হৃদয়ের_কথা পর্ব ৭

0
776

#হৃদয়ের_কথা
#প্রজ্ঞা_জামান_তৃণ
|৭|

৯.
ব‍্যাস্ত সময় কাটাচ্ছে রিধিমা।জানুয়ারি মাসেই ক্লাস শুরু হবে!ডিসেম্বর শেষ হতে সময় আছে এখনো।জন্মদিনের ঘটনার পর সম্রাট রিধিমার থেকে দুরে দুরে থেকেছে।রিধিমা কষ্ট পেয়েছে ভিষণ। সে ভেবেছিল সম্রাট ওর বাচ্চামোর জন‍্যই ওকে পাত্তা দেয়না। সম্রাটের হুট করে বলা কথায় মন পুলকিত হয়ে গেছিল।কিন্তু ওর মাঝে মাঝে মনে হয় সবটা ভ্রান্ত ধারণা। আজকে বাসায় অনাকাঙ্ক্ষিত মেহমান আসবে। সে সম্পর্কে সবাই অবগত শুধু রিধিমা ছাড়া। সে যখন ঘর থেকে বের হয় ড্রয়িংরুমে হইচই। মেহমান চলে এসেছে তাড়াতাড়ি। ডায়নিং টেবিলে বসে খাবার খেতে খেতে কিছু কথা ভেসে আসে আরেকটু মনোযোগ দিয়ে শুনতে চেষ্টা করে। মর্তুজা শাখাওয়াত সাহেব বলছেন,
_ ‘আপনাদের মেয়েতো ভালো আমি দেখেছি তাকে।কিন্তু আমার ছেলেটা বাহিরে আছে। আপনাদের প্রস্তাবটা আমার ভালো লেগেছে আমাকে একটু সময় দিন আমার ছেলের থেকে পারমিশন নিয়ে জানাবো আপনাদের।’

পুরো ঘটনা বুঝতে বাকি নেই রিধিমার। ড্রয়িংরুমে ঘটা করে সম্রাটের বিয়ের ব‍্যাপারে আলোচনা হচ্ছে। সবাই চাচ্ছে সম্রাটের বিয়েটা হোক। কম পাত্রি তো আসল না। সম্রাটের জেদের কারণেই কেউই বিয়ে ব‍্যাপারে ভেবে দেখেনি।রিধিমার হাত পা কাপঁছে অজানা আশঙ্কাই। রিধিমা যখন নিজের অনুভূতি বুঝতে পারলো সম্রাটকে নিয়ে তখনই সবার সম্রাটের বিয়ে নিয়ে উঠে পরে লাগতে হবে? ওর কিশোরী মনে একটার পর একটা আঘাত আসছে। নিজেকে সামলে চলতে পারবে কিনা রিধিমা জানেনা। ড্রয়িংরুমে এখনো কথা চলছেই

_ ‘সম্রাট বাবাকে তো আমার মেয়ের অনেক পছন্দ আগে থেকে। আমরাও দেখেছি এমন ভালো ছেলে আজকাল দুর্লভ। তাই ভাবলাম দেরী না করি প্রস্তাবটা আমরায় দেই। আমরা তো বেশিক্ষণ দেরী করতে পারবো না তাড়াতাড়ি উঠতৈ হবে। আরেকদিন নাহয় এসে সরাসরি বাবার সঙ্গে কথা বলে যাব। আপনারাও সময় করে আমার মেয়েকে দেখতে যেতে পারবেন। হাজারহোক আমরা পরিচিত আগে থেকে। সম্রাট বাবা আর আমার মেয়ে মেহনাজ তো পূর্বপরিচিত। ধীরে সুস্থে এগলেই হবে আমাদের শুধু সম্রাটের মত আছে কিনা জানিয়ে দিবেন।আজ আসি তবে!’

উনাদের চলে যাওয়া দেখে বড়মা বলে উঠলেন,
_ ‘সেকি রহমান সাহেব আপনারা বেশি কিছু তো মুখে দিলেন না।’

মেহনাজ আপুর মা বললেন,
_ ‘আজ থাক ভাবী যেদিন বিয়ের ডেট ফিক্সড্ হবে সেদিন খাওয়া দাওয়া হবে। আজ একটা পজেটিভ চিন্তা নিয়ে যায়। রেজাল্ট পজেটিভ হলে তো আমরা একেঅপরের আত্মীয় হয়ে যাবো সেদিন নাহয় হবে।’

বলে উঠে গেলেন রহমান সাবের স্ত্রী নাজমা বেগম।

ওরা চলে যেতেই ছোটমা বললেন,
_ ‘এদের দম্ভ গেলনা। উনারা চেয়েছিলেন যাতে আমরা হ‍্যা বলে দেই। পজেটিভ উত্তর না পাওয়ায় হুট করে চলে গেল। সবই বুঝি।’

ছোটমার কথায় আম্মু বলে উঠলেন,
_ ‘খারাপ না তো সমন্ধটা। মেহনাজ তো ভালো মেয়ে। সম্রাটের সঙ্গে ভালো মানাবে। আপনারা একটু ভেবে সিদ্ধান্ত নিয়েন।’

আম্মুর কথায় মেধা আপু বললেন,
_ ‘মেহনাজ আপু ভালো। কিন্তু অতিরিক্ত আধুনিক। এমন মেয়ে ভাইয়ের পছন্দ হবে তো?’

_ ‘আরে সম্রাটকে জানিয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিয়ের সমন্ধ তো আসতেই থাকে আমরা দেখে শুনে সম্রাটের বউ খুজঁবো।’
বলে মেধার দিকে তাকিয়ে স্লান হাসলেন মর্তুজা শাখাওয়াত।

রাহুল আর সাহিল কিছু বলার জন‍্য চেষ্টা করছে কিন্তু বলে উঠতেই পারছে না শেষে রাহুল নিজেই বলে উঠল,
_ ‘আমার মতে বিয়ে নিয়ে কথা সম্রাট ভাইকে জানিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। ভাইয়ের তো কোথাও পছন্দ থাকতে পারে।’

রাহুলের কথা যে একেবারেই ফেলনা নয় সবাই বুঝল। শাখাওয়াত সাহেব সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি কথা বলবেন এসব ব‍্যাপারে সম্রাটের সঙ্গে আগে সম্রাট ফিরুক।

সমস্ত কথায় রিধিমার কানে গেলো। খাবারটা সরিয়ে চুপচাপ বসে রইল রাহুলের কথাটা তার কানে বারবার প্রতিধ্বনি হচ্ছে। আসলেই তো সম্রাটের পছন্দ থাকতে পারে। হয়তো সম্রাট কাউকে পছন্দ করে এজন্যই পাত্তা পায়না রিধিমা। অজানা আশঙ্কায় রিধিমার চোখ পানিতে টুইটম্বর।মেহনাজকে চিনে রিধিমা এই মেয়ে সম্রাটের জন‍্য পাগল। বাসায় যখন বিয়ের প্রস্তাব দিতে পেরেছে। সম্রাটকে রাজি করারনোর জন‍্য পাগলামি করতেও দিধা করবে না। আর মেয়েটা তো দেখতে খারাপ না অতি আধুনিক। সম্রাট যদি রাজি হয়ে যায়? সব রকম খারাপ ভাবনা মস্তিষ্কে হানা দিচ্ছে। নিজেকে সামলে ঠিক করলো জারিফার সঙ্গে কথা বলবে। মেয়েটা প্রচন্ড বোঝে রিধিমাকে।

১০.
রাত ৮: ০০ টাই কাজ শেষে সম্রাট বাড়ি ফিরে। বাসার সবাইকে ড্রয়িং রুমে বসে থাকতে দেখে রাহুল সাহিলকে ইশারা করে। রাহুল সাহিল যা বোঝানোর ইশারাতেই বুঝিয়ে দেয়। সম্রাটের চোয়াল শক্ত হয়ে যায়। বাসায় বিয়ের প্রস্তাব কোনভাবেই সে সহ‍্য করতে পারেনা। সম্রাট রেগে রুমে যেতেই শাখাওয়াত সাহেব বলে উঠেন,
_ ‘তোমার জন‍্য ভালো একটা সমন্ধ এসেছে। মেয়েটা তোমার পরিচিত মেহনাজ। তোমাকে খুব পছন্দ করে।’
শান্তশিষ্ঠ গলায় বলে উঠলেন মর্তুজা শাখাওয়াত।

_ ‘বাবা আমি বিয়ের জন‍্য প্রস্তুত নই। আমার বিয়ে নিয়ে তোমাদের ভাবতে হবে না মেয়ে আমার পছন্দ করা আছে তুমি ভালো করেই জানো সেটা।’

শাখাওয়াত সাহেবের রাগ তরতর করে বেড়ে যাচ্ছে। নিজেকে যথাযথ শান্ত রেখে বিষয়টি হেন্ডেল করবেন ভেবেছিল কিন্তু তার দামড়া ছেলে যে এব‍্যাপারে আবারো তার অবাধ‍্য হবে বুঝতে পারেননি। ভাগ‍্যিস রহমান সাহেবের থেকে সময় নিয়েছেন নাহলে তার ছেলে তার নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরাতো। তিনি বাড়ির সবাইকে ঘরে যেতে বললেন সম্রাটের সঙ্গে আলাদা কথা বলবেন বলে। সবাই চাওয়া চায়ি করে চলে গেল। রাহুল আর সাহিল সম্রাটকে আশস্ত করে উপরে চলে যায়। এদিকে সম্রাট নিজের মেজাজ ধরে রেখেছে। আজ যদি তার বাবা কোন অপ্রিতিকর কথা বলে সে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে না।

_ ‘তুমি কি নিজেকে শুধরাবে? ভুলে যেয়ো না আমি এখনো বেচেঁ আছি। আর আমার সিদ্ধান্তই শেষ কথা হয়। তুমি যা চাও সেটা আমি কেনো কেউ মানবে না। তাই বিয়ে করে নিজের ছন্নছাড়া জীবনকে গুছিয়ে নেও।’

সম্রাট রেগে গেছে, রাগের বসে সে বাবার দিকে লাল চোখে তাকিয়ে রইল,

মর্তুজা শাখাওয়াত সাহেব রাগের সীমা পেড়িয়ে থাপ্পড় দিয়ে বসেন সম্রাটকে।
_ ‘তোমার এতো অধপতন? বাবার দিকে চোখ তুলার সাহস হলো কি করে? তোমার মতো অভদ্রের কাছে আমি আমাদের রাজকুমারীর দায়িত্ব দিবো ভাবলে কিভাবে? ভুলে যাও রিধিমার কথা অসভ্য ছেলে।’

রীতিমতো রাগে ফুসছে মর্তুজা শাখাওয়াত। সম্রাটের ও ধর্যের বাধ ভেঙ্গে গেছে। সে রাগের তুখোড় পর্যায়ে গালে হাত দিয়েই বলে উঠল,

_ ‘ শোন বাবা কেউ মানলো কি মানলো না আমার যায় আসেনা। রিধিমা যদি কারো হয় সেটা আমারই হবে। নাহলে সবকিছু ধ্বংস করে দিবো আমি। এতোদিন তোমার কথা ভেবে আমি বাড়াবাড়ি করিনি। যদি আমার কথা না মানো বাড়াবাড়ি করতে বাধ‍্য হবো।’

শাখাওয়াত সাহেব হতভম্ব হয়ে যাচ্ছেন ছেলেকে দেখে। এই তার ছেলে এতো অধপতন? যে সম্রাট কখনোই বড়দের সঙ্গে তর্ক করেনি কারো অবাধ‍্য হয়নি! সেখানে ২৮ বছরের গন্ডি পার হতেই সব কিছু চেন্জ তিনিও কম কিসে ছেলেকে তিনি শিক্ষা দিবেন,
_ ‘ তুমি যদি বাড়াবাড়ি করো সেক্ষেত্রে আমি বাড়াবাড়ি রোধ করতে পারি। পুলিশ দিয়ে তোমাকে শিক্ষা দিবো। রিধিমাকে ভালো কোন ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দিবো। দেখি তুমি কি করো?’

সম্রাট রেগে কাচের ট্রি টেবিলে লাথি দেয় সঙ্গে সঙ্গে সেটা ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। রাগের বসে সে হুঙ্কার করে উঠে,
_ ‘এমনটা যদি করো আমাকে এতদিন ভালো দেখেছো এবার থেকে আমার খারাপটা দেখবে। আমি সত্যি সব ধ্বংস করে দিবো। রিধিমা আমার ওকে আমার থেকে কেউ আলাদা করতে পারবে না। আমি হুমকি দিচ্ছি না তবে তোমার আমার ক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিত। তোমার পুলিশ আমার কিছু করতে পারবে না।’

সম্রাট উপরে উঠতে যাচ্ছিল মর্তুজা শাখাওয়াত সাহেব বলে উঠলেন,
_’ এমন অভদ্র ছেলের সঙ্গে আমি সম্পর্ক রাখবো না বেড়িয়ে যাও আমার বাড়ি থেকে!’

সম্রাট থেমে যায় বাবার মুখের দিকে চেয়ে রাতেই বাহিরে বেড়িয়ে যায়। সম্রাট বেড়িয়ে যেতেই শহীদ আর সারওয়ার সাহেব নিচে নেমে ভাইকে জিগ্যেস করলেন,

_’ ভাই কি হয়েছে কেনো চলে গেলো সম্রাট? ওকি বিয়ের জন‍্য রাগ করল?’

শাখাওয়াত সাহেব লজ্জায় তাকালেন না যদি তার ভাইয়েরা জানে তার বড় ছেলে রিধিমার জন‍্য পাগলামি করে ঘর ছাড়ল কি ভাববে তারা। আশেপাশের বিধ্বস্ত অবস্থা দেখে সম্রাটের মা, সেজোমা,ছোটমা সবাই নেমে এসেছে। তারা হতভম্ব হয়ে সবটা দেখছে। শাখাওয়াত সাহেব সবার উদ্দেশ্যে বললেন,
_’ সম্রাট চলে গেছে। ওকে আমি বের করে দিয়েছি।’

বলেই চলে গেলেন নিজের রুমে। মাহিমা বেগম হুহু করে কেঁদে উঠলেন কেনো তার ছেলেকে বের করে দিলো বূঝতে না পেরে স্বামীর কাছে গেলেন। বাকি সবাই এমন ধাক্কা পেয়ে কি বলবে বুঝলেন না। শাখাওয়াত সাহেব রাগ করে আছেন পরে ঠিক সম্রাটকে আসতে বলবেন ভেবে তারাও রুমে চলে গেল। সাহিল আর রাহুল অল্প অল্প বুঝতে পারল কাহিনী কি হতে পারে। সম্রাটের ব‍্যাপারে এই দুই ভাই পুরাটাই জানে।
রিধিমা যখন ক্লাস টেনে তখন জেনেছিল সম্রাট ছোট থেকে রিধিমার উপর দুর্বল। সম্রাটের রিধিমার প্রতি অতিরিক্ত কেয়ার দেখেই ভেবেছিল। যদিও সবারই রিধিমার উপরে কেয়ার কিন্তু সম্রাট যেন বেশি। এজন্য একবার রাহুল বলেই দিয়েছিল,
_’ ভাই সত্যি নাকি?’

সম্রাট সেদিন প্রাণখোলা হেসে বলেছিল,
_’ শালা ‘!

সেই থেকে রাহুল আর সাহিল সম্রাটের ব‍্যাপারে সবটা জানে। তারা তো ভিষণ খুশি হয়।রাহুলের তো কলিজা সম্রাট। ছোট থেকে সম্রাট ভাই সম্রাট ভাই বলে পাগল। সে যদি সম্রাটের শালা হয় তবে হাতে চাঁদ পেয়ে যাবে। এতটাই পছন্দ করে। আর সম্রাট ছাড়া রিধিমাকে কেউ ভালো করে হেন্ডেল করতে পারেনা। তার কলিজার বোনের জন‍্য সম্রাটই পারফেক্ট। রাহুল আর সাহিল মন খারাপ করে বলল,

_’বড় বাবাকি সম্রাট ভাইকে মেনে নিবে না? বাসায় কি আর আসবেনা সম্রাট ভাই?’
সাহিল মন খারাপ করে বলে উঠল,
_’ চিন্তা করিস না ভাই ঠিক আসবে। বড়বাবা রেগে আছেন তাই। কিছুদিন যেতে দে নিজেই ভাইকে আসতে বলবে। আবার রিধিমার জন‍্য মেনে নিবে।’

১১.
রিধিমা যখন জারিফার বাসা থেকে আসে ড্রয়িং রুমের এমন বিধ্বস্ত অবস্থা দেখে থমকে যায়। সবকিছর বিধ্বস্ত অবস্থা সবাই ডাইনিং এ বসে খাবার খাচ্ছে। কারো মুখে কোন কথা নাই। রিধিমা জারিফার বাসায় খেয়েছে কাজেই এখন তার ক্ষুধা নেই। সে অবাক হয়ে বাবাকে জিগ্যেস করলো

_ ‘ আব্বু এমন অবস্থা কেনো ড্রয়িং রুমের?’

সবাই চুপচাপ খাচ্ছে কেউ কথা বলছে না। রিধিমা সবাইকে দেখল শুধু সম্রাট নেই। ও কিছু বলবে তার আগেই শাখাওয়াত সাহেব বললেন,

_’ এসব সম্রাট করেছে। তুমি এসব নিয়ে ভেবো না।খেয়ে নেও।’

বড় বাবাকে এমন গম্ভীর দেখে অবাক হলো রিধিমা। সম্রাটকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে শাখাওয়াত সাহেব হঠাৎ ছেলের ব‍্যপারে উদাসীন। রিধিমা যেন আকাশ থেকে পড়ল,
_’আমি খেয়ে এসেছি বড়আব্বু। বড় আম্মু সম্রাট ভাইয়া কোথায়?’

মাহিমা বেগম টুপ করে চোখের পানি ফেলে শাখাওয়াত সাহেবকে তরকারি দিতে লাগলেন।
_’সম্রাট নেই। ও বাড়ি ছেড়ে গেছে আসবেনা আর।’
বড়মার ভাবলেশহীন কথায় রিধিমা হকচকিয়ে উঠল,
_ ‘ বাড়ি ছেড়ে গেছে মানে? কোথায় গেছে আমার ভাইয়া?’
হঠাৎ রিধিমা কেদেঁ উঠল। সারওয়ার সাহেব খাওয়া ছেড়ে উঠে আসলেন। রিধিমাকে জরিয়ে বললেন,
_ ‘ কিছু হয়নি মা। কাদেঁ না সম্রাট ভাইয়া ফিরে আসবে আবার!’

সবাই চুপ করে রইল। কারো গলা দিয়ে আর খাবার নামল না। মাহিমা বেগম কান্না করতে করতে রান্নাঘরে চলে গেলেন।

~ চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here