#শূন্যতায়_পূর্ণতা
#হীর_এহতেশাম
||পর্ব-০৩||
★দ্রুত গতিতে হাসপাতালের বিছানা ছেড়ে উঠে বসে ফারহিন। ভয়ে বুকের ভেতর ঢিপঢিপ শব্দ ক্রমাগত বেড়েই চলছে। নিজের দিকে তাকাতেই পরনে পেশেন্টের পোশাক দেখে অনেকটা বিচলিত হলো। বেড ছেড়ে নামার জন্য পা নামাতেই দরজায় কারো নকের শব্দ হলো। ফারহিন মৃদুস্বরে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দিলো। একজন নার্স প্রবেশ করলো। ফারহিন কে দেখে মৃদু হেসে বলল-
“-এখন কেমন আছেন?
“-ঠিক আছি। আমাকে কে এডমিট করালো?
“-তাতো জানিনা। আমি তো একটু আগেই ডিউটি শুরু করেছি। আপনি জামাকাপড় বদলে নিন। আমি দেখছি বাহিরে কেউ আছে কি না।
শপিং ব্যাগ এগিয়ে দিলো নার্সটি। শপিংব্যাগ এ নতুন জামা কাপড় দেখে ফারহিন পিছু ডাকলো-
“-এইগুলো আমার পোশাক না। আমি কলেজ ড্রেস পরা ছিলাম।
“-ওটা তো ক্লিন করা হয়েছে। ওটাতে..
“-বুঝেছি। কিন্তু এসব কে দিলো?
“-আপনি রেডি হয়ে নিন, আমি বাহিরে দেখছি আপনার পরিচিত কেউ আছে কি না তার কাছ থেকেই জিজ্ঞেস করে নেবেন।
“-আচ্ছা।
ফারহিন জামাকাপড় বদলে নিলো। লম্বা চুল গুলো বিনুনি করার সময় হঠাৎ দরজা খোলার শব্দে ফারহিন থেমে গেল। ফারহানা এসেছে ভেবে ফারহিন পিছু ফিরতে ফিরতে বলল-
“-এসেছিস তুই..
আরশ কে রুমে প্রবেশ করতে দেখে ফারহিন থেমে গেল। সে ভেবেছিলো ফারহানা এসেছে৷ আরশ কে দেখে ভ্রু কুঁচকালো। বিচলিত কন্ঠে প্রশ্ন করলো-
“-কে আপনি?
আরশ চুপ করে রইলো৷ মেয়েটির সামনে এলেই আরশ কথা বলতে ভুলে যায়। প্রশ্নের জবাব দিবে দিবে করে পেরিয়ে গেল অনেকটা মুহুর্ত। আরশ এক দৃষ্টিতে তাকিয়েই রইলো। পরশুই তো দেখা হলো আর আজ ফারহিন চিনতে পারছে না? কয়েক ঘন্টা আগেও তো ফারহিনের সাথে কথা হয়েছে। এত অল্প সময়ে আরশের চেহারা কী করে ভুলে গেল ফারহিন? আরশকে চুপ থাকতে দেখে ফারহিন বিরক্ত হলো। বিরক্তির সুরে বলল-
“-কে আপনি? এখানে কি করছেন?
ফারহিনের দিকে তাকিয়েই উত্তর দিলো সে-
“-আরশ শিকদার!
“-এখানে কি করছেন?
“-আপনাকে আমিই এডমিট করিয়েছি। আপনি করিডোরে..
“-ওহ্ বুঝতে পেরেছি। থ্যাংক ইউ। আমার ফ্রেন্ড কে একটু ডেকে দেবেন ও হয়তো বাহিরে আছে।
“-নেই!
“-নেই মানে? ভ্রু জোড়া কুঁচকে বিচলিত কন্ঠে প্রশ্ন করলো ফারহিন।
“-কলেজ টাইম শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাই আমি ওকে পাঠিয়ে দিয়েছি। আর যে এক্সিডেন্ট করেছে তার ফ্যামিলিও এসে গেছে। এখানে ওর কোনো কাজ ও ছিলো না। এমনিতেই লেট হচ্ছিলো।
“-ওহ্!
ফারহিন কে এভাবে, এই অবস্থায় ফেলে ফারহানা চলে গেল? এটা ফারহিন আশা করেনি। লেট তো ওর ও হয়েছে।
ফারহিন কে চুপ থাকতে দেখে আরশ শান্ত কন্ঠে বলল-
“-আপনাকে পৌঁছে দিই আসুন।
“-আমি যেতে পারবো।
“-ঘড়ি ৮টার পথে।
ফারহিন চমকালো। রাত আটটা পর্যন্ত বাহিরে ও! বাবাকে কি জবাব দেবে?
“-এত সময় হয়ে গেল। বাবা তো এতক্ষণে বাড়ি চলে এসেছে হয়তো। বিড়বিড় করে বলল ফারহিন।
আরশ ফারহিনের দিকে তাকিয়ে বলল-
“-আসুন পৌঁছে দিই।
ফারহিন পূর্ণ দৃষ্টিতে তাকালো। আরশের সাথে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। চুপচাপ আরশের কথায় সম্মতি প্রদান করলো ফারহিন।
হসপিটাল থেকে বের হওয়ার সময় ফারহিন ধাক্কা খেল। ঘুরে দাঁড়াতেই দেখলো ইশান। ইশান ফারহিন কে দেখে অবাক হলো। হাসি মুখে বলল –
“-আরে ফারহিন তুমি এখানে? কি হয়েছে? সব ঠিক আছে তো?
“-হুম আছে। বিরক্তি নিয়ে জবাব দিলো ফারহিন।
“-কতদিন পর দেখা! কেমন আছো? ইশান এগিয়ে এসে ফারহিনের হাত ধরতেই ফারহিন ছাড়িয়ে নিলো। বিরক্তিভরা কন্ঠে বলল-
“-তোমার কি আর কাজ নেই? এভাবে হুটহাট গায়ে হাত দাও কেন?
“-ফারহিন এভাবে রিয়েক্ট করছো কেন? আমি তো…
“-কি তুমি? দূরে থাকো। তোমার জন্য এর আগেও অনেক সমস্যায় পড়েছি আমি।
“-ফারহিন!
কিছু বলার আগেই ফারহিন চলে গেল। আরশ ছেলেটির দিকে একবার তাকিয়ে ফারহিনের পিছু নিল।
★মাথায় হাত দিয়ে ড্রয়িংরুমে বসে আছে দিদার হাসান। ফারহিনের ক্লাস টিচার কে ফোন করেছিলো, তিনি জানালো ফারহিন আজ কলেজ আসেনি। দিদার হাসান নিজের ফোন চেক করতেই দেখলো আসলেই ফারহিন আজ কলেজ যায়নি। ফারহিনের এবসেন্ট এর মেসেজ এসেছিলো। নিকটবর্তী থানার ওসিকে ডেকে ফারহিন কে খোঁজার দায়িত্ব দিলো। নিজের কয়েকজন চেনা পরিচিত লোককেও ফারহিন কে খোঁজার দায়িত্ব দিয়েছে। মেয়ে না আসা পর্যন্ত দিদার হাসান বিন্দু মাত্র শান্ত হয়ে বসতে পারবেন না। বসা থেকে উঠে ড্রয়িংরুমে পায়চারী শুরু করেছে তিনি। ঘড়ির দিকে তাকাতেই দেখলো ৮ঃ৩৫! মেয়েটা কোথায় যে আছে কে জানে? দরজার দিকে বার বার তাকাচ্ছে দিদার হাসান৷ সোফায় বসে দু’হাতে মাথা চেপে ধরে উপরে তাকাতেই দেখলো হন্তদন্ত হয়ে এগিয়ে আসছে কাদের শিকদার। নিজের সবচেয়ে কাছের বন্ধুকে দেখে দিদার হাসান সোফা ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো৷ কাদের শিকদার এগিয়ে এলেন। বললেন-
“-কিরে এই হাল কেন তোর?
“-মেয়েটা কোথায় যে গেল, কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না।
“-তুই অস্থির হোস না। এসে যাবে।
“-সাড়ে আটটা বাজে। এতক্ষণ পর্যন্ত আমার মেয়ে বাহিরে থাকে না কাদের।
“-আচ্ছা আমি দেখছি। তুই শান্ত হয়ে বোস।
গেইটের সামনে এসে হর্ণ বাজাতেই দারোয়ান গাড়িতে থাকা ফারহিন কে দেখে দরজা খুলে দিলো। গাড়ি বাড়ির ভেতর প্রবেশ করলো। পুরো রাস্তায় ফারহিন চুপ ছিলো। আরশ ও কোনো কথা বলেনি। আড়চোখে কয়েকবার ফারহিন কে দেখেছে। ফারহিনের চেহারায় অস্থিরতার ছাপ দেখে আরশ দ্রুত গাড়ি চালিয়েছে।
গাড়ির হর্ণের শব্দ শুনে দিদার হাসান, কাদের শিকদার, সালমা সবাই বেরিয়ে এলো। গাড়ি থেকে ফারহিন কে নামতে দেখে দিদার হাসান এগিয়ে এসে ঝাপটে জড়িয়ে ধরলো মেয়েকে।
“-কোথায় ছিলে তুমি? এত রাত অবধি কেন বাহিরে ছিলে?
“-বাপি আমি…
দিদার হাসানের চোখ আটকে যায় আরশের দিকে। ফারহিন কে ছেড়ে একটু এগিয়ে গেল।
“-তুমি কে?
“-আম.. নিজের পরিচয় দেওয়ার আগেই আরশ দেখলো তার বাবা দাঁড়িয়ে আছে। আরশকে দেখে তিনি অবাক হলেন। এগিয়ে এসে বললেন-
“-তুমি এখানে?
“-ওকে দিতে এসেছিলাম।
“-ও তোমার সাথে ছিলো? ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করলো কাদের শিকদার।
“-না! আমার সাথে হসপিটাল এ দেখা হয়েছিলো। ওনার ফ্রেন্ডের এক্সিডেন্ট হয়েছিলো তাকে নিয়েই হসপিটাল গিয়েছিলো। আর ওখানে রক্ত দেখে অসুস্থ হয়ে পড়ে। একটু আগে রিলিজ হয়েছে। রাত অনেক হয়ে গিয়েছিলো তাই আমি একা ছাড়িনি তাছাড়া ওনার সাথে কোনো ফোন ও ছিলো না।
ছেলের দিকে প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো কাদের শিকদার। এত সুন্দর করে জবাব দিলো তাও আরশ!! কেউ মরে পড়ে থাকলেও যেখানে আরশের বিন্দুমাত্র দয়া হয়না সেখানে অচেনা একটা মেয়ের জন্য এত কিছু করলো? নিজের ছেলেকে কাদের শিকদার ভালো করেই চেনেন। আর প্রথম দেখাতেই আরশ কারো প্রতি এত দায়িত্ব পালন কখনোই করবেনা তা কাদের শিকদারের জানা কথা। কাদের শিকদার এর ভাবনায় ভাঙন ধরিয়ে দিদার হাসান প্রশ্ন করলো –
“-ওকে চিনিস তুই?
কাদের শিকদার তাকালো। তারপর আরশের দিকে তাকিয়ে বলল-
“-আমার একমাত্র ছেলে বলে কথা চেনাটা স্বাভাবিক।
“-তোর ছেলে? বাহ্! কত বড় হয়ে গেছে। আচ্ছা ভেতরে আয়। এসো তুমি। আরশের দিকে তাকিয়ে বলল দিদার হাসান।
“-ইটস ওকে। আমার কাজ আছে আপনারা বসুন। আরশ ভেতরে যেতে আপত্তি জানালো। কাদের শিকদার বলল-
“-এতদূর এসেছো বাসায় এসে কিছুক্ষণ বসো। আমার অনেক পুরোনো একজন বন্ধু। প্রথমবার এসেছো ভেতরে না আসলে খারাপ দেখাবে।
“-ওকে।
অবাক হলো কাদের শিকদার। এই প্রথম আরশ কোনো কথা একবার বলাতেই শুনেছে। আরশের দিকে তাকিয়ে রইলো তিনি। ছেলের এমন পরিবর্তন তাকে ভাবাচ্ছে। আরশ দরজায় গিয়ে থমকে দাঁড়ালো। পুরো বাড়ি একবার চোখ বুলিয়ে প্রবেশ করলো বাড়ির ভেতরে।
কাদের শিকদার অবাক, স্তব্ধ। আজ পর্যন্ত এত অনুষ্ঠান, এত পার্টি, কখনো কারো ইনভাইটেশন এক্সেপ্ট করেনি আরশ। সবাই জানে কাদের শিকদারের একটা ছেলে আছে। সে দেখতে কেমন, কত বড় হয়েছে তা কেউই জানেনা। দিদার হাসান এত ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়েও জানতো না সেখানে বাহিরের লোক বিলাসিতা। আরশ কখনো কারো সামনে আসেনি। নিজেকে সবসময় নিজের রুমে আবদ্ধ করে রাখতো। একা থাকাকেই আরশ নিজের এক মাত্র সঙ্গী করে নিয়েছিলো। বদ্ধ পরিবেশ, নিজের ঘর ছেড়ে এই প্রথম আরশ কারো বাসায় এলো। নিজেকে সবার আড়াল করে রাখা আরশ নিজের গন্ডি পেরিয়ে লোকালয়ে পা রাখার মত একটা অবস্থা। কাদের শিকদার নিজের ব্যবসা বাণিজ্য ছেলের হাতে তুলে দিয়েছিলো বছর তিনেক আগে। আরশ এত কঠোরভাবে তা সামলাচ্ছে যা হয়তো কেউ পারবেনা। নিয়মমাফিক একটি জীবন যাপনে অভ্যস্ত আরশ। অফিস থেকে বাসায় এসে নিজেকে সময় দেওয়া। আরশের পুরো দুনিয়ায় আরশ ছাড়া কাউকেই সে কখনো প্রবেশ করতে দেয়নি। নিজের একটি আলাদা জগত বানিয়ে সেখানেই আরশ বসবাস করতে শুরু করেছিলো। এই সম্পুর্ন কাজে কাদের শিকদার নিজেকে ভীষণভাবে দায়ী করে। কাদের শিকদার মনে করে নিজের কারণেই তার ছেলে এমন একরোখা, বদমেজাজী হয়ে উঠেছে। বাবার সাথেও আরশ খুব একটা প্রয়োজন ছাড়া কথা বলে না।
★বন্ধু বলতে তীব্র সবসময় আরশকেই সবার আগে প্রাধান্য দিয়েছে। ছোট থেকেই তারা একসাথে। তীব্র একজন সাইকিয়াট্রিস্ট। আজ হঠাৎ রাতের বেলায় আরশ দেখা করতে চাইলো। তীব্র আরশকে অনেক বার ফোন করেছিল। কিন্তু আরশ ফোন রিসিভ করেনি। তীব্র আরশ কে কিছু জানাতে চায়। তীব্রের মনের কথা আরশ কে বলতে চায়। তীব্র জানাতে চায় একটা মেয়েকে তার মনে ধরেছে ভীষণ ভাবে। বাসা থেকে বের হতেই দেখলো আরশ দাঁড়িয়ে। পরনে কালো শার্ট, ছাই রঙের প্যান্ট। হাতে কালো চেইনের ঘড়ি। গাড়ির ফ্রন্ট সাইডে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তীব্র বেরিয়ে এলো। আরশের পাশে দাঁড়িয়ে বলল-
“-কি ব্যাপার এত রাতে জরুরী তলব?
আরশ কিছু বললো না। সিগারেটে একের পর এক টান দিয়ে সিগারেট শেষ করলো। আর একটা সিগারেট ধরানোর জন্য প্যাকেট খুলতেই তীব্র আটকালো।
“-এত সিগারেট খাস না। মরে যাবি..
আরশ তাকালো। হাসল! বলল-
“-আমি মরবো না। এত সহজে না।
“-বলা যায় না। যে পরিনাণ সিগারেট খাস তাতে তোর টিকে থাকা মুশকিল।
“-আমি টিকে থাকতে চাই। আজীবনের জন্য অমর হতে চাই।
“-হঠাৎ এত বেঁচে থাকার আগ্রহ জন্মালো যে?
আরশ তাকালো। তির্যক দৃষ্টি। ভ্রু কুঁচকে বলল-
“-কেন জন্মাতে পারেনা?
“-তা পারে। কিন্তু কি দেখে এত আগ্রহ জন্মালো তা জানতে পারি?
আরশ চুপ করে রইলো। হাতে বাধা রুমালটির দিকে তাকালো। বলল-
“-আদর,যত্নের প্রতি আমার চরম লোভ।
“-এই লোভ টা দেখালো কে?
“-প্রণয়িনী।
“-কে সে?
“-এক মায়াবী নারী।
আরশের চোখ মুখে এই প্রথম প্রশান্তির ছাপ দেখে তীব্র নিজের মনের কথা মনেই চেপে রাখলো। আজ নিজের কথা বলবেনা! আজ শুধু শুনবে, আরশের মনের কথা, আরশের মায়াবী নারীর কথা। নিজের কথা থাক।
★আমাকে ফেলে তুই চলে গেলি কীভাবে? এই তোর বন্ধুত্ব?
ফোনের ওপাশ থেকে চেঁচিয়ে উঠলো ফারহিন। ফারহানা ফোন কান থেকে হালকা দূরে সরালো! চোখ মুখ খিচে বলল-
“-তুই বেহুশ হলি কেন? ওইদিন ও এক লোকের উপর দরদ দেখাতে গিয়ে বেহুশ হতে হতে বাঁচলি। যেখানে জানিস রক্ত দেখলে তোর সহ্য হয়না সেখানে তোর এত দরদ দেখাতে হবে কেন?
“-তুই চুপ কর। আমি বেহুশ হলেই কি তোর আমাকে রেখে চলে যেতে হবে? এই শিক্ষা কোথায় পেলি?
“-এই চুপ কর। একা রেখে আসিনি একটা ভাইয়া ছিলো না?
“-উনি যদি আমাকে নিয়ে বেচে দিতো?
“-তুই কোন স্বর্ণের খনি রে! যে তোকে নিয়ে বেচে দেবে?
ফারহিন থতমত খেল। বলল-
“-যাইহোক আর এভাবে ফেলে যাবিনা আমাকে।
“-কেন যাবো না? তুই যদি আর কোনোদিন কারো উপর দরদ দেখাতে যাস তাহলে আমি তোকে ফেলে আজীবনের জন্যই চলে আসবো।
“-মানুষের সাহায্য করবো না?
“-ওরা তোর কাছে সাহায্য চায়নি। আর যেখানে নিজেই আধমরা হয়ে যাস সেখানে অন্যকে সাহায্য করার কথা ভাবাটা বিলাসিতা। আর দয়া করে এমন কাজ আর করিস না।
“-চেষ্টা করবো।
“-বাসায় কিছু বলেছে আঙ্কেল?
“-না! ওই লোকটা কাদের আঙ্কেলের ছেলে ছিলো।
“-হোয়াট এ কো ইন্সিডেন্ট!!
“-হুম।
“-এবার যা ঘুমা।
“-ঘুম আসবেনা।
“-তাহলে আমার মাথা খাওয়া বন্ধ কর। কারণ বেহুশ তুই হয়েছিলি আমি না। আমার ঘুমের দরকার।
“-যা যা আল্লাহ হাফেজ।
“-আল্লাহ হাফেজ। বলেই ফোন রেখে দিলো ফারহানা।
চলবে….???
||ভুল ক্রুটি মার্জনা করবেন! রাইটিং ব্লকে পড়ে লেখালেখি একদম হচ্ছিলোই না। অবশেষে এই গল্প নিয়ে ফিরে এলাম। ধন্যবাদ!||