#শুরুটা_অন্যরকম
#পর্ব_২৩
#অধির_রায়
— আমি আমি এ খাম দিয়ে কি করব?
— খাম দিয়ে কিছু করতে হবে না৷ এখন খামটা খুলে দেখো। এখানে কি লেখা আছে?
নির্বণ খামটা খুলে দেখে দুইটা সুইজারল্যান্ডের টিকেট। একটা নির্বণের নামে, অন্যটা নিয়তির নামে। পাঁচ দিনের জন্য টিকেট কেটে রেখেছেন নির্বণের মা৷
— মা এখানে তো আমার আর নিয়তির সুইজারল্যান্ডের টিকেট।
— হ্যাঁ, আমি তোমাদের হানিমুনের ব্যবস্থা করেছি৷ ছয় দিন পরেই তোমাদের ফ্লাইট। আমি কোন অজুহাত শুনতে চাইনা৷
— মা তুমি জানো আমাকে অফিসে অনেক কাজ করতে হয়৷ আমি না থাকলে অফিসে কেউ তেমন কাজ করে না৷
— সেসব নিয়ে তোমায় ভাবতে হবে না৷ আমি সব সামলে নিব।
— নির্বণ আশ্চর্য হয়ে, “মা তুমি এই শরীরে অফিস জয়েন্ট করবে৷ প্লিজ মা এমন করো না, তুমি অসুস্থ হয়ে পড়বে আবার৷ আমি তোমাকে হারাতে পারব না৷
কথাগুলো বলার সময় নির্বণের গলা ধরে আসছিল।
— যদি সৃষ্টি করে চান তাহলে আমার কোন ক্ষতি হবে না৷ ডাক্তার তো বলে দিয়েছিল আমার আয়ুষ্কাল মাত্র ৩০ দিন। বাট আমি এখনো বেঁচে আছি৷ আমাকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে না৷
— মা তুমি সব আমাকে ব্লাকমেইল কেন কর? তোমার কিছু হলে আমি নিজেকে ঠিক রাখতে পারব না। আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি। তোমার জন্য আমি আমার জীবন উৎসর্গ করতেও দু’বার ভাবাবো না৷
_________
নিয়তি, নিয়তির বাবা, নির্বণ, নির্বণের মা এক সাথে অফিসে প্রবেশ করে। তাদের সকলকে এক সাথে প্রবেশ করতে দেখে সকলের মুখে হাসি।সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছেন তাদের মালকিন নির্বণের মাকে দেখে৷ সবাই দাঁড়িয়ে সম্মান জানায়।
নির্বণের মায়ের হুকুমে সবাই বড় একটা হল রুমে একত্রিত হয়৷ নির্বণের মা সকলের উদ্দেশ্যে বলে উঠেন, ” আজ থেকে আমি আর নিয়তির বাবা এই কোম্পানি দেখাশুনা করব৷ আর তোমাদের স্যার এন্ড তোমাদের ম্যাম কিছুদিনের জন্য দেশের বাহিরে যাবে। যতদিন ব্রেক না করছে ততদিন আমরাই এই কোম্পানি পরিচালনা করব৷”
নির্বণের মায়ের বক্তব্য শুনে সকলেই হাত তালি দেয়৷ নির্বণ একে একে সবাইকে সব কাজ বুঝিয়ে দেয়৷
— নিয়তি বলে উঠে, ” আপনারা এই সময় বসে থাকবেন, রেস্ট নিবেন। আমাদের জন্য ইশ্বরের কাছে প্রার্থনা করবেন৷”
— নির্বণের না অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলে উঠে, ” আমি তোমাদের জন্য এই সিদ্ধান্ত এজন্য নিয়েছি যেন আমি নাতি বা নাতনির মুখ দেখতে পাই৷”
— “মা সেটা আপনার ছেলেকে বলেন৷ আমি কিছু জানি না৷”
নিয়তি লজ্জা পেয়ে রুম থেকে বাহিরে চলে যায়৷ নির্বণ এবার বিপদের মুখোমুখি। নির্বণের দিকে চোখ পাকিয়ে তাকিয়ে আছে তার মা৷ তার মা হলে মেনেজ করে নেওয়া যেত৷ ড্যাবড্যাব করে তার শ্বশুর মশাইও তাকিয়ে আছে।
— নির্বণ আমতা আমতা করে বলে উঠে, ” আসলে মা আমার একটা জরুরি কাজ পড়ে গেছে। আমি এখনি আসছি৷”
নির্বণ কোন রকম নিজেকে বাঁচিয়ে নিয়ে রুম থেকে চলে আসে৷ নির্বণের মা আর নিয়তির বাবা অট্ট স্বরে হাসি দেয়৷
________
রাতের আঁধারে নিয়তি পেটের উপর হালকা কারো স্পর্শ পেয়ে জেগে উঠে। ঘুম ঘুম স্বপনে তাকিয়ে দেখে নির্বণ নিয়তির পেটে ট্যাটু একে যাচ্ছে৷ নিয়তি লাফ দিয়ে উঠে পড়ে।
— কিছুটা ক্ষেপে বলে উঠে, ” আপনি এসব কি করছেন? সকলের নজর এখন থেকে আমার পেটের উপর থাকবে।”
— কেউ দেখতে পারবে না। কাদের এত বড় সাহস আছে, আমার নিয়তির দিকে নজর দিতে। চোখ তুলে ফেলবো।
— আপনি আমার পেটে ট্যাটু আর্ট করছেন কেন?
— আমি তোমার পেটে ট্যাটু আর্ট করিনি৷ আমার বেবিকে ওয়েলকাম জানাচ্ছি। চুপচাপ কোন কথা বলবে না৷
— ভাগাড়ে গিয়ে মারা যান৷ আপনি একটা লুচু পোলা৷ আগে ভাবতাম আপনি খুব ভালো একজন মানুষ৷ দিনে দিনে আপনি এত লুচু টাইপের পোলা হয়ে যাচ্ছেন যে, “কইতেও শরম লাগে।” লজ্জা লজ্জা মুখ করে বলে উঠে।
— নিয়তির পেটে শুরশুরি দিয়ে, ” আমি এখনও কোন লুচু কাজ করিনি৷ আর তোমার মম্ আমাকে লুচু বানিয়ে দিল। তুমি তোমার মমকে বকে দাও৷”
— নিয়তি হেঁসে , ” এই আপনি বার বার এমন করেন কেন? আমার ঘুমটা না ভাঙানো অব্দি আপনার শান্তি হয়নি৷ এখন আমার সাথে অসভ্যতামি শুরু করলেন?”
— নিয়তিকে চোখ মেরে, ” তুমি মাকে কি বলেছিলে? তুমি তো বলেছিলে ‘আসবে তোমার কোলে ছোট সোনা’ সেটা আমি জানি৷ তাই আমি আমার ছোট সোনার আসার ব্যবস্থা করছি৷”
— নিয়তি চোখ পাকিয়ে, ” আমার ঘুমের বারোটা বাজিয়ে এখন আসছে আহ্লাদ দেখাতে৷ আমি ঘুম আসবো৷ আমাকে বিরক্ত করবেন না৷”
নিয়তি কম্বল টেনে নিজেকে মুড়িয়ে নিয়ে শুয়ে পড়ে৷ নির্বণ নিয়তিকে জড়িয়ে ধরে ধীরে ধীরে কম্বলের নিচে চলে যায়৷
— নিয়তির দুই হাত বিছানায় চেপে ধরে গলায় নাক ঘেঁষে, ” তুমি আমার ঘোর লাগানোর বর্ষা৷ তোমাকে কাছে পেলে আমি নিজের কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলি৷”
নিয়তি নির্বণের নেশা ভরা কন্ঠের মায়াজালে আটকে পড়ে৷ নিয়তি কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে। নিয়তি বুঝতে পারছে না, সে কি বলবে?
নির্বণ নিয়তির গলায় কয়েকটা ডিপ কিস করতে থাকে৷ নিয়তি নির্বণের ছোঁয়ায় পাগল হয়ে যায়। নির্বণ ধীরে ধীরে নিয়তির ঠোঁট জোড়া দখল করে নেয়৷
________
দেখতে দেখতে ফ্লাইটের সময় এসে পড়ে। নিয়তি নির্বণ সকলের আশীর্বাদ নিয়ে সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।
তারা সুইজারল্যান্ডের বার্ন শহরের মন্টিকালো ফাইভ স্টার হোটেলে উঠে৷ ছবির মতো সুন্দর মধ্যপ্রাচীর শহর বার্ন, সুইজারল্যান্ডের রাজধানী। ১২ শতকের পুরানো ইতিহাস লুকিয়ে আছে এই শহরটির মাঝে৷ ১৬ শতের আগে এরা সুইসের সাথে যুক্ত হয়নি৷ এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো প্রাচীন ক্লক টাওয়ার। যাতে জলন্ত আশ্চর্যজনক পুতুল আছে, একে “Zytglogge” বলে।
নিয়তি প্রথমবার সুইজারল্যান্ডে আসে৷ মন্টিকালো ফাইভ স্টার হোটেল সুইজারল্যান্ডে নামকরা বিখ্যাত হোটেল। এই হোটেলের প্রতিটি আসবাবপত্র দেখে মনে হচ্ছে রাজকীয় কোন রাজবাড়ী। সবকিছু খুব সুন্দর করে সাজানো৷ মুগ্ধ নয়নে নিয়তি সব অপরুপ দৃশ্যগুলো দেখে যাচ্ছে৷ অপরুপ দৃশ্যগুলো হাত দিয়ে টার্চ করতে খুব মন চাইছে৷ কিন্তু হাত দিয়ে টার্চ না করে মন দিয়ে টার্চ করছে। দুই তলায় সিঁড়ির সাথে যে দেয়াল বিদ্যমান সে দেয়ালটি এমনভাবে গাছপালার প্রেইন্টিং করা দেখে মনে হচ্ছে বাস্তব দৃশ্য। নিয়তি এমন দৃশ্য মিস করতে চাইনা, তাই সে নিজের ফোনে কিছু ছবি তুলে নিচ্ছে।
নিয়তি দেখে মনে হচ্ছে কোন মানসিক হসপিটাল থেকে পালিয়ে আসা রোগী। একে অপরকে ধাক্কা দিয়ে নিয়তি দৌড়ে দৌড়ে সেলফি তুলতে ব্যস্ত। নির্বণের কোন কথা নিয়তির কান অব্ধি যাচ্ছে না৷
নির্বণ বাধ্য হয়ে নিয়তির হাত ধরে এক প্রকার টেনে নিয়তিকে রুমে নিয়ে যায়৷ নির্বণদের রুম হলো সাত তলায়।
— ক্ষেপে বলে উঠে, ” তুমি কি পাগল হয়েছো? এভাবে কেউ দৌড়ে দৌড়ে পিক তুলে। তুমি কি এটা ইন্ডিয়ান মনে কর?”
— নিয়তির নির্বণের রাগ দেখে ভয় পেয়ে যায়৷ ভয়ে ভয়ে বলে উঠে, ” আসলে আমি বুঝতে পারিনি৷ মানে আমি নিজের মাঝে ছিলাম না৷ কোনদিন তো এসব কিছু দেখিনি। আসলে আমি নিজের মাঝে ছিলাম না৷”
— নির্বণ নিজের রাগ কন্ট্রোল করে, “তুমি নিজের মাঝে ছিলে কিন্তু বুঝার চেষ্টা করনি৷ এমন ভাব করলে মানুষ তোমাকে পাগল ভাববে৷” এভাবে আর ছুটাছুটি করবে না৷ সেলফি তুলবে ভালো কথা৷ ধীরে সুস্থে সেলফি তুল৷ তোমাকে তো কেউ মানা করবে না৷
— হুম বুঝতে পেরেছি।
নির্বণ নিয়তির দিকে এক নজর তাকিয়ে নিজের পোশাক নিয়ে ওয়াসরুমে চলে যায়৷ নিয়তি বেড়ে বসে ভাবতে থাকে, ” এই লোকটার রাগ সব সময় ওঠেই থাকে। নিজে সেলফি তুলে না বলে আমাকেও সেলফি তুলতে দিবে না৷ যত্তসব ফাউল পোলা একটা।”
নিয়তির ভাবনার মাঝে বুঝতে পারে নিয়তি শূর্ণে ভাসছে৷ নিয়তিকে নিয়ে নির্বণ হাঁটা শুরু করলে নিয়তি বুঝতে পারে সে নির্বণের কোলে৷
— এই আপনি হুট হাট করেই আমাকে পাঁজা কোলায় তুলে নেন কেন? আপনার মতলব কি?
— আমার কোন ইন্টারেস্ট নেই তোমাকে হুট হাট করে কোলে নেওয়ার৷ তোমাকে অনেকবার ডাকা হয়েছে। কিন্তু মহারানী ভাবনার মাঝে রাজ্য জয়ের জন্য যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।
— আমাকে নামান৷ আর আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন৷ আমি রাজ্য জয় করেই ফেলেছিলাম।
ওয়াসরুমে নিয়ে এসে নিয়তিকে নামিয়ে দেয় নির্বণ৷ কিছু বলতে নিবে ঠিক তখনই নিয়তির ঠোঁটে আঙ্গুল দেয়৷ নিয়তিকে বলার সুযোগ না দিয়ে ঝর্ণা ছেড়ে দেয়৷ দু’জনে ঝর্ণার জলে ভিজে যাচ্ছে।
নির্বণ অপলক দৃষ্টিতে নিয়তির দিকে তাকিয়ে আছে৷ ঝর্ণার জল নিয়তির ফ্রেসটা মুক্ত দানার মতো চকচক করছে। এলো কেশ বেয়ে ঝড়ে যাচ্ছে জল। লালচে ঠোঁটগুলো নির্বণকে কাছে টানছে৷ নিয়তিও নির্বণের দিকে ঘোর লাগানোর চাহনিতে তাকিয়ে আছে। সিল্কি চুলগুলো চোখের পাপড়ি ছুঁই ছুঁই অবস্থা। সিল্কি চুল থেকে কপোল বেয়ে ঝড়ে যাচ্ছে ঝর্ণার জল। একে অপরের দিকে শুধু তাকিয়ে আছে৷
নির্বণ নিয়তির কোমরে হাত দিয়ে নিজের কাছে টেনে নিয়ে আসে। নির্বণ এত কাছে আসাতে নিয়তি অনেকটা লজ্জা পেয়ে যায়৷
— নিয়তি কাঁপা কাঁপা ঠোঁটে বলে উঠে, ” আপনি আগে স্নান করে নেন৷ আমি পরে স্নান করছি৷”
— নিয়তির কোমর চেপে ধরে, ” আমি একা স্নান করতে পারব না৷ তুমি আমার সাথে স্নান করবে।”
— আমি পারব না আপনার সাথে স্নান করতে৷ আমাকে ছেড়ে দেন৷ আমি পরে স্নান করে নিব৷
— তোমাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ধরে রাখিনি। আর আমি তোমার কথা শুনবো কেন? আমি এখানে আমার বেবির মায়ের সাথে হানিমুনে এসেছে৷ আমার বেবি যা চাইবে তাই হবে। তুমি আমার এসিস্ট্যান্ট, এসিস্ট্যান্টের মতো থাকবে।
— কি আমি আপনার এসিস্ট্যান্ট! তাহলে থাকেন আপনি আপনার বেবির মমকে নিয়ে৷ আমি চললাম৷
— নিয়তি চলে যেতে নিলেই নির্বণ নিয়তির গলায় থাকা কালো তিলটায় ডিপ কিস করতে থাকে। নিয়তি বাধ্য হয়ে নির্বণের সাথে স্নান করে৷ নির্বণ দিনে দিনে যেমন লুচু টাইপের পোলা বের হচ্ছে যে, “নিয়তি চিনতেই পারছে না।”
________
দুপুরের খাবার খেয়ে নির্বণ নিয়তিকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে৷ নিয়তি নির্বণের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। নির্বণ ঘুমিয়ে পড়লেও নিয়তির চোখে ঘুম নেই ৷ নিয়তির মন শুধু হোটেলের বাহিরে ঘুরে দেখা৷ নিয়তি ধীরে ধীরে নির্বণের কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে একা হোটেলের বাহিরে চলে আসে৷
— নিয়তি হোটেলটা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে৷ নিয়তি সুইমিং পুলের পাশে দাঁড়িয়ে আছে সুইমিং পুলের নীল জল দেখে যাচ্ছে। গোধূলি বেলা সোনালী রোদ নিয়তির রুপটা সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছে।
— সুইজারল্যান্ডের একজন হাফপ্যান্ট পড়া বিলাই মার্কা ছেলে নিয়তির সামনে দাঁড়িয়ে, ” ইউ আর সো হট৷ ইউ আর লুকিং সো সুইট। ইউ লিভ ইন উইথ মি৷
লিভ ইন কথাটা শুনে নিয়তির মাথায় রক্ত ওঠে যায়৷ নিয়তি রাগি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে, “কুত্তার বাচ্চা। মানুষ চিনে কথা বল৷ তুই আমার সাথে লিভ ইন করতে চাস৷”
— নিয়তির কথা বুঝতে না পেরে লোকটি মিষ্টি স্বরে বলে উঠে, ” ইউ এগ্রি।”
— নিয়তি কিছু বলতে নিয়েও থেমে যায়৷ নিয়তি মনে মনে বলে উঠে, ” কুত্তার বাচ্চা তুই আমার সাথে লিভ ইন করতে চাস৷ আমি যদি তোর বারোটা না বাজিয়েছি তাহলে আমি ইন্ডিয়ান নয়৷ মেয়ে মানুষ দেখলে উল্টে পড়তে মন চাই।”
— নিয়তি শয়তানি হাসি দিয়ে, ” বেবি, উই ক্যান সুইমিং।
— খুশি হয়ে, “ইয়া সিউর৷ কম অন বেবি৷”
নিয়তি লোকটির হাত ধরে সুইমিং পুলের কাছে নিয়ে আসে৷ নিয়তির চোখ যায় ছোট একটা স্টিকে৷ নিয়তি দৌড়ে নিয়ে আসে৷
— “হোয়াইট আর ইউ ডুইন দিস স্টিক?”
— এটা দিয়ে তোকে পিটাবো কুত্তার বাচ্চা৷ কিভাবে মেয়েদের সম্মান করতে হয়, তোর আজ সে বিষয়ে ক্লাস নিব?
নিয়তি আর দেরি না করেই লোকটার চুল মুঠোয় চেপে ধরে। লাঠি দিয়ে একের পর এক আঘাত করতে থাকে। কেউ নিয়তিকে আটকাতে আসছে না৷ নিয়তির অগ্নি দৃষ্টি দেখে সবাই দূরে দাঁড়িয়ে নাটক দেখছে।
নিয়তির লোকটা পিছনে লাথি দিয়ে লোকটাকে সুইমিং পুলে ফেলে দেয়৷
— লোকটি চিৎকাট করে বলে উঠে, ” আই উইল সি ইউ।”
চলবে…