#স্বপ্নছায়া
#বোনাস_পর্ব (২)
সন্ধ্যে গড়িয়ে নিগুঢ় আধার নেমেছে ব্যাস্ত শহরের বুকে। কাজের সমাপ্তি দিয়ে ব্যাস্ত শহরের অর্ধ শতাংশ ফিরে যাচ্ছে নিজেদের ঘরে৷ গাড়ির ঝঞ্জাট দ্বিগুন হয়ে গেছে। সবার তাড়া বাড়ি ফেরার। শুধু ব্যাস্ততা নেই ঐন্দ্রিলার। এই ব্যস্ত শহরের ফুটপাত দিয়ে এলোমেলো পায়ে হাটছে সে। তার কোনো তাড়া নেই, আজ বাসায় কয়েক মিনিট দেরিতে গেলে খুব একটা মন্দ হবে না। বরং এই ভিড়ে নিজেকে হারিয়ে রাখতে ভালো লাগছে। বুকের ভেতরটা অজানা ভয়ে কুকড়ে রয়েছে তার। মিথ্যে আশায় বুক বাঁধতে ইচ্ছে করছে আরেকটি বার। আবার ভয় হচ্ছে, আগের দুবারের মতো যদি এবারো হতাশা গ্রাস করে ফেলে তাকে, কি করবে তখন! আজ কলেজে যায় নি ঐন্দ্রিলা৷ ছয়মাস হলো শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেঁছে নিয়েছে সে। সবাই জানে ঐন্দ্রিলা হয়তো কলেজের কাজে আটকে গেছে। কিন্তু সেটা মিথ্যে, সে গিয়েছিলো হাসপাতালে। তৃতীয় বারের মতো প্রেগ্ন্যাসি টেস্ট করতে গিয়েছিলো সে। অভ্রও কথাটা জানে না। কারণ লোকটাকে গত দুবার মিথ্যে আশা দিয়েছিলো সে। মুখ ফুটে না বললেও লোকটা কষ্ট পেয়েছিলো সেবার৷ আশায় বুক সেও বেধেছিলো। বিয়ের প্রায় আড়াই বছর হতে চলেছে ঐন্দ্রিলা এবং অভ্রের। নতুন অতিথির প্রতীক্ষাতে কম প্রহর গুনে নি তারা। কিন্তু হতাশা ব্যাতীত কিছুই হাতে পায় নি এই দম্পতি। কোনো এক অজানা কারণে তাদের ভালোবাসার প্রতিচ্ছবির দেখা মিলছে না৷ তাই তৃতীয়বার অভ্রকে আশাহত করার কোনো ইচ্ছে নেই তার৷ আগের দুবারের মতো এবার ও পিরিয়ড মিস হওয়াতে মনের মাঝে ক্ষীন আশা হাতছানি দিচ্ছে ঐন্দ্রির। গতবার তো প্রেগন্যান্সি কিটে ও দুটো দাগ ভেসে উঠেছিলো। কিন্তু পরে জানা গেলো সেটায় ত্রুটি ছিলো। কিটের রেজাল্টে সারা বাড়ি উল্লাসে মেতে উঠেছিলো। অভ্রের খুশি যেনো সাত আসমান ছাড়িয়ে গিয়েছিলো। সে ঐন্দ্রিলাকে পারলে মাথায় তুলে রাখে। প্রতিটা কদম আগলে আগলে রেখেছিলো। কিন্তু এই খুশিটা এক সপ্তাহও টিকে নি। যখন হাসপাতালে যেয়ে টেস্ট করা হয়েছিলো তখন ডাক্তার রেহেনুমা জানিয়েছিলেন,
” ঐন্দ্রিলার রিপোর্ট বলছে সে প্রেগন্যান্ট নয়। প্রেগ্ন্যাসি কিট গুলো সবসময় শতভাগ সঠিক রেজাল্ট দেয় না। দশ শতাংশ ভুল রেজাল্ট ও দেখায়৷ হয়তো আপনাদের কিটের কিছু সমস্যা ছিলো৷ নতুবা এমন ও হতে পারে। ঐন্দ্রিলার মিসক্যারেজ হয়ে গিয়েছে৷ কিন্তু সেটা হলেও তার বডি রিয়েক্ট করার কথা। অভ্র, আপনি চাইলে আমরা আবার ঐন্দ্রিলার টেস্ট করাতে পারেন। তবে রিপোর্ট একই আসবে।”
ডাক্তার রেহেনুমা ঠিক বলেছিলেন। দ্বিতীয় বার টেস্টে রিপোর্ট নেগেটিভ ই এসেছিলো। ঐন্দ্রিলা সেদিন হাউমাউ করে কেঁদেছিলো। তার মনে নতুন অতিথিকে নিয়ে গড়া তাশের ঘর এক নিমিষেই গুড়িয়ে পড়েছিলো। তবে অভ্র একবার ও আফসোস করে নি। শুধু ঐন্দ্রিলাকে বুকে জড়িয়ে বলেছিলো,
” সবুরের ফল সর্বদা মিষ্টি হয়। সে হয়তো এখন আসে নি। তবে দেখো একদিন আল্লাহ তা’আলা ঠিকই তাকে আমাদের কাছে পৌছে দিবে। সব তার ই ইচ্ছে। তুমি কেঁদো না। সে আসবে, দেখো।”
অভ্রকে সেদিন নিতান্ত পাথর হৃদয় মনে হলেও ঐন্দ্রিলা জানে অভ্র কতোটা কষ্ট পেয়েছিলো। এক সপ্তাহ আগে যে ব্যাক্তি গুগল ঘেটে পাগল হয়ে গিয়েছিলো, ঐন্দ্রিলাকে খাট থেকেও নামতে দিতো না, দিশানকে কড়া শাসনে রাখতো যাতে ঐন্দ্রিলার কোনো কষ্ট না হয়; সেই ব্যাক্তির কাছে এই সত্যটা কষ্টদায়ক হবে না এটা মানা যায় না। ঐন্দ্রিলা চায় না এবার অভ্র আবারো কষ্ট পাক, যতই হোক সেও মানুষ। ঐন্দ্রিলার মুখের দিকে চেয়ে সকল দুঃখকে মনের কোঠরে বন্দি করে রেখেছে সে। এই মানুষটাকে আর কষ্ট দিতে ভালো লাগে না ঐন্দ্রিলার৷ সে প্রতীক্ষায় রয়েছে সেইদিনের, যেদিন তাদের স্বপ্নছায়ার পূর্ণতা হবে____________
ঐন্দ্রিলা যখন বাড়িতে ফিরলো তখন রাত সাড়ে আটটা বাজে। আজকাল বাড়িতে নিগূঢ় নিস্তব্ধতার অনুভূতি পাওয়া যায়। দিশানের বয়স ছয় বছরে পা রাখবে। এখন আর ছোটাছুটি করে না দিশানটা। বরং স্কুলে ভর্তি হয়েছে সে। আগের চেয়ে যেনো দ্বিগুন শান্ত হয়ে গিয়েছে ছেলেটি। অবশ্য তার কারণ ও রয়েছে। আহানার বিয়ে হয়ে গেছে। ঐন্দ্রিলা তার চাকরিতে ব্যস্ত থাকে। আর বুড়ো দাদী-দাদা আর কতোটাই বা তাকে মাতিয়ে রাখবে। তারা তাদের অন্তিম ভাগটুকু নিজের মতো করে কাটাতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। অভ্রটাও কাজের চাপে ছেলেটাকে ততটা সনয় দিতে পারে না। তাই তার দুষ্টুমি গুলো এখন আর ঘর মাতায় না। ঐন্দ্রিলা বাসায় ঢুকতেই দেখলো বসার ঘরে থমথমে পরিবেশ। শারমিন বেগমের বড় বোন সীমা বেগম এসেছেন। অভ্রের মামা শামসুর সাহেব এসেছেন। তাদের গোলমিটিং বৈঠক চলছে। মিটিং এর বিষয় “আহাশের বিয়ে”। ঐন্দ্রিলা সালাম দিয়ে ভেতরে যেতে নিলে শারমিন বেগম বলে উঠেন,
” কি রে মা! আজ এতো দেরি হলো যে?”
ম্লান, ক্লান্ত হাসি দিয়ে ঐন্দ্রিলা বললো,
” পরীক্ষার প্রশ্ন করছিলাম, তাই একটু দেরি হয়ে গিয়েছে মা। চা খেয়েছেন আপনারা? মিলি দিয়েছে?”
” হ্যা, তুমি এখানে আমার কাছে এসে বসো তো একটু। আহাশের জন্য মেয়ে পছন্দ করেছে তোমার খালা। একটু দেখে যাও।”
” মা আপনারা কথা বলুন, বড্ড ক্লান্তি লাগছে৷ আমি একটু ফ্রেশ হয়ে আসি?”
” ব্যাশ যাও।”
ঐন্দ্রিলার শুকনো মুখটা দেখে আর বাধ সাধলেন না শারমিন বেগম। ঐন্দ্রিলা যখন ভেতরের দিকে হাটা দিলো তখন কানে ভেসে এলো সীমা বেগমের ঠেস মারা কথা,
” এবার আহাশের জন্য এমন হুরপরী খুজেছে না শারমিন, দেখবি তোর ছেলে আর না করতেই পারবে না। গতবারের মতো কোনো ঘটনা এবার হবে না দেখিস। আর মেয়ের বয়স ও কম। এক বছরের মধ্যেই তুই দাদী ডাক শুনবি। আসলে মেয়ের এতো পড়াশুনার স্বভাব নেই তো! আর বাড়ির বউ এর এতো পড়াশুনা করে কি হয় বল তো! তারা ঘর সংসার চালাতে উচ্চ শিক্ষিত হওয়া লাগে না”
” আহ থামো তো, আপা। এসব কথা শুনতে ভালো লাগে না।”
শারমিন বেগম থামিয়ে দিলেও সীমা বেগমের বুলি থামলো না। ঐন্দ্রিলার সেদিকে কান দিতে ইচ্ছে হলো না। মানুষ তো কথা বলবেই, তাদের কাজ কথা বলা। আল্লাহ দুটো কান দিয়েছেন ই একারণে। এক কান কথা শুনবে, আরেক কান অপ্রয়োজনীয় কথাগুলো বের করে দিবে। রুমে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিলো ঐন্দ্রিলা। তার কানে এখন কোনো কথা আসছে না। শাড়িটা না বদলেই বিছানায় গা এলিয়ে দিলো সে। তখনই মোবাইলটা বেজে উঠে। ঐন্দ্রিলা মুচকি হেসে ফোনটা রিসিভ করে। সেই চিরচেনা কন্ঠ কানে ভেসে উঠে,
” কি করো?”
” এই তো শুয়ে আছি। তুমি?”
” মাত্র পৌছালাম”
” কবে ফিরছো?”
” আগামী পরশু”
ঐন্দ্রিলা চুপ করে থাকলো। অপরপাশের নিঃশ্বাসের শব্দ কানে৷ আসছে। অভ্রের নিঃশ্বাসের শব্দ টুকু ও মাতাল করে তোলে ঐন্দ্রিকে। অভ্র দুদিনের জন্য চট্টগ্রাম গিয়েছে কাজে। আজ সারারাত ফোনটা কানেই থাকবে ঐন্দ্রির। অভ্র না থাকলে এইটা একটা বদ অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। লোকটার অস্তিত্বের অনুভূতি না হলে যেনো মনটা উথাল-পাতাল করতে থাকে। এখন বেশ শান্তি লাগছে ঐন্দ্রির। অভ্রের কানে হেডফোন। সে ফোনটা পাশে রেখে কাজ করতে শুরু করলো। ঐন্দ্রিলা ফোন কানে থাকতেই চোখ বুজে নিলো। ঘুম আসছে না, ক্লান্তির ঘুম_________
আহাশের টেবিলের উপর লাল ছাতাটা রাখা, পাশে একটি সাদা কাগজ। রুমে ঢুকতেই এই দৃশ্যটি চোখে পড়লো আহাশের। বেশ অবাক হলো আহাশ। কারণ তার রুমের গেটটা তালাবদ্ধ ছিলো, এবং চাবি শুধু তার কাছে রয়েছে। শুধু তাই নয়, এখনো সে দরজা খুলেই ভেতরে এসেছে। কৌতুহলে কাগজটা হাতে তুলে নেয় সে। চিরকুটটা খুলতেই ঠোঁটের কোনে মুচকি হাসি ফুটে উঠে। চিরকুটে লেখা,
” সেদিন ছাতার জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু এতো হাতেম তাই হওয়াটাও ঠিক নয়। হাতেম তাই সাজতে গিয়ে জ্বর বাধিয়েছেন শুনলাম। যাক গে, আমার কি! ছয়দিন ছাতাটা আমার কাছে ছিলো, তবে সেটা ইচ্ছাকৃত নয়। আপনি কামাই দিয়েছিলেন বিধায় দেওয়া হয়ে উঠে নি। আপনার আমানত বুঝিয়ে দিয়েছি। এখন আমার চিন্তার অবসান ঘটেছে। আমার আবার মানুষের জিনিস কাছে রাখলে বেশ চিন্তা হয়। এখন শোধ বোধ। আর শুনেন, পাগলরা না ছাতা ব্যাবহার করে না। শিক্ষক মানুষের এতো বড় ভুল ধারণাটা ঠিক মানায় না।”
আহাশ মুচকি হেসে ছাতাটার দিকে তাকালো। সুন্দর করে ভাজ করা একটি লাল ছাতি, যেকোনো এখনই বাজার থেকে কিনে আনা হয়েছে_________
ভোর রাতে ঐন্দ্রিলার ঘুম ভেঙ্গে গেলো। উত্তপ্ত গরম নিঃশ্বাস তার ঘাড়ে আছড়ে পড়ছে। একজোড়া শীতল হাত তাকে নিবিড় ভাবে আকড়ে ধরে রয়েছে। প্রথমে চমকে গেলেও পরমূহুর্তে শান্ত হয়ে গেলো ঐন্দ্রিলা। এই ব্যাক্তিটি যে তার মনের কোঠরে বাসকরা সেই প্রেমিক পুরুষটি। ধীর কন্ঠে অভ্র বলে উঠলো,
” ঘুম ভেঙ্গে দিলাম, তাই না?”
” আমার ঘুম যে বরাবরই পাতলা অভ্র মশাই। তা আপনার না কাল আসার কথা ছিলো?”
অভ্রের দিকে ফিরে কথাটা বলে ঐন্দ্রিলা। অভ্র তখন তার ঠোঁটে চুমু একে ধীর কন্ঠে বললো,
” আমার বউকে সারপ্রাইজ দিতে ইচ্ছে হলো। সত্যি বলতে মন টিকছিলো না। ”
” আমার কাছেও আপনার জন্য একটি সারপ্রাইজ রয়েছে।”
” তাই? কি শুনি?”
” একমিনিট”
বলেই অভ্রের আবেষ্টনী থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিলো ঐন্দ্রিলা। লাইটটা জ্বালিয়ে আলমারি থেকে একটা কাগজ বের করলো সে। অভ্রের হাতে দিয়ে বললো,
” খুলুন”
” এটা কি?”
” দেখুন”
অভ্র কাগজটা খুলতেই থমকে যায়৷ কাঁপা স্বরে বললো,
” সত্যি?”
” বিশ্বাস না হলে ছুয়ে দেখতে পারেন”
বলেই অভ্রের হাতটা নিয়ে পেটে ছোঁয়ালো ঐন্দ্রিলা। ভরাক্রান্ত কন্ঠে বললো,
” সকালে পেয়েছি। যখন খুলেছিলাম আমার ও বিশ্বাস হয় নি জানেন। খুব ছটফট করছিলাম। নিজের মাঝে এতো বড় খবরটা আর রাখতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিলো, ইশ কেনো আপনার চট্টগ্রামে যেতে হলো। কেনো আজকের দিনে আপনি পাশে নেই!”
অভ্র অবাক নয়নে ঐন্দ্রিলাকে দেখছে। সবকিছু যেনো স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। গতদুবার মনে হাজারো ইচ্ছেরা ডানা মেলেছিলো। কিন্তু প্রতিবার শুধু হতাশার দেখাই পেয়েছে সে। তাই আজ স্বপ্নগুলো বাস্তব হতে দেখেও বিশ্বাস করতে পারছে না অভ্র। ঐন্দ্রিলা তার গাল আগলে ধরে বললো,
” খুশি হন নি?”
” কল্পনাতীত, আমি বুঝতে পারছি না এই আনন্দ কিভাবে প্রকাশ করতে হয়। ঐন্দ্রিলা, আমাদের সন্তান সত্যি কি আসছে?”
অভ্রের ঠোঁটে চুমু একে তার থুতনিতে কপাল ঠেকিয়ে ঐন্দ্রিলা বললো,
” সত্যি, আমাদের সে এসেছে। আমার মাঝে একটু একটু করে বাড়ছে। আমাদের স্বপ্নছায়া পূর্নতা পেয়েছে অভ্র। আমাদের সন্তান সত্যি আসছে। আমাদের পরিবার এখন আর তিনজনের নয়। চারজনের।”
অবশেষে অভ্রের চোখের কোন থেকে অশ্রুগুলো মুক্তি পেলো। এই অশ্রুগুলো কতকাল জমে ছিলো জানা নেই। তবে এটা বিষাদের অশ্রু নয়। এই অশ্রু সুখের, এই অশ্রু তার স্বপ্নছায়ার পূর্নতার। ভোরের আলো ফুটেছে। অভ্র ঐন্দ্রিলাকে জড়িয়ে ধরে রয়েছে। নিস্তব্ধতায় ঘেরা ঘরে শুধু অশ্রুর আদানপ্রদান চলছে। কে বলেছে শুধু দুঃখেই মানুষ কাঁদে! সুখের ক্রন্দনে মিশে থাকে হাজারো আবেগ, হাজারো না বলা অনুভূতি। এ যে স্বপ্নছায়ার পরিপূর্ণতা_________
||সমাপ্ত||
[ঈদ মোবারক সবাইকে। দেরি হয়েছে, কারণ কুরবানি ঈদে সময় করে উঠাটা একটু কঠিন। অনেকেই বলছিলেন ৩,৪ টা বোনাস পর্ব দিতে।বোনাস পর্ব যদি এতোগুলো হয় তবে সেটা আরেকটি অধ্যায় হয়ে যাবে। এর থেকে কিছু জিনিস তোলা থাক ভবিষ্যতের জন্য। যদি রেসপন্স আশানুরূপ হয় তবে ইনশাআল্লাহ এক সময় #স্বপ্নছায়া গল্পের #দ্বিতীয়_খন্ড লিখবো। দোয়া করবেন, ইনশাআল্লাহ আগামী পহেলা আগষ্ট নতুন গল্প নিয়ে ফেরত আসবো। এই বোনাস পর্বগুলো শুধু আমার পেজেই পোস্ট করছি। দয়া করে কার্টেসি বাদে কপি করবেন না]
মুশফিকা রহমান মৈথি