সূর্যশিশির পর্ব ৩৪

1
1298

সূর্যশিশির
৩৪.
ইফতারের মতো স্বর্গীয় আমেজের অনুভূতি পুরোপুরি অনুভব করতে পারছে না অরুনিকা ও তার মা। বাড়ির একমাত্র ছেলের উপস্থিতি নেই, নেই কর্তাও। চারপাশটা বড় ফাঁকা। ইফতারের মাঝে সেলিনার চোখ থেকে দুই ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ে। অরুনিকা দেখেও কিছু বলল না। কিছু অনুভূতির মাঝে ঢুকতে নেই। অর্ণবকে মনে করে সেলিনা প্রায়ই লুকিয়ে কান্নাকাটি করেন।

মাগরিবের নামায আদায় করে ড্রয়িংরুমের সোফায় আয়েশি ভঙ্গিতে বসে অরুনিকা। অনেকদিন হয়ে গেল ফেসবুকে ঢুঁ মারা হয় না। লগ ইন করতে গিয়ে দেখে, পাসওয়ার্ড ভুলে গেছে। রুমে গিয়ে ডায়েরি থেকে পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করে ফেসবুকে লগ ইন করতেই নোটিফিকেশনের শব্দে কেঁপে উঠল সারা ঘর। ফেসবুকে না পেয়ে অনেকে মেসেজ করেছে৷ অরুনিকা সময় নিয়ে প্রত্যেকের রিপ্লাই দেয়।

হঠাৎ মাথায় চাপল, হিরণের আইডি খুঁজে বের করার। প্রথমে ইংরেজি বানানে আইডি খুঁজল, পেল না। তারপর বাংলা বানানে সার্চ করতেই পেয়ে গেল। খুব আগ্রহ নিয়ে আইডিকে ঢুকে প্রতিটি ছবি দেখতে থাকল৷ একটা ছবি চোখে পড়ল, যেখানে হিরণের সঙ্গে আরেকটা ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। ট্যাগ করা আইডির নাম দুলাল। ছবির উপরে ক্যাপশনে লেখা, প্রিয় বন্ধু।
দুলাল নামক ছেলেটি দেখতে অদ্ভুত! উচ্ছন্নে যাওয়া অমার্জিত ব্যবহারের নেশাখোরদের মতো। অরুনিকার কেন যেন উদ্ভট অনুভূতি হয়! আরেকটু নিচে গিয়ে হিরণের আরেকটা ছবি দেখে মন ভালো হয়ে গেল। নীল শার্ট পরিহিত অবস্থায় ঠোঁটে প্রাণখোলা হাসি। সে ছবিটা সংরক্ষণ করে ফোনের ওয়ালপেপারে সেট করল।

চল্লিশ মিনিটের মতো স্ক্রল করার পর চার বছর আগের একটা ছবিতে দৃষ্টি থমকে যায়। হিরণের সঙ্গে সঙ্গে অন্য একটি মেয়ে! সঙ্গে অরুনিকার বুকের ভেতরটা ধড়াস করে উঠল। সে কমেন্টগুলো পড়ে বুঝতে পারল, মেয়েটা হিরণের প্রেমিকা। তার বুকের ভেতর দলা পাকিয়ে উঠে কান্না। তীব্র কষ্ট অনুভূত হয়। চোখ দুটি ঝাপসা হয়ে আসে। একটা তীক্ষ্ণ অনুভূতির পীড়নে হাত কাঁপতে শুরু করে। কাঁপা হাতে আরো নিচে গিয়ে সেই মেয়েটির সঙ্গে আরো তিন চারটা ছবি পেল। প্রত্যেকটা ছবিতে একজন আরেকজনকে খুব ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে রেখেছে!

অরুনিকা আর দেখতে পারছে না। চোখ দুটি জ্বলে যাচ্ছে৷ সে ফোন রেখে দিল৷ মুহূর্তে তার চোখমুখ লাল হয়ে গেছে৷ কী করবে, কী বলবে বুঝতে পারছে না৷ কেমন দিশেহারা লাগছে!

দিকবিদিকশুন্যের মতো হাতড়ে ফোন নিয়ে দ্রুত হিরণের ফোনে কল করে। প্রথমে রিসিভ না করলেও পরের কলে রিসিভ করে হিরণ বলল, “বলো অরুনিকা?”
অরুনিকা রুদ্ধশ্বাস কণ্ঠে বলল, “এখুনি ছাদে আসো।”
হিরণ ভড়কে গিয়ে বলল, “কী হয়েছে?”
অরুনিকা অন্য হাতের তালুতে চোখের জল মুছে বলল, “আমি অপেক্ষা করছি।”
বলেই ফোন কেটে দিল৷ তারপর বাথরুমে গিয়ে চোখেমুখে পানি ছিটাল যেন সেলিনা মুখ দেখে বুঝতে না পারে সে কান্না করেছে৷ তারপর মাথায় ওড়না টেনে বের হয়ে দেখে সেলিনা নিজের রুমে মনোযোগ দিয়ে কম্পিউটারে কিছু করছেন।

তখন রাত।
চারপাশের নীরব নিস্তব্ধতায় আকাশের চন্দ্রালোকিত রাতের শোভা চারিদিকে। আকাশে ভেসে বেড়ানো ওই মেঘেদের ছুটোছুটি দেখছে অরুনিকা। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে ছুটে আসে হিরণ। অরুনিকা পিছনে ঘুরে তাকায়। হিরণ উদগ্রীব হয়ে এগিয়ে এসে প্রশ্ন করল, “কিছু হয়েছে? একটু বের হয়েছিলাম তাই আসতে দেরি হয়ে গেল।”
অরুনিকার চোখ ছাপিয়ে নামে জল৷ চোখের পর্দায় পুনঃপুন ভাসছে হিরণের গা ঘেঁষে থাকা মেয়েটির মুখ৷ তার চোখে জল দেখে হিরণের উদ্বিগ্নতা বেড়ে যায়, সে আরেকটু এগিয়ে আসলে, অরুনিকা পিছিয়ে গেল। হিরণ হতভম্ব!

ভয়ার্ত কণ্ঠে বলল, “আমি কোনো ভুল করেছি?”

অরুনিকা ফোনের ছবিটি হিরণের সামনে তুলে ধরে বলল, “তোমার গার্লফ্রেন্ড আছে আমাকে তো বলোনি।” বলতে বলতে অরুনিকার গলা ভেঙে এলো।
হিরণ প্রথমে স্তব্ধ হয়ে গেলেও পরে কৈফিয়ত দেয়ার সুরে বলল, “ছিল, এখন নেই। তাই বলিনি।”
অরুনিকা দৃঢ় গলায় বলল, “তোমার বলা উচিত ছিল।”
“আমি এসব প্রেমকে ছেলেমানুষি হিসেবে নিয়েছিলাম তাই স্মৃতিতেই ছিল না কিছু। কী করে বলতাম? তুমি আমাকে ভুল বুঝছো।”
অরুনিকা বলল, “প্রেম ছেলেমানুষি হয়?” প্রশ্নটা করেই ম্লান হাসল।
ফোনের ছবির মেয়েটিকে আরেক পলক দেখে বলল, “মেয়েটা সুন্দর। নাম কী? এখন সম্পর্ক নেই কেন?”
হিরণ অরুনিকার চোখের জল মুছে দেয়ার জন্য হাত বাড়ালে অরুনিকা আবারও সরে গিয়ে বলল, “আমার চোখের জল মুছতে হবে না৷ যা প্রশ্ন করেছি তার উত্তর দাও।”
হিরণ অসহায়ের মতো চেয়ে রইল কিছুক্ষণ। অরুনিকা এতো জেদী!
বলল, “ওর নাম শান্তি। বিয়ে হয়ে গেছে চার বছর আগেই৷ তুমি চাইলে বিয়ের ছবি খুঁজে দেব।”
অরুনিকা তরঙ্গহীন গলায় বলল, “প্রয়োজন নেই।”

হিরণের একজন প্রেমিকা ছিল, তার সঙ্গে পাশাপাশি ঘনিষ্ঠ হয়ে ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড করেছে — তা হজম হচ্ছে না অরুনিকার৷ বুকের ভেতর ভয়ংকর সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ আছড়ে পড়ছে বারংবার৷ ভালোবাসায় এতো যাতনা! তার কণ্ঠমণি শুকিয়ে কাঠ!
হিরণ আচম্বিত পরিস্থিতিতে পড়ে হতবিহ্বল হয়ে গেছে৷
অরুনিকা পাশ কেটে চলে যেতে নেয়, হিরণ চট করে হাতে ধরে ফেলল।
বলল, “অতীতে মানুষ কত কী করে, আমিও একটা প্রেম করেছি, ভুল করেছি। সেই ভুলের জন্য তোমার অবহেলা সওয়ার মতো মৃত্যুযন্ত্রণা ভোগ করতে পারব না৷ আমাকে অন্য কোনো শাস্তি দাও। তবুও প্লিজ এরকম করো না৷ আমাকে বালুর মতো মাড়িয়ে চলে যেও না।”

তার আকুতি অরুনিকার রাগ-দুঃখকে ভেদ করে হৃদয়কে স্পর্শ করে ফেলল। সে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাল। ইতিমধ্যে আতঙ্কে হিরণের চোখমুখ লাল হয়ে গেছে৷ হিরণ প্রশ্রয় পেয়ে দুই কদম এগিয়ে এসে অরুনিকার চোখের জল মুছে দিয়ে বলল, “আমরা কেউ কাউকে কখনো মনের কথা বলিনি। কিন্তু দুজনই জানি দুজনের হৃদয়ের কথা। যেদিন তোমায় বাজারে দেখেছি সেদিন থেকে তোমাকে ভালোবাসি অরুনিকা।”

অরুনিকা চেয়ে আছে৷ তার মাথার ঘোমটা পড়ে গেছে। হিরণ তা সন্তর্পণে তুলে দিয়ে বলল, “প্রথম দেখায় কাউকে এতো ভালোবাসা যায় তোমার সাথে দেখা না হলে জানতাম না। তোমাকে দেখার পর আমি ভালোবাসা চিনেছি৷ আমারর কাছে ভালোবাসা শব্দটা শুধু তোমার জন্য তৈরি। তোমার জন্য এই বিল্ডিংয়ে সাবলেট নিয়েছি। তোমাকে একটু দেখার জন্য বিকেলের অপেক্ষা করি। সন্ধ্যা থেকে পরদিন আসরের আযান অবধি ঘড়ি দেখি। আমাকে ভুল বুঝো না, তোমার ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত করো না৷”

কিছুক্ষণ আগের গুমোট ভাব কেটে যাচ্ছে! অরুনিকার কাছে পৃথিবীটা বড় অচেনা ও সুখের ঠেকছে৷ হিরণের চোখেমুখে তাকে পাওয়ার আকুতি। একটা মেয়ের জন্য এই দৃষ্টি, এই কণ্ঠ খুব আনন্দের, গর্বের৷ মনে মনে গলে গেলেও অরুনিকা কিছু বলল না। পাষাণের মতো হিরণের হাত ছাড়িয়ে চলে যেতে লাগল সামনে।

হিরণ পিছন থেকে বলল, “আমি জানি অরুনিকা, তুমি আমাকে ভালোবাসো। তোমার স্বীকারোক্তির অপেক্ষায় থাকব।”
অরুনিকা মোহগ্রস্তের মতো সিঁড়ি বেয়ে নামে। একটিবারের জন্যও পিছনে ফিরে চাইল না।

রুমিকে ঘিরে সুমনা, বারেক, রূপা এবং ফাইয়াজ বসে আছে। রুমির জ্বর কমেছে, কথাবার্তা আগে জড়িয়ে আসত, এখন স্বাভাবিক হয়েছে৷ তার দুই চোখ চলে গেছে কোটরে। গায়ের সোনা রঙে যেন জং ধরেছে। সে সব বলবে বলে সবাইকে ডেকেছে। এখন কিছুই বলছে না।
রূপা তাড়া দিয়ে বলল, “প্রথম থেকে বল, কী হয়েছিল?”
রুমি এক নজর ফাইয়াজকে দেখল। ফাইয়াজ এখানে আসতে চায়নি, বারেক এনেছেন৷ তার মতে, এই পরিবারের শক্ত খুঁটি এখন ফাইয়াজ৷ বড় মেয়ের জামাই মানে বাড়ির বড় পুত্র। তার সব আলোচনায় থাকতে হবে৷ রুমির সর্বনাশ করা সেই প্রতারকের খোঁজ করার দায়িত্বও তার।

রুমি চোখ নত করে পারভেজের সঙ্গে পরিচয় থেকে শুরু করে সোহাগি হোটেলে যাওয়া অবধি বলল।
সুমনার লজ্জায় মাথাকাটা যাচ্ছে৷ মেয়ের জামাইয়ের সামনে আরেক মেয়ে নিজের কুকীর্তির কথা বলছে৷ বারেক এমন কাজ করবে জানলে তিনি এখানেই আসতেন না। লোকটার আহ্লাদ একটু বেশি! কী দরকার ছিল নতুন জামাইকে আনার!
রূপা বলল, “তারপর হোটেল থেকে কোথায় গিয়েছিলি?”
“ঢাকা।”
রূপা সবিস্ময়ে বলল, “এতো দূর! তারপর? ”
“ওখানে গিয়ে আরেকটা আবাসিক, নোংরা হোটেলে উঠে দুইদিন ছিলাম৷ তৃতীয় দিন সকালে উঠে দেখি, পারভেজ নেই৷ সবকিছু নিয়ে চলে গেছে। আম্মার একটা হার নিয়ে গিয়েছিলাম —” কথাটা বলতে গিয়ে ভয়ে রুমির গলা শুকিয়ে আসল।
এই কথা শুনে সুমনা দৌড়ে নিজের রুমে গেলেন। রুমি পালিয়ে যাবার পর থেকে আজ অবধি গহনার বক্স খুলে দেখা হয়নি। তাকে ওভাবে যেতে দেখে রূপা আন্দাজ করতে পারে, পরে কী ঘটবে!
সে দ্রুত দরজা বন্ধ করে দিয়ে রুমিকে বলল, “পারভেজ চলে গেলে তোকে মারল কে?”
রুমি কয়েক সেকেন্ড চুপ থেকে বলল, “ফোন রেখে গিয়েছিল। সেটা নিতে আবার হোটেলে আসে৷ ব্যাগপত্র বাহিরে রেখে এসে আমাকে বুঝানোর চেষ্টা করে নাস্তা খেতে গিয়েছিল৷ আমার জন্যও নাস্তা নিয়ে আসে। কিন্তু আমি সব বুঝে গিয়েছিলাম৷ ও ফোন নিয়ে বলে, রিচার্জ করতে বাহিরে যাবে৷ আমি সঙ্গে যেতে চাইলে মানা করে৷ আমিও জেদ ধরি সঙ্গে যাব। এটা নিয়ে আমাদের তর্ক হয়। এক পর্যায়ে পারভেজ বুঝতে পারে আমি সবকিছু বুঝে গেছি। আমাকে ঠেলে চলে যেতে চায়, আমি ধরে রাখি, কান্নাকাটি করি৷ আমাকে চুপ করাতে কিল-ঘুষি, থাপ্পড় দেয়৷ চিৎকার করলে হাত-পা ওড়না দিয়ে বেঁধে ফ্লোরে ফেলে চলে যায়। যাবার আগে বিছানার উপর পাঁচশো টাকার নোট রেখে বলে, বাড়ি চলে যেও।”

বলতে বলতে রুমির চোখ দুটি সজল হয়ে ওঠল৷ ভয়ংকর সেই অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে আবার তার হাত, পা কাঁপছে। রূপা তার দুই হাত ধরে, পায়ে হাত বুলিয়ে দিল। বলল, “তারপর?”
রুমি বলল, “নয় ঘন্টা পর একজন কর্মচারী আমাকে উদ্ধার করে। আমার অবস্থা দেখে পুলিশের ভয়ে তাড়াতাড়ি করে বাস স্ট্যান্ডে রেখে যায়। যাবার আগে এক বোতল পানি দিয়ে যায়।”

রাগে-দুঃখে রূপার চোখের কার্নিশে জল জমে গেল। রুমিকে মারার দৃশ্যটা তার চোখে কী নির্মমভাবে ভাসছে!
সে কোনো প্রশ্ন করার আগে ফাইয়াজ বলল, “ঢাকার কোন জায়গায়, কোন হোটেলে উঠেছিলে মনে আছে?”
“জায়গাটার নাম জানি না। হোটেলের নাম নীলাঞ্জনা।”
“ছেলেটার কোনো ছবি আছে?”
রুমি মাথা ঝাঁকাল৷ বলল, “নেই, ফোন নিয়ে গেছে৷”
“ফেসবুক আইডির পাসওয়ার্ড মনে আছে? মেসেঞ্জারে ছবি পাওয়া যাবে?”
রুমি তাকাল। বলল, “পাওয়া যাবে।”
ফাইয়াজ রূপাকে ইশারা করলে, রূপা তার ফোন রুমিকে দেয় মেসেঞ্জারে লগ ইন করতে।
রুমি মেসেঞ্জারে লগ ইন করে পারভেজের ছবি বের করে দিল।
ফাইয়াজ ছবিটি নিজের ফোনে নিয়ে বলল, “তোমার উপর যে অত্যাচার করেছে তা আইন বিরোধী। পারভেজ শাস্তি পাবে। আমি আসছি। রূপা, রুমিকে দেখে রেখো। ওর মানসিক অবস্থা ভালো না, সঙ্গ দিও। আমি পারভেজকে আগামীকালের মধ্যে বের করার চেষ্টা করব।”

ফাইয়াজ, বারেক বেরিয়ে যেতেই রূপা দৌড়ে যায় দরজা লাগাতে। দরজা লাগানোর পূর্বে সুমনা তাকে ঠেলে ভেতরে ঢুকে গেলেন।
ক্ষুধার্ত বাঘিনীর মতো তেড়ে গিয়ে রুমির চুলের মুঠি ধরে বললেন, “কু’ত্তার বা’চ্চা, তুই এটা কী করলি? আমার আপার গহনাটাই খুইয়ে আসলি!”
সুমনার কণ্ঠে কান্না, আক্ষেপ।

রূপা অবাক হলো। তার খালা আছে সে জানত না!
রুমি কুঁকড়ে যায়৷ তার আর্তনাদটুকুও স্পষ্ট নয়!
রূপা দ্রুত সুমনাকে টেনে ছাড়িয়ে বলল, “এতদিন ভেবেছি শুধু আমার প্রতি তোমার মায়া নেই। তোমার তো কারো প্রতি মায়া নেই আম্মা।”

চলবে…

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here