#রাগি_Devil_এর_অত্যাচার??
#Arohi_Afrin
#part_19
হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হবার পর আফরা হাত ঝারতে ঝারতে ওয়াশরুমে যাচ্ছে হলুদ ওটানোর জন্য এমন সময় আফরাকে মিনার টান দিয়ে দেওয়ালের সাথে লাগিয়ে দেয়,,,আফরা ভয়ে চোখ বন্ধ করে রয়েছে,,,,,মিনার তাকিয়ে আছে আফরার দিকে,,সারা বাড়ি লাইটিং করা,,,আর নানান রঙের মরিচ বাতি,,যার আলো সোজা আফরার মুখে পরছে,আফরার সৌন্দর্য আরো দ্বিগুণ বেড়ে গেলো,,মিনার মনে মনে বললো,,
মিনার:(মেয়েটার মুখে এতো মায়া যার কারণে আমি চায়লেও দূরে থাকতে পারিনা,,)
আফরা:আ,,আপনি?(চোখ খোলে)
মিনার তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিলো আফরা কে,,,
মিনার:আ,আ,কি যেনো বলতে চেয়েছিলাম,,
আফরা:(উফফ বলে দিলে কি হয়,,)কিছু বলবেন???
মিনার:না, মানে,,
আফরা:যখন সাহস করে বলতে পারবেন তখন বলিয়েন,,, কথাটা বলে আফরা চলে যেতো লাগলো,,
মিনার:I love you Afra,,,,
আফরা মিনারের কথা শুনে থেমে গেলো,,,মিনার আবার বলতে শুরু করলো,,
মিনার:জানিনা কখন তোমাকে এতোটা ভালোবেসে ফেলেছি,,,তেমার বাচ্চামো স্বভাবটা আমাকে আরো বেশি প্রেমে পরতে বাধ্য করে,,,তোমার সব কিছুই ভালো লাগে,,,আফরা অনেক ভালোবাসি তোমায়,,,
আফরা মুগ্ধ হয়ে মিনারের কথা শুনলো,,স্বপ্নের মতো লাগছে আফরার কাছে,,আফরা কখনে ভাবেনি মিনার আজ তাকে ভালোবাসার কথা বলবে,,,,,আফরা চুপ করে আছে দেখে মিনার বললো,,
মিনার: আমি তেমাকে জোর করবো না আফরা,,তোমার যখন ইচ্ছা তখন উত্তর দিও,,আমি অপেক্ষায় থাকবো,,,
মিনার পিছন দিকে হেটে চলে যেতে লাগলে আফরা মিনারকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বললো,,
আফরা:আমিও তোমাকে খুব ভালোবাসি,,হুম এটা ঠিক একটু দেরীতেই সেটা বুঝেছি,,,
মিনার আফরাকে সামনে ফিরালো,,আফরা লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে রয়লো,,,
মিনার: যাক অবশেষে তোমার মুখে তুমি ডাক টা শুনতে পেলাম,,,,,
আফরা লজ্জায় মিনারের বুকে মুখ লোকলো,, শুরু হলো আরেকটি প্রেম কাহিনী,,,,,, তাদের ভালোবাসা কি পূর্ণতা পাবে??দেখা যাক শেষ পরিণতি কি হয়,,,
,
,
,
রাফিয়া চুপি চুপি হেটে ছাদেঁ গেল,,,রুশান পেছন থেকে রাফিয়ার চোখ ধরলো,,রাফিয়া বুঝে গিয়েছে এটা রুশান,,,,রাফিয়া বললো,,
রাফিয়া:আরে কোথায় নিয়ে যাচ্ছো আমাকে,,
রুশান কিছু বললো একটু এগিয়ে গিয়ে চোখ খুলে দিলো,,,রাফিয়ার চোখ থেকে হাত সরাতেই রাফিয়া অবাক +খুশি হয়ে যায়,,কারণ সামনে গোলাপের পাপড়ি দিয়ে “I Love You সবুজি” লিখা,,রাফিয়ার খুশিতে চোখ দিয়ে জল চলে এলো,,,
রুশান:রাফিয়া তুমি বললে না তোমাকে সবুজি কেন ডাকি??জানো,, যেদিন 1st তেমাকে রেস্টুরেন্ট দেখি ওইদিন তুমি প্রকৃতির রুমে আমার সামনে ছিলে,,সবুজ কামিজ পরা,,আমার চোখ ফেরানো মুশকিল ছিল,,ওইদিন থেকে তুমি আমার কাছে সবুজি,,I love ypu rafu,,Do you love me??(রুশান এক হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললো)
রাফিয়া হেসে তার হাত রুশানের হাতে বাড়িয়ে দিলো,,শুরু হলো রাফিয়া আর রুশানের মিষ্টি প্রেম কাহিনী,,
,
,
,
সকালে তিন্নি,রাফিয়া আর নোভার চেঁচামেচিতে অরুর ঘুম ভাঙলো,,
তিন্নি:বজ্জাত মাইয়া নিজের বিয়েতে কেউ এতোক্ষণ ঘুমায়??
নোভা:থাক না তিনু ওকে আজ ঘুমাতে দে বেচারি রাতে ঘুমাতে পারবে না কি সন্দেহ,,
সবাই হাসতে লাগলো নোভার কথায়,,অরুর ধড়পড়িয়ে উঠে গেল নোভার কথা শুনে,,
অরু:ওই ওই ঘুমাতে কেন পারবে না শুনি,,আর,,
তিন্নি :উফফ চুপ কর,,,ফ্রেস হতে যা,,
অরু হাত উঁচু করে আলসেমি ভাব নিতেই তার চোখ গেলো পেটের হলুদের দিকে,,
অরু:আআআআআআ এখানে হলুদ কিভাবে এলো,,কাল রাতে তো হলুদ উঠিয়ে ঘুমালাম,
রাফিয়া:তাহলে এলো কিভাবে??
তিন্নি :মনে হয় আমাদের জিজু এসে লাগিয়ে দিয়েছে,,
অরু:ফালতু কা বন্ধ কর,,,
রাফিয়া:হয়তো ভূলে লেগে গিয়েছে,,এবার যা,,পার্লারের মেয়েগুলাও চলে আসবে,,
অরু:উফফ এই পার্লার শব্দ টা জাস্ট অসহ্য,,,
রাফিয়া:শাঁকচুন্নি আজ তুর বিয়ে,,,,আজ সাজতেই হবে,,আমরাও সাজবো,,বাট নরমাল,,
অরু দীর্ঘশ্বাস নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল,,,,,
,
,
,
অরুকে খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে,,বউ সাজে অরুকে অপরুপ লাগছে,,,কিন্তু অরু মন খারাপ হয়ে বসে আছে,,এখন এই বাড়ির মেয়ে কিন্তু একটু পর সে এই বাড়ির অতিথি হয়ে যাবে,,মা বাবা সবািকে ছাড়া থাকতে হবে,,ভাবতেই অরুর দুই চোখ দিয়ে মনে হয় এখনি জল গড়িয়ে পড়বে,,,,অরুর মা দেখতে এলো অরুর সাজ কতোটুকু,, তিনি বললেন,,
-মাশাল্লাহ আমার মেয়েটাকে খুব সুন্দর লাগছে,,কারো নজর না লাগে যেন ,,, চোখের থেকে কাজল নিয়ে কানের পিছনে লাগিয়ে দিলো,,,
অরু মন খারাপ হয়ে তাকিয়ে আছে তার মায়ের দিকে,,অরুর মা অরুর চেহেরা দেখে নিজেই ফুঁপিয়ে কেদেঁ উঠলো,,,একটু পর তাদের মেয়েকে বিদায় দিতে হবপ এটা ভেবে অরুর মায়ের মন দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে,, অনেক কষ্টে কান্না চেপে অরুর মাথায় হাত বুলিয়ে চলে গেলেন,,,
তিন্নিরা আসলো অরুকে সবাই পচাঁতে লাগলো,,,,অরুও তাদের সাথে যোগ দিলো,,একটু পর বাহিরে থেকে শব্দ হলো বর আসছে বর আসছে,,,তিন্নিরা চলে গেল গেট ধরার জন্য,,,অরুর ভেতরে ভেতরে খুব অস্বস্তি হচ্ছে,,,,
তিন্নিরা গেট ধরলো,,আহানের জোতা চুরি সহ যা আকাম আছে সব করেছে,,বেচারা আহানকে ফকির বানানো বাকি আছে,,,,,একটু পর কাজি আসলো,,অরুকে আহানের কথা মতো লম্বা গোমটা দিয়ে নিয়ে আসা হলো,,,,অরুকে কবুল বলতে বলছে,,,অরু কিছুক্ষন চুপ করে ছিল,,,,তারপর চোখ বন্ধ করে বলে দিলো,,,বলার সময় দুই ফোঁটা জল পেপারে গড়িয়ে পরলো,,,,
চলে এলো বিদায়ের পালা,,,,নীরা তো অরুকে জড়িয়ে ধরেই আছে,,,সবাই কান্না করছে,,,অরুর মা তো ভাসিয়ে দিচ্ছে,,,,,অরু কান্না করতে করতে সেন্সলেস হয়ে যায়,,,,,আহান অরুকে কোলে করে গাড়িতে নিয়ে গেল,,,,,,সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আহানরা চলে গেল,,
,
,
,
এদিকে রাজ ঘরের সব জিনিস ভেঙে চুরমার করে দিচ্ছে,,,, তার রাগ চরম সিমানায়,,
রাজ:কি নেয় আমার মধ্যে অরু,,তুমি আমাকে reject করেছো??? আর ওই আহানকেই বিয়ে করে নিলে,,,,,দেখে নিবো তোমাকে,,,
,
,
,
অরুর সেন্স আসার পর সে দেখে তার মাথায় আহানের মা হাত বুলিয়ে দিচ্ছে,,অরু বুঝতে পেরেছে সে এখন কোথায়,,,
আহানের মা বললো” মা তোমার এখন কেমন লাগছে??”
অরু:ভালো,
আহানের মা আফরা কে বললো অরুকে আহানের রুমে দিয়ে আসতে,,,অরুর নিজের ভিতর দিয়ে কি যাচ্ছে একমাত্র সে জানে,,,
আহানের রুমে নিয়ে আসার পর আফরা বললো,,
আফরা:বাহ ভাবি বউ সাজে তোমাকে তো আরো বেশি cute লাগছে,,,
অরু লজ্জা পেলো,,,,
আফরা:থাক থাক লজ্জা পেতে হবে না,,,
,
,
,
আফরা চলে যাওয়ার পর অরু একটু নড়েচড়ে বসলো,রুমের চারদিকে তাকিয়ে অবাক,,গেলাপ ফুল দিয়ে পুরো রুম সাজানো হয়েছে,,,,একটু পর দরজা লাগানোর শব্দ পেলো,,,,অরুর মনের মধ্য ভয় কাজ করা শুরু করে দিয়েছে,,, না দেখে নাম না জেনে বিয়ে করেছে,,না জানি কি অপেক্ষা করছে তার জন্য,,,
অরু মাথা ওপরে তুলে আহানকে দেখে দিলো এক চিৎকার,,,,
চলবে!!
(সবার অনুরোধে আরেক পার্ট দিলাম,, ভুল-ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন আশা করি)