# রাগি_Devil_এর_অত্যাচার??
#Arohi_Afrin
#part_5
(গল্পের শেষে কি লিখেছি তা পরে নিবেন?)
পেত্নি শুনে অরুর রাগ উঠে গেল,,,অরু সোজা গিয়ে আহানের টেবিলে জোরে বারি দিয়ে বললো,,,
অরু:এই যে মিস্টার আপনি আমাকে পেত্নি বললেন কেন,,,,
আহান:কই আমি তো আপনাকে বলিনি,,,
অরু:এই মাত্র তো বললেন,,,
আহান:তাই??তাহলে যে আপনি আমাকে,কালো মামা বললেন,,তার বেলায় কি,,,
অরু হাসতে হাসতে বললো”আপনাকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে “হাহাহা,,
আহান:মুখে এক কেজি ময়দা মেখে নিজেকে সুন্দরি মনে করেন নাকি হ্যা,,আমার টা ন্যাচরাল কালার,,দেখেন আমি আপনার তেকেও সুন্দর,,,
অরু:এহহহ আসছে সুন্দর হতে,,,,,কালা হাতি একটা,,,
আহান:নিজে কি হ্যা,,একটা পেত্নি,,,
অরু:কি??????আমি পেত্নি??
আহান:কথা ক্লিয়ার না ভেজাল আছে,,,
এবার,অরু রাগ আর কন্টোল করতে পারেনি,,সামনে একটা গ্লাসে পানি ভর্তি ছিলো,,,অরু গ্লাসের পানি মেরে দিলো সোজা আহানের মুখে,,,,,
সবাই ওদের কান্ড দেখছে,,,,অরু যখন পানি মারলো তখন তার সব ফ্রেন্ডরা উঠে অরুর কাছে আসলো,,,,,
আহানের রাগ এবার মাথায় উঠে গেল,,,,,,
আহান:আপনার সাহস কি করে হয় আমার মুখে পানি দেওয়ার,,,
অরু:আপনি কোন সাহসে আমাকে পেত্নি বলেন,,,,
আহান:সাহস???wait,,,,,
আহান এবার টেবিল থেকে পানির বোতল নিয়ে সোজা অরুর মাথায় ঢেলে দিলো,,,,ওয়েটার সহ সবাই অবাক,,,আহান বললো,,,
আহান:আপনার যেরকম সাহস আছে,,আমার ঠিক ২গুন বেশি আছে,,হাহ,,,,
আহান চলে গেল রায়ানকে নিয়ে,,রায়ান বুঝতে পারছে না কি হয়ে গেলো!!!!!
এদিকে অরু রাগি দৃষ্টি দিয়ে তিহানের দিকে তাকালো,,তিহান ভয়ে দৌড়ে পালিয়ে গেল,,,অরু আবার একটা চিৎকার দিলো,,,
অরু:আআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআ
সবাই কানে হাত দিয়ে থাকলো,,,,,এমন সময় ওয়েটার এসে বললো,,,
-ম্যাম আপনাদের খাবার,,,,
অরু রেগে বললো,,”তুই খা তুর খাবার” ব্যাগ নিয়ে হনহনিয়ে চলে গেল,,,,,,,
অরু বাসায় এসে নীরার প্রশ্নের সম্মুখীন হলো,,,
নীরা:কিরে কাক ভেজা হয়ে এলি যে,,
অরু কোনো উত্তর না দিয়ে সোজা ওর রুমে চলে গেল,,,,,,,,
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
গাড়িতে রায়ান বললো,,,,,,”দোস্ত মেয়েটা এরকম কেন করলো বলতো,,মাথায় চিট আছে মনে হয়,”
আহান:একটা ফাজিল ঝগরাটে মেয়ে,,,,জানিস ওইদিন থেকে শুধু মেয়েটার সাথে ঝগরা হয়ে আসছে,,,
রায়ান:তারমানে আবার তোরা ঝগরা করেছিস,,,
আহান প্রথম দিন থেকে সব ঘটনা খুলে বললো,,,,,,
রায়ান:বাবা গো কি Dengrous মেয়ে,,,,,
আহান:বাদ দে তো,,তুর খবর বল,,এখনো সিন্গেল নাকি ওখানে গিয়ে Setting করে ফেলেছিস,,,,
রায়ান:না রে,,ভাবছি এখন একটু মিন্গেল হওয়া দরকার,,
আহান:Seriously??? কাউকে লাইক করেছিস নাকি,,,,,
রায়ান:লাইক তো হয়েছে বাট,,,
আহান:আরে কে সেটা তো বল,,,,
রায়ান:আজ রেস্টুরেন্টে যে,একটা মেয়ে গ্রিন কামিজ পরা ছিলো,, ওই মেয়েটা,,বিশ্বাস কর দোস্ত আমি ক্রাসিত,,,,অন্নেক ভালো লাগছে,,
আহান:What???ওই ঝগরাটে মেয়েটার ফ্রেন্ডকে তুর ভালো লাগছে,,,,
রায়ান:তো পারে না,,,,
আহান:ভাই তোর কপালো দুঃখ আছে,,মেয়েটা যেমন তার ফ্রেন্ড ও তেমন হবে,,,
রায়ান:???
আহান:আচ্ছা বাদদে এসব,,,,
আহান রায়ান কে নিয়ে ঘরে চলে এলো,,,,,তারা অনেক গল্প গোজব করলো,,,,এরপর বিকালে রায়ান তার বাসায় চলে যায়,,,,,,,,,,,,,,
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
অন্যদিকে অরু তার রুৃমে এসে ব্যাগটা নিচে ফেলে দেয়,,,বিছানায় বসে নিজের চুল টেনে ধরে রাগ কন্ট্রোল করার ট্রাই,করছে আর ভাবতে থাকে আজকের ঘঠে যাওয়া ঘটনা,,,,,,
কিছুক্ষন পর তার রুমে নীরা আসলো,,,,,নীরা বললো,,,,
নীরা:কি হয়েছে অরু,,কোনো ঝামেলা হয়েছে কি???
অরু:ওই কাল উগান্ডা যতোদিন আছে ঝামেলার কি কোনো শেষ আছে??
নীরা:বাবা রে সবসময় ওই ছেলেটার সাথে কেন ঝগরা হয় তুর,,,,কোন জন্মের শত্রুতা কে জানে,,,
অরু:ছেলে মানুষ যে এমন করে ঝগরা করতে পারে,,একদম পায়ে পা লাগিয়ে ঝগরা করেছে,,,
নীরা:অরু সত্যিই করে বলতো,,কে আগে ঝগরা শুরু করেছে,,,
অরু:অভিয়েসলি ওই কালা হাতি,,
নীরা চোখ সরু করে অরুর দিকে থাকালো,,অরু বললো,,
অরু:না মানে আমি শুধু বলেছি,,,,
নীরা:থাক বইন বুঝে গেছি,,,,,
এরপর দুজনে চুপ করে আছে,,,অরু দেখলো নীরা কেমন জানি মুখ কালো করে বসে আছে,,,,,,
অরু:কি হলো আপু তুর,,,
নীরা:কই কিছু না,,,
অরু নীরার মুখটা নিজের দিকে ঘুরিয়ে বললো,,,
অরু:আমার দিকে তাকিয়ে বলতো কি হয়েছে,,,
নীরার চোখে পানি এসে গেলো,,নীরা বললো,,
নীরা:অরু তোকে ছাড়া কিভাবে তাকবো আমি,,,
অরু:তুই আবার কই যাবি,,,
নীরা:আজ বিকালে আমাকে দেখতে আসবে অরু,,,
অরু:মানে???
নীরা:আসলে proposal টা মামা এনে দিয়েছে,,বাবা মা সহ রাজি,,,,আজ যদি আমাকে দেকে পছ্ন্দ হয় তো আংটি বদল করবে মনে হয়,,,
অরু:আরে তুকে পছ্ন্দ না করার কি আছে,,,,আর একটা কথা তুই রাজি তো??
নীরা:বাবা মা রাজি থাকলে আমিও রাজি,,,কিন্তু,,
অরু:আরে গাধী তুর সঙ্গে কি আমার চিরকাল দেখা বা কথা হবে না নাকি হ্যা,, মন খারাপ করার কি আছে,,,
নীরা: হুম,,, বাদ দে,,,,
নীরা আর অরু কিছুক্ষন কথা বলে নীরা তার রুমে চলে যায়,,,
বিকালে নীরাকে দেখতে আসে,,,,,যারা নীরাকে দেখতে আসে তাদের ফ্যামিলি খুব ভালো,,,,,যার জন্য নীরার বাবা রাজী হয়ে যায়,,,,,,নীরাকে ওদের পছ্ন্দ হয়,,,এরপর আংটি বদল হয়,,,,,,,,নীরার ফিওন্সির নাম নিরব মাহমুদ,,,,,, পেশায় একজন ডক্টর,,,
কয়েক সপ্তাহ পর একটা ছোটখাটো অনুষ্ঠান করে নীরাকে নিয়ে যাবে,,এজন্য নীরার খুব মন খারাপ,,,,,,,,,,,,,,
দেখতে দেখতে কেটে গেলো,,,,,গনিয়ে চলে এলো নীরার বিয়ে,,,,,নীরার কয়েকটা ফ্রেন্ড আসলো,,আর অরুর ফ্রেন্ডসরা তো আছেই,,,মেহেদী রাতে সবাই অনেক মজা করলো,,,,,,,,
বিয়ের দিন নীরাকে খুব সুন্দর করে সাজানো হয়,,অরু নীরার পাশে বসা ছিলো,,নীরা মন খারাপ করে বসে আছে,,,,,বাহিরে থেকে আওয়াজ আসলো বর আসছে,,অরু বললো,,
অরু:আপু আমি আসছি গেট ধরতে হবে,,
নীরাও আটকালো না,,,,,,অরু গেল গেট ধরতে গেলো,,,নিরবরা যেই না আসবে তখন অরু বললো,,,
অরু:এই যে ওমনি ডুকে পরছেন,,নিয়ম কি জানেননা,,,,
নিরবের একটা ফ্রেন্ড রাজ বললো,,,
রাজ:এখানে আবার কোনো নিয়ম আছে নাকি,,,
অরু:হ্যা আছে তো,,,
নিরব:বুঝেছি শালিকা,, কতে লাগবে সেটা বলেন,,,
রাজ:ওই তুর মাথা খারাপ নাকি,,,গেট দিয়ে ডুকতে আবার টাকা লাগবে নাকি,,তুই দেখ আমি কতো সহজে তুকে নিয়ে ডুকে যাবো,,
অরু:সাবধান,,, এক পা যদি বাড়ান তাহলে কিন্তু ফল ভালো হবে বলে দিচ্ছি,,,,,,
নিরব:আরে অরু ও তোমার সাথে ফান করছে,,,তুমি আমার একটা মাত্র শালিকা,,,
অরু দাত কেলিয়ে রাজের দিকে তাকিয়ে হাসলো,,,,
রাজ:(হায় কি হাসি,,,,,মনে হয় প্রেমে পড়ে যাবো)
নিরব:তো মিস শালিকা কতো লাগবে,,
অরু:বেশি না বিশ হাজার?
নিরব টাকা দিয়ে ভিতরে ডুকলো,,,,,,বিয়ের সব নিয়ম সম্পূর্ণ হলো,,,,নীরাকে যখন কবুল বলতে বললো তার চোখ দিয়ে পানি পড়তে লাগলো,,,,,,
অতঃপর বিয়ে শেষ হলো,,এখন বিদায় নেওয়ার পালা,,,,নীরা কাদঁছে,,,বাবা মা সহ সবাই কাদঁছে,,অরু নিজেকে শক্ত করে নীরা আর নিরবের সামনে আসলো,,,অরু বললো,,
অরু:ভাইয়া আমার এই বোনটাকে সব সময় আগলে রাখবেন,,,যদি কখনো কষ্ট দিছেন তো খবর আছে,,,
নিরব:কখনো কষ্ট দিবো না,,ইনশাল্লাহ যতোদিন বেচেঁ আছি আগলে রাখবো,,,,
অরু একটু শান্ত গলায় বললো”পাচঁটা না দশটা না একটা মাত্র বোন,,অনেক মিস করবো আপু” অরু জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেয়,,তাদের কান্না দেকে সবার চোখে পানি চলে আসে,,,
অরুকে সবাই অনেক জোর করে নীরার সাথে পাঠাতে চায়ছিলো কিন্তু অরু যায়নি,,,,,,রাজ যাওয়ার আগে অরুর কানে কানে বললো,,,
রাজ:মিস অরুনিমা তোমায় কান্না থেকে হাসিতেই ভালো মানায়,,,,,
অরু বোকা হয়ে যায় রাজের কথা শুনে,,রাজ এক চোখ টিপ দিয়ে চলে যায়,,,,,,অরুর বিরক্ত লাগে রাজের এই কাজে,,,
নীরা চলে যাওয়ার পর অরু মন খারাপ হয়ে তার রুমে বসে আছে,,ভীষণ কান্না পাচ্ছে তার,,দুজনে কতো স্মৃতি জড়িয়ে আছে,,,মনে পড়তেই অরুর দুই চোখ ভরে জল গড়িয়ে পরছে,,,,,,,
পরের দিন অরু সহ সবাই গেল নীরাকে দেখতে,,নীরা অরুকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেয়,,,,,,,তারপর বাবা আর মাকে সহ জড়িয়ে ধরে কান্না করে,,,অরু বললো,,
অরু:কিরে শুধু কাদঁবি নাকি,,,,,
নীরা অরুর কথা শুনে হেসে দিলো,,,,অরু একটা চেয়ারে বসে আছে,,,হঠাৎ যেন কোথা থেকে রাজ এসে তার পাশের চেয়ারে বসলো,,,
রাজ:হায় মিস অরুনিমা,,,
অরু:হিল্লু,,
রাজ:হিল্লু!!!!
অরু:বুঝেননাই মনে হয়,,,Hello বলছি যে,,,
রাজ:ওওও বুঝলাম,,
অরু:বুঝিয়ে বলেছি এজন্যই তো বুঝেছেন হাহ,,
রাজ:বাই দা ওয়ে আজ তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে,,
অরু:আমাকে Always সুন্দর লাগে,,,,,আর আপনি আমার সাথে এতো কথা কেন বলছেন আজব তো,,,,
রাজ:তো বলতে কি পারিনা,,
অরু:জ্বী না,,,
অরু উঠে চলে গেল,,,,রাজ হাসলো,,,,
রাজ:কি মেয়েরে বাবা,,,,,,
অরুরা চলে যাওয়ার সময় রাজ অনেক ভাবে অরুর সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছে,,কিন্তু অরু কোনো পাত্তা দেয়নি,,বরং মুখ ভেঙিয়ে চলে গেল,,,,,
ওরা চলে যাবার পর রাজ নীরাকে বললো,,
রাজ:ভাবি এটা কি সত্যি আপনার বোন,,,
নীরা:কেন ভাইয়া???
রাজ:না মানে আপনি কতো শান্ত আর অরু হাহাহাহা,,
নীরা:ও একটু রাগি,,,,কিন্তু ওর মনটা অনেক ভালো,,,,,
রাজ: আচ্ছা ভাবি আসি,,,
নিরব:আসি মানে কই যাবি তুই??
রাজ:দোস্ত যেতে হবে,,,,পরে আসবো,,,
নিরব :আচ্ছা যা,,,,,
রাজ চলে যায় তার বাসায়,,,,২দিন পর,,,,
অরু রেড়ি হচ্ছে কলেজ যাওয়ার জন্য,,,,ওভারড্র খোলতে দেখতে পায় সেই পার্পল কালার টপস টা,,,,সাথে সাথে অরুর মনে পড়লো কালা হাতির কথা,,,
অরু: আরে এই কদিনে কালা হাতির কথা প্রায় ভূলে গিয়েছিলাম,,,যাক ওর কথা মনে রেখে আমি কি করবো,,আমার সামনে না আসলেই ভালো,,,,,,,,
এরপর অরু রেড়ি হয়ে কলেজে যাচ্ছিলো,,,,অরু অর্ধেক যেতে তার চোখ পড়লো শপিং মলের একটা সুন্দর শো পিছ এর উপর,,,,
অরু:ওই দিন শাঁকচুন্না টার জন্য পছন্দের শো পিছটা নিতে পারিনি,,আজ এটা আমি নিয়েই ছারবো,,,,
অটু স্কুটি পার্ক করতেই দেখলো আহান তার গাড়ি থেকে নামছে,,,,আহান অরুকে দেখেনি,,সে অন্য একটা কাজে এসেছে,,,তাই আহান গাড়ি পার্ক করে একটা শপিং মলের পাশে কফি শপে ডুকে পড়ে,,,,,,,
অরু:বাহ এটা তো কালা হাতি,,দাড়া আজ তুর একটা ব্যবস্তা করবো,,,,
অরু মুখে একটা আঙুল দিয়ে ভাবতে থাকলো কিভাবে শায়েস্তা করবে,,,ভাবতে ভাবতে মাথায় আসলো একটা শয়তানি বুদ্ধি,,,,,
চলবে!!!
(আচ্ছা আমি একটা কথা বুঝলাম না নাটক থেকে আমি সিন নিয়েছি তা নিয়ে আপনাদের এতো মাথা ব্যাথা কেন??আমি তো একবারও বলিনি যে আমি নাটক থেকে নি নাই!!পড়তে ইচ্ছা হলে পড়বেন না পড়লে নাই,,পেজে কারো কমেন্টর রিপ্লাই দেওয়ার নিয়ম নেই তাই এখানে সবার উদ্দেশ্যে বলে দিলাম আপনাদের ভালো না লাগলে ignora করেন,আর কেউ কেউ বলছেন সেম কাহিনি,, এখনো গল্প full লিখিনায় কিভাবে বলতে পারেন সেম কাহিনি,আর যেহেতু বলছেন কপি তো বলেন এর পরে কি হবে!!!!!!)