স্বপ্নছায়া ২৭

0
730

#স্বপ্নছায়া
#২৭তম_পর্ব

কাগজে সাইন করার পর একটা বেগুনী বাক্স ঐন্দ্রিলার হাতে ধরিয়ে দেয় ছেলেটা। বাক্সটা মিডিয়াম সাইজের। ঐন্দ্রিলা দরজাটা দিয়ে নিজের রুমে চলে আসে। বাক্সটা খুব যত্নের সাথে খুলে ঐন্দ্রিলা। বাক্স খুলতেই চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় তার। হরেক রঙ্গের রেসমি চুড়ির দুটো থোকা, এক জোড়া রুপোর নুপুর এবং একটি বেগুনী খাম। বেগুনী খামের উপর লেখা,
“প্রিয় বাঘিনী”

ঐন্দ্রিলা খামটা যত্নের সাথে খুলে। খামের ভেতরে সাদা কাগজে লেখা একটি চিঠি। চিঠিটা হাতে নিয়ে পড়তে শুরু করে ঐন্দ্রিলা। চিঠির লেখা গুলো ঠিক এরুপ,

” শুনেছি, রেশমি চুড়ি এবং নুপুর নারীর সবথেকে পছন্দের অলংকার। রেশমী চুড়ির হরেক রঙ যখন নারীর হাতে উঠে তখন তার হাতকে আরোও মোহনীয় করে তোলে। রমনী যখন নুপুর পায়ে তার কদম ফেলে, তখন যেকোনো পুরুষের বুকে আচড় কাটতে পারে। কিন্তু আমি মনে করি, ওই রেশমি চুড়ি গুলো এবং ওই নুপুর জোড়া যখন আমার বাঘিনী পড়বে তখন এই জড় অলংকারগুলোও জীবন্ত হয়ে যাবে। তার নিক্কনের সৌন্দর্য দ্বিগুন হয়ে যাবে। মনে করো না ঘুষ দিচ্ছি। এটা ঘুষ নয়, তোমার প্রেমিকের প্রথম উপহার। ওগো হৃদয়হরনী, বড্ড অভিমান হয়েছে কি আমার উপর? তোমার ওই কাজলকালো চোখ জোড়ার কোনেতে বুঝি অভিমানেরা বিদ্রোহ করছে? সাতটা দিন কেটে গেলো কোনো ফোন নেই, কোন ম্যাসেজ নেই। ভেবেছিলে তোমার এই নিরামিষ স্বামীটা বুঝি কাজের ফাকে তোমাকেই ভুলে গেছে তাই না? অভিমানেরা এতোটাই প্রকট হয়েছে যে তৃতীয়বার কেটে দেবার পর আর ফোন বাজে নি। কি করবো বলো! তোমার কন্ঠ শুনলে যে কাজে মন লাগতো না। সত্যি বলছি, শুনলে সিনেমেটিক মনে হলেও এটাই সত্যি। তোমার উপর ফাইন হওয়া উচিত জানো তো। আচ্ছা কি জাদু করেছো বলো তো! আমি তো এমন ছিলাম না। আমি তো খুব র‍্যাশনাল একটা মানুষ ছিলাম। জানো, এই সাতটা দিন কতটা যন্ত্রণায় ভুগেছি! কতোটা ছটপট করেছি, তুমি অনুমান ও করতে পারবে না। প্রতিটা ক্ষণ, প্রতিটা মূহুর্ত প্রতীক্ষা করেছি কখন কাজ শেষ হবে! কখন তোমার গভীর নয়নে নিজেকে দেখবো! কখন তোমার কন্ঠ শুনবো! কখন তোমার চুলের সেই মিষ্টি ঘ্রানে নিজেকে হারাবো! তুমি কি জানো হৃদয়হরণী আমি যে ধীরে ধীরে তোমাতে আসক্ত হচ্ছি। আমার রক্তে নেশার মতো মিশছো তুমি। তুমি কি জানো সেটা? আমি সত্যি সত্যি প্রেমিকপুরুষ হয়ে যাচ্ছি গো।

তোমার অভিমানী চোখের বিদ্রোহ কি৷ বিরতি নিয়েছে? ঠোঁটের কোনে মুক্ত হাসিটি কি উম্মোচিত হয়েছে? যদি হয়ে থাকে তাহলে একটু নিচে আসবে কি? রাস্তার ল্যাম্পপোস্টের নিচে কেউ যে অধীর আগ্রহে তোমার পানে চেয়ে আছে।

ইতি
তোমার প্রেমিকপুরুষ”

এতোদিন যাবৎ যে অভিমান হৃদয়ের কোনে জটলা পেকেছিলো সব যেনো নিমিষেই হাওয়ায় মিলিয়ে গেলো। ঠোঁটের কোনে অজান্তেই তৃপ্তির হাসি ফুটে উঠলো ঐন্দ্রির। চিঠিটা বিছানায় রেখেই ছুটে গেলো বারান্দায়। সত্যি বাসার অপজিটের ল্যাম্পপোস্টের নিচে অভ্র দাঁড়িয়ে আছে। এক সপ্তাহ পর লোকটাকে দেখে মনে নীল ঢেউ উঠলো তার। দ্রুত পা বাড়ালো বাহিরের দিকে। লাজলজ্জার বলি দিয়ে জড়িয়ে ধরলো তার হৃদমন্দিরের পুজারীকে। অভ্র পরশ আবেশে তাকে নিজের বুকে মিশিয়ে নিলো। অতৃপ্ত আত্না নিজের তৃপ্তি খুজে নিচ্ছে। স্বর নামিয়ে কানে মুখ ঠেকিয়ে অভ্র বললো,
– অভিমান কমেছে তাহলে?
– মোটেই না। আপনি একটা উন্নত মানের খারাপ মানুষ। জানেন, এই সাতদিন কোনো কুচিন্তা হয়েছে!

মেকি রাগ দেখিয়ে কথাটা বললো ঐন্দ্রিলা। অভ্র হেসে উঠে বললো,
– জানি তো, তাই তো দশদিনের কাজ সাত দিনে শেষ করে এসেছি। খুশি হও নি তুমি?
– যতসব মনভুলানো কথা!
– সত্যি বলছি। আচ্ছা মুখটা একটু তুলো না। মন ভরে তোমাকে দেখবো।

বলেই আলতো হাতে ঐন্দ্রিলার মুখখানা তুলে ধরে অভ্র। তার চোখ চিকচিক করছে। অভ্র একবার বইতে পড়েছিলো, মৎসকন্যারা নাকি খুশি হলে কাঁদে। তাই তাদের অশ্রু অনেক দামী হয়। আজ তার মৎসকন্যাও কাঁদছে। আলতো ঠোঁটে তার চোখে চুমু একে বলে,
– পিপাসু চোখ জোড়া শান্তি পেলো আজ। রাতে ভালো ঘুম হবে দেখো। আচ্ছা শুনো, বাসায় কিছু খাবার হবে? ক্ষুধা লেগেছে প্রচুর।
– আপনি দুপুরে খান নি?
– মিটিং শেষ করেই গাড়িতে উঠেছি। খেতে সময় নষ্ট করলে তোমার উপহারের আগে পৌছাতে পারতাম না।

অভ্রের কথা শুনে ঐন্দ্রিলা ব্যাস্ত হয়ে পড়লো। উদ্বিগ্ন কন্ঠে বললো,
– চলুন তাড়াতাড়ি, ফ্রেশ হয়ে নিবেন। আমি খাবার দিচ্ছি।

বলেই হাত ধরে বাসার পানে পা বাড়ালো ঐন্দ্রিলা। অভ্র ও নিঃশব্দে তাকে অনুসরণ করলো।

ঐন্দ্রিলার খাটে বসে রয়েছে অভ্র। বিয়ের কতমাস পর শ্বশুরবাড়িতে এসেছে জানা নেই তার। প্রথমবার যখন এসেছিলো তখন বেশ অস্বস্তিতে পড়েছিলো সে৷ তবে আজ মন্দ লাগছে না অভ্রের। হয়তো এর কারণটাও ঐন্দ্রিলা। ঐন্দ্রিলার উপস্থিতি ই যথেষ্ট তার অস্বস্তির নিবারণ করতে। ঐন্দ্রিলা হুট করে নীলাদ্রির একটা টিশার্ট, একটা ট্রাউজার এবং টাওয়াল অভ্রের হাতে ধরিয়ে বললো,
– যান, ফ্রেশ হয়ে আসুন।
– আমি ঠিক আছি, দরকার নেই এগুলোর।

অভ্রের কথা শুনে হিনহিনে গলায় ঐন্দ্রিলা উত্তর দিলো,
– গায়ের থেকে শুকটির গন্ধ বের হচ্ছে। লাগেজের একটা কাপড় ও ধোয়া নেই। গোসলের পর এখন কি পড়বেন শুনি?
– তাই বলে শালাবাবুর কাপড়?
– বাবার টা এনে দি। নতুন একটা লুঙ্গি আছে চলবে?
– না না থাক, এটাতেই দৌড়াবে।
– যান ফ্রেস হয়ে আসুন।

বলেই রান্নাঘরে ছুটলো সে। অভ্রের উপর এতোটা শাসন শারমিন বেগম ও কখনো করেন নি। হয়তো এটাকে ভালোবাসার শাসন বলে। তাই তো চুপচাপ হাসিমুখে এই শাসন মেনে নিচ্ছে অভ্র।

মিনিট বিশেক বাদে, ফ্রেশ হয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হলো অভ্র। রুমে ঐন্দ্রিলা নেই। তাই ঐন্দ্রিলার খোঁজে রান্নাঘরের দিকে পা বাড়ালো সে। রান্নাঘরে যেতেই পা জোড়া আটকে গেলো অভ্রের। মাজায় আচল গুজে, চুলগুলো খোপাতে আটকে চুলোর সামনে কাজ করছে ঐন্দ্রিলা। তার চুল থেকে ঘামের রেখা ঘাড় বেয়ে নেমে যাচ্ছে। ঘামার্ত কর্মরত শ্যাম বর্ণের রমনীটিকে অভ্রের কাছে মনে হলো যেনো একটি সদ্য ফোঁটা নীলকন্ঠ ফুল। এই নারীর প্রেমে না পড়ে কিভাবে থাকতে পারে কোনো পুরুষ। গায়ের রঙ্গ টি যদি সৌন্দর্যের মাপকাঠি হতো তবে হয়তো পৃথিবীর সবথেকে সুন্দর নারী কেবল শ্বেত দেশের নারীরাই হতো। তখন রবিঠাকুরের “কৃষ্ণাকলি” কবিতাটি মিথ্যে হয়ে যেতো। তিনি তো বলেছিলেন,

“কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি,
আর যা বলে বলুক অন্য লোক।
দেখেছিলেম ময়নাপাড়ার মাঠে
কালো মেয়ের কালো হরিণ-চোখ।
মাথার পরে দেয়নি তুলে বাস,
লজ্জা পাবার পায়নি অবকাশ।
কালো? তা সে যতই কালো হোক,
দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ”

অভ্র ধীর পায়ে ঐন্দ্রিলার পেছনে গিয়ে দাঁড়ালো। ঐন্দ্রিলা তখন বেগুন ভাজতে ব্যাস্ত। দুপুরে খিঁচুরী এবং গরু মাংস বানিয়েছিলো সে। অভ্র গরু মাংস ততোটা খায় না। তার ভুনা খিঁচুরির সাথে গরম গরম বেগুন ভাজা আর আলু ভর্তা পছন্দ। তাই ঐন্দ্রিলাও দেরি না করে আলু সেদ্ধ করেছে, আলু ভর্তা বানিয়েছে। বেগুনটা ভাজা হয়ে গেলেই অভ্রকে ডাকবে সে। হঠাৎ অনুভব করলো একজোড়া তপ্ত ঠোঁট তার ঘাড় স্পর্শ করছে। স্পর্শ অনুভব হতেই কেঁপে উঠলো ঐন্দ্রিলা। তার বুঝতে বাকি রইলো না মানুষটি কে! অভ্র তার ঘাড়ে থুতনি ঠেকিয়ে তার কোমড় আকড়ে নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে থাকলো। অভ্রের হেলদোল না দেখে ঐন্দ্রিলা ঝাঝালো কন্ঠে বললো,
– হচ্ছে কি, ছাড়ুন। আমি কাজ করছি তো।
– করো মানা করেছি কি?
– আজিব, এভাবে বেতালের মতো ঘাড়ে চেপে থাকলে কাজ কিভাবে করবো? আপনি খাবেন তো নাকি?
– তুমি তো খুব আনরোমান্টিক। কোথায় বর সাত দিন পর তোমাকে জড়িয়ে ধরেছে, একটু রোমান্টিক কথা বলবে, একটু নিরিবিলি রোমান্স করবে। তা না, ধুর। ভালো লাগে না।

ঐন্দ্রিলাকে ছেড়ে দিয়ে অভিমানী স্বরে কথাটা বলে অভ্র। ঐন্দ্রিলা তাকে পাত্তা না দিয়ে বললো,
– তা রান্নাঘর বুঝি রোমান্টিক জায়গা?
– বর বউ যেখানে থাকে সেই জায়গাটাই রোমান্টিক। তা তো তুমি বুঝবা না! আনরোমান্টিক মহিলা!
– হয়েছে, খেতে চলুন। একটু পর সুগার ফল করলে না রোমান্স বেরিয়ে যাবে।
– আচ্ছা দিশান কোথায়! ওকে দেখছি না
– ভাইয়ার সাথে বাইরে গেছে। জানি না, এখনো ফিরে নি।
– আর বাবা?
– বাবা খালুর সাথে কথা বলতে গেছে। পিউ এর চিন্তায় খালুর অবস্থা খারাপ।
– তাহলে বাসায় শুধু তুমি আর আমি?
– হ্যা, শুধু আমি আর আপনি।
– তাহলে………
– হুম তাহলে?

অভ্র ঐন্দ্রিলার মুখের উপর খানিকটা এগিয়ে এসে ধীর কন্ঠে বলে,
– আমি আর তুমি, একা এক বাসায়। চাইলেই অনেক কিছু হতে পারে।
– যেমন?

অভ্র আরোও কিছুটা এগিয়ে আসে। তার গরম নিঃশ্বাস আছড়ে পড়ছে ঐন্দ্রিলার মুখে। ঐন্দ্রিলার চোখে চোখ রেখে কিছু বলতে যাবে ঠিক তখন কলিংবেল বেজে উঠে। ঐন্দ্রিলা হো হো করে হেসে উঠে। তারপর হাসি থামিয়ে বলে,
– আমি মনে মনে ভাবতে লাগেন। আমি দরজা খুলে আছি।

অভ্র দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো,
– আর হচ্ছে আমার রোমান্স করা। রোমান্সের চৌদ্দটা বেজে গেছে।

দরজা খুলতেই দিশান এবং নীলাদ্রি বাসায় ঢুকলো। দিশানের হাতে একটা হাওয়াই মিঠাই এর প্যাকেট। সে ঐন্দ্রিলাকে জড়িয়ে ধরলো। আধো ভাষায় বললো,
– মাম্মাম তোমার জন্য
– তাই সোনা? ধন্যবাদ। আমার আব্বুটা খুব ভালো। তুমি মামাকে জ্বালাও নি তো
– একেবারেই না।
– তাই, জানো বাবা এসেছে। তোমার জন্য এত্তোগুলো চকলেট এনেছে।
– তাই, ইয়ে

বলেই কোল থেকে নেমে অভ্রের কাছে চুটে গেলো দিশান। নীলাদ্র ঐন্দ্রিলার হাত টেনে বললো,
– ওই ব্যাটা আজ এখানে থাকবে?
– ভাইয়া, ওর একটা নাম আছে। এভাবে ব্যাটা ব্যাটা বলবে না তো। আর শোনো তোমার টিশার্ট দিয়েছি পড়তে। ওর একটা জামাও ধোয়া ছিলো না।
– আমার টা কেনো?
– ভাইয়া
– ধুর, আসলেই তুই আর আমার বোন নেই রে। এখন ওই ব্যাটার বউ হয়ে গেছিস।
– ভালো হয়েছে, চলো খাবে।

বলেই ডাইনিং টেবিলের দিকে হাটা দিলো ঐন্দ্রিলা। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকলে হতো নীলাদ্রির চুপসে যাওয়া মুখখানা দেখতে পেতো। কোনো এক অদ্ভুত কারণে সে এখনো অভ্রকে মেনে নিতে পারে নি। তাই কারণ অকারণেই খিটখিত করতে থাকে সে। ঐন্দ্রিলা তাকে বোঝাবার মতো কঠিন কাজটি এখন আর করে না। কারণ সে জানে তার একঘুয়ে ভাই কখনোই রা বুঝবে না। হয়তো তার ধারণাও বদলাবে কোনো একদিন। হয়তো সে তখন মন থেকে আশ্বস্ত হবে যে, ঐন্দ্রিলা সুখে আছে___________

১৪.
শুক্রবার, পিউদের বাসায় সকাল থেকে রান্নার ঢল পড়েছে। ঐন্দ্রিলাও খালার সাথে হাত লাগিয়েছে। বদরুল সাহেবের এক বন্ধু আসছেন বাসায় তার ই প্রস্তুতি চলছে। নীলাদ্রি এবং সে সকাল সকাল বাজার করে এনেছে। মোটা মোটা চিংড়ি, বড় রুই, এক কেজি পাবদা। একেবারে এলাহী আয়োজন। পিউ বুঝে পাচ্ছে না, তার মামা আজ এতো খুশি কেনো! দিশা বাবার হাবভাব সকাল থেকেই দেখে যাচ্ছে। সেও এই রহস্যের উম্মোচন করতে পারছে না। তাই শান্ত ভাবে দুপুরের জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া আর কাজ নেই।

দুপুর গড়াতেই কলিংবেল বাজলো, বদরুল সাহেবের বন্ধু, তার স্ত্রী এবং ছেলে এসেছেন। বদরুল সাহেব বেশ আপ্পায়নে জুটে গেলেন। ছেলেটিকে আড় চোখে দেখে যাচ্ছে নীলাদ্রি। দেখতে মন্দ নয় সে। উচ্চতা, চেহারা, ব্যাবহার বেশ মার্জিত। হঠাৎ বদরুল সাহেব বলে উঠলেন,
– আসমা, পিউ কে নিয়ে আসো। উনারা তো পিউ মাকেই দেখতে এসেছেন……..

চলবে

[ ইনশাআল্লাহ পরবর্তী পর্ব আজ রাতে পোস্ট করবো। অনুগ্রহ পূর্বক কার্টেসী ব্যাতীত কপি করবেন না]

মুশফিকা রহমান মৈথি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here