হৃদয়জুড়ে প্রেয়সীর আভাস (২) পর্ব ১৫

0
2300

#হৃদয়জুড়ে_প্রেয়সীর_আভাস (২)
#পর্ব_১৫
#মোহনা_হক

-‘ধু’ম’পা’ন স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকারক। এটা যে প্যাকেটের গায়ে লিখা আছে সেটা কখনো পড়ে দেখননি? সি’গা’রে’টে কি মধু মিশিয়ে দেয় এমপি সাহেব?’

অধর মেলে হাসলো আয়াজ। প্রেয়সীর বোকা বোকা কথায় না হেসে পারা যায়? একবার বাসার নিচে তাকালো। স্বাভাবিক হয়ে বললো,

-‘টা’ন দিয়ে দেখবে একবার?’

রুয়াত একটু দূরে সরে আসে। আয়াজ তার দিকেই তাকিয়ে আছে। যে জিনিসটার গন্ধ ভালো লাগে না সেটা কিভাবে সহ্য করবে? আবার আয়াজ বলছে একবার টা’ন দিয়ে দেখতে। নাক কুচকে ফেলে। কথাটি পছন্দ হলো না। অপছন্দের কথা বললে সেটা কিভাবে পছন্দ হবে? ওষ্ঠ ফাঁক করে নিঃশ্বাস নিলো। বিরক্তিমাখা স্বরে বলে-

-‘প্রথমত এটা ছেলেরা খায়। মেয়েদের কখনো খেতে দেখিনি। আর এটার গন্ধ আমার সহ্য হয় না।’

-‘কিছু কিছু মেয়েরাও খায়। যারা ঢাকায় বাস করে। এগুলো তাদের কাছে নরমাল। দেখবে একটা ছেলে দাঁড়িয়ে খাচ্ছে তার পাশে একটা প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েও দাঁড়িয়ে দু’জন একই সাথে খেয়ে যাচ্ছে।’

অবাক হয়ে রুয়াত আয়াজের দিকে তাকায়। কথাটি বিশ্বাস হলো না। কখনো সে তো নিজের চোখে দেখেনি। তারা যে শহরে থাকে সেখানকার কোনো মেয়ে কে আজ পর্যন্ত এসব খেতে দেখেনি। শুনেও নি। তাহলে কথাটি কিভাবে বিশ্বাস হবে? এই প্রথম আয়াজের থেকেই শুনেছে। এতো সহজে কিভাবে বিশ্বাস করে নিবে?

-‘মেয়েদের নামে এসব আজেবাজে কথা বলবেন না। আপনার মুখে এসব মানায় না। যেখানে মেয়েদের ব্যাপারে আপনি খুবই প্রখর। সেখানে এসব কথা আপনার মুখ থেকে এসব বিশ্বাস করা দায়। আর আমি বিশ্বাস করবোও না।’

বিরক্তিকর শব্দ করলো আয়াজ। কথাটি কি মিথ্যে বলেছে সে? পুরোটিই তো সত্যি ছিল। এরকম ঘটনা ঢাকায় অহরহ ঘটেছে। এমনকি নিজ চোখেও দেখেছে। কিন্তু এই রুয়াতকে কে বোঝাবে? বুঝবেই না আরও উল্টো পাল্টা কথা বলা শুরু করবে। সোজাসাপ্টা আয়াজ বলে উঠে,

-‘তাহলে তোমার বিশ্বাস তোমার কাছে রাখো। বিশ্বাস করতে হবে না যাও। তবে তুমি কখনো এরকম কাজ করতে যেও না।’

-‘আপনিই তো আমাকে বললেন একবার টা’ন দেওয়ার জন্য। তাহলে এখন এটা বলছেন কেনো? দুমুখো কথা বলবেন না।’

-‘আমি শুধু দেখতে চেয়েছিলাম তুমি কি বলবে। এটুকুই।’

রুয়াত বেশ আগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন করলো,
-‘আচ্ছা আপনাকে আমি সব সময় এটা খেতে দেখি। এই জিনিসটা খেলে কি ভালো লাগে? কিন্তু এটা তো শরীরের জন্য ক্ষ’তি’কারক। পুরো এলাকার খবর হাতের মুঠোয় করে রাখেন অথচ এটা জানেন না? নাকি জেনেও নিজের ক্ষ’তি করছেন?’

আয়াজ শরীর নড়েচড়ে বসে। মাথাটা দু’পাশে আপন মনে দোলাচ্ছে। যেনো রুয়াতের কথা শুনেনি। তবে মুখশ্রীতে বিন্দু বিন্দু হাসির ছোঁয়া উঁকি দিচ্ছে। রুয়াতের আগ্রহ দমে গেল। কারণ আয়াজ কিছু বলছে না। যে এক্সপেকটেশন নিয়ে প্রশ্ন করেছে তা উবে গিয়েছে এখন। কিছু সময় চুপ থাকার পর আয়াজ বলে-

-‘সব জানি। তবে এটা বেশিরভাগ এমন প্রেমিকেরা খায় যাদের প্রেমিকারা তাদের ভালোবাসে না। মুলত বলতে পারো, যাদের বিচ্ছেদ হয়েছে তারা এটা ইচ্ছামতো খায়। আবার অনেকে নেশায় পরে এই জিনিসটা কে পছন্দ করে। এখানে কোনো মধু মিশিয়ে দেওয়া হয় না প্রেয়সী।’

পর পর ঢোক গিলে রুয়াত। কিছু একটা বলতে গিয়েও থেমে যাচ্ছে বারবার। মন সায় দিচ্ছে না। আবার আয়াজ কি বলবে সেটা নিয়েও চিন্তিত। না বলেও টিকে থাকতে পারছে না। বললে একটু হলেও তার মন হালকা হতো। তবে সে সাহস যে নেই তার। কিভাবে বলবে? অধম কামড়ে মাথা নিচু করে বসে আছে রুয়াত। আয়াজ আকাশের পানে চেয়ে আছে। না তাকিয়েও বুঝে যাচ্ছে কিছু একটা নিয়ে রুয়াতের সংকোচ বোধ হচ্ছে। ওরকমভাবে থেকেই বলে-

-‘বিচলিত হবার দরকার নেই। যেটা বলতে চাও সেটা নির্দ্বিধায় বলতে পারো।’

হকচকিয়ে গেল রুয়াত। আয়াজ তো একবারও তাকায়নি। তাহলে বুঝলো কিভাবে?
-‘আপনি বুঝেছেন কিভাবে? আমিও তো বলিনি।’

-‘যেটা বলতে চেয়েছিলে সেটা বলো। অযথা কথা বলোনা।’

-‘আচ্ছা আপনি যে বললেন যেসব প্রেমিকদের তাদের প্রেমিকারা ভালোবাসে না তারা এটা খায়। আবার এটাও বলেছেন যাদের বিচ্ছেদ হয়েছে তারাও এটা খায়। কিন্তু এখন আমার কথা হচ্ছে আপনার কোনটা হয়েছে?’

আয়াজ ঘাড় বাঁকিয়ে রুয়াতের দিকে চায়। এরূপ চাহনিতে কিছুটা হকচকিয়ে যায় সে। একটু নড়েচড়ে বসে। মনে মনে শুধু একটাই কৌতূহল আয়াজের কি পছন্দ হয়নি কথাটি? আবার কি না কি বলে ফেলে। যে সাহস যুগিয়ে কথাটি বলেছিলো সেটা ক্ষণিকের জন্য ছিলো। এখন তো তার এক পার্সেন্ট ও সাহস নেই। বড় ভুল করে ফেলেছে। আয়াজের মুখে হাবভাব তখনকার মতো নেই। কিছুটা বদলে এসেছে। আবারও এমন ও না যে মুখ দেখে বোঝা যাবে কথাটি আসলে আয়াজ সহজ ভাবে নিয়েছে তো। একটু আধটু অনুশোচনা হচ্ছে রুয়াতের। এসব না বললেও পারতো। বড্ড সাহস দেখিয়ে ফেলেছে। রুয়াত কে অবাক করে দিয়ে আয়াজ বলে-

-‘বলতে পারো সেরকম কিছু একটা।’

-‘আপনার প্রেমিকা আছে?’

ছোট্ট করে উত্তর দেয় আয়াজ,
-‘হু।’

বক্ষঃস্থল হুট করেই কেঁপে ওঠে হঠাৎ। যেনো আজকের যাত্রা এখানেই শেষ। কোঁথায় ভীষণ জ্ব’ল’ছে। টিকে থাকবে কিভাবে সে চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত উঠানামা করছে। পাশের মানুষটি অস্থির হয়ে পড়েছে। হাতের তালু ঘষে দিচ্ছে বারবার।

-‘রুয়াত স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করো।’

চোখে পানি ছুঁইছুঁই করছে মেয়েটার। কিছু নিয়ে বেশি চিন্তা করলে এমন সমস্যা দেখা দেয়। হান্নান চৌধুরী মারা যাওয়ার পর থেকে এ সমস্যা। তবে সেটা সব সময় না। কিছু কিছু সময়ে এরকম হয়। আবার মিনিট কয়েক বাদে ঠিক হয়ে যায়। বারবার চোখ ঝাপটায়। বসা থেকে দাঁড়িয়ে পড়ে। ক্ষনিকের মধ্যেই সমস্যা উধাও হয়ে যায়। আয়াজ তড়িঘড়ি করে উঠে দাঁড়িয়ে রুয়াত কে জিগ্যেস করে-

-‘ঠিক আছো?’

মাথা ঝাঁকায় রুয়াত।
-‘জ্বী।’

আয়াজ ভ্রু কুচকায়। খানিকটা দূরে সরে আসে। হাতে থাকা মোবাইল পকেটে পুড়ে।
-‘আমার প্রেমিকা আছে এটা শুনে কি এই অবস্থা হয়েছে?’

সোজাসাপ্টা রুয়াত বলে উঠে,
-‘না। এজন্য এমন হয়নি। আপনার প্রেমিকা থাকতেই পারে। তাতে আমার কি?’

-‘তোমার সত্যিই কিছু না?’

রুয়াত ঘুরে অন্যদিকে দাঁড়ায়।
-‘একবার বলেছি। আপনি শুনেছেন তারপর ও আবার জিগ্যেস করছেন কেনো?’

-‘যাক তাহলে ভালো। তবে কোঁথায় থেকে জানি পোড়া পোড়া গ’ন্ধ আসছে। হয়তো বা কারোর কথাটি শুনে খুব খারাপ লেগেছে। তার কোঁথায় একটা পু’ড়’ছে ভীষণ ভাবে। মুখে স্বীকার না করলেও বুঝতে পেরেছি।’

রুয়াতের চোখ বড় হয়ে গিয়েছে। সে ভালো করেই বুঝেছে কথাগুলো আয়াজ তাকেই বুঝিয়ে বলেছে। সামনে ফিরে উত্তর দেয়,

-‘আমি আসছি।’

তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে আয়াজ রুয়াতের দিকে তাকায়। গম্ভীর স্বরে বলে,
-‘যাও। তবে কাল থেকে আটটার পর ছাদের দরজা বন্ধ করে রাখা হবে। যেসব অনুভূতি হবে সেগুলো রুমের মধ্যে বসে অনুভব করবেন। অনুভব করার জন্য ছাদে আসার দরকার নেই। আর এখন তো আমার কথা একজন শুনেই না। যাই হোক মনে রেখো পৃথিবী উল্টে যাবে। কিন্তু এ কথার নড়চড় হবে না। শুনো প্রেয়সী ছাড়া এমপির জীবনে আর বিশেষ কেউ নেই।’

রুয়াত শেষের কথা শুনলো না। আগেরটা শুনেই তার মন ভরে গিয়েছে। এবং এই কথাটি কে সিরিয়াসলি নিয়েছে যখন আয়াজ বলেছিলো পৃথিবী উল্টে যাবে কিন্তু কথার নড়চড় হবে না। আর কখনো ভুলেও ছাদে আসবে না। সাথে করে হয় নিমি বা রূহান কে নিয়ে আসবে। প্রতিবার একা ছাদে এলে সেই কাঙ্খিত মানুষটির সঙ্গে দেখা হয়ে যায়। আগে কিছু বলতো না তেমন আর এখন দেখা হলেই উল্টো পাল্টা বলা শুরু করে। শেষের কথাটি রুয়াতের কান পর্যন্ত যায়নি কারণ তার আগেই দৌড়ে নিচে চলে এসেছে। রুয়াত রুমে আসতেই দেখে নিমি তার রুমে বসে আছে। তাও আবার এক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে অন্যদিকে। নিমির কাঁধে হাত দিতেই লাফিয়ে উঠে। সাথে সাথে রুয়াত ও ভয় পেয়ে যায়। পরক্ষণেই রুয়াত কে দেখে নিমি কিছুটা শান্ত হয়।

-‘তুই এসেছিলি? আমি ভেবেছি কে না কে এসেছে। একবার আওয়াজ দিলে কি হতো? আমি ভয় পেয়েছি না?’

রুয়াত নিমির আচরণ দেখে কিছুটা অবাক হয়।
-‘প্রথমত তোর কারণে আমিও ভয় পেয়েছি। আমি জাস্ট হাত রেখেছিলাম। আর তুই কিভাবে লাফিয়ে উঠেছিস। তোর ভয় দেখে আমিও ভয় পেয়েছি। এখন আবার আমাকেই দোষ দিচ্ছিস।’

-‘সেসব বাদ দে। তুই যে ঘুম থেকে উঠলি আমাকে একবার ডেকে দিলে কি হতো? মা বকেছে না আমায়? বলে আমি নাকি সারাদিন খাই আর ঘুমাই।’

নিমির এমন কথা শুনে রুয়াত হেসে ওঠে। রুয়াত তো ডেকেছিলো। নিমিই উঠেনি। কতবার ডেকেছিলো মেয়েটা কে। এক সময় বিরক্ত হয়ে আর ডাকা বন্ধ করে দিয়েছে। এখন আর কি করবে রুয়াত কিছু না বলে নিমির দিকে অসহায় দৃষ্টিতে চেয়ে আছে শুধু।

(*)

-‘মা একটা কথা বলবো?’

ইনিমা ওড়না দ্বারা মুখ লুকিয়ে বসে আছে মায়া চৌধুরীর সামনে। একটা কথা বলার জন্য এসেছে। কিন্তু তার মায়ের ভয়ে বলার সাহস পাচ্ছে না। কখনো তার মায়ের কাছে অন্তত এসব বলেনি। হঠাৎ করে আজ বলবে তাই আগে থেকেই সাহস জুগিয়ে এসেছে। মায়া চৌধুরী চা খাচ্ছে। তিনি চা খাওয়া বন্ধ করে মেয়ের দিকে তাকায়। ভ্রু কুচকে প্রশ্ন করে-

-‘কি?’

-‘আগে বলো সত্যিটা বলবে। আর ভাইয়া কে কিছু বলতে পারবে না।’

মায়া চৌধুরী কিছু একটা ভাবে। অতঃপর মেয়ের দিকে তাকিয়ে বলে-
-‘ঠিক আছে।’

ইনিমা তাড়াতাড়ি করে রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়। এসব গোপন কথা কেউ না শোনাটাই ভালো। তাই দরজা বন্ধ করে দেয়। যাতে কথাগুলো কেউ না শুনতে পারে। বিশেষ করে তার ভাই। দরজা বন্ধ করে আবার তার মায়ের কাছে এসে বসে। আমতা আমতা করে বলে-

-‘মা ভাই কি কাউকে ভালোবাসে?’

মায়া কিছুক্ষণ এক দৃষ্টিতে ইনিমার দিকে তাকিয়ে থাকে। এ সময়টা তে সে একটু ভয় পায়। আবার মায়া চৌধুরী যদি ইনিমা কে অন্য কিছু বলে? যদি বকা দেয় তাহলে মান সম্মান থাকবে? বড় হয়েছে না এখন? মায়া হেসে দেয় ইনিমার কথা শুনে। ইনিমা একটু ভড়কে যায়।

-‘এ কথা বলার জন্য এখানে এতক্ষণ বসেছিলি?’

পরপর মাথা নাড়ায় ইনিমা। মায়া কিছুটা ভাব নেয়।
-‘এটা বলা যাবে না। কারণ তুই জানলে সবাই কে জানিয়ে দিবি। তাই বলা যাবে না। আর আয়াজ আমায় বকবে। যদি শুনে তোকে বলেছি এটা। নিষেধ আছে।’

-‘বলো না মা। আমি কাউকে বলবো না। নিজের মেয়ে কে বিশ্বাস করো না? বলো মা।’

মায়া বলে না প্রথম প্রথম। কিন্তু যেহেতু ইনিমা বারবার রিকুয়েষ্ট করছে বলার জন্য। সেহেতু বলাই যায়।

-‘আচ্ছ বিশ্বাস করে বলছি কিন্তু। হ্যাঁ তোর ভাই একজন কে ভালোবাসে।’

কথাটি শোনার পরপরই ইনিমা আবার বায়না ধরে মেয়েটি কে? নাম কি? কোঁথায় থাকে সেসব জানার জন্য। মায়া চৌধুরী কিছুটা বিরক্ত হলেন। নিজের মেয়ে কে তো চেনে। আবার না বললেও ইনিমা সারাক্ষণ এটা নিয়েই পড়ে থাকবে। শেষে না পেরে মায়া চৌধুরী রুয়াতের কথা বলেই দিলেন। কথাটি শোনামাত্রই ইনিমা চমকে যায়। শেষ পর্যন্ত রুয়াত! আয়াজ রুয়াত কে ভালোবাসে? ব্যাস শুনেই চলে আসে রুম থেকে। যা জানার ছিলো সেটা জানা হয়ে গিয়েছে। এখন আর এখানে বসে থেকে কাজ নেই। এই খবর এখন তার সঙ্গীদের দেওয়া লাগবে।

(*)

রূহান কে পড়াতে বসিয়েছে রুয়াত। সে পড়তেই চাচ্ছে না। মেহরুবা বকা দিয়ে বসিয়েছে। সাথে রুয়াত কেও বসিয়ে দিয়ে গিয়েছে। রূহানের পড়া শেষ হলে সে চলে যায়। রুয়াতের পাশের চেয়ারে নিমি বসে বসে ফোন দেখছে। হঠাৎ ইনিমা তাড়াতাড়ি করে রুমে আসে। সাথে সাথেই দরজা মেরে দেয়। রুয়াত আর নিমির হাত টেনে এনে খাটে বসায়। নিমি ইনিমার উদ্দেশ্যে বলে-

-‘আরে আপু কি হয়েছে? এমন করছো কেনো?’

-‘বলছি। এতো ধৈর্যহীন মানুষ তুই। গুরুত্বপূর্ণ কথা বলতে এসেছি।’

রুয়াত আর কিছু বললো না। একবার নিমির দিকে তাকাচ্ছে তো আবার ইনিমার দিকে তাকাচ্ছে। বড় একটা নিঃশ্বাস টেনে ইনিমা বলে উঠে,

-‘আয়াজ ভাইয়া রুয়াত কে ভালোবাসে।’

#চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here