রাগি Devil এর অত্যাচার?part-10

0
1002

#রাগি_Devil_এর_অত্যাচার??

#Arohi_Afrin

#part_10

অরু বসে বসে ফাইল দেখছে,,হাতের কলমটা মাজে মাঝে থুতনিতে রেখে ফাইল দেখতে ব্যস্ত,,,,,, হঠাৎ অরুর কলমের কালি আসছে না,,,,অনেক চেষ্টা করছে,,কিন্তু কলমের কালি বের হচ্ছে না,,,,,অরু কলম টা ২/৩ ঝার দিলো,,৪ বার ঝার দিতে কলমের কালি বের হয়ে সোজা পরলো আহানের গায়ে,,,,

আহান আগুন দৃষ্টিয়ে দিয়ে অরুর দিকে তাকলো,,অরু ভয়ে চুপসে গেছে,,,,,

আহান:একটা কাজ ও ঠিক মতো করতে পারো না,,দিলে তো শার্ট টা নষ্ট করে,,

অরু:স,,স,,সরি স্যার,,,

আহান:কিসের সরি হ্যা,,,,,এক মিনিট, শার্ট যেহেতু তুমি নষ্ট করেছো সেহেতু তুমিই ধুয়ে দিবে,,,

অরু:কি???আমি আপনার শার্ট ধুয়ে দিবো??

আহান:জ্বী,,ভূলে যেওনা তুমি আমার পি.এ,,,আমি যেটা বলবো তোমার সেটা করতে হবে,,So come,,

আহান অরুকে তার কেবিনে নিয়ে গেল,,,তার কেবিনের সাথে বাথরুম ফিট করা,,শুধু বাথরুম না বেডরুম ও ফিট করা রয়েছে,,আহানের মাঝে মাঝে কাজ করতে করতে অনেক রাত হয়ে যায়, তাই সে মাঝে মধ্যে এখানে তাকে,,,,,

আহান অরুকে বললো,,,,

আহান:শার্টটা এখনি ধুয়ে দিবে,,,

অরু:sir এখানে??একটা কাজ করলে হয় না,,আমি এটা বাড়ি নিয়ে যায় আর সুন্দর করে ধুয়ে এনে দিবো,,,,

আহান:Shut up,,no more excuse, (হাহ সামন্য একটা শার্ট নষ্ট করলে কি আসে যায়,,তাও তোমাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য এই নাটক টা করতে হচ্ছে)

অরু:আব,,

আহান:তুমি কি জানো তুমি একটু বেশি পটর পটর করো,,,,কথা কম কাজ বেশি,,সো কাজে লেগে পরো,, i mean শার্টটা ধুয়ে দাও,,,,,

অরু রাগ নিয়ে শার্ট ধুতে গেল,,শার্টটা ইচ্ছে মতো কচলাতে লাগলো,,,,

অরু:বজ্জাত ডেবিল ,, শার্ট এর জায়গায় যদি আপনি হতে কতোই না ভালো হতো,,একদম গলা টিপে দিতাম,,এই অত্যাচার আমার মতো মাসুম কিউট পিচ্চি মেয়েটা কি সহ্য করতে পারে,,,,

আহান বাহিরে থেকে চেচিয়ে বললো,,,

আহান:পিচ্চি না তুমি একটা বিচ্ছু মেয়ে,,,,একটা শার্ট ধুতে এতোক্ষণ সময় লাগে??????ভবিষ্যৎ তো অন্ধকার,,,,

অরু পারছেনা শার্ট এর বদল আহানের গলা টিপে ধরতে,,,,,,,,কিছুক্ষন পর,,,

অরু:মনে হয় আগের চেয়ে এখন আর বেশি জ্বলজ্বল করছে,,দেখি দাগ গেছে কিনা,,,

অরু শার্টের দিকে তাকাতেই মাথা ঘুরে উঠলো,, দাগটাতো যায়নি বরং এদিক সেদিকে ছড়িয়ে একদম বিশ্রি একটা অবস্তা হয়ে গেছে,,,,,,,অরু মাথায় হাত দিয়ে বললো,,

অরু:OMG,, আল্লাহ এই শার্টটার এই অবস্তা কে করেছে,,ধুর আমি তো করেছি,,,,আল্লাহ গো তোমার এই নিষ্পাপ বান্দাটাকে ডেবিলের হাত থেকে বাচাও,,,,,,,

অরু একটা শুকনো ঢোক গিলে উকিঁ মেরে দেখছে আহান আছে কিনা,,,,,দেওয়ালেই হেলান দেয়া ছিলো আহান,,,,

আহান:উকিঁ মেরে কি দেখছো আমি এখানে,,,

অরু হকচকিয়ে গেল আহানের কথায়,,,,,আহান বললো,,,

আহান:শার্ট ধুয়েছো???

অরু মাথা নেড়ে হ্যা বললো আবার না বললো,,,

আহান:দেখি দাও,,,,,

অরু দিচ্ছেনা,,আহান জোর করে নিয়ে নিলো,,,শার্টের অবস্তা দেখে আহানের নিজের মাথাও ঘুরে গেল,,,,,,হাসি আসচে ভীষন তাও হাসি চেপে বললো,,,

আহান:এটা করেছো তুমি,,,,,সামান্য একটা শার্ট ধুতে দিয়েছিলাম পারো নি বরং শার্টের অবস্তা আরো খারাপ করে ফেলেছো,,,

অরুর রাগে চুল ছিড়তে ইচ্ছা করছে নিজের না আহানের,,অরু ভয়ে ভয়ে বললো,,

অরু:স,,স,,সরি স,,স্যার,,,

আহান:Idiot,,,,

আহান চলে গেল কেবিন থেকে,,,,অরু সস্তির নিশ্বাস নিলো আর আহানকে ভেঙিয়ে বললো,,

অরু:”idiot ” ডেবিল একটা বড়সড় ডেবিল,,,,শার্ট টা কি করবো???আচ্ছা আমার সাথে নিয়ে যায়,,কাল একটা বরং স্যারকে কিনে দিবো,,,,,,

কিছুক্ষন পর আহান আসলো তার কেবিনে,,,,আহান দেখলো অরু শার্টটা হাতে নিয়ে কি যেনো ভাবছো,,,,

আহান:ভাবা ভাবি শেষ???

অরু:জ,,জ্বী,,,,,,

আহান:উফ অসহ্য,,,,,

অরু:স্যার একটা কথা ছিলো,,,

আহান:কি কথা,,,,,,,

অরু:Actually স্যার হয়েছে কি,,

আহান:উফ হেয়ালি না করে বলবা কি হয়েছে,,,

অরু:বলছি বলছি,,,স্যার আমার তো কলেজ আছে,, সো সপ্তাহে দুই দিন আমাকে ছুটি দেওয়া যাবে?? না হলে exam এ আমার ঘোড়ার ডিম আসবে,,(অরু এক নিশ্বাসে চোখ বন্ধ করে বলে দিলো)

আহানের হাসি পাচ্ছে অরুর চেহারা দেখে,,,,অরু এক চোখ খোলে দেখলো আহান তার দিকে তাকিয়ে আছে,,,অরু একটু নড়েচড়ে ওঠে বললো,,

অরু:এহেম এহেম,,

আহান:আ,আব,,হুম যাও দিলাম,,বাট কাজের দিকে ও নজর রাখবা,ওকে??now you get out,

অরু thank you বলে দৌড় দিলো,,,,

আহান:পাগল নাকি মেয়েটা,,,whatever,, আহান নিজের কাজে মনোযোগ দিলো,,,,,

পরদিন অরু কলেজ থেকে আসার সময় রাজের সাথে দেখা,,

রাজ:Hi অরু,,,

অরু:(উফ এই রাজহাঁস কোথা থেকে টপকালো)Hi,,

রাজ:কোথায় যাচ্ছো??

অরু:(শাঁকচুন্না তুর মাথা কিনতে যাচ্ছি)আ,একটা শার্ট কিনতে হবে,(idea রাজহাঁস এর মাফ দিয়ে স্যার এর জন্য কিনতে পারবো)

রাজ:ওহ আমি আসবো??

অরু:(বাহ এতো দেখছি মেঘ না চাইতে বৃষ্টি)oh sure,,

দুজনে শপিং মলে ডুকছে,,,আহান একটা মিটিং Attend করে ফিরছিলো এমন সময় রাজ আর অরুকে একসাথে দেখলো,,,

আহান:অরু কি আমাকে মিথ্যা বললো??অরু পাশে ছেলেটা কে,,,,ধুর বাবা যেই হোক না কেন,,,,,

আহান চলে গেল,,কিন্তু ভীষন রাগ লাগছে,,কেন সে নিজেও জানেনা,,,,

শপিংয়ে,,,

অরু একটা white শার্ট নিলো,, আহানের শার্ট যেরকম নষ্ট করেছিলো ঠিক একিরকম,,,

পরেরদিন অরু অফিসে আসলো,,,,আহানের দেওয়া ফাইল আর হাতে শপিং ব্যাগ যেটা অরু আহানের জন্য কিনেছে,,,,,,,অরু কেবিনে ডুকছে এমন সময় আহানও বের হচ্ছে অরুকে ডাকার জন্য?

আহান দরজা খুলে সামনে যেতেই অরুর সাথে ধাক্কা লেগে যায়,,,

অরু:ouch,,,

আহান:Oops sorry,,,,

অরু আহানকে শপিং ব্যাগ টা দিয়ে বললো,,

অরু:স্যার নিন,,

আহান:What is this,,,

অরু:আপনার শার্ট কাল নষ্ট করেছিলাম তাই এটা আপনার জন্য কিনেছি,,,

আহানের রাগ ১৮০ ডিগ্রি,,,,,

আহান: তোমার কি মনে হয় আমি ছোটলোক??সামান্য একটা শার্ট নষ্ট করেছো তার জন্য আমি এটা নিবো তুমি ভাবলে কি করে,,,

ভয়ে অরুর চোখে পানি চলে আসলো,,,,,আহান একটু পর খেয়াল করলো অরুর চোখে পানি,,,,,,আহান গিয়ে অরুর চোখের পানি মুছে দিতে চেয়েছিলো কিন্তু কি যেন ভেবে হাত টা আবার বটে নিলো,,,

আহান:Get out,,

অরু:Sorry sir,,আমি আসলে,,

আহান:অরু যাও,,,

অরু চলে গেল,,,নিজের কেবিনে এসে বকবক করছে,,

অরু:কি মনে করে নিজেকে ডেবিল,,,,শার্ট নষ্ট করেছি তাই আরেকটা এনে দিয়েছি এটার জন্যও বকতে হয়,,,,,,,কালা হাতি কি এমনে এমনে বলি,,first কোনো ছেলের জন্য শার্ট কিনলাম,,,ধুর দেবোই না,,

আহান অরুকে সরি বলতে এসেই নিজেই হতোবাক,,,অরু নিজে নিজে বকবক করছে বাচ্চাদের মতো ফেচ করে,,,,,আহান নিজের কেবিনে হাসতে লাগলো,,,,আর ম্যানেজার কে বললো যেনো রুকে ডেকে দেই,,অরু আসার আগেই আবার মুখটা গম্ভীর করে ফেললো,,

অরু:May i co,,

আহান:আসো,,,

অরু:(হাহ পুরোটা বলতেও দিলো না,,,,,)

আহান:সরি অরু রাগের মাথায় কি বলেছি,, বাই দা ওয়ে শার্ট টা কই?

অরু:আপনি না নিবেননা বলেছিলেন,,

আহান:এখন বলছি নিবো,,

অরু:তখন বারণ করছিলেন কেন??

আহান:অরু বেশি প্রশ্ন আমি লাইক করি না you know that,,

অরু এগিয়ে দিলো শার্টটা,, আহান নিলো,,,আজ আবার ও কয়েকটা ফাইল কমপ্লিক করতে বললো,,,,

অরু নিজের কেবিনে গিয়ে মনে মনে বললো”এতে এতো ফাইল দিয়ে করেন কি উনি,,বাই এনি চান্স আমাকে এমনি এমনি খাটাচ্ছেন না তো??কি জানি,, ”

সোহা:কি ভাবছো অরু??

অরু:নাথিং,,
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

নোভা:what the hell you sahir,৩০ মিনিট ধরে বসে আছি না নিজে কিছু বলছো না আমাকে বলতে দিচ্ছো,,What wrong with. you,,

সাহির:আমাকে একটু সময় দাও,,

নোভা:আর কতো সময় নিবি তুই,,তু থাক তুর সময় নিয়ে পেত্না,,আমি যায়,,,

নোভা যেতে নিলেই সাহির বলে উঠলো,,,

সাহির:I love you Nova,,,

নোভা গিয়ে একটা থাপ্পড় দেই,,,সাহির গালে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে,,বেচারা মনে করছে নোভা তাকে রিজেক্ট করে দিয়েছে,,কিন্তু সাহিরকে অবাক করে দিয়ে নোভা তাকে জড়িয়ে ধরে বললো,,

নোভা:I love you too গাধা,,

সাহির:বাপরে frist দেখলাম propose accept করে থাপ্পড় দিয়ে,,

নোভা:দেরী করে প্রপোজ করার জন্য দিছি,,

সাহির ও নোভাকো শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো,,,,
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

তিন্নি:তিহান তুর না কিছু করার কথা ছিলো??

তিহান:সত্যিই কি ছিলো???

তিন্নি চোখ রাঙিয়ে চলে যাচ্ছিলো,,তিহান পিছন থেকে তিন্নির হাত ধরে হাড়ু গেড়ে বসে বললো,,,

তিহান:I Love tinni,,believe me frist day যেদিন তুকে দেখেছি আমার এতে ভালো লেগেছে কি বলবো,,,,আস্তে আস্তে আমাদের friendship হয়,,অনেক বার বলতে চেয়েও পারিনি যদি আমাদের friendship break হয়ে যায় এই ভয় থাকতো সব সময়,,,,,,,কিন্তু যখন কাল তুই আমাকে একটু চান্স দিছিস তো আর দেরী না করে ফেললাম,,I love you,,Do you love me??

তিন্নি হেসে তার হাত বাড়িয়ে দিলো তিহানের হাতের উপর,,,,রাফিয়া,,ফাহিম আর কলেজের কিছু ফ্রেন্ডসরা হাত তালি দিতে থাকলো,,তিন্নি লজ্জা পেয়ে তিহানের বুকে মুখ লোকালো,,,

রাফিয়া:অনেক হয়েছে লজ্জা লজ্জি এবার ক্লাসে চল,,এখানে কাটিয়ে দিবি নাকি,,

ফাহিম:বুঝিস না,, নতুন কাপল,,

রাফিয়া:তুই চুপ থাক নিজে লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম করিস,,আমাদের একবার বলার ও প্রয়োজন মনে করিস নি,,পেত্না কোথাকার,,

ফাহিম:আ,,আমি তো আজই বলতাম তার আগে তুই বলে দিলি,,,আচ্ছা যা কাল তোদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো,,,,,
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

কয়েকদিন পর,,,,,

অরু একটা ফইল এর দিকে এক নজরে তাকিয়ে আছে,,ফাইল টার আগা মাথা কিছুই বুঝতে পারছে না সে,,,,আহান,

চলবে?!!!

(ভূল-ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here