#সম্পর্কের_বন্ধন
#লেখিকাঃজিন্নাত_চৌধুরী_হাবিবা
#পর্ব_০৭
আকাশে শুভ্র মেঘের ভেলা। সূর্য তার সোনালী আভা ছড়িয়ে কিরণ দিচ্ছে। সকাল সকাল সেই কিরণে মিষ্টতা থাকলেও খনে খনে উত্তাপ বেড়ে চলেছে। অদূর আকাশপথ দিয়ে একটি উড়োজাহাজ যাচ্ছে তীব্র শব্দ করে। খোলা জানালা ভেদ করে রোদের ছটা এসে পড়ছে চোখে মুখে। সেই আলো মাড়িয়ে চোখে মুখে নেমেছে আধার। চোয়ালে মলিনতার ছাপ। চোখমুখ খিঁচিয়ে উপুড় হয়ে পেটে হাত দিয়ে শুয়ে আছে তুহা। সকাল থেকেই পেট ব্যথার কারণে স্থির হতে পারছেনা।
এতক্ষণ যাবত কাউকেই বলেনি কথাটা। তুহার চোখমুখের অবস্থা দেখে ইভান চিন্তিত হয়ে জিজ্ঞেস করলো,’খারাপ লাগছে তোমার?’পেটে হাত দিয়ে রেখেছো কেনো?ব্যথা করছে?
ইভানের কপালে সূক্ষ্ম ভাঁজ। যা দ্বারা তার মধ্যে চিন্তার বলিরেখা ফুটে উঠেছে।
তুহা কিঞ্চিৎ মাথা নেড়ে জানালো কিছু হয়নি।
“আমি স্পষ্ট দেখতে পারছি তুমি ঠিক নেই। তবুও বলছো কিছু হয়নি?”প্রখর কন্ঠে বলল ইভান।
তুহা শুষ্ক ঠোঁট জোড়া ভিজিয়ে চাপা স্বরে বলল,’পেট ব্যথা করছে সকাল থেকে।’
ইভানের কপালের ভাঁজ আরেকটু দৃঢ় হলো। ব্যতিব্যস্ত হয়ে বলল,’তুমি কাউকে কিছু বলছোনা কেনো? এভাবে পড়ে থাকলে তোমার পেটের ব্যথা কমবে?
আমি আন্টিকে ডেকে আনছি।
তুহা ইভানের যাওয়ার পথে বাঁধা দিয়ে বলল,’আম্মুকে কিছু বলার দরকার নেই। শুধু শুধু টেনশন করবে।
ইভান শুনলোনা। শাহিনুরকে ডেকে নিয়ে আসলো। বাড়িতে ইভান আর আফসান ছাড়া বাকি দুই পুরুষ নেই। দুজনই নিজেদের চাকরি সূত্রে সকাল সকাল বেরিয়ে পড়েছেন। তুহার পেটব্যথার কথা শুনে শাহিনুরের সাথে বাড়ির বাকি সবাই আসলো।
তুহা ঝিম মে/রে শুয়ে আছে। শাহিনুর এসে কতক্ষণ বকাবকি করলেন।
সারাদিন আজেবাজে জিনিস খাবে আর দুদিন পরপর পেটব্যথা বলে কাতরাবে। আচার আরেকটু খা। তোর চৌদ্দগোষ্ঠীও আচার দেখেনি। তাই তুই দেখে নিচ্ছিস।
ডাক্তারের কাছেতো জীবনেও যাবিনা। বলতে বলতে মুখ দিয়ে ফ্যানা বের করে ফেললেও যাবিনা।
তুহা মুখ গুঁজে রইলো। এই জন্যই কাউকে কিছু বলেনি। আম্মু আগে এসে বকাবকি করবে। পরে ক্ষতে মলম লাগাবে। মূলত বকাবকির ভয়েই আম্মুকে জানাতে বারণ করেছে ইভানকে।
ইভান তুহার জন্য ঔষধ আনতে বাসা থেকে বের হলো। হাঁটতে হাঁটতে কিছুদূর গিয়ে একটা ফার্মাসি থেকে ঔষধ নিয়ে ফিরলো। তুহার আম্মু তুহাকে হালকা খাবার খাইয়ে ঔষধ দিয়ে পাশে বসে রইলেন। এদিকে রান্নাটা ও বাকি।
আয়না এখন এই বাড়ির মেহমান। সে কিসের রান্না করবে? রান্নার দায়িত্ব তাকে দিলেও পাশেতো একজন থাকা লাগে। তুহাকে শুয়ে থাকতে বলে শাহিনূর উঠে গেলেন রান্না করতে।
ইভান পাশে বসে রইলো। তুহা দাঁতে দাঁত চেপে ব্যথা হজম করছে।ঔষধ খাওয়ার পরেও ব্যথা এখনো একটুও কমেনি।
তুহাকে হাঁসফাঁস করতে দেখে ইভান তুহার মাথায় হাত রাখলো।
তুহা চকিতে চোখ মেলে তাকালো। উপরে তাকাতেই দুই জোড়া চোখের দৃষ্টি এক জায়গায় গিয়ে ঠেকলো।
ইভান কোমল স্বরে বলল,’তুমি ঘুমানোর চেষ্টা করো। আমি মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি।
তুহা প্রতি উত্তর করলোনা।আবেশে চোখ বুজে নিলো।ইভান আলগোছে তুহার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো।
তুহা চোখ বুজে আছে ঠিকই কিন্তু চোখে ঘুম নেই।চোখের পাতা পিটপিটিয়ে নড়ছে।
ইভানের শান্ত স্বর কানে আসলো। এখনো ঘুমাচ্ছো না কেনো? ঘুমানোর চেষ্টা করো।
ঘন্টাখানেক পর তুহা সোজা হয়ে বসলো। এখন পেটব্যথা প্রায় নেই বললেই চলে।
ইভান ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে দেখলো তুহা উঠে বসে আছে। ইভান এগিয়ে এসে শান্তস্বরে জিজ্ঞেস করলো,’এখন ব্যথা কমেছে?
তুহা মাথা নেড়ে মৃদুস্বরে বলল,’হু!এখন ভালোলাগছে।
ইভান ফোঁস করে শ্বাস ফেললো। যাক নিশ্চিন্ত হওয়া গেলো। খানিকটা শাসনের সুরেই তুহাকে বলল,’আজেবাজে খাবার খেয়ে দুদিন পরপর এরকম অসুস্থ হওয়ার মানে কি? এখন থেকে নিয়ম মেনে স্বাস্থ্যকর খাবার খাবে।
তুহা অসহায় চোখে তাকিয়ে বলল,’একবার আম্মু বকাবকি করেছে। এখন আপনিও বকছেন?ধূর! ভালোলাগেনা। রাগ দেখিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে পড়লো।
ইভান ভ্রু জোড়া কুঁচকে তাকিয়ে রইলো। রাগ করার মতো আদৌও সে কিছু বলেছে বলে মনে হয়না। তুহা ওয়াশরুম থেকে চোখমুখে পানি দিয়ে বের হলো। ইভানের সাথে কথা না বলেই রুম থেকে বের হলো।
মান্নতার খোঁজ নেওয়া হয়নি সকাল থেকে। মেয়েটা তার কারনেই এই বাড়িতে এসেছে। যদিও তার মা বোন মান্নতার আপ্যায়নে ত্রুটি রাখবেনা তবুও তার একটা দায়িত্ব আছে। মান্নতাকে খুঁজতে তৃণার রুমে গেলো আর সেখানেই মান্নতাকে পেয়ে গেলো।
তৃষা সকালেই নতুন বাসায় উঠেছে। গতরাতে আর দ্বিতীয় মেসেজ দেখার সাহস হয়নি ওর। দিনের বেলায় ভিডিওটা দেখলে এতটা ভয় হতোনা। এতরাতে আচমকা ওই ভয়ঙ্কর ভিডিও দেখে আৎকে উঠেছিলো তৃষা। সকালে নিজের ফ্ল্যাটে উঠে জামাকাপড় যেগুলো সাথে ছিলো সব বের করে গুছিয়ে নিয়েছে। দুপুরের খাবারটা বাইরে গিয়ে খেয়ে নেবে। গতকালের আইডিতে গিয়ে পরবর্তী মেসেজ সিন করলো।
—“ইশ!বাচ্চাটা ভয় পেয়েছে বুঝি?”পাশে দুটো ডেভিল ইমোজি।
তৃষা পুরো আইডি ঘেটে ফেলেছে। তেমন কিছুই নেই আইডিতে। এটা একটা ফেইক আইডি। কবে রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করেছে তৃষা সেটাও মনে করতে পারছেনা। আইডিটা ব্লক করে ক্ষান্ত হলো। “যত্তসব ফাউল” বলেই মুখ ঝামটা মা/র/লো।
প্রথমে তুহার কথা মাথায় আসলেও আইডি দেখে মনে হয়না এটা তুহার ফেইক আইডি হতে পারে। তাছাড়া এতরাতে তুহা নিজেও এমন ভিডিও পাঠানোর সাহস করবেনা।
ফোন হাত থেকে রেখে তৃষা উঠে দাঁড়ালো। কাল থেকে অফিস যেতে হবে। ছুটির চেয়ে দুদিন অতিরিক্ত গ্যাপ দিয়েছে। এই নিয়ে বস আবার বকাঝকা শুরু করবেন।
দুপুরের খাওয়ার সময় তুহা নিজ থেকে মান্নতার খাবারের তদারকি করছে। এটা ওটা তুলে দিচ্ছে। মান্নতা না নিতে চাইলে ইভান বলল,’নিচ্ছিস না কেনো?সে নিজেও বোনের খাবার নিয়ে উঠেপড়ে লেগেছে। শশুর বাড়ীতে এসে বোনের যত্নে কোনো ত্রুটি থাকুক বা শশুর বাড়ীর অসম্মান হোক ইভান সেটা চায়না।
শাহিনুর নিজে জামাতার খাবারের তদারকি করছেন আবার মেয়েকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে বলছেন,’জামাইকে এটা দে ওটা দে।
তুহা বিরক্ত হলো। খেতে বসে এতদিকে মনযোগ দিতে গেলে পরে আর খেতে ভালোলাগেনা। ইভানকে তো মা নিজেই খাবার তুলে দিচ্ছে। আবার তাকেও কেনো দিতে হবে?
খাবারের পর্ব চুকিয়ে তুহা আর রুমে গেলোনা। মান্নতাকে নিয়ে তৃণার রুমে গেলো।সেখানে তাদের তিনজনের সাথে প্রমি এসে যোগ দিয়েছে। চারজনে মিলে হাসাহাসি করছে। প্রমি চেপে ধরেছে বাসর রাতে কি কি হলো সেসব বলতে।
তুহা কোনো জবাব না দিয়ে সেখান থেকে এক প্রকার ছুটে এসেছে। বেডরুমের কথা পাবলিক করা তুহার মোটেও পছন্দ না। এগুলো যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
কারো যদি একান্তই অন্যজনের বেডরুমের কথা শুনতে মন চায়,তুহার ভাস্যমতে তার বিয়ে করে ফেলা উচিত। যদি বিবাহিত হয়েও অন্যের কথা জানতে চায় তবে তাকে আবার বেডরুমে পাঠানো উচিত।
তুহা উঠে যেতেই প্রমি অবাক হয়ে বলল,’যাহ বাবা চলে গেলো?
মান্নতা হাসতে হাসতে বলল,’ভাবি মনে হচ্ছে লজ্জা পেয়েছে।
তারপর ওরা তিনজনই আড্ডা দিলো।
তুহা সোজা ছাদে চলে গেছে। আজকেই আবার ইভানের বাসায় ফিরে যেতে হবে। ইচ্ছে করছেনা এবাড়ি ছেড়ে যেতে। ছাদে উঠে রেলিংএ উঠে বসেছে। পাশে বাড়তি কার্ণিশ দেওয়া থাকায় তুহার ভয় হচ্ছে না। প্রায়শই এভাবে রেলিং এ উঠে বসে তুহা।
‘পেছন থেকে তুহার হাত চেপে ধরে ইভান রাগত স্বরে বলল,’কি করছিলে তুমি?’এক্ষুণিতো পড়ে যেতে। এখান থেকে পড়লে তোমার হাড়গোড় কিছু পাওয়া যাবে?’
তুহা অবাক হলো। ইভান কখন এখানে এসেছে?
পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিয়ে মৃদু হেসে বলল,’আমাদের দু’বোনের অভ্যেস আছে। কত এভাবে রেলিং এ উঠে বসে থাকতাম।
ইভান ভ্রু উঁচিয়ে বলল,’আচ্ছা?
খানিকটা শাসনের সুরেই বলল,’এখন নামো এখান থেকে। বিপদ বলে কয়ে আসেনা। একবার এসে ভালোমতো বুঝিয়ে দিয়ে যাবে সে কি জিনিস।
এখান থেকে পড়লে দেখা যাবে সারাজীবন ল্যাংড়া বউ নিয়ে আমাকে সংসার করতে হবে।
ল্যাংড়া বলাতে তুহা ক্ষেপে গেলো। ফোঁসফোঁস করে নাকের পাটি ফুলিয়ে তেজি গলায় বলল,’বললেই আমি এখান থেকে পড়ে গেলাম? পড়ে গিয়ে হাত পা ভাংলে আপনার আর সংসার করতে হবেনা। আমি বলেছি সংসার করুন?আমার জন্য চিন্তা করুন?
ইভান তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে রইলো কিয়দংশ সময়। তারপর তুহার হাতের কব্জি ধরে তাকে রেলিং থেকে নামালো। গম্ভীরমুখো হয়ে বলল,’তোমার ভালো মন্দ দেখার দায়িত্ব এখন আমার। এই দায়িত্ব মৃ/ত্যু/র আগ অব্দি আমার উপর থাকবে। তাই আমি চিন্তা না করলে কে চিন্তা করবে?
তুহা চেয়ে রইলো ঈষৎ লম্বাটে চাপদাড়ির অধিকারী মানবের দিকে।ডান ভ্রু উঁচু করে চেয়ে আছে তুহার দিকে।পরক্ষণে ভ্রু নাচিয়ে জিজ্ঞেস করলো,’কি হলো বলো?
তুহা তিক্ত কন্ঠে বলল,’মানলাম আপনার দায়িত্ব। কিন্তু কোন বর বিয়ের দুদিন না যেতে বউকে ল্যাংড়া উপাধি দিয়ে বসে থাকে?
ইভান অবাক হওয়ার ভান করে বলল,’আমি এ কথা বলেছিলাম নাকি?’
তুহা হতবাক।মুখ কিঞ্চিৎ হা করে বলল,’একটু আগে না আপনি আমাকে ল্যাংড়া বললেন? তারমানে কি আমি মিথ্যা বলছি?’
ইভান চোখমুখের ভাবভঙ্গি স্বাভাবিক করে বলল,’তুমি মিথ্যে বলছোনা,আবার পুরোপুরি সত্যি ও বলছোনা।
আমি বলেছি যদি এখান থেকে পড়ে যাও তবে হাত পা ভাঙবে। তখন লোকে কি বলবে? ল্যাংড়া ইতো বলবে, তাইনা?
আর তুমি কি বলছো? আমি তোমাকে ল্যাংড়া বলেছি।
দেখো কথা দু’টির মাঝে আকাশ-পাতাল তফাত।
তুহা নিজের কথায় অটুট রইলো।অনড়ভাবে বলল,’ভিন্ন কোথায়?একই তো হলো।আগে হোক কিংবা পরে,কথাটিতো আমাকেই বলেছেন।’
ইভান রগড় করে বলল,’বাব্বাহ!তুমিতো দেখছি সেই ঝগড়া জানো।’
কথাটি আগুণে ঘি ঢালার মতো।তুহা আরো তেতে উঠলো।দুই ভ্রু কুঁচকে দাঁতে দাঁত চেপে বলল,’আমি ঝগড়া করি?’
আর আপনি এতক্ষণ কি করছিলেন? আমাকে কবিতা শোনাচ্ছিলেন?
ইভান ঠোঁট চেপে হাসলো।বলল,’কেনো কবিতা আবৃত্তি ভালো হয়নি?তোমার পছন্দ হয়নি বুঝি?
তুহা কিছু বলতে মুখ খুললো।তখনই সেখানে তৃণা আসলো।
আপু তোকে আম্মু ডাকছে।
তুহা আর কিছু না বলেই বিড়বিড় করতে করতে নিচে নেমে গেলো।
ইভান ঠোঁট কামড়ে হাসলো।
রুমে একা একা বোর হচ্ছিলো বলে ছাদে এসেছে ইভান। এখানে এসে বন্ধুর সাথে কল এডেন্ড করেছে।
একপাশে দাঁড়িয়ে কথা বলায় তুহা ইভানকে দেখেনি।
কথা শেষ করে হাঁটতে হাঁটতে মাঝের দিকে আসতেই তুহাকে রেলিং এর উপর বসে থাকতে দেখলো ইভান।
বিকেল করেই ইভান ছাদ থেকে নামলো। তুহা আর মান্নতাকে রেডি হয়ে নিতে বলল। বাসায় ফিরবে। বাবা আর ছোট চাচা আসেনি বলে তুহা আরেকটু সময় বাড়িয়ে নিলো। একদমই যেতে ইচ্ছে করছেনা।
বাবার বাড়ি থেকে কোনো মেয়েই যেতে চায়না।কিন্তু এমন একটা সময় আসে,যখন মেয়েরা স্বামী সংসার নিয়ে এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়ে তখন আর বাবার বাড়িতে আসার সময় সুযোগ কোনোটাই হয়না।সংসারের মায়াজালে আবদ্ধ হলে সেখান থেকে বের হয়ে আসা দুষ্কর হয়ে পড়ে। একটা সময় আসবে যখন তুহাও স্বামী সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাবে।
ইভান তুহা আর মান্নতাকে নিয়ে শশুর বাড়ী থেকে বিদায় নিলো। পেছনে তুহা আর মান্নাতাকে বসিয়ে,সামনে ড্রাইভারের সাথে বসলো ইভান।সামনের আয়নায় তুহার বিষন্ন মুখটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। ইভান সেদিক থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে ফোঁস করে শ্বাস ফেললো।
#চলবে……..