#রাগি_Devil_এর_অত্যাচার??
#Arohi_Afrin
#part_13
আহান সোহাকে ডেকে বললো যেনো ডক্টরকে কল করে,,,আহান এখনো try করছে অরোকে জাগানোর,,,,কিছুক্ষন পর ডক্টর এসে অরুকে চেক আপ করলো,,,কিছু ঔষধ লিখে দিলো,,,,ডক্টর চলে যাওয়ার কিছুক্ষন পর অরুর জ্ঞান ফিরলো,,,,,,,
আহান:Oru Are you ok,??
অরু:হুম,,,,,sir আমি বাসায় যাবো,,,,
আহান:ওকে,,চলো আমি দিয়ে আসি,,
অরু:না স্যার আমি,,
আহান:Shut up,,চলো,,,
আহান অরুর হাত ধরে নিয়ে গেল,,,অফিসের সবাই অবাক হয়ে তাদের দিকে তাকিয়ে আছে,,,,
আহান ড্রাইভিং সিটে বসে পড়লো,,,,,,আহান দেখলো অরু সিট বেল্ট না লাগিয়ে বসে আছে,,
আহান:অরু সিট বেল্ট লাগাও,,,
অরু:লাগবেনা,,,,
আহান:উফফ তুমি,,,,,,আহান নিজে অরুর দিকে গিয়ে সিট বেল্ট লাগিয়ে দিলো,,অরু চোখ বন্ধ করে রয়েছে,,,আহান এখন পর্যন্ত যতোবার তার কাছে আসলো ততোবারই অরুর নিশ্বাস ভারী হয়ে যায়,,,,,,হার্ট বিট যেন দ্রুত গতিতে চলা শুরু করে,,,,,,,আহানও একই জিনিস ফিল,করে,,,,,,,,,,
৩০ মিনিট পর অরুর বাসায় এসে থামলো,,,,,আহান একবার অরুর দিকে তাকালো,,,,অরু ভয়ে সিট বেল্ট খুলে দিলো দৌড়,,,,,,,আহান হেসে গাড়ি নিয়ে চলে গেল,,,,
অরুর বাসায়,,,,,,
-কি হলো মা আজ এতো তাড়াতাড়ি এসে পরেছিস যে,,,,
অরু:আম্মু একটু খারাপ লাগছিলো তাই,,
অরু তার রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে গেল,,,ঘুম থেকে উঠলো একদম রাতে,,,মাথাটা কেমন ধরে আছে,,,,তাই সে উঠে রান্নাঘরে গিয়ে চা বানিয়ে নিয়ে আসলো,,,,,,,অরু তার বেলকনিতে গিয়ে চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছে,,,,আর ভাবছে আহানের সাথে তার ঘটে যাওয়া আপত্তিকর সময় গুলো,,,,
অরু:কেন হয় এমন,,বার বার ওনার সাথে কেন,,,,,,,আর কয়েকমাস পরে আমি চাকরিটা ছেড়ে দিবো,,তার পর দেখি বজ্জাত ডেবিল কিভাবে আমাকে আর অত্যাাচার করে,,,,,,,
এর মাঝে রাজের কল,,,,,
রাজ:Hi Oru,,, কেমন আছো??
অরু:ভালো,,,
রাজ:আচ্ছা আমার সাথে কথা বললে কি তুমি খুব বিরক্ত বোধ করো??
অরু:(শাঁকচুন্না তা কি আর বলতি,,লুচু পোলা কোনহানের) কেন??
রাজ:না মানে,,
অরু:আ,,রাখছি আমি,,আমার খারাপ লাগছে,,,
অরু কল কেটে দিয়ে রাজকে কিছুক্ষন ইচ্ছামতো বকা দিলো,,,,
রাজ:অরু তোমাকে তো আমি আমার করেই ছাড়বো,,,At any Cost,,
পরেরদিন অরু কলেজে গেল,,, তাই সবাই আড্ডা দিচ্ছে,,আড্ডা কম ঝগরা করছে বেশি,,,
তিন্নি:হায়রে অরু বেচারি তুর জীবনটা তেনা তেনা হয়ে গেল,,,,
অরু:শাঁকচুন্না,বজ্জাত ডেবিল,,শুধু আমার বিয়েটা একবার হয়ে যাক,, তারপর এই ডেবিলের অত্যাচার থেকে সারাজীবন রেহায় পাবো,,,,,
রাফিয়া:তো রাজ কে বিয়ে করে ফেল না,,বেচারা তুর পিছনে আটার মতো লেগে আছে,,,
অরু:ধুর ওই লুচুকে জীবনেও বিয়ে করবো না,,,, জানিস শাঁকচুন্নার নজর খারাপ,,কেমন করে তাকিয়ে থাকি,,, by the way ফাহিম কই??
নোভা:আর বলিস না পেত্নাটা তার gf নিয়ে busy,,
অরু:হায়রে প্রেম,,,, ,,,,
তিন্নি:চল তো ক্লাসে,,,,,,
সবাই ক্লাসে যেতে লাগলো,,,,পিছন থেকে রুশান এসে ডাক দিলো,,,
রুশান:হেই সবুজি????
রাফিয়া সামনের দিকে ঘুরলে রুশান তার বুকের মাঝে হাত রেখে একটু হিরোর মতো করতে যেয়ে বেচেরা ধপাস করে পরে গেলো,,রাফিয়ার খুশি দেখে কে,,হাসতে লাগলো রাফিয়া,,,রুশান তো তাকিয়ে আছে রাফিয়ার হাসির দিকে,,,,,,কিছুক্ষন পর রাফিয়া গিয়ে রুশানের দিকে এক হাত বাড়ালো,,,,,রুশান চমকে উঠলো রাফিয়ার এমম কাজ দেখে,,,,নিজে নিজে চিমটি কেটে চেক করলো,,না,স্বপ্ন না,,এটা তো সত্যি,
রাফিয়া:এই যে রশুন না নীল হাতি,,উঠবেন নাকি হাত সরিয়ে ফেলবো??
রুশান:না না উঠছি,,,
রুশান রাফিয়ার হাত ধরে উঠলো,,দুজনে দুজনের স্পর্শ পেয়ে চমকে উঠলো,,রাফিয়া তাড়াতাড়ি হাত সরিয়ে নিলো,,,,,,,,
অরু,বাহ বাহ রাফু,,কেয়া বাত হে ইয়ার,,
তিন্নি :এবার তাহলে রাফুও ডাবল হবে,,
রাফিয়া:সাট আপ ইয়ার,,
অরু:বেচারার সবুজি,,,তুই নাম টা বলে দিলেই পারতি,,
রাফিয়া:দেখি না কয়দিন ঘুরতে পারে,,
তিন্নি :ওহহহো,,,,,
সবাই ক্লাস করতে চলে গেল,,,,
এদিকে আহান অফিসে অরুকে দেখতে না পেয়ে একটু অবাক হলো,,,,তাই সে সোহার কাছে গেল অরু কেন আসেনাই তা জানতে,,আহান গিয়েই এক দফা টাসকি খেল,,,,কারণ সোহা আয়াশের কলার ধরে বললো,,
সোহা:ওই তুই কি কিছু বুঝিস না,, নাকি বুঝেও না বুঝার ভান করিস??
আয়াশ অবাকের চরম পর্যায়ে,, এক তো সোহা ওর কলার ধরে আছে দ্বিতীয় তো আয়াশকে তুই করে বলছে,,,
সোহা:আরে এতো মাস ধরে তোমার পিছন পরে আছি,,,শুধু তোমাকে ভালোবাসি বলে,,,আর তুমি আমাকে এভোয়েড তো করো তার উপর সামনে অন্য মেয়েদের সাথে কথা বলো,,,,,তুমি জানো না আয়াশ সে মূহুর্তে আমার কতোটা কষ্ট হয়,,, Because I love you,,
সেহা এক নিশ্বাসে কথা গুলা বলে কাদঁতে লাগলো,,,,আয়াশ সোহার চোখ থেকে পানি মুছে বললো,,,
আয়াশ:”আরে পাগলি আমিও তোমাকে ভালোবাসি,,তোমার মুখ থেকে এটা বের করার জন্য নাটক করলাম,,আর যে মেয়ের সাথে হেসে হেসে কথা কথা বলতাম ও আমার কাজিন,,,
সোহা এবার খেপে গেল,,
সোহা:যা তুই তুর কাজিনের সাথে লাইন মার,,
আয়াশ সোহা জড়িয়ে ধরে বললো,,,
আয়াশ:উম মারতেই পারি যদি তুমি ছেড়ে যাও তো,,,
সোহা আয়াশের বুকে কয়েকটা কিল ঘুষি মারলো,,,,,আবার জড়িয়ে ধরলো,,,,
আহান এসে এই দৃশ্য দেখে হাসতে লাগলো,,সত্যি তারা একে অপরকে কতো ভালোবাসে,,,,,
আহান:কি হচ্ছে এখানে(একটু গম্ভীর ভাবে বললো)
সোহা:(এইরে স্যার দেখে ফেললো না তো)
স,স্যার,,
আহান:সমস্যা নাই আমি কিছু দেখি নি(হাসি চেপে বললো)
সোহা লজ্জায় মাথা নিচু করে রইলো,,
আহান:Anyway অরু আজ অফিসে আসেনি??
সোহা:না স্যার,,ও আজ তো কলেজে গিয়েছে মনে হয়,,,কারণ আমাকে কাল বলেছিলো,,
আহান:ওও আচ্ছা,,,
আহান চলে গেল,,সোহা আর আয়াশ যেন হাফ ছেড়ে বাচলো,,, ওরা মনে করলো আজ নিশ্চিত ওদের চাকরি যেতো,,,,,,
অরু পরেরদিন অফিসে গেল,,,,আহান অরু কেবিনের সামনে দেওয়ালে হেলান দিয়ে কার সাথে যেন কথা বলছে,,,,অরু আহানকে দেখে স্টোর হাউসের কথা মনে পরে,,অরু আহানের দিকে না তাকিয়ে কাজের দিকে মন দিলো,,,,
আহান:হুম বুঝতে পারছি,, রেগে আছে,,তাতে আমার কি,,,
অরু:(বজ্জাত ডেবিল কই একটু সরি বলবে তা না উল্টো Attitude দেখাচ্ছে,,হাহ)
অরু কিছুক্ষন পরপর আহানের দিকে রাগি দৃষ্টিতে তাকালো,,,,,,
আহান কেবিনে যাওয়ার আগে অরুকে আসতে বললো,,,,,,আজ অরু সব ঠিকঠাক ভাবে করলো,,,
আহান:বাহ Good,,,,আজ সব পারফেক্ট ভাবে করেছো,,,,,,,,আচ্ছা এই ফাইলটা নাও,,,এটার ফুল details বের করবা ওকে??
অরু মাথা নেড়ে হ্যা বলে চলে যেতে লাগলো,,আহান বললো,,
আহান:Oru I am sorry,, আসলে ওইদিন আমি না বুঝে তোমাকে hurt করেছি,,,, I am really sorry,,
অরু দেখলো আহান একদম অসহায় face করে বললো কথাটা,,,
অরু:It’s ok sir,,(মুচকি হেসে বললো)
আহান তাকিয়ে আছে অরুর হাসির দিকে,,আহানের সব থেকে ভালো লাগে অরুর এই হাসিটা,,কেন সে নিজেও জানেনা,,,,আহান ও হাসলো,,,,,
অরু তার কেবিনে এসে আহানের দেওয়া ফাইলটার details বের করছে,,আহান তার কেবিন থেকে অরুকে দেখছে,,,,অরুর অবাধ্য চুলগুলা অরুকে বার বার distrub করছে,,আর অরু বিরক্তি নিয়ে বারবার তা কানের পিছনে গুজে দিচ্ছে,,,,
আহান:আমিও কি না কি ভাবি,,,,যে মেয়েটার হাসি প্রথমে সহ্যই করতে পারতাম না,আজ তার হাসি সব চেয়ে বেশি সুন্দর লাগে,,,কেন হচ্ছে আমার সাথে এমন????
অরু কিছুক্ষন পর ফাইল নিয়ে আহানের কেবিনে যাচ্ছে,,,দরজার সামনে,,
চলবে?!!!
(ভূল-ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন)