সুগন্ধি ফুল২ (পর্ব ১৮)

0
2

#সুগন্ধি_ফুল_২
#পর্ব_১৮
#জান্নাত_সুলতানা

-“স্যার বাড়িতে কিছু হয়েছে।”

-“তোমার এটা কেনো মনে হচ্ছে?”

-“বাড়ির কোনো গার্ড কল ধরছে না।”

আবরাজের মাথা চক্কর দেয়। তার মাথায় কী চলছে কেউই বুঝতে পারবে না। আবরাজ চেয়ার ছেড়ে ওঠে দাঁড়ালো। আর জনের কলার ধরে তাকে সামনে থেকে সরিয়ে দিলো। নিজের ফোন টা টেবিল থেকে তুলে নিয়ে দরজার উদ্দেশ্যে হাঁটতে হাঁটতে বলে,

-“অল ওভার।”

চারদিকে কাচের দেয়ালে। সর্বোচ্চ আধুনিকতার ছোঁয়া চারপাশে। আর আবরাজ সেখানেই একটা মিটিং রুমেই ছিলো। ডিল হচ্ছে কয়েকশো কোটি টাকার। তার একটা সাইনে সবকিছু বদলে যেতে পারে। তার সাথে ডিল করার জন্য ছোট ছোট কোম্পানি গুলো সর্বদাই প্রস্তুত। আর মিস্টার জি এই সুযোগ টাই কাজে লাগান। পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন কয়েকগুণ। আবরাজ এতে হস্তক্ষেপ করে না। আবরাজের কথায় মিস্টার জি এর মাথায় ভাজ পরে। তিনি হুংকার করার ব্যাক্তি নয়। গভীর চিন্তাভাবনা করে তিনি সামনে কদম ফেলেন। আর এবার ও তাই হলো। কিছু টা উচ্চস্বরে বলে উঠলেন,

-“আর ইউ ম্যাড আবরাজ?”

এই ডিলটা তাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। কেননা কিছুদিন পর-ই একটা নিলাম যেটা বছরে একটি বার হয় মাত্র। সেখানে সবচেয়ে বেশি সুন্দরী একজন কে নিলামে তোলা হবে। আর এটার আজ ডিল হচ্ছে। আর এই আয়োজন মিস্টার জি করে। তবে এখানে নাম আবরাজের থাকে। যদি কোনো আইনী ঝামেলা হয় তখন যেনো মিস্টার জি পর্যন্ত পৌঁছাতে না পারে। আবরাজ এমন একটা যায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যেখানে থেকে সে চাইলেও আর পেছনে যেতে পারবে না। যদি মিস্টার জি এর বিরুদ্ধে যায় তাহলে তিনি তাকে পুলিশে দিবে। আর যদি পুলিশের কাছে সে যায় তবুও কোনো লাভ হবে না। কারণ যতরকম বেআইনি কাজ সব তিনি আবরাজ কে দিয়েই করিয়েছে। খুব সুক্ষ্ম ভাবে গোপনে তিনি আবরাজ কে কাজে লাগিয়ে এখানে এসছে।
আবরাজ ওনার দিকে ভয়ংকর দৃষ্টিতে তাকালেন। যেনো চোখ দিয়ে রক্ত ঝরছে। মিস্টার জি আর কিছু বলেন না।

মিটিং রুম থেকে বেরিয়ে আগে আবরাজ জনের থেকে থাবা দিয়ে আইপ্যাড টা নিলো। জন কাউকে লাগাতার ফোন করে যাচ্ছিলো। আবরাজের আইপ্যাড স্ক্রিনে তাকিয়ে চোয়াল মটমট করে। সে নিজের রাগ সংবরণ করতে ট্যাব ছুঁড়ে ফেলো দিলো। ওরা যখন বিল্ডিং থেকে বেরিয়ে আসে তখন নিচে গার্ড সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে। আবরাজ গাড়িতে বসে জন কে কিছু নির্দেশ দিয়ে নিজের ফোন বের করলো। মেহরিন কল দিচ্ছে তাকে। আগে কখনোই মেয়ে টা তার সাথে সেধে কথা বলে নি। নিশ্চয়ই বোনের খবর না পেয়ে কল দিচ্ছে এখন। তারউপর গতকাল রাতে আব্রাহাম তাকে বিয়ের ব্যাপারে ইনফর্ম করেছে।
আবরাজ কল রিসিভ করে কানে ধরে। কথা বলে ভালোমন্দ জিজ্ঞেস করে। মেহরিন কিছু টা জড়তা নিয়ে বলে,

-“ভাইয়া, আপু কল ধরছে না। কাল শেষ রাত থেকে কল দিচ্ছি।”

বাংলাদেশ শেষ রাত মানে এই দেশে অনেক বেলা। আর এখন এই দে-শে সন্ধ্যায়। আবরাজ ঠোঁট কামড়ে ধরে। না জানি কোথায় এখন তার বউ। কতটা সময় জানোয়ার গুলো ওকে আঁটকে রেখেছে। হাত বেঁধেছে কী? আর মুখ? অজ্ঞান করতে নিশ্চয়ই ড্রাগসের ব্যবহার করেছে। আচ্ছা অজ্ঞান হওয়ার সময় তার সুগন্ধি ফুল তাকে স্মরণ করেছে? তাকে ডেকে ছিলো? ইশ! আবরাজের শরীরের শিরা-উপশিরায় আগুন জ্বলে ওঠে যেনো। রাগে চোয়াল মটমট করে। কপালের সবকয়টি রগ ভেসে ওঠে।

-“ও তো আমার সাথে আছে। ফোন টা মেবি বাড়িতে ফেলে এসছে।”

আবরাজ মিথ্যা বলে। তার এটা মুখ দিয়ে তো বেরিয়েছে তবে কথা টা সত্যি হলে কতোটা নাই ভালো হতো। মেহরিন বোধহয় চিন্তা মুক্ত হয়েছে। বড়ো করে নিঃশ্বাস ত্যাগ করার শব্দ সেটাই প্রমাণ করে। মেহরিন আরও কিছু বলার আগেই আবরাজ আবার বলে,

-“আমরা বাড়ি ব্যাক করে তোমায় কল করছি৷ ও এখন ঘুমচ্ছে।”

-“ভাইয়া, আম্মু আপনার সাথে কথা বলবে বলেছিলো।”

পাশ থেকে মোহিতা বেগম এর কণ্ঠ শোনা যায়। আবরাজের হাতে সময় খুব সীমিত। সে জানে কী নিয়ে কথা বলতে চাইছে শাশুড়ী। তাই তড়িঘড়ি করে জানায়,

-“আম্মু কে বলো, ভাইয়া সব জানে। আর বিয়ের ডেট ও যেনো ফিক্সড করে নেয়। আমরা খুব আর্লি ব্যাক করবো।”

-“আচ্ছা ভাইয়া।”

মেহরিন বলে। আবরাজ কল কাটে। আর জন পাশ থেকে বলে,

-“স্যার ওরা সেখানেই আছে।”

-“কতক্ষণ টাইম লাগতে পারে?”

-“স্যার জিপিএস অনেক দূর সিগ্ন্যাল দিচ্ছে। টোটাল নাইন টু টেন আওয়ার্স টাইম লাগতে পারে।”

আবরাজ মাথা টা সমানে নিজের দিকে রেখে নাড়াতে থাকে। নিজের ধৈর্য কে সে সাপোর্ট করছে। তাকে ধৈর্য ধরতে হবে। আর কিছু করার নেই। হাত আর্মরেস্টে রেখে পেছনে মাথা এলিয়ে বসে। আর চোখ বন্ধ করতেই তার চোখের সামনে ওই ধনুকের ন্যায় ভ্রু আর কান্নাভেজা মায়াবী চোখ দু’টো সর্বপ্রথম মানসপটে ভেসে ওঠে। আবরাজের মনে পরে তাকে জড়িয়ে ধরে ফিজা আবদার করে ছিলো একটি সংসার। একটি সুখের সংসার। ব্যাস আর কিছু চাহিদা ছিলো না মেয়ে টার। টাকাপয়সা কিংবা বিলাসবহুল জীবন নিয়ে সে কখনো এক্সাইটেড ছিলো না।

—–

বড়ো একটা গোডাউন। ভেতরে লোহার দরজা বন্ধ। চারপাশে লোহার রড, মরিচা ধরা মেশিন, আর হালকা আলোতে ছায়া নড়ছে। মেয়েটার শ্বাস দ্রুত, চোখে ভয় আর অসহায়তা। ম্লান আলোয় বাঁধা অবস্থায় ফ্লোরে পরে আছে ফিজা। তার চোখে ভয়। কৌতূহল। কিছু মনে করার নিখাঁদ চেষ্টা। সে কোথায়? কিভাবে এসছে এখানে? সে বাড়ির গেইটে এসছিলো। রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলো তৃণা। তার পেছনের গার্ড হঠাৎ করে পরে যাওয়ার শব্দে সে পেছনে তাকায়। আর তারপর? তারপর? হ্যাঁ তার গলার পাশে একটি ছোট সুইচ ফোটানোর যন্ত্রণা। তার মাথা বড্ড ভারী লাগছে। লন্ডনের ঠান্ডা আবহাওয়া অথচ তার গরমে চোয়াল বেয়ে ঘাম ঝরে গলা বেয়ে নামছে। এলোমেলো চুল টাও বিছিয়ে ফ্লোরে। জুতা একটা আছে আরেকটা নেই। গায়ের পোষাক ঠিকঠাক। স্বস্তি পায় তার সাথে খারাপ কিছু এখনো হয় নি। তবে হতে পারে কিংবা খারাপ হয়ে গেছে আরও ভয়ংকর কিছু অপেক্ষা করছে হয়তো। সে অনুভব করতে চায়। সে কোথায়। কিন্তু কিছুই বুঝে না। তার ফোন টা ছিলো হাতে। ইশ সেটাও এখন নেই। সে এদিক-ওদিক তাকায়। কিছু একটা উপায় খুঁজতে হবে। সে এটুকু বুঝেছে তৃণা তাকে কিডন্যাপ করেছে। তার সাথে আর কে আছে? আবরাজ কী তাকে এইজন্য বারবার সতর্ক করতো? তার দৃষ্টি এদিকে ওদিকে কিছু খোঁজার মধ্যেই কিছু পায়ের শব্দ শোনা গেলো। বড়ো লোহার দরজা খুলে দু’জন প্রবেশ করলো। একজন ছেলে আর একটা মেয়ে। ফিজার খুব সন্নিকটে এসে তার চারদিকে ঘুরে ঘুরে তাকে কটাক্ষ করে দেখে দুজন। কিছু বলাবলি করে তারা। কণ্ঠ শোনা গেলো। তাদের চেহারা ফিজা দেখে না। শুধুমাত্র হাঁটু পর্যন্ত তার চোখ যাচ্ছে। সে মাটিতে পেট ঠেকিয়ে পরে আছে।

-“আজ রাতে তোমার হিসাব মিটে যাবে। আর আমার রাস্তা।”

একটি মেয়ের কণ্ঠে বলে। তারপর ছেলের কণ্ঠে ভেসে আসে,

-“কেউ এসে তোমাকে বাঁচাতে পারবে না। তবে জানো তো, আবরাজ খানের এপ্রিশিয়েট করতেই হয়, সেক্সি গার্ল।”

হঠাৎ করে ছেলে টা হাঁটু গেঁড়ে ওর সামনে বসে বলে। চোয়ালে হাত বুলায়। ফিজা তাকায়। জুনায়েদ কবির। এটাই তো। হ্যাঁ তার সাথে ফিজার পরিচয় হয়েছে। আবরাজ তাকে জুনায়েদ নিয়ে কিছু বলেনি। তবে ফিজা বুঝে ছিলো বেশি সুবিধার নয় জুনায়েদ কবির। দৃষ্টিতে সব সময় নোংরা কিছু ঘুরঘুর করতো।

-“আমি এখানে কত সময় আছি?”

-“টোটাল এইটিন আওয়ার্স। অবাক করা কান্ড কী জানো? তোমাকে ট্উয়েলভ আওয়ার্সের জন্য ড্রাগস দেওয়া হয়েছে। আর তুমি পুরো এইটিন আওয়ার্স ঘুমিয়েছো। এই শরীর নিয়ে আবরাজ খান কে হ্যান্ডেল করো কিভাবে?”

ফিজার দুর্বল দৃষ্টি জ্বলে ওঠে মূহুর্তেই। ঘৃণা ছড়ায় পুরো শরীরে। সে মুখ ঘুরিয়ে নেয় তৎক্ষনাৎ। কিন্তু জুনায়েদ এর পছন্দ হলো না বোধহয়। সে ফিজার মুখের বাঁধন খুলে আর চোয়াল চেপে ধরে হিসহিসিয়ে বলে,

-“এই সুন্দর চোখ গুলো দিয়ে শুধু আমাকে দেখো সেক্সি গার্ল। কজ আজ থেকে আগামী এক মাস তুমি আমাকেই দেখবে শুধু। এরপর তোমাকে এক বিলিয়নিয়ার হতে তুলে দেওয়া হবে তোমাকে। যে তোমাকে তার দাসী বানাবে।”

ফিজার ঘৃণায় পেট মুচড়ায়। বমি গলায় এসে দলাপাকিয়ে যায়। সে মুখ খুলে সর্বশক্তি দিয়ে তার মুখের সব থুতু জুনায়েদের মুখে ছুঁড়ে দেয়। জুনায়েদ তৃণা দুজনেই ফিজা রমণীর সাহস দেখে চোখ বড়ো বড়ো রাগী দৃষ্টিতে তাকায়। কিন্তু পরক্ষণেই তৃণা জুনায়েদের অবস্থা দেখে উচ্চস্বরে হাসতে লাগলো। হাসির শব্দ চারদিকে ঝংকার তুলে। কিছু শব্দ শোনা গেলো ঠাহর করা যায় না কিসের সেটা। জুনায়েদ দাঁত কটমট করে তাকায় তৃণার দিকে তৃণা ব্যঙ্গ করে বলে,

-“ফাইভ মিনিটস। এতেই তোমার এই হাল। আই ডোন্ট নো হাউ টু হ্যান্ডেল দিস গার্,,,

-“জাস্ট শাট আপ। নিজের মুখ বন্ধ রাখো। বাইরে থেকে আসছি আমি।”

জুনায়েদের এই মূহুর্তে তৃণার কথায় রাগ হলে-ও বাইরে শব্দ তাকে দেখতে হচ্ছে। সে যাওয়ার আগেই ফিজার দিকে তাকিয়ে নিজের মুখ থেকে থুতু নিয়ে জিহ্বায় রাখে। ফিজা ঘৃণাভরে দৃষ্টি তাকিয়ে থাকে।

-“স্বাদ ভালো। বেটার অফ ইউ।”

শেষের কথা তৃণা কে বলে। তৃণা হাত মুঠো করে পা আছাড় মারে।
হঠাৎই বাইরে থেকে গাড়ির ব্রেকের শব্দ। সেকেন্ডের মধ্যে দরজা দিয়ে ঢুকে পড়ে অনেকগুলো মানুষ। আর তাদের পেছনে দাঁড়িয়ে আছে কালো স্যুট বুট পরহিত এক পুরুষ। সে কউ নয়। তৃণা সাথে সাথে নিজে ফিজার দিকে গান পয়েন্ট করে। জুনায়েদ স্বস্তি পায় যেনো। সে ধীরে ধীরে পিছিয়ে আসে। আবরাজের ঠান্ডা চোখ, হাতে বন্দুক। সে কিভাবে এখানে আসতে পারে? এটা অসম্ভব। আবরাজের হাত অনেক লম্বা তবে এখানে আসা কোনো ভাবে সম্ভব নয়। আবরাজ গভীর স্বরে বলে,

-“ওকে ছেড়ে দাও। নাহলে এই গোডাউনেই তোমাদের শেষ শ্বাস গুনতে হবে।”

বেশ শান্ত স্বর। হিমবাহের ন্যায় শীতল কণ্ঠে যেনো হুমকি দিচ্ছে। আবরাজ কানে ব্লুটুথ চাপে। জন কে কিছু ইশারা করে। আর সামনে থেকে হঠাৎ গুলি গিয়ে তৃণার হাতে লাগে। জুনায়েদ কোনো অস্ত্র নেয় নি। কেননা সে কল্পনা ও করতে পারে নি এমন কিছু হবে। এরমধ্যে তৃণার ফোনে কল আসে সে ফোন রিসিভ করে আর কানে তুলে,

-“ভেরি ব্যাড পাপ্পা। এখন কল না দিলেই আমি তোমার কাছে কৃতজ্ঞ থাকতাম।”

জুনায়েদ এরমধ্যে হোচট খেয়ে বন্দুক তুলতে গেলে মুহূর্তেই গুলি ছুটে যায়। জুনায়েদ ভয়, আতঙ্কে পালাতে চায় কিন্তু আবরাজ তাকে দেয়ালে ঠেসে বন্দুক তার কপালে ঠেকিয়ে ফিসফিস করে,

-“যে মেয়ের দিকে চোখ তুলেছিস, তার রক্ষক আমি। হোয়াট ডু ইউ থিংক আমি তোর এইটুকু ইঁদুরের গর্ত টা খুঁজে পাবো না? ইঁদুর কোথাকার।”

আবরাজের স্বর ভয়ংকর। জুনায়েদ মূহুর্তে ঘেমে ওঠে। জন বাঁধন কেটে দিয়েছে ফিজার। আবরাজ জুনায়েদ কে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় ফ্লোরে। আর একটু পেছনে সরে বুকের কাছে টেনে নেয় নিজে বউকে কে। যে তাকে সুগন্ধি দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। নিঃশ্বাস টানে মেয়ে টার শরীর থেকে গন্ধ নেয়৷ তার মন দেহ মূহুর্তে চাঙা হয়ে যায়। শরীর জুড়ে শিহরণ। ফিজার চোখে জল। কিন্তু মুখে ভরসার হাসি। সে একদম খরগোশ ছানা ন্যায় গুটিয়ে থাকে আবরাজের শক্ত-পোক্ত বুকের মধ্যে। নিজে কে লুকাতে চায়। ফিসফিস করে কাঁদে। সে এতো সময় নিজে কে যথেষ্ট শক্ত রেখেছে। কিন্তু এখন সেটা ভীষণ কষ্ট। মেয়ে টা নিজের মধ্যে নেই যেনো। আবরাজ ওর কপালে মাথায় চোয়ালে সমানে ঠোঁট ছুঁয়ে চুমু খেতে থাকে। আর বলে,

-“আই অ্যাম হিয়ার, জান। নাউ ইউ আরে সেইফ। আই অ্যাম অলওয়েজ উইথ ইউ।”

লাগাতার আবরাজ রিপিট করেই গেলো। ফিজা শুনলো। কয়েকবার। এরপর তার চোখ দু’টো বন্ধ হয়ে এলো আবারও। নিশ্চিন্তে নিজের ভালোবাসার মানুষ টার বুকে। ঠিক হৃদপিণ্ডটা বরাবর। যেখানে আবরাজ খানের হৃদপিণ্ডের প্রতিটি স্পন্দন তার নামে হয়।

#চলবে…..

[ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।]

#জান্নাত_সুলতানা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here