#হৃদয়জুড়ে_প্রেয়সীর_আভাস
#পর্ব_২০
#মোহনা_হক
-‘আপনারা বিয়ের তারিখ ঠিক করতে পারেন এবার।’
উপস্থিত সবাই আয়াজের মুখপানে তাকায়। ফজলুল চৌধুরী মাথা নেড়ে সম্মতি জানায়। আয়াজের পিছনে রুয়াত দাঁড়িয়ে আছে। আয়াজ সেখান থেকে সরে আসতেই রুয়াত কে দেখেই শাহরীন তার কাছে যায়।
-‘হান্নান সাহেব আপনি যদি আমাকে বিয়ের তারিখ ঠিক করতে বলেন তাহলে আমি বলবো ১১ ই এপ্রিল মানে পরশুদিন বিয়েটা হোক। আর বিয়ের তারিখ পেছানো হলে আয়াজের সমস্যা হবে। কারণ সামনেই ইলেকশন আর এই মুহুর্তে তার কাজের চাপ খুব বেশি। আপনারা সবাই যদি সম্মতি জানান তাহলে পরশুদিনই বিয়েটা হবে।’
প্রথমে হান্নান মজুমদার ঠিক মানতে রাজি হলো না। কারণ এতো তাড়াহুড়ো করে বিয়ে দিবে একটু তো সবকিছু গোছানো লাগবে। আর তিনি চান তার একমাত্র মেয়ের বিয়েটা দুমদাম করে দিতে। তাই তিনি একটু আকটু করে সবকিছুর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। আবার ফজলুল চৌধুরীর কথা ও ফেলে দিতে পারেননি। একবার তিনি তার স্ত্রী মেহরুবার দিকে তাকান। মেহরুবা মাথা নেড়ে বোঝায় সে রাজি আছেন। কিছু বলার আগে হান্নান মজুমদার গলাটা পরিষ্কার করে নেয়। শান্ত স্বরে বলে-
-‘আমি আপনার কথা মেনে নিচ্ছি ভাই সাহেব। আপনি যেটা বলেছেন তাই হোক।’
আমজাদ সাহেব আর আরহাম একসাথে হেসে দেয়। খুশিতে মেহরুবার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। ঠিক এরকম অনুভূতিটা ইনিমার বিয়ের সময় ও হয়েছিলো। মায়া চৌধুরী আয়াজের পাশে দাঁড়ায়। আর তাহার দৃষ্টি রুয়াতের পানে। অবশেষে তার অপেক্ষার অবসান ঘটতে চলছে। মনে অসংখ্য খুশির বন্যা বয়ে যাচ্ছে। আরহাম ও এসে আয়াজের পাশে দাঁড়ায়। আয়াজ আরহামের দিকে তাকায়। কিন্তু আরহাম মুখটা ফিরিয়ে নিয়েছে। তার মায়ের উদ্দেশ্যে বলছে
-‘তোমার ছোট ছেলের বউ আসছে এবার। এখন যদি তোমার ছেলেকে একটু মানুষ করতে পারে আরকি।’
মায়া চৌধুরী তার বড় ছেলের কথায় হাসলেন। আয়াজ আড়চোখে ভাইয়ের দিকে তাকাতেই আরহাম একটা মেকি হাসি দিলো। এরপর ভাব দেখিয়ে তার শালীকার কাছে চলে যায়। আরহাম কে দেখেই রুয়াত মাথা তুলে তাকায় সেদিকটায়।
আরহাম হেসে বলে-
-‘কংগ্রাচুলেশনস শালীকা।’
সৌজন্যবোধক হাসে রুয়াত। সবাই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কিভাবে কি করবে। হান্নান মজুমদার তিনি তার সিদ্ধান্ত জানানোর আগে আয়াজ কে জিগ্যেস করে বিয়ের তারিখের ব্যাপারটা। সে রাজি হয়। অতঃপর আয়াজের অনুমতি নিয়েই পরশুদিন বিয়ের তারিখ ঠিক করা হয়। মাঝখান দিয়ে রইলো আর মাএ একটা দিন। বিয়েটা খুব দুমদাম করেই হবে। আয়াজ তার সব মতামত জানিয়ে দিলো। ফজলুল চৌধুরী আর হান্নান মজুমদার মেনে নিয়েছেন। এসবের মাঝে রুয়াতের বেশ অস্বস্থি লাগছিলো। তাই শাহরীন কে নিয়ে অন্য একটা রুমে চলে আসে। চৌধুরী বাড়ির সবার যেতে যেতে প্রায় রাত এগারোটার উপর বেজে গিয়েছিলো। যদিও তাদের থাকতে বলা হয়েছে কিন্তু মায়া চৌধুরী কোনো মতেই রাজি হলো না। কারণ তাদের ও তো সবকিছু গোছানো লাগবে।
ইনিমা থেকে গেলো। মায়া চৌধুরী বলেছেন কাল আরহাম কে পাঠাবে এতো রাতে ইনিমা কে তাদের সাথে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টায় মত দিতে পারেনি। সে হিসেবেই ইনিমা আজ থেকে গিয়েছে। কাল রুয়াত আর আয়াজের হলুদ অনুষ্ঠান করা হবে। এই অনুষ্ঠান ফজলুল চৌধুরী চেয়েছে তাদের বাসায় হোক। তাই কাল আয়াজ আর রুয়াতের হলুদ চৌধুরী বাড়িতে দেওয়া হবে। হান্নান মজুমদার আজ সারারাত ঘুমাবেন না বলে দিয়েছেন। রুয়াতের বড় মামী, মেহরুবা, আমজাদ সাহেব, আর হান্নান মজুমদার সবাই মিলে লিস্ট তৈরি করছেন। আর তাদের লিস্ট তৈরি করতে করতেই প্রায় ভোর পাঁচটা বেজে যায়। শাহরীন সবাইকে বললো তারা আজ সবাই মিলে আড্ডা দিবে। ইনিমা, সায়রা, রুয়াত রাজি হয় শাহরীনের কথায়। বাসার প্রত্যেকটা মানুষ ঘুমোয়নি। এবার যেনো বিয়ে বিয়ে লাগছে। বিয়ের একটা আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। শাহরীন বুদ্ধি করে রুয়াতের দু’হাতে মেহেদী পড়িয়ে দেয়। খুব সুন্দর করেই পড়িয়ে দিয়েছে। আবার হাতের তালুর মাঝ বরাবর “Ayaz” নামটিও লিখে দিয়েছে। রুয়াত কিছু বললো না শুধু তাকিয়েছিল। আয়াজ নামটা এখন তার খুব পছন্দের। আর তার সাথে মানুষটাও। আনমনে হাসে রুয়াত।
.
মোটামুটি দুপুর বারোটার দিকে ঘুম থেকে উঠে রুয়াত। তার পাশেই জাফরি ইনিমা শুয়েছিলো। চোখ খুলতেই দেখে তারা উধাও। বাসায় কোনো সাড়াশব্দ নেই। সবাই কোঁথায় কে জানে। ফ্রেশ হয়ে রুয়াত নিচে নামে। রান্নাঘর থেকে আওয়াজ আসছে। সেখানে গিয়ে দেখে মেহরুবা দাঁড়িয়ে নাস্তা রেডি করছে। ঘুম এখনো ঠিক মতো হয়নি রুয়াতের। বারবার চোখ ডলছে। যেনো ঘুমটা চলে যায়। কিন্তু ঘুম তো গেলো না উল্টো চোখে জ্বালাপোড়া শুরু হয়ে গেলো। এক সময়ে রুয়াত রোবটের মতো দাঁড়িয়ে রইলো। মেহরুবা তার মেয়ের দিকে তাকালেন।
-‘কি হয়েছে এভাবে দাঁড়িয়ে আছিস কেনো?’
ঘুম ঘুম স্বরে রুয়াত বলে-
-‘আপু আর জাফরি কোথায়? রাতেও তো আমার পাশে শুয়েছিলো।’
মেহরুবা চা বানাচ্ছেন। আর মেয়ের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন।
-‘আরহাম এসে নিয়ে গিয়েছে তাদের।’
রুয়াত ছোট করে বললো-
-‘ওহ্। কিন্তু বাসার সবাই কোঁথায়?’
-‘আমি বাদে সবাই শপিংয়ে গিয়েছে। অনেক কেনাকাটা করা লাগবে তো। সকালে তোর দু মামা এসে পড়েছে। তোর বাবা কে হেল্প করার জন্য। আচ্ছা তুই ফ্রেশ হয়ে আয়। আমি নাস্তা দিচ্ছি তোদের। সাথে শাহরীন আর সায়রা কে ও আনিস।’
মাথা নেড়ে চলে যায় রুয়াত। রুমে গিয়ে তাদের ডাকে। একসাথে নাস্তা সেরে নেয়। আর এইদিকে সবাই এসে গিয়েছেন। বাড়ি ডেকোরেশন করার লোকদের রুয়াতের বড় মামা নিয়ে এসেছেন। তারা আসামাত্রই কাজ শুধু করে দেয়। শাহরীন খুলে খুলে দেখছে সবকিছু। সোফায় বসে রুয়াত চা খাচ্ছে আর তার ছোট মামার সাথে কথা বলছে। বয়সে বেশ কয়েক বছরের বড় হলেও একদম তাদের সমবয়সীদের মতো চলাফেরা কথাবার্তা। এই একটি মানুষের সাথেই রুয়াতের জমে বেশি।
মজুমদার বাড়ির চারপাশে বেশ কয়েক রঙের লাইট ও জ্বালানো হয়েছে। সেরকম ভাবে স্টেজ করা হয়নি কারণ বিয়েটা কমিউনিটি সেন্টারেই হবে। বিকেল 3টায় রুয়াত কে সাজানোর জন্য পার্লার থেকে তিনজন মহিলা আসে। মুলত শাহরীন তার খালামণি কে রাজি করিয়ে আনিয়েছে তাদের। মেহরুবাও আর মানা করেনি কারণ বিয়ে তো একবারই হয়। মেয়েকে একটু সুন্দর সাজে দেখতে চান তিনি। রুয়াত কে আজ সবুজ জামদানী শাড়ি দেওয়া হয়েছে। আর মেকওভার আর্টিস্টরা রুয়াত কে সেরকম’ই শাড়ির সাথে মিল রেখে মেকআপ করিয়ে দিয়েছে। নিজেকে আয়নাতে এতো ভারি মেকআপে দেখে রুয়াত একটু ভড়কে যায়। নিজের কাছেই নিজেকে খুব অচেনা মনেহচ্ছে। শাহরীন আর সায়রা ও সেজে নেয় তাদের কাছে। ওদের মেকআপ শেষ হলে রুয়াতের খালামণি সাহেদা রুমে আসে।
-‘তোদের হয়েছে? আপা বকাবকি করছে।’
সায়রা উত্তর দেয়।
-‘হয়েছে আম্মু। তুমি খালামণি কে বলো আমরা আসছি।’
সাহেদা নিচে চলে যায়। বের হওয়ার সময় রুয়াত আবারও নিজেকে দেখে নেয়। তার কাছে নিজেকে খুব অদ্ভুত লাগছে আজ। শাহরীন রুয়াত কে ধরে ধরে নিচে নামায়। হাতের চুড়িগুলো খুব বেশি ভারী ছিলো আর চুড়ির ঝুমকো গুলোও বেশ লম্বা ছিলো তাই শাহরীনের সাহায্য নেয় সে। হান্নান মজুমদার সবাই কে এক এক করে গাড়িতে তুলে দিচ্ছে। রুয়াত তার পাশে দাঁড়াতেই তিনি একবার মেয়ের দিকে তাকালেন। চোখের কার্ণিশে পানি এসে জমা হয়। হান্নান মজুমদার তার মেয়েকে জড়িয়ে ধরেন। মনেহচ্ছে তার মেয়েটা একটু তাড়াতাড়ি বড় হয়ে যাচ্ছে। রুয়াত চুপটি করে তার বাবার বুকে মাথা দিয়ে রেখেছে। মেহরুবা এসে তাদের ছুটিয়েছে। হান্নান মজুমদার ছাড়তেই চাইছিলেন না। গাড়িতে গান দেওয়া হয়েছে। রুয়াতের এক পাশে শাহরীন আরেক পাশে তুলি বসেছে। রুয়াতের শাড়ির সাথে ম্যাচ করা আনা দোপাট্টা পড়ানো হয়নি। তাই গাড়িতে বসেই শাহরীন রুয়াতের দোপাট্টাটা পড়িয়ে দেয়।
.
চৌধুরী বাড়িতে মানুষের সমাগম বেড়েছে খুব। আজ সারাটা দিন আরহাম আর ফজলুল চৌধুরী মানুষদের দাওয়াত দেওয়ার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। বাসার আশেপাশে গার্ডদের সংখ্যা আজ খুব বেশি। আয়াজ তার গুরুত্বপূর্ণ কাছের মানুষদের স্পেশাল ভাবে ইনভাইট করেছিলো। প্রেসদের ও দেখা যাচ্ছে আজ। আরহাম তাড়াতাড়ি কোনোমতে রেডি হয়েছে। আজ দু দন্ড শান্তিতে বসতে পারেনি। বিশ্রাম নেওয়ার ও সময় পায়নি। আর এইদিকে ইনিমার হয়েছে নাজেহাল অবস্থা। জাফরির জ্বর এসেছে যার কারণে মেয়েটা আজ জ্বালিয়ে মারছে।
রুমের মধ্যে উপুড় হয়ে ঘুমাচ্ছে আয়াজ। প্রায় সবদিক সামলে এখন সে ক্লান্ত। রুমে এসেছে একটু বিশ্রাম নেওয়ার জন্য। একটু পর উঠে যাবে আবার। কিন্তু সে আর ঘুমোতে পারলো না। আরহাম কল দিয়েছে। মাথা তুলে দেখে স্ক্রিনে আরহামের মোবাইল নাম্বার ভাসছে। বিরক্ত হয়ে কল রিসিভ করে।
-‘বলো। তোমাকে বলে এসেছি না আমি একটু রেস্ট নিতে যাচ্ছি?’
আরহামের যেনো এখন দুষ্টুমি করার সময় যে ভাইকে কল দিয়ে একটু বিরক্ত করবে। রেগে বলে-
-‘তোকে অযথা কল দেওয়া মতো সময় আমার নেই। কল দিয়েছিলাম একটা কারণে। সারা বাড়ি জুড়ে সাংবাদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। রুয়াতদের যদি গেইটের সামনে ধরে তখন? তারা ঠিক কেমন মানুষ তোর থেকে ভালো কে জানে? রেডি হয়ে নিচে আয়। আমি একা এদের সামলাতে পারবো না।’
উঠে বসে আয়াজ।
-‘আসছি আমি।’
আয়াজ ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে আসে। সবুজ কালার পাঞ্জাবি পড়ে নেয়। তার উপর গোল্ডেন কালার কটি পড়ে। রেডি হওয়া শেষে নিচে আসে।
মজুমদার বাড়ির অতিথিদের আগমন হয় অবশেষে। এতক্ষণ প্রেসদের সাথে আয়াজ আর আরহাম কথা বলছিলো। গেইটের কাছেই ছিলো তারা। গাড়ি ঢুকতেই গার্ডদের ইশারা করে এগিয়ে যেতে। আরহাম আর আয়াজ সবাইকে বাসার ভিতরে নিয়ে যায়। রুয়াত এখনো নামে নি। যে গাড়িতে রুয়াত ছিলো ও গাড়ির কেউই নামেনি। গাড়ির দরজা খুলে দেয় আয়াজ। রুয়াত গাড়ি থেকে নামে। আর তার প্রেয়সীর এরূপ রূপ দেখে আয়াজের হৃদয় থমকে যায়। বুকের মধ্যিখানে ধুকপুক আওয়াজ হচ্ছে। বড়সড় ঢোক গিলে। অন্য রকম সুন্দর লাগছে রুয়াত কে। গাড়ি থেকে রুয়াত বের হতেই প্রেস ঘিরে ধরে তাদের। আচমকা এমন হওয়াতে ভয় পায় রুয়াত। আয়াজের হাতের পাঞ্জাবী খামচে ধরে। একবার পিছন ফিরে দেখে আয়াজ। রুয়াতের হাত তার হাতের মুঠোয় নেয়।
স্টেজে রুয়াত বসে আছে। আয়াজ এখনো আসেনি। আজ একবারও ইনিমার সাথে দেখা হয়নি। আসার সাথে সাথে মায়া চৌধুরী তাকে স্টেজে বসিয়ে দেয়। রুয়াত একা স্টেজে বসে থাকলেও সামনে তার সব চিরচেনা মানুষ জন। আরহাম এসে আয়াজ কে স্টেজে বসিয়ে দিয়ে যায়। একবার প্রেয়সীর পানে চায় তার অবাধ্য প্রেমিক পুরুষ। ক্যামেরা ম্যান ছবি তুলছে। কিন্তু আয়াজ কে ভয়ে কিছু বলতে পারছে না কিভাবে ছবি তুললে ভালো লাগবে। আয়াজ একটু রুয়াতের কাছে এসে বসে। পাশ ফিরে রুয়াত আয়াজ কে একবার দেখে নিলো।
-‘হাতে আমার নাম লিখেছো?’
চোখ বড় বড় করে আয়াজের দিকে তাকায় রুয়াত। আয়াজ তার হাতের দিকেই তাকিয়ে আছে। মাথা নাড়ায় সে।
-‘শাহরীন আপু লিখে দিয়েছিলো।’
শান্ত স্বরে আয়াজ বললো-
-‘নিজ থেকে আমার হাত ধরো।’
-‘বুঝিনি।’
বিরক্তিকর শব্দ করলো আয়াজ।
-‘না বোঝার কি আছে? তুমি ইচ্ছে করে আমার হাত ধরো।’
-‘উহু অনেক মানুষ আছে দেখছেন তো।’
-‘ধরতে বলেছি। নাহয় আমি কিন্তু এখান থেকে উঠে চলে যাবো।’
রুয়াতের মনটা খারাপ হয়ে যায়। আয়াজের হাত ধরে। হাসছে আয়াজ। রুয়াত একটু তাকালো আয়াজের দিকে নিজে লজ্জ্বায় ধরতে পারছে না উল্টো তাকে বলেছে হাত ধরতে। রুয়াত আর আয়াজ স্টেজে বসে বসেই আজকের অনুষ্ঠান উপভোগ করে। সবাই একটু একটু করে হলুদ লাগায় তাদের। একবার জাফরি রুয়াত কে অনেকগুলো হলুদ লাগিয়ে দেয় মুখে। আয়াজ তা টিস্যু দিয়ে মুছে দিয়েছে। ক্যামেরাম্যান একট সুযোগ পেয়েছে ইচ্ছেমতো ছবি তুলে ফেলেছে।
রাত নয়টায় অনুষ্ঠান শেষ হয়। এবার রুয়াতের বাসায় যাওয়ার পালা। আরহাম সবাইকে গাড়িতে তুলে দিয়েছে। আয়াজ নিয়ে আসছে রুয়াত কে। মাঝপথে থামে তারা।
আয়াজ রুয়াতের হাত ধরে টেনে তার কাছে আনে।
-‘আর মাএ একদিন প্রেয়সী। তারপর তুমি আমার হয়ে যাবে। আর কোনো বাঁধা থাকবে না আমাদের মাঝে। নিজেকে আয়াজের নামে করে দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নাও। তোমার এমপি সাহেব তোমাকে পাওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে বসে আছে।’
রুয়াতের কপাল বরাবর কপাল ঠেকায় আয়াজ।
মোলায়েম স্বরে বলে-
❝এই মন তোমাকে দিলাম।
এই প্রেম তোমাকে দিলাম প্রেয়সী।❞
#চলবে….
।]