লাভ গেম পর্ব-৩

0
1521

#লাভ_গেম
#ফাবিহা_নওশীন

৩.

আদ্রিশ রুশাকে ডেকে পাঠিয়েছে। রুশা ওর রুমের দরজার সামনে এসে দাঁড়িয়ে আছে। গতকাল যে ঘটনা ঘটিয়েছে তারপর ওর সামনে যেতে লজ্জা আর সংকোচ উভয়ই লাগছে। আদ্রিশ আবার অমন কিছু করবে না তো এরমকম প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। রুশা লজ্জায় আড়ষ্ট হয়ে ভেতরে গেল। আদ্রিশ চোখ তুলে বাকিয়ে ওকে একবার দেখল। রুশার মনে হলো দৃষ্টি তো না যেন ধারালো ছুরি ছুড়ে মারল যা ওর হৃদপিণ্ড ভেদ করে বেড়িয়ে গেল। রুশা যদি এখুনি ঢলে পড়ে ওর মাংস চিবিয়ে খাবে, রক্ত চুষে খাবে। কেন জানি বাজ পাখির দৃষ্টিই মনে হচ্ছে।
রুশার এ-সব মনে করার মাঝেই আদ্রিশ ওর সামনে এসে বলল,
“ইউ আর ফায়ার্ড।”

রুশা ওর কথা শুনে শকড। কেন, কখন, কোন কাজের জন্য ওর চাকরি হারালো কিছুই বুঝতে পারছে না। চাকরিটা চলে গেলে ওর এতদিনের স্বপ্ন, এত কষ্ট, পরিশ্রম সব বিফলে যাবে। ভেতরে ভেতরে চুরমার হয়ে যাচ্ছে। তবুও নিজেকে সামলে শক্ত গলায় বলল,
“আমার অপরাধ?”

আদ্রিশ কঠিন বলল,
“এখনো বুঝোনি?”

রুশা ঘনঘন পলক ফেলে বলল,
“না। কি করেছি আমি?”

“খুন।”

রুশা আঁতকে উঠে বলল,
“খুন! আমি! কবে? কখন? সবচেয়ে বড় কথা কার? আমি একটা মশা মারার আগে দশবার ভাবি, পিঁপড়া মারতে ভয় পাই। সে আমি খুন করেছি? এ নিশ্চয়ই আপনার সাজানো ষড়যন্ত্র।”

আদ্রিশের চেহারা মুহুর্তেই বদলে গেল। ধমক দিয়ে বলল,
“এত কথা বলো কেন? বলেছি খুন করেছো ব্যাস করেছো।”

রুশা পারলে কেঁদে দেয়। বড় লোকের বড় ব্যাপার নিশ্চয়ই নিজে খুন করে ওকে ফাঁসাচ্ছে। ফাঁসিয়ে দিলে কি করবে ও? কে বাঁচাবে ওকে? ওর অনাথ আশ্রমের কি হবে? ভাবতেই কান্না পাচ্ছে।

আদ্রিশ ওর কানের কাছে ফিসফিস করে বলল,
“তুমি আদ্রিশ আফসানকে খুন করেছো।”

রুশা চোখ বড়বড় করে ওর দিকে তাকাল। জলজ্যান্ত একটা মানুষ। আদ্রিশ হাসছে। রুশার ওকে পাগল মনে হচ্ছে। পারলে সত্যি সত্যি খুন করে দেয়। কিন্তু সেটা তো সম্ভব নয়।

“যাইহোক তোমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।”

রুশার কিছুক্ষণ আগে মনে হচ্ছিল মজা করছে কিন্তু এখন তো সত্যি সত্যিই বলছে।
“কিন্তু স্যার কেন?”

“ওই যে বললাম খুন করেছো। আদ্রিশের খুন করেছো। এর শাস্তিস্বরূপ তোমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তোমার মতো সুগন্ধি ফুলকে এই জঞ্জালে মানায় না। তোমার আসল স্থান প্যালেসে। আমার প্যালেস।”

রুশা অবাক হয়ে বলল,
“মানে?”

আদ্রিশ বলল,
“ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে কথা বলা আমার পছন্দ না। আমি তোমাকে বিয়ে করব। আর সেটা খুব শীঘ্রই।”

রুশা আরেকদফা অবাক হলো। এবার আর কথা বলতে পারছে না। ঢোক গিলে কাঁপা কাঁপা গলায় বলল,
“বিয়ে! মানে কি? আপনি বললেন আর হয়ে গেল? আমার মতামতের প্রয়োজন নেই? আমি যদি না বলি?”

“বলবে সমস্যা কই? তবে তোমার হ্যাঁ না-তে আমার কিছু আসে যায় না। তোমার মতামতেরও প্রয়োজন নেই। আমি কারো মতামত নেই না। নিজের মতামত জানিয়ে দেই। আর বিপরীত ব্যক্তি সেটা আমাকে দিতে বাধ্য থাকে।”

“কিন্তু আমি বাধ্য নই। করলাম না আপনার চাকরি। যা করার করুন। আমি আপনাকে বিয়ে করব না।”

রুশা শব্দ করে দরজা খুলে বের হয়ে গেল।
আদ্রিশ ওর যাওয়া দেখে বাঁকা হেসে বসে পড়ল।
কলম ঘোরাতে ঘোরাতে বলল,
“যত উড়ার উড়ে নেও। পাখি তুমি খুব শীঘ্রই আমার পিঞ্জরে বন্দী হবে।”

.

রুশা আর কথা আশ্রমের বাচ্চাদের খরচের লিষ্ট করছে। পুরো মাসে কোথায় কত টাকা লাগবে তার একটা লিষ্ট কথা তৈরি করে ফেলেছে। রুশা অবর্তমানে কথার উপর সব দায়িত্ব। রুশা অফিসে থাকে, কাজ করতে হয় আশ্রমে তেমন সময় দিতে পারে না। তাই পুরো দায়িত্ব কথার উপর। রুশা যতটুকু পারে সময় দেয়। তবে চাকরি ছাড়ার পরে অফুরন্ত সময়। হটাৎ বাইরে বিকট শব্দে দু’জন চমকে যায়। ওরা একে অপরের দিকে চাওয়াচাওয়ি করল।
“রুশা আপু, এটা কিসের শব্দ?”

“বুঝতে পারছি না। চলো গিয়ে দেখি।”

রুশা আর কথা দু’জন একসাথে বাইরে গেল। আশ্রমের বারান্দায় বাচ্চারা জড়ো হয়েছে। দুজন মেম বের হয়ে এসে দাঁড়িয়েছে।

রুশা দূর থেকে বলল,
“আমি দেখে আসছি। আপনারা বাচ্চাদের নিয়ে ভেতরে যান।”

ওয়াচম্যান দৌড়ে এল হাপাতে হাপাতে।
“মেম, বাইরে কতগুলো লোক এসেছে। বলছে আশ্রম ভেঙে ফেলবে।”

“ভেঙে ফেলবে মানে? ওর বাবার না-কি আশ্রম?”
রুশা রেগেমেগে বাইরের দিকে ছুটছে।

কতগুলো লোক আশ্রম ভাঙার জন্য উদ্বত হলে রুশা চিৎকার করে বলল,
“থামো, থামো। থামো বলছি।”

লোকগুলো অনেক চিৎকার চেঁচামেচির পর থেমে গেল। রুশা দৌড়ে ওদের কাছে গিয়ে বলল,
“কি হচ্ছে এটা? কার পারমিশন নিয়ে আমার বাড়ি ভাঙতে এসেছেন?”

“মেম, আমাদেরকে এই বাড়ি ভাঙার কাজ দিয়েছেন এই বাড়ির মালিক।”

“এই বাড়ির মালিক? এটা তো আমার বাড়ি। কে অর্ডার করল?”

“আদ্রিশ আফসান।”

রুশা চমকে উঠে।
“আদ্রিশ স্যার? একটু অপেক্ষা করুন।”

রুশা কথাকে ওর ব্যাগে একটা কার্ড আছে ওটা আনতে বলল। কথা দৌড়ে গেল কার্ড আনতে। রুশা সেজানকে দেখল ওর দিকে এগিয়ে আসছে। রুশা দৌড়ে ওর কাছে গিয়ে বলল,
“এটা কি হচ্ছে? এই বাড়ি কি করে আপনার বসের হলো? ক্ষমতা দেখাচ্ছেন?”

“সরি মেম। ক্ষমতা দেখাচ্ছি না। আমাদের কাছে লিগেল পেপার আছে।”
তারপর ওকে কিছু কাগজপত্র দিল। সব দেখে রুশার চোখ কপালে। পেপারে ওর নিজের সাইন। দুদিন আগেই বিক্রি করে দিয়েছে আদ্রিশের কাছে। কিন্তু রুশা এমন কিছু করেনি।
“এটা জালিয়াতি। আপনারা জাল পেপার বানিয়েছেন।”

“কিন্তু সাইন তো আপনার।”

“আমি কোনো পেপারে সাইন করিনি।”

সেজান মৃদু হাসল।
“সেটা আপনি বললে হবে না। আমাদের কাছে প্রমাণ আছে। আপনি বাঁধা দিলে আমরা পুলিশ ডাকব। তারা আপনাদের উচ্ছেদ করবে।”

“কি চাই আপনাদের?”

“ছোট একটা জিনিস। আর সেটা ভাই আপনাকে অলরেডি বলে দিয়েছে। রাজি হয়ে যান নয়তো এই ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে রাস্তায় ঘুরতে হবে।”

“অমানুষ! আপনি আর আপনার বস অমানুষ। এই ছোট ছোট বাচ্চাদের ব্যবহার করতে লজ্জা করল না? আপনার বসকে কল দিন আমি কথা বলব।”

“আপনি চাইলে উনি এখানে চলে আসবে। আপনার জন্য তার অফুরন্ত সময়।”

রুশা মনে মনে বলছে যেমন বাজপাখি তেমন তার চামচা। দুটোকে মনে মনে গালাগাল করছে।
কথা কার্ড নিয়ে দৌড়ে এসে বলল,
“আপু,নেও।”

“দরকার নেই ওর চামচার সাথে কথা বলে এসেছি।”

“চামচা?”

“হ্যাঁ আদ্রিশের পেছনে পেছনে ঘুরে।”

“ওহ, বডিগার্ড অথবা এসিস্ট্যান্ট। চামচা বলছো কেন?”

“কেন? তোমার স্বামী লাগে? এত জ্বলে কেন?”

কথা চুপ করে গেল। রুশা প্রচুর ক্ষেপেছে তাই ওকে আর ক্ষেপানোর দরকার নেই।

কিছুক্ষণের মধ্যেই আদ্রিশ চলে এল। গাড়ি থেকে নামছে তখন কথা রুশাকে ফিসফিস করে জিজ্ঞেস করল,
“ইনি আদ্রিশ?”

“হুম।”

“দেখে তো হেব্বি বড়লোক মনে হচ্ছে। ইনি এই বাড়ির পেছনে পড়ল কেন?”

“তুমি বুঝবে না।”

আদ্রিশ দাঁড়িয়ে আছে। সেজান রুশার কাছে এসে বলল,
“ভাই আপনার সাথে আলাদা করে কথা বলতে চায়। আসুন প্লিজ।”

রুশা একবার কথার দিকে তাকাল। তারপর আদ্রিশের সাথে কথা বলতে চলে গেল। রুশা আদ্রিশের সামনে গিয়ে দাঁড়াল কিন্তু কি বলবে। আমতা আমতা করছে। কথা তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছে।

সেজান ধমক দিয়ে বলল,
“এই মেয়ে, এখানে সিনেমা চলছে? এমন উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছো কেন?”

কথা এতক্ষণ ওকে খেয়াল করেনি। ওকে দেখে এক দৌড়ে গেটের সামনে চলে গেল। সেজান অবাক হয়ে চেয়ে আছে।

“আপনি আমার বাড়ির পেছনে কেন পড়েছেন? অনাথ বাচ্চারা এখানে থাকে। মানবতা বলে আপনার কিছু নেই?”

“এখানে কারা থাকে এসব দেখে আমার লাভ আছে? লস বলতে আমার লাইফে কিছু নেই। এখানেও আমি লস করব না। হয় তোমার আশ্রম ভেঙে শপিং মল গড়ব অথবা তোমাকে বিয়ে করব। দুটোর মধ্যে অন্তত একটা আমার চাই।
নয়তো এত সময় ব্যয় করলাম কেন?”

রুশা ওর কথা শুনে অবাক হয়ে ওর দিকে চেয়ে আছে।।
“এভাবে চেয়ে থেকে লাভ নেই। হয় বিয়ে করবে নয়তো লিভ মাই হাউজ রাইট নাও। আই ডোন্ট হেভ টাইম।”

রুশা কি বলবে বুঝতে পারছে না। আদ্রিশ ওকে সময় দিল না। নিজের লোকদের ইশারা করল কাজ শুরু করার জন্য। রুশার কানে শব্দ আসতেই চিৎকার শুরু করল। এক পাশের দেয়াল ভেঙে ফেলেছে। বাচ্চারা বের হয়ে ছুটাছুটি করছে। ভয়ে কান্নাকাটি করছে। রুশা ওদের থামাতে না পেরে কপালে হাত দিয়ে বসে পড়ল। আদ্রিশ গাড়িতে হেলান দিয়ে তামাশা দেখছে। বাচ্চারা ওর কাছে এসে কান্নাকাটি করছে। ওদের আশ্রয়স্থল কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।

রুশা চোখের পানি মুছে উঠে দাঁড়াল। আদ্রিশের কাছে ছুটে গেল। কাঁদতে কাঁদতে বলল,
“প্লিজ, এসব থামান। ওদের থাকার কোনো জায়গা নেই। আমি করব আপনাকে বিয়ে।”

আদ্রিশ ওর কথা শুনে স্বাভাবিক ভাবেই বলল,
“সেই রাজি হলেই অযথা ড্রামা করে আমার সময় নষ্ট করলে।”

আদ্রিশ সেজানকে ইশারা করল। সেজান কাজ থামিয়ে দিল।
“সেজান, আগামীকাল সকালে আমাদের বিয়ে। সব এরেঞ্জ করো। আর এখানে যা যা ক্ষতি হয়েছে সব ঠিক করে দেওয়ার ব্যবস্থা করো।”

“জি ভাই।”

রুশা কোনো কথা না বলে চুপচাপ ভেতরে চলে গেল। কথা ওকে বলল,
“আপু, তুমি এই লোকটাকে বিয়ের জন্য হ্যাঁ বলে দিলা? তুমি ঠিক করোনি।”

“সবাইকে নিয়ে ভেতরে যাও।”
রুশা নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল৷ কথা কিছু বুঝতে পারছে না। রুশা এত স্বাভাবিক কেন? রুশা বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করে। ও কিছু ভাবতে চায় না। অন্তত আজকের রাতটা নিজের মতো কাটাতে চায়। শান্তিতে একটু ঘুমাতে চায়। কথা খেয়াল করল বাইরে অনেকগুলো লোক পাইচারি করছে। হয়তো ওদের উপর নজর রাখছে।

সকালে ঘুম থেকে উঠে চোখ ডলতে ডলতে বারান্দায় এলো। বাইরে অনেক লোকজনের আনাগোনা। রুশা ফ্রেশ না হয়েই বাইরে বেরিয়ে এলো। কয়েকজনের হাতে শপিং ব্যাগ। বিয়ের লেহেঙ্গা, জুয়েলারি, কসমেটিকস, জুতা সব নিয়ে এসেছে। পার্লার থেকে মেকাপ করার জন্য দুজন অল্পবয়সী মেয়ে এসেছে। ওরা রুশাকে দেখে বলল,
“এটা বিয়ের কনে?”

রুশার রাগ হচ্ছে। সকালে বিয়ে করবে তাই বলে এত সকালে? অতঃপর ঘড়ি দেখে চোখ কপালে। ঘড়িতে দশটা ছুইছুই। এত বেলা পর্যন্ত ঘুমিয়েছে? একটা ট্রাক থেকে খাবার নামানো হচ্ছে। আরেক ট্রাক থেকে বাচ্চাদের জন্য জামাকাপড়, খেলনা, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। সেজান ওর কাছে এসে বলল,
“ভাবি আপনি তৈরি হয়ে নিন। ভাই সময় মতো চলে আসবে।”

রুশা দাঁত খিচিয়ে বলল,
“হ্যাঁ, আমি তো তোমার ভাইয়ের জন্য অপেক্ষা করে মরে যাচ্ছি।”
রুশা ঘরে চলে গেল। ওয়াশরুমে গিয়ে ঝর্ণা ছেড়ে কাঁদতে লাগল। কি করবে বুঝতে পারছে না। ওই লোককে বিয়ে করা ছাড়া উপায় নেই। বিয়ে না করলে এতদিনের চেষ্টা, পরিশ্রম জলে যাবে। বেঁচে থাকার উদ্দেশ্যটা হারিয়ে যাবে।
“ভাইয়া, তোমার আদরের বোন আজকে একটা গুন্ডাকে বিয়ে করছে। দেখেছো? জীবন আমাকে কোথায় নিয়ে গেল!”

***
রুশা শেষ বারের মতো আয়নার নিজেকে দেখে নিল। বউ সাজে অপরুপ লাগছে। ওর ভাবনার বাইরে। রুশাকে কথা এসে নিয়ে গেল। আদ্রিশও চলে এসেছে। গায়ে স্যুট। বিয়ে করতে এসেছে স্যুট পরে। রুশাকে আদ্রিশের পাশে বসানো হলো বিয়ে পড়ানোর জন্য। রুশা মাথা নিচু করে চোখের পানি ফেলছে। ইচ্ছে করছে পালিয়ে যেতে। কিন্তু এই ছোট ছোট বাচ্চাদের রেখে পালানো সম্ভব না। এতটা স্বার্থপর নয়। এই রকম একটা লোককে বিয়ে করার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো। মরে তো সেদিন গিয়েছে যেদিন ভাইকে হারিয়েছে। এই বাচ্চাগুলোর জন্য বেঁচে আছে তাই ওদের জন্য জীবন উৎসর্গ করে দিচ্ছে।

কলম হাতে নিয়ে কাঁপছে রুশা। সাইন করতে পারছে না। আদ্রিশ ওর হাত চেপে ধরে চোখ গরম করে তাকাল। রুশা ঠোঁট কামড়ে কান্নাটাকে আঁটকে সাইন করে দিল।

চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here