হৃদয় এনেছি ভেজা পর্ব ২

0
758

#হৃদয়_এনেছি_ভেজা – [০২]

কলিংবেলের শব্দে তরীর ঘুম ভেঙে গেলো। কাচা ঘুম ভেঙে যাওয়ায় চোখ জোড়া বদ্ধ অবস্থাতেই কপালে কুচকে গেলো তার। পিটপিট করে চোখ মেললো। জানালার দিকে তাকাতেই দেখলো ধরনী ধীরে ধীরে আলোকিত হচ্ছে। নিভু নিভু আলো। সাবিয়া বেঘোরে ঘুমোচ্ছে পাশে।

ফজরের সময় দুজন উঠে নামাজ পড়ে আবার ঘুমিয়েছে। তবে বেশিক্ষণ হয়নি। তরীর ঘুম কিছুটা পাতলা। এজন্য কলিংবেলের শব্দটা তাকে এসেই বিরক্ত করলো। আবারও কলিংবেলের তীক্ষ্ণ শব্দ কানে আসে। তরী আবার চোখ বুজে এবার উঠে বসে। চোখ বুজেই বালিশের পাশে হাতড়ে ওড়নাটা হাতে নিলো। অতঃপর সেটা গায়ে জড়াতে জড়াতে বিছানা ছেড়ে নামলো। অতঃপর রুম থেকে বেরিয়ে সদর দরজার কাছে গেলো। সদর দরজা খুলে দেখলো কেউ নেই। বিরক্তিতে তরীর ঘুম উড়ে গেলো। এই অসময়ে এমন ফাইজলামির মানে কী? দিলো তো ঘুমটা ভেঙে। নিশ্চয়ই উপর তলার বাচ্চা ছেলেটার কাজ। এই বদ ছেলেটা আগেও বেশ কয়েকবার এই অকাজ করেছে। অন্যের ঘরের কলিংবেল বাজিয়ে এরা কী রকম পৈশাচিক আনন্দ পায়?

তরী দরজা বন্ধ করে জানালার কাছে গিয়ে দাঁড়ালো। দেখলো এক বাচ্চা ছেলে হাতে প্লাস্টিকের রেহাল দুলতে দুলতে মসজিদের দিকে যাচ্ছে। গায়ে সাদা-মাটা টি-শার্ট, প্যান্ট। মাথায় টুপি। বাচ্চাটা কী মনে করে তরীদের বাসার জানালার দিকে তাকালো। যেহেতু থাই গ্লাসটা লাগানো, সেহেতু বাচ্চাটি তরীকে দেখতে পেলো না। জানালার দিকে তাকিয়ে ছেলেটি মুখ চেপে হাসলো। অতঃপর আবার দুলতে দুলতে চলে গেলো। তরী অবাক হয়ে চেয়ে রইলো বাচ্চা ছেলেটার যাওয়ার পানে। এর মানে তরীর ধারণাই ঠিক ছিলো!

তরী সোফায় গিয়ে সটান মেরে বসে রইলো। কিছুতেই ঘুম আসছে না তার। ঘুম পুরোপুরি কেটে গেছে। তরী এক ধ্যানে কতক্ষণ বসে থেকে সোফায় হেলান দিয়ে বসল। লম্বা লম্বা নিঃশ্বাস ফেললো। এক ধ্যানে কিছুক্ষণ সিলিং-এর দিকে তাকিয়ে হঠাৎ উঠে দাঁড়ালো। এভাবে শুয়ে-বসে থেকে কাজ হবে না। এজন্যে তরী আগে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলো। তারপর গিয়ে রান্নাঘরে ঢুকলো। ফুপি কখন আসবে সেটা বলা যাচ্ছে না। ইতিমধ্যে ভোর ছয়টা বেজে গিয়েছে। তরী নাস্তা বানালেই ভালো হবে। এজন্যে ধীরে-সুস্থে নাস্তা বানানো শুরু করলো। সাবিয়া তখনো ঘুমোচ্ছে।

নাস্তা বানাতে বানাতে আটটা বেজে গেলো। তখন আবার কলিংবেল বেজে ওঠে। তরী হাতের কাজ রেখে মাথায় ওড়না টানতে টানতে দ্রুত সদর দরজার দিকে ছুটলো। দরজা খোলার আগে দূরবীনে দেখে নিলো কে এসেছে। ফুপি! তরী চটজলদি দরজা খুললো। তরীকে দেখতেই ফুপি ক্লান্তিমাখা হাসি উপহার দিলো। তরী সালাম দিয়ে বললো,
–“অবশেষে এসেছো!”

ফুপি ভেতরে প্রবেশ করতেন করতে বললো,
–“হ্যাঁ রে মা। দুঃখিত, বেশি দেরী করে ফেলেছি। কোনো সমস্যা হয়নি তো?”

ফুপির কথা শুনে তরীর মুখ ফসকে বেরিয়ে আসতে নিয়েছিলো গত রাতের ঘটনা। কিন্তু তরী নিজেকে সংগত করে নীরব রইলো। গত রাতের ঘটনা বলার মতো না। তরী মৃদু স্বরে বললো,
–“কোনো সমস্যা হয়নি।”

ফুপি বোরকা খুলতে খুলতে ভেতরে চলে গেলো। তরী দরজা লাগাতে নিবে ওমনি বাহির থেকে বাড়িওয়ালার চেঁচামেচির শব্দ শুনলো। গলার স্বর নিচে থেকে আসছে৷ তরীদের ফ্ল্যাট দো’তলায়। এজন্য শুনতে অসুবিধে হলো না। কিন্তু এই সকাল সকাল আবার কাকে বকাবকি করছে কে জানে? তরী এত দিকে মনযোগ না দিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলো। ফুপি কিছুক্ষণের মধ্যে হাত-মুখ ধুঁয়ে এলো রান্নাঘরে৷ এসে দেখলো নাস্তা বানানো প্রায় শেষ! ফুপি তা দেখে মুখ ভার করে বললো,
–“তুই কেন কষ্ট করে বানাতে গেলি মা?”

তরী আলতো হেসে বললো,
–“ঘুম খুব ভোরেই ভেঙে গিয়েছিলো। অবসর সময়ে কী করবো, এজন্যে ভাবলাম নাস্তাটা-ই বানিয়ে ফেলি। ফেরার পর তুমি এমনিতেই ক্লান্ত থাকবে। এজন্যে ইচ্ছে করেনি তোমাকে খাটাতে!”

ফুপি মুগ্ধ হলো ভাইঝির কথায়। মেয়েটার প্রতি একটু বেশি-ই সন্তুষ্টি অনুভব হয় তার। চেহারা জুড়ে যেমন মায়া তেমনই তার কথাতেও মায়া মায়া ভাব। ফুপির মাঝেমধ্যে খুব আফসোস হয় এই ভেবে, তরীকে তার ছেলের বউ করতে পারবে না। তার ছেলে যে খুব ছোটো। সাবিয়ার সমান। ক্লাস টেনে পড়ে। অথচ তরীকে দেখলে বড়ো ছেলের আকাঙ্খা মনে এসে ভীড় করে। তার প্রথম বাচ্চাটা জম্মের পরপর মূর্ছা না গেলে আজ তার বউ তরী থাকতো। ফুপি চাপা দীর্ঘশ্বাস ফেললো। ভাগ্যকে মেনে না নিয়ে উপায় নেই।

তরী রাঁধতে রাঁধতে বললো,
–“নিচে বাড়িওয়ালা কার ওপর চেঁচামেচি করছিলো ফুপি?”

ফুপির ধ্যান ভাঙে। বললো,
–“এইতো পাশের ফ্ল্যাটের ছেলেটার উপর। রাতে নাকি কী ঝামেলা হয়েছিলো। অনেক শব্দ করেছিলো। এজন্য বাড়িওয়ালা ভীষণ ক্ষিপ্ত। তুই কোনো হুঁদিশ পেয়েছিস নাকি?”

তরী ভাঁজি নাড়তে গিয়ে হঠাৎ খুন্তিটা থমকে যায়। পরমুহূর্তে নিজেকে সামলে মৃদু গলায় বললো,
–“না, পাইনি।”

ফুপি সেদিকে আর ধ্যান দিলো না। সে চলে গেলো সাবিয়াকে ডাকতে। বেলা হয়ে গেছে। মাদ্রাসাতেও যে যেতে হবে।

—————–
বাড়িওয়ালার হাতে বেশ কিছু টাকা গুজে দিয়ে নিজের ফ্ল্যাটে আসলো অনয়। নয়তো তার মুখ থামানো মুশকিল হয়ে পরেছিলো। এমনিতেই ব্যাচেলর মানুষ। সহজে কেউ ব্যাচেলর ভাড়া দিতে চায় না। ফ্ল্যাটে ফিরে দেখলো সিদাত সোফায় পা তুলে আপেল আর পেপসি খাচ্ছে। টিভিতে তার গভীর মনোযোগ। অনয় চোখ বড়ো বড়ো করে সিদাতের দিকে চেয়ে বলে,
–“ঘুম থেকে উঠেই আমাকে ফকির করতে উঠে পরে লেগেছিস?”

সিদাত ঘাড় বাঁকিয়ে অনয়ের দিকে সরু চোখে চেয়ে তাকে দেখিয়ে পেপসিতে চুমুক দিলো। অনয় চোখে-মুখে রাগী ভাব আনার চেষ্টা করে বললো,
–“সামান্য মায়া-দয়া নেই আমার উপর? তোর জন্যে সারা রাত স্ট্রাগল করলাম। এখন বকুনি খেয়ে এলাম। আর তুই মাতাল হয়ে শুধু ঘুমিয়েছিস!”

সিদাত হাই তুলতে তুলতে বললো,
–“আমি ইচ্ছাকৃত ওগুলো গিলিনি। এক পাবলিক ফিগারের গতকাল পার্টি ছিলো। আমি পার্টিতেই গিয়েছিলাম। ওখানে কোন শালা আমার ড্রিংকে গোলমাল করেছে কে জানে? জানলে তো ইহ-জীবনেও এসব পার্টির ধার ধারতাম না।”

অনয় চট করে সিদাতের কাছে এসে বললো। ভ্রু-দ্বয় কুচকে বললো,
–“আর-জে সিদাত আজকাল পার্টিতেও যাচ্ছে নাকি?”

সিদাত টিভির দিকে দৃষ্টি স্থির করে বললো,
–“হেল্পলেস ছিলাম।”

অনয় সেসব বাদ দিয়ে মুখটাতে অস্বাভাবিক সিরিয়াস করে বললো,
–“ড্রিংক করার পর তোর সাথে কী কী হয়েছে সব আমাকে বল।”

সিদাত কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো,
–“ড্রিংক করার পরপরই বাবার কল এসেছিলো। বললো, দ্রুত বাড়ি ফিরতে। আমি তাই সময় বিলম্ব না করে পার্টি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। বের হওয়ার পর পার্কিং লট পর্যন্ত যাওয়া অবধি মনে হলো কেউ আমার পিছু নিচ্ছে৷ আমি সেদিকে ফোকাস করতে পারছিলাম না। কারণ আমার পা জোড়া খুব টলমল করছিলো। মাথাটাও ভার হয়ে আসছিলো। তাই কোনোরকমে বাইক নিয়ে বেরিয়ে আসি। দুর্বল অনুভূতিটা বেশি হচ্ছিলো এজন্য তোকে ব্যাপারটা আগে জানাই, যে আমার কেউ পিছু নিচ্ছে। এরপর বাড়ী যাওয়ার সিদ্ধান্ত বদলে কোনো রকমে তোর কাছে এসে পৌঁছাই। পরে আর কিছু মনে নেই!”

অনয় গালে হাত দিয়ে সিদাতের দিকে চেয়ে বললো,
–“আমার কাছে নয়। ভুলবশত একজন মেয়ের কাছে পৌঁছে গিয়েছিস!”

সিদাত যেন আকাশ থেকে পরলো এমন ভাব৷ ভ্রু কুচকে অস্ফুট স্বরে বললো,
–“হোয়াট! তোর বাসায় মেয়ে কোথা থেকে এলো? আর ইয়্যু কিডিং উইথ মি?”

অনয় নাক কুচকে বললো,
–“জি না। আপনি আমার ফ্ল্যাটে না এসে পাশের ফ্ল্যাটে আধমরা হয়ে পরে ছিলেন। সেখানে একটা মেয়ে ছিলো!”

সিদাত হতভম্ভ, বিমূঢ়। নিজের কানকে সে বিশ্বাস করতে পারছে না। এত রাতে কোনো মেয়ের ঘরে? অসম্ভব। সিদাত বিব্রত হয়ে বললো,
–“আমার দ্বারা কোনো এক্সিডেন্ট হয়েছে বন্ধু?”

–“নাহ। তুই তো দরজার কাছে পরে ছিলি, অবহেলিত পাত্রের মতো। মেয়েটা তোকে ছুঁয়েও দেখেনি মনে হয়। হাহা, সো ফানি।”

বলেই অনয় হাসতে লাগলো। সিদাতের ভ্রু কুচকে গেলো। হালকা করে বললো,
–“হোয়াট!!”
অনয় হাসতে হাসতে ইতিবাচক মাথা নাড়ায়। সিদাত অবিশ্বাস্য চোখে চেয়ে রইলো অনয়ের দিকে। সিদাত, মেঝেতে? অসম্ভব!!

অনয় সিদাতের ঘোর কাটাতে অন্য প্রসঙ্গে বললো,
–“আরে শোন না আগের কাহিনী। তুই কল দেওয়ার পরপর আমি আঙ্কেলকে কল করে সব জানাই। আঙ্কেল তৎক্ষণাৎ লোক পাঠায় আমার বাসার উদ্দেশ্যে। কিন্তু ততক্ষণে ওই লোকেরা চলে আসে। হাতের কাছে যা পেয়েছি তা দিয়েই খুব পি*য়েছি শা*দের। আমার এক সেট গ্লাস আর এক সেট কাচের প্লেট শেষ। দুটো থেকেই দুই তিনটা করে গ্লাস আর প্লেট ভেঙে গেছে। এরপর আঙ্কেলের পাঠানো লোক আসার পরপর শা*রা কোনোরকমে পালিয়ে যায়।”

সব শুনে সিদাত চাপা দীর্ঘশ্বাস ফেলে। অতঃপর বিদ্রুপ করে বললো,
–“থাক বন্ধু, কাঁদে না। নতুন একটা ডিনারসেট কিনে দিবো নে। ওটা তোমার বিয়ের অগ্রীম উপহার।”

অনয় ঠাস করে সিদাতের পিঠে এক ঘা বসিয়ে দিয়ে কর্কশ কন্ঠে বললো,
–“তোর টাকার ধার ধারি না। যা সর। নিজের জীবন বাজি রাখলাম আর সে আমার বিয়ের চিন্তা করে। কোনো কৃতজ্ঞতাবোধ নেই। তোর মতো বন্ধু আমার লাগবে না!”

সিদাত আলতো হাসলো। আবার বললো,
–“দুটো ফুলদানিও দেখলাম ভেঙে পরে আছে। ওটাও পরিশোধ করে দিবো!”

অনয় গরম চোখে তাকালো। সিদাত কোনোরকমে হাসি থামিয়ে আবারও পেপসিতে চুমুক দিলো। দুই ঢোঁক খেতে না খেতেই অনয় সেটা জোর করে কেড়ে নিলো। যার ফলস্বরূপ সিদাতের গলা সহ সাদা শার্ট ভিঁজে গেলো। সিদাত তার শার্টের দিকে চেয়ে অস্ফুট স্বরে বললো,
–“শিট!”

অনয় শার্টের দিকে চেয়ে বোকা হাসলো। হাসি বজায় রেখে বললো,
–“আমার একটা সাদা শার্ট আছে। ওটা তোরে দিয়ে দিবো নে। এরপর হিসাব বরাবর!”

——————-
বিশাল এক বাগানের মাঝে বড়ো দুটো ছাতা বাঁধা। ছাতার নিচে বেতের সোফা সেট। মাঝে ছোটোখাটো বেতের টি-টেবিল। ছাতার ছায়ায় সাঈদ সাহেব সহ আরও দুজন বসে আছে। মুখোমুখি। একজন থানার ওসি এবং আরেকজন ওসি সাহেবের সহকারী। তারা দুজন-ই মুখখানা ছোটো করে বসে আছে। সাঈদ সাহেব অত্যন্ত ক্ষিপ্ত। রাগে একপ্রকার ফুঁসছে সে। বাকি দুজন অপেক্ষায় আছে সাঈদ সাহেবের কঠিন ধমক শোনার জন্যে। অবশেষে সেই অপ্রিয় অপেক্ষার অবসান হলো। চেঁচিয়ে উঠে দাঁড়ালো সাঈদ সাহেব।
–“আমার ছোটো ছেলের উপর হামলা করলো। কে বা কারা করলো সেটা আপনারা ধরতে পারছেন না। তাহলে আপনাদের এই উচ্চপদ দিয়ে কী করবো? মুড়ি খাবো আমি? আপনারা সাধারণ জনগণ নাকি উচ্চপদস্থ আইনজীবি আমি সেটাই বুঝতে পারছি না!”

ওসি কিছুটা বিব্রত হয়ে বললো,
–“আমরা তো বলিনি যারা সিদাতের ওপর হামলা করেছে তাদের চিনতে পারিনি। অবশ্যই চিনেছি। তারা ছিলো আপনার বিরোধী দলের লোক। কিন্তু সঠিক প্রমাণ না থাকায় আমরা কিছু করতে পারছি না!”

মাথা অত্যন্ত গরম হয়ে গেলো সাঈদ সাহেবের। মাথাটা ভনভন, চিনচিন করছে। কান দিয়ে যেন গরম বেরোচ্ছে তার। হাত দুটো মুঠিবদ্ধ করে চুপসে গেলো। মুখ খুললেই গরম কথা বেরোবে, যা সাঈদ সাহেব চাচ্ছে না। ওসির সহকারী আড়ষ্ট হয়ে বললো,
–“আমার মনে হয় আপনার বড়ো ছেলে সাইফ রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার কারণে ওরা হঠাৎ এরকম হামলা করেছে। হয়তো-বা এই হামলা সাইফকে রাজনীতির পথ থেকে সরানোর কোনো বার্তা ছিলো।”

———————
সাবিয়াকে মাদ্রাসায় দিয়ে আসে তরী। বেশ কিছুদিন বাসায় থাকবে বলে-ই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে। নয়তো ফুপিকে একা বাসায় রাখতেও তার মন মানে না। তরী এবার অনার্স তৃতীয় বর্ষে পড়ছে। বাংলা বিভাগে৷ সিঁড়ি বেয়ে উঠছিলো ওমনি পেছন থেকে কেউ বলে ওঠে,
–“এইযে, নিকাব রাণী। গতকাল কী তুমি-ই আমাকে হামলার হাত থেকে বাঁচিয়ে ছিলে?”

©লাবিবা ওয়াহিদ
~[ক্রমশ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here