#স্বর্ণলতা
পর্বঃ৪৪
____________
প্রায় ১০ মিনিট ধরে স্বর্ণলতা লাপাত্তা।মকবুল চাচাকে রণক ঘুম থেকে উঠিয়েছি ঠিকি,কিন্তু যার জন্য এই কাজ তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা।ঠান্ডা শীতল বাতাস বয়ে যাচ্ছে রণকের মনে।মনে হচ্ছে সে নিজের এক অঙ্গ হারিয়ে ফেলেছে।শরীর ভার হয়ে আসছে।অজানা বিপদ মনে দানা বাঁধছে।নিজেই নিজেকে কামড়ে নিচ্ছে।জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে।আর এদিক ওদিক ছোটাছুটি করে স্বর্ণলতাকে খুঁজছে।
আর মাঝে মাঝে চিৎকার করে ডাকছে-
–”স্বর্ণলতা….স্বর্ণলতা…..তুমি কোথায়? আমার ডাক শুনলে সাড়া দাও।”
রণক এর ভীষণ অস্থির লাগছে।শীতের মধ্যেও সে রীতিমত ঘেমে যাচ্ছে।
রণকের সাথে তাল মিলিয়ে মকবুল চাচাও এদিক ওদিক খুঁজছে।এতো বছর এই ছেলে টা কে চেনে।কোনদিন ও এতো অস্থিরতা দেখে নি।প্রিয়জন হারানো যন্ত্রণার অপর নাম বোধহয় অস্থিরতা।মকবুল একবার তার বউ কে মেলায় হারিয়ে ফেলেছিলো।সদ্য বিবাহিত বউ।বয়স তখন ১৩ কি ১৪।বাচ্চা একটা পুতুল বউ।এই পুতুল এর মতো বাচ্চা মেয়েটার জন্য পুরো মেলা ১৮ বার চক্কর দিয়েছে ২২ বছরের এক যুবক।আজ চুলে পাঁক ধরেছে।স্মৃতি গুলো গোলাপের পাপড়ির মতো শুকিয়ে গেছে।কিন্তু অনুভুতি আজও তাজা।মনে হচ্ছে সেই অনুভূতি ঘ্রান এখন রণকের মাঝে পাচ্ছে।
একটু স্মিত হেসে মকবুল বললো-
—”আরে ব্যাটা দাড়া।এতো পাগল হইলি ক্যানরে?খুঁজতাছি তো।যাইবো আর কই?বাড়ি গুলা খুঁইজা দেহি।কোন বাড়িত যাইবার পারে।”
রণকের চোখে মুখে অস্থিরতা।রাঙা চোখে উত্তর দিলো-
–”তা তোমার এখন বলার সময় হইলো?”
—”আমার একডা কথা ক দেহি বাপ।তুই কি আমার কাছে আইছিলি?তার আগেই তো দৌড় দিছোস।মাঠ সই দৌড় ডা দিলি ক্যান?”
রণক মাথা চুলকায়।কিছুটা আশপিশ করে আবার বলে-
—”আশেপাশের বাড়ি খুঁজি।”
খোঁজার উদ্দেশ্য পা বাড়াবে।ঠিক তখন ই দূর থেকে কারও হেঁটে আসা লক্ষ্য করলো রণক।চাঁদের আলোয় চাঁদমুখ টা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।রণক এক দৌড়ে স্বর্ণলতার সামনে গেলো।
এতো জোরে দৌড় দেওয়া দেখে স্বর্ণলতা অবাক হলো।কিছু একটা বলতে যাবে অমনি রণক জড়িয়ে ধরলো।আর ভেজা কণ্ঠে বলতে লাগলো-
—”কোথায় গিয়েছিলে?আমাকে এভাবে না বলে কেনো গেলে?”
স্বর্ণলতার ভীষণ অস্বস্তি লাগছে।খানিকটা বিরক্তির সুরে বললো-
—”ছাড়ুন তো।কি করছেন?”
—”তুমি কোথায় গিয়েছিলে?”
—”আগে ছাড়বেন?”
কিছুটা রাগমিশ্রিত কন্ঠে স্বর্ণলতা বলেছিলো।
রণক স্বর্ণলতা কে ছেড়ে দিলো।এরপর মাথা নিচু করে বললো-
—”মাফ করে দাও।তোমার অনুমতি ছাড়া তোমাকে স্পর্শ করলাম।আমি চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম।আমার দম আটকে যাচ্ছিলো।মনে হচ্ছে মারা যাবো।আযরাইল চোখের সামনে চলে এসেছে।শীতের মধ্যে শার্ট ঘেমে ভিজে একাকার।দেখো দেখো ছুঁয়ে দেখো! তুমি না থাকলে পুরো পৃথিবীর আলো যেন নিভে যায়।কি করুণ অনুভূতি তাইনা বলো?”
এক নিঃশ্বাসে উপরের কথাগুলো রণক বলছিলো।আর মকবুল দূর থেকে তাদের খুনসুটি দেখছিলো।তার বেশ লাগছে।মাঝরাতে ঘুম ভাঙানোর জন্য প্রথম প্রথম রনকের ওপর রাগ হলেও সে রাগ এখন তাদের ভালোবাসার উত্তাপে গলে জলে পরিনিত হয়েছে।
স্বর্ণলতা বললো-
—”এ পাশে আরেকটা পুকুর আছে।আমি শুধু ওপাশ টায় গিয়েছিলাম।তারপর দেখলাম সেখানে একটা কুকুর জালে আটকা পড়েছে।কুকুর টা কোনমতেই নিজেকে ছাড়াতে পারছিলো না।কুকুর টা দেখে অসহায় লাগছিলো।তাই আমি তাকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে গিয়েছিলাম।ব্যাস এতোটুকুই।”
মকবুল তাদের কাছে আসতে আসতে তাদের কথাগুলো শুনছিলো।এবং মুচকি হেসে জবাব দিলো,-
—”আর এইদিকে তোমার মানুষ টা তোমার জন্য ঐ কুত্তাডার মতোই অসহায় হইয়া গেছিলো।”
মকবুলের মুখে এমন কথা শুনে রণক চমকে উঠলো।সে ঠিক বুঝতে পারলো না রণকের সে প্রশংসা করছে নাকি বিদ্রুপ।
—”হুপ! কি বলো চাচা! আমি কুত্তাডার মতো হবো কেনো!”
স্বর্ণলতা নিচু গলায় বললো-
—”আপনি তাই-ই”।
এটা শুধু রণক শুনতে পেলো।আর স্মিত হাসলো।
তাদের চা খাওয়া আর হলো না।রণক দ্রুত স্বর্ণলতা কে বাসায় নিয়ে আসলো।তাড়াহুড়ায় মকবুল চাচাকে শিখিয়ে দেওয়া হয়নি তাকে রণক বলা যাবেনা।এখন রণক বলে ফেললে তার তো বাড়া ভাতে ছাই পড়বে।তাই বিষয় টা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সেখানেই সমাপ্তি ঘটালো।এবং দ্রুত বাসায় ফিরে আসলো।
_________________________________
পরদিন সকাল বেলা।নীরব আর রণকের কথা কাটাকাটি হচ্ছে।সে খুব বাজে ভাবে রণক কে কথা শোনাচ্ছে।
—”মামা বললো তুই নাকি তারে মিথ্যা বলছোস।আবার কালকে আমার এতো ঘুম পাইলো কিভাবে?তুই কি করছিলি কালকে।লজ্বা লাগেনা?বিবাহিত এক মহিলার সাথে ইটিশ পিটিশ করোস।”
—”মুখে লাগাম দে।না হলে আমার হাতে খু*ন হবি।”
—”আসতাছে মামা ঢাকা থেকে তোরে খু*ন করতে।প্রস্তুতি নে।তোর স্বর্ণলতা হাত ফসকে এবার আমার হাতে চলে আসবে।”
রণক তেড়ে মারতে যাবে এমন সময় ই স্নেহার প্রবেশ।স্নেহা রণক কে উদ্দেশ্য করে বললো-
—”এদিকে আয়।তোর সাথে খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে আমার।”
রণক চোখ রাঙিয়ে নীরব কে বলে গেলো-
—”তোর জিভ টেনে ছিড়ে ফেলতাম আজকে।দ্বিতীয় বার ঐ নোংরা মুখে স্বর্ণলতার নাম নিবিনা।”
স্নেহা রণক কে টেনে নিয়ে আসলো।
—”উফ্! তুই না আসলে আজকে ওরে খু*ন করে কুকুর দিয়ে খাওয়াতাম।জানোয়ারের বংশ জানোয়ার।”
—”চুপ কর তো।শোন।খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা।তোর মাথা তো এমনি গরম।এখন কিভাবে বলবো!”
—”তাইলে পরো বইলো।আমি চললাম!”
—”দাড়া,স্বর্ণলতার ব্যাপারে।”
রণক থমকে গেলো।স্বর্ণলতা নামটাই তাকে থমকে দেয়।যেমন থমকেছিলো আজ থেকে মাস তিনেক আগে।
চিন্তিত গলায় প্রশ্ন করলো-
–”ওর কি হয়েছে আবার?”
—”আশু সর্দার কি করেছে শুনেছিস?”
—”কি?”
—”স্বর্ণলতা কে সে এক রাতের জন্য চায়।”
ক্ষনিকের মধ্যেই রণকের চোখ রক্ত বর্ন আকার ধারন করলো।
—”আশু কাকা স্বর্ণকে চায় মানে!!বুইড়ার এক পা কবরে।কোন সাহসে চায়!কার কাছে এই কথা বলছে?”
—”মামার কাছে।”
—”ওর জিভ আজকে কেটে আনবো আমি”।
স্নেহা চুপ করে রইলো কোন উত্তর দিলো না।রণক আবারও বললো-
—”আপু,স্বর্ণলতা জানে?”
—”হুম জানে।”
—”ও তো আমাকে বললো না।”
—” ও তোকে বলতে নিষেধ করেছে।”
—”কেনো?”
—”কারন ও জানে তুই কে?”
—”মানে?ও কিভাবে জানে আমি কে?বুঝলাম না।”
স্নেহা দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেললো এবং বললো-
—”মামা আমাকে বলেছিলো ওর সাথে বন্ধুত্ব করতে।ওর মনের কথা সব শুনতে।আমি সেটাই করেছি।
ও তোর চালচলন দেখে বুঝেছিলো তুই রূপক না।তবুও ও কিছুতেই বুঝতে পারছিলো না আসলে তুই কে।এরপর আমাকে খুব অনুরোধ করে সত্যি টা বলার জন্য।আর আমি সত্যি টা বলে দেই দুটো কারনে-
১.তোর সাথে আমি স্বর্ণলতা কে সুখী দেখতে চাই।ও তোকে মন থেকে ভালোবাসুক আমি সেটা চাই।এবং ওকে এটাও বলেছি যে রূপক মৃত।মামা মেরে ফেলেছে।”
২.স্বর্ণলতার থেকে কথা আদায় করতে হলে ওকে বোঝাতে হবে আমি ওর পক্ষেই আছি।”
রণক বললো-
—”এটা ও কবে থেকে জানে?”
—”আজ সকাল থেকে।”
—”ও কি আমাকে ভালোবাসে?”
—”তোর ভালোবাসা কে ও ভালোবাসে।তোর যন্ত গুলো কে ও ভালোবাসে।তোকে ভালোবাসতে কিছু সময় লাগবে।ওর কাছাকাছি ঘেষবি না।ভালোবাসা পেতে হলে আগে মন জয় করতে হয়।তবে মন দেহ দুটোই মেলে।”
—”আমি ওর দেহ চাইনা।আমার অনেক সুযোগ ছিলো ওকে ভোগ করার।ও নিজেও না করতো না।ও জানতোই আমি রূপক।কিন্তু আমি চাইনি।আমার দেহের প্রতি কোন আর্কষন নেই।”
—”আমি জানি রে।এখন আজ সকালে ওকে যখন বললাম তুই আসলে কে।ও কিছুটা হতভম্ব হয়।এরপর আশু কাকার কথা তোকে বলতে নিষেধ করে।ও ঠিক ই বুঝতে পেরেছে তুই ওর জন্য কতদূর কি করতে পারবি।”
—”ও এখন কি চায়?ও কি আমাকে চায়?”
—”ও তোকে চায় কিনা জানিনা।তবে ও হয়তো তোর সাথে থাকতে চায়।তাও বৈধতা নিয়ে।”
—”আমি তাহলে এখন কি করবো?”
—”মামা দুইদিন পর আসবে।এর আগেও আসতে পারে।অনেক চেষ্টা করছে আসার জন্য।কোন গাড়ি না চলায় আসতে পারছে না।তোকে যদি স্বর্ণলতাকে নিয়ে সংসার করতে হয় তাহলে ওকে নিয়ে অন্যত্র পালিয়ে যা।মামার গোমর ফাঁস করে দে।”
—”না!অসম্ভব।আমি মামা কে কথা দিয়েছি।আমি তাকে একটা বাচ্চা দিবো।আমি চাইলেও পিছু পা হতে পারবো না।আমি স্বর্ণলতা কে নিয়ে নির্ভয়ে বাঁচতে চাই।পালিয়ে রক্ষা পাবো না।মামা ধরা পড়লে আমিও পড়বো।অন্য উপায় দে।”
স্নেহা মিনিট পাঁচেক চুপ করে থাকলো।এরপর বললো-
—” আচ্ছা শোন,তুই এখন স্বর্ণলতাকে বুঝতে দিবি না যে তোর বিষয় টা ও জানে।আমি আরেকটু চিন্তা করি।আর আজকে রাতেও হয়তো নীরব আর ওর ডাইনি মা কে তোর ঘুমের ঔষধ খাওয়ানো লাগতে পারে।”
—”আজকে কেনো?”
—”কাজ আছে।তুই কোন প্রশ্ন করিস না।শুধু আমাকে
নিয়ে সন্ধ্যার পর আশু সর্দারের বাড়িতে যাবি।”
—”কেনো?”
—”ও কে গিয়ে বলবি ‘জাফর মামার আদেশ আমরা তার কোন কাজে আর সাহায্য করবো না।বহু সাহায্য করেছি।নিজে পুরুষ হলে বাকী কাজ নিজে সামাল দিতে।আর এই বিষয়ে দ্বিতীয় বার একটা প্রশ্ন বা মামাকে বিরক্ত করলে তার পৌরষত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হবে।আর যদি সে কাপুরুষ হয় তাহলে নেড়ি কুকুরের মতো মামাকে যেনো কল করে।মামা তাকে দু একবার আবার না হয় সাহায্য ভিক্ষা দিবে।”
—”তো?সে ১০০% মামাকে ফোন দিবে।”
—”আমি চাই সে মামা কে ফোন দিক।কারন আশু চরম মিথ্যাবাদী সেটা মামা জানে।এবং তার ইগোতে কোন কিছু আঘাত হানলে সে ভয়ংকর রূপ ধারন করে।
আমি মামাকে ফোন দিয়ে বলে দিবো-
‘আশু কাকা বাড়িতে এসেছিলো।স্বর্ণলতার দিকে কুদৃষ্টি পড়েছে এটা রণক বুঝতে পেরে তার কলার চেপে ধরে।এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গালাগাল করতে করতে বাসা ছেড়ে বের হয়ে যায়।এবং বলে যায় তোমার সাথে আর কোন কাজে সে নেই।সে নাকি গুরু আর তুমি নাকি খুব নগন্য একজন ব্যক্তি।সে ছাড়া নাকি তুমি কোন কাজ করতে পারবে না।
শুধু তাই না এখন তার স্বর্ণলতার পাশাপাশি শোভা খালাকেও লাগবে। তুমি যদি তার পা ধরে ক্ষমা না চেয়ে স্বর্ণলতা এবং শোভা খালাকে দিয়ে না আসো তাহলে সে কোনদিন ও তোমার মুখোমুখি হবেনা।”
রণক কিছুক্ষণ চুপ থাকলো এরপর বললো-
—”খালার কথা বললে মামা চুপ থাকবে।আশুর ওপর চরম ক্ষিপ্ত হবে।অন্যদিকে পৌরষত্ব নিয়ে কথা বললে আশু কাকাও চুপ থাকবে।মামার সাথে যোগাযোগ করবে না।তাহলে এদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।”
—”হুম!আর এটাতেই স্বর্ণলতার ভূত তার মাথা থেকে যাবে।তাদের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টি করতে হবে।
আরও পরিকল্পনা পরে করবো।আপাতত এগুলো মন দিয়ে কর।”
রণক কিছুক্ষণ মাথা চুলকালো।এরপর ঘর থেকে বেড়িয়ে গেলো।তার মাথায় এখন স্বর্ণলতা ঘুরপাক খাচ্ছে।এ কাজ করা ঠিক হবে কি হবেনা এই বিষয় নিয়ে সে কোন কিছুই ভাবছে না।তার মাথার চারপাশে স্বর্ণলতার ভালোবাসা।
সে এতো দিন যা স্বপ্ন দেখেছে তা কি সত্যি হতে যাচ্ছে!আসলেই স্বর্ণলতা তাকে নিজ পরিচয়ে ভালোবাসবে!
স্বর্ণলতার ভালোবাসা পাবার জন্য সে যে কতদিন ধরে অপেক্ষা করছে।তবে কি এই সবকিছুর অবসান আজ-ই হবে!
____________________
স্নেহা ঘরে ঢুকে জাফর কে কল দিলো।আর বললো-
—”মামা তোমরা কবে আসছো?”
ওপাশ থেকে ক্ষিপ্ত গলায় বললো-
—”জানিনা কবে আসমু।গাড়ি নাই কোনো।আমি ঐ হারামজাদারে কতবার যে ফোন দিছি।আমরা একটা ফোন ও ধরে নাই।ও উল্টাপাল্টা কিছু করছে নাকি?”
—”করে নাই।তবে আজকে করবে।”
—”মানে!!”
—”আশু কাকার কথা স্বর্ণলতা বলে দিছে।এখন ও তো তাকে মারতে যাবে।”
—”সর্বনাশ! আশু কি জিনিস ও কি জানেনা?আর এসব স্বর্ণলতা জানলো ক্যামনে?
ওরে ফোন দে তো।”
—”না ওকে বলে লাভ নেই।আমার মাথায় একটা বুদ্ধি আছে।তুমি কালকে সকালে যেভাবে পারো এখানে চলে আসো।আজকে গিয়ে রণক ঝামেলা করে আসুক।”
চলবে………
writer:Sharmin Sumi-শারমিন সুমি