রঙিন খামে বিষাদের চিঠি পর্ব ৩৫

0
232

#রঙিন_খামে_বিষাদের_চিঠি
#পর্বঃ৩৫
#আর্শিয়া_ইসলাম_উর্মি

৯০,
ড্রইং রুমে অস্থির চিত্তে সোফায় বসে আছে সাজ্জাদ। চিন্তায় হাত পা ঠান্ডা হবার যোগার। এত চিন্তা আর নিতে পারছেনা সে। মা’কে কতবার বললো অন্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। তাদের বেডরুমে অন্তি কোমড়ের ব্যথায় দাঁতে দাঁত পিষে বসে আছে দেখে আসলো। একটুও ভালো লাগছে না তার। পায়েও পানি ধরেছে অন্তির। প্রেগ্ন্যাসির সময় এগুলো সাধারণ বিষয়। অন্তির প্রেগ্ন্যাসির সাত মাস পেরিয়ে আঁটে পা দিয়েছে। কিন্তু সাজ্জাদ অন্তির চিন্তায় পাগল প্রায়। তার মা তো বললো, সাধারণ বিষয়। একটু সময় গেলেই ঠিক হবে। সাজ্জাদের মন মানছে না। লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে রুমের দিকে পা বাড়ালো সাজ্জাদ। রুমে প্রবেশ করে মায়ের উদ্দেশ্যে বললো,

“মা, অন্তিকে আমি হাসপাতালে নিয়ে যাবো। এভাবে কতক্ষণ ওকে ব্যথা সহ্য করে বসে থাকতে হবে?”

আসিফা বেগম ছেলের পাগলামিতে হাসলেন। অন্তি চোখ পাকিয়ে তাকালো সাজ্জাদের দিকে। ক্ষিপ্ত স্বরে বললো,

“বাচ্চা হবার সময় যে ব্যথা! তার বেলায় কি আমার বদলে আপনি বাচ্চাকে পেট থেকে বের করবেন?”

“পারলে তো তাই করতাম।”

সাজ্জাদ মুখ ফসকে কথা-টা বলে দিলো। অন্তি শাশুড়ীর সামনে স্বামীর মুখে কথা-টা শুনে লজ্জায় মিইয়ে গেলো। মাথা নিচু নিলো। আসিফা বেগম ছেলে-ছেলের বউকে একসাথে ছেড়ে দিয়ে সরে গেলেন। যেতেই অন্তি বলে উঠলো,

“মুখের লাগাম কোথায়? এই সময় অফিস ছেড়ে আসতে কে বলেছে?”

“তুমি-ই তো ব্যথায় চিৎকার করলে! এমনি এসেছি নাকি? মা-কে রুমে দেখে সরে গেছিলাম।”

“পেটের ভেতর বাচ্চা ফুটবল খেলায় একটু চিৎকার করেছি। আপনার ছুটে আসতে হবে সেজন্য? কোমড়েও লাগছিলো বলে মা এসেছিলো। ম্যাসাজ করে দিলো। আরামই তো লাগছে। বাসায় মানুষ থাকতেও আপনার এত চিন্তা?”

“কি করবো? বলেছিলাম বাচ্চা পরে নিই। তোমার এত জেদ!”

“সিনিয়র সাজ্জাদ বিজনেসের কাজে এদিক-সেদিক ছুটে বেড়ায়। এজন্য তো জুনিয়র একজনকে আমার চাই।”

“চাইছো, আল্লাহ দিয়েছেন। এবার সুস্থ ভাবে সে আসুক। তুমিও সুস্থ থাকো। নিজের একটু খেয়াল রাখো। এভাবে চিন্তায় ফেলো কেন?”

“আপনাকে কে বলেছিলো কল দিতে? না দিলেই তো আমার গলার আওয়াজও পেতেন না। ছুটেও আসতে হতো না।”

“হাতে পায়ে বড় হয়েছো। মাথায় তো আজও বাঁদরামি ঘুরে। তো আমি কি করবো? আর একটা কথাও বাড়াবে না। চুপচাপ রেস্ট করো।”

সাজ্জাদ অন্তির কথার জবাব দিয়ে অন্তির শিয়রে বসে তার মাথা-টা বুকে চেপে নিলো। অন্তি দুপুরে খেয়েছে কিনা! জানার জন্য কল করেছিলো সাজ্জাদ। খাওয়ায় বড্ড অনিয়ম করে মেয়ে-টা। মুড সুইং হয়। খেতে চায় না। এজন্য কল করেছিলো অন্তি কল রিসিভ করে কথা বলতে বলতে ব্যথায় একটু ককিঁয়ে উঠায়! কল কেটে দেওয়ায় আর তার মা-ও কল রিসিভ না করায় ছুটে এসেছে সে। চিন্তা নিয়ে কি আর অফিসের কাজে মন বসে? সেজন্য তো ছুটে এসেছে। যার ভালোর জন্য আসলো! সে-ই রাগ দেখাচ্ছে। পুরুষ মানুষ স্ত্রী আগ দিয়ে গেলেও দোষ! পিছ দিয়ে গেলেও দোষ বোধ হয়। সাজ্জাদের এমনই মনে হচ্ছে। সে অন্তির চুলে বিলি কেটে দিতে শুরু করলো। অন্য হাতে পকেট থেকে ফোন বের করলো। ওয়াইফাই কানেক্ট করে হোয়াটসঅ্যাপে ঢু্কে রায়াদের নাম্বারে কল দিলো। তিনবার রিং হওয়ার পর রিসিভ হলো ওপাশ থেকে। সাজ্জাদ রিসিভ হতেই বললো,

“কি খবর দেবদাস? জার্মানি গিয়ে ভুলেই গেছো!”

“দেবদাস ঘুমোচ্ছে পরে পরে।”

কণ্ঠ-টা রিয়ানার বুঝে চুপ হলো সাজ্জাদ। এতক্ষণ যত-টা উচ্ছাস ছিলো; সব নিভে গেলো। সে স্বাভাবিক কণ্ঠে বলার চেষ্টা করলো,

“কেমন আছো রিয়ানা?”

৯১,
রিয়ানার নাম শুনে অন্তি মুখ তুলে একবার তাকালো। ঐ যে মেয়ে-টা কাউকে না জানিয়ে হুট করে চলে গেলো! এরপর আজও কারোর সাথে যোগাযোগ করেনি। মেয়ে-টাকে তার মা-ফুফু মিলে কথা শুনিয়েছিলো। ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ টাও পায়নি রিয়ানা। আজও অপরাধবোধ তাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায়। সে-ও তো কম বাজে আচরণ করেনি রিয়ানার সাথে। সে রিয়ানার নাম শুনতেই সাজ্জাদের থেকে ফোন কেড়ে নিলো। সাজ্জাদ অবাক হলেও কিছু বললো না। অন্তির পানে তাকালো। অন্তি ফেন-টা নিয়ে বলে উঠলো,

“ভালো আছো রিয়ু? আমাদের তো ভুলেই গেছো জার্মানি গিয়ে।”

একবছর পেরিয়ে যাবার পর চির পরিচিত গলার স্বরগুলো শুনে ভেতরে ভেতরে রিয়ানা কেঁপে উঠলে নিজেকে স্বাভাবিক করার চেষ্টায় মত্ত হলো। কোমলতা বজায় রেখে নরম স্বরে বললো,

“ভালো আছেন ভাবী? শরীর ঠিকটাক আপনার? নিজের খেয়াল রাখেন তো?”

অন্তি জানে রিয়ানা কথা না বললেও সব খবরই কোনো এক ভাবে পেয়ে-ই যায়। তার প্রেগ্ন্যাসির খবরও যে রিয়ানার অজানা নয়! এটা বুঝতে পারলো রিয়ানার কথায়। আন্দাজ করলো হানিফ হোসাইনের থেকে জেনেছে সে। তাই নমনীয়তা বজায় রেখেই বললো,

“আলহামদুলিল্লাহ আছি ভালো। একটু ভিডিও কলে আসবে? তোমায় দেখতে ইচ্ছে করছে।”

রিয়ানা ফোঁস করে দম ফেললো। প্রেগন্যান্ট মেয়ে কিছু বলেছে! ফেরায় কি করে? অডিও কল কেটে নিজেই ভিডিও কল দিলো। অন্তি সাজ্জাদের বুক থেকে সরে বসলো। ওরনা ঠিকঠাক করে নিয়ে কল রিসিভ করলো। কল ধরেই হাসিমুখে বললো,

“ইশশশ কতগুলো মাস পর দেখছি তোমায়।”

“একবছর হলো ভাবী।”

রিয়ানা মৃদু হাসলো জবাব দিয়ে। অন্তির পানে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকালো। প্রেগ্ন্যাসির সময় মেয়েদের কত্ত পরিবর্তন হয়! ফর্সা মেয়ে-টা কি সুন্দর স্বাস্থ্যবতী হয়েছে। পুরো রসগোল্লার মতো লাগছে। সে মুখ ফসকে বলেই দিলো,

“আপনাকে পুরো রসগোল্লার মতো লাগছে ভাবী।”

অন্তি হাসলো। বিছানা ছেড়ে পায়ে স্যান্ডেল ঢুকিয়ে হেঁটে জানালার কাছে গিয়ে দাড়ালো। রিয়ানা খেয়াল করলো অন্তির পেছনে সাজ্জাদ বিছানায় বসা। তাকিয়ে অন্তির কান্ড দেখছে হয়তো। যে মেয়ে-টা তাকে সহ্য করতে পারতো না। সেই মেয়ে-টা এত আনন্দের সহিত তার সাথে কথা বলছে? বিষয়-টা একটু আশ্চর্যজনক হলেও রিয়ানার ভালো লাগলো। যাক সবাই স্বাভাবিক হয়ে গেছে। এই তো আনন্দের বিষয়। রিয়ানা মুচকি হাসি ফুটিয়ে রেখেছিলো ঠোঁটের কোণে। অন্তি রিয়ানার দিকে ফোনের স্কিনে দৃষ্টি ফেলে বললো,

“আমার বাবু হলে দেখতে আসবেনা?”

“ইনশা আল্লাহ যাবো ভাবী।”

“তোমায় একটা কথা বলতাম।”

“কি কথা?”

“আমায় ক্ষমা করে দিয়ো। অনেক বাজে আচরণ করেছিলাম। ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ-টাও পাইনি। তার আগেই চলে গেলে।”

“থাক বাদ দিন সেসব কথা। ওসব মনে করে মন খারাপ করবেন না। আমি ভুলে গেছি।”

“সত্যি ভুলে গেছো?”

রিয়ানা মাথা দুলিয়ে জবাব দিলো,

“হ্যাঁ।”

“তবে একটা কথা রাখবে আমার?”

“কি কথা?”

“দেখো রিয়ু, জীবনে চলার পথে একা কখনও আনন্দের সহিত বাঁচা যায় না। একাকিত্ব একসময় ঘিরে ধরেই। যতই বলো, একাকিত্ব মানতে পারলে সুন্দর। কিন্তু দিনশেষে একজনকে ঠিকই প্রয়েজন পরে। তুমি রায়াদ ভাইকে একটা সুযোগ দাও। আমি তোমার সম্পর্কে সব জানিনা। কখনও বলোনি। তবে সাজ্জাদ বলেছে, রায়াদ তোমায় ভালোবাসে। সাজ্জাদ তোমায় এক সময় ভালোবেসে জীবনে আগাতে পারলে! তুমি তাকে ভালোবাসোনি। তবে এত জেদের সহিত রায়াদ ভাইকে একটা সুযোগ তো দেওয়া যায়। সে তোমায় অনেক বেশিই ভালোবেসে ফেলছে। এই এক বছর অনেক পাগলামি করেছে তোমার শূণ্যতায়। তুমি তো ছিলে না। সাজ্জাদ আর জুবায়ের ভাই মিলে তাকে সামলিয়ে এতদিনে তোমার কাছে নিয়ে যাওয়ার মতো যোগ্য করে তুলেছে। সে একটা সুযোগ ডিজার্ভ করে। ”

রিয়ানা আলতো হাসলো অন্তির কথায়। লম্বা দম নিয়ে বললো,

“আসলেই সে একটা সুযোগ ডিজার্ভ করে। নিজের খেয়াল রাখবেন ভাবী। পরে আবার কথা হবে।”

রিয়ানা কল কেটে দেয়। অন্তি দম ফেলে সাজ্জাদের কাছে এসে ফোন এগিয়ে দেয়। সাজ্জাদ অন্তির চুপসানো মুখ দেখে বলে,

“চিন্তা করো না। ওটা সাজ্জাদ হোসাইন নয় যে মুখ বুজে সব মেনে নিয়ে হাল ছাড়বে। জীবনে এগিয়ে যাবে। রিয়ানার মতো ঘাড়ত্যাড়া প্রেমিক পুরুষ রায়াদ। ঠিক মানিয়ে নিবে।”

অন্তি হাসলো। হাসি বজায় রেখে বললো,

“ভাগ্যিস সাজ্জাদ হোসাইন সব মেনে নেয়। নয়তো তার সাথে সুখে থাকার সৌভাগ্য আমার হতো না।”

৯২,
সন্ধ্যা সময়, বাসার থেকে ৩-৪মিনিটের দূরত্বে একটা লেক আছে। তার পানিতে পা চুবিয়ে বসেছে রিয়ানা। মাথায় ঘুরঘুর করছে অন্তির কথাগুলো। রায়াদ সত্যি একটা সুযোগ ডিজার্ভ করে হয়তো! পরপর কেটে গেছে দুদিন। রায়াদের কথার জবাব রিয়ানা দেয়নি। নিরব ছিলো
রায়াদ আশাহত হয়ে ফিরে গেছিলো। অন্তির সাথে কথা হয়েছে সকাল তখন ১০:৩০টা বাজে। রায়াদ তার বাসা ছাড়েনি। এখনও শরীরে একটু একটু ব্যথা। তার কথা, যার জন্য সে আঘাত পেয়েছে! পুরো সুস্থ না হয়ে তার বাসা ছাড়বেনা। বরাবরের মতোই ক্লাসে যাওয়ার জন্য ড্রেস আনতে গিয়েছিলো রুমে। ফোন-টা বাজায় সাজ্জাদের নাম দেখে রায়াদের সাথে সাজ্জাদের কি কথা থাকতো পারে! সেই আগ্রহের চোটে-ই সে কল রিসিভ করে। রিসিভ করে যে রায়াদ, সাজ্জাদের এত মিল সম্পর্কে জানবে? আন্দাজ ছিলো না। বর কারোর সাথে কথা না হলেও নিয়ম করে রিফার সাথে কথা হয় রিয়ানার। তার মাধ্যমেই সবার খবর জানতে পারে। রায়াদের পাগলামি তার অজানা নয়। তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা! মনে পরলেই হোসাইন বাড়িতে দুজনে কোথায় কোথায় ঝগড়া করতো! টুকটাক কথা হয়েছিলো! সেসব জায়গায় গিয়ে রায়াদ থম মেরে বসে থাকতো। যে ছেলে-টা তার উগ্র ব্যবহার, ড্রেসআপ দেখে রাগ করতো! সহ্য করতে পারতো না! সে এমন পাগলের ন্যায় তাকে ভালোবাসলো কোন কারণে? চিন্তা করে কূল পায়না রিয়ানা। কিন্তু সে-ও যে রায়াদকে মিস করেনি! এটা বললে ডাহামিথ্যে বলা হবে। তার মনের কোথাও একটা গিয়ে রায়াদের জন্য তার মন কেমন করে। এই অনুভূতি কি! রিয়ানা জানেনা। প্রেমের ২য় সূচনার ন্যায় অনুভূতি। শুধু এট আগে সাজ্জাদের কথা মনে আসতো! এবার রায়াদকে। তবে কি সে সাজ্জাদকে ভালোই বাসেনি? নয়তো এত সহজে অন্য কারোর জন্য মন কেমন করে কেন? ধ্যাত এতসব ভাবতে পারবোনা। রিয়ানা নিজের ভাবনার উপর বিরক্ত হয়ে উঠে দাড়ালো। ঘুরে দাড়াতেই দেখে রায়াদ দাড়িয়ে আছে। পরনে কালো পাঞ্জাবি, কালো জিন্স। পায়ে কালো জুতো। পাঞ্জাবির হাতা গোটানো। হাত দু’টো বুকে বাঁধা। তীক্ষ্ণ দৃষ্টি তার প্রতি আবদ্ধ। সে ভ্রু উঁচিয়ে বললো,

“আপনার বিয়ে ছিলো বুঝি? পাঞ্জাবি পরেছেন যে?”

“শুক্রবার আজ। এখানে মসজিদ নেই বলে কি নামাজ পরবোনা?”

রিয়ানা কিছু বললো না আর। হাতের ফোনে সময় দেখলো। দু’টোর কাটা অতিক্রম করেছে সময়। ৩টে ক্লাস ছিলো তার। শেষ করে এসে লেকে বসেছে। রায়াদ রিয়ানার পাশে হাঁটা ধরে বললো,

“আমি এখানে কি করে? জানতে চাইলে না?”

“এসে পরেছেন কোন এক ভাবে। আমি জানতে আগ্রহী নই।”

“না থাকলে, আমি বলি। তোমার সেই ক্লাসমেইট! পিউয়ি? ওকে বাসায় ঢুকতে দেখে জিগাসা করলাম তোমার কথা। ও জানালো তুমি এখানে এসেছো। আমায় পথও দেখিয়ে দিলো।”

“আচ্ছা।”

“আমার কথার জবাব পেলাম রিয়ু।”

“কোন কথা?”

“সুযোগ দিবে না?”

রিয়ানা থমকে দাড়ালো। রায়াদের মুখপানে দৃষ্ট ফেলে বললো,

“দিলাম সুযোগ। কাজে লাগিয়ে দেখুন। আপনার প্রেমে আপনার মতো করে ফেলতে পারলে! আমি বিয়ে করতে রাজী হবো।”

“চলো না বিয়ে করেই প্রেম করি!”

রিয়ানার হাসি পেলো রায়াদের কথা শুনে। এ ছেলে সুযোগ চায়। সুযোগ পেয়ে একদম বিয়ে! সে তো দেখতো চায় আদৌও দুজন সারাজীবন একসাথে থাকার জন্য উপযুক্ত কিনা! এরপর বিয়ের কথা ভাববে। নিজের হাসি চেপে রায়াদের কথার জবাবে রিয়ানা মজার ছলে বললো,

“যান কাজী খুঁজে আনুন। আনতে পারলে আজ শুক্রবার আছে। বিয়ে করে ফেলবো।”

চলবে?

ভুলত্রুটি মার্জনীয়, আসসালামু আলাইকুম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here