সুপ্ত বাসনা পর্ব ২৮

0
909

#সুপ্ত_বাসনা
লেখিকা সুরিয়া মিম
পর্ব- ২৮

ইমান আহাম্মকের ন্যায় মিমের দিকে তাকিয়ে রইলো,সে ন্যাকা কান্না কেঁদে মুখ লুকোলো ইমানের বুকে।ইমান মিমের চুলে বিলি কেটে দিলো,মিম ঘুমিয়ে গেলো সাথে সাথে…..কিছুক্ষণ পর স্পন্দন’কে মিম ইমানের ফার্ম হাউস দেখে জিজ্ঞেস করে,
– “আরাব? আপনি কি করে চেনেন? আমার ছোটো ভাই’কে।” স্পন্দন বললো,
– “আপু! আরাব স্পর্শ ভাইয়ার বন্ধু,তার পরামর্শে তোমাকে নিয়ে আসা হয়েছে এই….বাড়িতে।”
– “মানে?”
– “মানে প্রাণ সংশয়ের ভয় আছে,গতকাল বাবার খোচর মোতাবেক আমাদের বিজনেস রাইভেল তোমাকে কিডন্যাপ করতে চেয়েছিল,কিন্তু বাবা সে সব কোনো ভাবে আগেই টের পেয়ে গেছে।” মিম মনেমনে বললো,
– “সবক’টা মিথ্যে কথার জাহাজ,বোঝাই যাচ্ছে এক একটার চেহারা দেখে,আমার বাবা’কে আমি চিনি না? সে আমাকে এমনি এমনি ছেড়ে দেবে নাকি একটা অপরিচিত ছেলের কাছে?” ইমান বলে,
– “কি হলো? কি এতো ভাবছ? খেতে চলো নিচে,সকালে তোমার নাস্তা করা হয়নি মিম,নিশ্চয়ই এতোক্ষণে খিদে লেগেছে?” মিম তখনো মনেমনে বলে,
– “ইচ্ছে করছে এক একটার গলা টিপে দিতে।” তখন বাড়ির কেয়ারটেকার রামিসা এসে মিম”কে বলল,
– “প্লিজ আপনি ওখানে বসবেননা,স্যার! রাগ হবে।” মিম মৃদু হেসে বললো,
– “আমি যে সারাক্ষণ তোমার স্যারের কাঁধে চেপে থাকি,তখন কি কখনো রাগতে দেখেছ তাকে? তুমি অযথাই চিন্তা করছ রামিসা! তুমি হয়তো জানো’ই না,তোমার স্যার শুধু আমাকেই ভালোবাসে।” মেয়ে টা রাগতে রাগতে খাবার সার্ফ করছে মিমের প্লেটে,তারপর ইচ্ছে করে গরম তরকারি’র মিমের হাতের ওপরে ফেলতেই মেয়ে টা ব্যাথায় কুঁকড়ে ওঠে।ইমান মিমের চিৎকার শুনে ছুটে এসে মিম’কে কাঁদতে দেখে রামিসা’কে ঝাড়ি মেরে বলে,
– “বেয়াদব মেয়ে,এই…মেয়ে তোমার চোখ কোথায় থাকে?”
– “স্যার! আমি কাজটি ইচ্ছে করে করিনি।”
– “আমি তোমাকে দেখতে চাই না,এই বাড়ির আশেপাশে,ইউ আর ফায়ার্ড নাও।”
– “স্যার! বললাম তো….?”
– “তোমার বলায় আমার কিছু যায়-আসে নাঃ,কানে গেছে।” ফুরকান?
– “জ্বি, সাহেব।”
– “আজি মাসমাইনে দিয়ে বিদায় করো একে,দেখি দেখি খুব কষ্ট হচ্ছে? ভয় নেই, আমি এখুনি বার্নল লাগিয়ে দিচ্ছি তোমার হাতে।” মিম বললো,
– “দেখে মনে হয় না তেমন কিছু হয়েছে,যাক বাবা অল্পের ওপর দিয়ে গেছে।” ইমান বলল,
– “কি হয়েছিল? একটু খোসলা করে বলো আমাকে।” মিম রুক্ষ গলায় ইমান’কে বলে,
– “মনে হয় মেয়েটি ভালোবাসে আপনা’কে……ইমান সাথে সাথেই বলল,
– ” তার বোঝা উচিৎ,আমি ভালোবাসি তোমাকে।” মিম তখন নিজের মাথাটা এলিয়ে দেয় ইমানের বুকে,ইমান ক্ষিপ্র অভ্যস্ত হতে দ্রুত টাইপ করে রহমত’কে ম্যাসেজ করে বলে,
– “চাচা! আপনি, এই….মুহূর্তে পুলিশে দেওয়ার ব্যবস্তা করুন রামিসা’কে।” রামিসা আড়াল থেকে সবটা শুনে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল কিন্তু,বাড়ির গার্ডসরা মিলে ধরে ফেলে তাকে।এদিকে ইমান অফিসে আসছে না দেখে ইশান দুশ্চিন্তায় পরে গেছে,তবে রাতে যখন ইমান অফিসে এলো,তখন ইশান বিরক্ত হয়ে বলল,
– “আজ রাতটা কাটিয়ে আসতে পারতি মিমের সাথে?” ইমান বললো,
– “আমি মিম’কে বিয়ে করতে চাই,আমি ভালোবেসে ফেলেছি ওকে।”
– “মানে তুই?”
– “হ্যাঁ,আমাদের মাঝে সবকিছু হয়েছে,কিন্তু ইমান আমি সত্যি সত্যি ভালোবেসে ফেলেছি ওকে।”
– “ও কি এতো কিছুর পর তোকে বিয়ে করতে রাজি হবে?”
– “হবে,হতেই হবে ওকে! না হলে ও কি করে সমাজে নিজের মুখ দেখাবে?”
– “সারারাত তুই মিলিত হতে ব্যস্ত ছিলি আরাব? মিমের সাথে?”
– “হ্যাঁ,এতো সুন্দর একটা মেয়ে বিছানায় থাকলে কে সামলে রাখতে পারে নিজেকে? তেমন আমিও পারিনি, নিজের সবটা উজাড় করে দিয়েছি ওকে,ও প্রথমে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল পরে নিজেই হার মেনে নিলো আমার জেদের কাছে,ইমান আমি ওকে কোনো কিছুর বিনিময়ে ছাড়তে পারবোনা।আমি পেতে চাই ওকে….ও বললো,ও আমাকে কাখনো ক্ষমা করবে না,কিন্তু আমি ওকে পেতে চাই নিজের স্ত্রী হিসেবে,কারণ আমি জানি যে ও খুব ভালোবাসবে আমাকে।ওর হয়তো আমার ওপরে অনেক অভিযোগ আছে,জানি আমি ওর মন টা ভেঙে গেছে,তবুও আমরা এতো ঘনিষ্ঠ অবস্থায় ছিলাম যে ও চাইলেই আমি ছেড়ে দিতাম না ওকে।আমি ওর প্রতি শারীরিক এবং মানুষিক ভাবে দূর্বল,এটা আমি বন্ধু অস্বীকার করতে চাই না তোর কাছে।” ইশান কি ভেবে বলল,
– “লোক জানাজানি হওয়ার আগেই….. তুই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিয়ে করেনে মেয়েটা কে,মেয়েটি অনেক ভালো, শুধু আমি বদলাতে পারিনি নিজেকে।আরাব ওর মনে আর কখনো কষ্ট দিস না,আমি চাই না ওকে আর কোনো কষ্ট দিতে।ওকে ভালো একটা ডক্টর দেখাস মনে হচ্ছে ওর শরীরের ওপর দিয়ে অনেক ধকল গেছে।” ইমান ধূর্ত হাসি দিয়ে ইশান’কে বললো,
– “চিন্তা করিস না,ও এখন ঠিক আছে।” ইশান হাসপাতালে এলো ডক্টর রিয়াদ রহমান চৌধুরীর কাছে,তিনি কিছু টেস্ট করতে দিয়েছিলেন প্রায় দু’সপ্তাহ আগে।নানান ব্যস্ততার কারণে ইশানের তার সাথে দেখা করার সুযোগ হয়নি….কিন্তু এবার ডক্টর আর্জেন্টলি ডেকে পাঠালো তাকে।ইশান গিয়ে রিয়াদের সামনে বসতেই ডক্টর রিয়াদ বললেন,
– “আপনি জানেন,মিঃ? এই…..রিপোর্টে কি আছে?” ইশান বিরক্ত হয়ে বললো,
– “কি?”
– “আপনি আক্রান্ত হয়েছেন যৌন বাহিত রোগ সিফিলিসে।”
– “মানে কি? কি বলতে চাইছেন? ডক্টর আপন আমাকে?”
– “সিফিলিস এমন একটি রোগ মিঃ খান,যে আপনাকে মৃত্যু পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।সিফিলিস একটি যৌনবাহিত রোগ।এই…. রোগের জীবানুর নাম ট্রেপনোমা প্যালিডাম।অনিয়ন্ত্রিত যৌন মিলন ও সিফিলিস আক্রান্ত কারো সঙ্গে যৌন মিলনে এই রোগ হয়ে থাকে।
আপনি বিভিন্ন শহরে ভ্রমণ করছেন এবং প্রত্যেক শহরে ভিন্ন ভিন্ন শয্যাসঙ্গীর সঙ্গে মিলিত হচ্ছেন,এটা অজানা নয় কারো কাছে আর তাছাড়া তাদের সিফিলিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা খুবই বেশি।সাধারণত সিফিলিস আক্রান্ত কারো সঙ্গে যৌন মিলনের ২-৪ সপ্তাহ পরে এই রোগের লক্ষণগুলো দেখা দেয়, তবে কারো কারো ক্ষেত্রে ৩ মাস পর্যন্ত দেরি হতে পারে।
সিফিলিসে আক্রান্ত হলে একেক জনের একেক রকম উপসর্গ দেখা দেয়,তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আলসারের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করে,এরপর সারাদেহে ব্রনের মতো গুটি দেখা দেয় এবং তা বড় হতে থাকে।কোনো কোনোটির আকার এক সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।
পুরুষদের ক্ষেত্রে সাধারণত যৌনাঙ্গে আলসার ধরা পড়ে এবং নারীদের যোনীতে….এছাড়া জার্মানির বোখুমের যৌন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ নোরব্যার্ট ব্রকমেয়ের জানান,
– “কারো কারো ঠোঁট এবং জিহ্বাতেও আলসার ধরা পড়ে,এমনকি আঙুলেও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে আর এমনটা হলে বুঝতে হবে, সেই লোল বা ব্যক্তি সিফিলিসে আক্রান্ত হওয়ার প্রথম পর্যায়ে রয়েছেন।
তিনি আরো বলেন,”অনেকেই এই…. উপসর্গগুলো বুঝতে না পেরে এগুলো এড়িয়ে চলেন।তারা ভাবেন, চিকিৎসকের সাহায্য ছাড়াই এগুলো সারিয়ে ফেলতে সক্ষম হবেন।তবে তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলে কোনোরকম ওষুধ গ্রহণ ছাড়াই আলসার সেরে যায় কিন্তু তখন সারা শরীরে ফোসকা বা গুটি দেখা দেয়।কোনোটি লাল, কোনোটি গোলাপি আর কোনোটা পোড়া ফোসকার মতো দেখতে হয়,হাতের তালুতেও দেখা দেয় এই…. ফোসকা, তবে এগুলোতে কোনো চুলকানি হয় না,অ্যালার্জিতে সাধারণত যেটা হয়ে থাকে।এটা রোগের দ্বিতীয় পর্যায় হয়।
তৃতীয় পর্যায়ে এসে অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আক্রান্ত হয়,যেমন শ্বাসতন্ত্র,পাকস্থলী,যকৃত, মাংসপেশী এবং হাড়।সবচেয়ে ভয়াবহ হলো যখন সিফিলিস প্রধান আর্টারিকে আক্রান্ত করে আর তখন প্রাণ সংশয়ের ভয় থাকে।চতুর্থ পর্যায়ে সিফিলিস শরীরে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে,হৃদপিণ্ডে জ্বালাপোড়া শুরু হয়,যকৃত বা লিভারের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়,শরীরের কিছু অংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হতে পারে এবং মস্তিষ্কে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।এছাড়া এই…. রোগে দৃষ্টিশক্তি কমে যায়,স্নায়ুকোষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং চিন্তাধারায় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।” ইশান ধীর কণ্ঠে আমতা আমতা করে ডক্টর’কে জিজ্ঞেস করলো,
– “তা তা তা….তারপর কি হয়?” ডক্টর রিয়াদ বললেন,
– “একটু সময় নিয়ে রোগের পরিচর্যা করলে,এই….রোগ টি পুরোপুরি ভাবে সেরে যায়,তবে এর জন্য যৌন সম্পর্ক স্থাপনে বিরত থাকতে হয়,মিলনের পূর্বে দু’জন কেই সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় এছাড়া ও অঙ্গ,শুক্র,রক্ত দেবার এবং নেয়ার সময় কোনো যৌন রোগ আছি কি না সেটা পরীক্ষা করে নিতে হয়।
– ” কিন্তু ডক্টর?”
– “কোনো কিন্তু নয়,আপনি তৃতীয় পর্যায়ে চলে গেছেন মিঃ খান….যেটা আপনার শরীরের জন্য একদম ঠিক নয়।যত দ্রুত সম্ভব আপনার চিকিৎসা শুরু করা প্রয়োজন ইমান এখন আর একাধিক সজ্জা সঙ্গিনী নয়।” ইশান উঠে কথা না বলেই চলে গেলো,মনেমনে বললো,
– “কেন সবসময় আমার সাথেই এমন হয়?” ইমান বাসায় ফিরে এসে দেখলো মিম ইকরার সাথে বসে গল্প করছে সে আর একা নয়।ইমান মনেমনে বললো,
– “এরা কি দু’জনেই মিলে আমাকে বাঁশ দেওয়ার ধান্দায় আছে? হায় হায়?” মিম এগিয়ে এসে ইমান’কে ইকরার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বললো,
– “আরাব শুনুন,ও আমার মামাতো বোন ইকরা।” ইমান মিটিমিটি হেসে বলল,
– “ওহ! তাই বুঝি? হাই আপু? হাই হাই?” ইকরা ইমান’কে খোঁচা মেরে বললো,
– “তুমি কি ভাবো ভাইয়া? আমার মাথায় একটু ও বুদ্ধি নাই?” ইমান বিরবির করে বলে,
– “সত্যি বোন তোর উপস্থিত বুদ্ধির প্রশংসা করতে হয়।” মিম পেছন থেকে দু’ভাই বোনের কথা শুনে ফিসফিস করে বলে,
– “বুদ্ধি না ছাঁই? আমাকে কি তোমরা এতোটা বোকা ভাবো না কি ভাই?” ইকরা মিটিমিটি হেসে মিম’কে বললো,
– “আপু! তোমরা এনজয় করো,আমি যাই।” ইকরা যেতেই মিম ন্যাকা কান্না কেঁদে ইমান’কে জড়িয়ে ধরে বলে,
– “জনাব,আপনার মনে কি আমার জন্য একটুও দয়ামায়া নাই? আপনি কি বুঝতে পারছেননা? আমি আপনাকে কতটা চাই?” ইমান মিমের কপালে চুমু খেয়ে বলল,
– “দেখি তোমার হাত দেখি,খুব জ্বলছে পাগলী? ডক্টর ডেকে পাঠাই?” মিম গাল ফুলিয়ে অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে বললো,
– “আপনার মনে সত্যি দয়ামায়া নাই,আপনি প্লিজ আমার আমার ভাইয়া’কে ডেকে পাঠান….আমি এই…..মুহূর্তে বাড়িতে ফিরে যেতে চাই।” ইমান এবার হঠাৎ খুব রেগে গিয়ে মিম’কে ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে বললো,
– “তুমি কি বুঝতে পারোনা? মিম,আমি তোমাকে কতটা চাই?” মিম অভিমান করে দোতলার সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠতে উঠতে মনেমনে বললো,
– “হুমমম,জনাব আমি ঠিক এই….কথা গুলোই আপনার মুখ থেকে শুনতে চাই।” ইমান মিমের পছন্দের খাবার নিয়ে এসে ওর গা ঘেঁষে বললো,
– “এখনো কি রাগ করে থাকবে? তোমার হৃদয়ে কি হার্ট নাই?” মিম হঠাৎ হাসতে হাসতে ইমান’কে জিজ্ঞেস করে বলে,
– “দু’টো যে আলাদা আলাদা কথা! আমি যে আগে জানতাম সেটা জানতাম না হবু জামাই।” আরাব মিমের কপালে চুমু খেয়ে বললো,
– “খুব তাড়াতাড়ি আমি আমাদের বিয়ে টা সেরে ফেলতে চাই” মিম দুষ্টুমি করে বললো,
– “ডিসিশন ফাইনাল এবার আমি আমার বাবার পছন্দেই বিয়ে টা করতে চাই।” ইমান মিম’কে হঠাৎ শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললো,
– “তুমি যদি অনুমতি দাও তো আমি শুভ কাজ টা এখুনি সেরে ফেলতে চাই।” বেচারি কথা শুনে ভয় পেয়ে এসে বাথরুমে লুকোলো তার আর বেরুনোর নামগন্ধ নাই।ইমান ইকরা’কে ডেকো বললো,
– “পাগলী টাকে চোখেচোখে রাখিস,আমার কিছু কাজ আছে,যাই।” মিম হঠাৎ ছুটে এসে ইমান’কে জড়িয়ে ধরে বললো,
– “আমি আপনার সাথে লং ড্রাইভে যাবো।”
– “তাই?” মেয়েটা এবারো ন্যাকা কান্না জুড়ে দিলো,ইমান ভেবে দেখলো ওকে সাথে নিয়ে যাওয়া ছাড়া তার কাছে দ্বিতীয় কোনো উপায় নাই।” মিম টি.এস.টি তে এলো,ফুসকা খেলো,তারপর ইমানের কোলে চেপে বসলো।ইমান হাসতে হাসতে বললো,
– “আমি তোমার দুষ্টুমি গুলোতে অভস্ত্য হতে চাই।” মিম মুখ বাঁকিয়ে বলে,
– “পাম দিচ্ছেন? লাভ নাই।” হঠাৎ ষণ্ডামার্কা গার্ডস গুলো এলো,মিম ভয় পেয়ে ইমান’কে জড়িয়ে ধরলো,ইমান ধীর গলায় মিমের মাথায় হাত বুলোতে বুলোতে বলল,
– “অনেক রাত হয়েছে লক্ষীটি,এবার বসায় চলো।কালকে আমার ভোররাতে কনফিডেনসিয়াল মিটিং আছে জানোই তো?”
– “কিসের মিটিং?”
– “কেন গুপ্তধনের রহস্য ভেদ করবো?” মিম ইমানকে খামচে ধরে বলে,
– “আপনি আমাকে এই….ষণ্ডামার্কা গার্ডস গুলো দিয়ে কেন ভয় পাইয়ে দেন বলুন তো?” ইমান মিম’কে নিজের ওভার কোটের মধ্যে মধ্যে টেনে নিয়ে বলে,
– “কেন ভালোবাসি তো?” মিম ফোঁপাতে ফোপাঁতে বললো,
– “তাই বলে এতো?” ইমান মিমের কানের পেছনে হঠাৎ চুমু খেয়ে বলে,
– “নয়তো কি? বিয়ের আগেই বাচ্চার মা হওয়ার ধান্দায় আছো?” মিম ইমানের পিঠে ঠাস ঠুস কিল মারতে মারতে বললো,
– “আপনি আসলেই একটা অসভ্য।”

চলবে,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here