শ্রেয়সী পর্ব ২৬

0
235

#শ্রেয়সী
#পর্ব_২৬
#লেখনীতে_নাদিয়া_সিনহা

দীর্ঘ তিনমাস শারীরিক এবং মানসিক সকল প্রকার নি’র্যা’ত’ন করা হয় আমাকে। অতঃপর কোনো এক নির্জন নিস্তব্ধ গ্রামের পাশে জঙ্গলে গাড়ি থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয় আমায়। ধাক্কা দেওয়ার পূর্বে ওয়ালিদ আমার কর্ণধারে ফিসফিস করে বলেছিলো,
-“তোর কি মনে হয় তোর মতো মেয়ে কে আমি আমার সাথে সারাজীবন রাখব? কখনই না। তুই আমায় অনেক অপমান করেছিস৷ তোর ভাইও কম করেনি। তাই তোদের দুই ভাই-বোন কে শাস্তি দিলাম। ভাবিস না বেঁচে গেলি। এই যে দেখছিস জঙ্গলটা এখানে জন্তুরা বড্ড ক্ষুদার্থ। তোকে ছি’ড়ে’খুঁ’ড়ে খাবে।”

গাড়ি থেকে ধাক্কা দেওয়ার দরুন মাথায় চোট লাগে। সেখানেই অজ্ঞান হয়ে পরে রই। জ্ঞান ফিরতে নিজেকে হসপিটালের বেডে আবিষ্কার করি। আশেপাশে তাকিয়ে চেনা মুখ গুলো খোঁজার ব্যর্থ চেষ্টা করি। কিয়ৎ বাদে একজন নার্স এসে আমাকে জিজ্ঞেস করে,
-“এখন কেমন আছেন?”

তার কথায় ভয়ে পিছিয়ে যাই। দ্রুত উঠে বসে চিৎকার করি। নার্স নিজেও ভয় পেয়ে আমার থেকে দূরে সারে যায়৷ কিছুক্ষণ পর ডাক্তার এসে আমাকে শান্ত করার চেষ্টা করে। তবুও আমি চিৎকার করে উঠছি৷ আমার সাথে যা হয়েছে তার পরও শান্ত থাকাটা কষ্টের। হসপিটালে উপস্থিত সকলে আমার পানে অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আমার সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। ডাক্তার, নার্স জোর করে আমার হাতে ইনজেকশন দিয়ে দেয়। অতঃপর ঢলে পরি হসপিটালের বিবর্ণ বিছানায়। দ্বিতীয় বার জ্ঞান ফিরতে আবারও বিছানায় অবচেতন অবস্থা নিজেকে অনুভব করি৷ উঠে বসতেই দেখি একটা ঘরে আমাকে আটকে রাখা। ঘরের দরজা বন্ধ। দরজা বন্ধ দেখতে আবারও চিৎকার করে উঠি। ভেবেই নেই বোধ হয় আবারও আমার উপর সেই মানসিক চাপ দেওয়া হবে। শারীরিক নির্যাতন করা হবে। চিৎকার করা দরুন গলা বসে গেছে, চোখ দিয়ে পানি পরছে। মাথার চুল হাত দিয়ে শক্ত করে মুষ্টি বদ্ধ করে ধরি৷ সহ্য হচ্ছে না আর। নিজের উপর থেকে যেনো নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছি৷ আচমকা কেউ এসে দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে। তাকে দেখা মাত্র চুপ করে তাকিয়ে থাকি। ওনি ধীরে ধীরে ‘রিলাক্স’ বলতে বলতে আমার দিকে এগিয়ে আসছে। আমি ভয় পেয়ে দ্রুত পেছনে পদার্পণ করি। তা দেখে ওনি বলে,
-“ইট’স ওকে। আমি তোমাকে কিচ্ছু করবো না। প্রমিস। প্লিজ ভয় পেও না।”

মহিলাটি একদম আমার সম্মুখে এসে আমার দুগালে হাত রেখে আশ্বস্ত করেন। তবুও ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে আছি। নিজের দুহাত সামনে উচিয়ে রেখেছি যেনো কেউ আঘাত করতে এলে তাকে আটকাতে পারি। মহিলাটি আমাকে আলত করে জড়িয়ে ধরে বলে,
-“একদম ভয় পাবে না। আমি আছি তো। তোমার কিছু হতে দিব না।”

ওনি আমাকে নিয়ে গিয়ে বিছানায় বসিয়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করে,
-“পানি খাবে?”

আমি মাথা নাড়িয়ে না বোঝাই। ওনি আমার হাতে একটা চকলেট দিয়ে বলে,
-“চকলেট খাও তো? আমার কিন্তু বেশ প্রিয়। চলো এক সাথে খাই।”

আমি চকলেটটা হাতে নেই। ওনিও আরেকটা চকলেট হাতে নিয়ে আমাকে ইশারায় খেতে বলেন। আমি প্যাকেটটা খুলি কিন্তু কিছু একটা মনে হতেই চিৎকার করে দূরে ফেলে দেই৷ ওনি আমার দিকে স্থীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করেন,
-“ভয় পাচ্ছো?”

আমি ওনার থেকে দূরে সরে বসি। মহিলাটি আমার দিকে তাকিয়ে আবার বলে,
-“আমার নাম জানতে চাইবে না? আচ্ছা আমি নিজেই বলছি। আমি সুরাইয়া। তোমার ফ্রেন্ড! নিউ ফ্রেন্ড।”

আমি ওনার দিকে একবার তাকিয়ে মাথা নিচু করে না বলি। ওনি খানিক আমার দিকে চেপে বসে বলে,
-“আচ্ছা তোমার পরিবারে কে কে আছে?”

এই প্রশ্নটা শুনে আঁতকে ওনার দিকে তাকিয়ে দ্রুত মাথা নাড়িয়ে বলি,
-“কেউ নেই। আমি কারো কাছে যাব না। নয়তো সবাই আমাকে মা’র’বে।”

-“আচ্ছা আচ্ছা শান্ত হও। কারো কাছে যেতে হবে না তোমার। এটা জানো তুমি এখানে কত দিন ধরে আছো?”

আমি মাথা নাড়িয়ে না বলি। ওনি মৃদু হেসে বলে,
-“দেড়মাস।”

আমি অপলক তাকিয়ে আছি ওনার পানে। দেড়মাস আমি এখানে আছি অথচ টের পাইনি। ভয়ার্ত কন্ঠে ওনাকে জিজ্ঞেস করি,
-“দেড়মাস কিভাবে কেটে গেলো?”

ওনি এবার শব্দ করে হেসে দিলেন। আমার দিকে তাকিয়েই বললেন,
-“কিছু দিন অজ্ঞান থেকে, কিছু দিন চিৎকার করে, কিছু দিন ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেড়মাস কেটে গেছে।”

কিয়ৎ বাদে ওনি রুম থেকে বেরিয়ে একটা ব্যাগ নিয়ে আসে। ব্যাগটা আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে,
-“এটা নিশ্চয়ই তোমার?”

আমি মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বলি। ওনি আমার পাশে বসে বলে,
-“তুমি শ্রেয়সী তাই না?”

-“হুম।”

-“তোমার ব্যাগে একটা ডায়েরি আছে ডায়েরির প্রথম পাতায় শ্রেয়সী লেখা তাই জেনেছি। চিন্তা করো না ডায়েরিটা আমি পড়িনি।”

আবারও শুরু হয়ে যায় নীরবতা। এবারও ওনিই নীরবতা ভেঙ্গে বলেন,
-“তুমি কি জানো তুমি এখন কোথায়?”

-“হসপিটালে?”

-“হ্যাঁ। তবে এটা জানো কি কোন হসপিটালে?”

-“না।”

ওনি মৃদু হেসে বলে,
-“মানসিক হাসপাতালে আছো তুমি। আর আমি এখানকার ডাক্তার।”

ওনার কথায় অক্ষিদ্বয় বৃহৎ আকৃতি ধারণ করে। শেষে আমার স্থান হলো মানসিক হাসপাতালে। বড্ড অদ্ভুত।
-“তুমি বাড়ি যাবে না শ্রেয়সী?”

-“না।”

-“কেনো?”

-“একটা কল করা যাবে?”

-“অবশ্যই এক মিনিট।”

ওনি ফোনটা আমার হাতে ধরিয়ে বললেন,”যতক্ষণ ইচ্ছে কথা বলতে পারো।”

আমি দ্রুত ফোনটা নিয়ে আরাবী নম্বরে কল করি। কিন্তু নম্বর বন্ধ। বেশ কয়েকবার ফোন করেও লাভ হয়নি। ওপর পাশ থেকে শুধু একটাই কথা ভেসে আসছে “আপনি যে নম্বরে কল করেছেন তা এই মুহূর্তে বন্ধ আছে” হতাশ হয়ে ফোনটা ওনাকে দিয়ে দিলাম। ওনি আমার দিকে তাকিয়ে বলে,
-“অন্য কাউকে করো যেহেতু সে ফোন তুলছে না।”

অন্য কেউ বলতেই আমার রোদ্দু কথা মাথায় আসে। আমি দ্রুত ফোনটা নিয়ে রোদ্দুকে কল দেই। কয়েকবার রিং হতেই রোদ্দু ফোনটা রিসিভ করে। সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করে,”কে বলছেন?”

আমার গলায় কথা আঁটকে গেছে। কিছুতেই কথা বলতে পারছি না। চোখ দিয়ে অনবর পানি গড়িয়ে পরছে। মুখ চেপে ধরেছি যেনো আমার কান্নার শব্দ ফোনের ওপাশের ব্যক্তি শুনতে না পায়। সুরাইয়া আমার অবস্থা বেগ গতি টের পেয়ে ফোনটা নিয়ে রোদ্দুকে জিজ্ঞেস করে,
-“আপনি শ্রেয়সীর কি হন?”

রোদ্দুর সাথে ওনি কথা বলছেন আর আমি ফুঁপিয়ে কাঁদছি। কথা বলা শেষ হতেই ওনি আমার ডান হাত আঁকড়ে ধরে বলে,
-“ভয় পেও না রৌদ্রসী আসছে।”

ভরসা পেয়ে আমি ওনাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কাঁদে দেই। ওনিও আমাকে জড়িয়ে ধরে আছেন। খানিক পর পর টুকটাক কথা বলে আমাকে শান্ত করার চেষ্টা করছেন। একমাত্র রোদ্দুই আমার শেষ ভরসার স্থান। যে আমার জীবনের অংশ। তাই তো আরাবীর পর রোদ্দুকে মনে পরলো। সুরাইয়া ম্যাম আমাকে বিছানায় বসিয়ে ঔষধ খাইয়ে বলে,
-“তুমি ঘুম থেকে উঠে দেখবে রৌদ্রসী তোমার পাশে।”
___________________

আচমকা তীব্র দরজার খোলার শব্দে আঁতকে সেদিকে তাকাতেই দেখি রোদ্দু দাড়িয়ে। আমার পানে অবিশ্বাস দৃষ্টি নিক্ষেপ করে আছে৷ রোদ্দু চোখ জলে টইটম্বুর। ধীর পায়ে এগিয়ে আসছে আমার দিকেই। বেশ অনেক্ক্ষণ আগেই আমার ঘুম ভেঙ্গে যায় কিন্তু পাশে রোদ্দু ছিলো না তাই জানালার পাশে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলাম কখন রোদ্দু আসবে। রোদ্দু এসেছে!
রোদ্দু আমার দিকে এগিয়ে এসেছে। প্রায় অনেক্ক্ষণ তাকিয়ে থেকে আচমকা জড়িয়ে ধরে। আমি ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠি। রোদ্দু আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে আছে। রোদ্দুও কাঁদছে। বহু দিন পর নিজের ভরসার মানুষটা কে কাছে পেয়ে আমি প্রাণ ফিরে পাওয়ার আনন্দ উপভোগ করছি। কিয়ৎ পর রোদ্দু আমাকে ধরে বিছানায় বসিয়ে বলে,
-“তোর এই অবস্থা কেনো শ্রেয়ু? আর ছয় মাস কোথায় ছিলিস?”

আমি অস্পষ্ট স্বরে বলি,
-“ওয়ালিদ।”

-“ওয়ালিদ কি? কি হয়েছে তার?”

-“রোদ্দু ওয়ালিদ আমাকে আঁটকে রেখেছিলো। তারপর অনেক অ’ত্যা’চা’র করে।”

রোদ্দু বিষ্ময়কর নয়নে তাকিয়ে বলে,
-“ওয়ালিদ ভাই তোকে কোথায় পেলো? আর তুই তো আরাবী ভাইয়ার সাথে গেছিলি।”

আমি উত্তেজক কন্ঠে বলি,
-“না! আরাবী আমাকে নিয়ে যায়নি। আমাকে ওয়ালিদ ষড়যন্ত্র করে নিয়ে গেছিলো আরাবীর এ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে বলে।”

-“কিন্তু বিয়ের দিন ওয়ালিদ বাড়ির সবাই কে বললো তোকে আরাবীর সাথে পালিয়ে যেতে দেখেছে। আর আরাবী ভাইয়াও এসেছিলো তোকে নিয়ে যেতে।”

আমি ফুঁপিয়ে কাঁদছি আর বলছি,
-“না রে রোদ্দু আমি আরাবীর সাথে যাইনি। এমন কি ওর সাথে আমার শেষ দেখা পর্যন্ত হয়নি।”

রোদ্দু আমাকে জড়িয়ে ধরে শান্ত হতে বলে। আমি কিছুতেই শান্ত হতে পারছি না। এত এত ঘটনা ঘটে গেলো আমার সাথে তা আমার অজানা। আমার হওয়া সব কিছু রোদ্দুকে খুলে বলি। রোদ্দু আমার কথা শুনে শুধু তাকিয়েই ছিলো৷ ওর মাঝে সকল প্রতিক্রিয়া যেনো থমকে গেছে৷ রোদ্দু ফোন বের করে বলে,
-“আমি এখনই তনুফ কে সব জানাব। আমার শ্রেয়ুর সাথে এত কিছু করে পার পেয়ে যাবে না ওয়ালিদ।”

আমি রোদ্দু কে বাঁধা দিয়ে বলি,
-“না রোদ্দু ওয়ালিদ যদি জানতে পারে আমি বেঁচে আছি তাহলে আবার ক্ষতি করার চেষ্টা করবে। তুই প্লিজ ভাইয়া কে এখন কিছু বলিস না।”

-“বাসায় চল আগে।”

-“না আমি যাব না।”

-“শ্রেয়ু জেদ করিস না।”

রোদ্দু উঠে বেরিয়ে যায় ঘর থেকে। কিয়ৎ পর সুরাইয়া ম্যাম কে নিয়ে এসে আমাকে বলে ‘চল’। আমি সুরাইয়া ম্যামের দিকে অসহায় দৃষ্টি তাকিয়ে সুরাইয়া ম্যাম আমাকে ইশারায় যেতে বলেন। আমি আর অমত করি না। রোদ্দু সাথে বেরিয়ে পরে মানসিক হসপিটাল থেকে। অবশ্য রোদ্দু সুরাইয়া ম্যামের সাথে অনেক্ক্ষণ কথা বলেছে। হয়তো আমার ব্যপারেই। তবে কি বলেছে তা আমাকে বলেনি।

রোদ্দু ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছে কদিন আগেই। আমারও ভর্তি হওয়ার কথা ছিলো। তবে পরিস্থিতির জন্য হতে পারলাম কই? রোদ্দু থাকার জন্য ছোট একটা বাসা ভাড়া নিয়েছে। সেখানেই আমাকে নিয়ে এসেছে। রোদ্দুর থেকে জানতে পারি আমি বাড়ি থেকে চলে আসার কিছুদিন পরই তনুফ ভাইয়া দেশে ফিরে তারপর দাদাভাইয়ের জামিন করায়।
রোদ্দু তনুফ ভাইয়াকে ফোন করে ঢাকায় আসতে বলে। ভাইয়াও চলে আসে পরের দিন ঢাকায়। ঘরে ঢুকতেই আমাকে দেখে চমকে যায়। দ্রুত পায়ে হেঁটে এসে জড়িয়ে ধরে আমাকে। ভাইয়া বুকের সাথে আমার মাথা চেপে ধরে আছে। অঝোরে জল গড়িয়ে পরছে আমার চোখ দিয়ে। তনুফ ভাইয়া আমার শক্ত বন্ধ আবদ্ধ করে রেখে বলে,
-“তুই ঠিক আছিস শ্রেয়ু?”

আমি মাথা নাড়িয়ে না বোঝাই। ভাইয়া আমাকে ছেড়ে দিয়ে বলে,
-“শ্রেয়ু চল আমরা সিলেট চলে যাব। থাকব না আর এই শহরে।”

রোদ্দু এগিয়ে এসে ভাইয়া কে বলে,
-“এ শহরই শ্রেয়ুর জন্য নিরাপদ। সিলেট শহর থেকেই শ্রেয়ু সব কিছু হারিয়েছে।”

তনুফ ভাইয়া রোদ্দুর কথার মানে বোঝে না। রোদ্দু ভাইয়া কে নিয়ে দরজার বাইরে চলে যায়। অতঃপর এক এক করে সব সত্যি বলে। ভাইয়া বিস্মিত হয়ে তাকিয়ে ছিলো আমার পানে। তার দৃষ্টিতে ছিলো অবিশ্বাস্য। তনুফ ভাইয়া সোফায় বসে পরে। চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পরছে। মাথা চেপে ধরে নিচু হয়ে বসে আছে। রোদ্দু ভাইয়া কে সামলাচ্ছে। আমি উঠে গুটিগুটি পায়ে ভাইয়ার পাশে গিয়ে দাঁড়াই। ভাইয়া আমার পানে একবার তাকিয়ে মাথা নত করে বসে থাকে। আমি হাঁটু গেঁড়ে বসে ভাইয়ার উরুতে হাত রেখে তাকিয়ে আছি। ভাইয়া আমার পানে তাকিয়ে অপরাধী কন্ঠে বলে,
-“ক্ষমা করে দিস শ্রেয়ু আমাকে। আমি ভাই হয়ে বোন কে আগলে রাখতে পারিনি। ক্ষমা করে দিস বোন।”

~চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here