#শুরুটা_অন্যরকম
#পর্ব_২০
#অধির_রায়
নির্বণ বাসায় এসে দেখে নিয়তি এখনো রেডি হয়নি৷ নিয়তি সকলের সাথে বসে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় স্যারের আনন্দমঠ উপন্যাস শুনছে। মা সকলকে আনন্দমঠের অর্থ বুঝিয়ে দিচ্ছে, যেখানে বুঝতে কষ্ট হয় অন্যদের৷
— নির্বণ তার মায়ের দিকে অসহায় দৃষ্টি নিক্ষেপ করে , ” মা নিয়তিকে আজ রাতের জন্য ছেড়ে দেওয়া যায় না৷”
— নির্বণের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে, ” কেন নির্বণ? আজ ক্লাইনের সাথে তোমার পার্টি ছিল তো। তুমি ফিরে আসলে যে।”
— মা আমি ফিরে এসেছি এই জন্য যে, “তোমাদের জিনিয়াস বউমা নিয়তিকে নেওয়ার জন্য। যাওয়ার সময় বলে গিয়েছিলাম তৈরি হয়ে থাকতে৷ কিন্তু এই মহান জিনিয়াস এখানে বসে বসে আড্ডা নিচ্ছে৷”
— নিয়তি নির্বণের সামনে গিয়ে, ” আপনি সবার সামনে কি আবোলতাবোল বকে যাচ্ছেন? আমি যাব না আপনার সাথে।”
নির্বণ চোখের ইশারায় তার মায়ের কাছ থেকে পারমিশন নিয়ে নেয়৷ নির্বণের মায়ের একটায় চাওয়া তাদের এক করা৷ এর মাধ্যমে সম্ভবত এক হতে পারে। কিন্তু তিনি জানেন না যে, “তারা একে অপরকে ভালোবেসে ফেলেছে। ”
নির্বণ নিয়তির কথার কোন উত্তর না দিয়ে হাত ধরে টেনে নিয়তিকে রুমে নিয়ে আসে৷
— নিয়তি ক্ষেপে বলে উঠে, ” এটা কি ধরনের অসভ্যতা? আপনি সবার সামনে এমন না করলেও পারতেন৷ আমি কি ছোট বাচ্চা! হাত ছেড়ে দিলে হারিয়ে যাব৷”
— নির্বণ অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে, ” তোমাকে আমি কি বলে গিয়েছিলাম? বলেছিলাম তো সন্ধ্যায় রেডি থাকতে৷ আমার কথা অমান্য করার মানে কি?”
— একটু ভয়ে ভয়ে কোমল কন্ঠে বলে উঠে, ” আমি তো আপনাকে বলে দিয়েছিলাম আমি যাব না৷ আমি পার্টিতে.. ”
— নিয়তির ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে, ” আমি কোন অজুহাত দেখাতে বলিনি৷ তুমি আমার সাথে যাবে মানে আমার সাথেই যাবে৷”
— মাথা নিচু করে, “আসলে আমি পার্টিতে না গেলে হয়না৷ সেখানে তো সবাই থাকবে৷ আমি বরং বাড়িতে থেকে মায়ের সাথে গল্প করে সময় কাটিয়ে দিব৷”
— নিয়তির দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে, ” আমি তোমাকে মায়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে নিয়ে যাচ্ছি না৷ মা অনুমতি দিয়ে দিয়েছেন। কথা না বাড়িয়ে তৈরি হয়ে নাও৷”
নিয়তি কিছু বলতে নিবে কিন্তু নির্বণের অগ্নি দৃষ্টি দেখে বলতে পারল না৷ নিয়তি নির্বণের দিকে অসহায় দৃষ্টি নিক্ষেপ করে ধীরে ধীরে আলমারির দিকে এগিয়ে যাছে। যাকে বলে পিঁপড়ার চলা৷ এক কদম এগিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও দুই কদম পিছিয়ে যাচ্ছে৷
নির্বণ বুঝতে পারে নিয়তি ভয় পেয়ে আছে৷ নিয়তিকে এভাবে বকা ঠিক হয়নি৷ নির্বণ নিজেই নিয়তির আলমারি থেকে পছন্দ করে সাদা রঙের একটা ওয়েস্টার্ন ড্রেস বের করে৷ সাদা ওয়েস্টার্ন ড্রেস অন্যান্য ওয়েস্টার্ন ড্রেসের থেকে তুলনামূলক ছোট৷
— নিয়তি চকিত হয়ে বলে উঠে, ” আমি সবার সামনে এই ড্রেস পড়ে যাব! আপনি কি পাগল হলেন?”
— আমার মাথা ঠিক আছে৷ সবাই এর থেকে ছোট ছোট ড্রেস পড়ে আসবে৷ সেখানে তোমার মতো বাঙালি কম পাওয়া যাবে৷ বেশিরভাগই ফরেনার৷ আর তুমি তো ওয়েস্টার্ন ড্রেস অফিসে পড়েছো৷ আজ কেন এত সংকোচ?
— আসলে আমি এখন বিবাহিত মেয়ে। আমাকে এসব পোশাক এখন মানাবে৷ এই সাদা ড্রেসটা হাঁটু অব্ধি। আর একটু বড় হলে ভালো লাগত৷
নির্বণ নিয়তিকে টান দিয়ে একদম নিজের কাছে নিয়ে আসে। নিয়তিকে আভয় বানী দিয়ে বলে উঠে, ” তুমি এত ভয় পাচ্ছো কেন? আমি তো আছি তোমার সাথে। তোমাকে এই পোশাকে অনেক সুন্দর লাগবে৷ আমি তোমাকে নিজ হাতে পড়িয়ে দিচ্ছি৷”
— এক কদম পিছিয়ে, ” না.. না.. একদমই না৷ আমি নিজে পড়তে পারি৷ আমাকে পড়িয়ে দিতে হবে না৷”
নিয়তি নির্বণের হাত থেকে ড্রেসটা নিয়ে ওয়াসরুমে দৌড়ে চলে যায়।
সাদা ওয়েস্টার্ন পোশাকে নিয়তি একদম পরীর মতো লাগছে৷ নির্বণ নিয়তির দিক থেকে চোখ ফেরাতে পারছে না৷ নির্বণ অপলক দৃষ্টিতে নিয়তির দিকে তাকিয়ে আছে৷
— নিয়তির দিকে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে, “বিউটিফুল! ইউ আর লুকিং সো সুইট। তোমাকে একদম এঞ্জেলস লাগছে।”
— হয়েছে এভার আমরা এখন যেতে পারি তো৷ এখন কি আপনার লেট হচ্ছে না?
— হ্যাঁ, আমরা এখন যেতে পারি৷ কিন্তু তোমার সাজ এখনো পরিপূর্ণ হয়নি৷ আমি তোমাকে নিজ হাতে সাজিয়ে দিচ্ছি।
নিয়তি নির্বণের সহযোগিতা নিয়ে হালকা মেকআপ। ঠোঁটে গাঢ় লিপস্টিক। হালকা সাজে নিয়তি অসাধারণ লাগছে। [লেখাঃ অধির রায় ]
নির্বণ নিয়তির দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়৷ নিয়তি নির্বণের হাতে নিজের হাত রাখে। নির্বণ নিয়তিকে নিয়ে হিরোর মতো এন্ডি করে পার্টিতে৷
___________
নির্বণের সাথে নিয়তিকে দেখে অনেকে হিংসা করতে থাকে। অনেক মেয়ের হার্ট অ্যাটাকের উপক্রম হয় এটা শুনে যে, “নির্বণ বিবাহিত। আর নির্বণের ওয়াইফ নিয়তি। ”
স্টাফদের মাঝে একজন মেয়ে স্টাফ নিয়তিকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে, ” কাজের লোক থেকে মালকিন। বাহ্ বাহ্, তোমরাই পারো বড়লোক ছেলেদের মাথা বাজে চিন্তা চেপে দিতে! ”
নিয়তি মাথা নিচু করে চলে আসতে নিলেই নির্বণ নিয়তির হাত ধরে ফেলে, ” এক্সকিউজ মি ম্যাম। সি ইজ নট সার্জেন্ট। সি ইজ মাই ওয়াইফ।”
একটা মেয়ে হয়ে অন্য মেয়েকে ইনসাল্ট করতে আপনার মুখে বাঁধল না৷ আমি যদি চাই আমি এই ডিল মাঝ পথে ছেড়ে দিতে পারি৷ আমাদের কোম্পানির কোন ক্ষতি হবে না৷ যা ক্ষতি হবার আপনাদের ক্ষতি হবে৷” কারণ আমরা আমাদের পরিশ্রমের চেয়ে বেশি পেয়ে গেছি৷ ক
নির্বণ রেগে ডাকতে শুরু করে, “মি. দত্ত…. নি. দত্ত” যার সাথে নির্বণের ডিল কন্টাক্ট হয়েছে।
নির্বণের ডাক শুনে মি. দত্ত নির্বণের সামনে আসে৷ ভদ্রতার সাথে বলে উঠেন, ” মি. নির্বণ চৌধুরী আপনি রেগে আছেন কেন? এনি প্রবলেম।”
— ইয়া মি. দত্ত৷ আপনার এসিস্ট্যান্ট মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করে না। এমন এসিস্ট্যান্ট আপনার সাথে যুক্ত থাকলে আমি এই ডিল ক্যানলেস করে দিব ৷ ইভেন আমরা চাইনা এই ডিল এগিয়ে নিয়ে যেতে।”
— মি. দত্ত কোমল কন্ঠে বলে উঠেন, ” নির্বণ চৌধুরী মেবি আপনার কোথাও কোন ভুল হচ্ছে৷ আমরা কাউকে এমনভাবে ইনসাল্ট বা ছোট করে দেখিনি। প্লিজ শান্ত হন৷”
মি. দত্তের এসিস্ট্যান্টকে বলে উঠে, ” তুমি তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নাও৷”
— স্টাফ অহংকার নিয়ে বলে উঠে, ” নো স্যার৷ আমি দুই টাকার মেয়ের কাছে ক্ষমা চাইব না৷ দরকার পড়লে আমি আপনার জব ছেড়ে দিব৷”
— নিয়তি নির্বণকে এন্ড মি. দত্তকে থামিয়ে বলে উঠে, ” প্লিজ স্যার আপনার এসিস্ট্যান্টকে বকতে হবে না৷ আর আমরা এই ডিল ক্যানসেল করব না৷”
মি. দত্ত মানুষের টাকা থাকলেই মানুষ বড়লোক হয় না৷ সৃষ্টিকর্তা আমাদের সৃষ্টি করেছেন মানুষ হিসেবে। হোক সে গরিব, হোক সে ধনী। সৃষ্টিকর্তা আমাদের পরীক্ষা করার জন্যই টাকা দিয়েগছেন৷ আমরা কি টাকার অহংকার দেখায় কিনা? আজ টাকা আছে কাল নেই৷ এই নিয়ে আমি মন খারাপ করিনি৷ আপনি বরং পার্টির দিকে খেয়াল রাখেন৷ কোন সমস্যা হলে আপনার সম্মান হানী হবে৷
— মিসেস চৌধুরী আমি আপনার যুক্তি বুঝতে পেরেছি৷ আমি তার হয়ে আপনার কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইছি৷ আপনারা এই পার্টির মধ্যমনি৷
_______
— জানেন ম্যাম আজ ছোট ম্যামকে কি সুন্দর লাগছিল যে, “আমি ছোট ম্যামের দিকে হা করে তাকিয়ে ছিলাম!”
— কেন? তুইতো অনেক সুন্দর। তুই কি কারো থেকে কম সুন্দর?
— আন্নে কি যে কন? আমি কহন সুন্দর হলাম৷ আমি কি ছোট ম্যামের মতো ফার্সা। আমি তো কালা মানুষ৷
— সৌন্দর্য মানুষের রুপে নয়৷ সৌন্দর্য মানুষের গুণে ফুটে উঠে। তোর শ্যামবর্ণ মুখটা মায়ায় জড়ানো। তোকে দেখলে মানুষের মন জুগিয়ে যাবে।
— কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন বরফ ফ্রেন্ড জুগার করতে পারলাম না৷ জানেন অনেকে ফোনে তাদের বরফ ফ্রেন্ডের সাথে কথা কই৷ আমার মন চাই বরফ ফ্রেন্ডের সাথে ফোনে কথা বলতে।
— নির্বণের মা মুচকি হেঁসে, “বরফ ফ্রেন্ড নয়৷ ওইটা বয়ফ্রেন্ড হবে। বর্তমান জেনারেশনে কোন ভালোবাসা নেই। আছে শুধু ধোঁকা আর স্বার্থ। নিজের স্বার্থ ফুরিয়ে গেলেই ভালোবাসা ফুরিয়ে যায়। তাই কখনো ভালোবাসার কথা মুখে আনবি না৷ তুই ইশ্বরের কাছে প্রার্থনা কর তুই কারো প্রেমে পড়িস নি৷”
— হ্যাঁ ম্যাম৷
— অনেক রাত হয়েছে। যা ঘুমিয়ে পড়৷ আর আমাকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে না৷ আমি এখন ঠিক আছি।
___________
— নির্বণ ক্ষেপে বলে উঠে, ” এসব কি? তোমাকে সে মেয়ে ইনসাল্ট করল আর তুমি তাকে ছেড়ে দিলে।”
— প্লিজ শান্ত হন৷ কে বলছে আমি তাকে ছেড়ে দিয়েছি৷
— তাহলে এসব কি? আমি জানতাম মি. দত্ত তাকে আজই চাকরি থেকে বের করে দিত৷
— আস্তে কথা বলেন৷ কেউ শুনে ফেলবে। আমি তাকে শাস্তি দিব বলেই তখন তাকে ছেড়ে দিয়েছি৷
— নির্বণ চকিত হয়ে, ” তুমি! তুমি তাকে কিভাবে শাস্তি দিবে?” তার সামনে তুমি পড়লে তোমাকে আবার ইনসাল্ট করবে৷ আমি সহ্য করতে পারব না৷
— আমি তার সামনে যাব না৷ এভার মুডটা ঠিক করেন। এমন করলে আমি চলে যাব৷ আমি বলেছি তাকে শাস্তি না দিয়ে যাব না। মানে যাব না৷
— যদি তুমি আমায় একটা কিস দাও তাহলে সব ঠিক হয়ে যাবে।
— ড্যান্সের সময় দিব৷ এখন সকলের সাথে হাসিমুখে কথা বলেন৷
।
।
মি. দত্ত মাইক হতে নিয়ে এনাউন্স করল, ” আজ প্রতিটি কাপলদের জন্য ড্যান্সের ব্যবস্থা করেছি৷ যারা কাপল নয় তারা তাদের ফ্রেন্ডদের সাথে পার্টিসিফ্রেন্ড করবে৷”
মিউজিক স্টার৷ এক এক করে সবাই ড্যান্সে অংশগ্রহণ করছে।
♪♪
Dil ibaadat kar raha hai, dhadakane meri sun.
Tujhako main kar loon haasil lagi hai yahin dhun.
— এভাবে দাঁড়িয়ে থাকবেন৷ চলেন আমরা যোগদান করব৷ আর এখানেই ওই মেয়েকে শাস্তি দিব৷
নির্বণ নিয়তির দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়৷ নিয়তি নির্বণের হাত ধরে ড্যান্স শুরু করে।
Jindagi ki shaak se loon kuchh haseen pal main chun.
Tujhako main kar loon haasil lagi hai yahin dhun.
Jo bhi jitane pal jiu, unhe tere sang jiu
Jo bhi kal ho abb mera use tere sang jiu
Jo bhi saansein main bharu unhe tere sang bharu.
♪♪
নিয়তির নজর শুধু ওই মেয়েটার দিকে। মেয়েটা কাছে আসতেই মিয়তি মির্বণকে বলে উঠে, ” আমাকে চারিপাশে রাউন্ড করান৷ আজ দেখে যান নিয়তির খেলা৷
নির্বণ নিয়তির কথা মতো রাউন্ড করাতে থাকে। নিয়তি সুযোগ বুঝে মেয়েটার পায়ে লাথি বসিয়ে দেয়৷ আর মেয়েটি চিৎকার করে নিচে বসে পড়ে।
গান বন্ধ করে দেওয়া হয় খারাপ সিচুয়েশন দেখে।
— নিয়তি তার দিকে দৌড়ে এসে, ” একি আপনি পড়ে গেলেন কিভাবে?” আপনার বেশি ব্যথা লাগেনি তো৷” আমাকে ধরেন৷ আমি আপনাকে সাহায্য করছি ৷”
কোন উপায় না পেয়ে মেয়েটি নিয়তির হাত ধরে উঠে দাড়ায়৷ নিয়তি মেয়েটিকে নিয়ে একটা টেবিলে বসিয়ে দেয়। নির্বণকে চোখের ইশারায় বুঝিয়ে দেয় “নিয়তিও কোন অংশে কম না৷”
— তুমি জুস খাবে। আই নো ইউ আর টায়ার্ড।
— হ্যাঁ এক গ্লাস অরেঞ্জ জুস হলে ভালো হয়৷
নিয়তি মনে মনে বলে উঠে, ” শাঁকচুন্নি তোকে আমি অরেঞ্জ জুস খাওয়াব৷ কিন্তু এমন অরেঞ্জ জুস খাওয়াবো তুই সারাজীবন মনে রাখবি৷”
নিয়তি অরেঞ্জ জুসে ড্রিংকস মিশিয়ে দেয়৷ ড্রিংকসযুক্ত অরেঞ্জ জুস খেয়ে মেয়েটির নেশা হয়ে যায়৷ তার পার একের পর এক মদ পান করতে থাকে।
_________
— বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে নির্বণ বলে উঠে, ” তোমায় মাথায় এত শয়তানি বুদ্ধি আসে কোথা থেকে? মি. দত্তের PA কে মদ খাইলে দিলে।”
— পায়ে বেশি ব্যথা না পেলে ওই মেয়েটা আরও বাজে হাল করে ছেড়ে দিতাম। সে উঁচু হিল পড়াতে অল্প লাথিতেই পড়ে গেছে। আর হিলের জন্য অনেক ব্যথা পেয়েছে।” একটু কম ব্যথা পেলে নাটক জমে যেত।
— নির্বণ নিয়তিকে কাছে টেনে নিয়ে, ” আমার সাথেও তাহলে এতদিন এমনভানে শয়তানি করে এসেছো। আজ ছাড়ছি না, সব গুলোর প্রতিশোধ নিব।
— ছাড়েন আমার ভীষণ ঘুম পাচ্ছে। অনেক রাত হয়ে গেছে। একটা কথা বলবো?
— নেশা ভরা কন্ঠে “হুম বল?”
— আপনি ওইভাবে সিনক্রিয়েট করলেন কেন আমার জন্য? ওই মেয়ে তো সত্য কথাই বলেছিল। আমি তো কাজের লোকই ছিলাম। আমার তো কিছুই নেই..
— নিয়তির মুখে আঙুল দিয়ে, ” একদম এসব কথা মুখে আনবে না৷ সবার আগে তুমি একজন মানুষ৷ আর কে বলেছে তোমার কিছু নেই? আমার সবকিছুই তোমার। আমি তোমায় খুব ভালোবাসি। তোমাকে কেউ অপমান করলে আমি মেনে নিতে পারব না৷”
— আমিও আপনাকে খুব ভালোবাসি।
চলবে..