স্বর্ণলতা part 35

0
361

#স্বর্ণলতা
পর্বঃ৩৫
_____________
একটা অন্ধকার ঘর।মেঝেতে ধুলোবালি।ওপরে মাকড়সার জাল।মেঝেতে মুখ হাত পা বাধা অবস্থায় পড়ে আছে স্বর্ণলতা।আস্তে আস্তে চোখ মেলছে।আর নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করছে-
‘আমি এ ঘরে কিভাবে এলাম!’
খানিকক্ষণ বাদেই মস্তিষ্কে নাড়া দিয়ে উঠলো তার ছেলের মৃত মুখ।সাথে সজোরে একটা মাথায় বাড়ি।মাথার পেছনের দিকটা এখনো ব্যাথায় টনটন করছে।ঘরের ফাঁকফোকর থেকে সূর্যের আলো ঘরে ঢুকছে।স্বর্ণলতা বেশ বুঝতে পারছে এখন দিন।শরীরের আরও কিছু অংশে সে ব্যাথা অনুভব করছিলো।মনে হচ্ছিলো গায়ের সব শক্তি দিয়ে কেউ তাকে আঘাত করেছে।’কিন্তু কে আঘাত করবে! কখন ই বা মারলো!
তার তো কিছুই মনে পড়ছে না’।

এবার সে আওয়াজ করে ডাকলো।গলার আওয়াজ ও ক্ষীন হয়ে যাচ্ছে।
–”কেউ কি আছো?আমি কোথায়?”
এভাবে মিনিট পাঁচেক ডাকার পর স্বর্ণলতা ক্লান্ত হয়ে ফ্লোরে মুখ বুজে শুয়ে রইলো।
হঠাৎ ক্যাঁচক্যাঁচ আওয়াজ করে দরজা খোলার শব্দ।
স্বর্ণলতা দেখতে পেলো একটা পা।মধ্যবয়স্ক এক লোকের পা।পায়ে কালো কিছু একটা বাঁধা।মাথা উঁচু করলো লোকটার মুখ দেখার জন্য।এ আর কেউ না এ হলো জাফর মামা।
আজকে তার চেহারায় নেই কোন হাসি।আগের মতো সে আর শান্ত নেই।চোখ হয়ে গেছে রক্তবর্ন।বিচ্ছিরি একটা গালি দিয়ে স্বর্ণলতা কে বললো-

–”খা****** তুই মনের সুখে ঘুমাইতাছোস?আমার কত বছরের সাধন নষ্ট কইরা তুই আরাম করোস?আর মাত্র কিছুক্ষণ,খালি রক্তগুলা আমার আঁকা আলপনাতে ভইরা গেলেই আমার শতবছরের সাধনা পূর্ণতা পাইতো।আর তুই উঠাইয়া নিলি?নষ্ট করে দিলি?ঝুড়ির ভিতর রাখছিলাম আমি।তুই সেইখান থিকা নিলি?আর কয়েকটা সেকেন্ড ছিলো মাত্র।তোর পোলাতো মইরাই গেছিলো।তুই আমার সাধনা ক্যান নষ্ট করলি?’

বলেই স্বর্ণলতাকে দাড়িয়ে থেকে লাথি মারলো।স্বর্ণলতা লাথি খেয়েও কোন টু শব্দ করলো না।বিন্দুমাত্র নড়লো ও না।সে ও রাগান্বিত চোখে কটকট করে মামা কে বললো-
—”তুই যদি বাঁচতে চাস তাহলে আমাকে মেরে ফেল।আর যদি না মারিস তাহলে আমি আজকে শপথ করে বলছি তোর অবস্থা আমি এতোটা ভয়ংকর করবো যে তুই নিজ থেকে মৃত্যু ভিক্ষা চাইবি”।
জাফরের রাগ মনে হয় এবার মাথা ফুড়ে বের হয়ে যাবে।চুলের মুঠি ধরে স্বর্ণলতাকে বললো-
—”সবুর কর! আমার যে সাধনা তুই নষ্ট করেছোস সেই সাধনাই তোকে দিয়াই করবো।তোকে আরও ১ বছর বাঁচাইয়া রাখবো।”

—”১ বছর বাঁচিয়ে রেখে তুই নিজের মৃত্যু ডেকে আনবি তো?”

—”মরবি তো তুই।আমি হবো অমর।তোর মৃত্যুদূত কে ডাইকা আনছি।নীরবের সাথে তোর আবার বিয়ে দিবো।এরপর ও তোকে পশুর মতো ছিড়া খাইবো।তারপর তোর বাচ্চার রক্ত দিয়া আমি উৎসব করমু”।

জাফর স্বর্ণলতার চুল ছেড়ে দিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলো।আর স্বর্ণলতা ফ্লোরেই চুপচাপ শুয়ে রইলো।এতো বড় একটা কথা শোনার পরও তার যেনো কিছুই মনে হচ্ছেনা।না সে কাঁদলো না সে ভয় পেলো।সে নিজেকে হয়তো পাথর করে নিয়েছে।হাজার চেষ্টা করলেও পাথরকে তো এতো সহজে ভাঙা যাবেনা।এবার তো যুদ্ধ হবে সমানে সমানে।ওরা অনেক আর স্বর্ণলতা একাই বহুজনের সমান।তার তো আর হারাবার কিছুই নেই।এই মূহুর্তে তার চেয়ে শক্তিশালী দ্বিতীয় আর কে?

ঘন্টাখানিক পর জাফর মেহুল কে নিয়ে আসলো।আর বললো স্বর্ণলতা কে এখান থেকে ঘরে নিয়ে যেতে।আজ রাতেই নাকি তার বিয়ে দিবে নীরবের সাথে।মেহুল মামার কথা মতো স্বর্ণলতার হাত পায়ের বাঁধন খুলে দিলো।স্বর্ণলতা আস্তে আস্তে উঁঠে বসলো।আলোতে সে এবার স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে তাকে কেউ বেত দিয়ে মেরেছে।হাত পায়ে রক্ত জমাট বেঁধে গেছে।তার যখন জ্ঞান ছিলোনা তখন ই হয়তো মামা এ কাজ করেছে।একটা মানুষ যখন পশুর মতো আচরন করে একটা অজ্ঞান মেয়ে কে এভাবে পেটাতে পারে সে আর মানুষ থাকেনা।মানুষ রূপী পশুতে পরিণত হয়।যে ছোট্ট বাচ্চাকে জবাই করতে পারে তার এ পৃথিবীতে বেঁচে থাকার কোন অধিকার থাকেনা।

স্বর্ণলতা মেহুল কে জিজ্ঞেস করলো-
—”মন্টু কোথায় জানো?”

—”না আমি তার খবর জানিনা।”

—”মেহুল!আমি সবাইকে একদলে নিয়ে নিজেই অন্যদলে বসে তাদের মৃত্যুর খাটিয়া সাজাচ্ছি।তুমি কি চাও আমি তোমাকে তাদের দলে ফেলি?”

—”আপনার যা অবস্থা! আপনে কি করবেন আর!”

—”শত্রুকে ছোট করে দেখা অপর দলের জন্য হেরে যাওয়ার দশ কদম সমান,সামনে অগ্রসর হওয়া।

—”আপনে আমার শত্রু না।”

—”বন্ধু ও তো না! দল ভারী যেখানে তারাই তো তোমার বন্ধু! তা না হলে শুরু থেকে এতো মিথ্যা কেউ বলেনা।সেদিন তুমি ও ঠিকি রাস্তায় নীরবদের দেখেছিলে।কিন্তু আমাকে পাগল সাজানোর জন্য মিথ্যা বলেছিলে।”

—”উঠেন।আমার দেরী হইতাছে।মেলা কাম।আছে।”

—”তো তুমি এখানে এসেছো কেনো?”

—”মামার আদেশ।হের আদেশ আমার সকল কাজের উর্দ্ধে।”

এর মধ্যেই মামার বাজখাঁই কন্ঠে ডাক।
–”কিরে! মরলি নাকি তুই?এতোক্ষন লাগে আইতে?”
অনিচ্ছাসত্ত্বেও মেহুলকে ধরে স্বর্ণলতা ঘর থেকে বের হলো।ঘর থেকে বের হয়েই দেখলো এটা সেই ঘর যেখানে আসা স্বর্ণলতার জন্য সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিলো।মন্টু কড়া পাহারায় এ ঘর টিকে রেখেছিলো।সারাবাড়ি চোখ বুলিয়ে নিলো।সবাই কে দেখতে পেলেও মন্টু কে কোথায় দেখতে পেলোনা।মন্টুর জন্য অনিশ্চিত ভয় দানা বাঁধছে স্বর্ণলতার মনে।
বাড়িতে নীরবের সাথে সাথে স্বর্ণলতার সৎ মা ও এসেছে।

বাহ! কি আয়োজন! গরু জবাই হচ্ছে।বিয়ের কি আমেজ! তারা যখন বাচ্চাটা নিয়েই নিবে তাহলে এতো আয়োজন কেনো করছে?নীরবকে তার ঘরে ঢুকিয়ে দিলেই তো ল্যাটা চুকে যেতো।এতো আয়োজন কেনো!
স্বর্ণলতার সাথে বেশি কেউ কথা বলছে না।স্নেহা কয়েকবার এসেও ভয়ে ভয়ে চলে গেছে।সে হয়তো কিছু বলতে চাচ্ছে কিন্তু সাহসে কুলাচ্ছে না।এভাবে চলে গেলো সারাটা দিন।সন্ধ্যা নেমে এসেছে।একটু পরেই তো নীরবের সাথে তার বিয়ে দিয়ে দিবে! ছিঃ কি জঘন্য এরা! ভাই বোনের বিয়ে দিচ্ছে?এর মতো পাপ আর হয়?এদের বিচার কি হবেনা?
সারাটা দিন কোন উপায় ই বের করতে পারলো না স্বর্ণলতা।বিকেলে শাড়ি দেওয়া হয়েছে।সেগুলো তখুনি ছুড়ে ফেলেছে স্বর্ণলতা।কৌশলে একটা ছুরি জোগাড় করে নিয়েছে।যেহেতু কোন কিছু করতেই পারছে না সেহেতু নীরব ঘরে ঢুকলেই ওকে শেষ করে দিবে।

এরপর নিজের জীবন গেলে যাবে।কিন্তু যতটুকু শক্তি আছে ততটুকু দিয়েই লড়ে যাবে।আল্লাহ অবশ্যই তার সহায় হবেন।
সন্ধ্যার আজান দিচ্ছে।স্বর্ণলতা ওয়াশরুমে চলে গেলো।ওযু করে নামাজ পড়তে হবে।দরজা লাগিয়ে কলে পানি ছাড়লো।পানি লাগতেই শরীর এক প্রকার জ্বলে উঠলো।জখম স্থানে পানি লেগে এমন দশা হয়েছে।
হঠাৎ একটা হট্টগোলের শব্দ শোনা গেলো।মনে হচ্ছে দেওয়ালের ওপাশ থেকেই শব্দগুলো আসছে।

ছোট্টখাটো একটা গোলমাল বেজে গেছে।কেউ একজন রাগী কণ্ঠে বলছে।
‘তোমাদের সাহস হলো কি করে স্বর্ণলতা যে বিয়ে দিচ্ছো?আমাকে না জানিয়ে তোমরা এ কাজ কিভাবে করতে পারো?আমাকে কি কথা দিয়েছিলে তোমরা?’

মামার কন্ঠ এবং রূপকের মায়ের কণ্ঠ ও ভেসে আসছে।তারা বারবার তাকে থামানোর চেষ্টা করছে।অনুরোধ করছে আস্তে কথা বলার জন্য।কিন্তু সে তো রাগে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে।সে চিৎকার করেই যাচ্ছে।
‘স্বর্ণলতার সাথে আমাকে বিয়ে দেওয়ার কথা ছিলো না?ওকে আমার হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিলো না?তাহলে কেনো ঐ লম্পট টার হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে?’

স্বর্ণলতা ওয়াশরুমে জানালা দিয়ে দেখার চেষ্টা করলো।পাশে একটা শক্ত ড্রাম ছিলো।ওটা টেনে এনে সাবধানে ওটার ওপর উঠে দাড়ালো।আর জানালা দিয়ে বাইরে তাকালো।কার সাথে এরা তর্কে জড়িয়েছে এটা তো তার জানা দরকার।কে চায়না তার আর নীরবের বিয়ে হোক!কে স্বর্ণলতা কে বিয়ে করতে চায়!!
স্বর্ণলতা বাইরে তাকালো।মামা এবং রূপকের মা কে দেখা গেলোও তাকে স্পষ্ট করে দেখা যাচ্ছিলো না।কারন সে মানুষ টি উল্টোপাশে ঘুরে ছিলো।

এর মধ্যে মামা ভারী কন্ঠে বলে উঠলো-
”কি সমস্যা তোর! একদম গাইড়া ফেলবো এখানে।তোরে কি করতে কইছিলাম আর কি করছিলি আবার বড় বড় কথা!এতো পিরিত আসে কই থিকা তোর?”
এবার পেছন থাকা লোকটি রেগে গিয়ে উল্টো পাশে ঘুরে গেলো।লোকটির পেছনে মামা এবং রূপকের মা এবং স্বর্ণলতার সামনে লোকটির মুখ।সে রাগ কন্ট্রোল করার জন্য ওপরের দিকে তাকিয়ে মুখ হাত দিলো।এবং দীর্ঘনিঃশ্বাস ছেড়ে আবার ওপাশ ঘুরলো।আর বললো-
—”আমাকে রাগালে পরিনতি কি ভয়ংকর হবে তা জানেন না মামা?আমি কিন্তু দেখিয়ে দিবো আমি কি করতে পারি।এক্ষুনি যদি বিয়ে বন্ধ না করেন আমি আজকে তুলকালাম করে ফেললো।এই বলে লোকটি হনহনিয়ে চলে গেলো।

স্বর্ণলতা ছোট্ট জানালা দিয়ে লোকটির চলে যাওয়া দেখছিলো।সে যেনো থমকে গেছে।ড্রাম থেকে নেমে দেয়াল ঘেষে দাড়ালো।
আর নিজেই নিজেকে বলতে লাগলো-
”এ আমি কি দেখলাম!আমি কি ঠিক দেখেছি!নিজের চোখ কে কেনো বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে!
রূপক বেঁচে আছে!আর ও এসব কিছু জানতো!
ও সবার সাথেই ছিলো।নিজের বাচ্চাকে এভাবে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিলো!
তাহলে কেনো সবাই আমাকে ওর মৃত্যু সংবাদ দিয়েছিলো!আমি আমার স্বামীর শেষ স্মৃতি টুকু নিয়ে বাঁচতে চেয়েছিলাম।কিন্তু এই বিশ্বাসঘাতকতার কষ্ট! এই বেদনার স্মৃতি তো আমার কল্পনাতেও আনতে চাইনি।

মিনিট দশএক থম মেরে থাকার পর কারও ঠকঠক আওয়াজে স্বর্ণলতার ভাবনার বিচ্ছেদ ঘটলো।ওপাশ থেকে মেহুল ডাকছে-
—”আপামনি! কি করেন এতোক্ষণ? বাইর হন না ক্যান?”।
স্বর্ণলতা কোন উত্তর না দিয়ে চুপচাপ ওযু করতে থাকলো।আর এতোক্ষনে বহুবার ঠকঠক আওয়াজে কান বিষিয়ে উঠেছিলো স্বর্ণলতার।
ওযু শেষ করে দরজা খুলে দিলো।
মেহুল কিছুটা বিরক্ত নিয়ে বললো-
—”কহন থিকা ডাকতাছি! একটু সাড়া লইবেন তো!ঠিক আছেন, একটু কওয়া যাইতো না?”

—“বাহ! আমার জন্য তোমার খুব চিন্তা!শোনো,মরতে আসেনি।মারতে এসেছি।”

মেহুলকে একদম চুপ করিয়ে দিয়ে স্বর্ণলতা তার ঘরে চলে গেলো।নামাজ শেষ করলো।এবার উঠান থেকে গোলমালের শব্দ ভেসে আসছে।মামা বিয়েটা বাতিল করতে চাইছে কিন্তু নীরব বেকেঁ বসেছে।ও তো বহুদিন ধরে স্বর্ণলতার শরীরের ওপর লোভ ছিলো।কয়েকবার চেয়েও উদ্দেশ্য হাসিলে ব্যর্থ হয়েছিলো।আজ এতো বড় সুযোগ পেয়ে চোখ চকচক করে উঠেছিলো।আর এখন মুখের সামনে থেকে খাবার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে!যন্তণা তো হবেই।
স্বর্ণলতা ওদিকে খুব এক টা ভ্রুক্ষেপ করলো না।সে বুঝেই গিয়েছিলো বিয়েটা আর হবে না।তার এখন সব রহস্য জানতে হবে।স্নেহার কাছে যেতে হবে তার।সে এই সুযোগ স্নেহার ঘরে চলে গেলো।কারন বাইরে এখন সবাই আছে।আর তারা ঝামেলা মেটাতে ব্যস্ত।এই সঠিক সময়। সে দ্রুত স্নেহার ঘরে চলে গেলো।

_____________________
বাইরে থেকে আওয়াজ আসছিলো।নীরব রাগী কন্ঠস্বরে বলছিলো-
—”ফাজলামি নাকি!আপনের ভাগ্নে কিন্তু কোন কাজ করবার পারেনা।হুদাই লাফায়।কি বালডা ফেলছে ও? কতবড় বিপদ ঘটাইছিলো মনে নাই?শোনেন আমিই একমাত্র ঠিকঠাক ব্যক্তি যে কিনা স্বর্ণলতারে বাগে আনতে পারবো।কারন ওর ওপর আমার পিরিত উতলাইয়া পড়েনা।ও যা বলে তাই শুনবো -ও না।”

—”যদি এতো পিরিত নাই থাকে তাইলে ওরে বিয়া করবার লিগা উইঠা পইরা লাগছোস ক্যান?”

—”আমি ঠিকমতো সব কাজ করতে পারবো তাই।”

—”তুমি কি বাল ছিড়বা আমার জানা আছে।তোমার তো গ্যারা অন্যডা।আমি কি তা বুঝিনা?”

—”খবরদার! মুখ সামলাইয়া কথা কন!”

রূপকের মা জাফর আর নীরব দুইজনকেই ধমক দিয়ে চুপ করিয়ে দিলো।
—”নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করে কোন কাহিনী শুদ্ধ করতে চাইছিস?মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ কর।তোরা দুইজন ই পাকা মাথার খেলোয়াড়।এভাবে কাচা কাজ করছিস কেনো?”

—”আপনার ছেলেই তো ভেজাল করলো”

নীরবের মা বলে উঠলো-
—”আহ! নীরব! বড়দের সাথে এভাবে কথা বলে?মাফ চা।”
রূপকের মা বলে উঠলো-
—”নাহ! থাক।মাফ চেতে হবে না।শোনো নীরব।তুমি তো স্বর্ণলতার সাথে রাত কাটাতে চাও তাইনা?তুমি সেটা পাবে।কিন্তু এখন পরিস্থিতি ঠান্ডা রাখার জন্য বিয়েটা বাদ দিতে হবে।”

—”আপনার ছেলে আমাকে আস্ত রাখবে?ও থাকতে স্বর্ণলতার দিকে তো আমি তাকাতেই পারবো না”।

মামা সবাইকে থামিয়ে দিয়ে বললো-
—আমার মাথায় একটা বুদ্ধি আছে।এতে সবকিছু ঠিকঠাক হইবো।সাপ ও মরবো লাঠি ও ঠিক থাকবো।”

চলবে……..
Sharmin Sumi

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here