শেষ থেকে শুরু পার্ট ৮

0
259

#শেষ_থেকে_শুরু
কলমে লাবণ্য ইয়াসমিন
পর্ব:৮

নেশাগ্রস্ত কয়েকজন যুবক নাইট ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। ল‍্যামপোস্টের আলোতে ঝলমল করছে চারদিক। আকাশে থালার মতো চাঁদ উঠেছে। রাস্তার দুধারে দানব আকার বিল্ডিং সারি সারি মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। রাস্তার বিপরীতে সাদা পোশাকে এক তরুণী অবাক দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে দেখছে। । বাংলাদেশের মফস্বলের অন্ধকারে বেড়ে উঠা এই তরুণীর কখনও রাতের আলো ঝলমলে শহর দেখার সুযোগ হয়নি। তাছাড়া ক্ষণে ক্ষণে তাঁর মস্তিষ্কের অনুভূতির পরিবর্তন ঘটছে। কখনও ভয় আবার কখনও কৌতূহল ওকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরেছে। আপাতত ভয় নেই আছে কৌতূহল। মাঝেমাঝে স্মৃতির পাতা শূন্য হয়ে যায় আবার কখনও স্মৃতির পাতা জুড়ে হাজারো স্মৃতি উঁকি ঝুঁকি মেরে যায়। মেয়েটার স্মৃতিতে আজ আটকে আছে বিস্ময়কর এই শহরের কৌতূহল। কার সঙ্গে এসেছে কিছুই মনে নেই। মেয়েটা একপা দুপা করে যুবকদের অতিক্রম করে ফেলল। আচেনা মেয়েটিকে দেখে নেশাগ্রস্ত যুবকেরা বুঝে ফেলল মেয়েটা একা। আর তারথেকে বড়কথা এই মেয়েটি দুর্বল চিৎকার, আক্রমণ করলে চেচামেচি করবে না। ভয় দেখিয়ে যেকোনো প্রান্তে নিয়ে যাওয়া বাম হাতের খেল। এক মিনিটের আলোচনার সমাপ্তি ঘটিয়ে ওরা মেয়েটির পেছন নিলো। মেয়েটার হাটার গতি কচ্ছপের গতিকেও হার মানাবে। ছেলেগুলা মেয়েটাকে ঘিরে ধরলো। মেয়েটার চোখেমুখে ভয় নেই যা আছে শুধু বিস্ময়। এতগুলো আচেনা ছেলে ওকে কেনো ঘিরে ধরেছে বুঝতে পারলো না। যতক্ষণে বুঝলো ততক্ষণে বেশ দেরী হয়ে গেছে। ওর হাত ধরে ছেলেগুলা টানাটানি শুরু করেছে। সামনে গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে একবার তুলতে পারলেই হলো,নিখোঁজ হয়ে যাবে চোখের পলকে। মেয়েটি একবার চিৎকার করলো সঙ্গে সঙ্গে ছেলেগুলা ওর মুখে কাপড় বেঁধে ফেলল। মেয়েটার চোখে অসহায়ত্ত্বের চিহ্ন, বাঁচার তীব্র আকাঙ্ক্ষা। মনে হলো এটাই বুঝি জীবনের অন্তিম যাত্রা। কিন্তু তেমন কিছুই হলো। আল্লাহর দূত হয়ে একটা ছেলে দৌড়ে ওদের দিকে এগিয়ে আসলো। ছেলেটার সঙ্গে এদের বেশ হাতাহাতি হলো ঠিক তখনই পুলিশের গাড়ির শব্দ শোনা গেলে। ছেলেগুলা দৌঁড়ে পালিয়ে গেলো। অচেনা এই ছেলেটা মেয়েটির মুখ থেকে কাপড় খুলে দ্রুত একটা গাড়ির পেছনে লুকিয়ে পড়ল। মেয়েটা কিছুই বুঝতে পারলো না।চুপচাপ ছেলেটার বাহুডোরে আটকে থাকলো।পুলিশ চলে গেলো। এতক্ষণ মেয়েটা ছেলেটার দিকে তাঁকিয়ে ছিল। শরীর অসাড় হয়ে আসছে। হাত পা ঠকঠক করে কাঁপছে। ছেলেটার হাতের মধ্যে কম্পনরত মেয়েটির মনের অবস্থা বুঝতে পেরে ছেলেটা ফিসফিস করে বলল,

> ভয় নেই তোমাকে আমি সাহায্য করতে এসেছি।

ছেলেটি কথা শেষ করতে পারলো না মেয়েটা অচেতন হয়ে পড়লো। ছেলেটা ওকে দুহাতে আগলে নিয়ে গাড়ির পেছন থেকে বেরিয়ে আসলো। ততক্ষণে রাস্তায় আরেকটি যুবক চিৎকার করে ডাকছে,

> হৈমন্তী তুমি কোথায়? সাড়া দাও প্লিজ।

কয়েকবার ডাকলো। আরও কয়েকবার হৈমন্তী বলে চিৎকার করলো। সারা শহর হৈমন্তী নামটা প্রতিধ্বনি হয়ে ভেসে বেড়ালো। হৈমন্তী ঝট করে চোখ খুলে তাঁকালো। এতক্ষণ ও ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখছিল। সারা শরীর আগের মতোই কাঁপছে। ঘেঁমেঘেটে একাকার অবস্থা। বাসা থেকে সকালবেলায় অরিনের বাড়িতে এসেছে। রেস্ট নেওয়ার জন্য শুয়েছিল তখনই গভীর ঘুমে তলিয়ে গেছে ঠিক পাইনি। দেওয়াল ঘড়িটা খসখস শব্দ করে ঘুরছে। হৈমন্তী সময় দেখে নিলো একটা বাজতে চলেছে অথচ কেউ ওকে ডাকলো না খুব অদ্ভুত লাগছে। তাছাড়া ভাইয়ার খোঁজ নেওয়া হয়নি। বেচারা ওর কথা ভেবে এখানে আর ও দায়িত্বজ্ঞানহীন ভাবে ঘুমিয়ে আছে। কথাগুলো ভেবে হৈমন্তী উঠে বসলো। ঝটপট গোসল করে রেডি হয়ে বাইরে বের হলো। অরিণ সোফায় পা তুলে মুখের মধ্যে কি সব লাগিয়ে বসে আছে। হৈমন্তীকে দেখে ঈশারা করলো পাশে বসতে। হৈমন্তী মিষ্টি করে হেসে ওর পাশে গিয়ে জিঞ্জাসা করলো,

> ভাইয়া কোথায় জানো?

অরিণ বহুকষ্টে উত্তর দিলো,

> ঘরেই আছে। গোসল করে বাইরে আসবে। খাওয়া দাওয়া করতে হবে তো।

হৈমন্তী হুম বলে চুপচাপ বসে থাকলো। কি করবে বুঝতে পারছে না। ফোনটা রুমে আছে নিয়ে আসলে একটু ঘাটাঘাটি করা যেতো। অরিণের বেশ কিছু কাজিন এসেছে। অরিণ সকলের সঙ্গে সংক্ষেপে পরিচয় করিয়ে দিলো। হৈমন্তীর এদেরকে মন্দ লাগছে না। মেয়েগুলো বেশ ভালো তবে বড্ড বেশি চনচল। আরাফাত লাজুক হেসে বোনের পাশে এসে বসলো। হৈমন্তী ওকে জিঞ্জাসা করলো কোনো অসুবিধা হচ্ছে কিনা। আরাফাত জানিয়ে দিলো হচ্ছে না। তাছাড়া ওর জন্য আলাদা রুমের ব‍্যবস্থা করা হয়েছে অসুবিধার প্রশ্নই আসে না।

হৈমন্তীর এখানে বসতে কেনো জানি আর ইচ্ছা করলো না। রান্নাঘরের দিকে এগিয়ে গেলো। ফারজানা হক তোড়জোড় করে রান্না করছেন। উনার সঙ্গে আরও দুজন সাহায্যে করছে। কাজের মেয়েটা পানি হাতে দাঁড়িয়ে আছে। ওর কাজ শুধু এটা ওটা এগিয়ে দেওয়া। হৈমন্তী রান্নাঘরের উঁকি দিতেই ফারজানা হকের চোখে পড়ে গেলো। উনি ইশারা করলেন কিছু লাগবে কিনা। হৈমন্তী সোজাসুজি ভেতরে এসে খাবারের ঢাকনা তুলতে তুলতে বলল,

> আমিও কিছু করিনা আন্টি। চুপচাপ বসে থেকে সময় যাচ্ছে না।

ফারজানা হক ঠোঁটে অমায়িক হাসি ফুটিয়ে বললেন,

> কিছু করতে হবে না মা। তোমার শরীর খারাপ করবে। সুস্থ হলে আমি নিজেই বলবো।

হৈমন্তী কিছু বলতে চাইলো কিন্তু পারলো না। আবির এসে হাজির। হৈমন্তী ওর দিকে তাঁকাতেই চোখে চোখ পড়ে গেলো। হৈমন্তী বিনিময়ে হাসলো কিন্তু আবির নির্বাক। মুখটা থমথমে গম্ভীর করে রেখেছে। হয়তো কোনো কাজে সে বিরক্ত। আবির হৈমন্তীকে ইগনোর করে ফারজানা হক কে বলল,

> আম্মু কফি লাগবে দিতে পারবে?

ফারজানা হক কিছুটা অবাক হলেন। ছেলেটার কি হয়েছে ঠিক বুঝতে পারছেন না। সকাল থেকে এগারো কাপ কফি শেষ করেছে। আবারও চাইছে। মোটকথা আজকে ও কফির উপরেই আছে। কিন্তু কেনো? উনি ভ্রু কচকে বললেন,

> এগারো কাপ শেষ এখন আরও চাইছো? এরকম অদ্ভুত ব‍্যবহার করছো কেনো বলবে? শরীর খারাপ হলে চলো ডাক্তার দেখাতে যায়। তোমার আব্বুকে ফোন দাও। তিনজন বেরিয়ে পড়ি। শরীর অসুস্থ রেখে বোনের বিয়ের কাজকর্ম কিভাবে করবে?

হৈমন্তীর হাসি পেলো। এতো বড় একটা ছেলেকে ডাক্তার দেখাতে বাবা মা সঙ্গে যাবে কি অদ্ভুত। ছেলেমেয়ে যতই বড় হোক না কেনো বাবা মায়ের কাছে সে ছোটই থাকে। আবির হৈমন্তীর দিকে তাকিয়ে চড়া গলাই বলল,

> আম্মু চেয়েছি দিতে পারলে দাও না পারলে বলো আমি ফ্লাক্স হাতে রেস্টুরেন্টে যাচ্ছি। আজকে সারাদিন কফি খাবো বলতে পারো এটা আমার একটা নিয়েত। দিবে কি দিবে না?

ফারজানা হক বুঝলেন ছেলে সিরিয়াস হয়ে গেছে কিন্তু খালি পেটে এতো কফি খাওয়া তো ঠিক না। উনি কথা বলতে চাইলেন কিন্তু আবির সুযোগ না দিয়ে যেমন এসেছিল তেমনি করে গটগট করে চলে গেলো। হৈমন্তী ভ্রু কুচকে আছে। এই লোকটাকে যতবার দেখেছে কখনও এভাবে হম্বিতম্বি করতে দেখেনি হঠাৎ এর আবার কি হলো কে জানে। ও আর ভাবলো না। ফারজানা হকের সঙ্গে দুএকটা কথাবার্তা বলে চলে আসলো। জরুরি একটা ফোন আসার জন্য আরাফাত বিশেষ কাজে বাড়িতে চলে গেলো। আগামীকাল সকালে ফিরবে। হৈমন্তীকে সাবধানে থাকতে বলে গেছে।
_________________

বাসার ছাদে, বাগানে আড্ডা চলছে। ছাদে মেয়েরা আর বাগানে আবিরের বন্ধু আর কিছু কাজিনেরা গল্প জুড়েছে। সাধারণত বিশেষ অনুষ্ঠান ছাড়া কারো সঙ্গে এভাবে সাক্ষাৎ হয়না। হৈমন্তী সন্ধ্যায় ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়েছিল উঠলো চারঘন্টা পরে। বাগান থেকে হৈচৈ আসছে। পাশে অরিন নেই। হৈমন্তীকে কেউ বিরক্ত করতে চাইনি। এক মাসের মধ্যে মানুষ কতটুকুই বা সুস্থ হয়। রক্ত মাংসের শরীর মানুষের জোরজবরদস্তি সেখানে চলে না। হৈমন্তী ফ্রেস হয়ে বিছানায় গিয়ে বসলো। বাইরে যেতে ইচ্ছে করছে কিন্তু আলসেমির জন্য না গিয়ে ফোন নিয়ে বসলো। ডেটা অন করতেই মেসেঞ্জারে আওয়াজ শুরু হলো। কয়েকদিন ফেসবুকে যাওয়া হয়না। হৈমন্তীর বন্ধুদের নিয়ে একটা গার্লস গ্রুপ আছে। অরিন ওকে যোগ করেছিল সকলের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার জন্য। হৈমন্তী তেমন একটা মেসেজ চেক করে না কিন্তু আজ ইচ্ছা হলো। অরিন কিছু ছবি সেয়ার করেছে। হৈমন্তী ছবিগুলো ভালো করে দেখলো। কয়েক সেকেন্ড ছবিগুলোর দিকে তাঁকিয়ে ওর হাত পা কাঁপতে শুরু করলো। শরীর থরথর করে কাঁপছে। কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম এসে জমা হলো। হৈমন্তীর শরীর টলছে এই মূহুর্তে আবিরের সঙ্গে কথা বলা খুব জরুরি। ও খুব কষ্টকরে উঠে আসলো। বাগানে তখন আড্ডা বেশ জমে গেছে। টুংটাং গিটার বাজতেছে। বন্ধুরা গলা মিলিয়ে গান গাইছে। যদিও এটাকে গান বলা যায় না। ভূতুড়ে চিৎকার যাকে বলে। হয়তো আড্ডা জমানোর জন্য এই প্রচেষ্টা। হৈমন্তী হেলতে দুলতে নেমে আসলো। ডাইনিং রুম ফাঁকা সেখানে কেউ নেই। ফারজানা হক নিজের রুমে ঘুমিয়ে গেছে। হৈমন্তী কাঁপা কাঁপা পায়ে ওড়না মাথায় দিয়ে প্রায় দৌড়ে বাগানে গিয়ে পৌছালো। ওকে এভাবে হাঁপাতে দেখে গান বন্ধ করে সব উঠে দাঁড়িয়ে পড়ছে। হৈমন্তী আবিরের সামনে গিয়ে বলল,

> রুমে চলুন খুব দরকার আপনাকে। সময় নষ্ট করবেন না।

আবির বিস্মিত হয়ে প্রশ্ন করলো,

> হৈমি তুমি ঠিক আছো? এতো ঘামছো কেনো? কিছু হয়েছে? কেউ কিছু বলেছে?

আবির এক দমে প্রশ্ন গুলো করে থামলো। হৈমন্তী এভাবে দৌড়ে আবিরের কাছে আসার মানুষ না। হয়তো গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘটেছে। হৈমন্তী মুখটা মুছে ভীত কন্ঠে বলল,

> প্লিজ পশ্ন করবেন না। এখুনি চলুন আমি সব বলবো। অনেক কিছু বলার আছে। সর্বনাশ হতে চলছে।

আবির আর অপেক্ষা করলো না। ওর পেছনে পেছনে উঠে গেলো। বন্ধুদের মধ্যে রোহান ছিল। ও ভ্রু কুচকে আছে। হৈমন্তী দুদিনের চেনা আবিরকে নিজের ঘরে ঢেকে নিয়ে যাচ্ছে। রোহানের কেমন অপমান বোধ হচ্ছে।কোই ওতো ওর নিজের আত্মীয় ওকে তো কখনও কিছু বলেনা। বিপদের দিনে মেয়েটাকে ও সাহায্য করেছিল। হৈমন্তীর উপরে ওর বেজায় ক্ষোভ হচ্ছে। মনে মনে ভাবলো হৈমন্তী খুব স্বার্থপর মেয়ে। নিজের বিপদ উদ্ধার হয়ে গেছে আর অমনি উপযুক্ত ছেলে পেয়ে তাঁর ঘাড়ে ঝুলে পড়ার পাইতারা করছে। আন্টিকে বলতে হবে। যদি সেখানে কাজ না হয় তবে আবিরের বাবাকে বলবে। ছেলকে এই শিক্ষা দিয়েছে তাঁরা যে ছেলে একটা ডিভোর্সী মেয়ের পেছনে ঘুরছে। দেশে মেয়ের অভাব পড়েছে। কথাগুলো মনের মধ্যে ওর জট পাকিয়ে গেলো। পরবর্তীকালে খুব ভালো করে একটা খিচুরি পাকানো যাবে।

****
আবির হৈমন্তীর ফোনের দিকে তাঁকিয়ে আছে। কিছু বুঝতে পারছে না। সাধারণ একটা ছবি দেখে মেয়েটা কাঁপাকাপি করছে। হৈমন্তীকে আবির একটা চেয়ার টেনে বসিয়ে দিয়ে নিজে ওর পায়ের কাছে ফ্লোরে বসে পড়লো। ওর মুখের দিকে কিছুক্ষণ তাঁকিয়ে বলল,

> হৈমী,ছবিটা তো আমি অনেক আগেই দেখেছি। তাছাড়া ছবির মানুষকে তুমি সামনাসামনি কখনও দেখোনি?

হৈমন্তী মাথা নাড়িয়ে না বলল। আবির বুঝলো হৈমন্তীর বাইরে দিকে নজর কম। একটু উদাসীন টাইপের। তবুও বন্ধুর হবু বরকে দেখবে না এটা আবার কেমন কথা। কৌতূহলী হয়ে হলল,

> দেখোনি কেনো? অরিন নিষেধ করেছিল নাকি তুমি ইচ্ছে করে দেখোনি?

হৈমন্তী কাঁপাতে কাঁপতে বলল,

> ওদের পরিচয় অল্পদিনের। তাছাড়া আমি তো বাইরে কোথাও যেতাম না। বলেছিল আলাপ করাবে কিন্তু হয়ে উঠেনি। পরে আমি বলছিলাম একবারে দেশে ফিরে বিয়ের দিন দেখবো।

> আচ্ছা এবার আসল ঘটনা বলো। তুমি তো এমনি এমনি ভয় পাচ্ছ না। ওকে চিনো তুমি? বিস্তারিত না বললে কিভাবে হবে বলো? আমি কথা দিচ্ছি তোমার পাশে থাকবো।

হৈমন্তী আবিরের দিকে তাকিয়ে ভরসা পেলো। তারপর বলল,

> ওকে চিনি আমি। অনেক আগে থেকেই চিনি।

আবির এটাই আশা করেছিল। কিন্তু ছবির একে ও কোথায় দেখেছে? ওকে এভাবে ভয় পাবার কি কারণ বুঝতে পারলো না।

চলবে

ভুলত্রুটি মার্জনা করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here