#সন্ধি_হৃদয়ে_হৃদয়ে
#লেখিকাঃ আসরিফা সুলতানা জেবা
#পর্ব___৪৫
আরিয়ানাকে সাথে নিয়ে কথা বলতে বলতে সিঁড়ি ভেঙে নিচে আসে শ্রেয়া। তিতিসা ওর চেহারার সর্বাঙ্গে ছোট ছোট হাতে আলতো করে ছুঁয়ে দিচ্ছে। সোফায় বসে এতিমখানার যাবতীয় খরচপত্রের হিসেব কষছেন মেহরিমা ও ত্রিহা। এতকাল যাবত এই দায়িত্ব ছিল মাদারের৷ তিনি একা হাতেই সবটা সামলাতেন। কিন্তু নতুন যেই মাদার এসেছেন তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। সবকিছুতে কেমন গরমিল লাগিয়ে ফেলছেন। তাই এই মাসের হিসেব টা নিজেরা করে পরের মাস থেকে একজন বিশ্বস্ত লোক রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন নুরুল চৌধুরী। তাছাড়া এখন তোহাশ আছে। তূর্য, তোহাশ, আয়ুশের উপর এতিমখানার দায়িত্ব টা চিরতরে তুলে দিতে চান তিনি। আরিয়ানাকে দেখে মেহরিমা মিহি হাসলেন। শ্রেয়া এবং ওকে হাঁক ছেড়ে বললেন,
‘ দু’জন দাঁড়িয়ে কেন?বসো। ‘
একটুখানি বিব্রত হলো আরিয়ানা। আসার পরমুহুর্ত হতে সে একটি বারের জন্যও মেহরিমার সঙ্গে কথা বলে নি। কেবলমাত্র খাবার টেবিলে নুরুল চৌধুরীর সাথে কয়েকটা শব্দ বিনিময় করে। ব্যাস এতটুকুই। মনের গহ্বরে হাজারো শঙ্কা জাগলেও সেগুলো এক প্রকার দমিয়ে আরিয়ানা হাসলো। হাসি টা কেমন চাপা চাপা। ধীরস্থির, মন্থরগতিতে মেহরিমার পাশে বসে পড়ে। সম্পূর্ণ বিষয়টাই বিঁধে শ্রেয়ার কাজল চক্ষে৷ অধর জোড়া ক্ষীণ ছড়ায় ও। পুরোপুরি না পারুক আরিয়ানা চেষ্টা তো করছে। চেষ্টা টা-ই বা ক’জন করতে জানে?প্রচেষ্টার অভ্যন্তরে যেতে যেতে কোনো এক সময় গাঢ়ভাবে জড়িয়ে যাবে আপনের মায়ায়। অতঃপর অত্যধিক অসম্ভব ব্যাপার হয়ে ওঠবে সেই ইন্দ্রজাল, মোহমায়া কাটিয়ে ওঠা৷ পারে না কেউ। পারে না এমন জাল হতে বেরিয়ে আসতে। সাময়িক কালের নিমিত্তে আসলেও অন্তর জ্বলে ওঠে হুটহাট করে, কোনোরকম আগমনী বার্তা না দিয়ে। যেমনটা তোহাশের দ্বারা হয় নি। সেও অনলে জ্বলেছে,আপনজনের টানে ছুটে এসেছে। শ্রেয়ার মানসলোকে কয়েকটা বাক্যের রচনা হয় তৎক্ষনাৎ,
‘ শহরতলী জুড়ে মিলন কাহিনির ছড়াছড়ি থাকুক। কানে কানে বিনিময় করুক প্রণয় মিশেল বাক্য। আকাশে কালো মেঘ নয়,শুভ্র রং থাকুক। হৃদয়ে হৃদয়ে বিচ্ছেদ নয়,সন্ধি হোক। ‘
মেহরিমা চৌধুরীর গলা শোনা যায় পুনর্বার। অত্যন্ত মমতা মাখানো সেই কন্ঠে। শ্রেয়াকেও বসার জন্য ডাকছেন তিনি। চিত্তপটে অনাবিল শান্তির সমীরণ বয়ে যায়। দিন, কাল,ক্ষণ সকল কিছু বদলে গেল। পরিবর্তন হয়ে গেল কর্কশ আচরণ কোমলতায়। মেহরিমার স্বরনালীতে মা মা আদুরে ভাব খুঁজে পায় আজকাল শ্রেয়া। দেরি না করে ঝটপট ওনার অন্য পাশে বসে পড়লো। ত্রিহার লক্ষ্যে বললো,
‘ আয়ুশী কবে আসবে চাচী?নানুর বাড়ির বেড়ানো শেষ হয় নি?’
ত্রিহা উত্তরে জানালেন, ‘ চলে আসবে আজকেই। ফোনেই তোহাশের আসার কথা শুনে পাগল হয়ে যাচ্ছিল। মা অসুস্থ তাই ওনাকে নিয়ে আসতে বলি নি। আজকে আমি ড্রাইভারকে পাঠিয়ে দিব ওকে নিয়ে আসার জন্য। ‘
তিতিসা ঘাড় কাত করে ক্ষুদ্র আঁখিদ্বয়ে নির্নিমেষ চাহনি নিবদ্ধ করে রেখেছে মেহরিমার মুখের দিকে। শ্রেয়ার চোখে পড়তেই চুপিসারে তিতিসার হাতের মুষ্টিমেয় পুরে দিল মেহরিমার শাড়ির একটুখানি অংশ। নিমিষেই আঁচলে টান অনুভব করতেই নিজের পাশে তাকায় মেহরিমা। ওনার মুগ্ধতা ভরপুর দু চোখ দেখে লাল লাল ওষ্ঠযুগল ছড়িয়ে খিলখিল করে হাসে তিতিসা। কি সুন্দর, প্রাণখোলা হাসি!সবার দৃষ্টি আপাতত ওর দিকেই।
আঁচল টেনে বারংবার দাদির কোলে যেতে ইচ্ছে প্রকাশে মগ্ন তিতিসা। কিন্তু মেহরিমা নেওয়ার সাহস পাচ্ছেন না। ভীতি জাগে,ভয়ংকর মারাত্মক ভীতি। যদি আরিয়ানা ক্ষেপে যায়?ওর যেই মানসিক অবস্থা অকস্মাৎ রেগেমেগে যাওয়া স্বাভাবিক। তাই এখনও তিতিসাকে স্পর্শ করার দুঃসাহস করেন নি তিনি। কিন্তু আজ ভাবনার বাহিরে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যাবে কস্মিনকালেও ভাবেন নি তিনি। না এনেছিলেন এমন প্রত্যাশা কল্পনায় কিংবা স্বপনে। দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ স্থির হয়ে পড়েছে কারো ছোঁয়ায়। চমকপ্রদ সকলে। আরিয়ানার হাত ওনার হাতের উপর। নিচু কন্ঠে সে বললো,
‘ তিতিসা আপনার কোলে আসতে চাইছে। নিচ্ছেন না কেন আম্মা?’
নয়নাভিরাম চাউনি শ্রেয়ার। মেহরিমার চোখে অশ্রু টলমল করছে। ‘ আম্মা!’ বিয়ের পর একটা বারও এই সম্বোধন করে নি আরিয়ানা। এত বছর পেরিয়ে এসে আজ করলো। ডাক টা কত মধুর!শ্রেয়ার কোল থেকে চট করে তিতিসাকে নিয়ে বুকে জড়িয়ে ফেললেন তিনি। ক্রন্দনরত গলায় বার কতক বললেন,
‘ আমার নাতনী। আমার তোহাশের মেয়ে। আমি দাদি হয়ে গেলাম।’
খুশি,উৎফুল্লতা যেন ওনার সমগ্র সত্তা জুড়ে। আরিয়ানা নিজেকে তটস্থ করে নেয়। এ ক’দিনে অনেক কথা গুছিয়েছে। এক এক করে আওড়াতে থাকে।
‘ আমাকে ক্ষমা করে দিবেন আম্মা। আমি এখনও ঠিক পারছি না। মন বার বার আপনাদের কাছ থেকে সরে যেতে চায়। হয়তো এটা আমার অসুস্থতার কারণে। আমি চেষ্টা করবো। অনেক চেষ্টা করবো আমার কারণে আর যেন কোনো সম্পর্ক না ভাঙে। আপনাকে মিসক্যারেজের অপবাদ দিয়েছিলাম এটার শা’স্তি আমি পেয়েছি। সেদিন মিসক্যারেজ আপনার জন্য নয় বরং আমার উলটো পাল্টা ওষুধ খাওয়ার জন্য হয়েছে। নিজেও বুঝতে পারি নি ছোট থেকে মানসিক রোগী আমি। তোহাশ ট্রিটমেন্ট না করাতে নিলে,সাইকিয়াট্রিস্ট নিজ মুখে না বললে কখনোই বিশ্বাস করতাম না। আমার মনে হতো আমি যা করছি সব সঠিক, অন্যরা শুধু কেঁড়ে নিতে চায়। আপনাকে দেখলে জেদ কাজ করতো,আমার
গলা ধরে আসে আরিয়ানার। পরবর্তী কথাটা খুবই কঠিন। টেনে টেনে বললো,’ আমার সৎ মা’য়ের অত্যা’চারের কথা মনে পড়ে যেত। তাই কোনোভাবেই মেনে নিতে পারতাম না। দেখলেই মাথা টা ব্যথা করতো,সবকিছু এলোমেলো লাগত। ডাক্তারের প্রেসক্রাইভ করা ওষুধের সাথে অন্য ওষুধও ছিল যা প্রেগন্যান্সিতে খেলে ঝুঁকি আমি রাগের চো’টে খেয়ে ফেলি। তখনও আমার মনে ভাবনা জাগে আপনার জন্যই এমনটা হয়েছে। আপনাকে দেখে আমার কষ্ট না লাগলে এমন কিছু হতো না। সবকিছুর জন্য আমি দায়ী আম্মা। আপনাদের কষ্ট দিয়েছি আমি৷ বছরের পর বছর তোহাশকে আপনাদের কাছ থেকে দূরে রেখেছি। আপনাকে দেখলে এখন আমার সৎ মা’য়ের প্রতি ধারণা পাল্টে যায়। আফসোস হয় আগে কেন আমার চোখে ছাউনি পড়েছিল। আপনাদের অনেক অনেক খুশি আমি নিজ হাতে ধ্বংস করে দিয়েছি। একটাই অনুরোধ থাকবে আম্মা,আমাকে একটু ভালো হতে দিন। আপনাদের দয়ার হাত টা আমার মাথায় রাখুন। সত্যিই নিরুপায় ছিলাম আমি। হিংসা,অসুস্থতা আমাকে কাবু করে নিয়েছিল। তোহাশ এখনও ভালো করে হাসে নি। ও শান্তির হাসি হাসতে পারে না আমার জন্য। ও বোধ-হয় ভাবে আমি এখানে ভালো নেই। কাউকে ভালো রাখতে পারছে না সে। আমাকে ওর মুখে হাসি ফুটাতে সাহায্য করুন আম্মা। আমিও স্বচ্ছ নির্মল একটা জীবন চাই আপনাদের সাথে। ‘
আকুতি মিনতির স্বর আরিয়ানার। অবাধে অক্ষি কার্নিশ হতে জল গড়াচ্ছে। আজ কোনো ছলনা নেই। আছে নিঃসংশয় আবেদন,আপনজনকে খুশি রাখার প্রয়াস। ত্রিহারও চোখ ভরে আসে জলে। মেহরিমা যথেষ্ট শক্তপোক্ত ধাঁচের মানুষ। নুরুল চৌধুরীর চেয়ে এ ঘরের প্রত্যেকটা মানুষকে ভালোবেসেছেন ওনি। ভালোবাসার দাবি নিয়ে হাজির হয় নি স্বামীর সান্নিধ্যে। মাথায় একটাই কথা আটকা পড়ে যায় কোনো এক সময় তাঁর স্বামীর রাজ্য জুড়ে অন্য এক রাণীর বসবাস ছিল। চাইলেই হুট করে সেখানে উড়ে এসে জুড়ে বসা সম্ভব নয়। মানুষের মন নামক গৃহে প্রবেশ করতে হয় আস্তে ধীরে। ওনিও এমনটাই করেন। তবে তার পশ্চাতে অনেক ধৈর্য্য, ত্যাগ,বিসর্জন রয়েছে। তিলে তিলে ধাতস্থ হয়েছেন,নিজেকে সামলেছেন,পরিস্থিতি অনুযায়ী শিখেছেন কঠোরতা। এ মুহুর্তেই সূক্ষ্ম নিঃশ্বাস বিমোচন করে বললেন,
‘ আর কাঁদবে না আরিয়ানা। অতীতে পড়ে থাকলে শান্তি স্বস্তি কোনোটাই আসবে না মনে। বর্তমান সুন্দর করে তুলি আমরা। আমি সব ভুলে গিয়েছি। তুমিও যাও। মনে রাখবে তুমি ও শ্রেয়া আমার কলিজার কলিজা। তোহাশ, তূর্য যেমন আমার কলিজার অংশ তেমন তোমরাও ওদের কলিজার অংশ। এমনটা আমি এমনি এমনি বলছি না। আমার ছেলেদের ভালোবাসা দেখেই বলছি। আমি তোমাদের প্রাণ ভরে আদর দিব তাতেই আমার ছেলেরা সুখী, সেটা আমি জানি। আমি শ্রেয়ার সাথেও অন্যায় করেছি। দু’জনে নাহয় এখন আমাকে একজন ভালো শাশুড়ি বানিয়ে দিও মিলেঝুলে। ‘
শেষের কথায় হাসির ঝিলিক। শ্রেয়া ও আরিয়ানার চোখাচোখি হতেই উভয়ে একই সঙ্গে সমস্বরে চিৎকার করে ওঠে। বলে,
‘ আম্মা আপনি বেস্ট। ‘
মেহরিমা চৌধুরী ভাব নিলেন। বললেন,’ আই নো পুত্র বধূরা। ‘
প্রিয়ু সিঁড়িতে থাকা অবস্থায়ই চিল্লিয়ে বললো,’ আমার আম্মুও বেস্ট। আর আমিও ওনার একমাত্র ছেলের একমাত্র সুযোগ্য বউ। ‘
ঠোঁট দুটো নড়ে উঠলো ত্রিহার, ‘ একদম। ‘
ঢেউ ভাঙা হাসির শব্দে শব্দে মুখরিত চৌধুরীর বাড়ির চার কোণ।
সাঁঝবেলা নেমেছিল সবে। তন্মধ্যে এসে বাড়ি মাথায় তুলে ফেলেছে আয়ুশী। মেয়েটা নরম স্বভাবের হলেও বেশ পটু। বিশেষ করে অন্যদের সাথে মিশে যেতে। এসেই আরিয়ানার সাথে ভাব জমিয়ে ফেলেছে। দাবি করেছে ভাইদের সঙ্গে বসে মাংসের ঝোল দিয়ে মুড়ি মাখা খাবে। তূর্যকেও ফোন দিয়ে বলেছে এক্ষুণি আসতে। কিন্তু ওকে নিরাশ করে দিয়ে সে জানিয়ে দেয় আসতে পারবে না৷ মনোক্ষুণ্ণ, মন খারাপেরা শুধু আয়ুশীর জন্য নয় আরও একজনের অন্তর্দেশেও এসেছে এবং সেই জন হলো শ্রেয়া। আজ কতদিন সরাসরি দেখে না তূর্যকে। খুব করে বলতে চায় চলে আসুন না। কিন্তু পারে না লজ্জায়। যখনি এটা বলবে তূর্য এমন কথা শুনাবে যেটা হজম করাই হবে কষ্টকর। তার চেয়ে মৌনতা-ই শ্রেয়।
বড় এক বোল মুড়ি মাখা নিয়ে ছাঁদে এলো শ্রেয়া। পাটি বিছিয়ে গোল হয়ে আরিয়ানা, তোহাশ,আয়ুশ,প্রিয়ু বসে আছে। আয়ুশী বসেছে দু ভাইয়ের মধ্যবর্তী স্থানে। ঘোর রজনীর প্রহর চলছে। মধ্যরাত্রীতে মুড়ি মাখা খাওয়ার বিষয়টা তাও তন্দ্রা একপাশে ফেলে খুবই আশ্চর্যজনক। তবে বেশ মজারও। বোল টা সবার মাঝে রেখে ও বসতে নিল প্রিয়ুর পাশে৷ কিন্তু পারলো না। তোহাশ বাঁধা দিয়ে বললো,
‘ ছাঁদের অপর পাশে ছিলাম এতক্ষণ। মোবাইলটা ভুলে ওইদিকেই রেলিং এর উপর রেখে এসেছি। এনে দিবে?এখন মনে হলো। ‘
‘ জি ভাইয়া। এখুনি নিয়ে আসছি। ‘
শ্রেয়া যেতে নিয়েও তীররেখা নজর ফেলে দেখলো সকলে কেমন মিটমিট হাসছে। হাসিগুলো নিঃশব্দ। কিছুই ঠাওর করতে সক্ষম না ও। গোলমেলে লাগছে সবটা। তোয়াক্কা না করে গটগট পায়ে অপর প্রান্তের দিকে হাঁটতে লাগলো। এসেই চক্ষু ছানাবড়া। কাঁপুনি দিয়ে ওঠে সমস্ত তনু। ওষ্ঠদ্বয় ফাঁক হয়ে অস্ফুট বেরিয়ে আসে প্রশ্ন,
‘ আপনি?’
সমুখে নির্বিকার ভঙ্গিতে রেলিংয়ে হেলান দিয়ে দাঁড়ানো মানুষ টা। শ্রেয়ার কম্পনমিশ্রিত প্রশ্নটা যেন তার শ্রবণেন্দ্রিয়-ই হয় নি। বরঞ্চ ছাঁই কালার শার্টের উপরের বোতাম টা খুলে বললো,
‘ ওইখানে দাঁড়িয়ে আছো কেনো?জলদি আসো। বউকে সারপ্রাইজ দিতে কত কি করতে হলো। নিজের বাড়িতেই লুকিয়ে ছাঁদে আসলাম। লং জার্নি৷ সব মিলিয়ে ক্লান্ত। তাড়াতাড়ি কাছে আসো। বুকে মাথা রেখে একটু ভিতরটা শান্তি করে দিয়ে যাও তো। নয়ত এই ক্লান্তি আমাকে ছাড়বে না মিসেস শুভ্রপরী। আর ক্লান্তি আমাকে না ছাড়লে আমি তোমাকে ছাড়ছি না। ‘
#চলবে,,,!
(ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।)