#ভালোবাসা_এমনও_হয়
#Writer_Nusrat_Jahan
#Part_29
নামাজ শেষে
নীড়ঃ তো এখন ঘুমানো যাক
নেশাঃ হুম
নীড়ঃ তো তুমি খাটে শুয়ে পড়ো।।আমি সোফাতে শুচ্ছি
নেশাঃ সোফা তে কেন শুবেন??
নীড়ঃ তো কোথায় শুবো
নেশাঃ কেন খাটে
নীড়ঃ তোমার কোন প্রবলেম হবে নাহ তো
নেশাঃ আমার কিসের প্রবলেম হবে
নীড়ঃ ????
নেশাঃ উফফ এতো বড় খাটে শুলে কিছু হবে নাহ ওকে।।আর এইটা মুভি নাহ যে একসাথে শুলেই ওইসব হয়ে যাবে??
নীড়ঃ বাট আমি যদি কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলি তখন
নেশাঃ আপনি কিন্তু আমায় ভয় দেখাচ্ছেন
নীড়ঃ খুব দেখাচ্ছি।।আরো দেখাবো।।আর এইটা ভয় নাহ সত্যি।। পাশে যদি এতো সুন্দর রমনী থাকে তাহলে কন্ট্রোল হারিয়েও সার্থক ?
নেশাঃ ???
নীড়ঃ আচ্ছা আচ্ছা ভয় পেতে হবে নাহ কুল।।মজা করছিলাম।।ওকে আমি খাটেই শুচ্ছি।বাট আমার তো কোলবালিশ নিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস।। বাট আজ তো আর কারো রুম থেকে গিয়ে কোলবালিশ চাইতে পারবো নাহ।।তাই যদি ঘুমের ঘোরে কোলবালিশ বানিয়ে ফেলি তখন আবার রাগ করো নাহ কিন্তু??
নেশাঃ ধুর আপনার সাথে কথা বলাই বেকার।।গুড নাইট?
নেশা ধুম করে খাটের এক সাইডে গিয়ে শুয়ে পরলো।
নীড় ও গিয়ে লাইট অফ করে নেশার পাশে শুয়ে পরলো।
।
একটুপর
নেশাঃ এই ভাবে তাকিয়ে থাকলে আমার ঘুম হবে নাহ
নীড়ঃ তুমি কিভাবে বুঝলে আমি তাকিয়ে আছি।।তোমার চোখ তো বন্ধ
নেশাঃ আমার কেমন কেমন জানি ফিল হচ্ছে
নীড়ঃ তা কেমন কেমন ফিল হচ্ছে শুনি।আমি কি কোন হেল্প করতে পারি(হেসে)
নেশাঃ আচ্ছা আপনি আজ আমার সাথে এতো মজা করছেন কেন?
নীড়ঃ তোমাকে লজ্জায় ফেলতে খুব বেশি মজা লাগিছে তাই।।আচ্ছা এতোদিন এতো লজ্জা কোথায় ছিলো শুনি।।নাকি বিয়ে করলে মেয়েদের টুপ করে লজ্জা বেড়ে যায়।
নেশাঃ আর ছেলেদের লজ্জা কমে যায়(বিরবির করে)
নীড়ঃ কিছু বললে
নেশাঃ হুম বলেছি।।খুব ঘুম পাচ্ছে।।আর আপনি যদি এইভাবে তাকিয়ে থাকেন তাহলে আমার সারারাত ও ঘুম হবে নাহ
নীড়ঃ তাহলে তো ভালোই হয়।।আজ আর ঘুমিয়ে কাজ নেই।।চলো দুইজন মিলে রাত জাগি
নেশাঃ গুড নাইট(বলেই নীড়ের দিক থেকে ঘুরে অন্যদিকে শুয়ে পরলো)
নীড়ঃ খুব ইচ্ছা করছে তোমায় জড়িয়ে ঘুমাতে।। খুব কি অন্যায় হবে তাতে নেশা।।কিন্তু তুমি তো?থাক সময় চেয়েছো দিলাম।।তুমি আমার সাথে আছো এটাই অনেক আমার কাছে।একটু একটু করে ঠিক তোমার মনে ভালোবাসা জাগিয়ে তুলবো আমার জন্য।সেইদিন দেখবে আমার থেকেও বেশি ভালোবাসবে তুমি আমাকে(মনে মনে)
।
।
মাঝরাতে নীড়ের ঘুম ভেঙে গেল।।পাশে নেশা কে পেল নাহ।
ভালো করে খেয়াল করে দেখলো নেশা বারান্দায়। নীড় ও উঠে সেখানে গেল।
নীড়ঃ কি হলো এখানে বসে আছো?
নেশাঃ এমনি ঘুম আসছিলো নাহ।।আপনি উঠে এলেন কেন?
নীড় কিছু নাহ বলে নেশার পাশে গিয়ে বসলো।
নীড়ঃ কাঁদছো ভালো কথা।।বাট আমার থেকে লুকানোর দরকার ক্য
নেশাঃ কই কাঁদছি।।
নীড়ঃ আমি তোমাকে চিনি নেশা।।আমার থেকে লুকানোর দরকার নেই।
নেশাঃ আপনার সাথে আমি খুব অন্যায় করছি তাই নাহ নীড়?
নীড়ঃ এমনটা মনে হওয়ার কারন??
নেশাঃ আমি খুব সেল্ফিস তাই নাহ।।আমি নিজের জন্য আপনাকে কষ্ট দিচ্ছি।।আপনি একটা ভালো মেয়েকে বিয়ে করতে পারতেন যে কিনা আপনাকে খুব ভালোবাসতো।।অথচ আমি???
নীড়ঃ তুমি ও তো আমাকে ভালোবাসো তা আমি জানি নেশা।
নেশাঃ আমি!!!!
নীড়ঃ আচ্ছা ঠিকাছে।।হয়তো ওইভাবে এখনো ভালোবাসতে পারোনি।।কিন্তু ভালোবাসো।।না হলে আমার কথা ভেবে বুঝি এতো রাতে কান্নাকাটি করতে নাকি
নেশাঃ ?!!!!!!
নীড়ঃ আচ্ছা বাদ দাও।।তো এখন কি সারারাত কান্না করার প্লেনই আছে নাকি
নেশাঃ হু
নীড়ঃ আজব মানুষ তো তোমরা মেয়েরা।।তোমাদের চোখের ভিতর কি টাংকি ফিট করা থাকে নাকি পানির।। এতো কান্না করো কিভাবে?
নেশাঃ এটা কি জোক ছিলো?
নীড়ঃ নাহ আমি সত্যি জানতে চাচ্ছি।।বাড়ি থেকে আসার সময় ও কাঁদলে আবার এখনো কাদছো।।আচ্ছা তোমাদের মানে মেয়েদের আরকি কতো লিটার পানি ভরে ওই টাংকি তে?
নেশাঃ আপনি কি এখান থেকে যাবেন?
নীড়ঃ ওকে বাবা যাচ্ছি যাচ্ছি।।তুমি কাঁদো।
নীড় চলে গেল।।নেশার কেন যেন রাগ উঠছে।
নেশাঃ আমি কান্না করলেই খালি মজা করছে আজব মানুষ তো।।ধুর কান্না করার মুড টাই চলে গেছে।।এখন আর এখানে বসে কি করবো।।ধুর
কেউ কি কিছু বুঝলো নীড় কেন এই মজা গুলো করেছে?
নেশা ধপ করে গিয়ে খাটে শুয়ে পরলো
নীড়ঃ আরে আরে কি করো কান্না শেষ তোমার
নেশাঃ নীড় আপনি যদি আরেকটা কথা বলেন আমি নিজও জানি নাহ আমি কি করবো?
নীড়ঃ আচ্ছা আচ্ছা রাগতে হবে নাহ।।শোন নাহ একটা কথা বলি তোমায়৷ রাগ দেখাবা ভালো কথা।।বাট আমার রাগ আমার উপর দেখাবা।।এই বোবা জাতির উপর টর্চার করে কি লাভ
নেশাঃ মানে!!!!!!!!!
নীড়ঃ আরে আমি খাটের কথা বলছি।দেখো তুমি এতো জোরে বসলে খাটটা তো ব্যাথা পেল তাই নাহ
নেশাঃ ???
নীড়ঃ আরে আরে ফুফাচ্ছো কেন।।আচ্ছা আচ্ছা আমি এই চুপ করলাম?
নীড় চুপ করে গেল।।কারন নেশা যেই পরিমানে রেগেছে এখন নীড়কে খুন ও করে ফেলতে পারে
।
।
।
সকালে
নেশার ঘুম ভেঙে গেল।।ঘুম থেকে উঠেই নিজেকে অন্য একটা জায়গায় আবিষ্কার করলো।।জি নীড়ের বুকে আর কোথায়?।
নেশাঃ আমি এখানে কেন?।রাতে কখন ঘুমিয়েছি তাও তো মনে নেই।।বাট আমি তো ঘুমের মাঝে এতো নড়াচড়া করি নাহ।।তাহলে এখানে আসলাম কিভাবে।।ধুর বাবা যাই হোক।।এতো ভেবে লাভ নাই।।চুপচাপ উঠে পরি দেখলে আবার খোঁচা মারা শুরু করবে।।(নেশা কথাগুলো ভেবেই উঠতে যাবে নীড় আরো জোরে চেপে ধরলো।।)
নীড়ঃ মামনি আরো একটু ঘুমাতে দাও নাহ(চোখ বন্ধ করে ঘুমঘুম গলায়)
নেশাঃ ?তো ঘুমা নাহ আমি কি নাহ করেছি আমাকে ছাড়।
নীড় এতোটাই ঘুমের ঘোরে আছে যে নেশার গলা চিনতে পারেনি।।মানে খেয়াল করেনি আরকি।।
নীড়ঃ তোমাকে কে ধরেছে মামনি।।আর তুমি আমার কোলবালিশ টান দিচ্ছো কেন।।যাও এখান থেকে আমি ঘুমাবো(নেশাকে আরো শক্ত করে চেপে ধরে)
নেশাঃ এটা কি মানুষ নাকি আর কিছু।। একটা মানুষ আর একটা কোলবালিশের মাঝে তফাৎ বুঝতে পারছে নাহ।।দাড়া তোর হচ্ছে(মনে মনে)
নেশাঃ নীড়ড়ড়ড়???????
নীড়ঃ ককে কে কে(চমকে লাফ দিয়ে উঠে বসলো)
নেশাকে দেখে
নীড়ঃ কি হয়েছে চিৎকার করলো কেন?
নেশাঃ খুশি তে ঠেলায়?
নীড়ঃ ???
নেশাঃ আমাকে কি আপনার কোলবালিশ মনে হচ্ছে।।একটা মানুষ আর একটা কোলবালিশের মাঝে তফাৎ বুঝেন নাহ আপনি?
নীড়ঃ কেন কি হয়েছে
নেশা বুঝতে পারলো নীড়ের কিছুই মনে নেই।।
নেশাঃ গর্দভ একটা।।ধুর।।
নেশা উঠে ওয়াশরুমে চলে গেল।।
নীড় হেসে দিলো।।কি ভাবছেন নীড় ঘুমের ঘোরে এইসব করেছে।।আরে নাহ।।ঘুমের ঘোরে এইসব করেনি।।নেশা রাতে ঘুমানোর পরই নীড় তাকে জড়িয়ে ধরে ভেবেছিলো নেশা উঠার আগে ছেড়ে দিবে।।বাট ঘুম লেগে যায়।।বাট নেশা যখন একটু নড়াচড়া করে তখনই নীড়ের ঘুম ভেঙে যায়।।বাট নেশা যদি অন্য কিছু ভাবে তাই আই নাটক টা করে?।।
।
।
।
এইদিকে চৌধুরী বাড়ি
ঈশাঃ ও আমার জামাই ওঠো নাহ।।বাবু সোনা উঠো উঠো।।দেখ আমাদের রুমের ছাদ উড়ে গেছে তাড়াতাড়ি উঠো
ইশানঃ কিহ ছাদ??(উপরের দিকে তাকিয়ে)
ইশানঃ কিসব ফাজলামি হচ্ছে সকাল সকাল হুহ?
ঈশাঃ তো কি করবো তুমি উঠছো নাহ কেন
ইশানঃ সারারাত ঘুমাতে দাওনি।এখন একটু ঘুমাই।।চুপ থাকো
ঈশাঃ কিহ সারারাত আমি ঘুমাতে দেইনি?।।তুমি দাওনি সেটা বলো।।সে যাই হোক এখন উঠো
ইশানঃ ????
ঈশাঃ ইশাননননন????
ইশানঃ( লাফ দিয়ে উঠে)উফফ ঘুমের পিন্ডি চটকিয়ে দিলো মেয়েটা।।কি হয়েছে বলো
ঈশাঃ আমাদের খুদা লেগেছে?
ইশানঃ কিহ সকাল ৬ টা বাজে মাত্র।।এখনই খুদা লেগে গেছে
ঈশাঃ তুমি আমাকে খাওয়ার খোঁটা দিচ্ছো।।এয়্য্য্য্য?।।থাকবো নাহ এই বাড়ি।। চলে যাবো
ইশানঃ বাচা যাবে।।একদিনেই আমার অবস্থা টাইট করে দিলো?
ঈশাঃ তুমি এটা বলতে পারলে এয়্য্য্য্য্য্য????।।আমি কি রাতে কিছু খেয়েছি।।তাই তো খুদা লেগে গেছে?
ইশানঃ তো রাতে খেতে কে নাহ করেছিলো শুনি।। লজ্জায় যদি নাহ খান সেটা কার দোষ
ঈশাঃ জানি নাহ কিছু।।এখন কিছু নিয়ে আসো আমি খাবো?
ইশানঃ হুহ যাচ্ছি
ইশান গিয়ে কফি আর বিস্কুট নিয়ে আসলো।।কারন এখনো কেউ ঘুম থেকে উঠেনি।।সবাই বিয়ের অনুষ্ঠান নিয়ে খুব টায়ার্ড।। একসাথে দুইবিয়ে বলে কথা।তাই রিসেপশনিস্ট এর অনুষ্ঠান একদিন পরে একসপ্তাহ পিরে ঠিক করা হয়েছে।
ইশানঃ নাও খাও।।
ঈশাঃ বাহ বাহ।।কফি।।কে বানালো
ইশানঃ আমি
ঈশাঃ বাহ তুমি কফি ও বানাতে পারো।।আর কি কি বানাতে পারো শুনি
ইশানঃ আমি ঘুমাবো।।পরে কথা হবে।।
ঈশাঃ ?
ইশানঃ খাওয়া কমপিলিট?
ঈশাঃ হুম কেন
ইশানঃ পেট ভরেছে
ঈশাঃ হু
ইশানঃ কাম হেয়ার
ঈশাঃ কি?
ইশানঃ বললাম নাহ ঘুমাবো
ঈশাঃ তাতে আমি কি করবো ঘুমান
ইশানঃ বাহ রে বিয়ে করে এনেছি যখন তখন বউ ছাড়া ঘুমাবো কেন হ্যাঁ ?
ঈশাঃ ননহা আমি রখন শুবো নাহ???
ইশানঃ চুপ চেচাচ্ছো কেন।।সবাই তো সজাগ হয়ে যাবে
ঈশাঃ আপন……..
আর কোন শব্দ বের হলো নাহ।।ইশান ঈশার মুখ বন্ধ করে দিয়েছে।।কিভাবে করেছে তাও কি বলতে হবে এখন।।আপনারা বুঝেনিন???
।
।
।
।
এইদিকে
নেশা ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে দেখলো নীড় খাটের চারদিকে চার হাত পা ছড়িয়ে শুয়ে আছে।।
নেশাঃ এইভাবে শুয়ে আছেন কেন
নীড়ঃ তো কি করবো
নেশাঃ হয় উঠুন নাহ হয় ঘুমান
নীড়ঃ উঠতে চাই নাহ।।বাট ঘুমাতে চাই
নেশাঃ তো ঘুমান।।কে আটকাচ্ছে
নীড়ঃ ফর দেট আই ওয়ান্ট মাই মানুষবালিশ?
নেশা কিছু নাহ বলে ড্রেসিংটেবিল এর সামনে চলে গেল।
নীড় একহাতে ভর করে নেশার দিকে ঘুরলো।
নীড়ঃ কি হলো জবাব দিলে নাহ
নেশাঃ কি জবাব দিবো(চুল আচঁড়াতে আচঁড়াতে)
নীড়ঃ বাহ তোমাকে গোসল করার পর তো অন্য্রকম সুন্দর লাগে
নেশাঃ ?
নীড়ঃ বাট ঘুমালে আরো বেশি সুন্দর লাগে।।আহা কি সুন্দর করে চোখ টা বন্ধ করে ঘুমাও
নেশাঃ সবাই চোখ বন্ধ করেই ঘুমায়
নীড়ঃ তা ঠিক বাট সবার টা দেখার টাইম আমার নেই।।আমি তো শুধু আমার বউ এর টাই দেখবো
নেশাঃ তো সারারাত কি এই কাজই করেছেন
নীড়ঃ হুম কি করবো বলো।।বউটা এতো সুন্দর যে।।আর যখন নিশ্বাস টা নেও নাহ পেট…….
নেশাঃ ????
নীড়ঃ ???
নেশাঃ আমি ঘুমানোর পর ঠিক কোথায় কোথায় তাকিয়েছেন বলবেন?
নীড়ঃ বলবো(উঠে বসে)
নেশাঃ বলুন?
নীড়ঃ এইতো তোমার মুখে, তোমার শরীরে??(নেশার দিকে এগোতে এগোতে)
নেশাঃ ??
নীড়ঃ শরীরের কোথায় তাকিয়েছি বলবো?
নেশাঃ ববলুন??
নীড়ঃ তোমার বু……..
নেশাঃ আপনি ফ্রেস হয়ে আসুন।।আমার শোনা লাগবে নাহ?
নীড়ঃ ??লজ্জা পাচ্ছো
নেশাঃ ললজ্জা কেন পাবো(দাড়িয়ে)ললেট হচ্ছে তাইই ববলাম ফ্রেস হয়ে আসুন?
নীড় নেশাকে ড্রেসিং টেবিলের পাশের দেয়ালের সাথে চেপে ধরলো।
নেশা শক।।নীড় না বলে হামলা কেন করে সব সময়
নেশাঃ ????
নীড়ঃ একটা কথা বলি রাখবে
নেশাঃ ককককি(নেশার কাপাকাপি শুরু হয়ে গেছে)
নীড় নেশার কানের কাছে নিজের মুখ নিয়ে গেল
তারপর
।
তারপর
।
তারপর
আরে থামেন❌❌❌❌❌❌
কিস করতো নাহ?।।কথা বলবো কথা
নীড়ঃ প্লিজ এতো লজ্জা পেও নাহ।।লজ্জা পেলে যে তুমি টমেটো হয়ে যায়।।আবার স্ট্রবেরি ও হতে পারে।।আর তখন আমার মন চায় টেস্ট করে দেখতে এটা স্ট্রবেরি নাকি টমেটো।। সো প্লিজ ডোন্ট বি সাই।।আই কান্ট কন্ট্রোল মাই সেল্ফ?(নেশার কানের কাছে ফিসফিসিয়ে)
কথাটা বলেই একটু দুরে গিয়ে দাড়ালো।
নেশাঃ ?????????
নেশা ভাবলো কি আর লোকটা বললো কি
নীড় নেশার রিয়েকশন দেখে হেসে কাবার্ড থেকে কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল।।
নেশা এখনো দাড়িয়ে আছে।।আসলে নেশার কাজটার জন্য খুব বেশি লজ্জা লাগছে।।
নীড় ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে দেখলো নেশা এখনও ওই পজিশনেই দাড়িয়ে আছে।
নীড়ঃ এই যে ম্যাডাম ব্যাপার টা কি বলুন তো।।কিছু তো করলামই নাহ।।এতো লজ্জা কেন পাচ্ছেন তাহলে??
নেশাঃ ??কিছু নাহ।।
নীড়ঃ ?।।আচ্ছা বাদ দাও।।বোতাম লাগাতে পারো
নেশাঃ জি????????
নীড়ঃ বোতাম।।মানে শার্টের বোতাম লাগাতে পারক
নেশাঃ হুম
নীড়ঃ একটু লাগিয়ে দাও নাহ
নেশাঃ এইভাবে??
নীড়ঃ কেন খুলে দিতে হবে
নেশাঃ হুম খুলে দিন।।লাগিয়ে দিচ্ছি
নীড়ঃ হায়রে ভাবলাম কাছে আসলে একটু রোমান্স করবো।।যেই জন্য ইচ্ছা করে শার্টের বোতাম ছিড়ে ফেললাম।।আর এই মেয়ে কিনা খুলতে বলছে।।বেটা নীড় রোমান্স তোর কপালে নেই??(মনে মনে)
নেশাঃ কি হলো দিন
নীড়ঃ ওয়েট
নীড় শার্ট খুলে নেশাকে দিলো
নেশাঃ ????
নীড়ঃ কি হলো তাকিয়ে আছো কেন
নেশাঃ ????????
নীড় ব্যাপার টা বুঝতে পারলো।নীড়ের মাথা শয়তানি বুদ্ধি এলো।
নীড়ঃ বডি দেখবে ভালো কথা তাই বলে এভাবে।। বললেই তো দেখাতাম।।তাই বলে শার্ট খুলে নিবে?
নেশাঃ ককিকক সসসসববব ববলললেছেন?
নীড়ঃ কি বললাম আবার।। আর হা করে তাকিয়ে থাকার কি আছে হুম হুম।।হট লাগছে নাকি আমাকে খুব?।।তুমি বললে সারাদিন খালি গায়ে থাকতে পারবো।।সমস্যা নেই?
নেশাঃ কিহহহহহহহ????
নেশা shock নীড় Rock ✌
।
।
।
তো এই হাসি মজাতেই কেটে গেল দুই বছর ?
নীড়ের বাবা মাকে নেশা খুব তাড়াতাড়িই আপন করে নিয়েছে।।আর নীড়কেও।।হ্যা একটু একটু করে নীড় ও তার মনে জায়গা করে নিয়েছে।।নীড় যতোই মজা করুক নেশার যথেষ্ট কেয়ার করেছে।।নীড় এমন একটা মানুষ যে নেশা নাহ ভালোবেসে পারলোই নাহ।।মাঝে মাঝে নেশার মনে হয় তার মতো মেয়ে নীড়ের নখের যোগ্য ও নাহ।।২ বছর চলে গেলেও নীড় নেশার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করেনি।।মজার ছলে অনেক কিছু বললেও কখনো তাকে কোন কিছু নিয়ে জোর করেনি।।সত্যি কি এতো টা ভালোবাসাও সম্ভব।। নীড়ের ভালোবাসার কাছে নেশার ভালোবাসা তো কিছুই নাহ।।আল্লাহ বলতে পারবে নীড়ের এতো ধৈর্য কিভাবে।।হয়তো ভালোবাসলে এমনটাই হয়।কথা গুলো আপন মনে ভাবছিলো নেশা।
সেই সময় নীড় রুমে ঢুকলো
নীড়ঃ তুমি রেডি
নেশার ঘোর কাটলো
নেশাঃ হুম রেডি।।
নীড়ঃ তাহলে চলো
নেশাঃ হুম ওয়েট
নেশা নীড়ের সামনে গিয়ে নীড়ের শার্টের কলার টা ঠিক করে দিলো।।তারপর ফোল্ড করা হাতা গুলোকে খুলে আবার ঠিক করে দিলো।।
তারপর নীড়ের দুইকাধে হাত রেখে
নেশাঃ আপনাকে আজ খুব সুন্দর লাগছে?
নীড়ঃ তাই বুঝি।আমার মহারানীকে ও আজ খুব সুন্দর লাগছে।।লিপস্টিক টা তো ঠোঁটে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।।সাথে আমার মাথায় ও?।(মুচকি হেসে নেশার নাক টেনে দিলো)
নেশাঃ তাই বুঝি
নীড়ঃ আবার জিগায়।।আচ্ছা কোন ব্রেন্ড এর শুনি।।একটু টেস্ট করা যাবে
নেশাঃ লিপস্টিক খাবেন?।।ওকে ওয়েট দিচ্ছি
নেশা নীড়কে ছেড়ে ড্রয়ার থেকে নিতে যাবে নীড় নেশার কোমড় ধরে টেনে নিজের কাছে টেনে আনলো
নেশাঃ?????
নীড়ঃ আমি তো এখান থেকে টেস্ট করবো ভাবছিলাম (নেশার ঠোঁটের দিকে ইশারা করে)
নেশা মুচকি হেসে আবার নীড়ের গলা জড়িয়ে ধরলো।।
নেশাঃ তো কে আটকিয়েছে শুনি।।করুন টেস্ট।। বাধা দিলো কে(মুচকি হেসে)
নীড় কতোক্ষন অবাক হয়ে নেশার দিকে তাকালো।আজকাল প্রায়ই নেশা এইটাইপের কথাবার্তা বলে যা নীড়ের মাথার উপর দিয়ে যায়।
নেশাঃ কি হলো তাকিয়ে আছেন কেন হুম
নীড় হেসে নেশাকে ছেড়ে দিলো।।
নীড়ঃ আজকাল তুমিও বড্ড দুষ্টু হয়ে গেছো নেশা।।তোমার সাথে আজকাল মজা করে পারা যায় নাহ
নেশাঃ আমি মজা করিনি সিরিয়াসলি বলেছি?(বিরবির করে)
নীড়ঃ কি হলো
নেশাঃ নাহ কিছু নাহ চলুন যাই।
নীড়ঃ হুম চলো
আসলে তারা আজ যাচ্ছে হসপিটালে।।কারন ইশান আর ঈশার ছেলে হয়েছে?।।
জি ঠিকই শুনেছেন তাদের বেবি হয়েছে।।নীড় আর নেশা কবে রোমান্স করবে তা নিয়ে কি ইশান আর ঈশা বসে থাকবে নাকি ?
যেহেতু ঈশা খান বাড়ির মেয়ে তাই তাকে হসপিটাল থেকে সোজা খান বাড়িতে নেয়া হলো।।
নীড় তো সেই খুশি।।সবাই খুশি বাট নীড় ও অনেক খুশি।।হসপিটাল থেকে আসার পরে কারো কোলে দেয়নি এখন পর্যন্ত নিজের কোলেই রেখেছে।।
নীড়ঃ কি কিউট নাহ
নেশাঃ হুম খুব কিউট এখন আমাকে একটু দিন?।।কখন থেকে নিজের কোলেই রেখেছেন।।আমাকে একটু দিলে কি হবে
নীড়ঃ ইশ সখ কতো।।আমি হলাম ওর এক মাত্র মামা।।আর মামা আর থেকে তার ভাগীনাকে আলাদা করার সাহস দেখাচ্ছো
নেশাঃ আমি আলাদা কোথায় করলাম আমি তো যাস্ট একটু কোলে নিতে চাইছি।।সেই কখন থেকে নিজের কাছেই তো রেখেছেন
কথাঃ ঠিকই তো নীড়।।দে একটু নেশাকে।।মেয়েটা কখন থেকে নিতে চাইছে।।
নীড়ঃ ধুর এখানে থাকবোই নাহ।।চলো মেঘ আমরা চলে যাই এখান থেকে।।এখানে থাকলে তোমাকে আমার থেকে নিয়ে নিবে।(নেশার দিকে তাকিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেল বাবুকে কোলে নিয়ে।।জি ঈশার ছেলের নাম রেখেছে মেঘ)
কথাঃ দেখেছো কি পাগলামো করে??জানো ও ছোট থেকেই বাচ্চা খুব পছন্দ করে।।যখন ঈশা হয়েছিলো ও তো একদম ছোট ছিলো।।তবুও খালি ঈশাকে কোলে নিতে চাইতো
নেশা ও মুচকি হাসলো।। বাট তার মাথায় এখন অন্য কিছু ঘুরছে।।
নেশাঃ ওনার বাচ্চা কতো পছন্দ।। এতোদিন যদি আমাদের মাঝে সব ঠিকঠাক থাকতো তাহলে তো আমাদেরও একটা বেবি থাকতো তাই নাহ।।অন্যের বাচ্চা তেই এতো খুশি না জানি নিজের বেবি হলে কতো খুশি হতো(মনে মনে)
কথাঃ কিরে কি ভাবছিস
নেশাঃ কিছু নাহ মামনি
কথাঃ এখন শুধু তোদের একটা বেবি হলেই হয়।।নাতিনাতনি নিয়ে আমাদের সময়টা কেটে যাবে।।
নেশাঃ হুম?
।
।
।
রাতে
নীড়ঃ তোমার কি মুড অফ নেশা
নেশাঃ নাহ
নীড়ঃ কিছু কি হয়েছে।।খাওয়ার টেবিলেও দেখলাম চুপচাপ ছিলে
নেশাঃ নাহ কিছু হয়নি।।
নীড়ঃ সত্যি করে বলো।।শরীর খারাপ লাগছে??
নেশাঃ নাহ?
নীড়ঃ তাহলে
নেশাঃ আপনি আমায় একটু ও ভালোবাসেন নাহ?
নীড়ঃ ??হঠাৎ এই রকম কেন মনে হলো
নেশাঃ কারন আপনি আমায় ভালোবাসেন নাহ তাই
নীড়ঃ কে বললো বাসি নাহ
নেশাঃ বাসেন নাই তো।। আগে বাসতেন এখন একটু ও বাসেন নাহ
নীড়ঃ ওহহ বুঝেছি।।মেঘ কে তোমার কোলে দেইনি বলে রাগ করেছো।।ওকে কাল তুমিই নিও।।আমি নিবো নাহ।।এখন ঠিক আছে
নেশাঃ ধুর আপনি কিছু বুঝেন নাহ।।আমি মেঘের কথা বলিনি
নীড়ঃ তাহলে?
নেশাঃ আপনি আমায় ভালোবাসলে আদর করেন নাহ কেন??
নীড়ঃ ???কে বললো আদর করি নাহ
নেশাঃ উফফ ধুর আপনার সাথে কথা বলাই বেকার গুড নাইট?
নীড়ঃ আরে আজব তো বুঝিয়ে নাহ বললে বুঝবো কিভাবে?
নেশাঃ ওকে বুঝিয়ে বলছি।।আই ওয়ান্ট বেবি
।
।
চলবে
আল্লাহ কতো বড় পার্ট দিলাম??এই উপলক্ষে আমাকে কিছু তো দেয়া উচিত আপনাদের?।।