#শুধু_তুই #পর্বঃ০৯ #Rifat_Amin সকালের নাস্তাটা করে নিলাম দুপুর বারোটায়। এদিকে আম্মি তো রেগেমেগে আগুন। তার প্রশ্ন কোন দুনিয়ার মানুষ সকাল ১১ টায় ঘুম থেকে উঠে? এর অবশ্য একটা সুবিধা আছে। ফ্রিতে জমিদারের মেয়ে হওয়া যায়। আমি টপাটপ দুইটা রুটি মুখে দিয়েই ঐশীর রুমে আসলাম। বেচারীর মন খারাপ। এই মন খারাপে করোনা নামক বস্তুটাকে হত্যা করতে ইচ্ছে করছে তার। কত শখ করে ছিলো সামনেই ভালোবাসার মানুষটাকে কাছে পাবে সে। কিন্তু সে আশায় জল ঢেলে দিলো এই করোনা। আমি শান্তনা দিতে ওর রুমে গেলাম। সে মুখ ফুলিয়ে ফোন হাতে নিয়ে বিছানায় ঠেস দিয়ে আছে। আমাকে দেখা মাত্র বিরক্তি বাড়লো তার। তাঁর ধারণা আমার কারণেই এই দুনিয়ায় আবার করোনা সংক্রমণ বেড়েছে৷ এর জন্য মনে মনে বিশাল একটা লো ক্লাস এক্সপ্লেইনেশনও রেডি করেছে। আমি বিছানায় বসতে বসতে বললাম, -বিয়েটা কবে করছিস? আসলে কাউকে কষ্ট দিয়ে কিছু করতে নেই। তুই আমাকে না জানিয়ে ফটাফট প্রেম করে নিলি। আর পৃথিবী সেটা মেনে নেবে? এটাই হলো রিভেঞ্জ অফ নেচার। (আমি) আমার কথায় সে বড্ড হতাশ হলো। সাথে বাড়লো তাঁর বিরক্তি। চোখে মুখে বিষণ্নতাভাব টেনে এনে বললো, – কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিচ্ছিস? ভালো হচ্ছে না কিন্তু। (ঐশী) -আরে রাগ করছিস কেন? বিয়েটা হবে। খুব তারাতারি হবে মাই ডিয়ার। (আমি) সে হাসলো। হাসলো বোধহয় পুরো রুমটা। মন খারাপের পাট চুকে গেলো। অল্পতেই খুশি হয়ে যাওয়ার ভয়ংকর রোগ আমাদের আছে। আর এটাতেই আমরা স্যাটিসফাইড। ঐশীর রুম থেকে বেড়িয়ে ছাদের দিকে পা বাড়ালাম। ছাদে প্রচন্ড রোদ। ফাল্গুনের ছোঁয়ায় সারা পৃথিবী যেনো রং মেখেছে৷ গাছে গাছে ফুলের সমারোহ। ফাল্গুনী বাতাসে মন পালিয়ে যেতে চায়। অজানা এক দেশে, অজানা এক প্রান্তরে। যেখানে শুধু সে আর আমি। আমি আর সে। ছাদে উঠে দেখলাম প্রেম আর প্রেয়সী মনোযোগ দিয়ে ফুলের গাছ লাগানোর ট্রাই করছে। সবটা একা হাতে করছে প্রেম। আর প্রেয়সী ভিডিও করছে। এটা সে ঐশী আপুর ফেসবুকে আপলোড করবে। সবাইকে দেখাবে তাঁর ছাদে কালো গোলাপ আছে। হ্যাশট্যাগ ব্লাক রোজ। আমি ছাদে উঠেই চুপিচুপি প্রেয়সীর পিছনে গেলাম। ওখানে পৌঁছেই ছোঁ মেরে হাত থেকে ফোনটা কেরে নিলাম। আমার এহেন কান্ডে আকাশ কাঁপিয়ে কাঁদতে বসলো প্রেয়সী। প্রেম আমাকে দেখেই হাসলো। প্রেয়সীর কান্না থামাতে থামাতে বললো, – কখন এলে আপু? (প্রেম) -এইতো এক্ষুনি। এই মেয়েটা কাঁদছে কেন বলতো? ঢং দেখলে বাঁচি না। (আমি) হালকা একটু কান্না থেমে ছিলো। এই কথা শোনার পর আবারো কান্নার গতি বৃদ্ধি পেলো। প্রেম আমার দিকে বিরক্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো, – আহ! যাওতো এখান থেকে। ওহ একটা কথা। ভাইয়া তোমায় ডাকছিলো আমাদের বাসায়। কি জানি দরকার আছে আমায় বললো। আমি সরু দৃষ্টিতে প্রেমকে পর্যবেক্ষণ করলাম। বেচারা মিথ্যা বলছে না তো? আর প্রহর ভাই ডাকছিলো মানে কি? কালকের ব্যবহারে কি উনি রাগ করেছেন? এবার কি হবে আমার। যদি না যাই তাও তো মারবেন আবার গেলে যদি রুমের ভীতর বন্দি করে রাখে? অথবা বাথরুমে। ইয়াক! আমি সিওর হওয়ার জন্য প্রেমকে বললাম, -কেনো ডাকছিলো রে? (আমি) – আমি কেমনে জানবো কেনো ডাকছে? উফফ! তুমি এখান থেকে যাও তো। আমাদের কাজ করতে দাও। ?️ প্রহর ভাইদের বাসার সামনে গিয়ে কলিংবেলে চাপ দেবো এমন সময় ছাদে চোখ গেলো আমার। সাথে চোখে পড়লো তপ্ত রোদে দাঁড়িয়ে থাকা শুভ্র মানবটিকে। আমার দিকে নির্লিপ্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। শরীরে তার শুভ্র টি শার্ট। এই টি-শার্ট টি পড়লে উনাকে অনেক সুন্দর লাগে। ভালোভাবে কখনো লক্ষ্য করা হয় নি। আমাকে দেখেই হাসি দিয়ে বললেন, – ছাদে চলে আয়। এখানে প্রচুর রোদ। (প্রহর) আমি কোনো উত্তর দিলাম না। ওনাদের বাসায় না ঢুকে আমাদের বাসার ছাদ দিয়ে ওনার কাছে চলে আসলাম। প্রচুর রোদে চোখ মেলতে পারছেন না ঠিকমতো। আমারো একই অবস্থা। আমার দিকে সরু দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললেন, – আমার দেয়া শাড়িটা ফেরত দিয়ে কি খুব ভালো করলি? এত রাগ কই থেকে আসে? (প্রহর) আমি উনার দিকে একপলক তাকিয়েই উত্তর দিলাম, – আপনার রাগ থাকলে কি আমার থাকতে পারে না? (আমি) – শোন একটা দরকারে তোকে ডেকে পাঠিয়েছি। ঐশীর বিয়েটা ছোট পরিসরে করলে কেমন হয়? যে লকডাউন পরছে তাতে মনে এখন আর শেষ হবে না। আজ একটু আব্বু-আম্মুসহ আলোচনা করবো আঙ্কেল আন্টির সাথে। পুলকভাই তো দেখি ঐশীর থেকেও বিয়ে পাগল। বিয়েটা ভালোয় ভালোয় হলে আমাদেরও সুবিধা। (প্রহর) -আমাদের সুবিধা মানে কি প্রহরভাই? (আমি) – আমি জানতাম তুই বুঝবি না। ছোটদের এত কিছু বুঝতে হয় না। মাথায় ওড়নাটা দে। অনেক রোদ তো। আবার দেখবি কালো হয়ে গেছিস। এমনিতেই তো ভূত। পরে আবার হবি লো ক্লাস পেত্নী। শেষে দেখা যাবে আমার বাচ্চাগুলোকে উগান্ডা থেকে ট্রান্সফার করতে হচ্ছে। বিরাট টেনশন রশ্নি! (প্রহর) আমি অবাক চোখে তাকালাম। উনি যে অশ্লীলতার চরম পর্যায়ে চলে যাচ্ছেন তা ভালোয় বুঝতে পারছি। আমার আম্মি জানে উনি একজন সাধু বাবা। উনার মাঝে পাপ বলতে কিছু থাকে না। কিন্তু আম্মি কি উনার চরিত্র সম্পর্কে কোনো ধারণা রাখে? এই ভেবে বরাবরের মতো হতাশ হলাম। আমির কাছে প্রহর মানেই দ্য জিনিয়াস। আমি কথা বললাম না। উনি আবারো বললেন, -ট্রুথ ডেয়ার খেলবি? তুই আমাকে একটা ডেয়ার দিবি। আমি তোকে একটা দেবো। ব্যাস! জানি তুই পারবি না। গাধা লেভেলের মানুষরা কিছু পারে না। (প্রহর) পদে পদে এমন অপমান আর নিতে পারছি না। আমি জানি উনি আমাকে জ্বালাতেই সব করছেন। আমি প্রহরভাইদের ছাদ থেকে আমাদের ছাদে অবস্থান করা প্রেম আর প্রেয়সীকে জরুরী তলব করলাম। সাথে সাথে হাজির হলো দুই মানব-মানবী। তাঁদের কাজে ব্যাঘাত ঘটায় তারা বরাবরের মতো বিরক্ত। ওদের বললাম, -এখন ট্রুথ ডেয়ার খেলা হবে তোর ভাইয়ের সাথে। দেখা যাক কি হয়? বল তোরা কে কার পক্ষে? (আমি) কথাটা বলার সাথে সাথেই প্রেম আমার দিকে এগিয়ে আসলো। প্রেয়সী আমার আর ওর দাভাইর দিকে তাকিয়ে ক্ষণকাল চিন্তাভাবনা করে ওর দাভাইর দিকে এগিয়ে গেলো৷ আমি জানতাম তুই ওদিকে যাবি। তুই তো ঘরের শত্রু। ঘরে তোর মতো শত্রু থাকলে আর বাইরের শত্রুর কি প্রয়োজন? মনে মনে কয়েকটা গালি দিয়ে প্রহরভাইয়ের দিকে তাকালাম। উনি বললেন, -যেহেতু এটা ডেয়ারের খেলা। সুতরাং তুই আগে একটা ডেয়ার দে। আমি তোকে একটা ডেয়ার দেবো। আর চিটিং যাতে করতে না পারিস সেটা প্রেম আর প্রেয়সী লক্ষ্য রাখবে। সো লেটস স্টার্ট। (প্রহর) প্রথমে যেহেতু আমার ডেয়ার দেয়ার সুযোগ। সেই সুযোগটা হাতছাড়া করা যাবে না। কি দেয়া যায়? কি দেয়া যায় চিন্তুভাবনার জালে মাথাটা আওলিয়ে গেলো। সঠিক সময়ে সঠিক চিন্তাভাবনা মাথায় কেনো যে আসে না বুঝি না। হঠাৎ ভাবলাম পুশআপ দিতে বলি একশ’টা। বুঝবে মজা কত ধানে কত চাল। আমি একটা ভিলেন মার্কা হাসি দিয়ে বললাম, – একশ’টা পুশআপ দিন ভাইয়া। বুঝবো আপনি কতটা পারদর্শী। আমার কথা শুনেই প্রেয়সী বললো, -আমি গুনবো। আমি ১-১০০ গুনতে পারি। তোমরা পারবা?(প্রেয়সী) আমি হলকা কেশে বললাম, -না আমরা কেউ পারি না। তুই মোবাইল বের করে ফেসবুক লাইভে আয়। প্রহরভাইয়ের মানসম্মান আজ প্লাস্টিক করেই ছাড়বো। (আমি) -আরে এটাতে লাইভে আসার কি দরকার? আমি তো এসবে পটু সেটা কে না জানে? তুই তো হেরে যাবিই আজ। সাথে নিজের ডেয়ারের জন্য প্রস্তুত হ। (প্রহর) আমি আবারো ডেভিলমার্কা হাসি দিয়ে বললাম, – মুখ থাকলে অনেক কিছুই বলা যায়। একশ’টা পুশ আপ কখনো দিতেই পারবেন না হু। (আমি) আমি প্রেমের ফোন বের করে লাইভে আসলাম। প্রহরভাই আমার ফোন বের করা দেখে মুখে একটা মাস্ক পরে নিলেন। উফফ ঢং। মনে হয় উনাকে দেখলে মানুষরা পাগল হয়ে রাস্তায় ভিক্ষা করতে নামবে। তাই এতো সেফটি। তপ্ত ছাদের প্লাস্টারে একটা চট বিছিয়ে নিলেন। আমি ভালো করে উনারকে আবার স্ক্যান করে নিলাম। উনি ব্লাক থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট আর হোয়াইট টি-শার্ট পরেছেন। ভালোই লাগছে। উনি পুশআপ দেয়া শুরু করলেন। আর আমি ফোনটা প্রেয়সীকে দিয়ে দিলাম। প্রেয়সী সুউচ্চ স্বরে ১,২ গুনতে শুরু করলো। আর প্রহরভাই আপন মনে পুশআপ দিতেই থাকলেন। উনার সুঠাম দেহের প্রতিটা অংশ কাঠকাঠ হয়ে বাইরে ধরা দিচ্ছে। আমি মুগ্ধ চোখে পর্যবেক্ষণ করতেই থাকলাম। পেশীবহুল হাতদুটো মহুর্তেই টসটসে লাল হয়ে গেলো। মানুষ ফর্সা হলে যা হয়। একটু গরমেও লাল হয়ে যায় উনার মুখ। সাদা বিলাই। আমার ধ্যান ভাঙ্গলো যখন প্রেয়সী ৫০,৫১,৫২ গোনা শুরু করলেন। এদিকে প্রহরভাইয়ের অবস্থা নাজেহাল। সাদা-শার্টটা ভিজে চুপচুপে হয় গেছে। সারা শরীর দিয়ে যেনো ধোঁয়া বের হচ্ছে। কানদুটো আরো লাল। অথচ উনি নির্লিপ্ত ভাবে পুশআপ দিয়েই চলেছেন। পেশীগুলো যেনো টিশার্ট ছিঁড়ে বেড়িয়ে আসবে এমন অবস্থা। আমি বললাম, -আচ্ছা বাদ দিন ভাইয়া। আমি জানি আপনি আর পারবেন না। থাক আর কষ্ট করতে হবে না। (আমি) প্রহরভাই ইচ্ছামতো পুশআপ দিতেই থাকলেন। সাথে উত্তেজনা বাড়লো প্রেয়সীর। মনে হচ্ছে সে নিজেই পুশআপ দিচ্ছে। – ৯১, ৯২ আর একটা দাভাই। হয়েছে, হয়েছে। আর একটু। আপুকে হারায় দিতেই হবে। ৯৩,৯৪। (প্রেয়সী) এদিকে হারার লগ্ন যেনো আমার উপস্থিত। আমি প্রেয়সীর থেকে ফোনটা কেরে নিয়ে লাইভটা ক্যান্সেল করে দিলাম। লাইভটা হয়েছিলো প্রেমের ফোন থেকে। এদিকে ফোন কেরে নেওয়ার প্রেয়সী গগনবিদারী চিৎকার দিলো। প্রহরভাই একশোটা পুশআপ দিয়ে সেখানেই শুয়ে পরলো। শরীরে আর কিছুই নাই যেনো। – পানি দে রশ্নি। পানি খাবো। (প্রহর) হঠাৎ একথা বলেই নোংরা চটের মধ্যে শরীরের ভার মেলিয়ে দিলেন উনি৷ আমি উনার আচমকা কান্ঠে চমকে উঠলাম। সচারাচর তো উনি নোংরা পছন্দ করে না। আজ নোংরা চটেই শুয়ে পরতেই টনক নড়লো আমার। উনি যখন আবার বললেন, -পানি দে। (প্রহর) আমার হঠাৎ কি হলো জানি না। কোথায় কি আছে বুঝলাম না। আম্মি বলে একটা চিৎকার দিলাম। মাথাটা কোনো কাজ করছে না। চিৎকার দিয়েই আমাদের বাসার দিকে ছুট লাগালাম। একটু সাবধানে পার হতে হয় এই ছাদ থেকে ঐ ছাদ টা। সেই মইটা কত সেকেন্ডের মধ্যে পার হয়েছি জানি না। হাত-পা জেনো ঠকঠক করে কাঁপছে। মন বলছে প্রহরভাইয়ের কিছু হয়েছে। উনি তো কখনো এমন করে না। তাহলে কি আমাকে হারাতেই এতকিছু করলো। আমি সরাসরি কিচেনে এসে গ্লুকোজের প্যাকেট আর একগ্লাস পানি নিয়ে ছুট লাগালাম ছাদের মধ্যে। ঘটনার আকষ্মিকতায় ভুলে গিয়েছিলাম। ওনাদের ছাদ থেকে উনার রুম কাছাকাছি আর পানি নেওয়া অনেক ইজি ছিলো। এদিকে আম্মি বারবার বলছে ‘কি হয়েছে? কি হয়েছে? ‘ সেদিকে আমার কোনো ধ্যান নেই। পানিটা নিয়ে যত তারাতারি সম্ভব উনার কাছে চলে আসলাম। দেখলাম আশেপাশে প্রেম আর প্রেয়সী নেই। আমি ওনার দিকে পানিটা এগিয়ে দিতেই ঢকঢক করে পুরো পানিটা খেয়ে নিলেন উনি। আমার ভয়টা এখনো কমতে চাইছে না। হৃদপিন্ড উচ্চস্বব্দে নিজের দাপদ দেখিয়ে চলছে। উনি পানিটা খেয়েই আস্তে আস্তে উঠে পরলেন। আমি ধরবো না ধরবো না করেও উনাকে উঠাতে হেল্প করলাম। উনার যে দামরামার্কা শরীর। তাতে আমার মতো পাঁচটা মানুষও বোধহয় উনাকে সামলাতে পারবে না। সেখান থেকে উঠে ছাদের ছোট আমগাছটার তলায় আবার শুয়ে পরলেন। আমার ভয় এখনো কাটছে না। প্রহরভাইয়ের জন্য এতো ভয় লাইফে প্রথমবার পেলাম৷ উনি আমার দিকে পিটপিট চোখে তাকিয়ে বললেন, – ভেবেছিলাম একশ’টা পুশআপ অনায়াসে দেয়া যাবে। আগেও দিয়েছি। কিন্তু অনেকদিন থেকে না দেয়ায় সত্তরবার দিতেই হাঁপিয়ে উঠছিলাম। কিন্তু কিছু বলার সাহস পাচ্ছিলাম না। প্রেয়সীটাও মনে মনে আশা করে আছে আমি পারবো৷ ওর ক্ষুদ্র মন থেকে চাওয়াটা অপূর্ণ রাখলাম না। আর তুই তো লাইভে এসেছিলি৷ মানসম্মান তো যেতই, সাথে প্রহর হেরে যেতো। ইউ নো, প্রহর কখনো হারে না। (প্রহর) আমার কান্না পেয়েগেলো। আমার জন্য জীবনে প্রথম এই মানুষটাকে বোধহয় এতটা কষ্ট সহ্য করতে হলো। আর আমার মস্তিষ্কও কারো জন্য এতটা দুশ্চিন্তায় কাহিল হওয়ার অভিজ্ঞতাটা রপ্ত করলো। আমি অপরাধী দৃষ্টিতে উনার দিকে তাকালাম। উনি ডেভিলমার্কা হাসি দিয়ে বললেন, – এবার তোর ডেয়ারের পালা । তোর ডেয়ার হচ্ছে আমার আম্মুকে ভুলবসত বলবি ‘ আম্মি, আপনার ছেলের কাছে নাকি একটা নীল শাড়ি আছে। ওটা আমাকে পড়িয়ে দিন তো ‘ (প্রহর) এমন পরিস্থিতেও কেউ উদ্ভট ডেয়ার দেয়? আমার রাগ হলো। রাগ হলো এমন একটা পাগল মানুষের পাল্লায় পরায়। আমি স্বল্পস্বরে বললাম, – অসম্ভব। চলবে? ( বিঃদ্রঃ ১৭০০+ ওয়ার্ড। ছোট হয়েছে বলে অফমান খরবেণ ণট)