যখন এসেছিলে অন্ধকারে ১১

0
337

যখন এসেছিলে অন্ধকারে
১১

একটা সিনেমার মহরৎ অনুষ্ঠান। আলোকিত স্টেজে নায়ক, নায়িকা, পরিচালক, প্রযোজকরা কেক কাটছে। সহপ্রযোজক লোকটা নায়িকার পাশ থেকে সরছে না। কেক কেটে নায়িকার বুকের উপর দিয়ে হাত উড়িয়ে নায়কের মুখে দিলো। নায়িকা একটু বিব্রত। কিন্তু পরক্ষণেই নিজেই কেক নিয়ে ওই লোকটাকে খাইয়ে দিলো। ঘনঘন ক্যামেরার ফ্ল্যাশ পড়ছে। টিভি চ্যানেল, পত্রিকা, সিনে ম্যাগাজিন সাংবাদিকেরা বাইট নিতে ব্যস্ত।

মঞ্চের নিচের দিকে ভীড়টা অন্যধরনের। ব্যুফে ডিনারের আয়োজন অতিথিদের জন্য। সফেদ টেবিলরানারে মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। সবাই প্লেট ভরে ভরে খাবার নিয়ে খেতে ব্যস্ত। অনি এখানে ক্যামেরাম্যান সেজানের সাথে এসেছে। একজন নির্মাতার সাথে কথা বলিয়ে দেবে সেজান। বিজ্ঞাপনচিত্রে মেইন লিডের জন্য। ফটোশুটের পরে অনেক রকম অফার পেয়েছে অনি, কিন্তু একটাও মেইন রোল পায়নি। সবাই বলেছে অনির এক্টিং স্কিল ভালো না। ভালো হাইট আর ফিগার নিয়ে শুধু র‍্যাম্পেই হাঁটা যায়৷ মেইন্সট্রিম মিডিয়ায় আসা যায় না।

বেশ কতগুলো ফ্যাশন শোতে অংশ নিয়েছে অনি। লাইমলাইট পেয়েছে, শোস্টপার হিসেবেও ক্যাটওয়াক করেছে লাক্সের ফ্যাশন উইক রানওয়েতে। এখন কমার্শিয়ালে একটা ব্রেক চাই ওর। হন্যে হয়ে আছে। রাজন মানিকের সাথে সম্পর্ক ভালো হলেও, তার কাছ থেকে এক্সট্রা কোনো বেনিফিট পাওয়া যাবে না, সেটা বুঝে গিয়েছে অনি, যখন সারাদিন অসুস্থ মানুষটাকে সেবা করেও সিনেম্যাগাজিনের কাভারে ওর ছবি আসেনি। তাই সেজানকে ধরেছে ও। সেজান, রাজন মানিকের সাথেই কাজ করত। স্টিল ফটোগ্রাফিতে বেশ নাম। তারকাপাড়ায় জানাশোনাও ভালো। সিনেমাটোগ্রাফিতেও নাম করে ফেলেছে। বেশ কয়েকটা ভালো কাজ ইতিমধ্যেই পকেটে ঢুকিয়ে ফেলেছে।

এখানে আজকে সেজানের ইনভাইটেশন আছে। নায়িকার ক্লোজআপ নিতে ব্যস্ত অনেকক্ষণ। সবাইই ব্যস্ত। হয় নায়িকাকে নিয়ে, নইলে খাবার নিয়ে। অনি একা একা বোর হচ্ছে। মহরৎ শেষে সংবাদ সম্মেলন। বেশ অনেকটা সময়। ও দুটো স্প্রিং রোল, একটা ক্র‍্যাবভাজা, একটুখানি চাউমিন আর একটা বাটিতে থাই স্যুপ নিয়ে বসল। সবাই কোল্ড ড্রিংকস নিচ্ছে, ও নিলো না। এখানে ডায়েট কোক নেই, দেখেছে ও। ও অবাক হয়ে খেয়াল করেছে শোবিজের লোকেরা একেবারেই ডায়েটসচেতন না, খাবার যাই হোক হামলে পড়ে, অথচ এদেরই ফিটনেস ধরে রাখা উচিত সবচেয়ে বেশি।
স্যুপ মুখে দিয়ে ইমরানকে মনে পড়ল ওর,
প্রথমবার স্যুপ খেয়েছিল ইমরানের সাথে। কেমন একটা বাজে গন্ধ লেগেছিল নাকে, আর মনটাও ভালো ছিলো না তখন। ইমরানের কথা খুব একটা মনে পড়ে না এখন আর ওর, মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো সময়ে, সময়ের তুলনা করে। এখন যেমন স্যুপে চুমুক দিয়ে প্রথমবারের অভিজ্ঞতা মনে পড়ল!

এখন স্যুপ বেশ ভালো লাগে, থাই স্বাদেরটা সবচেয়ে মজা লাগে। কিন্তু এখন আবার ভালো লাগছে না। মাথায় টেনশন কাজ করছে। এত মানুষ চারিদিকে, এত এত তারকা। এই তারকাদের কারো চোখে কি ও পড়ে না? এমন হাইটের বাঙালি মেয়ে, ঘুরে একবার তো তাকানো উচিত। অনির খুব করে মনে হয় কোনো একদিন অমিতাভ রেজা চলে আসবে, অনিকে তার কোনো বিজ্ঞাপনে কাস্টিং করতে, নইলে মালেক আফসারী কোনো এক অনুষ্ঠানে ওকে দেখেই পছন্দ করে ফেলবে তার আপকামিং সিনেমার হিরোইন হিসেবে। শাকিব খানেরও তো কখনো মনে হতে পারে, অনির সাথে তার একটা হিটজুটি হবে৷ বা আফরান নিশো, তার কোনো নাটকে অনিকে নেওয়ার জন্য পরিচালককে অনুরোধ করবে। স্যুপের বাটিতে টুকটাক নাড়াচাড়া করতে করতে স্বপ্ন দেখছিল অনি। কাজশেষে সেজান এলো, একা একাই। কাউকে সাথে নিয়ে এলো না। অনি দ্বিধায় পড়ল ‘সেজান ভাই, আপনি একা?’

‘একা কই? তুমি তো আছ?’

‘না, সেটা বলিনি।’

‘তো, কী বলেছ? ক্র‍্যাবটা কেমন? বেশ না? টেন্ডার? নাকি কড়কড়া?’

‘ভালো।’

‘তুমি ক্র‍্যাব খাচ্ছ, দেখতে ভালো লাগছে।’

‘মানে?’

‘মানে হচ্ছে, সচরাচর মেয়েরা আরেকটু সময় নেয়, তুমি অনেক এডভান্স।’

‘ক্র‍্যাব খাচ্ছি বলে এডভান্স?’

‘ক্রেজি শোনাচ্ছে? আসলেই তাই। চিংড়ি যতটা আদর করে রান্নাঘরে ঢোকাই আমরা, জাতভাই হয়েও কাঁকড়া ঠিক ততটাই দূরে। কাঁকড়া খাওয়াটা একটা ট্যাবু এখনো। তুমি অনেক তাড়াতাড়ি এটা ভেঙেছ। বাকীগুলোও উতরে যাবে।’

‘আমি সব পারব, সেজান ভাই। আপনি শুধু একটু রাস্তাটা দেখিয়ে দেন। আজকে বলেছিলেন না, একজনের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবেন?’

‘কে? মুনিম ভাই? হ্যাঁ বলেছিলাম তো! এইমাত্র এলো আর চলেও গেল। ব্যস্ত মানুষ তো!’

খাবারগুলো বিস্বাদ লাগল অনির কাছে। ‘আমি খুব আশা করেছিলাম সেজান ভাই।’

‘এভাবে কী হয় অনি রাণি? আশা তো কতজনই কতকিছুরই করে। সব আশায় কি ফল ধরে? অপেক্ষা করতে হয়। সাধনা করতে হয়। ধৈর্য রাখো।’

‘আর কত ধৈর্য রাখব বলেন? ছয়মাস হয়ে গেছে আমি র‍্যামপে হাঁটছি, এখনো একটাও কাজ পেলাম না। আমি পর্দায় আসতে চাই, সেজান ভাই, প্লিজ!’

‘অনি তুমি অনেককিছু বোঝো না, অস্থির হও শুধু। হবে আস্তে আস্তে। মানুষ ছয়বছর ঘুরেও একটা চান্স পায় না। আচ্ছা যাও, সামনের সপ্তাহে আমি অরণ্য স্যারের অফিসে যাবো, ওনাকে নিয়ে একটা ফটোফিচার করতে, তখন তোমার কথা বলব।’

‘সত্যি? থ্যাঙ্কিউ সেজান ভাই।’

‘আমি তোমাকে খুব পছন্দ করি এটা কি জানো?’ ফিসফিস করে বলে সেজান।

‘জানি।’

‘কচু জানো!’ হাসে সেজান।

অনিরও ভালো লাগে সেজানকে। খুব গুরুত্ব দেয় ওকে। ফটোশুটের পরে প্রথম র‍্যাম্পে হেঁটেছিল সেজানের রেফারেন্সে। লাক্স সামার উইকলির মতো বড় শোয়ে। সেই শোটার স্পেশাল কয়েকটা ছবি ও তুলে দিয়েছিল। ডানদিক থেকে কপালে ফোকাস করলে অনির ছবিগুলো খুব আবেদনময়ী হয়, এটা ওই আবিস্কার করেছে।

শোএর আগেপরে দুজন একসাথে থাকে, মনে হয় কাপল। অনিকে নিয়ে বেশ পজেসিভও দেখা যায় সেজানকে। রাতে ট্যাক্সি ডেকে নিজেই পৌঁছে দেয় অনিকে। অনির নিরাপত্তার জন্য ভালো হলেও সুমনার অগ্নিদৃষ্টির সামনে ভষ্ম হতে যথেষ্ট এটা। আর একবার দুবার না প্রায় প্রতিদিনের ঘটনা এটা। নিত্যদিনই সুমনা গজগজ করে, রেগে যায় একেবারে ‘রাত কয়টা বাজে, অনি? ভদ্রলোকের মেয়েরা এইসময় বাড়ি ফেরে?’

*****

উবারে করে ফেরার সময় আজকে ফেরার রাস্তা দেখে বুঝল ওরা বাসায় যাচ্ছে না। অনি সেজানকে জিজ্ঞাসা করল ‘কোথায় যাচ্ছি আমরা?’

‘কেন? আমার সাথে যেতে আপত্তি আছে?’

‘না, তা না। জানতে চাইছি। আর দেরি হলে মা ভীষণ বকে তো!’

‘শিল্পিদের ঘর সংসার থাকতে নেই এইজন্য। এখন তুমি যদি নায়িকা হয়ে যাও, ধরো ইদের আগে আগে। ইদে মুক্তি পাবে যে ছবি তিন শিফটেও সেটার কাজ শেষ করতে পারো নি। লেট নাইট শিফটেও কাজ করতে হবে, তখন? তখন যদি মা বকার ভয় করো তবে শোবিজে আসাই উচিত হয়নি তোমার।’ একটু যেন রেগে যায় সেজান। নাকি পার্টিশেষে এলকোহলের প্রভাব?

উবারের গাড়ি এসে থামে সেজানের বাসার সামনে।
অনি একটু যেন চেঁচিয়ে ওঠে, ‘এখানে কেন সেজানভাই?’

‘অনি, অনেককিছুই বোঝো না তুমি। কম দিন হয়নি কাজ করছ। এমন ন্যাকা ন্যাকা কথা কেন বলো?’

‘মানে?’

‘আই নিড আ মোমেন্ট, আই ওয়ান্ট টু ফিল ইউ!’
সেজানের চোখ নরম হয়ে এসেছে, কন্ঠে আকুতি।

অনি শক্ত হয়ে যায়। ‘না।’

‘না মানে কি? অনি আই লাভ ইউ! প্লিজ।’

ভাড়ার গাড়িটা বেরিয়ে গেল হুশ করে। এগারোটা বাজে ঘড়ির কাঁটায়। অনির ভয় করতে লাগল।

‘অনি, অনি, প্লিজ, আজকের রাতটা শুধু প্লিজ! আই নিড ইউ!’ আড়ষ্ট হয়ে আসা অনির হাত ধরে টানল সেজান ‘প্লিজ, অনি সিন কোরো না, আবাসিক এলাকা।’

অনি আরও শক্ত হয়ে যায়।

সেজান রেগে যায় এবার। দাঁতে দাঁত ঘষে বলে ‘ইন্ডাস্ট্রিতে এভাবেই কাজ হয় অনি। কাজ পেতে এটাই করতে হবে তোমাকে। আজকে আমার সাথে শুতে হবে কালকে কোনো প্রডিউসারের সাথে। আর যদি টেন্ডার চিকপিক হও তো ইটস নট ইওর প্লেস বেইবি। তুমি ঘরে বসে সীতা-সাবিত্রি নইলে শাবানা আপার সিনেমা দেখবে আর চোখের পানি ফেলবে। ক্যামেরাম্যান হচ্ছে এই ইন্ডাস্ট্রির ভগবান। সে চাইলে তোমার ক্যারিয়ার তৈরি করে দিতে পারে নইলে ছুঁড়ে আছাড় মারতে পারে। এমনও হতে পারে, তোমার আমার টিম একটা দারুণ ক্লিক করল, আমরা একের পর এক কাজ সাইন করতে লাগলাম!’ আবারও মিনতি করে সেজান ‘প্লিজ অনি, চলো? লাভ ইউ, জান!’

অনির চোখে পানি এলো না। শুধু ফোঁপাতে থাকল অপমানে। ধপ করে বসে পড়ল গ্যারেজের মেঝেতে। ওর মনে পড়ল পরশ কথা নিয়েছিল ওর কাছ থেকে, কখনো লোভ করবে না।

বিড়বিড় করে বলল ও ‘অসম্ভব!’

‘এখন চলো। অরণ্য স্যারের অফিসে তোমাকে সাথে করে নিয়ে যাব আমি। প্লিজ!’

অনি পিছু হটতে শুরু করে। বেরিয়ে আসতে চায়। সেজান গলা উঁচু করে ‘কোথাও কাজ পাবে না তুমি, কোথাও যেন কাজ না পাও, সেই ব্যবস্থাই করব আমি। অনি ভুল করছ তুমি।’

দৌড়ে বেরিয়ে আসে অনি।

রাত অনেক। মানুষের চলাচল আছে তবুও নিরাপত্তার অভাব। মানুষের কাছ থেকেই তো ভয়। মানুষের বেশে, মুখোশের আড়ালে কে আছে চেনা বড় দায়।

সিএনজি নিয়ে বাসায় ফিরতে দেরিই হলো ওর। ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে ঘরে ঢুকতেই সুমনার রোষের মুখে পড়ল, ‘রাত কয়টা বাজে অনি? এসব আর কতদিন চলবে?’

‘নতুন কথা বলো, মা।’ অনিকে ক্লান্ত দেখায়।

‘এইগুলো কেমন জামাকাপড়? এইগুলো পরে রাতবিরাতে পুরুষ মানুষের সাথে বাড়ি ফিরলে ছিঃছিৎকার পড়ে যাবে না?’ অনি একটা লো কাট গাউন পরা। এতেই সুমনা ক্ষিপ্ত হয়ে গেছে। অন্যসময় র‍্যাম্পে হাঁটার ড্রেসগুলো তো ডিজাইনারকে দিয়েই আসতে হয়। আজ তো পার্টি ছিলো।

‘মা, আমি শাওয়ার নেবো প্লিজ!’ অনি পাত্তা দেয় না সুমনার কথা বা রাগ কোনোটাকেই।

অনির পথ আটকায় সুমনা। আজ এর দফারফা হতেই হবে। ‘খবরদার তুই আমার ঘরে ঢুকবি না। নিজে তো নষ্ট হইছিস, ছোটোটারেও নষ্ট করবি?’ এরপর ছেলেকে ডাকল চিৎকার করে, ‘পরশ, এদিকে আয়।’

পরশের ঘুম আসছিল না, ও অনির ফেরার অপেক্ষা করছিল। বারবার ফোনে ট্রাই করে পাচ্ছিল না। নিজেও অনিকে বকুনি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েছিল। সুমনা ওকে দেখেই চিৎকার করল ‘আজকে এই মেয়ে প্রতিজ্ঞা করবে, ও আর এইসব করবে না, নইলে আমি ওকে এইঘরে ঢুকতে দেব না।’ বলেই দুইহাত দিয়ে দরজার চৌকাঠ ধরে ব্যারিকেড দিলো।

‘অনেক রাত হইছে, মা।’ পরশের কথায় সুমনা আরও জ্বলে উঠলেন ‘হ্যাঁ, এতরাতে কারা বাড়ি ফেরে জানো? আমি ওকে ঘরে ঢুকতে দেবো না। ও ঢুকলে আমি বেরিয়ে যাব।’

‘আহ মা, এখন মানুষ শুনছে না?’

‘শুনুক। শুনতে কেউ বাকি নেই আর।’

এই বাকবিতন্ডা নেওয়ার মতো মানসিকতা অনির আর নেই। ধৈর্যচ্যুতি ঘটল, ‘মা, তুমি থামবা? কাল সকালেই চলে যাবো আমি।’

‘আহ অনি? তুই ও তো কথা বাড়াচ্ছিস!’ পরশের কথা শেষ হওয়ার আগেই সুমনা বলল ‘কাল সকাল আবার কী, এখন বের হবি তুই?’

রাগে কাঁপতে কাঁপতে সুমনা বসে পড়ল মেঝেতে। হাই প্রেশার আছে তার। সিচুয়েশন হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে কীনা ভেবে পরশ তাড়াতাড়ি বলল ‘ঠিকই তো অনি, তোকে সবরকম সাপোর্ট দিই, তাও তুই কথা শুনিস না। তোর জন্য আমরা কাউকে মুখ দেখাতে পারছি না। বেরো তুই ঘর থেকে?’ মা কে সামলাতে গিয়ে অনির কোথায় আঘাত করল পরশ, তা ও বুঝল না।

মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলো অনি, এখন খেই হারালো। পরশও ওকে ভুল বুঝল? গুটি গুটি পায়ে ও নেমে গেল রাস্তায়।

সুমনাকে ঠান্ডা করে পরশ অনিকে খুঁজতে বেরোলো। ও ভেবেছিলো হয়তো ছাদে বা নিচে গ্যারেজে বসে থাকবে। পরিস্থিতি ঠান্ডা হলেই ডেকে নিয়ে আসবে। কিন্তু অনি কোথাও নেই। রাস্তার মাথায় গিয়ে পরশ ক্রমাগত ফোন দিতে থাকল। অনির ফোন সুইচড অফ আসছে। পরশের মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিলো! অভিমানী অনি কোথায়, কী বিপদ ঘটিয়ে দিলো আবার!

রাত তিনটের সময় টালমাটাল পায়ে রাজন মানিকের ফ্ল্যাটের দিকে এগিয়ে যেতে দেখা গেল অনিকে। টুক টুক করে নক করল। রাজন মানিক তখনো কাজ করছেন। রাতজেগে কাজ করা তার নেশা, দিনে পড়ে পড়ে ঘুমোন। দরজা খুলতেই অনি কাতর হয়ে বলল ‘আমাকে থাকতে দেবেন এখানে, প্লিজ?’

চলবে…

Afsana Asha

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here