#রাগি_Devil_এর_অত্যাচার??
#Arohi_Afrin
#part_8
আহান:মিস অরুনিমা ঝগরাটে এবার বুঝবা কত ধানে কতো চালের বস্তা,,দূর চালের বস্তা কেন চাল হবে,,,,,
অরু বাসায় এসে তার,মাকে জড়িয়ে ধরে বললো,,,,,
অরু:আম্মু আমার চাকরি হয়ে গেছে,,,,
-কি???সত্যি বলছিস??
অরু:100% সত্যি,,,
-খুশি হলাম,,,,,,যা ফ্রেশ হয়ে আয়,,,
অরু নিজের রুমে চলে গেল,,,,ফ্রেস হয়ে মুখ মুছতে মুছতে বিছানায় বসে মোবাইলটা হাতে নিলো,,,,মোবাইল দেখে অবাক তিন্নি রাফিয়া ৫০+মিসড কল,,,,,অরু তাদের গ্রুপে কল দিলো,,,,কল রিসিভ করতেই সবার বকা দেওয়া শুরু,,,
রাফিয়া:শাঁকচুন্নি কাহিকে,না কলেজ এলি না ফোন ধরলি,,,,কই হাওয়া হয়ে গেছিস তুই,,,
তিন্নি: নাকি আবার কালা বা লাল হাতির সঙ্গে ঝগরা করে এলি না,,কোনটা,,,
অরু:উফ তুরা আমাকে কিছু বলতে দিবি তো নাকি,,,,
তিন্নি :আচ্ছা বল,,ওও তুর বাবার কি হয়েছে বলিনি তো,,,
অরু সব বললো,,এমনকি চাকরির কথাটাও বললো,,,
তিন্নি :ওও,,,তুর বস টা কিন্তু খুব ভালো মানুষ,,,
অরু:বস কে জানিস??
রাফিয়া:না বললে কিভাবে জানবো??
অরু:কালা হাতি!!!!
তিন্নি&রাফিয়া:what???????????
অরু:1st এ আমিও শকড ছিলাম,,,,আল্লাহ তায়ালা জানে আমাকে শাস্তি দেয় কিনা,,,
রাফিয়া:বাপরে অরু আমার তো ভীষন ভয় করছে,,
তিন্নি :ওই তুর কেন ভয় করছে যা হয়েছে তো অরুর সাথে,,
অরু:বইন তোরা ঝগরা কর,,মা ডাকছে আমি যায়,,টা টা বাই বাই,,
তিন্নি :শাঁকচুন্নির দেখা যেন আর না পাই হিহিহি,,,
পরদিন অরু রেড়ি হচ্ছে অফিস যাওয়ার জন্য,,সাদা লেডিস শার্ট আর কালো লং স্কার্ট
পরলো,,,চুল ছেড়ে দিলো,,,নাস্তা সেরে বেরিয়ে পড়লো অফিসের উদ্দেশ্যে,,,,,
অফিসে এসে অরু ভিতরে ডুকলো,,,,,ম্যানেজার এসে অরুর ক্যাবিন দেখিয়ে দিলো,,,,,,,অরু সবার সাথে পরিচয় হয়ে নিলো,,,,,,তার এক পাশের কেবিনে রয়েছে সোহা আর অন্য পাশে রয়েছে আয়াশ,,,অরু এই দুজনের সঙ্গে একটু বেশি free হয়ে গেছে,,
আহান তার কেবিন থেকে সব দেখছে,,,কারণ তার কেবিনের ওয়ালটা কাচের যার কারণে বাহিরের দৃশ্যটা দেখা যায়,,,কিন্তু বাহিরে থেকে কে আহানকে দেখবেনা,,,,,,আহান আজ একটু অবাক হলো কারণ মিনার এখনো অফিসে আসেনি,,,,,,,,
কিছুক্ষন পর মিনার আসলো,,,,,আহান বললো,,
আহান:কি হলো মিনার আজ এতে লেট,,,,
মিনার তার হাতে থাকা লেটারটা দিয়ে বললো,,
মিনার:স্যার আপনাকে অনেক ধন্যবাদ,,, বিপদের সময় আপনি আমাকে এই চাকরিটা দিয়েছিলেন তাও আপনার পি এ,,,,,আমি এই অফিসের পাশাপাশি নিজের পায়ে দাড়ানোর জন্য অনেক চেষ্টা করি,,,আর,অবশেষে সফল হয়,,,,,,
আহান:Oh Congress,,, তাহলে আজ থেকে তুমি আর এই অফিসে থাকছো না তাই তো?
মিনার: জ্বী স্যার Sorry,,,
আহান:আরে এতে sorry বলার কি আছে,,আমি অনেক খুশি হয়েছি,,তুমি নিজে কিছু করতে পেরেছো,,,
মিনার:আচ্ছা স্যার তাহলো আজ আসি,,
আহান:Ok best of luck
মিনার চলে গেল,,,আহান মনে মনে বললো,,
আহান:আমার তে পি এ লাগবে,,এখন আবার পি.এ কই পা,,,,পেয়েছি,,এই ঝগরাটেকে যদি পি.এ হিসেবে রাখি তাহলে আরো বেশি করে টাইট দিতে পারবো,,,yeah,,,
আহান ম্যানেজার কে ডাক দিয়ে বললো অরুকে তার ক্যাবিনে পাঠাতে,,,অরু আহানের কেবিনে গেল,,,,,
আহান:শুনো মিস অরুনিমা আজ থেকে তুমি আমার পি.এ,,,আমি বেশি কথা বলা পছন্দ করি না,,আর তুমিও বেশি প্রশ্ন করবানা,ওকে??এবার যাও তোমার কেবিনে,,,
অরু বুঝলো না,,এই ডেকে তাকে বললো পি.এ,,আবার নিজে সব কিছু বলে যেতে বললো,,,কি হচ্ছো এসব,,,,
আহান:এতো ভাবার কি আছ? যাও,,
অরু:জ,জ্বী যাচ্ছি,,,
আহান আবার ডেকে বললো,,,,”দাড়াও এখনি এই তিনটা ফাইল,কমপ্লিট করো,,একদম নির্ভুলভাবে”,,,
অরু:ওকে স্যার,,,,,,
আহান:প্রয়োজন হলে আবার ডাকবো,,,
অরু বেরিয়ে গেলো,,,,
অরু:নিজে নিজে সব কিছু বলছে,,আমাকে একবার বলার সুযোগ পর্যন্ত দিচ্ছে না,,ডেবিল কোথাকার,, ৩টা ফাইল এখনি কমপ্লিট করো(ভেঙিয়ে বললো) ,ডং,,,,
অরু তার কেবিনে বসে ফাইল দেখতে লাগলো,,,ফাইল কমপ্লিট করে আহানের কেবিনে নক করলো,,,,,আহানকে ফাইলগুলা দিয়ে চলে যেতেই আহান বললো,,,
আহান:আমার জন্য এক কাফ কফি বানিয়ে আনো,,
অরু:এ্যাহ??
আহান:হ্যা,,যাও(রেগে)
অরু বকবক করতে করতে কফি বানাতে গেলো,,,,,
কফি আহানকে দিতেই আহান বললো”কফিতে এতো চিনি কেনো??আবার বানিয়ে নিয়ে এসো”
অরু রেগে আবার বানতে গেলো,,,আহান বললো”এখন তো একদম চিনি দাওনি মনে হয়,,পারফেক্ট ভাবে বানাতে পারো না???
অরু রাগে নিজের মাথা ফাটাতে মন চায়ছে,,কফি বানাতে বানাতে অরু নিজে নিজে বললো,,
অরু:ভালো করে বুঝতে পারছি প্রতিশোধ নিচ্চে আমার কাছ থেকে ডেবিলটা,,,,,নো প্রবলেম কয়েকমাসের ব্যাপার তারপরই এখান থেকে চলে যাবো,,,,,
এদিকে আহান”হাহ আমার সাথে ত্যাড়ামি করতে আসে,,এখন তো সবে শুরু এরপর দেখো কি জি হয় মিস ঝগরাটে,,,
অরুকে আহান ৩/৪ বার এভাবে কফি নিয়ে আসতে বলেছে,,,আহান নয়তো বলছে এটা কম নয়তো বলছে এটা কম হয়েছে,নয়তো বা বেশি,,,
অরু:স্যার এই নিন কফি,,এখন একদম পারফেক্ট আছে,,,
আহান:সেটা খেয়ে দেখলে বুঝবো,,
অরু:(আল্লাহ এখন যেন ঠিকভাবে হয় আর পারছিনা একশো বার হাঠতে)
আহান দেখলো অরু চোখ বন্ধ করে কি যেনো বিরবির করছে,,আহান বুঝতে পারছে অরুর দ্বারা আর সম্ভব না তাই সে বললো,,
আহান:হুম এখন একদম পারফেক্ট,,,
অরু চলে যেতে নিলেই আহান বললো,,
আহান:এক মিনিট,,এটাতে সাইন করো,,,
অরু কিছু না পরে সাইন করে দিয়ে বললো,,
অরু:স্যার এবার তো যেতে পারি??
আহান:হ্যা যাও,,,,,
অরু নিজের কেবিনে গিয়ে চেয়ারে বসে পড়লো,,হেলান দিয়ে মিনমিন করে বলছে,,
অরু:শাঁকচুন্না,,ডেবিল,,,কাল হাতি,,কালা ডায়ন,,,ইচ্ছা করছে,,,,
এর মধ্যে আবার ডাক পড়লো,,,,
অরু:স্যার আসবো???
আহান:হ্যা আসো,,,,শুনো কিছুক্ষন পর তো অফিস ছুটি এই ফাইল গুলা কমপ্লিট করবা,,,অরুকে এক গাদা ফাইল দিয়ে বললো,,
অরু চোখ কপালে,,এতো গুলা ফাইল কাকের মধ্যে কিভাবে সম্ভব?
অরু:স্যার কালকের মধ্যে??
আহান:জ্বী কালকের মধ্য,আর শুনো কোনো ভূল যাতে না হয়,,,
অরু মাথা নেড়ে হ্যা বললো ,,,,, অফিস ছুটি হওয়ার পর সবাই যে যার বাসায় চলে গেল,,,
অরু ফ্রেস হয়ে ফাইল নিয়ে বসে পড়লো,,,,
অরু:আমাদের কলুরবলদ পায়ছে মনে হয়,,এই এক গাদা ফাইল কিভাবে শেষ করবো,,আম্মুওওওওওওওওওওও
অরু কতোগুলা দেখা শেষ করে ঘুমিয়ে গেল,,,
এদিকে আহান বাড়িতে এসে ডেবিল স্মাইল দিয়ে ভাবছে “এইবার অরু কে শায়েস্তা করতে পারবে,,”
অন্যদিকে রায়ান ভাবছে”আহ কি সুন্দর সবুজি মেয়েটা,,,,কাল যেভাবে হোক মেয়েটার সাথে দেখা করতে হবে,,,
আহানকে কল দিয়ে অরুর ফ্রেন্ডরা কোন কলেজে পড়ে তা জেনে নেয় রায়ান,,,,,,
পরদিন অরুর ফ্রেন্ডরা সবাই বসে আড্ডা দিচ্ছে,,,তিন্নি বললো,,
তিন্নি:ওইদিন রেস্টুরেন্টের কেউ একটা বিষয় খেয়াল করছিস কি??
তিহান বিরবির করে বললো”আমি তো তোকে দেখতে ব্যস্ত ছিলাম”
তিন্নি:ওই তুই কি বিরবির করছিস,,,,,
তিহান:না না বলছিলাম আমরা তো ওদের ঝগরা দেখতে ব্যস্ত ছিলাম,,,,
তিন্নি :(ধুর আমি মনে করেছি শাঁকচুন্না বলেছে আমাকে দেখতে ব্যস্ত,,) রাফু বেবি বলবো,,,
রাফিয়া:মানে কি আমাকে কেন জিজ্ঞাস করছিস,,,,,
নোভা:তিনু আমিও খেয়াল করেছি কিন্তু,,
সাহির:হ্যা তুমি তো সব খেয়াল করবা শুধু আমাকে তোমার চোখে পরে না,,,
নোভা ভেংচি মারলো,,,,,,তিহান বললো,,
তিহান:ওই তিনু বল কি খেয়াল করছিস,,,
তিন্নি:রেস্টুরেন্টে ওইদিন কালা হাতি ওরফে অরুর বস ওটার সাথে যে ছেলাটা ছিলো ওইটার কথা তুদের মনে আছে??
নোভা:আমার মনে আছে,,আহা কি সুইট দেখতে,,,
সাহির:আমাকে কেউ দেখেনা বলে,,,
নোভা:সবাই কে তুই করে বলো আর আমাকে তুমি করে বলো কেন বলোতো??
তিন্নি,তিহান&রাফিয়া:প্রেম প্রেম গন্ধ পাচ্ছি আমরা,,
নোভা:চুপ থাক পেত্নি,,,,
তিন্নি,:যেটা বলছিলাম,সেই ছেলেটা আমাদের রাফুর দিকে একেবারে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো,,খেয়াল করেছিস??
নোভা:শুধু কি ও দেখেছে,রাফু দেখেনি,,,
রাফিয়া:আ,,আ,আশ্চর্য তে আমি কেন দেখবো,,তোরা একটু বেশি বুঝিস,,চল ক্লাসে যায়,,,
সবাই রাফিয়ার কান্ড দেখে হেসে দিলো,,,,,তারা ক্লাসে যাচ্ছে এমন সময়,,,,
চলবে?!!
(ভূল-ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন)