#শেষ_বিকেলের_প্রণয়
#আলো_ইসলাম
২১
“ইমরান কোথায় আছে এখন? ছায়ার প্রশ্নে আসিফ হো হো করে হেসে উঠে। ছায়া ঘাবড়ে যায় আসিফের হাসিতে। আসিফ কি হুসে ফিরে এসেছে কোনোভাবে নাকি তার সাথে আবারও অভিনয় করছে সবটা?
কি হলো হাসছো কেনো? ছায়া বলে বিস্মিত কন্ঠে।
তাশরিফ অনেক বড় ষ্টুপিড একটা! ইমরানকে ওর নাকের ডগা দিয়ে ঘুরে নিয়ে বেড়ায় তাও বুঝতে পারেনা। তাশরিফের আশেপাশেই ইমরানকে রাখি কিন্তু তাশরিফ তারপরও নাগাল পাইনা ইমরানের। অনেক চেষ্টা করেছে বেচারা ইমরানকে পেতে কিন্তু পারিনি। ও যতবার ইমরানের খোঁজ পেয়েছে আমি ঠিক ততবারই ইমরানকে সরিয়ে দিয়েছি৷ কথাগুলো বলে আবারও হাসে আসিফ। এদিকে ছায়া দাঁতে দাঁত চেপে বসে থাকে। ছুটির ইচ্ছে করছে আসিফকে পায়ের তলায় পিষে মারতে।
– তবে ইমরান ছেলেটা বিরক্তিকর। সব সময় ঘ্যানঘ্যান করতে থাকে৷ মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে গলা টিপে দম’টাই বন্ধ করে দিই৷ কিন্তু না! ইমরান যে আমার তাসের ঘরের মুল্যবান সম্পদ। তাই ওকে সহ্য করি। কাল তাশরিফের ফাঁ’সি হয়ে গেলে ওকে মুক্তি দিয়ে দেবো৷
– ছায়া বিরক্ত হয় আসিফের কথায়৷ এত কথা কে বলতে বলছে তাকে৷ তাদের তো দরকার ইমরান কে।।
– বলো না ইমরান কোথায় আসিফের হাত ছায়া মুঠোয় নিয়ে বলে। আসিফ মাদক চাহনি রেখে বলে আই নিড ইউ ছায়া ডার্লিং।
– অবশ্যই! তুমি কিন্তু আমার কথায় পাত্তা দিচ্ছো না৷ এতে আমি রাগ করছি এবার। গাল ফুলিয়ে বলে ছায়া।
– আমি তোমাকে পাত্তা দিচ্ছি না৷ ছি ছি জানু এমন টা বলতে নেই৷ বলো না কি বলবে? আসিফের কথায় ছায়া আবারও বিরক্ত নিয়ে বলে ইমরান কোথায়?
– ইমরান সে তো আছে ওই তাশরিফের বাড়ির আশেপাশেই। এক কথায় বলে দেয় আসিফ।
– তাশরিফ ভাইয়ার বাড়ির আশেপাশে মানে? হকচকিয়ে উঠে বলে ছায়া।
— এখন কোথায় আছে ইমরান বলো না! আদুরে কন্ঠে বলে ছায়া। আসিফ ছায়ার দিকে স্তম্ভিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে ছায়া ভ্রু কুচকে তাকায় এতে। আসিফ ছায়াকে ইশারা করে ডেকে কানের পাশে মুখ নিয়ে বলে ইমরানকে আমি একটা গোডাউন ঘরে আটকে রেখেছি। তাশরিফের বাড়ির মোড়ের দিকে একটা বড় গোডাউন আছে। ওইখানে আমার লোকেরা ইমরানকে দেখাশোনা করছে আপাতত। কথাটা শেষ হতেই ছুটি উঠে দাঁড়ায়।
– মোড়ের মাথায় গোডাউন? তার মানে! আবির উঠে ব্যস্ত কন্ঠে বলে রোহান তুমি এদিক সামলাও আমি যাচ্ছি। তাশরিফকে সবটা জানিয়ে ইমরানকে উদ্ধার করতে হবে। তবে একা গেলে হবে না৷ সাথে পুলিশও লাগবে।
– ওকে তুমি যাও আমি এদিকটা দেখছি রোহান বলে আবিরকে আশ্বস্ত করে। এদিকে ছুটি রেগে বেরিয়ে যায় আসিফের ঘরের দিকে।
– ছুটি দাঁড়াও কোথায় যাচ্ছো রোহানও ছুটির পিছু পিছু যায়।
– ইমরান, তাশরিফ এদের নিয়ে অনেক কথা হয়েছে৷ আর ভালো লাগছে না। এই একটা নাম আমার জীবনের কাটা৷ আজ এমন সুন্দর মুহূর্তে এই নামটা নিয়ে মুহূর্ত টা নষ্ট করতে চাইনা। এবার কাছে এসো ছায়া। আসিফ ছায়াকে ধরবে তখনই ছায়া ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় আসিফকে। আসিফ নিজেকে সামলাতে না পেরে নিচে পড়ে যায়। তখনই আসে ছুটি। ছুটির পায়ের কাছে পড়ে আসিফ।
– ক্রোধান্ধ ছুটি, চোখ দিয়ে আগুনের ফুলকি বের হচ্ছে যেনো। দাঁত মুখ এটে আসিফের কলার ধরে তুলে৷ আসিফ ড্রাংক থাকায় টলে বেড়ায়। চোখেও ঝাপসা দেখছে সে।
– মানুষের জীবন নিয়ে খেলতে খুব ভালো লাগে তাইনা৷ মেয়েরা হাতের ময়লা তোর? যাকে ভালো লাগবে তাকেই চাই তোর তাই না৷ আজ বোঝাবো মেয়েরা কি জিনিস! ছুটি সর্বস্ব শক্তি দিয়ে চ’ড় মা’রে আসিফকে৷ আসিফ ছিটকে বিছানায় পড়ে । রোহান পেছনে দাঁড়িয়ে। ছায়াও রেগে আসিফকে দাঁড় করায় আবার।
– ভালোবাসা চাই না তোর! দেখ এবার কেমন ভালোবাসা দিই কথাটা বলে ছায়া আসিফের পায়ে লাথি দেয়, আসিফ হুড়মুড়িয়ে নিচে পড়ে। টেবিলের কোণায় লেগে কপাল কেটে যায় একটু। ব্যথায় আহ করে উঠে সে।
— ছুটি কি করছো শান্ত হও! ইমরানকে না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের একশন নেওয়া ঠিক হবে না। রোহান বলে উত্তেজিত কন্ঠে।
– আবির আর তাশরিফ ভাইয়া ইমরানকে ঠিক খুঁজে নেবে আমার বিশ্বাস। কিন্তু এই জা’নো’য়ার’কে আজ ছেড়ে দিলে আমি শান্তি পাবো না কোনো দিন। নিজ হাতে শাস্তি দেবো ওকে আমি আজ ছুটি ক্রোধান্বিত হয়ে এদিক ওদিক তাকায়। হাত দিয়ে মে:রেও যেনো সাধ মিটবে না তার।
– তেমন কিছু দৃষ্টিগোচর না হওয়াতে ছায়া একটা ফুলদানি তুলে নেয় হাতে৷ যেটা কাঠ দিয়ে তৈরি। বেশ ভারী আর মজবুত ছিলো।
– আপাই কি করছিস? এটা দিয়ে মা’রলে ম’রে যাবে তো? ঘাবড়ে গিয়ে বলে ছায়া।
– আমি ও এটাই চাই৷ ওর মতো কু:ত্তার বেঁচে থাকার অধিকার নাই। এদিকে আসিফ যেনো কিছুই বুঝতে পারছে না কি হচ্ছে তার সাথে। ব্যথায় টনটন করছে কপাল। আবার ড্রিংক করার ফলে শরীরে শক্তি নাই।
— ছুটি ফুলদানিটা নিয়ে আসিফের বাহুতে আঘাত করে। আসিফ আর্তনাদ করে উঠে। এবার মাথায় আঘাত করতে যাবে রোহান ছুটিকে ধরে।
– ছুটি প্লিজ আইন নিজের হাতে তুলে নিওনা। ওর শাস্তি আদালত দেবে কাল। আর এমন শাস্তি হবে যে ও সারাজীবন মনে রাখবে৷ আমি সে ব্যবস্থা করবো চিন্তা করো না।
– আপাই শান্ত হো তুই। রোহান ভাইয়া ঠিকই বলেছে। ছায়া বলে মলিন কন্ঠে।
– ভেতরে আ’গুন জ্বলছে৷ কতটা জঘন্য আর বিবেকহীন হলে মানুষ এমন হয় সেটাই ভাবছি। কোনো প’শুর সাথে এই জা:নো”য়ার’টার তুলনা করলেও সে পশুর অপমান করা হবে।
– আমাদের এখন যেতে হবে এখানে থেকে। সব কিছু রেডি করতে হবে রাতের মধ্যে। কাল সকালে কোর্টে যেতে হবে মনে আসে নিশ্চয়। ও এখানে থাক। সকালে পুলিশ এসে আদর করে নিয়ে যাবে৷ রোহান বলে।
– আসিফের জ্ঞান নাই আপাতত। মেঝেতে হাত-পা ছড়িয়ে শুয়ে আছে। রোহান ক্যামেরাটা সহ সবাইকে নিয়ে বেরিয়ে যায়।
– আবির এসে তাশরিফকে সবটা জানালে তাশরিফ পুলিশের সাহায্য নিয়ে ইমরানকে উদ্ধার করে। আসিফের লোককে এরেস্ট করে নিয়ে যায় পুলিশ৷ এদিকে আসিফ কিছুই জানে না এইসবের। তার জন্য কত বড় সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে দিনের আলো ফোটার সাথে সাথে বুঝবে।
— সূর্যদ্বয়ের সাথে সাথে নতুন দিনের সূচনা হবে তাশরিফের৷ এই প্রত্যাশায় অপেক্ষিত চার’টা প্রাণ। সকাল হতেই তাশরিফ ফোন দেয় আসিফকে। আসিফ এখনো একই ভাবে মেঝেতে পড়ে আছে। রোহানরা যাওয়ার আগে ওয়েটারকে বলে যায় আসিফের উপর নজর রাখতে। কোনো সমস্যা হলে তাদের জানাতে।
– ফোন বাজায় আসিফের ঘুমভাব কেটে যায়। শরীর সহ মাথায় অনেক যন্ত্রণা করতে থাকে। চোখ মেলে তাকাতেও যেনো একরাশ বেদনা। অনবরত ফোন বেজে যাচ্ছে। বিছানার উপর ফোন টা আছে। আসিফ টেবিল ধরে উঠে বসে মাথা চেপে ধরে। নিজের অবস্থা দেখে নিজেই চমকে উঠে ভুত দেখার মতো। আশেপাশে তাকিয়ে দেখে সে ছাড়া কেউ নেই। তড়িঘড়ি ফোন হাতে নিয়ে দেখে তাশরিফ কল করেছে। আজ তো কোর্টের দিন আছে সেখানে যেতে হবে৷ ইমরানকে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া ছায়া কোথায়? এইভাবে মেঝেতে পড়ে আবার শরীরের এই হাল৷ আসিফ অনেক গুলো চিন্তা নিয়ে ফোন রিসিভ করে।
Good Morning বন্ধু! তাশরিফের হাস্যজ্বল কন্ঠ। আসিফ ভ্রু কুচকে বলে তুই?
— শরীর কেমন আছে বন্ধু? নিশ্চয় সুন্দর যন্ত্রণা উপভোগ করছিস এই মুহুর্তে। বাই দ্যা ওয়ে ঘুম তো ঠিকঠাক দিয়েছিস আজ তাই না? তাশরিফের কথার আগাগোড়া বোধগম্য নয় আসিফের।
— কি বলতে চাইছিস? রেগে বলে আসিফ।
– তেমন কিছু না৷ শুধু এটা বলতে ফোন দিয়েছি যে,রাতে বিশেষ আপ্যায়ন করার পর তোর জন্য সুন্দর একটা ঘুমের ব্যবস্থা করেছিলাম৷ কারণ এটাই তোর জীবনের শেষ ঘুম হবে কি-না! আই মিন সুখের শেষ ঘুম৷ এরপর যতগুলো রাত পার করবি তুই সবগুলো যন্ত্রণা, কষ্ট ব্যথা নিয়ে। যেমন আমি পার করেছি। রাগী কন্ঠে বলে তাশরিফ।
এদিকে আসিফ হতভম্ব তাশরিফের কথায়। অন্য রকম সুর পাওয়া যাচ্ছে আজ তাশরিফের কন্ঠে।
তুই অমানুষ হতে পারিস কিন্তু আমি তো তাই না। তাছাড়া খুব ভালো বন্ধু তুই আমার তাই ভাবলাম তোকে নরকে দেওয়ার আগে শান্তির ঘুম দেওয়ার ব্যবস্থা করি৷ তাই কাল ছায়াকে পাঠিয়েছিলাম তোর সাথে প্রেমলীলা চালাতে। তবে আর যাই বলিস চাই ছায়া কিন্তু একটা এওয়ার্ড ডিজার্ভ করে তার অভিনয়ের জন্য। তোর সাথে একদম নিখুঁত অভিনয় চালিয়ে গেছে কাল, তাই তো তোর মতো রাঘব বো’য়ালও ঘায়েল তাতে।
– এতখনে আসিফ বুঝতে পারে তার সাথে বড় গেম করা হয়েছে কাল। আসিফ এত বড় বোকামি কিভাবে করলো ভেবেই নিজের মাথা নিজের ফাটাতে ইচ্ছে করছে।
– অনেক কথা হলো এবার রাখি, কোর্টে দেখা হবে আমাদের তবে অবশ্যই আজ জায়গা পরিবর্তন হবে। তোকে নেওয়ার জন্য তোর বাপ দাঁড়িয়ে আছে রুমের সামনে। মানে মানে চলে আয় কথাটা বলে তাশরিফ ফোন কেটে দেয়। আসিফ তো হকচকিয়ে উঠে বাইরে আসবে তখনই দেখে পুলিশ এসে হাজির। তাশরিফরা সব প্রমাণ তাদের হাতে তুলে দিয়েছে। যার জন্য আসিফকে তারা আদালতে নেওয়ার জন্য এসেছে৷ পুলিশ দেখে ঘাবড়ে যায় আসিফ। আপনারা এখানে?
– আমাদের সাথে চলুন গম্ভীর কণ্ঠে বলে একজন পুলিশ। আপনাদের সাথে যাবো মানে? আসিফ বলে কৌতুহল নিয়ে।
– মানেটা আদালতে গেলে বুঝবেন। জীবনের বাকি মানে জেলে গেলে ক্লিয়ার হয়ে যাবে চলুন তাড়াতাড়ি।
– আজব! কি করেছি আমি। এইভাবে নিয়ে যেতে পারেন না আমায়৷ আমাকে চেনেন না৷ আপনাদের বিপদ হয়ে যাবে বলছি। আসিফ বলে রেগে।
– আগে নিজের বিপদ কাটিয়ে উঠুন তারপর আমাদের কথা ভাববেন৷ এই ওকে নিয়ে এসো টানতে টানতে। এরপর আসিফকে নিয়ে যায় ওরা। আসিফ কিছু করার সুযোগ টাই পাইনা।
– সমস্ত প্রমাণ আসিফের বিরুদ্ধে। নিজ মুখে স্বীকৃতি, ইমরানের সাক্ষ্য সব কিছু মিলিয়ে আসিফ ফেঁসে যায় ভালো ভাবেই। তাশরিফ মুক্তি পাই স্ব-সম্মানে। যে দোষের বোঝা এতদিন বয়ে বেড়াতে ছিলো সে, আজ তার থেকে মুক্তি মেললো। এর জন্য সে রোহান,আবির ছায়া আর ছুটির উপর কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে ছুটি, যার আত্মবিশ্বাস আর প্রচেষ্টায় এতকিছু সম্ভব হয়। ছায়ার হাত ধরে সত্যিটা সামনে আসা।
আসিফের ক্যারিয়ার, ওর নাম জোশ এক নিমিষে শেষ হয়ে যায়। এতদিন যারা তাশরিফকে ছিছি করতো। ঘৃণার চোখে দেখতো এখন সেটা আসিফের উপর বর্তায়। সবাই ক্ষিপ্ত হয় আসিফের উপর। এক চেটিয়া ভাবে সবাই আসিফের ফাসির দাবি করে। কোর্ট আসিফের যাবতজীবন জেল দেয়। আসিফ তার কর্মের উপযুক্ত শাস্তি পাই।।
— ইমরান বোনের খবর পেয়ে পর্যন্ত কান্না করে চলেছে। এতদিন সে জানতো না তার বোন আর নেই। শেষ দেখা ইলহাম খু:ন হওয়ার দিন হয়। এরপর ইমরান আবার আসিফের কবলে। আসিফও কখনো বলেনি ইলহামের কথা।
— ইলহামের খালা এসেছে ইমরানকে নিতে। খালাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করছে ইমরান। এখন একমাত্র সম্বল খালা।
–ছুটি ইমরানের দিকে এগিয়ে গিয়ে ইমরানকে নিজের কাছে নেয়। ইমরান ছোট ছোট চোখে তাকায়। চোখ মুখ ফুলে গেছে কান্না করার ফলে। ইমরানের বয়স বারোতে গিয়ে ঠেকেছে মাত্র।
— আপু নেই তো কি হয়েছে আমি কি তোমার আপু হতে পারিনা? ছায়াকে দেখিয়ে বলে এটাও তোমার আপু ইমরান। এইভাবে কান্না করলে তোমার আপু যে কষ্ট পাবে। আমাদেরও তো খারাপ লাগবে তোমাকে কাঁদতে দেখে৷ আর কেঁদো না প্লিজ৷ ইমরানের চোখের পানি মুছিয়ে দিয়ে বলে ছুটি।
– ছায়া ইমরানের কাছে এসে ওকে ধরে বলে শুন,আমি তোকে তুমি আজ্ঞে করতে পারবো না। তুই আমার ছোট ভাই আজ থেকে তাই তুই করে বলবো। আর যদি একবার কান্না করিস না তাহলে কি করবো জানিস? ছায়ার কথায় সবাই ভ্রু কুচকে তাকায়।
– তোকে কাতুকুতু দিয়ে হাসাবো৷ ছায়ার ছেলেমানুষী দেখে সবাই ফিক করে হেসে উঠে। সাথে ইমরানও হেসে দেয়।
চলবে…
❌কপি করা নিষেধ ❌ ছুটির বিয়ে দিতে হবে না? কার সাথে দেবো এবার ভাবছি।। ভুলক্রুটি মাফ করবেন।