি আর সে তোর বড় ভাই সাজিদ রহমানকে।”
★
পুরোটা রাত নিহান ভাইয়া আর হিদ দুইজন আমার দুইকাধ দখল করে আরামসে ঘুমিয়েছে।
এদিকে আমার এই দুই ভাইবোনের জ্বালায় আমার ঘুম গোল্লায় গেছে।
এরা আমাকে পাইসে কি ভাই?
এদের টর্চার সহ্য করতে করতেই আমার পুরো জার্নির সমাপ্তি ঘটলো।
যখন আমরা পৌঁছালাম তখন ভোর ৬ টার মতোন বাজে।
কক্সবাজারে পৌঁছানোর প্রায় ঘন্টাখানেক আগে নিহান ভাইয়া উঠে যায়।
যখন পৌঁছে গেলাম তখন নিহান ভাই হিদকে ঝাড়ি দিয়ে ঘুম থেকে উঠাইসে।
এইদিকে ঘুমে আমার অবস্থা খারাপ।
নিভু নিভু চোখে গাড়ি থেকে নামলাম।
হিদ আমাকে ধরে রেখেছে, নিহান ভাইয়ার পিছে পিছে আমি আর হিদ হাঁটছি।
শুনেছি এখানের এক রিসোর্ট বুকিং দিয়েছে নিহান ভাইয়া।
কোনোরকমে রিসোর্টে পৌঁছালাম।
আশেপাশের সৌন্দর্য দেখার মতো অবস্থায় নেই আমি।
জিনিয়াকে নিয়ে এক সার্ভেন্টের সাথে এক রুমের দিকে গেলাম।
সার্ভেন্ট আমাদের রুম দেখিয়ে দিতে আমি বিছানায় গিয়ে ধপ করে শুয়ে পরলাম আর সাথে সাথেই ঘুমিয়ে পরলাম।
ঘুমের মাঝে পায়ে কেমন শুড়শুড়ি অনুভব হলো।
বেশি অনুভব হতেই লাফ দিয়ে উঠে বসলাম আর চোখ বড় বড় করে এদিক সেদিক তাকালাম।
নাহ কেউ তো আশেপাশে নেই।
পায়ের দিকে আবার শুড়শুড়ি অনুভব হতেই আমি আমার শরীর থেকে ব্ল্যাঙ্কেট সরিয়ে ফেললাম।
আরে এ তো ইনু!
ফাজিল একটা! এ তো কম্বলের নিচে ঢুকে ঘেষাঘেষি করছে পায়ের সাথে।
চোখ মুখ গরম করে তাকিয়ে আছি ইনুর দিকে।
ইনু এমন একটা লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে যেন সে আগেভাগেই বোমা ফাটার ইঙ্গিত পাচ্ছে।
—“ইনুর বাচ্চা! আমার এতো স্বাধের ঘুম এভাবে কেউ ভাঙতে বলেছিলো? তোরে কোন পাগলে বলেছিলো কম্বলের নিচে ঢুকে আমাকে গুতাগুতি করতে?”
—“মিঁয়াও!”
—“তো কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে পারলি না? আমি কি মরে গেছি? ওই দুই বেয়াদবের জ্বালায় সারারাত ঘুমাতে পারি নাই এখন তোরে কেমনে আমি ঘুরাতে নিয়ে যাবো?”
—“মিঁয়াও!”
—“কিহ তুই বাইরে এক খরগোশ দেখেছিলি?”
—“মিঁয়াও।”
অসহায় দৃষ্টিতে ইনুর দিকে তাকালাম।
এই বদ ইনু তার লাইন মারার গল্প শুনাতে আমার ঘুম ভাঙ্গালো?
এখন আমি হাসবো নাকি কাঁদবো ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না।
ঘুম থেকে উঠে চেঁচামেচির কারণে মাথাটা ধরে গেলো।
দুই হাত দিয়ে মাথা চেপে ধরে বসে রইলাম, তখনই হিদ, জিনিয়া আর আহিরা(নিহান ভাইয়ার কাজিন) আপু রুমে ঢুকলো।
আমাকে এভাবে মাথা ধরে বসে থাকতে দেখে হিদ চিন্তিত সুরে বললো,
—“কিরে এভাবে মাথা ধরে বসে আছিস কেন?”
—“হুট করে ঘুম ভাঙ্গার কারণে মাথাটা ধরে গেছে দোস্ত।”
—“ওমা বলো কি নাফি। দাঁড়াও আমি নিচে গিয়ে কফির ব্যবস্থা করে আসি।(আহিরা আপু)
—“আরে না আপু আমি ঠিকাছি এসবের দরকার নেই।”
—“নো কথা। আমি গেলাম।” বলেই আহিরা আপু বেরিয়ে গেলো কফি আনতে।
জিনিয়া আর হিদ বেডে এসে বসলো।
হিদ ইনুর থেকে কিছুটা দুরত্ব বজায় রেখে বসলো কারণ হিদ ইনুকে ভয় পায়।
ইনুও সেটার মজা নেয় কিন্তু আজ সে লাইন মারা চিন্তা নিয়ে ব্যস্ত।
বদ কোথাকার!
জিনিয়া ইনুর গাল টেনে ইনুকে নিজের কোলে বসিয়ে দিলো।
আমি ওদের বসতে বলে ওয়াশরুমে গেলাম ফ্রেশ হতে।
ফ্রেশ হয়ে এসে দেখি আহিরা আপু কফি নিয়ে হাজির যা থেকে ধোঁয়া উড়ে আসছে।
আমি গিয়ে কফিটা নিয়ে ছোট্ট করে ধন্যবাদ দিলাম।
কফিতে চুমুক দিতে দিতে বললাম,
—“কয়টা বাজে?”
—“৩টা।”
—“ওহ লাঞ্চ করোনি?”
—“সবে লাঞ্চ করে এখানে আসলাম। ও হ্যাঁ ভালো কথা, নাফিহা তোকে নিহান ভাই বলেছে কফিটা সেরে নিচে গিয়ে খেয়ে নিতে।”
—“কিহ! ৩টা। আমি এতক্ষণ ঘুমালাম তোমরা কেউ জাগালে না? নিশ্চয়ই ঘুরেও এসেছো?” মুখ গোমড়া করে বললাম।
—“আরে না। আজকে বিকাল অব্দি সবাই রেস্ট নিবে। আঙ্কেল আন্টি এমন লং জার্নি করে টায়ার্ড আর তুইও ঘুমাচ্ছিস দেখে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান বাতিল করে রেস্ট নিয়েছি।”
আমি ছোট করে “ওহ” বললাম।
মারিয়া এসে ইনুকে নিয়ে রিসোর্টের পিছের বাগানে গেলো খেলতে।
রিসোর্টটা বেশ বড় এবং খুব সুন্দর।
আমাদের রুমটা সাদা এবং রেড রঙের কম্বিনেশনে সাজানো।
যাকে বলে ফার্নিচার, বেড, ব্ল্যাঙ্কেট থেকে শুরু করে দেয়ালের কালারও।
পুরো রিসোর্টটা বিভিন্ন কালার এবং শো-পিজে ডেকোরেশন করা।
লাঞ্চ করে পুরোটা রিসোর্ট ঘুরে ঘুরে দেখেছি।
লাঞ্চের সময় নিহান ভাইয়াকে আশেপাশে দেখিনি।
সে যেখানে ইচ্ছে যাক আমার কী?
আন্টি আমার পাশে বসে থেকে খাইয়ে দিয়েছে, আমার পাতে এটা সেটা তুলে দিয়েছে।
আন্টির এমন কেয়ারিং আমার ভিষণ ভালো লাগে।
এতো কেন ভালো সবাই? ইয়ে মানে সবাই না নিহান ভাইয়া আর ওই আপুটা বাদে।
ওই আপুটার নামটা মনে আসছে না।
হয়তো ভাবছেন আমি কার কথা বলছি, সময় আসুক আপনারা নিজেরাই জেনে নিবেন।
হিদের কাছে জেনেছি বিকালে নাকি আমরা সমুদ্র দেখতে বের হবো।
এরপর আবার সন্ধ্যায় রিসোর্টে ফিরবো, আবার রাতে বারবিকিউ পার্টি হবে রিসোর্টের পেছনের বাগানটায়।
আমি তো বেশ এক্সাইটেড।
এদিকে রুমে গিয়ে দেখি জিনিয়া, মারিয়া আর ইনু বেশ সেলফি তুলছে।
ওদের কান্ডে আমি ফিক করে হেসে দিলাম।
আহিরা আপু কিছুক্ষণ বাদে এসে জানালো যেন আমরা তৈরি হয়ে নেই কারণ, আছরের নামাজের পরেই আমরা বের হবো।
আহিরা আপুর সাথে মারিয়া বেরিয়ে গেলো।
মারিয়া চলে যেতেই জিনিয়া একটা ড্রেস নিয়ে ওয়াশরুমে চেঞ্জ করতে গেলো।
আমিও ততক্ষণে চেঞ্জ করে অন্য একটা ড্রেস পরে নিলাম।
লম্বা চুলগুলো ছেড়ে দিলাম।
হঠাৎ কিছু একটা মনে পরতেই হিদের রুমের দিকে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে গেলাম।
সিঁড়ির দিকে যাওয়ার সময়ই পেছন থেকে কেউ আমার মুখ চেপে এক রুমে নিয়ে ঢুকিয়ে দিলো।
তার থেকে ছাড়া পেতেই পিছে ফিরে দেখলাম নিহান ভাইয়া।
আমি একটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে রেগেমেগে বললাম,
—“সমস্য কি আপনার? যখন তখন হুট করেই এভাবে ভূতের মতো এন্ট্রি নিয়ে টেনে আনেন কেন?”
—“এক্সকিউজ মি! কি বললি তুই আমি ভূতের মতো এন্ট্রি নেই? দেখ আমি কাজ ছাড়া আজাইরা কথা বলতে তোরে রুমে আনিনি ওকে! এখন আসল কথা শোন?”
—“কি কথা?”
নিহান ভাইয়া আমার দিকে এগিয়ে আসতেই আমি ভয়ে পিছের দিকে চলে আসলাম।
—“এই আপনি আমার দিকে এগোচ্ছেন কেন?”
হুট করে নিহান ভাইয়া থেমে গেলেন, আমিও থেমে গেলাম।
আমি থামতেই উনি ধপাধপ পা ফেলে আমার সামনে এসে আমার মাথায় ঘোমটা দিয়ে দিলো এবং কিছুটা দূরে সরে দাঁড়ালো।
সব কিছু এতো জলদি হলো যে সবটা মাথার উপর দিয়ে গেলো।
আমি চোখ বড় বড় করে নিহান ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে আছি।
উনি গলা পরিষ্কার করে বলে,
—“চুল ছেড়ে বের হবি না। হিজাব পরে, পরিপাটি হয়ে বের হবি নয়তো তোরে আমি কয়লার কালি মুখে ভালোভাবে লাগায় দিবো।”
নিহান ভাইয়ার কথায় মেজাজ গরম হয়ে গেলো।
আজ যেন আমার সহ্যের সীমা পার হয়ে গেলো।
—“আগে কয়লা দেখান। কি ভাবসেন আপনি আমাকে, হাতের মোয়া? সবকিছুর প্রতি শুধু জোর খাটাবেন তাও আপনার ডিসগাস্টিং থ্রেড দিয়ে? আমি আপনার কোনো কথা শুনতে বাধ্য নই। চুল ছেড়ে যাবো কি হিজাব পরে যাবো তা সম্পূর্ণ আমার পার্সোনাল ব্যাপার।”
ভেবেছিলাম নিহান ভাইয়া আমার কথা রেগে যাবেন, কিন্তু নাহ।
উনি আমার আশায় জল ঢেলে দিয়ে বেডবক্সের একটা ড্রয়ার খুলে হাতে কিসের একটা পলিথিন নিলেন।
আমি ভ্রু কুচকে তাকালাম সেদিকে মুহূর্তেই চোখদুটো বড় বড় হয়ে গেলো।
কি যেন কালো কালো দেখা যাচ্ছে ওনার সেই পলিথিনে।
এর মানে কি সত্যি সত্যিই?
ভেবে বেশ কয়েকবার শুকনো ঢোক গিললাম।
নাহ পালাতে হবে এখানে আর থাকা যাবে না।
বলেই পিছে ফিরে দরজার দিকে যেই দৌড় লাগাবো ওমনি আমার হাতে টান লাগলো।
নিহান ভাইয়া আমার হাত টান দিয়ে আমাকে তার সামনে দাঁড় করালো।
আমি হাত ছাড়ানোর চেষ্টা চালাতে চালাতে বলি,
—“স..সরি ভাইয়া আর কখনো কিছু বলবো না এমনকি পরিপাটি হয়ে বের হবো তাও এই কালি আমার মুখে লাগাবেন না। দেখুন সবাই কিছুক্ষণ পর বের হবে, আমারও তো রেডি হতে সময় লাগবে..”
এমন নানান এক্সকিউজ দিতে লাগলাম কিন্তু হিটলারটাও এক নাম্বারের ঘাড়ত্যাড়া!
ঠিকই আমাকে ওই কালো জিনিসটা পুরো মুখে লাগিয়ে তবেই ছাড়লো।
মুখ লাগিয়ে দিতেই আমি ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কেঁদে দিলাম, আমার ইজ্জত শেষ আল্লাহ! তুমি আমারে উঠায় নাও নয়তো এই হিটলারটাকে একটা উচিত শিক্ষা দেও আল্লাহ এএএএ।
—“ওরে কে কোথায় আছো দেখে যাও, ২২ বছরের যুবতী মেয়ে বাচ্চাদের মতোন ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কাঁদছে। এখন কাঁদ! বেশি বেশি কাঁদ! তোরে আমি আগেও সাবধান করেছি কিন্তু তুই তো ত্যাড়া টাইপ, সোজা কথা কোনোকালেই কান দিয়ে ঢুকবে না। এখন দেখ রাগ উঠলে তোরে কি কি করতে পারি? ভাগ্য ভালো তোর, তুই এখনো আমার হাতে স্পাইসি মাসালা স্পেশাল থাপ্পড়টা খাস নি! এখন রুম থেকে বের হ! আবার যদি আমার কথা কানে না নিসিছ, তাহলে এই কালি মার্কা চেহারাটা আয়নায় বারবার দেখিস!
বলেই হনহন করে বেলকনির দিকে চলে গেলো।
আমি কান্না থামিয়ে ওড়না দিয়ে মুখ ঢেকে নিজের রুমের দিকে চলে গেলাম।
জিনিয়া নিজের সাজগোজে ব্যস্ত থাকায় আমাকে ওয়াশরুম যেতে খেয়াল করেনি।
আমি রাগে-ক্ষোভে মুখ ভালোভাবে ধুঁয়ে নিলাম।
কিন্তু একি, আমি তো ভেবেছিলাম এই এই কালি রঙ ওঠাতে আমার ঘন্টাখানেক সময় লাগবে।
কিন্তু এ যে এক ঝাপটা পানিতেই উঠে গেছে।
ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুঁয়ে তোয়াল দিয়ে মুছতে মুছতে বেরিয়ে গেলাম ওয়াশরুম থেকে।
হিজাব পরেই বের হয়েছি আমি।
হেঁটেই যাচ্ছি আমরা কারণ রিসোর্ট থেকে সি বিচ বেশি দূরে নয়।
সামনে পিছে অনেক মানুষজন।
আমি হিদের সাথে হাঁটছি আর জিনিয়া আহিরা আপুদের সাথে।
ইনুকে আন্টির কাছে রেখে এসেছি।
বের হওয়ার পর থেকে একবারও নিহান ভাইয়ার দিকে ফিরেও তাকাইনি কথা বলা তো দূরে থাক।
আজ উনি আমাকে চরম অপমান করেছে চরম!
এদিকে হিদ এটা সেটা বলে বকবক করেই চলেছে, আমি মুখে একটা কৃত্রিম হাসি ঝুলিয়ে হ্যাঁ তে হ্যাঁ আর না তে না বলছি।
★
—“তুমি কি জানো আমার প্রেয়সী, তোমার এই মেরিন হিজাবে তোমার সেই রক্তিম মুখখানা কতোটা সুন্দর দেখাচ্ছে? তোমার হরিণী টানা চোখে সূর্যের আলোয় চকচক করছে। সাজবিহীন মুখমন্ডলটি যেন সূর্যের স্পর্শে লালে ঝিলিক মারছে বিজলী চমকানোর মতো। ভালোবাসি প্রেয়সী। অনেক আগে থেকেই যে তুমি আমার এই নিষ্পাপ হৃদয়কে চুরি করে নিয়েছো তোমাদের হৃদয়ের গভীরে। তাই তো তোমাকে দেখার তৃষ্ণায় বারংবার তোমার কাছে ছুটে আসি তোমার কাছে। ভালোবাসি! অনেক বেশি ভালোবাসি।”
নাফিহার অজান্তে কেউ একজন তাকে গভীর পর্যবেক্ষণ করে তারই চিন্তায় বিভোর ছিলো।
চলবে!!!
বিঃদ্রঃ ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। গঠনমূলক মন্তব্যের প্রত্যাশায় রইলাম।