#সূর্যোদয়
#পর্ব_৩৪
#কারিমা_দিলশাদ
১০০.
কথাবার্তা শেষে ঐশীকে আংটি পড়িয়ে দেয় ইলোরা ইয়াসমিন। এর কিছুক্ষণ পর ঐশীদের বাসা থেকে বেরিয়ে আসে জয়’রা। সন্ধ্যা হয়ে গেছে। মুখ ফুলিয়ে গাড়ি চালাচ্ছে জয়। বাসায় গিয়েও ইলোরা ইয়াসমিনের সাথে কোনো কথা বলে না সে। ইলোরা ইয়াসমিন ছেলের মুখ ফুলানোর কারণটা বুঝেও মনে মনে হেসেছেন কিন্তু মুখে কিছু বলে নি। রাতে দু কাপ চা নিয়ে ছেলের রুমে প্রবেশ করেন তিনি।
গিয়ে দেখেন জয় বারান্দায় রেলিঙ ধরে দাঁড়িয়ে আছে। তিনি গিয়ে জয়ের সামনে এক কাপ চা ধরে। জয় বিনাবাক্য ব্যয়ে চায়ের কাপটা নিয়ে তাতে চুমুক দেয়। ইলোরা ইয়াসমিনও পাশে দাঁড়িয়ে চায়ে চুমুক দিতে থাকে আর ছেলেকে দেখে মনে মনে হাসতে থাকে। জয়ের মুখ দেখে মনে হচ্ছে যেন কোনো বাচ্চা ছেলেকে তার পছন্দের কিছু না দেওয়ায় গাল ফুলিয়ে অভিমান করেছে। ভাবতে ভাবতেই তিনি জোরে হেসে ফেলেন।
জয় একবার আড় নজরে মায়ের দিকে তাকিয়ে আরও গাল ফুলিয়ে নেয়। ইলোরা ইয়াসমিন জয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে বলে,
“ এখনও এভাবে বাচ্চা ছেলের মতো গাল ফোলালে চলে বলতো?”
তবুও জয় গাল ফুলিয়ে গলায় একরাশ অভিমান ঢেলে বলে,
“ তুমি এতো পরে ডেট ঠিক করলে কেন? এই ছিল তোমার মনে মনে?”
“ হুমম ছিল। তো?”
জয় জবাবে অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়। ইলোরা ইয়াসমিন হালকা হেসে বলে,
“ এই সময়টা ঐশীই চেয়েছিল। তুই কেবল নিজের কথাটাই ভাবছিস জয়। একবার ঐশীর কথাটাও ভাব। মেয়েটার মাঝে কোনো কারণে হয়তো বিয়ে নিয়ে ভয় কাজ করে, সেখানে রাজি হয়েছে বলে তো আর হুট করে বিয়েটা দিয়ে দেওয়া যায় না। ওকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য কিছুটা সময় দে। আমি জানি আমরা যদি এক সপ্তাহ পরে বিয়ের ডেট ফিক্সড করতাম ঐশীর বাবা মা তাতেই রাজি হতো। তাই ও আমাকে সেদিনই অনুরোধ করেছে তাকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য কিছুটা সময় দিতে। শুধু তোকে বলা হয় নি।”
ঐশীর ডিসিশন শুনে জয় কিছুটা অবাক হয়। পরে কারণটা বুঝতেও পারে।
“ আমাকে বললে না কেন? তোমার কাছে নিজের ছেলের থেকে আরেকজনের চাওয়ায় বেশি গুরুত্ব পেলো? হুহ্।”
“ হ্যা পেলো। এখন তুই কি ঐশীকে হিংসে করছিস? এই তোর ভালোবাসার নমুনা!”
“ ভালোবাসি তো কি হয়েছে? ভালোবাসি বলেই তো কাছে রাখতে চাইছি। যাইহোক সবই তো মানলাম কিন্তু আমার টেনশন হচ্ছে মা। কয়েকদিন আগেই কি হলো দেখলে না? ওখানে ও সেফ না৷ আর যদি ও ওর মত পাল্টে ফেলে?”
“ মত পাল্টালে পাল্টাবে। যদিও আমার মনে হয় না এমন কিছু হবে। যদি মত পাল্টেও যায় তার নিশ্চয়ই কোনো ভ্যালিড কারণ থাকবে তাই না? তবে সিওর থাক এমন কিছু হবে না। আমি গ্যারান্টি। তবে কয়েকদিন আগের বিষয়টা নিয়েও আমি বলেছিলাম। তখন ও বলল এতদিন তো ও উনাদের সাথেই ছিল। যেভাবেই ছিল আছে তো। ওভাবেই নাহয় আরও কয়েকটাদিন কাটিয়ে দিবে। তাই আমি আর কিছু বলার মতো পায় নি। আর সত্যি বলতে তোদেরও একটু সময় দরকার। দুজন দুজনকে কিছুটা হলেও চেনা হবে জানা হবে। যা দ্বিধা আছে সেগুলোও কেটে যাবে। কি বলিস?”
জয় কিছু না বলে মাথা নাড়ায়। কিন্তু মনে মনে সে এখনো হ্যাপি হতে পারছে না। আরও চারটা মাস মেয়েটার থেকে দূরে থাকতে হবে। সে নিজের মাকে জড়িয়ে ধরে দুঃখবিলাস করতে থাকে।
১০১.
ওদিকে ঐশী সবে নিজের ঘরের সবকিছু ধুঁয়ে মুছে পরিষ্কার করে গোসল করে বের হলো। এবার এক কাপ চা দরকার। চা বানাতে বানাতে সে অনুভব করে তার কেন জানি ভালো লাগছে। ঠোঁটের কোণে কেন জানি একটু হাসি ছুয়ে আছে। বারবার অনামিকায় পড়ানো আংটিটা দেখছে। চা হয়ে গেলে চা টা নিয়ে বারান্দায় চেয়ারে গিয়ে গা এলিয়ে দেয়।
বিয়ে করার জন্য রাজি তো হয়ে গেছে। তবে সে ঠিক করেছে এই সম্পর্ক থেকে সে কোনো এক্সপেকটেশন রাখবে না। এক্সপেকটেশন রাখলেই কষ্ট বেশি পেতে হবে। তাই কোনো এক্সপেকটেশন না রাখাই ভালো। কিন্তু না রাখতে চাইলেই কি তা হয়! এই যে মনের মাঝে কত ধরনের খেয়াল আসছে। এগুলো কি এতো সহজে বাদ দেওয়া যায়? বিয়ে নিয়ে মেয়েদের আলাদা কিছু ফ্যাসিনেশন থাকে। কম বেশি সব মেয়েদের মাঝেই থাকে। তারমাঝেও আছে।
সবসময় তার ফ্রেন্ডরা মনে করে তার মাঝে মেয়েলি কোনো ফিলিংস নেই। অথচ সেই জানে মনে মনে সেও একটা সুন্দর সংসারের স্বপ্ন দেখে। কোমড়ে শাড়ি গুঁজে রান্না করা, ঘরটাকে নিজের হাতে নিজের মতো করে গুছানো, কারো ফেরার অপেক্ষা করা, কারো কাঁধে মাথা রেখে আকাশ দেখা। এসবের স্বপ্ন সেও দেখে। কিন্তু কখনো কারো সামনে প্রকাশ করা হয় নি। ইচ্ছেও করে নি।
আজকে সে না চাইতেও জয়কে নিয়ে ভাবছে। হাতের আংটিটার জন্যই হয়তো বেশি মনে পড়ছে। ছাঁদে করা জয়ের কাজটা তাকে খুবই বিব্রত করেছে, সাথে নতুন কিছু অনুভূতির সাথেও পরিচয় করিয়েছে। যেই অনুভূতিটা এর আগে তার কখনো হয় নি। কথাটা মনে হতেই ঐশীর সারা শরীর আবার ঝিমঝিম করতে শুরু করে। যদি ঐশী এখন নিজেকে দেখতো তাহলে বুঝতে পারতো লজ্জায় তার গালে লাল আভা ছড়িয়ে গেছে।
তবে এই বিষয়টা নিয়ে সে জয়কে খারাপ ভাবতে চেয়েও কেন জানি খারাপ ভাবতে পারছে না। অনেকবার সে নিজেকে মনে মনে বুঝিয়েছে এটা নিয়ে বিয়েটা ভেঙে দেওয়া যায় কিনা। তবে কেন জানি মন সায় দেয় নি। ঐশী নিজেও জানে জয় এটা ঘোরের মধ্যে করেছে। লোকটা নিজেও এমন কিছুর জন্য প্রস্তুত ছিল না।
এসব হাবিজাবি ভাবতে ভাবতেই রাত গভীর হতে থাকে। কিন্তু ঐশীর চোখে ঘুম নেই। তবে আজকে তার নির্ঘুম রাত কাটাতেও ভালো লাগছে।
১০২.
জয় হাসপাতালে রোগী দেখছে। কিন্তু রোগীর দিকে সে ঠিকমতো মনোযোগ দিতে পারছে না। সে বারবার ফোন দেখছে। কালকে রাত থেকেই কারো ফোন কল আর নয়তো একটা মেসেজের জন্য উন্মুখ হয়ে অপেক্ষা করছে সে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিটির কাছ থেকে একটা মিসডকলও আসে নি।
জয় ভেবেছিল ঐশী বোধহয় এবার তাকে একটা ফোন কিংবা মেসেজ দিবে। কালকে তো ঐশী বুঝতে পেরেছিল যে সে মন খারাপ নিয়ে এসেছে তাদের বাসা থেকে। তার মন খারাপ দেখে তো মেয়েটা খুব হেসেছে, অন্তত ফোন করে তার কাটা ঘায়ে একটু নুনের ছিটাই দিত। কিন্তু না মেয়েটা একবারও ফোন করে নি। সেই করতো কিন্তু কিভাবে করবে? সে তো মনে মনে রাগ করেছে ঐশীর উপর। এইজন্য সে দেয় নি। কিন্তু এখন আর তার ভালো লাগছে না।
হঠাৎ করে কালকে ছাঁদে তার দ্বারা করা আকামের কথা মনে হয়। এইজন্য মেয়েটা আবার রাগ করে বসে নেই তো? কিন্তু পরে তো মেয়েটা হাসছিল। কোনোভাবে কি ও সেই রাগ মনে পুষে রেখেছে? এইজন্যই কি তবে কোনো যোগাযোগ করে নি? তাই হবে হয়তো। জয় ছটফট করতে লাগলো। নিজের করা কাজে সে আরও অনুতপ্ত হতে লাগলো। আবার মনের কোণে কিছুটা অভিমানও উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে। সে এতো টেনশনে থাকতে পারবে না।
বিকাল হতেই অনুরোধ করে তার কাজগুলো আরেকজনের উপর সপে দিয়ে সে নৃত্যশৈলির উদ্দেশ্য বাইক নিয়ে ছুটে চলে।
১০৩.
ঐশীর কিছু কাজ থাকায় আজকে তারাতাড়ি বাচ্চাদের ছুটি দিয়ে দিয়েছে। এখন তার সারাদিন এখানেই কেটে যায়। কারণ এখন নৃত্যশৈলিতে স্টুডেন্টের সংখ্যা আরও বেড়েছে। অথৈইদের পড়ানো ছেড়েছে আজ প্রায় তিন চারমাস হতে চললো। তবে অথৈই এখন তার কাছে নাচ শেখা শুরু করেছে। কলেজে কেবল নামমাত্র যাওয়া হয়। এদিকটা সামলাতে গিয়ে পড়াশোনা আসমানে উঠেছে।
দরজায় তালা লাগিয়ে গেটের বাইরে এসে তালা লাগাতেই খেয়াল করে সুঠাম দেহের এক সুদর্শন পুরুষ বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ঐশী তালা লাগাতে লাগাতেই বার কয়েক পুরুষটির দিকে তাকালো। যে আড়চোখে বারবার তারদিকে তাকাচ্ছে। তালা লাগিয়ে সে লোকটির সামনে গিয়ে দাঁড়ায়।
“ কি ব্যাপার ডাক্তার সাহেব। রোগী রেখে আপনার এখানে কি কাজ?”
জয় নিশ্চুপ। মাথা নিচু করে সে নখ খুঁটছে। ঐশী কিছুক্ষণ ভ্রু কুঁচকে জয়ের হাবভাব বোঝার চেষ্টা করে। একটু পর জয় তাকালে সে ভ্রু নাচিয়ে কি হয়েছে জানতে চায়। এতক্ষণে জয় মুখ খুলে। ভারী গমগমে আওয়াজে বলে,
“ কালকে ছাঁদের ঘটনাটার জন্য আমি সরি। আমার ওরকম কোনো ইনটেনশন ছিল না।”
এতক্ষণে ঐশীর বোঝে আসে ব্যাপারটা। সাহেব এখনো সেটা নিয়েই পড়ে আছে। সে জবাবে কেবল ওহ বলে। আর চিন্তা করে লোকটাকে আরও কিছুদিন এটা নিয়ে চাপে রাখবে। তাহলে ঘাড়ে আর শয়তান ভর করবে না। ঐশীর জবাবে কেবল ওহ শুনে জয় ঘাবড়ে যায়। সে যা ভেবেছিল তাই। ঐশী রেগে আছে বিষয়টা নিয়ে। জয়ের মনের খচখচ আরও বেড়ে যায়। সে উত্তেজিত হয়ে বলে,
“ ঐশী আমি বললাম তো সরি। আমি ইচ্ছে করে ওমন করি নি। কিভাবে কিভাবে জানি হয়ে গেছে। আমি সরি তো। প্লিজ আর রাগ করে থাকো না প্লিজ…..”
ঐশী নিশ্চুপ। ঐশীর নিরাবতা জয়কে আরও ঘাবড়ে দেয়।
“ ঐশী প্লিজ চুপ করে থেকো না। আই এম সরি তো। প্লিজ কিছু বলো।”
“ কি বলবো? কি শুনতে চান। আপনাদের স্বভাবটাই এমন। মেয়ে দেখলেই শুরু হয়ে যায়। সব পুরুষ একরকম।”
“ না না বিশ্বাস করো ঐশী আমি ওরকম না। কিন্তু তোমার সামনে এলেই আমার কি জানি হয়ে যায়। এই যে এখনও আমার হাত পা কাপছে। আমার কেমন কেমন জানি লাগছে। আমার খারাপ কোনো ইনটেনশন ছিল না বিশ্বাস করো। প্লিজ এবারের মতো মাফ করে দেও। আর কক্ষনো এমন হবে না। আই প্রমিস।”
জয়ের গলায় অসহায়ত্ব ঠিকরে পড়ছে। শক্তপোক্ত একটা পুরুষ ভারী গলায় যখন এমন অসহায় হয়ে আকুতি জানায় তখন খুব মায়া লাগে। ঐশীরও খুব মায়া লাগছে। সে ভাবে থাক লোকটাকে আর চাপে রেখে দরকার নেই। একবার মাফ করাই যায়। ঐশী শক্ত গলায় বলে,
“ ঠিক আছে ঠিক আছে।” – আঙুল তুলে চোখ গরম করে বলে,
“ লাস্ট চান্স। ভবিষ্যতে যদি আবার এমন কিছু হয় না। তো চোখে মরিচ ডলে দিব।”
জয় দুহাত স্যারেন্ডার করার ভঙ্গি করে মাথা নেড়ে সম্মতি জানায়। ঐশী এবার নিজের গন্তব্যের উদ্দেশ্য পা বাড়ায়। জয় পিছন থেকে বলে উঠে,
“ ঐশী আমি ড্রপ করে দেই?”
“ আমার কিছু কাজ আছে। এখন বাসায় যাব না।”
জয় ঐশীর কাছে গিয়ে বলে,
“ আমিও যাই না তোমার সাথে। হেল্প করে দিব।”
“ আমি সামনের নার্সারিতে যাব। ওখানে যদি গাছ না পাই তাহলে পুলিশ লাইনের ওখানে আরেকটা নার্সারি আছে ওখানে যাব। অনেক ঘুরতে হবে কিন্তু? ”
“ ম্যাডামের পিছনে ঘুরতে পারা তো আমার সৌভাগ্যের ব্যাপার।” -জয় হেসে উত্তর দেয়।
“ বাহ্বা তাই! ওকে।”
জয় বাইক নিয়ে আসতেই ঐশী বাইকের পিছনে উঠে পড়ে। জয়ের কাঁধে হাত না রেখে বাইকের পিছনের হান্ডেলটা ধরে নিজেকে সাপোর্ট দেয় ঐশী। জয় বলে,
“ ঐশী আমাকে ধরে বসো না হলে পড়ে যাবে।”
“ ধরেছি। আপনি চলুন আস্তে আস্তে যাবেন তাহলেই হবে।”
জয় একবার পিছনে তাকিয়ে দেখে নেয়। আর বলে,
“ ঐশী রিলেক্স। ওটা ধরে বসলে পড়ে যাবে তো। আমার কাঁধে হাত রাখো।”
“ দরকার নেই। লাগলে পরে ধরবো নি। এমনেতেও আমার বাইকে বসে অভ্যেস আছে। আপনি চলুন।”
অগত্যা জয় বাইক স্টার্ট দেয়। সামনের নার্সারিতে গিয়ে ঐশী তার কাঙ্খিত গাছগুলো পায় না। পরের নার্সারিতে গিয়ে কেবল একটা গাছ পায়। তাই সেটা নিয়েই ওরা বাসায় রওনা হয়। ঐশী ওর বাসার সামনে থেকে অল্প একটু দূরে নেমে পড়ে। কারণ ওর মা দেখলে উল্টাপাল্টা কিছু বলে ফেলবে। ঐশী নামতেই জয় বলে,
“ সাবধানে থেকো। আর আমি রাতে কল দিব। তখন কথা হবে। বাই।”
“কেন?”
এমন প্রশ্নে জয় কি উত্তর দিবে ভেবে পায় না৷ তাদের বিয়ে ঠিক হয়েছে তারা তো একটু কথা বলতেই পারে। এই কেন-র জবাবে কি বলবে সে। জয়কে এমন আহাম্মকের মতো তাকিয়ে থাকতে দেখে ঐশী নিজেও একটু লজ্জায় পড়ে যায়। বুঝতে পারে এমন প্রশ্ন করা তার ঠিক হয় নি৷ সে কি বুঝলো কে জানে, সে হালকা হেসে মাথা নেড়ে চলে যায়।
ঐশীর হাসি দেখে জয়ও হেসে ফেলে। ঐশী ওদের বাসার গেটে ঢুকার আগপর্যন্ত জয় দাঁড়িয়ে থাকে।
#ক্রমশ…..
( কপি করা নিষেধ, কেউ কপি করবেন না। Next, next plz এগুলো বাদে গঠনমূলক মন্তব্য আশা করি আমি আপনাদের কাছে। 🙂🙂)