#রাগি_Devil_এর_অত্যাচার??
#Season_2
#part_19
#Arohi_Afrin
অরু:(স্যার কি শাস্তি দিবেন!!!)
আহান:পেয়েছি,,,,,,
অরু:কি পেয়েছেন স্যার??
আহান:তোমার শাস্তি,,,,,, এক কাজ করো,,,,আজকের lunch তুমি নিজ,হাতে বানাবে,,,,
অরু:What????আমি?? তাও আবার lunch রেড়ি করবো??
আহান:এমন ভাবে বলছো যেন তুমি রান্না করতে পারো না,,,
অরু:এজন্যই তো বলছি আমি রান্নার র ও পারি না,,,
আহান:So what??এটা তোমার শাস্তি,,,, আজকে করতেই হবে,,,
অরু:কিন্তু,,(wait wait,,, You tube তো আছেই),,,ওকে স্যার,,,,এই রান্না আমার বা হাতের খেল,,এমন রান্না করবো স্যার আপনার মুখে লেগে থাকবে,একদম চেটেপুটে খাবেন,,,
আহান:কথা কম কাজ বেশি,,,
অরু:সরি স্যার,,,,,
আহান:সারাক্ষণ সরির বস্তা মাথায় নিয়ে ঘুরো নাকি??যাও,,,মাত্র ২৫ মিনিট বাকি আছে,,,
অরু:ওকে স্যার যাচ্ছি যাচ্ছি,,,
অরু বকবক করতে করতে চলে গেল,,,খুব তো বলে গেল রান্না করা তার বা,হাতের খেল,,এখন কিভাবে রান্না করবে ভাবছে অরু,,,,একরাশ সাহস নিয়ে you tube এ ডুকে একটা রেসিপি দেখে নিলো,,,
অরু:যেহেতু,রান্না করছি সেহেতু একেবারেই বিরিয়ানি রান্না করি তাহলে কেমন হবে???বাহ অরু বাহ,কিয়া আইডিয়া হে,ইয়ার,,এই কিউট মাথায় এতো সুইট একটা বুদ্ধি এসেছে,,ওফ ভাবতে খুশি লাগছে এত্তো মজা করে রান্না করবো যে স্যার খুশিতে নেচে দিবে,,ধুর স্যার নাচবে কেন,,,,আচ্ছা আগে রান্না টা তো করি,,,,
অরু you tube দেখে রান্না করছে,,,পিয়াজ কাটার সময় অরুর চোখের,পানি এমন পরছে এটা,দেখে অরু আহানের উপর রেগে গেল,,
অরু:শাস্তি!!এটা শাস্তি,,বজ্জাত ডেবিল,,শাস্তি দিবি ভালো কথা,,কিন্তু রান্নার শাস্তি কেন দিতে হবে,,,ওফফ,,,,,
অরু রেগে মেগে রান্না করতে লাগলো,,সাথে আহানের গুষ্ঠি উদ্ধার করছে,,,পাক্কা ৪৫ মিনিট পর অরুর,রান্না শেষ হলো,,,,
এদিকে আহান সিসি ক্যামেরার সাহায্যে অরুর,কার্যকলাপ দেখে হাসতে থাকে,,,,,অরু,আহানের জন্য একটা প্লেটে করে নিয়ে আসলো,,,
আহান:ফাইনালি এসেছো,,আমি তো মনে করেছি রান্না করার সাথে সাথে তুমি নিজেও,রান্না হয়ে গেছো!!
অরু:কি,, কি বললেন আপনি,,,
আহান:45 minute ধরে এটা বানিয়েছো??
অরু :এটাই অনেক,,নিজে রান্না করলে বুঝতেন হুহ,,,
আহান:ওকে ওকে,,,খেতে পারি এবার??
অরু:Of course,,,,
আহান এক চামচ খেল,,আরেক চামচ মুখে দিতে চোখ মুখ লাল হয়ে গেল,,,,
অরু:স্যার are you ok??
আহান,কথা বলতে পারছেনা,,,কারণ অরু বিরিয়ানিতে এতো পরিমাণ মরিচ দিয়েছে যে ঝালে যে কেউ অজ্ঞান হয়ে যাবে,,
আহান ঢক ঢক করে তারাতারি পানি খেলো,,কিন্তু মনে হয় তার,ভিতর জ্বলে যাচ্ছে,পানিতে কোনো ভাবে ঝালটা যাচ্ছে,,আহান কাশতে শুরু করলো,,,,এবার,অরু কি করবে বুঝতে পারছে না,,
অরু:স্যার কি হয়েছে আপনার,,,
আহান:অ,,অরু,পপপানি,,,,
অরু এক বোতল পানি এগিয়ে দিলো,,,কিন্তু তাও আহানের ঝাল কমাতে পারলো না,,বরাবরি আহানের ঝালে এলার্জি,,,, অরু বুঝার জন্য এক চামচ মুখে দিলো,,অরু নিজেই ঝালে তারাতারি ফেলে দিলো,,,অরু দেখলো আহানের অবস্তা আরো খারাপ হয়ে যাচ্ছে,,,
অরু:এবার আমি কি করবো,,কেন যে বানাতে গেলাম,,স্যারের মে বি এলার্জি আছে,,কিন্তু ঝালটা তো কমছে না,,,কি করি,,,,,,
অরুর মাথায় একটা বুদ্ধি এলো,,কিন্তু বুদ্ধিটা ভাবতেই অরুর নিজেরও লজ্জা লাগলো,,,কিন্তু বুদ্ধিটা কাজে না লাগিয়েও উপায় নেই,,,,
অরু:এটা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই,,,,
অরু আহানের দিকে তাকালো,,,আহানের চোখ থেকে পানি পরছে,,,আহান আর কন্ট্রোল করতে পারলো না,,এবার আহান নিজে থেকে অরুর কাছে আসলো,,,
অরু বুঝতে পারলো,,,অরু নিজেই আহানকে লিপ কিস করলো?,,,প্রায় ৫ মিনিট পর আহান ছেড়ে দিলো,,,ঝাল অনেকটাই কেটে গিয়েছে,,,অরু নিচের দিকে তাকিয়ে আছে,,লজ্জা+অপরাধবোধ দুইটাই কাজ করছে,,,,
আহান:I,, I am sorry,Oru,,,
অরু:না স্যার i am sorry,,আমার জন্য আপনার এই অবস্হা হলো,,,আ,,,
অরু কিছু বলার আগেই আহান সেন্সলেস হয়ে গেল,,,,অরু এবার কেদেঁই দিলো,,,,অরু কয়েকজন অফিসের কলিগ কে ডেকে আনলো,,,,দুজন আহানকে ধরে সোফায় নিয়ে গেল,,,,অরু এক গ্লাস পানি এনে আহানের মুখে ছিটাতে লাগলো,,,একটু পরই আহানের সেন্স আসে,,,,
অরু:স্যার,,স্যার আপনি ঠিক আছেন,,
আহান:I,,I am ok,,,
অরু:স্যার,আপনি বাড়ি চলুন,,,
আহান:N,,no,, I am ok,,
অরু জোর করে আহানকে নিয়ে গেল,,গাড়ির সামনে আসলো,,,আহানের ড্রাইভারকে কল দিয়ে আাতে বললো,,কারণ অরু ড্রাইভ করে পারেনা,,,,,ড্রাইভার আসলে অরু আহানকে নিয়ে পেছনের সিটে বসলো,,ড্রাইভার গাড়ি স্টার্ট দিলো,,আহান মাথা তুলতে পারছেনা বারবার,অরুর কাধে গিয়ে পরছে,,
অরু:স্যার সমস্যা নেই মাথা রাখুন,,,
আহান কিছু বলতে পারলো না অরুর কাধে মাথা রাখলো,,,অরু নিজে নিজেকে অনেক বকছে,,,
আহানের বাসায় আসার পর অরু আহানকে ধরে ধরে নিয়ে গেল,,,আহানের মা আহানের অবস্তা দেখে উত্তেজিত হয়ে বললো,,,
-একি আহানের কি হয়েছে অরু,,,
অরু:আন্টি পরে বলছি,, আগে ওনাকে রুমে নিয়ে যায়??
-নিশ্চয় মা নিশ্চয়,,আসো,,,
অরু আর আহানের মা দুজন আহানকে নিয়ে রুমে গেল,,বিছানায় শুয়ে দিলো,,,আহানের মুখ পুরো লাল হয়ে গেছে,,আহান সেন্সলেস হয়ে আছ,,,অরু কাঁদো কাঁদো হয়ে আহানের দিকে তাকিয়ে রইলো,,,আহানের মা ডক্টরকে কল দিয়ে আসতে বললো,,,,ডক্টর এসে আহানকে চেক করে ঔষধ লিখে দিলো,,,
অরু:আন্টি,, I am sorry,,,please আমাকে মাফ করে দিন,সব আমার জন্য হয়েছে,,,
অরু কেদেঁ কেদেঁ বললো,,,
-আরে আরে কাদছোঁ কেন,,,তুমি তো জেনে বুঝে করো নি,,ওর ছোটবেলা থেকে ঝালে এলার্জি আছে,,,,একটু খানি ঝালও ও সহ্য করতে পারে না আমার ছেলেটি,,,,তোমার কোনো দোষ নেই এতে,,ভালো করেছো বাসায় নিয়ে এসেছো,,,,তুমি একটু বসো আমি ওর জন্য সুপ বানিয়ে নিয়ে আসছি,,,,
আহানের মা চলে গেল,,,অরু দেখলো আহান তার হাত ধরে আছে,,অরু তার অপর হাতটি আহানের হাতের উপর রাখলো,,,,অরুর একে একে মনে পরতে লাগলো কক্সবাজারে যখন অরু আহানকে সুপ ঢেলে দিয়েছিলো,,,যখন পায়ে পা লাগিয়ে দুজন ঝগরা করেছিলো,,,
এরমধ্য আহানের সেন্স আসলো,,,আহান নিভু নিভু চোখে অরুর দিকে তাকালো,,,
অরু:Sir,,sir,,I am soo sorry,,আমি বুঝতে পারিনি আপনার ঝালে এলার্জি আছে,,,
আহান অস্পষ্ট সুরে বললো” It’s ok”
অরু:(এতো কিছু হওয়ার পরও ওনি It’s ok বললেন,,এটার জন্য আমি নিজেকে ক্ষমা করতে পারছিনা,)
আহানের মা সুপ নিয়ে আসলো,,
অরু:আন্টি আপনি যদি কিছু মনে না করেন তাহলে আমি খাইয়ে,দি স্যার কে,,,
আহানের মা মুচকি হেসে অরুর হাতে সুপের বাটি দিয়ে বললো,,
-এখানে কিছু মনে করার কি আছে,,,তুমি খাইয়ে দাও,,আমি একটু আসছি,,
আহানের মা চলে গেল,,,অরু আহানের দিকে এক চামচ করে সুপ দিতে লাগলো,,,,আর আহান নিঃশব্দে খাচ্ছে,,,,হঠাৎ আহানের মাথায় এলো আহান ঝালের বসে অরুকে kiss করেছিলো,,,অরু কি খুব কষ্ঠ পেয়েছে বা রাগ করেচে আহানের উপর???ভেবে যাচ্ছে আহান,,,,কিন্তু আহানের ভাবনার বিচ্ছেদ ঘঠিয়ে অরু বললো,,,
চলবে!!!