#শালুক_ফুকের_লাজ_নাই(০৭)
আফিফা বসে আছে আজাদ সাহেবের সামনে। আজাদ সাহেবের চেহারা রক্তিম হয়ে আছে।যেকোনো সময় মেয়ের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বেন এরকম একটা ভাব তার মধ্যে স্পষ্ট।
ধ্রুব বড় চাচার পিছনে দাঁড়িয়ে আছে। একটু দূরেই আদনান বসে রাগে ফুঁসছে।
আফিফা বারবার চোখ মুছছে।আজাদ সাহেব ধমকে বললেন,”তুই এখন কি চাস আমাকে সেটা বল?আমি তোকে দরকার হলে টুকরো টুকরো করে কে/টে নদীতে ভাসিয়ে দিবো মনে রাখিস,তবুও তোর বিয়ে হবে আমার পছন্দের ছেলের সাথে। ”
আফিফা কোনো কথা বলতে পারলো না। শালুক দূরে দাঁড়িয়ে কাঁপছে ভয়ে।সবার থমথমে মুখ দেখে শালুকের আরো ভয় করছে।
আফিফা জবাব দিলো না।
আদনান চিৎকার করে বললো, “ধরে কষে একটা থাপ্পড় দেন আব্বা।দেখবেন সব ঠিক হয়ে যাবে।বেয়াদব হইছে।”
আফিফা চট করে জবাব দিলো, “তোমার মতো বেয়াদব তো হই নি।বড়লোক মেয়ে বিয়ে করার জন্য তুমি যেভাবে নিজের ভালোবাসার মানুষকে অস্বীকার করেছো তেমন তো করি নি।”
আদনান চমকে উঠে আশার দিকে তাকালো। ডাইনিং টেবিলের চেয়ারে বসে আশা মিটিমিটি হাসছে। আশা কি কিছু বুঝতে পেরেছে?
আদনান সতর্ক হলো। আফিফাকে বিগড়ানো যাবে না।সব ফাঁস করে দিলে সোনার হরিণ হাতছাড়া হয়ে যাবে তার।
আজাদ সাহেব আফিফার মুখ উপরের দিকে তুলে ধরে নরম স্বরে বললেন, “দেখ মা,যদি এমন হতো যে জহির ও তোকে পছন্দ করে তাহলে না হয় একটা ব্যাপার ছিলো আমরা ভাবতাম বিষয়টি নিয়ে। জহির আমাকে বলে দিয়েছে ইতোমধ্যে সে প্রয়োজন হলে বাড়ি থেকে চলে যাবে।তাহলে তুই বল,এই মুহূর্তে আর তোর কি করার আছে? ”
আফিফা জবাব দিলো না। সে নিজেও জানে তার কিছু করার নেই।তবুও একটা চান্স পেতে চেয়েছে। জহির ভাইকে জানাতে চেয়েছে নিজের মনের কথা। জহির ভাই রাজি থাকলে এক হিসেব আর না থাকলে অন্য হিসেব।
অশ্রু টলটলে চোখে ধ্রুবর দিকে তাকিয়ে আফিফা বললো, “আমার আর কিছু বলার নেই ধ্রুব।আমি তবুও এখন নিজেকে বুঝাতে পারবো এই বলে যে আমি তো আমার মনের কথা জানিয়েছি জহির ভাইকে।সে আমাকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
আজ যদি এই কথাটা না বলতাম সারাজীবন আমার আফসোস থেকে যেতো এই ভেবে যে কেনো একবার সাহস করে সবাইকে জানালাম না।”
ধ্রুব কি করবে বুঝতে পারলো না। নয়নার ভীষণ খারাপ লাগলো আফিফার জন্য।মায়ের রুমে গিয়ে দেখে জহির বসে বসে নখ কাটছে।নয়নাকে দেখে হেসে বললো, “নিধি কেমন কামড় দেওয়া শিখেছে দেখেছিস তুই?দেখ না আমার নাকের কি অবস্থা করেছে পাজিটা”
নয়না ভাইয়ের সামনে বসে বললো, “আফিফা ভীষণ কাঁদছে। ”
জহির হেসে বললো, “সে তো আমি নিজেও দেখেছি আমার বোনকে কাঁদতে। তাতে কি?আমার বোনের কান্না দেখে কি ওদের মন গলেছে?
আদনান যে এরকম একটা বিট্রে করলো, কেউ কি একবার একটা কথা বলেছে ওরা?
তাহলে আফিফা কাঁদলে আমার কি?এমন তো না যে আমি ওকে মাঝপথে ছেড়ে দিচ্ছি বা ওকে ঠকাচ্ছি।আমি এসবে জড়িত ছিলামই না কখনো। তাহলে আমার মাথাব্যথা কিসের?”
নয়না ভাইয়ের হাত চেপে ধরে বললো, “তুই এতো কঠোর কেনো ভাই?”
জহির হেসে ফেললো বোনের কথা শুনে। তারপর বললো, “আমার মনে যে কি পরিমাণ মায়া তুই ভাবতে ও পারবি না। একদিন বুঝবি সেটা। ”
মেহমান এলো দুপুরের দিকে।দুই সিএনজি করে মোট ১০ জন,বাইকে করে এসেছে ৪ জন।
শালুক একেবারে জবরদস্ত একটা সাজ দিয়েছে। যেনো আজকে বিয়ে হচ্ছে কারো।ধ্রুব একটা সাদা শার্ট আর লুঙ্গি পরেই নিচের দিকে যেতে নিতেই শালুকের সাথে দেখা হয়ে গেলো তার।
মুহুর্তেই মেজাজ বিগড়ে গেলো তার।যেনো শালুক নয় একটা ক্লাউন দাঁড়িয়ে আছে তার সামনে। তবুও রক্ষা মাথায় হিজাব থাকায় একটু ভদ্র লাগছে তাকে।
কোনো কথা না বলে ধ্রুব চলে গেলো। পলক ও এসেছে সবার সাথে, ধ্রুব গিয়ে বন্ধুর সাথে হ্যান্ডশেক করলো।
সবাইকে সোফায় বসতে বলে নিজে গিয়ে ট্রে তে করে সবার জন্য শরবত নিয়ে এলো।
আদনান আশার হাত ধরে নেমে এলো নিচে।শালুকের ভীষণ রাগ হলো এতো আদিখ্যেতা দেখে।মেহমানদের সাথে শাপলার বয়সী দুটো মেয়ে এসেছে। ওরা পুরো বাড়ি ঘুরে দেখছে।মধ্যবয়সী তিনজন মহিলা উঠে গিয়ে রান্নাঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ দেখলো,তারপর ফিসফিস করে কানাকানি করে নিজেদের মতো উপরের দিকে গেলো।
শালুকের কেমন যেনো লজ্জা-লজ্জা লাগছে হঠাৎ করে। মহিলা ৩ জনকে উপরের দিকে আসতে দেখে শালুক সরে গেলো। তারপর বের হলো মেয়ে দুটো কে দেখে ওদের সাথে ভাব করতে।
শালুকের এরকম সাজ দেখে মেয়ে দুটো হেসে ফেললো। একজন অন্যজনকে ফিসফিস করে কিছু বললো।
শুনতে না পেলেও শালুক বুঝতে পারলো ওকে নিয়েই কিছু বলছে ওরা।হঠাৎ করেই শালুকের মন খারাপ হয়ে গেলো। ওরা কি শালুকের সাজ নিয়ে কথা বলছে?
রুমে ঢুকে শালুক দরজা বন্ধ করে দিলো। তারপর আয়নার সামনে গিয়ে নিজেকে খুঁটিয়ে দেখলো।
কিছু বুঝতে না পেরে সব মেকাপ তুলে ফেললো রাগ করে। তারপর গায়ের টকটকে লাল জামাটা চেঞ্জ করে একটা হলুদ রঙের সুতি থ্রিপিস পরে নিয়ে,সাদা হিজাব পরে নিলো।
আফিফাকে সাথে নিয়ে আফিফার দাদী মেহমানদের সামনে গেলো।শাপলা, শালুক, ধ্রুবর বোন দিবা আসতে নিতেই ধ্রুব ধমক দিয়ে তিনজনকে উপরে পাঠিয়ে দিলো। সব নাশতা টেবিলে এনে ধ্রুব উপরে গেলো। তারপর তিনজনকে ধমক দিয়ে বললো, “বিয়ে হবে আফিফার,তোদের লজ্জা করে না ধেইধেই করে যে সেজেগুজে ওদিকে যাচ্ছিস?
দেখে মনে হয় যেনো তোদের দেখতে আসছে পাত্রপক্ষ। ”
শালুক মুখ বাঁকিয়ে বললো, “আমি কি সেজেছি না-কি! ”
ধ্রুব ভালো করে তাকিয়ে বললো, “একবার তো একেবারে জংলীদের মতো সেজেছিস।হঠাৎ করে সুবুদ্ধি হয়েছে দেখে না হয় সব তুলে ফেলেছিস।এটা কি হিজাব পরেছিস তুই?হিজাবে এতো দাগ কেনো কলমের?এই তোর কি খাতা নেই,হিজাবে এতো আঁকিবুঁকি করে রেখেছিস কেনো?”
শালুক মাথা নিচু করে বললো, “আমি তো হিজাব পরি না,অন্য হিজাব বেশি নেই।এটা আমার স্কুল ড্রেসের সাথের হিজাব।”
ধ্রুব বিড়বিড় করে বললো, “খবরদার,পায়ের গোড়ালির নিচ দিয়ে ভেঙে দিবো যদি তিনজন কে দেখি ওখানে এতো মানুষের সামনে গিয়ে ঢং করতে।”
ধ্রুব চলে যেতেই শাপলার কলিজা মোচড় দিয়ে উঠলো। আহা,এতো যত্ন করা মানুষটা কি না তার হবে না!সে না-কি অন্য কাউকে ভালোবাসে!
শাপলা বিছানার উপর ধপ করে বসে পড়লো। তার কিছুই ভালো লাগছে না এখন।আফিফা আপার এসব দেখার পর শাপলা তওবা করেছে একশো বার।জীবনেও কাউকে বলবে না সে যে ধ্রুব ভাইকে পছন্দ করে।
কিছুক্ষণ পর মেহমানরা খাবার খেলো।আদনান আশা ও বসলো তাদের সাথে খেতে।আজাদ সাহেব দুই ভাইকে নিয়ে, বাবাকে নিয়ে বসেছে,খেতে খেতে বিভিন্ন কথা বলছে সবাই।ধ্রুব রান্নাঘর আর ডাইনিং টেবিলে দৌড়াদৌড়ি করছে খাবারের প্লেট বাটি হাতে নিয়ে। সবাইকে খাবার বেড়ে দিচ্ছে,এটা ওটা এগিয়ে দিচ্ছে।
আদিবা বেগম নিজের ছেলের উপর ভীষণ রাগ হলেন।
খাবার পর পাত্রপক্ষ জানালো তাদের মেয়ে পছন্দ হয়েছে,মেয়েপক্ষ গিয়ে তাদের বাড়িঘর দেখে আসুক আগামীকাল।মেয়েপক্ষের যদি সব পছন্দ হয় তারপর তারা এসে বিয়ের কথা পাকা করে যাবে।
আদিবা বেগম স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন।
মেহমান যেতেই আদিবা বেগম আদনানের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন যেনো। ছেলেকে ধমকে বললেন,”বে-আক্কেলের মতো যে খেতে বসে গেলি তুই,একবার এটা মাথায় ছিলো না মেহমানদের খাবার এগিয়ে যুগিয়ে দিতে হবে?ধ্রুব ছেলেটা একা একা সব করলো আর তুই নাচতে নাচতে খেতে বসে গেলি!
আক্কেল কি তোর হবে না কোনোদিন? ”
আদনান লজ্জা পেলো কিছুটা। কিন্তু কিছু বললো না।কিছু বললে মা এখন অনেক কথা শুনিয়ে দিবে। আশার সামনে প্রেস্টিজ রক্ষা করা এখন দরকার।
আশা বললো,”তোমাদের এই ব্যাপারটা খুব সুন্দর। আমি খুব এনজয় করেছি।আদনান,আমাদের বিয়ের সময় ও কি এরকম দেখাদেখি হবে?আমাকে ও কি আফিফার মতো করে সেজে আসতে হবে?”
ধ্রুব হেসে বললো, “না আশা,তোমার এসব লাগবে না।তোমার আর ভাইয়ার বিয়ের কথা তো সবাই জানেই।শুধু একটা ডেইট ফিক্সড করা হবে,তারপর কবুল বলে তুমি চলে আসবে আমাদের বাড়িতে।”
আশা ধ্রুবর দিকে তাকালো। শ্যামলা বর্ণের,লম্বা গড়নের,এক মাথা ঝাঁকড়া চুলের এই ছেলেটাকে ভীষণ সুন্দর লাগছে লুঙ্গিতে।
আদনানকে আশা লুঙ্গি পরতে দেখে নি কখনো। আদনান মনে প্রাণে পশ্চিমা সংস্কৃতি ধারণ করে পশ্চিমাদের মতো হতে চায়।ওর মধ্যে কোনো স্বকীয়তা নেই।
আশা আদনানকে বললো, “তুমি একবার লুঙ্গি পরিও তো,কেমন লাগে তোমাকে দেখবো।”
আদনান হেসে বললো, “পাগল হয়েছ তুমি আশা?আমি আর লুঙ্গি! ইম্পসিবল!
কিছুদিন পর আমেরিকান মেয়ে বিয়ে করে আমেরিকান হয়ে যাবো। আমি না-কি এখন লুঙ্গি পরবো?”
আশা কিছুক্ষণ ধ্রুবর দিকে থাকলো।
ধ্রুব নিজের মতো করে কথা বলছে দাদা দাদীর সাথে। তারপর বের হয়ে বাজারের দিকে গেলো।
শালুক সন্ধ্যা বেলায় বই নিয়ে বসলো। ইংরেজি একটা প্যারাগ্রাফ মুখস্থ করতে গিয়ে আধাঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে গেলো। আধাঘণ্টার চেষ্টার মধ্যে শালুক দুই পেইজ ভর্তি করে ফেললো হাবিজাবি আঁকিবুঁকি করে। তারপর শালুক অনুধাবন করতে পারলো, সে যে আসলে এক লাইন ও মুখস্থ করতে পারে নি।
বিরক্ত হয়ে শালুক উঠে গেলো বই রেখে।আধা ঘন্টা পড়ে ও যদি এক লাইন মুখস্থ করা না যায় তবে সেই দায়ভার কি শালুকের?কিছুতেই না।বরং যারা এই প্যারাগ্রাফ লিখেছে তাদের। তারা স্টুডেন্টদের উপযোগী করে লিখতে আরে নি বলে নিজেকে বুঝ দিয়ে শালুক আনন্দ চিত্তে শাপলার রুমে গেলো।
শাপলার রুমে গিয়ে দেখলো আফিফা,শাপলা,আশা,দিবা বসে আছে। আশাকে দেখে শালুক কিছুটা বিরক্ত হলো। কিন্তু তা প্রকাশ করলো না। আফিফার কান্না দেখে শালুকের মন খারাপ হয়ে গেলো।
সবাই মিলে আফিফাকে সান্ত্বনা দিচ্ছে।
ধ্রুব এলো আটটার দিকে। ততক্ষণে আফিফার কান্না থেমেছে। হাতে করে নিয়ে এলো চারটি শপিং ব্যাগ।
শালুকের রুমে গিয়ে দেখে রুম খালি।তারপর শাপলার রুমে উঁকি দিলো।শাপলা,শালুক,আফিফা,দিবা,আশা সবাই বসে আছে গোল হয়ে। গলা খাঁকারি দিয়ে ধ্রুব ভেতরে এলো।তারপর ব্যাগগুলো সবার মাঝখানে রেখে আবার চলে গেলো।
দিবা হুমড়ি খেয়ে পড়লো ব্যাগের উপর।
ভেতরে দুটো করে শপিং ব্যাগ।ব্যাগের উপর সবার নাম লিখা আছে। শাপলা খুলে দেখলো ৬ টা হিজাব।
শালুক বিরক্ত হলো আশার জন্য ও হিজাব এনেছে দেখে।শাপলা,শালুক,আশা,আফিফা,দিবা,নয়না সবার জন্য হিজাব এনেছে ধ্রুব।
শালুক নিজের হিজাব রুমে রাখতে এসে টেবিলের উপর একটা নীল কাগজ দেখতে পেলো। উৎসাহী হয়ে সেটা খুলতেই দেখলো ভেতরে লিখা,”ধ্রুবর ঘরের দেয়ালে,আশার টিশার্টে কে এসব লিখেছে তা আর কেউ না জানলেও আমি কিন্তু জানি।ধরা পড়ে গেলে শালুক।”
শালুকের বুক কেঁপে উঠলো এটা পড়ে।কে লিখাছে এটা?
না,এই হাতের লিখা তো তার অচেনা।বোকা শালুক বুঝলো না তার মতো অন্য কেউ বাম হাতে লিখতে পারে।
তড়িঘড়ি করে কাগজটা ছিঁড়ে ফেললো।
ধ্রুব শালুকের রুমে এসে বললো, “তোর টিচার ঠিক করে এসেছি। আগামীকাল বিকেল থেকে তোকে পড়াতে আসবে।”
শালুক মুষ্টি বদ্ধ করে হাত পিছনে নিয়ে বললো, “ঠিক আছে।”
ধ্রুব চেয়ার টেনে বসে বললো, “জানিস আজকে কি হয়েছে,আমার কেশবতীর কথা বলেছি না তোকে,ওর জন্য হিজাব কিনতে গিয়েছি মূলত। তারপর মনে হলো বাসায় ওরা আছে তাই সবার জন্য কিনলাম।”
শালুক মাথা নেড়ে বললো বুঝেছি।
ধ্রুব কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বললো, “কি হয়েছে তোর?এরকম স্ট্যাচু হয়ে দাঁড়িয়ে আছিস কেনো?হাতে কি পিছনে? ”
শালুক চমকে উঠে সব জানালা দিয়ে ফেলে দিলো। টেবিলের উপর ছোট একটা কাগজের টুকরো পড়ে গেলো তড়িঘড়িতে।
ধ্রুব খুলে দেখলো লিখা আছে “গেলে শালুক।”
শালুকের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো, “কি এটা?লাভ লেটার?”
শালুক ঘামতে লাগলো। কি জবাব দিবে শালুক?ধ্রুব ভাই যদি জানতে পারে তবে কি শালুককে আস্ত রাখবে?
মনে মনে ইয়া নাফসি জপতে লাগলো শালুক।
ধ্রুব মনে মনে বললো, “একটা বোকা ফুলের জন্য কখনো উতলা হবো,তা কে ভেবেছে কবে?”
চলবে……
রাজিয়া রহমান