#কাননবালা!
#আয়েশা_সিদ্দিকা
পর্বঃ২২
মধ্য দুপুরের সময় নিখিল এসে হাজির হলো নীতুর অফিসে।নীতু নিজের ডেস্কে কাজ করছিল।হুট করে ভাইয়াকে অফিসে দেখে নীতু চমকালো।বাবার কিছু হলো না তো?এই চিন্তায় কলিজা ধ্বক করে উঠলো।নিখিল নীতুর আতংকিত চাহনি দেখে বললো,”কারো কিছু হয়নি নীতু।সবাই ভালো আছে।অফিসের কাজে ঢাকা আসলাম।তাই ভাবলাম তোর সাথে দেখা করে যাই।”
নীতু মুখে হাসি ফুটিয়ে বললো,”খুব ভালো করেছো ভাইয়া।এবার বলো কেমন আছে বাড়ির সবাই?
নিখিল ভালো আছে বলতেই নীতু ব্যস্ত স্বরে বললো,”দুপুরের খাবার খেয়েছো ভাইয়া?”
নিখিল হোটেলের খাবার খেতে পারে না।রুটি কলা কিনে খেয়েছে।তাই মিথ্যে করে বললো,”খেয়েছি।”
নীতু গভীর দৃষ্টিতে ভাইয়ের দিকে কতক্ষণ তাকিয়ে রইলো। ফের উচ্ছ্বসিত কন্ঠে বললো,”তুমি একটু বসো ভাইয়া।আমি আসছি।”
নীতু অভীকের কেবিনে নক করে প্রবেশ করে দেখলো অভীক আর পলাশ বসে কি একটা প্রজেক্ট নিয়ে ডিসকাস করছে।অভীক এই সময়ে নীতুকে দেখে বিরক্ত হলো।চোখ মুখ খিচিয়ে বললো,” কোন প্রবলেম মিস নীতু? ”
নীতু চোখের দৃষ্টিতে অনুনয় করে বললো,”স্যার ইভেনিং শিফটে আমার ছুটির প্রয়োজন ছিল।প্রমিজ নেক্সট ডে আমি আজকের সময়টা এক্সট্রা করে পুষিয়ে দিবো।”
পলাশ আর অভীক দুজনেই ভ্রু কুঁচকে তাকালো।অভীক কিছু বলার পূর্বেই পলাশ বলে উঠলো,”তোমার শরীর ঠিক আছে তো নীতু?”
নীতু পলাশের করা প্রশ্নে বিরক্ত হলো।এই বেটার অতিরিক্ত আহ্লাদে অভীক খেপে গিয়ে ছুটি ক্যানসেল করে দিতে পারে।পলাশকে সম্পূর্ণ ইগনোর করে অভীক নীতুর দিকে শীতল চাহনিতে তাকিয়ে বললো,”হটাৎ এত ইমার্জেন্সী?”
“স্যার ভাইয়া এসেছে।আবার আজই চলে যাবে। তাই…..”
নীতু কথা শেষ করার আগেই পলাশ অতি দ্রুত বলে উঠলো, “নীতু তোমার ভাই এসেছে আগে বলবে না।তার সাথে আলাপ করতাম।”
নীতু মনে মনে ফের নিজের কপাল চাপড়ালো। অভীক গরম দৃষ্টিতে পলাশের দিকে তাকালো।পলাশ চুপ হয়ে গেলো। নীতুর দিকে না তাকিয়েই বললো,”আপনি এখন আসতে পারেন মিস নীতু। আপনার ছুটি মঞ্জুর করা হলো।”
নীতু ধন্যবাদ বলেই কাচের দরজা ঠেলে বেরিয়ে আসলো।নিখিলকে নিয়ে অফিস থেকে বের হয়ে একটা সিএনজিতে উঠে পড়লো।নিখিলের হাজার বারণ কিছুই শুনলো না।গাড়িতে বসেই সাথিকে ফ্রিজ থেকে মাছ মুরগী বের করে ভিজিয়ে রাখতে বললো।
নিখিল শুধু অবাক চোখে দেখলো তার শান্ত বোনটা কেমন চঞ্চল হরিণীর মত ছুটছে।অফিসের ড্রেস চেঞ্জ না করেই চুলগুলো হাত খোঁপা করে রান্নাঘরে ঢুকে পড়লো।কিছুক্ষণ পরেই নিখিলকে শুকনো খাবার সামনে দিয়ে রান্নায় ব্যস্ত হয়ে পড়লো।কাঁচকি মাছের চড়চড়ি, মুরগী ভূনা,ডিম বেগুন ভাজি করলো।সবটাই নিখিল দেখলো।
খেতে বসে নিখিলের চোখে পানি এসে গেলো।নীতু খুব যত্নের সাথে ভাইয়ের জন্য খাবার পরিবেশন করলো।নিখিলের মনে হলে মায়ের পরে তার এই বোনটার যত্নে কেমন যেন মা মা গন্ধ আসে!অথচ সব বোনের মধ্যে নিখিল সবসময় নীতুর বেলাই ভীষণ উদাসীন ছিল, নীতুকেই সবচেয়ে বেশি অবহেলা করেছে। অন্যমনষ্কতার কারণে ভাতের পাতে নিখিল হুট করে বিষম খেলো।নীতু দিগবিদিক ভুলে নিখিলের মাথায় পিঠে চাপড় দিলো।পানির গ্লাসটা ধরে বসলো মুখের কাছে।উদ্বিগ্ন স্বরে বলে উঠলো,”ভাতের পাতে এত কিসের তাড়া তোমার ভাইয়া?”
নিখিল গাঢ় অপরাধবোধে আচ্ছন্ন হয়ে পড়লো।ভাতের পাতেই হু হু করে কেঁদে দিলো। ভাইকে ছোটো বাচ্চাদের মত কাঁদতে দেখে নীতু মায়া মায়া চোখে তাকিয়ে রইলো!
**********
সময়টা যেন দ্রুতই গড়িয়ে যাচ্ছে।দেখতে দেখতে এক মাস কেটে গেলো।সেতুর পরিক্ষা শেষ হয়েছে।রাবেয়া বেগম বার বার ফোন করে ঢাকা যেতে বলছেন।সেতু নিজের সিদ্ধান্তে দ্বিধান্বিত! তাজ সেদিন স্ল্যাং ইউজ করে তার সাথে কথা বলেছে।সেতু সে রাতে সারা রাত কাঁদলো।শেষ রাতের দিকে তাজ ছোট্ট একটা টেক্সট পাঠালো,”সরি!”
সেই পর্যন্তই, আর তাজ কোন কল দেয়নি সেতুকে।সেতু নিজেও কোন কল দেয়নি। যে মানুষটার কাছে সেতুর থাকা আর না থাকায় কোন মাথা ব্যথা নেই,তার কাছে সেতুর ফিরতে ইচ্ছা হলো না।
কিন্তু মন নামক বেহায়া স্বত্বাটা যেন সেই সিদ্ধান্ত মানতে ঘোর বিরোধিতা করছে।সেতু যখন নিজের টালমাটাল মন নিয়ে অস্থির ঠিক তখনই নীতু কল করে জানালো তার বাসায় ছোট একটা প্রোগ্রাম আছে। ইতু আপারা নাকি যাচ্ছে তাদের সাথে চলে আসতে।
সাথির প্রেগ্ন্যাসির সাত মাস চলছে।নীতু ঠিক করলো সাতোসা করবে।বাবা মাকে মেয়েটা কাছে পাচ্ছে না।তাই ছোট খাটো একটা আয়োজন করে সাথিকে শুভেচ্ছা জানাবে।
এই কথা জানার পর থেকেই সাথি অরবরত কেঁদে চলছে।রিপন কল করে নীতুকে অসংখ্য বার ধন্যবাদ দিয়ে ফেলেছে।নীতু যতই বলছে এটা সাথির প্রাপ্য, তবুও তারা নীতুকে ধন্যবাদ দিয়েই যাচ্ছে!
**************-
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জায়েদ,বড় আপা,বাচ্চারা ইতু মিলন,তুতুন,সেতু, শরীফুল কাকা এসে হাজির হলো।নীতু সবাইকে ভীষণ মিস করছিল।কিন্তু খুলনা যাওয়া সম্ভব নয়,অফিস আছে।তাই এই উপলক্ষে সবাইকে ডেকে নিলো।বড় আপা আর ইতু আসার পর থেকে নীতুকে জরিয়ে ধরে বসে আছে।অভিমানী বোনটার অভিমান ভাঙাবার চেষ্টা আর কি! নীতু বলে উঠলো,”মা বাবাকে খুব মনে পড়ছে।”
নীতুর কথায় দু’বোন শব্দ করে দীর্ঘ শ্বাস ছাড়লো। সেতু অদূরেই দাঁড়িয়ে ছিল।নীতু দুই হাত প্রসারিত করে চোখের ইশারায় কাছে ডাকলো।সেতু ছোট্ট বিড়াল ছানার মত এসে নীতুর কোলে মুখ গুজলো। জায়েদ হাই তুলতে তুলতে বললো,”মেয়েরা এত কাঁদতে পারে!বাবারে বাবা! চোখের জলে ভেসে যাওয়ার উপক্রম! ”
মিলন আর শরীফুল কাকা হেসে দিল।ইতু ফোঁস করে বলে উঠলো,”ভাইয়া আপনার ইচ্ছা হলে আপনিও কাঁদতে পারেন, আমরা মাইন্ড করবো না।”
সাথি ফোলা পেট নিয়েই তাদের জন্য নাস্তা নিয়ে আসলো। নীতু ধমকে উঠে বললো,”তোকে এসব করতে বলেছে কে?সারাক্ষণ ছুটাছুটি।”
সাথি মৃদু হাসলো। সেতু ব্যাঙাচির মত লাফ দিয়ে সাথির কাছে এসে বললো,”তোমাকে তো খুব কিউট লাগছে!”
সাথির চোখে পানি এসে গেলো।এই মানুষ গুলো কত সহজে তাকে আপন করে নিয়েছে।শরীফুল কাকা এসে সাথিকে এক হাতে জড়িয়ে ধরে কাছে বসালো।সাথি বললো,”মামা আপনাকে দুটো ধন্যবাদ দেওয়ার আছে আমার।এক রিপনের সাথে আমার বিয়ে দেবার জন্য দুই নীতু আপুর মত একটা মানুষকে আমার কাছে পাঠাবার জন্য আমার বোন করে!”
শরীফুল কাকা কেবল হাসলো।কিছু বললো না।
রাতটা কাটলো গল্প করে আর পরের দিনের প্রোগ্রামের আয়োজন সম্বন্ধে কথা বলে।
*********
অনীক এসেছে তার বউকে নিয়ে দুদিন হলো।মা আর বউয়ের সমোঝোতা করাতে।রুমি অবশ্য আসতে চায়নি।অনেক কাঠখোর পোহাতে হয়েছে তার জন্য। রুশিয়া বেগম সকাল সকাল উঠেই অভীককে ঘুম থেকে টেনে তুললো।অভীক ঘুম জড়িত কন্ঠে বললো,”উফ মা,কি করছো?ছুটির দিনেও ঘুমাতে পারবো না?”
রুশিয়া অনুরোধের স্বরে বলে,”আজ আর ঘুমাতে হবে না।পাশের ফ্লাটে গিয়ে দেখ তাদের কিছু লাগবে কিনা?মেয়েটা একা একা সব করছে।”
মায়ের কথা কানে যেতেই অভীক তড়িৎ গতিতে বিছানা থেকে লাফিয়ে উঠে ওয়াশরুমে দৌড় দেয়।ছেলের এহেন আচরণে রুশিয়া বেগম সরু দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন।
রুশিয়া বেগম অভীকের রুম থেকে বের হয়ে দেখেন অনীক কিচেনে।
“কি করছিস?”
“চায়ের পানি চড়ালাম মা।তুমি খাবে?”…. অনীক শান্ত কন্ঠে বলে।
রুশিয়া বেগম চোখ মটকে বলেন,” তুই সর।আমি করছি।তোর বউ এখনো ওঠেনি? ”
অনীক প্রলম্বিত নিঃশ্বাস ছাড়ে। রুমির ঘুম কখনো কি এত সকালে ভাঙে? তারপর বলে,”মা রাতে ঠিকমত ঘুম হয়নি তাই ঘুমাচ্ছে,ছোটো কই?”
চায়ের কেটলিতে চা-পাতা দিতে দিতে রুশিয়া বেগম বলেন,”হয়েছে হয়েছে বউয়ের জন্য আর মিথ্যে বলতে হবে না।অভীক আসছে।”
অনীক মায়ের কথায় মৃদু হাসে।একটু পরেই অভীক এসে হাজির হয়।”মা আমি বেরোচ্ছি। “….বলে চলে যেতে নেয় দ্রুত পায়ে।
” আরে কই যাচ্ছিস?চা খেয়ে যা।”…অনীক বলে।
“সময় নেই বড়ো,ফিরে ব্রেকফাস্ট করবো একসাথে। “… বলে অভীক চলে যায়।
অনীক ভাইয়ের যাওয়ার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে বলে,” এত তাড়াহুড়ো করে কোথায় যাচ্ছে মা?”
রুশিয়া বেগম নির্লিপ্ত কন্ঠে বলে,”তোকে না বললাম, আজ দুপুরে পাশের ফ্লাটে দাওয়াত আমাদের।সেখানেই যাচ্ছে। যদি কোন হেল্পের দরকার হয় তো।”
অনীক বিস্মিত কন্ঠে বলে,”মা তুমি ফাজলামো করছো?আমাদের ছোটো বাহিরের কারোর জন্য হেল্পিং হ্যান্ড হতে যাচ্ছে।সিরিয়াসলি?তাও এত আগ্রহ নিয়ে, কাহিনী কি বলতো?”
রুশিয়া বেগম ছেলের হাতে চায়ের কাপ তুলে দিয়ে নিজেও একটা তুলে নেন।তারপর মিটিমিটি হাসতে হাসতে বলেন,”কাহিনী না হয় নিজেই দেখে নিস,দুপুরে তো যাচ্ছি সেখানে আমরা।”
অনীক মায়ের হেয়ালীপূর্ণ কথায় ভুরু কুঁচকে তাকালো।রুশিয়া বেগম বলে উঠলেন,”দুপুরে তোর বউকে শাড়ি পড়তে বলিস,ওসব মডার্ণ ড্রেস যেন না পড়ে।”
অনীকের কপালে ভাঁজ পড়লো। রুমি আর শাড়ি?ভাবতেই শুকনো ঢোক গিললো।
**********
অভীক ফ্লাট থেকে বের হতেই দেখলো নীতু মিষ্টি রঙের একটা জামা পড়ে দরজায় তালা দিয়ে বের হচ্ছে।চুলে এলানো খোঁপা।চোখে মুখে ঘুমের স্নিগ্ধতা। ওড়নাটা শালের মত জরিয়ে পড়েছে,পায়ে দু বেল্টের স্লিপার, হাতে পার্স ব্যাগ।এত সাধারণের মাঝেও অসাধারণ অভিব্যক্তি!
“কোথাও বেরোচ্ছেন মিস নীতু?”….. আকস্মিক শব্দে নীতু চমকে উঠলো।নীতুর ভয় পাওয়া মুখ দেখে অভীক হেসে ফেললো।
” আপনি এত সকালে?”….নীতু বলে।
“মা আপনাদের এখানেই পাঠালো,যদি কোন হেল্প লাগে তাই আর কি।”…. ট্রাউজারের পকেটে দুই হাত পুরে বলে অভীক।
” ধন্যবাদ, কিন্তু এসবের প্রয়োজন ছিল না।”…..নীতু মৃদু হেসে বলে।
“সেসব পরে দেখা যাবে,এত সকালে কোথায় যাচ্ছেন?”
রাত জাগার ফলে সবাই ঘুমাচ্ছে,তারউপর প্রত্যেকে জার্নি করেছে।তাই নীতু তাদের ঘুম থেকে না উঠিয়ে নিজেই যাচ্ছে।
“ফুল কিনতে।”…..
” মিস নীতু আপনার সঙ্গী হতে পারি?”
নীতু সরাসরি না বলতে চাইলো কিন্তু অভীকের আগ্রহী চাহনি দেখে আর না করলো না।মৃদু হেসে সম্মতি জানালো।
**********
দুটো মানুষ রিকশায় বসে আছে।একজন ভীষণ অস্বস্তি ফিল করছে আর একজন পাশে বসা মানুষটার অস্বস্তি উপভোগ করছে।ফুল কিনতে দুজনে হেঁটে গেলেও আসার পথে রিকশা নিতে হয়েছে।দেরি হয়ে যাচ্ছে তাই।নীতুকে সরে বসতে দেখে অভীক ঠোঁট কামড়ে হেসে ফেললো। নীতু বিস্মিত আর অস্বস্তি ভরা দৃষ্টি নিয়ে বললো,”হাসছেন কেন?”
অভীক এবার শব্দ করেই হেসে ফেললো।নীতু রাগ নিয়ে বললো,”ভালো হবে না বলছি,এত হাসির কি হলো?”
অভীকের ত্যাড়া উত্তর, “আমার দাঁত দিয়ে আমি হাসলে আপনার সমস্যা কি?”
“হাসির একটা কারণ লাগে।বিনে কারণে হাসে পাগলে।আপনি কি নিজেকে পাগল বলে আখ্যায়িত করাতে চাইছেন ?”….. ঝাঁজালো স্বরে বলে নীতু।এত কাছ থেকে অভীকের এমন জ্বলন্ত হাসি নীতুর সহ্য হচ্ছে না।
নীতুর হাতে থাকা ফুলের ব্যাগ থেকে একটা সাদা গোলাপ নিয়ে অভীক নীতুর কানে পাশে গুজে দেয় সংকোচ বিহীন হাতে,সরাসরি নীতুর পদ্মদিঘির ন্যায় চোখের দৃষ্টিতে দৃষ্টি মিলিয়ে বলে,” পাগল হলে মন্দ হয় না, বলুন মিস নীতু? ”
নীতু ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায় অভীকের আচরণে।নীতুর চাহনি দেখে অভীক পুনরায় হেসে ফেলে।চোখের সামনে সুদর্শন পুরুষের সুদর্শন হাসি দেখে নীতু বারকয়েক চোখের পলক ফেলে। অভীক একই ভাবে তাকিয়ে বলে,”এত অস্বস্তির কি আছে?”
ঠিক তখনই রিকশায় ঝাকি লাগলে অসাবধানতা বশত নীতু পড়ে যেতে নিলে অভীক নীতুর হাত ধরে বসে।নীতু চমকায় অভীকের স্পর্শে।এর থেকে পড়ে যাওয়াই ভালো। অভীকের কেন যেন নীতুর হাত ছাড়তে মনে চাইলো না।নিজের হাতের মুঠোয় আলতো করে ধরে বসে থাকলো বাকিটা পথ। নীতুও হাত সরালো না। কিন্তু আশ্চর্য দৃষ্টি নিয়ে দেখলো শুভ্র পৌরষালী হাতের মাঝে তার কালো হাতটি কেমন মিলেমিশে গেছে।অভীক নীতুর বিস্মিত চাহনী উপেক্ষা করে নিজের আঙুলের ভাঁজে নীতুর আঙুল গুজে রাখলো।
কৃষ্ণ মুখশ্রীর ডান পাশে থাকা সাদা গোলাপটাও যেন বিস্মিত হয়েছে অভীকের আচরণে!
চলবে,