#রাগি_Devil_এর_অত্যাচার??
#Season_2
#part_20
#Arohi_Afrin
আহানের মা চলে গেল,,,অরু আহানের দিকে এক চামচ করে সুপ দিতে লাগলো,,,,আর আহান নিঃশব্দে খাচ্ছে,,,,হঠাৎ আহানের মাথায় এলো আহান ঝালের বসে অরুকে kiss করেছিলো,,,অরু কি খুব কষ্ঠ পেয়েছে বা রাগ করেচে আহানের উপর???ভেবে যাচ্ছে আহান,,,,কিন্তু আহানের ভাবনার বিচ্ছেদ ঘঠিয়ে অরু বললো,,,
অরু:Sir please আমাকে ক্ষমা করে দিয়েন,,আমি সত্যি জানতাম না ঝালে আপনার এলার্জি,,আর আমি এটাও জানডাম না খাবারটাতে এতো ঝাল হয়েছে,,,
অরু নিজের কাজে অনুতপ্ত হয়ে আহানের কাছে ক্ষমা চায়ছে,,,আহান অরুর দিকে তাকিয়ে তার কথা শুনছে,,,
অরু:স্যার,,স্যার,,,
আহান:হুম,
অরু:মাফ করেছেন তো???
আহান:হুমম,,,,,আ,,অরু,,,
অরু:জ্বী স্যার,,,
আহান:আব,,বলছিলাম,,,,(আহানের মুখ দিয়ে কিস এর কথাটা কোনোভাবে আসছেই না,,,কিভাবে বলবে অরুকে এই কথা!!) অরু,,, ওই বিষয়টার জন্য আমি খুব দুঃখিত,,, ঝালের বসে আমি,,,,,,,,
অরুর মনে পরতেই লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেললো,,,অরু অস্পষ্ট সুরে “It’s ok” বললো,,,
অরু আহানকে রেস্ট করতে দিয়ে চলে যেতে গেলেই আহান অরুর হাত ধরে বললো,,
আহান:অরু Thank you,,,
অরু: স্যার এটা আমার কর্তব্য ছিলো,,
আহান:তাও Thanks,,,
অরু: বাহ স্যার রাগি_ devil এর মুখে Thanks?? Not bad,,,
আহান:What??
অরু: Nothing স্যর,,আমি যায়,,,
অরু দৌড়ে চলে গেল,,আহানের মুখে হাসি ফুটে উঠলো,,,
কয়েকদিন এভাবে কাটলো,,,আহান সুস্ত না হওয়া পর্যন্ত আহানের মা তাকে অফিস যেতে দেয়নি,,অরু অফিসের সব রকমের ডকুমেন্ট আহানকে দিয়েছে,,অরু এ কদিন আহানের খুব যত্ন নিয়েছে,,যেহেতু সব তার জন্য হয়েছে?,,,আহানও অরুকে একদিন ইচ্ছা মতো ঝালিয়েছে,,,,
আহান:মম,,,,,, মম প্লিস দেখো আমি একদম সুস্ত হয়ে গিয়েছি,,,,প্লিস এবার অফিস তো যেতে দাও,,,
-কিন্তু,,,,
আহান: প্লিস মম কেনো কিন্তু টিন্তু না,,,দেখো মম ঘরে বসে তো আর সব কাজ করা যাবে না তাই না??প্লিস মম প্লিস,,,
-আচ্ছা যা,,,অরু এখনো আসছে না আজ,,ও কি অফিস যাবে না??
আহান:প্রতিদিন তো এই টাইমে চলে আসে,,আচ্ছা দেখছি,,,,
-তুই বরং ওদের বাসায় যা একবার,,
আহান:আগে অফিস গিয়ে,দেখি,, বলা তো যায় না,,কখন ও কি করে,,না জানি ও অফিসে গিয়ে হয়তো বসে থাকতে পারে,,
আহান দ্রুত অফিসে চলে গেল,,,অফিসে গিয়েও অরুকে দেখতে পেলো না,,,,অরুকে দেখতে না পেয়ে আহানের মাথা খারাপ হয়ে গেল,,,আহান অরুকে অনেকবার কল করলো,,কিন্তু অরুর ফোন switch off আসছে,,,না এবার তো আর বসে থাকা সম্ভব হচ্ছে না,,,,আহান গাড়ি নিয়ে অরুদের বাসায় চলে গেল,,আশ্চর্যের বিষয় অরু ঘরেও নেই,,অরুর মায়ের জিজ্ঞাস করলে বলে অরু নাকি তার ফ্রেন্ডের বাসায়,,,,আহানের রাগ মাথায় উঠে বসলো,,,অরু আহানকে না জানিয়ে তার ফ্রেন্ডের বাসায় চলে গেল,,অন্তত একবার বলতে পারতো,,,,
,
,
,
অরু আর রাফু রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সামনে থাকা তিন্নির দিকে,,,,আর তিন্নি কান্না করছে+ভয়ে ভয়ে অরুর আর রাফুর দিকে তাকাচ্ছে,,,,
অরু:কি করতে যাচ্ছিলি তুই হ্যা??মানে তুর কি common sense সব উগান্ডায় চলে গিয়েছে,,??
রাফু:এরকম একটা কাজ করতে যাচ্ছিলি তুই ভাবতেই ঘা ঘিনঘিন করছে,,আমাদের ফ্রেন্ড হয়ে তুই সুইসাইড করতে যাচ্ছিলি তিন্নি,,কিভাবে পারলি তুই,,,
(বুঝলেননা তো?? অরু যখন ঘম থেকে উঠেছিলো তখন রাফু কল করে বললো তিন্নি সুইসাইড করতে যাচ্ছে,,অরু আর,দেরী না করে তিন্নিদের বাসায় চলে গেল,,অরুর মোবাইলে charge না থাকায় মোবাইল বন্ধ হয়ে যায়)
তিন্নি:তো আর কি করবো??বল আমায়?? ও কে ছাড়া আমার লাইফে আমি আর কাউকে কল্পনা ও করতে পারিনা,,সে জায়গায় বাবা অন্য জায়গায় আমার বিয়ে ঠিক করেছে,,,
অরু:এক সময় তুই বলতি তিন্নি সুইসাইড মানুষ কেন করে??তাদের কি লাইফের কোনো মূল্য নেই??আজ সে জায়গায় তুই করতে যাচ্ছিলি,,why tinni why??
রাফু: আচ্ছা তিহানের কথা তুই তুর বাবাকে বলেছিস??
তিন্নি:হুমম,,,কিন্তু বাবা ওকে মেনে নিচ্ছে না,,আর কি করার আছে,,তিহান ফোন অফ করে রেখেছে,,,আমি ওকে ছাড়া আর কাউকে বিয়ে করতে পারবো না,,,,কেন বাধা দিয়েছিস আমাকে,,,
অরু:এক চড়ে তুর গালের বারান্দা উগান্ডায় নিয়ে যাবো,শাঁকচুন্নি,,, একটা কথা আমার মাথায় আসে না সব বাবারা এভাবে ভীলেন কেন হয়ে যায়,,,,
রাফু:আচ্ছা আমরা তে আন্কেলকে বুঝিয়ে বলতে পারি তাই না অরু,,
তিন্নি:বাবা মানবে না,,,
অরু:তুর বাবা মানবে তার,সাথে তুর বাবার ঘাড় সহ মানবে,,,
রাফু:অরু এখানেও তুর বকবকানি,,,
অরু:তুই চুপ থাক,,আমার সুইট ঘুমটার ১৩ টা বাজিয়ে এখন আসছে বকবক করতে,,চল আন্কেলকে গিয়ে তেল মালিস করে আসি,,,
তিন্নি:তেল মালিস করবি মানে??
অরু:আরে মাথা মোঠা,, তুর আর তিহানের ব্যাপারে কথা বলতে গেলে তো একটু তেল মালিশ করতে হবে,,
তিন্নি :ওওও,,আর,যদি না মানে??
অরু:শুন বাপু আমি নেগেটিভ চিন্তা করি না,,সবসময় পজেটিব থাজি,,সো তুই তো পজেটিব থক,,আমি আর রাফু যাচ্ছি মানে মনে কর অর্ধেক কাজ হয়ে গিয়েছে,,,
রাফু:ঠিক বলেছিস,,এবার চল,,,
অরু আর রাফু গিয়ে তিন্নির বাবার সাথে কথা বললো,,,৪৫ মিনিট অরু আর,রাফু দুজনের ব্যাপারে কথা বললো,,,শেষ পর্যন্ত তিন্নির বাবাকে হার মানতে হলো,,,,তিন্নির বাবা মেনে নিলো,,,
অরু আর,রাফু তিন্নির রুমে গেল একটু অসহায় ফেস নিয়ে,,এতে তিন্নি ঘাবড়ে গিয়ে বললো,,
তিন্নি:কি হলো অরু,,বাবা কি বলেছে,,মেনে নেই নি তাই না,??
অরু আর,রাফু চুপ করে রয়েছে,,এবার কেদেঁ কেদেঁ বললো,,
তিন্নি:প্লিস ইয়ার চুপ করে থাকিস না,,আমি বলেছিলাম মানবে না,,তাও মাতুব্বুরি করতে গেছিস দুজনে,,কি হয়েছে এটাও বলছিস না,,,
অরু:আব্বে চুপপপপপপ
অরুর ধমক শুনে তিন্নি চুপ হয়ে গেল,,,
অরু:মাতুব্বুরি করতে গেছি না?? শাঁকচুন্নি কাহি কে,,,,,আরে তুর বাবা মেনে নিয়েছে,,,
তিন্নি:সত্যিই?? /
অরু:একদম সত্যি,,,
তিন্নি yes বলে জোরে চিৎকার দিল,
রাফু:তুই না একটু আগে কাদঁছিলি??
তিন্নি: তো কি হয়েছে,,,
অরু:দুজন একটু চুপ কর,,শুন তিহান শাঁকচুন্না তো মোবাইল অফ করে রেখেছে,,চল ওকে গিয়ে কয়েকটা কিল ঘুষি মেরে আসি,, কি বলিস,,,
রাফু:Perfect idea,,,
অরু:Yeah babs i am always perfect,,
রাফু:???
অরু: তিনু তুই সহ চল,,খুশির খবর টা ও দিয়ে আসতে পারবি,,
তিন্নি:ঠিক বলেছিস,,আচ্ছা আমি একটু রেড়ি হয়ে আসছি,,,একটু ওয়েট কর,,,
তিন্নি রেড়ি হতে চলে গেল,,,অরু তিন্নির ড্রয়িং থেকে চকলেট নিয়ে খেতে শুরু করলো,,
রাফু:খাদকনি,,,
অরু:চুপ কর,,
এসবের মাঝে অরু অফিসের কথা ভুলেই গিয়েছে,,..
তিন্নি রেড়ি হয়ে দেখলো অরু চকলেট খাচ্ছে,,,
তিন্নি:ওইই অরুকি বাচ্চি আমার চকলেট নিছস কেন??
অরু:তুর মানে আমার,,এটা বলার কি আছে,,আচ্ছা চল দেরী,হয়ে যাবে,,,
রাফু:তিনু ওর সাথে পারবিনা,সো চুপ করে থাকা বেটার হবে,,অরু তুই ফুল ঝাড়ু,,
তিন্নি:উফফ চল,,,
তিনজন তিহানের বাসায় গেল,,বেল চাপ দিতেই তিহান দরজা খুললো,,সাতে সাথে অরু রাফু গিয়ে তিহানের পিঠে অসংখ্য কিল ঘুষি দিতে লাগলো,,,
তিহান:আরে আরে কি হলো তুদের,,এভাবে মারছিস কেন??
অরু:ইয়ার তিহু তুর আর তিনুর বিয়ে তিনুর বাবা মেনে নিয়েছে!!!
তিহান:সত্যি????????
রাফু:একদম সত্যি,,
তিহান:মানুষ খুশির সাথে খুশির খআর দে,,আর তুরা মাইরের সাথে খুশির খবর দিচ্চিস??
অরু:ইসে কেহতাহে ফ্রেন্ডস,,,
তিহান হাসলো,,তিহান তিন্নির দিকে তাকালো,,তিন্নি দৌড়ে গিয়ে তিহানকে ঝড়িয়ে ধরলো,,
অরু:এখানে কিন্তু আমরা আছি,,লজ্জা সরমের মাথা খাইছস দুজনে,,
তিন্নি মুচকি হেসে তিহানকে ছেড় দিলো,,,একটু পর রাফুর কল আসলো,,,এবার অরুর মনে হলো সে মোবাইল আনতেই ভুলে গিয়েচে,,,
অরু:ওপস শিট,,,মোবাইল আনতে ভুলে গিয়েছি,,,
তিন্নি: অরু,,, তুই আজ অফিস যাসনি,, কোনো প্রবলেম হবে না তো??
অরু:না,,,,কি??????(চিৎকার দিয়ে বললো)
তিহান:বইন আস্তে চিল্লা,,
অরু:হায়রে আমি অফিসের কথা ভুলে গিয়েছি,,,রাগি ডেবিল আমাকে ছাড়বে না ইয়ার কি করবো এখন,,,
তিন্নি: I think তেমন problem হবে না,,,
অরু:শুধু problem না problem এর বাবা মা দাদা চৌদ্দ গোষ্টি হবে,,আমি যায় ইয়ার,বাইইইই,,,,,,,,
তিন্নি:আরে শুন,,,,,চলে গেল,,,
এদিকে রাফু ও চলে গেল,,তিহান তিন্নিকে তার মায়ের কাছে দেখা করাতে নিয়ে গেল,,,
,
,
,
চলবে!!!