#সুতোয় বাঁধা সংসার
writer::প্রিয়া
৩৬
রুবি বাসায় আসার পর থেকেই দরজা বন্ধ করে আছে।একে একে সবাই গিয়ে দরজায় নক করলো রুবি বলে দিয়েছে কেউ যেনো ডিস্টার্ব না করে।
অরুনার কাঁদতে কাঁদতে হেঁচকি উঠে গেছে।তরী জলের গ্লাস এগিয়ে দিলো।
-আপা বুঝতে পারছি আপনি হয়তো অপমানিতবোধ করছেন।দেখুন আপা লজ্জা আপনার পাওয়ার কথা না।আপনি মাথা নিচু করে বসে আছেন কেনো?
-আজ আমি কত আশা করে সবাইকে নিয়ে এসেছিলাম।এমন হবে আমি কখনোই ভাবিনি।
-আসলে দোষ তোমার না আপা।আমি বোধহয় একটু বেশিই বলে ফেলছি।
তরী-বেশি বলোনি মা, যা বলছো ঠিক হয়েছে।আন্টি আপনি বলুন তো এতোকিছু সহ্য করে ওইখানে কেনো আছেন।
-হ্যাঁ আপা এতো সহ্য করে কেনো আছেন।আর আপনার মা,বাবা এমন পরিবারে কেনো বিয়ে দিলেন।
অরু চোখের জল মুছে বলতে শুরু করলো।
-খুব বেশি বড়লোক না হলেও মোটামুটি চলার মতো অবস্থায় ছিলো আমার পরিবার।বাবা ট্রাক ড্রাইভার ছিলেন ছয় ভাইবোনের মধ্যে আমিই ছিলাম বড়।
৪বোন ২ভাই বাবা কখনো আমাদের অভাব বুঝতে দেননি।একটা এক্সিডেন্ট… সব কেড়ে নিলো।বাবা নিজের পা দুটো হারিয়ে নিঃস্ব, বাবার ডাক্তারির জন্য মা শুরু করলেন অন্যের বাসায় কাজ করা।
চার বোনের ছোট দুই ভাই বয়স ৪-৬বছর।ওদের কাজ করার মতো অবস্থা ছিলো না।
দিশেহারা অবস্থায় আমি চাকরি খুঁজতে শুরু করলাম।চাকরি ও পেয়ে গেলাম একটা বাসায় রান্না করে খাবার পাঠিয়ে দিতে হবে।ওরা রোজ বাজার করে দিয়ে যেতো ওদের প্রয়োজনের চাইতে বেশি দিতো।বাকি খাবার দিয়ে আমাদের দিন চলে যেতো।
ওই বাসার লোক হচ্ছে আমার শ্বশুর বাড়ি লোক। রুবি আপা তখন হাসপাতালে ভর্তি অসুস্থ ছিলেন,হাসান ডাক্তার,শাশুড়ী মা সারাক্ষণ রুবি আপার পাশে থাকেন।তাই শ্বশুর প্রতিদিন বাজার করে দিয়ে যেতেন আমি রান্না করে দিতাম।
প্রায় ১মাস রান্না করে দিলাম, ভালো বেতন দিলেন ওরা।রুবি আপা সুস্থ হয়ে গেলে আর রান্না করে দিতে হয়নি।কিন্তু শ্বশুর মশাই ভালো মানুষ আমাকে উনার অফিসে চাকরি দিলেন।ছোটখাটো পোস্ট তবুও চলছে দিব্যি।
বোনদের পড়াশোনা, বাবার ওষুধ পুষিয়ে নিতাম কোনোমতে।
কেটে গেলো ৬মাস একদিন অফিসে আসলেন হাসানের মা।মূলত আমাকে দেখানোর জন্যই শ্বশুর উনাকে ডেকেছেন।অনেকক্ষণ আমার সাথে কথা বললেন। বাড়িতে যাওয়ার জন্য দাওয়াত দিয়ে গেলেন।খুব জোর করলেন তাই দু দিন পর বাধ্য হয়ে ওই বাড়িতে গেলাম।
আত্নীয়তার কমতি হলো না,কিন্তু খাবার দাবারের পর ওরা আমাকে একা ঘরে ডাকলো।
-ওই বাড়ির সবাই।
-সবাই না আমার শাশুড়ী আর রুবি আপা।আমার শাশুড়ী আমার হাত জড়িয়ে ধরে বললেন হবে আমার ছেলের বউ।
এতো বড় বাড়ির বউ হবো আমি আশ্চর্য হলাম।পরক্ষনেই রুবি আপা বললেন- বোন আমার অপূর্ণতা তুমি গুছিয়ে দাও।মাথায় কিছু ঢুকছিলো না।
আমার একমাত্র ছেলে হাসান আর রুবি আমার ছেলের বউ।রুবি একটা অসুখের জন্য ও কখনোই মা হতে পারবে না।আমি চাই তুমি ওকে মায়ের সুখ দাও।তুমি হাসানকে বিয়ে করো, এই বাড়িতে রুবির যতোটুকু সম্মান তোমার ও ততো টুক থাকবে।
-না না এ কি করে সম্ভব।
-তুমি চাইলে সম্ভব অরু।বোন আমার প্লিজ তুমি না করো না।
-কিন্তু আপনার স্বামী অন্য কেউ ভাগ বসাবে।
– আমি যে বংশের একমাত্র ছেলেকে সন্তানের সুখ দিতে পারবো না।এরচাইতে অন্য কারো ভাগ বসানো মেনে নিবো।
-হয় না আমি উঠছি।
উঠে চলে আসছিলাম পেছন থেকে হাসাবের মা বলে উঠলেন।
-ঘরে পঙ্গু বাবা,বিয়ের উপযুক্ত দুই বোন,মা মানুষের বাসায় কাজ করে।তোমার একটা ডিসিশনের উপর সব পাল্টে যাবে।
কথাটা শুনে আমি পিছন ঘুরে তাকালাম। আসলেই বাবার পায়ের অবস্থা খুব খারাপ পঁচে যাচ্ছিলো।
-আপনি কি বলতে চাইছেন?
-তুমি যদি হাসানকে বিয়ে করো।আমি জান্নাত আরা বেগম কথা দিচ্ছি তোমার পরিবারের দায়িত্ব নিবো।
-কি বলছেন?
-হুম তোমার বোনদের ভালো জায়গায় বিয়ে দিবো,তোমার বাবাকে ভালো হাসপাতালে চিকিৎসা করাবো।আরো বাকি চার ভাইবোনের পড়ালেখার খরচ আমাদের।আর প্রতিমাসে তোমাদের বাড়িতে বাজার পাঠিয়ে দিবো।রাজি থাকলে বলো।
-আপনাদের বিশ্বাস করতে পারি।
-আজ বাসায় যাও ১সপ্তাহ পর ডিসিশন জানাবে।
পুরোরাত চিন্তা করলাম বাসায় ফিরে।অনেক জায়গায় চাকরির চেষ্টা করেছিলাম এস,এস,সি পাশে চাকরি নেই।তাছাড়া এতো বড় পরিবার ছোটখাটো চাকরি দিয়ে চলবে না।উনারা দয়া করে চাকরি দিয়েছিলেন বলেই চলার মতো অবস্থা হয়েছিলো।
এলাকার আধবুড়ো লোকদের নজরে পরেছি। সাহায্য করতে এগিয়ে এসে কথায় কথায় গাঁয়ে হাত দেয়।মতলব বুঝতে পেরেছিলাম।প্রতিবাদ করতে পারিনি।এসব ভাবনায় কেটে গেলো রাত।
সকালে এম্বুলেন্স আসলো বাড়িতে শব্দ শুনে আঁতকে উঠি।তাড়াতাড়ি বাইরে এসে দেখি জান্নাত আরা বেগম।
-তোমার বাবাকে হাসপাতালে নিতে এসেছি।
বিশ্বাস হচ্ছে না কল্পনা নাকি বাস্তব।লোকজন ধরে বাবাকে এম্বুলেন্সে তুললো।বাবার আনন্দে চোখে পানি চলে আসে।
হাসপাতালে বেশ যত্নে বাবার ট্রিটমেন্ট হয়।দু দিন কেটে যায় আবার জান্নাত আরা বেগম বোনের বিয়ের জন্য পাত্র নিয়ে আসেন।ছেলেটা প্রাইমারি স্কুলের টিচার বোনের বয়স তখন ১৬বছর কিছু না ভেবেই দু দিনের মধ্যে ওকে বিয়ে দিয়ে দেই।বাবা হাসপাতাল থেকে অনেক দোয়া করেন।সপ্তাহ পেরিয়ে গেলো বাবার পায়ের গাঁ শুকাতে যাচ্ছে।এরমাঝে হাসানের মায়ের ফোন।
-কি ভাবলে?
-আমি রাজি।
– আলহামদুলিল্লাহ।
বাবা হাসপাতাল থেকে ফেরার পর উনারা প্রস্তাব নিয়ে আসলেন।এমন উপকারী মানুষকে না করা যায় না।দু দিন পর বিয়ে সম্পন্ন হলো।
জানেন আপা বিয়ের রাত একা কাটাতে হয়েছিলো।একবার ও হাসানকে পাইনি।পরেরদিন সকালেই হাসান বেড়িয়ে গেলো রুবি আপা আসলেন আমার কাছে।
-অরু জানি তোমার মনের অবস্থা।কিন্তু আমি অনেক বুঝিয়ে হাসানকে রাতে পাঠাতে পারিনি।
-ঠিক আছে আপা।
-আমাকে বড্ড ভালোবাসে তো, দেখো ঠিক হয়ে যাবে সব।
রুবি আপা চলে যেতে মুখে আঁচল গুঁজে কাঁদলাম। স্বামীর ভালোবাসা ছাড়া সংসার করতে হবে।বিয়ে,স্বামী নিয়ে কত স্বপ্ন ছিলো সব এভাবেই শেষ হয়ে গেলো।
মাঝেমধ্যে হাসান আসতো আমার কাছে বাচ্চার দরকার যে তাই।প্রয়োজন ছাড়া তেমন কথা হতো না।একসাথে আলাদা করে বসে আমরা কোনদিন এক কাপ চা খাইনি,চাঁদ দেখা হয়নি,কিংবা আঙ্গুলে আঙুল ছুঁইয়ে হাঁটা হয়নি।
তবে আমার শ্বাশুড়ি কথা রেখেছিলেন।আমার পরিবারের দেখভাল করেছিলেন।কিন্তু আমি যেতে পারতাম না,ওরা আসলে সবাই বিরক্ত হতো দামি দামি জিনিস দেখে ছোট ভাইবোন ধরতে চাইতো ভেঙ্গে ফেলতো।একসময় আমি ওদের আসতে মানা করে দিলাম।মাঝেমধ্যে গিয়ে দেখে আসি ওদের।একটা এক্সিডেন্টে হাসানের মা-বাবা দুজনেই মারা গেলেন।
৩৫বছরের সংসার জীবনে স্বামীর ভালোবাসা বলতে কয়েকটা রাত একসাথে কাটিয়েছি আর কিছু না।
রুমেলের জন্মের পর আপাই প্রথম ওকে কোলে নিলেন।আনন্দে তিনি কাঁদছেন, সেই যে নিলেন শুধু খিদে লাগলে আমি ওকে আদর করতে পারতাম।শিমুলের সময় তাই হলো তারপর হিমেলের জন্ম ওকে ও কেড়ে নিলেন।আর বাচ্চা নিতে চাইলাম না তিনছেলে একটা মেয়ের দরকার হিমেলের তিনবছর পর তোহার জন্ম হলো। বলতে গেলে সবার জন্ম কয়েক বছরের ভিতর হয়ে গেলো।
রুবি আপা চাকরি ছেড়ে দিলেন,সারাদিন ওদের নিয়ে কাটাতেন।আমি দূর থেকে দেখতাম এক সময় ছেলেমেয়েরা তো আমার কাছে আসতে চাইতো না।হিমেল একটু আলাদা আমার কাছে থাকতে ভালোবাসতো।বড় হতে হতে ওরা সবাই বড় মায়ের ভক্ত হয়ে গেলো।বড় মা যা বলবে তাই হবে।তিনি সবচাইতে বেস্ট জিনিস ওদের এনে দিতেন।
তোহা একটা ছেলেকে ভালোবেসে ফেলে কিন্তু বড় মা রাজি না।আমাকে না জানিয়ে ওরা সবাই তোহাকে অন্যত্র নিয়ে বিয়ে দিয়ে দেয়।আমি কখনোই প্রতিবাদ করতে পারতাম না।একাকিত্ব কাটানোর জন্য কোচিং সেন্টার খোলা।তরীকে প্রথম দিন দেখেই ভালো লাগে,ছেলের বউ এমন হলে আমি একটু শান্তি পেতাম।যে আমাকে বুঝতো,গল্প করতো।
-আপা আমি ভাবতাম পৃথিবীতে আমিই একমাত্র অভাগী যার স্বামী অন্য বউ নিয়ে আছে।কিন্তু আপনি আমার চাইতে ও দুঃখী যার স্বামী থাকা সত্ত্বেও নেই,সন্তান থাকার পর ও নেই।
আমি তো দিনশেষে সন্তানদের ভালোবাসা নিয়ে বেঁচে আছি।আপনি জীবনে কি পেলেন।আপা, আমি তরীকে দিয়ে দিতাম আপনাকে, যদি তরী একটু স্ট্রং হতো।কিন্তু তরী দূর্বল মনের মেয়ে।ওকে কেউ গালি দিলে ও অসুস্থ হয়ে পরে।আমি জেনেশুনে এমন পরিবারে আমার মেয়েকে বিয়ে দিবো না।
অরুনা মাথা নিচু করে বসে আছে,স্বপ্না উনার হাত ধরলো।
-আপা নিজেকে একটু শক্ত করেন,প্রতিবাদ করতে শিখেন।
-আমি আজ আসি, না জানি কি হচ্ছে বাসায়।
-আপা অধিকার ছিনিয়ে নিতে হয়।এতো কষ্ট সহ্য না করে কথা বলুন,বলতে শিখুন।
অরুনা চলে যেতেই স্বপ্না উঠে মেয়ের কাছে গেলো।
-তোর কি খারাপ লাগছে হিমেলের জন্য?
-না মা আন্টির জন্য খারাপ লাগছে।
-মন খারাপ করিস না,দেখ আমি জেনেশুনে এমন পরিবারে তোকে বিয়ে দিবো না।আমি মাকে বুঝিয়ে বলবো।
**সবাই ফোন করে হাসানকে সব বললো।হাসান ছুটে আসে হাসানের দরজা ধাক্কাতেই রুবি বাইরে আসলো।সবাই গিয়ে জমা হলো।রুবির চোখমুখ লাল হয়ে আছে।
অরুনা তখন বাসায় আসে সবাই ওর দিকে কথার বুলি থাক করতে চাইলে হাসান সবাইকে থামিয়ে দেয়।
আজ আমি বলবো সবাই শুনবে,ড্রইংরুমে আসো সবাই।অরু তুমি ও আসো।
সবাই চুপ করে বসে আছে হাসান বলতে শুরু করলো।
-আমি ছিলাম বাউন্ডুলে ছেলে উচ্ছনে যাওয়া যাকে বলে।ক্লাস টেনে পড়া অবস্থায় রুবি নাইনে ভর্তি হয় অন্য স্কুল থেকে এসে।
এতো ভালো ছাত্রী প্রশংসা আর প্রশংসা সকলের মুখে।ভালো লাগতে শুরু করলো ওর সান্নিধ্যে আমি ভালো হয়ে উঠলাম।এস,এস,সি ভালো রেজাল্ট, ইন্টারে ও ভালো রেজাল্ট আসলো। মেডিকেলে ও চান্স পেলাম।ও অনার্সে ভর্তি হতেই রুবির বিয়ের তোড়জোড় শুরু হলো কিন্তু ও বিয়ে করেনি। অনেক বিয়ে ভেঙে দিয়েছে আমার জন্য।
তৃতীয় বর্ষে পড়া অবস্থায় ওকে বিয়ে করতে হয়।ওর জন্য আমার ক্যারিয়ারের একটু ক্ষতি হয়নি।বরং সারাক্ষণ আমার ভালো দেখে এসেছে।আমি রাত জেগে পড়তাম ও পাশে বসে থাকতো।সেই সময় ও অনার্সে পড়তো আবার চাকরি করতো।বাবার বিজনেস ছিলো তবুও উনারা নারাজ ছিলেন অল্প বয়সে কেনো আমি বিয়ে করলাম।তাই টাকাপয়সা তেমন দিতেন না।চাকরি, টিউশনি, ঘর সামলানো সব নিজে করেছে।আমি ভালোভাবে ডাক্তারি পাশ করলাম।ও কষ্টের দিন শেষ হয়েছিলো তবে বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।আমাদের সেই সময় বাচ্চা নেয়ার মতো অবস্থা ছিলো না।
ছেলে বউদের সামনে বলতে লজ্জা করছে তবুও বলতে হচ্ছে।বাচ্চা নষ্টের পাওয়ার ফুল ওষুধের জন্য একসময় রুবির জ্বরায়ু ইনফেকশন হলো।
অপারেশন করে জ্বরায়ু কেটে ফেলা হলো,সাথে একটা মেয়ের স্বপ্নের সংসার।
বিয়েতে রাজি ছিলাম না,মা মরে যাবেন বলে রুবিকে দিয়ে আমাকে রাজি করালেন।
রুবির কোনো কথা আমি ফেলতে পারিনা।সেদিন রুবি বলেছিলো বিয়ে না করলে সে হারিয়ে যাবে।যেদিকে চোখ যায় চলে যাবে।বাধ্য হয়ে বিয়ে করেছিলাম সারাক্ষণ আমাকে বুঝাতো অরু আমার স্ত্রী ওকে প্রাপ্য সম্মান দিতে।সম্মান দিয়েছিলাম,ভালোবাসা বেশি তৈরি হয়নি।
একেবারে ভালোবাসি না তা না, ভালোবাসি আমার বাচ্চার মা তুমি আমাকে বাবার পূর্ণতা দিয়েছো।
এতে রুবির দোষ নেই অরু।সব দোষ আমার।আমি যে রুবিকে এতো ভালোবাসি আর কাউকে ওর জায়গা দিতে পারিনা।
রুবি তখন কাঁদছে, অরু চুপচাপ বসে আছে।সবাই নিরব হুট করেই রুবি গিয়ে অরুর হাত জড়িয়ে ধরলো।
-আমাকে ক্ষমা করে দাও বোন।আমি এতো স্বার্থপর যে তোমার সন্তানদের তোমার কাছ থেকেই কেড়ে নিয়েছি।আমি সব তোমায় ফিরিয়ে দিলাম।আজ স্বপ্না আমার চোখে আঙ্গুল দিয়ে সব সত্য বুঝিয়ে দিয়েছে।
রুমেল,শিমুল,হিমেল তোরা আমাকে ক্ষমা করে দিস বাবা।সন্তানের শোকে আমি এতোটাই কাতর ছিলাম যে আসল মাকে বঞ্চিত করেছি।
তাই আমি ডিসিশন নিয়েছি অরুর সবকিছু ফিরিয়ে দিয়ে আমি সব ছেড়ে দিবো।
চলবে