শুরুটা অন্যরকম পর্ব ১৯

0
306

#শুরুটা_অন্যরকম
#পর্ব_১৯
#অধির_রায়

নির্বণ নেশা ভরা দৃষ্টি নিক্ষেপ করে নিয়তির দিকে৷ বাঁকা হেসে নিয়তির দিকে এগিয়ে যেতে থাকে৷ নিয়তি ধীরে ধীরে পিছিয়ে যাচ্ছে। এক পর্যায়ে নিয়তির পীঠ দেয়ালের সাথে লেগে যায়৷ নিয়তি বাঁ দিকে যেতে নিলে নির্বণ ডান হাত দিয়ে আটকিয়ে ফেলে৷ ডান দিয়ে যেতে নিলে নির্বণ বাঁ হাত দিয়ে আটকিয়ে ফেলে৷ নির্বণ নিয়তির অনেক কাছে চলে আসে । নির্বণের প্রতিটি গরম নিঃশ্বাস নিয়তির উপর পড়ছে৷ নিয়তি ভয়ে লজ্জায় জড়োসড়ো হয়ে আছে ।

— নিয়তির কোমরে হাত দিয়ে নিজের কাছে টেনে নিয়ে, “এখন কোথায় পালাবে নিয়তি৷” তোমার পালানোর সব পথ বন্ধ।

নিয়তির কানে কাছে ফিসফিস করে বলায় নিয়তি কেঁপে উঠে৷ নির্বণকে চেপে ধরে কাঁপা কাঁপা ঠোঁটে বলে উঠে, ” প্লিজ আমার খুব ভয় লাগছে৷ আমাকে এভাবে জড়িয়ে ধরে আছেন কেন?”

— নিয়তিকে আরও নিজের কাছে টেনে নিয়ে, ” মাই সুইটহার্ট, ভালোবাসা আদায় করছি৷ আমার মাঝে একটুও ভালোবাসা নেই৷ আজ দেখিয়ে দিব আমি কতটা রোমান্টিক এন্ড ভালোবাসতে পারি।”

— নরম কোমল কন্ঠে, ” আমি আপনার রোমান্টিকতা দেখতে চাইনি৷ আমার ভীষণ ঘুম পাচ্ছে৷ ঘুমের ঘরে আমার মাথা ঠিক থাকে না৷ কখন কি বলে ফেলেছি আমি জানি না?”

— নেশা ভরা কন্ঠে, ” কিন্তু আমি জানি৷ আজ ঘুমালে বাসর করব কার সাথে?” নিয়তির পেট হালকাভাবে চেপে ধরে৷”

— নিয়তি কেঁপে উঠে, ” আপনি সত্যি একটা অসভ্য।”

নিয়তি নির্বণকে ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দেয়৷ নিয়তি লজ্জা মাখা মুখ নিয়ে দৌড়ে বেলকনিতে চলে যায়৷ নির্বণ নিয়তির পিছু পিছু বেলকনিতে চলে আসে৷ নির্বণ নিয়তিকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে৷ নিয়তির খোলা কেশগুলো ঘাড় থেকে সরিয়ে কানে গুঁজে দেয়৷ গলায় থাকা কালো তিলটায় একটা ডিপ কিস করে। নিয়তি কেঁপে উঠে নির্বণের হাত চেপে ধরে।

— নিয়তি লজ্জা মাখা চোখ বন্ধ করে মিষ্টি স্বরে বলে উঠে, ” প্লিজ নির্বণ আমাকে ছেড়ে দেন৷ আমি আপনার ভালোবাসা বুঝতে পেরেছি৷”

— দুষ্টু হাসি দিয়ে, ” এখনো আমার ভালোবাসা প্রকাশ করিনি৷ এখনই সব লজ্জা শেষ করো না৷ বাসরের জন্য কিছু লজ্জা লুকিয়ে রাখো৷ তোমার লজ্জা মাখা স্ট বেরির মুখটা একদম হট।”

— নিয়তি কিছুটা ক্ষেপে, ” আপনি এখান থেকে যাবেন৷ নাকি আমি আপনাকে ঠেলে পাঠিয়ে দিব৷”

নির্বণ নিয়তির গলায় হালকা করে আরও একটা কিস দেয়৷ এতে নিয়তি কেঁপে উঠে৷ নির্বণ নিয়তিকে পাঁজা কোলায় তুলে নেয়৷ নিয়তি কিছু বলতে যাবে ঠিক তখনই নির্বণ ঠোঁট বাড়িয়ে দেয়৷ নিয়তি চোখ বন্ধ করে নির্বণের গলা জড়িয়ে ধরে৷ নির্বণ নিয়তিকে বিছানায় চেপে ধরে।

— নিয়তির ঠোঁটের কাছে ঠোঁট নিয়ে, ” আরও বলবে এখান থেকে চলে যাবে৷ ”

— নিয়তি কোমল কন্ঠে আস্তে করে বলে উঠে, ” আর কোনদিন চলে যাওয়ার কথা বলব না৷ আমি সারাজীবন এখানেই থাকব।”

— নিয়তিকে বুকে জড়িয়ে, ” নাও এখন ঘুমিয়ে পড়। আজ থেকে তুমি আমার বুকের মাঝে ঘুম আসবে৷”

নিয়তিও মুচকি হেঁসে নির্বণের বুকে ছোট ছানার মতো ঘুমিয়ে পড়ে৷ নির্বণ পরম যত্নে নিয়তির মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে মনে মনে বলে উঠে, ” আজকের লাভ টর্চারটা একটু বেশি হয়ে গেছে। আমাকে আনরোমান্টিক বলা৷ কাল থেকে বুঝবে নিয়তি রোমান্টিক কাকে বলে?” [লেখাঃ অধির রায়]

___________

— “মা আমার দিকে এভাবে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছেন কেন? আমি কিন্তু এখন চলে যাব৷ আমার লজ্জা লাগছে৷” অসহায়ভাবে বলে উঠে।

— “তুমি কি সত্যি নিয়তি!” চকিত হয়ে।
ইউ আর লুকিং সো কিউট। আমি ভাবতেই পারিনি তোমাকে ওয়েস্টার্ন ড্রেসে অসাধারণ লাগবে৷ সত্যি তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে৷

নিয়তি আজ নির্বণের পছন্দের ওয়েস্টার্ন ড্রেস পড়েছে৷ তবে ছোট ওয়েস্টার্ন ড্রেস পড়েনি৷ লং ওয়েস্টার্ন ড্রেসে নিয়তিকে একদম অন্য রকম লাগছে। সাথে হালকা মেকআপে সকল নারীদের সুন্দর লাগে৷ নিয়তি বাদ পড়েনি৷

— অরিন দৌড়ে নির্বণের মায়ের রুমে আসে। হন্তদন্ত হয়ে বলে উঠে, ” এই মেয়ে তোমাকে ম্যামের রুমে প্রবেশ করার অনুমতি কে দিয়েছে?” বাহির থেকে এসে সরাসরি ম্যামের রুমে প্রবেশ কখনও কেউ করে না৷ তুমি জানো না ম্যাম অসুস্থ।” এক টানে কথাগুলো বলে দেয়৷

নিয়তি পিছনে ঘুরতেই অরিন চকিত হয়ে উঠে৷ অরিন “হ্যাঁ ইশ্বর ” বলে দুই কদম পিছিয়ে যায়৷

— ম্যাম আপনাকে যে সুন্দর লাগছে বলে বুঝাতে পারব না৷ একদম পরীর মতো লাগছে৷ আপনি এখন থেকে আর শাড়ি পড়বেন না৷ আপনাকে এমন পোশাকে সুন্দর লাগে।

— নির্বণের মা নিয়তিকে কাছে বসিয়ে, ” আজ এত সাজুগুজু করার কারণ কি? আমি তো কখনও এত সাজুগুজু করতে দেখিনি তোমায়৷”

নিয়তি নির্বণের মায়ের কথায় লজ্জা পেয়ে যায়৷ মাথা নিচু করে বলে উঠে, ” আসলে মা এগুলো কিনে নিয়ে আসার পর পড়া হয়নি। তাই ভাবলাম ড্রেসগুলো পড়ি৷ এখন তো মোটা হয়ে যাচ্ছি। পরে এসব পড়তে পারব না৷”

— এই মেয়ে মাথা তুল। আমাকে কি তোমার সিরিয়ালের শ্বাশুড়ি মনে হয়? যে আমি তোমার কাছ থেকে তোমার স্বাধীনতা কেঁড়ে নিব৷ আমি জানি তুমি শাড়িতে কমফোর্টেবল নয়৷ তুমি যেটা কমফোর্টেবল সেসব ড্রেস পড়বে। নির্বণ খুব ভালোবাসে ওয়েস্টার্ন ড্রেস।

— “ধন্যবাদ মা৷ আমি তাহলে আজ থেকে শাড়ি পড়ব না৷ শাড়ি আমার একদম ভালো লাগে না।” বাংলা পাঁচের মতো মুখ করে বলে উঠে।

— আরে বিয়ে হলেই কি মেয়েদের সব বিসর্জন দিতে হবে? তুমি যেমন ছিলে তেমনই থাকবে৷ মানুষের বাহিরের সৌন্দর্যটা আসল নয়৷ যে ভিতর থেকে খাঁটি সেই আসল সুন্দর।

— হুম মা৷ কিন্তু আমাদের সমাজের লোকেরা এসব কম বুঝে৷ যেমনঃ অনেকে মনে করেন সাদা চামড়া ওয়ালা মেয়েরা সব থেকে বেশি সুন্দর। তাদের ধারণা ভুল৷ বর্ণে মানুষের পরিচয় নয়৷ কর্মই মানুষের আসল পরিচয়৷

— হ্যাঁ মা তুমি একদম ঠিক বলেছো?

— অরিন পিছন থেকে বলে উঠে, ” আমি আজ কালা বলে আমার একটাও বরফ ফ্রেন্ড নেই৷ আজ যদি আপনাদের মতো সুন্দর হতাম তাহলে আমার কতোগুলো বরফ ফ্রেন্ড থাকত৷

— নির্বণের মা চকিত হয়ে, ” বরফ ফ্রেন্ড কি!”

— নিয়তির অরিনের কাঁধে হাত রেখে, ” অরিন ওইটা বরফ ফ্রেন্ড হবে না৷ ওইটা বয়ফ্রেন্ড হবে৷”

— ছোট ম্যাম, ” বয়ফ্রেন্ড আর বরফ ফ্রেন্ড এক কথা৷

অরিনের কথা শুনে নিয়তি, নির্বণের মা হেঁসে উঠে। নিয়তি আর অরিন মিলে আজ নির্বণের মাকে ছাঁদে নিয়ে আসে৷

ছাঁদে নিয়ে আসার কারণ হলো নিয়তি এখনো ছাঁদটা ভালো করে দেখতে পারেনি। একদিন ছাঁদে এসেছিল তখনই নিয়তির ডাক পড়ে৷ তার আর ছাঁদ দেখা হয়নি৷ বেচারি নিয়তির স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেছে।

___________

— “একি আজ আপনি এখনও অফিসে যান নি! বিকাল ২ টা বাজে!” নিয়তি রুমে ঢুকে অবাক হয়ে বলে উঠে।

— না আমি আজ এখনও অফিসে যায়নি৷ আজ আমার অফিসে কোন মিটিং নেই৷ আজ ক্লাইনরা ফাইভ স্টার হোটেলে মিটিং এর আয়োজন হয়েছে। সে্খানে ছোটখাটো একটা পার্টিরও আয়োজন করেছে। সেখানে সবাইকে নিমন্ত্রণ করেছে। আমি চাই তুমিও আমার সাথে পার্টিতে যাবে।

— না আমি আপনার সাথে পার্টিতে যেতে পারব না৷ কারণ আমি পার্টিতে উপস্থিত হলে মায়ের খেয়াল কে রাখবে? মা এখনও নিজে থেকে হাঁটতে পারেন না৷ মা সুস্থ হলে আমি যাব৷

— নিয়তি শুধু আজ রাতের জন্যই তো৷ মায়ের খেয়াল রাখবে সবাই৷, সম্যুদা, অরিন, সিনথিয়া, কণিকা, লাবু, জেসি, রুহি, রিয়া, ফাইজা, রিমি, মিহু, লাখি, অনিমা, ঊর্মি, তানিশা,(সব লেখিকাদের ডাক নাম) তারা ঠিক মাকে দেখে রাখবে৷

— আপনি একে একে সব সার্ভেন্টের নাম বলে যাচ্ছেন ঠিক। কিন্তু সব সার্ভেন্ট রাত অব্দি থাকে না৷ আর হ্যাঁ আপনি এখনই তাহলে রেডি হচ্ছেন কেন?

— অফিসে কিছু কাজ আছে। সেগুলো করে আমি সেখান থেকে চলে যাব৷ তুমি রেডি থাকবে। যাওয়ার সময় তোমাকে ড্রপ করে নিয়ে যাব৷

— নিয়তি বিরক্ত নিয়ে বিরবির করে বলে উঠে, ” আমার দিকে একবারও তাকাল না৷ আমি আজ উনার পছন্দের ওয়েস্টার্ন ড্রেস পড়লাম। ভাবছিলাম কত প্রশংসা করবে। কিন্তু না উনি উনার মতো আছেন।”

— “কিছু বললে নিয়তি?” সোল্ড ঠিক করতে করতে।

— না কিছু বলিনি৷ আমার অনেক কাজ আছে৷ আপনার যা ইচ্ছা তাই করেন৷ আমি আপনার সাথে যাব না৷

নিয়তি চলে যেতে নিলেই নির্বণ ডাক দেয়৷ বিরক্ত নিয়ে নিয়তি নির্বণের কাছে আসে।

— নিয়তি আমার সিলভার কালারের রোজ খুঁজে পাচ্ছি না (ল্যাপেল/ রোজ)। প্লিজ একটু খোঁজে দাও।

— আপনার হাতের বাঁ পাশের ড্রয়ারে রাখা আছে। সেখান থেকে নিয়ে পড়ে নেন৷ আপনি তো সব নিজে গুছিয়ে রাখেন৷ তাহলে না জানার ভান করেন কেন?

— প্লিজ নিয়তি একটু লাগিয়ে দাও না৷ আমি লাগাতে পারছি না৷ আজ আমার কি হয়েছে নিজেও জানি না৷
মনে মনে, ” সামনে আসো না একবার দেখাবো আমি কি জিনিস? তুমি ভাবছো আমি তোমাকে দেখছি না৷ সামনে এত বড় গ্লাস থাকতে তোমার দিকে ঘুরে তাকিয়ে থাকার কোন মানে নেই৷”

নিয়তি সিলভার কালারের রোজটা নিয়ে নির্বণের বুকের বাঁ দিকে লাগাতে নিলেই নির্বণ “আউচ% করে উঠে।

— আপনার লাগেনি তো? সরি আমি আসলে খেয়াল করতে পারিনি৷ আর এমন হবে না৷ বেশি লাগেনিতো।

— লেগেছে অনেক। মেবি রোজের পিন কিছুটা বয়ে গেছে৷ রক্ত ঝরছে মেবি৷

— দেখি রক্ত ঝরছে কিনা৷ আমি একটা কাজও ঠিক মতো করতে পারিনা৷ আপনাকে কতটা কষ্ট দিয়ে ফেললাম।

নিয়তি নির্বণের শার্টের বাটন খুলতে নিলেই নির্বণ নিয়তির কোমরে হাত দিয়ে নিজের কাছে নিয়ে আসে।

— নেশা জনিত কন্ঠে বলে উঠে, ” আমি কোন আঘাত পাইনি৷ তোমার সাথে ফার্ন করলাম।”

— আমার সাথে ফার্ন করা৷ আমি কিন্তু এভার সত্যি সত্যি বুক ফোটু করে দিব৷

— বুকের বাঁ পাশে ফোটু করে তোমার নাম লিখে দাও৷

— ছাড়েন আমাকে আমার অনেক কাজ আছে।

— তোমাকে ওয়েস্টার্ন ড্রেসে অসাধারণ লাগছে৷ একদম পরীর মতো লাগছে। মনে হচ্ছে তুমি আকাশের কোন অপ্সরা। তোমাকে যতই দেখি ততই..

— আমাকে যতই দেখেন ততই কি? আমাকে এভাবে জড়িয়ে ধরে আছেন কেন? ছেড়ে কথা বলেন? কেউ রুমে চলে আসলে কি ভাববে? “সেই সকাল থেকে আপনার পছন্দের ড্রেস পড়ে আছি। একবারও বললেন না তো আমাকে কেমন লাগছে৷ এখন আসছে ভালোবাসা দেখাতে।” একটু অভিমানী স্বরে বলে উঠে।

— নিয়তির কেশে মুখ লুকিয়ে, ” আই ডোন্ট কেয়ার। আর কেউ রুমে আসবে না৷ আমি তোমার ড্রেসকে নয়৷ আমি তোমাকে ভালোবাসি৷ অবশ্য ড্রেসটা তোমাকে দারুণ মানিয়েছে। আমি চয়েস করেছি বিধায় তোমায় মানিয়েছে।”

— হয়েছে আপনার আজাইরা কথা৷ আজাইরা কথা শেষ হলে আমাকে নিচে যেতে হবে৷ অনেক কাজ আছে৷ ছাড়েন আমাকে?

— আমার কোন অসুবিধা হচ্ছে না৷ ছাড়তে পারি একটা শর্তে?

— কি শর্ত, তারাতাড়ি বলেন? মা কখন ডাক দেয় জানা নেই?

— নির্বণ ঠোঁট বাড়িয়ে দিয়ে, ” প্লিজ একটা কিস। কিস করলেই তুমি এখান থেকে যেতে পারবে৷”

— না পারব না৷ আপনি এখনই আমাকে ছাড়বেন৷

— নিয়তিকে আরও চেপে ধরে,” আমার কোন সমস্যা নেই৷ আমি বাড়ির সবাইকে ডাক দিচ্ছি৷ সবাই এসে দেখে যাক তাদের ম্যাম কতটা অসভ্য।”

— নিয়তি ক্ষেপে বলে উঠে, ” একদমই না৷ আপনি এমন কোন কাজ করবেন না৷ ”

— যদি শর্ত না মনো তাহলে তো তাই করতে হবে৷ ডাকা শুরু করলাম ওয়ান. টু..

— ওকে আমি আপনার শর্তে রাজি৷ তবে আপনাকে চোখ বন্ধ করতে হবে৷

নির্বণ চোখ বন্ধ করতেই নিয়তি নির্বণের গোলমুলু গালে আলতো করে একটা উম্মা দিয়ে চলে যায়৷

— শোধ তুলে নিব। তুমি আমাকে এখনও চিন না৷
________

নির্বণকে দেখে সবাই হেঁসে যাচ্ছে। অন্যদিকে নিয়তি লজ্জায় লাল হয়ে যাচ্ছে৷ নিয়তি চলে যেতে নিলে অরিন নিয়তির হাত ধরে ফেলে৷ সকলের সাথে নির্বণ বন্ধুসূলভ আচরণ করে৷ সেজন্য সবাই নির্বণের অবস্থা দেখে হেঁসে যাচ্ছে।

— আয়াত এগিয়ে এসে, ” স্যার ভালোবাসা জমে ক্ষীর হয়ে গেছে। আপনার গোলমুলু গাল তার প্রমাণ দিচ্ছে৷

নির্বণ চকিত হয়ে আয়াতসহ অন্য সার্ভেন্টের দিকে তাকায়৷ নিয়তি ইশারায় বুঝিয়ে দেয় নির্বণের গালে নিয়তির লিপস্টিক লেগে আছে। সেটা নিয়েই সবাই হাসাহাসি করছে।

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here