#শেষ_থেকে_শুরু
কলমে: লাবণ্য ইয়াসমিন
পর্ব:৭
থমথমে মুখ করে বসে আছে হৈমন্তী। কিছুক্ষণ আগে আমেনা বেগম অরফে মিনারা বেগমের সঙ্গে কথা হয়েছে। দীর্ঘদিন পর মাকে কাছে পেয়ে আনন্দে পাগল হয়ে গিয়েছিল মেয়েটা কিন্তু এই খুশীটা বেশিক্ষণ টিকেনি। আমেনা বেগম মেয়েকে পেয়ে খুশী হয়েছেন তাতে সন্দেহ নেই কিন্তু মেয়ের মতিগতি বোঝার জন্য উনি ফরহাদের কথাগুলো ওকে মনে করানোর চেষ্টা করেছে। বিষয়টা হৈমন্তীর কাছে ভীষণ তিক্ত লেগেছে। সেদিন শপিংমলের ঘটনাগুলো আর মায়ের বলা কথা মেলানোর চেষ্টা করছে। মোটামুটি ভালো সন্দেহ হয়েছে। এরকম একটা ঘটনা ওর জানা আছে কিন্তু সেই মেয়েটা যে ও নিজেই এটা মনে নেই। হৈমন্তী বুঝলো শপিংমলের ওই লোকটার কথায় আম্মা বলেছে কিন্তু ওর মনে পড়ছে না কেনো বুঝতে পারছে না। মাথায় তীব্র যন্ত্রণা হচ্ছে। হৈমন্তী রাতে দরজা বন্ধ করে বসে থাকলো বের হলো না। পরপর তিন ভাই দরজা থেকে ফিরে গেলো। রাতে কারো খাওয়া হলো না। চয়নিকা শাশুড়ির উপরে বিরক্ত। ভদ্রমহিলা আসতে না আসতেই খেলা দেখানো শুরু করে দিয়েছে। রোহান ফোন করেছিল চয়নিকার সঙ্গে কথা বলার জন্য কিন্তু বাড়ির অশান্তির জন্য কথা বলতে পারেননি। ছেলেটাও গুরুত্বপূর্ণ কিছু বলতে ছেয়েছিল। খলিল সাহেব স্ত্রীকে যথাসম্ভব বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। শেষমেশ রেগেমেগে আরাফাতের রুমে গিয়ে ঘুমিয়েছে। আরাফত টেনশনে ডাইনিং রুমের সোফায় বসে রাত পার করে ফেলল। হৈমন্তী ভেতর থেকে সাড়া শব্দ করছে না। মাসুদ আরাফাতকে হুকুম দিলো দরজা ভাঙতে। দরজার মায়া করলে চলবে না। তবুও অপেক্ষা করে শেষমেশ ভোররাতে তিন ভাই মিলে ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করলো। হৈমন্তী ফ্লোরে পড়ে আছে। আরাফাত দৌড়ে গিয়ে ওকে ধরলো। ফ্লোরে কাচ পানি আর রক্তের ছড়াছড়ি। মেয়েটার পা বেশ কিছুটা কেঁটে গেছে। হয়তো পানি খেতে গিয়েছিল সামলাতে না পেরে জগ নিয়ে পড়ে গেছে। ওরা ভেবেছিল হয়তো মায়ের কথাগুলো শুনে দরজা আটকে বসে আছে। আরাফাত ওকে বিছানায় রেখে শুকনো ওড়না দিয়ে জড়িয়ে নিয়ে বেরিয়ে গেলো। মাসুদ গাড়ি বের করতে চলে গেছে। রাজীব ঘরে গিয়ে কিছু নগদ টাকা নিয়ে বেরিয়ে গেলো। একটা প্রাইভেট হাসপাতালের ডাক্তারের সঙ্গে ওর পরিচয় আছে তাকে ফোন করে বলে নিলো। আমেনা বেগম কান্নাকাটি করছেন। মেয়েটার কপালে সুখ নেই। জন্ম থেকে কপাল পোড়া। এই সেই বলে গুণগুণ করছে। চয়নিকার শাশুড়ির পাশে গিয়ে আস্তে করে বলল,
> আম্মা ভাগ্যের দোষারোপ করবেন না। আমাদের কৃতকর্মকে লুকানোর জন্য আমরা ভাগ্যকে দোষারোপ করি।
চয়নিকার কথাগুলো মনে হলো আমেনা বেগমের কাছে আগুন ঘী ঢালার মতো হলো। উনি কটমট দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললেন,
> তুমি আমার দোষ ধরছো?দুদিনের মেয়ে হয়ে শাশুড়ির দোষারোপ করছো তোমার সাহস দেখে আমি হতবাক হচ্ছি। আমার শাশুড়ি ছিলেন না আমি উনাকে দেখে ঠকঠক করে কাঁপতাম। এই জন্যই বলেছিলাম গ্রামের সাদা সরল মেয়েকে বিয়ে কর। শহরের মানুষের মনে শুধু প্যাচ। ছেলেগুলা একটাও আমার কথা শোনেনা।
চয়নিকা শাশুড়ির বকবক শুনে হতাশ। খুব আফসোস করলো কি জন্য যেচে কথা বলতে গিয়েছিল। এই ভদ্রমহিলাকে টাইট দেবার মতো একটা লোক খুব দরকার। চয়নিকা মনে মনে বলল,” আল্লাহ্ তাড়াতাড়ি আমার শাশুড়ি আম্মার হেদায়েতের ব্যবস্থা করে দাও আমিন”। এই ভদ্রমহিলার জন্য একটা লোক চাই।
____________________
টানা তিনঘন্টা হৈমন্তী অচেতন হয়ে পড়ে আছে। জ্ঞান ফেরার নাম নেই। হাতে সেলাইন চলছে। পা মোটামুটি কেটেছে তবুও পাঁচটা সেলাই দিতে হলো। দরজার বাইরে দুভাই চুপচাপ বসে আছে। আরাফাত দৌড়ে দৌড়ে ওষুধপত্রের ব্যস্থা করছে। সাধারণ পড়ে যাওয়ার জন্য এমন হয়নি। মেয়েটার বেশ কিছুদিন মাথায় যন্ত্রণা করছিল। পুরাতন সমস্যাগুলো আবারও দেখা দেওেয়ার সম্ভাবনা আছে এই ভয়ে সকলে কাটা হয়ে আছে। আরাফাত ডাক্তার কে সাহায্য করছে। আগের ঘটনা গুলো বলছে। আমেরিকার এক ডাক্তারের সঙ্গে এই ডাক্তারের ফোনালাপ করিয়ে দিলো। তিন ঘন্টা পেরিয়ে পাঁচ ঘন্টা হতে চললো মেয়েটা তেমনি পড়ে আছে। আবির এসেছে দুঘন্টা আগে। অরিন ফোন করেছি ফোনটা চয়নিকা ধরেছিল সেখান থেকে বিস্তারিত শুনে ভাইয়ের কাছে বলেছে। আবির দেরী করেনি বোনকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েছে। যদিও হৈমন্তীদের বাড়ির সঙ্গে ওদের তেমন একটা মাখোমাখো সম্পর্ক নেই। আরিণের সঙ্গে সকলের মোটামুটি ভালো চেনাজানা আছে। দুভাই বোনকে এভাবে হন্তদন্ত হয়ে বেরিয়ে আসতে দেখে ফারজানা হক স্বামীকে নিয়ে ওদের পেছনে পেছনে হাসপাতালে এসে হাজির। আপাতত হৈমন্তীর শুভকাঙ্খির অভাব নেই তবুও সব হাতের বাইরে। রাজীব নিজকে দোষারোপ করছে বোনের বিয়েটা দিয়ে তখন কি ভুল টাই না করেছিলেন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। মায়ের কথা শোনা উচিত ছিল না। উনি শুধু ছেলেদের কথায় ভাবেন মেয়েদের কথা ভাবেনা হয়তো। হৈমন্তীর বড়বোনকে দশম শ্রেণিতে থাকতে বিয়ে দিয়েছিলেন। চেনা জানা ভালো ছেলে ছিল তাই মেয়েটা সুখে আছে। কিন্তু হৈমন্তীর বেলায় ভিন্ন হলো। একবার মনে হচ্ছে কপালে ছিল তাই হয়েছে আবার মনে হচ্ছে বাল্য বিবাহ, সঙ্গে যৌতুকের অভিশাপ লেগে গেছে। যৌতুক দিয়েছিল বোনের সুখের কথা ভেবে। ফরহাদ চরিত্রবান হলে এতো কিছু হতোই না। ভালোমতো চাকরি করতো বোনটা ভালো থাকতো তাছাড়া রাজীব বোনের নামে বেশ কিছু টাকা জমিয়েছে ভেবেছিল ভাইবোনেরা সবাই মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত শুধু ছোট বোনটা বাদে। তাই ওর কিছু পাওনা থাকে সেই হিসেবে টাকাগুলো জমিয়ে রাখা। ফরহাদ ভালো হলে এসব নিয়ে খুব ভালো জীবন অতিবাহিত করতে পারতো। বাদরের গলাই মুক্তার মালা দিয়েছিল কদর করতে পারেনি। মাসুদ ঝিম ধরে বসে আছে। বোনের বিয়ের সময় ও দেশে ছিল না। মিশনে ছিল বাড়িতে তেমন কথা বলতে পারতো না। সময় কম পেতো সেই সুবাদে ওকে তেমন কিছু জানানো হয়নি। বড় ভাই আর মায়ের উপরে রাগ হচ্ছে কিন্তু প্রকাশ করতে পারছে না। মেয়েটার জীবন নরক বানিয়ে দিয়েছে। আগের স্বামীর বিয়োগ, গাড়ি দুর্ঘটনা, তাছাড়া প্রেগনেন্ট অবস্থায় মেয়েদের শরীর মন এমনিই খারাপ থাকে তারপর আবার ফরহাদের এমন আচরণ সব মিলিয়ে ভয় হৈমন্তীকে পেয়ে বসেছিল। বাচ্চা কিভাবে মানুষ করবে লোকজন কি ভাববে ওসব নিয়ে টেনশন ছিল। পরবর্তীকালে মাথায় সমস্যা দেখা দেয়। ডাক্তার বলেছিল সুস্থ হতে সময় লাগবে। হৈমন্তীর জ্ঞান ফিরছে না এই যন্ত্রণায় সব কাতর তারপর আবার আবির জুটেছে সঙ্গে। পাগলামি করছে। ডাক্তারকে সঙ্গে নিয়ে হৈমন্তীর পাশে বসে আছে। আরাফাত এই ছেলেকে চিনে বহুবার দেখা হয়েছে কিন্তু এই মূহুর্তে কথাবলতে ইচ্ছা করছে না। আবিরের পাগলামি দেখে মোটামুটি সবার ধারণা হয়েছে ছেলেটা হৈমন্তীকে পছন্দ করে। কিন্তু কেউ কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে না। ডাক্তার ঘনঘন হৈমন্তীকে চেকআপ করছে। কয়েকটা টেস্ট করতে দিয়েছিল সেগুলোর রিপোর্ট মোটামুটি ভালো।
**
দুদিন যমে মানুষের টানাটানির পরে হৈমন্তীর জ্ঞান ফিরল। এই দুদিন আবির আরাফাতের সঙ্গে হাসপাতালে আছে। অরিন হৈমন্তীর পাশে থেকেছে। রাজীব আর মাসুদ মাঝেমাঝে বাড়িতে গিয়েছে কিন্তু ওরা তিনজন এখানে ঘাপটি পেতে আছে। চয়নিকা রনির জন্য হৈমন্তীর কাছে থাকতে পারছে না। অরিণের ভরসাতে ও বাড়িতে আছে। তবে মাঝেমাঝে দেখে যাচ্ছে। হৈমন্তীর মা এখনো মেয়েকে দেখতে আসেনি। রাজীব ইচ্ছা করে আনেনি। আবির আছে ওকে দেখলে আমেনা বেগম ক্ষেপে যাবে। হৈমন্তী পিটপিট করে চোখ খুলে আবারও চোখ বন্ধ করে ফেলল। শরীর বেশ ক্লান্ত দুদিন খাওয়া হয়নি। চোখে আলো লাগছে। ওকে নড়াচড়া করতে দেখে সকলেই ওর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। অরিন হৈমন্তীকে ডাকতে চাইলো কিন্তু ডাক্তার ওকে ইশারায় নিষেধ করলো। হৈমন্তী আশেপাশে তাঁকিয়ে নিজের দিকে তাঁকালো তারপর ডান হাতটা নিয়ে পেটের উপরে রাখলো। বাম হাতে ক্যানোলা করা আছে। হৈমন্তী পেটে হাত রেখে কেঁদে ফেলল। আশেপাশের সকলের মুখে চিন্তার রেখা। হৈমন্তী কান্না থামিয়ে পাশে তাঁকিয়ে অরিনের হাত ধরে আস্তে করে বলল,
> আমি ঠিক আছি। কিন্তু তুমি তো ঠিক নেই। বিয়ে না তোমার? চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে। দেখতে পচা লাগলে।
অরিনের ওষ্ঠে হাসি ফুটলো। মেয়েটা ওকে ভূলে যায়নি মানে ওর আগের কিছু মনে পড়েননি ভাবলো। হৈমন্তী পাশে আবিরকে দেখে সামান্য হেসে বলল,
> আপনি চিনতে পেরেছেন আমাকে?
আরাফাত বাইরে ছিল ও ভেতরে এসে দাঁড়িয়েছে। হৈমন্তী আবিরকে আগে থেকে চিনে কিন্তু মাঝখানে কিছু মনে ছিল না। আবির ও আগ বাড়িতে ওকে মনে করানোর চেষ্টা করেনি। বিষয়টা কেমন ঘোলাটে লাগছে। আরাফাত জানে বিষয়টা। রাজীবের কৌতূহল লাগছে কিন্তু প্রকাশ করলো না। ও বোনের পাশে গিয়ে বসলো। হৈমন্তীর উঠে বসতে গেলো কিন্তু হলো না। ভাইয়ের দুহাত জড়িয়ে ধরে ফুপিয়ে উঠলো। রাজীব বহু কষ্টে চোখের পানি আড়ার করে রেখেছে। হৈমন্তী ভাইয়ের মুখের দিকে তাঁকিয়ে কান্না থামিয়ে বলল,
> তোমার কোনো দোষ নেই ভাইয়া। ভেবে নাও আমার নিয়তিতে কষ্ট লেখা ছিল। যা হচ্ছে হতে দাও। প্রমিজ আমি আর তোমাদেরকে কষ্ট দিবো না। নিজেকে সামলে নিব।
হৈমন্তীর মাথার কাছে মাসুদ আর আরাফাত দাঁড়িয়ে আছে। হৈমন্তী ওদের সঙ্গে কথা বলতে পারলো না। শুধু হাসলো। তারপর আবারও চোখ বন্ধ করে ফেলল। রাজীব বোনের মাথায় হাত রেখে কয়েকবার ডাকলো কিন্তু সাড়া পেলো না। ডাক্তার পাশেই আছে। উনি চেক করে বললেন আবারও অচেতন হয়ে গেছে। রাজীব ডাক্তারকে বলল,
> আপনি কিছু বুঝেছেন?
> রোগীর স্মৃতি থেকে যা মুছে গিয়েছিল হয়তো তার কিছু কিছু মনে পড়ছে। হঠাৎ ব্রেনে চাপ পড়ছে তাই এমন হচ্ছে। চিন্তা করবেন না। ও নিজ থেকে যেটুকু বলে সেটুকুই শুনতে হবে। অতিরিক্ত জিঞ্জাসাবাদের দরকার নেই। সময় লাগলে ঠিক হতে।
> আচ্ছা।
আবির বেশ খুশী হলো হৈমন্তী ওকে চিনতে পেরেছে। সেদিনের সেই ঘটনা ওর চোখের সামনে জীবন্ত হয়ে আছে। আবির পড়াশোনা শেষ করে তিন বছর আগে দেশে ফিরেছে। এই তিন বছরে মেয়েটাকে একটুও ভৃলে যায়নি। রাজীবের কথা শুনে আবিরের ধ্যান ভাঙলো।
> হৈমন্তীর সঙ্গে তোমার পরিচয় কিভাবে?
> সে আনেক কথা। হৈমন্তী সুস্থ হলে ও নিজেই বলবে চিন্তা করবেন না।
> তোমাদের দুভাইবোনকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে চায়না আমাদের বিপদে তোমরা যেভাবে পাশে আছো।
আবির শুধু হাসলো। ধন্যবাদের জন্য ও এখানে আসেনি । শুধু হৈমন্তীর জন্য এখানে পড়ে আছে। মেয়েটা সুস্থ হলে শান্তি। অরিণ নিজের বিয়ের ডেট পযর্ন্ত পিছিয়ে দিয়েছে। হৈমন্তী সুস্থ হলে বিয়ের অনুষ্ঠান হবে নয়তো কোনো অনুষ্ঠান হবে না। এমনি বিয়ে হবে। দুভাইবোনকেই আরাফাতের পাগল বলে মনে হয়। এতো ইমোশন এদের মধ্যে কিভাবে আসে ভেবে পাইনা। তার সঙ্গে জুটেছে এদের মা। আরাফাত শুধু ওদেরকে লক্ষ করছে। ভাবে যেমন মা তেমনি তাদের ছেলেমেয়ে। ওদের জন্য ভদ্রমহিলা সকাল সন্ধ্যায় খাবার নিয়ে হাজির হচ্ছে। দেখাশোনা করছে। মনে হচ্ছে হৈমন্তীর ওদের বাড়ির একজন। এমন একটা পরিবারে যদি তখন মেয়েটার বিয়ে হতো কতো ভালোই না হতো। পৃথিবীর সব ভাইয়েরা বোনের সুখ চাই। ভাই বোনের সম্পর্কের মতো এতো মধুর সম্পর্ক হতেই পারেনা। আরাফাতের চোখ জ্বালাপোড়া করে। ছেলেদের যে কাঁদতে মানা। তাই চিৎকার করে কাঁদতে পারেনা। উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনার সময় প্রেম আসে আরাফাতের জীবন। মেয়েটার বিয়ে হয়ে যায়। আমেনা বেগম চাইলে মেয়ের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পারতেন কিন্তু বলেননি। তাই রাগে ক্ষোভে বড় ভাইয়ের সাহায্যে দেশের বাইরে চলে গিয়েছিল। বিয়ের উপযুক্ত সময় পেরিয়ে যেতে বসেছে অথচ বিয়ের কথা ভাবতে পারেনা। সেসময় হৈমন্তী বেশ ছোট ছিল তবুও ভাইয়ের জন্য সেকি কান্নাকাটি। কথাগুলো ভেবে আরাফাত দীর্ঘশ্বাস ফেলল।
চলবে
ভুলত্রুটি মার্জনা করবেন। বোনাস পর্ব রাতে দেওয়ার চেষ্টা করবো।
আসুন নামাজ ও কোরআন পড়ি।