অশান্ত বসন্ত পর্ব-২৮•২৯

0
637

(২৮ আর ২৯ পর্ব দুটো একসাথে)
*************************************

#অশান্ত বসন্ত।
(২৮ পর্ব)
জয়া চক্রবর্তী।
*******************
কলিং বেল বাজাতেই শিখা এসে দরজা খুলে দিলো।মিষ্টি হেসে বললো,’এসো’।বরুন সাহা বুঝতে পারছে আর এক দুই মাসের ভিতরে বরুন সাহাকে আর প্রয়োজন পরবেনা শিখার।

বরুন সাহাকে বসতে বলে শিখা ঘরের বাইরে গেলো ।শিখার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে হঠাৎ কেমন একটা মন খারাপের সুর বেজে উঠলো বরুন সাহার মনে।

এমনটা তো হওয়ার কথা নয়।এর আগে কতো পেশেন্ট সুস্থ হয়েছে বরুন সাহার হাত ধরে।
“নিত্য যেথায় আনাগোনা /হয়না সেথায় চেনাশোনা /উড়িয়ে ধুলো আসছে কতোই জন”।

ধোঁয়া ওঠা এক কাপ কফি এনে হাজির করলো শিখা।বরুণ সাহার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো,’খাও’।
বরুন সাহা বললো,’কেন করতে গেলে কফি?আমি কি কফি খাবো বলেছি?এইভাবে সময় নষ্ট করবার কোনো মানে হয়!আমার তো বাঁধা সময়।এরপর সেন্টারে ছুটতে হবে।আর কখনো আমায় জিজ্ঞেস না করে এমন কিছু করবে না’।

বরুণ সাহার কথাতে শিখার বড়ো বড়ো চোখ দুটো নিমেষে জলে ভরে গেলো।ব্যাপারটা খেয়াল করতেই বরুণ সাহা অস্থির হয়ে পরলো। বুঝতে পারলো,এভাবে কথা বলাটা একেবারেই ঠিক হয়নি। কিন্তু কি করবে,ভালো লাগাটা যেন বেড়েই যাচ্ছে অজান্তে।নিজেকে বাঁধা দিতেই অহেতুক রাগ দেখানো।কিন্তু তাবলে শিখাকে কষ্ট দিতে চায়নি।

শিখাকে খুশি করতে গিয়ে তাড়াতাড়ি কফিটায় চুমুক দিয়ে বললো,’আরে দারুণ বানিয়েছো তো কফিটা।কাল থেকে আমার কিন্তু রোজ এমন কফি চাই’।

শিখা উওর না দিয়ে জানালার সামনে গিয়ে বাইরের দিকে শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো ।বরুন সাহার বুকের ভিতরটা কেমন যেন মোচড় দিয়ে উঠলো।কেন যে ওই ভাবে বলতে গেলো!

তিনি এগিয়ে গিয়ে শিখার হাতটা নিজের মুঠোয় নিয়ে বললো,’স্যরি,আর এভাবে বলবোনা’।বরুণ সাহার কথায় শিখার গাল বেয়ে জল নামতে লাগলো।

বরুন সাহা হাত দিয়ে চোখের জল মুছিয়ে দিলো যত্ন করে।শিখা হঠাৎই বরুন সাহাকে জড়িয়ে ধরলো। প্রথমে বরুন সাহা বুঝতে পারছিলো না কি করবে!

কিন্তু যাকে ভালো লাগে তার স্পর্শ শুধু শরীর নয় মনকেও ছোঁয়।তাই বরুন সাহা নিজেও শিখাকে আঁকড়ে ধরে শিখার কাঁধে মুখ গুজলো।

পিউ ঘুম থেকে উঠলেও বিছানা ছাড়তে মন চাইছে না ওর।শুয়ে শুয়ে ল্যাদ খাচ্ছে।দাদাভাই সকালে অফিসে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ডেকে বলে গিয়েছিলো।ঘুম চোখেই বাই করেছে দাদাভাইকে।

সৃঞ্জয়ের সাথে বিকেলে দেখা করবার কথাটাও জানাতে পারেনি দাদাভাইকে।ঠিক করলো দুপুরের দিকে ফোন করে জানিয়ে দেবে।

শুয়ে শুয়েই হাত বাড়িয়ে টেবিল থেকে ফোনটা নিলো।নেট অন করতেই নোটিফিকেশনের বন্যা। পিউ হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ চেক করতে গিয়ে দেখে সৃঞ্জয়ের নাম্বার থেকেও মেসেজ আছে।

ইনবক্সে ঢুকে দেখলো,সৃঞ্জয় একটা মেইল এর স্ক্রিনশট পাঠিয়েছে। তাতে লেখা যে সৃঞ্জয়ের আজকের ছুটিটা কেন্সেল নেক্সট উইক চাইলে ছুটি নিতে পারবে।আর স্ক্রিনশটটার নীচে অনেক স্যাড ইমোজি।

পিউ লিখলো,’তাতে কি?নেক্সট উইক দেখা করবো আমরা’।দেখলো মেসেজটা সিঙ্গেল টিক হয়ে পরে রইলো।তারমানে এখন সৃঞ্জয় অফিসে, তাই ওর নেট অফ আছে। পিউ মনে মনে ভাবলো ভালোই হয়েছে।পরিচিতি পর্বটা আর একটু এগোক হোয়াটসঅ্যাপের হাত ধরে।তারপর না হয় মুখোমুখি হোক দুজন।

আড়মোড়া ভেঙে বিছানা ছাড়লো পিউ।বেসিনের সামনে দাঁড়িয়ে চোখে মুখে জল দিলো।তারপর ব্রাশে পেস্ট নিয়ে দাঁত মাজলো সময় নিয়ে।রান্নাঘর থেকে ছ্যাক ছুক আওয়াজ আসছে।কিছু মনে হয় ভাজা টাজা হচ্ছে।

পিউকে দেখে মাসি বলে উঠলো,’ফ্লাক্সে চা বানানো আছে,ঢেলে নাও’,পিউ বললো,’চা খাবো না আর এখন’।মুখ ধুয়ে ফ্রিজ খুলে দুধে ভিজিয়ে রাখা ওটসটা বের করে একটা কলা টুকরো করে কেটে ওপরে দিলো,সাথে কয়েকটা আমন্ড আর কাজু।
কিছুদিন ধরে এটাই খাচ্ছে পিউ।

বরুণ সাহা দাদার ঘরে শিখাদিকে স্পিচ থেরাপি দিচ্ছে।পিউ দাদার ঘরে মুখ বাড়িয়ে বললো,’সুপ্রভাত বরুন দা’।
বরুন সাহা যেদিন থেকে ফ্ল্যাটে থেরাপি দিতে আসা শুরু করেছিলেন,সেদিন থেকেই পিউয়ের সাথে ভাব হয়ে গিয়েছিল।
কারন সেদিন দরজাটা পিউই খুলেছিলো।আর অচেনা লোক দেখে জিজ্ঞেস করেছিলো,’কি নাম আপনার?”,বরুণ সাহা নিজের নাম বলাতে, পিউ বলে ওঠে,’দাদাভাই বরুন দা এসেছে,ভিতরে কি ঢুকতে দেবো?’

পল্লব আর বহ্নি তাড়াতাড়ি দরজায় এসে সসম্মানে ওনাকে ঘরে বসান,পিউকে বলেন যে উনি শিখার স্পিচ থেরাপির স্যার।পিউ হেসে বলে,’আমি তো তোমাকে বরুণ দাই ডাকবো। বরুণ সাহা হেসে বললো,’নাম কি তোমার?’,উত্তরে পল্লব জানায়,’ওর নাম পিউ,আমার একমাত্র বোন’,বরুন সাহা হেসে বলেন,’আজ থেকে আমারও ‘।

খেতে খেতে মাকে ফোন করলো পিউ।সৃঞ্জয়ের কথাটা জানাবে ভাবলো।কিন্তু ফোন বেজে বেজে কেটে গেলো কেউ ধরলো না। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বুঝলো এই সময় তার মা স্নানের ঘরে।

অনেকদিন রেওয়াজে বসেনি পিউ।ব্যাঙ্গালোরে কলেজে ভর্তির পরেই দাদা তানপুরা কিনে দিয়েছিলো। সেটাকে নিয়ে রেওয়াজে বসলো।চোখ বুজে বৃন্দাবনী সারং ধরলো।সুরের মূর্ছনায় মেতে উঠলো পরিবেশ।

রবীন্দ্রনাথের গানে রাগ রাগিনীর বিশেষ ভূমিকা আছে।বাল্যকালে শোনা বিভিন্ন রাগ রাগিনীর প্রভাব পরেছে তাঁর সঙ্গীতে।
এক একটা গানে একাধিক রাগ ব্যবহার করেছেন তিনি।তাই পিউকে মূলতঃ রবীন্দ্র সঙ্গীত শেখালেও শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ওপরেও জোর দিতেন পিউয়ের মাস্টারমশাই।

উনি বলতেন,’রবীন্দ্র সঙ্গীত ভালো গাইতে হলে রাগ রাগিনীর প্রকৃতি বুঝতে হবে,আয়ত্তে আনতে হবে,তবেই সঠিক অর্থে কিছু শিখবে’।
পিউ যখন তানপুরা নামিয়ে চোখ খুললো, দেখলো বরুন দা,শিখাদি পিউয়ের ঘরে।

(চলবে)

#অশান্ত বসন্ত
(২৯পর্ব)
জয়া চক্রবর্তী।
*****************
সকাল থেকে এক নাগারে বৃষ্টি পরে চলেছে।থামবার নামই নিচ্ছে না। বৃষ্টির ভিতরেই পল্লবকে অফিসে যেতে হলো। রান্নার মাসি ফোন করে জানিয়েছে, এতো বৃষ্টিতে আসতে পারবে না।পল্লব খাওয়ার অর্ডার দিতে ফোন করেছিলো। কিন্তু সার্ভিস নট এভেইলেভেল। পিউ বলেছে,’চিন্তা করতে হবে না। আমি আর শিখাদি মিলে কিছু একটা খাওয়ারের ব্যবস্থা করে নেবো’।

পল্লব চলে যেতেই পিউ ব্যলকনিতে গিয়ে দাঁড়ায়।
বৃষ্টির ছাট ওর চোখে, মুখে গায়ে এসে লাগে। পিউও চোখ বুজে বৃষ্টির আদর উপভোগ করতে থাকে।
শিখা নিজের মতো আঁকছে তবে মাঝেমধ্যেই দরজার দিকে ওর চোখ চলে যাচ্ছে । হঠাৎই কলিংবেল বেজে উঠলো। পিউ ভাবলো, রান্নার মাসি তো আসবে না বলেছে তাহলে কে আসলো!

ততোক্ষণে শিখা গিয়ে দরজা খুলে দিয়েছে। পিউ উঁকি মেরে দেখলো বরুন দা। হাতের ছাতাটা দিয়ে যেমন টুপটুপ করে জল পরছে, ঠিক তেমনই জল বরুন দার গা দিয়েও পরছে। এইরকম কাক ভেজা হয়ে ক্লাস নিতে এসেছে বরুন দা!অবাক লাগলো পিউয়ের।

ততোক্ষণে শিখাদি বরুন দা কে টাওয়াল ধরিয়ে দিয়েছে। পিউ বললো , ‘বরুন দা তুমি বরং স্নান করে নাও,আমি দাদার একটা জামা প্যান্ট নামিয়ে দিচ্ছি।যেভাবে ভিজে এসেছো’। ‘সেটাই করতে হবে’,বলে বরুণ দা বাথরুমে ঢুকে গেলো।

পিউ দাদার ওয়াড্রব খুলে একটা পায়জামা-পাঞ্জাবি বের করে শিখাকে দিলো তারপর কিচেনে গেলো কফি বানাতে।

বাথরুমে দুবার টোকা দিতেই বরুন সাহা টাওয়াল পরে বেরিয়ে আসলো।শিখা বরুণ সাহার দিকে তাকাতেই ওর চোখটা -ঠোঁটটা তিরতির করে কেঁপে উঠলো যেন।
চোখ নামিয়ে নিয়ে বরুন সাহার দিকে হাত বাড়িয়ে পায়জামা-পাঞ্জাবি এগিয়ে দিয়ে বললো,’পরে নাও’।বরুন সাহা শিখার হাত থেকে পাঞ্জাবিটা নিয়ে মাথা দিয়ে গলিয়ে নিলো,তারপর পায়জামা পরে টাওয়ালটা মেলতে গেলো ব্যলকনিতে।

এক নাগাড়ে তখনো বৃষ্টি পরছে। বরুন সাহা আগে কখনো কারো জন্য এতোটা উতলা হয়ে ওঠেনি। কি আছে এই মেয়েটার ভিতর! একদিন যাকে না দেখলে অস্থির লাগে।

সকাল থেকে অঝোরে বৃষ্টি হচ্ছে দেখে ঠিক করেছিলো আজ আর বের হবেনা। সেই অনুযায়ী সেন্টারেও ফোন করে দিয়েছিলো। কিন্তু শিখার চোখ দুটো যেন দূর থেকে চুম্বকের মতোই টানছিলো বরুন সাহাকে। কিছুতেই এড়াতে পারছিলো না এই দুনির্বার আকর্ষণ।

অগত্যা বের হতেই হলো ওকে।গাড়ি নিয়ে বের হওয়া সম্ভব নয় বুঝে ছাতা মাথাতেই এতোটা রাস্তা হেঁটে এসেছেন। এতো কিসের টান! সেটাই ভাবছিলো ব্যলকনিতে দাঁড়িয়ে।

‘গরমাগরম কফি হাজির।ভিতরে এসো বরুনদা। নয়তো বৃষ্টির ছাটে আবার ভিজে যাবে’, পিউয়ের কথায় বরুন সাহা ভিতরে আসলো। কফির কাপ হাতে তুলে দিতে দিতে পিউ বললো,’আজ তো আমাদের রান্নার মাসিও আসতে পারেনি।সকালে ফোন করে জানিয়েছে আসতে পারবেনা। তুমি কিভাবে আসলে বরুন দা? গাড়ি এনেছো নাকি?’

বরুন সাহা বললো,’এই বৃষ্টিতে গাড়ির চাকা স্কিড করতে পারে। তাই হেঁটেই আসতে হলো’। শিখা নিজেও চাইছিলো বরুন সাহা আসুক। সকালে বৃষ্টি দেখে ওর মন খারাপ হয়ে গিয়েছিলো।
শিখার মন চাইছিলো যেভাবেই হোক বরুন সাহা আসুক। বারবার চোখ চলে যাচ্ছিলো দরজার দিকে।
তবুও বরুন সাহা বৃষ্টির ভিতর ভিজে এতো কষ্ট করে এসেছে দেখে মনটা খারাপ লাগলো।

বরুণ সাহার দিকে তাকিয়ে বললো,’না আসতেই পারতে আজ’।শিখার মুখে ‘না আসতেই পারতে’কথাটা শুনে বরুন সাহার মুখটা নিমেষে গম্ভীর হয়ে গেলো।
এক চুমুকে কফির কাপ শেষ করে বললো,’পিউ দরজাটা আটকে দাও আমি চলে যাচ্ছি’।

পিউ বললো,’একদমই নয়।এতো বৃষ্টি মাথায় নিয়ে আসলে। এখুনি বের হলে শরীর খারাপ হবে’। তারচেয়ে বরং জল নামা অবধি আমাদের সাথেই থেকে যাও।
একটু থেমে বললো,’তাছাড়া আমায় একবার বিকেলে না বের হলেই নয়। আমি বেরিয়ে গেলে শিখাদি একা পরে যাবে, খুব অসুবিধা না থাকলে থেকে যাও প্লিজ’।

‘সেকি এই বৃষ্টিতে তুমি আবার কোথায় যাবে?’,বরুন সাহার কথায় পিউ বলে, ‘সৃঞ্জয় আসার কথা।না আসলে অবশ্য বের হবোনা’।বরুন সাহা জিজ্ঞেস করলো,’কে সৃঞ্জয়?তোমার বন্ধু?’,পিউ হেসে বললো,সৃঞ্জয় আমার মায়ের বান্ধবীর ছেলে।আমার সাথে বিয়ের কথাবার্তা চলছে।আজকেই প্রথম মুখোমুখি বসে কথা বলবার কথা।আর দেখো আজকেই বৃষ্টিটা হতে হলো’।

বরুন সাহা বললো,’বিকেল হতে অনেক দেরি। ততোক্ষণে নিশ্চয়ই বৃষ্টি থেমে যাবে। আর জল ও নেমে যাবে। তাছাড়া দেখা করবার ইচ্ছের তীব্রতাটা প্রবল হলে দেখবে এই বৃষ্টির বাঁধাটা কোনো বাঁধাই নয়’। কথাটা বলতে বলতে শিখার দিকে চাইলো বরুন সাহা।
দেখলো শিখার চোখ দুটো বরুন সাহাকেই ছুঁয়ে আছে।

পিউ বললো,দুপুরে কি খাবে বলো বরুন দা? ম্যাগি না স্যান্ডউইচ? চাইলে জ্যাম পাউরুটি উইথ ডিম সেদ্ধ ও দিতে পারি। বরুন সাহা বললো,’কিন্তু মন চাইছে যে খিচুড়ি খেতে, চলো আজ আমিই খিচুড়ি বানিয়ে খাওয়াবো তোমাদের’।

পিউ সোজা হয়ে বসে বললো,’পারো বানাতে? তাহলে তো দারুণ হবে। জমে যাবে দিনটা’। শিখা থেমে থেমে বললো,’আমি মাকে বানাতে দেখেছি। মনে হয় আমি বানাতে পারবো’। পিউ লাফিয়ে উঠলো রীতিমতো।বললো, ‘শিখাদি তুমি তো ভালোই কথা বলতে পারছো’।

বরুন সাহার চোখেও জয়ের ঝিলিক।
হেসে বললো,’এতো বড়ো কথা বলার খুশিতে খিচুড়িটা আমিই বানাবো।পাপড় আছে কি?’পিউ বললো,’না থাকলেও অসুবিধা নেই।খিচুড়ির সাথে পেঁয়াজ,কাঁচালঙ্কা কুচি দিয়ে ডিমের মামলেট ও জমে যায়’। শিখা বললো,’মামলেটটা আমি বানাবো’।

বরুন সাহা বললো,’আগে আমাকে চাল ডাল সব কোথায় আছে দেখাও।গোবিন্দভোগ চাল আর মুগডাল থাকলে বেশি ভালো হতো।না থাকলে অন্য চালে ডালে বানাতে হবে। সেটাতে কেমন লাগবে জানিনা।’

শিখার পিছনে পিছনে বরুণ সাহা ও কিচেনে গেলো।বরুন সাহা নিজেই কৌটো গুলো খুলে চেক করতে থাকে।অবশেষে সত্যিই পাওয়া গেলো গোবিন্দভোগ চাল আর মুগডাল।বরুণ সাহা শিখাকে জিজ্ঞেস করলো ফুলকফি কি আছে?শিখা বললো,ফ্রিজে দেখে আসছি।

দুপুরের আইটেম সত্যিই জমে গেলো,বরুণ সাহার বানানো ফুলকফি আলু দিয়ে খিচুড়ি আর শিখার বানানো মামলেট দিয়ে।

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here