ধর্ষন করে বিয়ে .part..2

0
1365

ধর্ষন করে বিয়ে
পর্ব ২
,
– কি করবি তুই তোর মতো ছেলে আর কিই বা করতে পারে?(Riha)
.
– কি করি নাই তোর জন্য বল প্রতিদিন ফুল হাতে দাড়িয়ে থাকছি হাজারো অপমানের পরও কিছু বলিনাই। ঝড় বৃ্ষ্টি সবকিছুকে উপেক্ষা করে তোকে একটু দেখার জন্য ছুটে গেছি। কয়টা থাপ্পড় খাইছি খেয়াল নাই।তবুও কিছু বলি নাই।
তোর বাসা থেকে আমার বাসা প্রায় দু কিলো।তবুও প্রতিদিন
তোকে দেখার জন্য ছুটে গেছি তারপরও তুই বুঝিস না কতটা ভালোবাসি তোকে একটা দিনও তুই আমার সাথে ভালো ব্যাবহার করিস নাই। এরপর তোর বাসায় বিয়ের প্রস্তাব ও দিছি সবাই রাজি তুই ছাাড়া। এবার বল কি করবো তোকে?(sanvi)
,
– আমি তোকে ভালোবাসি না বাসি না বাসি না।যা করার কর।(Riha)
.
সানভি এবার রেগে গিয়ে বলে,
– এতোদিন আমার ভালো রুপ দেখছোস এবার দেখবি খারাপ রুপ।(Sanvi)
,
ঝাপিয়ে পড়ে রিহার ওপর।
তারপর তো বাকিটা প্রথমে পড়লেনই।
এই হলো কাহিনি।
,
চলুন বাস্তবে ফিরি।
সানভি রিহার দিকে কাপড় ছুড়ে মেরে বলে।
– এবার বল বিয়ে করবিনা?(সানভি)
রিহা ডুকরে কেদে উঠে।
,
সানভি চুপচাপ দেখে। ওকে কাদতে দেখে কষ্ট হয় সানভির কিন্তু কিছু বলেনা। এই পাচ বছর কম কষ্ট দেয়নি তাকে সবগুলোর শোধ তুলবে সে।
,
প্রতিশোধ সানভির মাথায় একটাই কথা।
প্রতিশোধের আগুল জ্বলতে থাকে তার মনে।
রিহাকে ঘরে রেখে তার বন্ধু সিয়ামকে কল দেয় সে।
,
সিয়াম সব যানে ওদের সম্পর্কে কিন্তু ওকে যে ধর্ষন করবে সেটা ও জানতো না।
,
সিয়াম ফোন ধরে,
– হ্যালো?(Sanvi)
– হ্যা সানভি বল?(Siam)
– দোস্ত তোর ধানমন্ডির বাসাটা খালি আছেনা?(sanvi)
.
– হুম কিন্তু কেনো?(siam)
– দরকার আছে।আমি আসতাছি রিহাকে নিয়ে তুই সব ঠিক কর।( sanvi)
.
– ওকে রাখ এখন।(siam)
– ওকে।
,
ফোন রেখে রিহার দিকে তাকায়। শয়তানের মতো করে হাসে সানভি।
নিজেকে তার সিংহ মনে হচ্ছে।
আর রিহা মনে মনে বলছে।
আজ ওকে বিয়ে করতে মেনে নিলে হয়তো বিয়ের আগে ধর্ষন হতে হতোনা।
.
কিন্তু এখন কি করবে ও।
ছেলেটাও তো খারাপ না কিন্তু হঠাৎ এসব চিন্তা কোথা থেকে আসলো ওর মাথায়।
,
এসব ভাবতে ভাবতে আবারো কান্না চলে আসে তার।
সামান্য জেদের জন্য আজ সে ধর্ষিতা।,
,
সানভির এমন রুপ কখনো দেখেনি সে।
সে তো শান্ত শিষ্ট ভদ্র একটা ছেলে।জিবনে কতবার থাপ্পড় দিছে রিহা সেই খেয়াল নাই তার।
কিন্তু সত্যি ছেলেটা কোনো প্রতিবাদ করেনি।
,
আর আজ সেই সানভি তাকে ধর্ষন করলো
তার মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে ব্যাপারটা। মানতে পারছেনা এটা তার সাথেই হয়েছে।
এখন যদি সে তাকে বিয়ে না করে তাহলে সমাজে মুখ দেখাবে কিভাবে।
,
সানভি বলে উঠে,
– রুমালটা দিয়ে চোখটা মুছে ফেলো।(sanvi)
রিহা কাপা কাপা হাতে রুমালটা নেয়।
তারপর নাকের কাছে নিতেই আবারো অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়।
,
জ্ঞান ফিরতেই আস্তে আস্তে চোখ খুলে সে।
সে খেয়াল করে অন্ধকার একটা রুমের মধ্যে বন্দি সে।
চিৎকার করে উঠে।
.
– Help.. please anyone help me.(Riha)
– কেও নাই পুরা বাসা ফাকা।আর এটা বেড রুম আর এই বাসায় সবগুলা রুমই সাউন্ডপ্রুফ সারাজিবন চিৎকার করলেও বাইরে শব্দ যাবেনা। তাই শুধু শুধু মেজাজ খারাপ করবা না।(sanvi)
.
– আমি বাসায় যাবো।(Riha)
– তাহলে বলো বিয়ে করবা আমাকে?(sanvi)
,
ধর্ষন করার পরও কেও কাওকে বিয়ে করতে চাইবে এটা রিহার জানা ছিলোনা।
অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে সানভির দিকে।
সানভি একটা সিগারেট ধরায়।
কালো ধোয়ায় বিষাক্ত হয়ে যায় সানভির হ্রদপিন্ড।
,
তার মনেও শান্তি নাই।তার মনটা শুধু বারবার বলতাছে কি করলাম এটা। অবশেষে ধর্ষন এতোটাই তিব্র নেশা ছিলো রিহার প্রতি।
,
সানভি আবারো বলে,
– কি হলো বলো বিয়ে করবা?(sanvi)
– হুম করবো।(Riha)
,
কোন উপায় না পেয়ে রাজি হয়ে যায়।কারন আজ সে ধর্ষিতা এটা জানার পর আর কেও তাকে বিয়ে করবে না।
কিন্তু এই ছেলেটা তাকে বিয়ে করতে চাইছে তাছাড়া ওকে বিয়ে করলে কেও জানবে না এসবের।
এসব ভেবেই রাজি হয়ে যায়।
,
সানভি এবার ধমক দিয়ে বলে উঠে,
– সেই রাজি হইলা ধর্ষন হওয়ার পর আগে রাজি হলে কি হতো?(sanvi)
– জানিনা বাট তোমাকে কোনোদিন ও স্বামি হিসেবে মেনে নিবোনা।(nilima)
– হাহাহাহা।
,
শব্দ করে হেসে উঠে সানভি।
রিহা ভয়ে কাপতে থাকে।
সানভি রিহার কাছে চলে যায়।
নিলিমার ঠোটের দিকে তাকাতেই নেশা গ্রাস করে তাকে।
আলতো করে একটা লিপ কিস করে রিহার ঠোটে।
,
তারপর রিহার বাসায় সামনে রেখে আসে তাকে।
,
রিহা বাসায় ডুকেই বাথরুমে চলে যায়।
দেখতে থাকে সানভির দেওয়া আচরের দাগগুলো।
খুব জোরে কাদতে থাকে। বাইরে শব্দ পৌছায় না।
অনেকক্ষন ধরে একটা শাওয়ার নেয়।
,
শাওয়ার শেষে বাবার রুমে যায় রিহা।
– বাবা একটা কথা ছিলো।(রিহা)
– কি কথা? (বাবা)
– সানভির সাথে বিয়ে পাকা করো ওকেই বিয়ে করবো আমি।(রিহা)
– কিন্তু ওরাতো মানা করে দিছে তোকে বিয়ে করবেনা।তুই ই তো মানা করলা কতবার।(বাবা)

বাবার কথা শুনে রিহার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে।
তবে কি বিয়ে করবেনা সানভি তাকে।
,
চলবে??
পরবর্তী পার্ট পেতে লাইক দিয়ে কমেন্ট করুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here