রঙিন খামে বিষাদের চিঠি পর্ব ২২

0
241

#রঙিন_খামে_বিষাদের_চিঠি
#পর্বঃ২২
#আর্শিয়া_ইসলাম_উর্মি

৫০,
“আসলে রিয়ু ভাইয়া তোমায় ভালোবাসতো, পছন্দ করতো। এটা আম্মুকে জানানো হয়েছিলো। ভাইয়া নিজেই সাহস করে বলেছিলো। মা তোমার চালচলন, কথার ধরণ, পোশাক আশাক সব দেখে মেনে নিতে নারাজ ছিলো। ভাইয়া যেদিন জার্মান থেকে ফিরে আসে তার অবস্থা সহ্য করার মতো ছিলো না। পুরোই বিধস্ত ভেঙে গুড়িয়ে যাওয়া এক মানুষ। অসুস্থ হয়ে বিছানায় পরেছিলো খাওয়া দাওয়া ছেড়ে। একমাত্র ছেলের এই অবস্থা মানতে পারছিলো না। ভাইয়াকে ডাক্তার দেখানো হয়। মা ভাইয়ার সাথে একান্তে কথা বলেছিলো। ভাইয়ার এই অবস্থা কেন? ভাইয়া নিজেই তখন মুখ ফুটে তোমার কথা বলে। ভাইয়া মায়ের কাছে বাচ্চাদের মতো তোমায় বিয়ে করার আবদার করেছিলো। তুমি তো আরও ছোটো ছিলে। মা সময় নেয়। বলে তোমার বিয়ের বয়স-টা হোক। এরমাঝে মা চাচ্চুর সাথে যোগাযোগ করে, আয়াত আপুর সাথে কথা বলে। লুকিয়ে তোমায় ভিডিও কলে দেখেও৷ কারণ আয়াত আপুকে বারংবার বলার পরও তুমি আমাদের সাথে কথা বলতে না। ঐ একটু দেখার ফাঁকে মা তোমার অবনতি দেখে আর মানতে পারলেন না। তবুও অপেক্ষা করলেন তুমি শুধরে যাবে বড় হলে। আয়াতকে বলা হলো একটু তোমায় গুছিয়ে তুলতে। সে পারলোনা। তোমার রাগ-জেদ, একরোখা স্বভাবে তুমি যেমন তেমনই রইলে। তুমি একটু শুধরালে ঠিক তখন! যখন মা ভাইয়ার জন্য নিজের ভাইয়ের মেয়েকে ঠিক করে। আমার খালামনি আমাদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। এসে ভাইয়ার এই অবস্থা দেখে দুবোনে শলাপরামর্শ করে ভাইয়াকে অন্তির সাথে বিয়ে দেওয়ার প্ল্যান করে। আমাদের মামা একজনই, বোনও একটাই। মামার ঐ একটাই মেয়ে। আর সন্তান নেই। নিজেদের আদরের ভাতিজীকে নিজেদের মাঝে-ই রাখতে চাইলেন। শুরু হলো বছর ঘুরতেই কথাবার্তা। ভাইয়া তখন নিজেকে বেশ গুছিয়ে নিয়েছে। বাবার বিজনেসে জয়েন করে নিজের মতো ছিলো। অন্যদিকে চেষ্টা করছিলো জার্মানিতে ডাবল মাস্টার্স করতে যাবে বলে সেই চেষ্টা৷ কারণ ভাইয়া নিজেকে সামলে নিলেও তোমায় ভুলেনি। রোজ একবার ছাঁদে দাড়িয়ে এক তোমাকে উদ্দেশ্য করে রাতের আঁধারে অন্ধকারে কথা ছুড়তো। তুমি জানতে পারবেনা জেনেও ভাইয়া নিজ মনে ফোনে তোমার ছবি বের করে বকবক করতো। একেকদিন ছাঁদে বাচ্চাদের মতো কাঁদতো। আমরা মা-মেয়ে শুধু দেখতাম। বাবা বিজনেসের জন্য বেশিরভাগ সময় শহরে থাকতেন। মাঝে মাঝে এসে ছেলের এই করুণ অবস্থা দেখে চাচ্চুর সাথে কথা বলে বাবা। কিন্তু চাচ্চু নিজেই আর রাজী হোন না। বলেন, তার বিগড়ে যাওয়া মেয়ের সাথে তার ভাইপো-কে বিয়ে করিয়ে, এই বংশের একমাত্র প্রদীপের জীবন-টা নষ্ট করতে চান না তিনি। বাবা দমে যান। বোঝাতে বোঝাতে শেষে গিয়ে ব্যর্থ-ই হলেন। শেষে বাবাকে বুঝিয়ে মা অন্তির সাথে ভাইয়ার বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করে এসে ভাইয়াকে জানায় বিয়ের কথা। ভাইয়া সেদিন বাড়ি আর বাড়ি রেখেছিলো না। পুরো বাড়ির জিনিসপত্র ভাঙচুর করে যা তা অবস্থা। শেষে বাবা শান্ত করে ভাইয়াকে। বোঝাতে শুরু করে। তবুও ভাইয়াকে মানাতে না পেরে কসম দিয়ে বসে বাবা মা-কে যদি একফোঁটাও ভাইয়া ভালোবাসে তবে বিয়ে করতে-ই হবে। দিনতারিখ ঠিক করে ফেলেছে। কথা ফেরায় কি করে? বাঙালি বাবা মা-ও তেমন। সব ট্রিকস বিফল তো কসমের ট্রিকস সেই আদিম যুগ থেকে খাঁটিয়ে আসছে। ব্যস ভাইয়া শান্ত হলেও মতামত দেয় না। মা খাওয়া নাওয়া ছেড়ে ঘরবন্দী করে ফেলেন। নিজের আদরের দুলালের অবনতি না থামলে, মুভ ওন না করলে তিনি খাবেন না বলে জেদ ধরেন। ভাইয়া উপায়হীন হয়ে বিয়েতে মত দেয়। আর ঠিক তখনই তুমি আসো ভাইয়ার বিয়েতে৷ তোমার ডোন্ট কেয়ার মুড, জেদ সব দেখে ভাইয়ার জেদ চাপে। তুমি তাকে ছাড়া ভালো থাকতে পারলে, সেও পারবে। ব্যস আমাদের মা আর তোমার বাবার অমত, তোমাদের দুজনের জেদ! এই সম্পর্কের অস্তিত্ব বিলীন করে দিলো।”

৫১,
রিয়ানা পরপর এতগুলো ধাক্কা নিতে পারলোনা। সে শুনতে চাইলো অন্তির পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা। অথচ রিফা আপু তাকে সাজ্জাদের অবস্থা বলে গেলো! নাস্তা করে সে রিফার রুমে এসে কোনো দ্বিধা ছাড়া-ই রিফার দিকে প্রশ্ন ছুড়ে অন্তি পালিয়েছিলো কেন? সাজ্জাদের সাথে অন্তির সম্পর্ক কেমন? রিফা তার উত্তরে একদমে কথাগুলো বলে থামলে রিয়ানা বললো,

“আপনার কথাগুলো ঠিক করুন রিফা আপু। আমাদের জেদ সম্পর্কের অস্তিত্ব বিলীন করেনি। আমি কখনও আপনার ভাইয়ের সাথে সম্পর্কে যাইনি। তাই এই কথা-টা ভুল। কিচেনে গিয়ে ভাবীর কথাগুলো গোলমেলে লাগলো। তাই আপনার কাছে জানতে চেয়েছি। কিন্তু আপনি তো আমি বিহীন সাজ্জাদ ভাইয়ের বিশদ বর্ণনা করলেন। আমি তো এসব জানতে মোটেও ইচ্ছুক নই।”

রিয়ানার কাঠখোট্টা কথার জবাবে রিফা হাসলো, বললো,

“ভাইয়া ঠিক-ই বলতো তুমি এটিটিউড কুইন। তোমার ব্যক্তিত্ব একটু বেশি-ই কড়া ধাচের। এসব বিশদ বর্ণনার প্রয়োজন ছিলো। তোমারও জানা উচিত তুমি বিহীন একটা মানুষের জীবনে ঠিক কি পরিমাণ ধ্বস নেমেছিলো। আর রইলো অন্তির পালানোর ঘটনা? অন্তি আর তুমি একই বয়সী। যখন বিয়ে-টা হয় তখন ও কিন্তু টিনএজ এর ছিলো। ওর রিলেশন ছিলো একটা। ফ্যান্টাসির দৌড়ে ছিলো। পরিবারের কেউ টেরও পায়নি। ফেসবুকের রিলেশন ছিলো। পাশের জেলাতেই। বাড়িতে বলতেও পারেনি। তার আগেই আচমকা বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের পর ওর বাচ্চামি স্বভাব কমার বদলে আরও বেড়ে যায়। ভাইয়ার সাথে বয়সের ফারাক-টা ৫-৬এর জায়গায় ৯পেরিয়ে ১০এর কাছাকাছি হওয়ায় ভাইয়াকে সবসময় বুড়ো বর বুড়ো বর বলে যেত। সবার সামনেই। ওর আঁটকায় না কোনো কথা বলতে গেলে। বিয়ের প্রথম ১০মাস সবসময় বলতো ওর ডিভোর্স চাই ডিভোর্স চাই। ভাইয়ার মন এমনি-ই বিক্ষিপ্ত থাকতো। ওর কর্মকাণ্ডে আরও গম্ভীর হয়ে যায় ভাইয়া। তবুও বিয়ে যখন হয়েছে নিজের সব অনুভূতির দাফন করে মায়ের কথামতো অন্তিকে সামলানোর চেষ্টায় নামে। অন্তিও ছন্নছাড়া, ভাইয়াও তোমার কথা ভেবে বিষাদগ্রস্ত। সুখ-টা ঠিক কি? ভাইয়া উপলব্ধি করতে পারেনি। বিয়ের ঠিক ১০মাসের মাথায় বাবার বাড়ি যাওয়ার পর অন্তিকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ ১৭দিন পর তার খোঁজ মিলে। পুরোনো প্রেমিকের আশায় বাড়ি ছেড়ে গিয়ে দেখে ছেলে-টা তাকে ঠকিয়েছে। যে ঠিকানা দিয়েছিলো সব-টাই ভুয়া। সে লুকিয়েছিলো নিজের বেস্টফ্রেন্ড্রের বাসায়। ভয়ে-ই বাসায় আসতো না।ওর বান্ধবী আর তার বাবা মা-কে অনুরোধ করে পায়ে ধরে চুপ করিয়েছিলো। অন্তির বান্ধবী আমার সাথে যোগাযোগ করে। তার সাথে আমার বিয়ের সময় পরিচয় হয়। সে এসে সব খুলে বলার পর বাবা আর মামা গিয়ে ফেরত আনে তাকে। অন্তির ভুলগুলোর জন্য শাস্তি কি দিবে? মেয়ের ভালোর জন্য ভাইয়া-কে বোঝানো হয় সম্পর্ক টাকে একটা সুযোগ দেওয়ার জন্য। ভাইয়াও হয়তো বিয়ে করা বউ! কিছুটা দায়, সম্পর্কের টান বুঝেছিলো। সেজন্য মেয়ে-টাকে সামলাতে শুরু করে। কিন্তু ওদের সম্পর্ক ঠিক কোন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে? কারোর মাথায় ঢোকেনা। এই ভালো তো এই মন্দ। ২টা বছর পেরিয়ে গেলো। অন্তির বয়স-টাও ২১শে এসে ঠেকলো। তবুও সম্পর্কের প্রতি এদের টান আসলো না।”

৫১,
রিয়ানা কি বলবে রিফার কথা শোনার পর বুঝে আসলো না তার। সে বিছানায় বসা ছিলো। উঠে দাড়িয়ে রুমের জানালার কাছে গিয়ে দাড়ালো। বিদ্রুপের স্বরে বললো,

“একটা মেয়ে ফেসবুকে পরিচিত এক ছেলের ভরসায় পালালো? এত বোকা মেয়েও দুনিয়ায় এক্সসিস্ট করে? ভালো বর, ভালো ঘরেও যার মন টিকে না। তার পায়ের তলায় দুনিয়ার সব সুখ এনে দিলেও মাটি নড়বড়ে হয়ে-ই থাকবে। ঘটনাগুলো সব রুপকথার গল্প মনে হচ্ছে বুঝলেন আপু। আমি বিশ্বাস করতে পারলাম না অন্তির এই পালানোর ঘটনাগুলো। পুরোই লজিকলেস। সে প্রেমিকের কাছে গেলো? অথচ যাচাই করলো না কিছু? সে বিবাহিত, এটা জানার পরও ছেলে-টা তাকে একসেপ্ট করবে? ভাবলো কি করে? ফাতরামির একটা লিমিট থাকে। এই মেয়ে সবকিছু ক্রস করে গেছে। দুজনেই ভালো নেই। অথচ সাজ্জাদ ভাইয়ের আইডিতে দুজনের ঘোরাঘুরির ছবি আপলোড করার অভাব নেই। যত্তসব আজাইরা ঘটনা।”

রিফা হাসলো রিয়ানার বিদ্রুপ শুনে। তখনই অন্তি ঘরে ঢুকলো। সে দরজায় দাড়িয়েছিলো। রিয়ানার সব কথা-ই তার কানে এসেছে। অন্তি এসেছিলো রিফা আর রিয়ানাকে ডাকতে। হানিফ হোসাইনকে বাসায় আনা হয়েছে। এজন্য আসিফা বেগম তাকে উপরে পাঠায় ডাকার জন্য। এসে রিয়ানার সব কথা শুনে বলে,

“আমার প্রেমিকের সাথে পরিচয়-টা ফেসবুকে হলেও সে আমার পরিচিত ছিলো। আমার খালাতো ভাইয়ের ফ্রেন্ড ছিলো। ভাইয়ার বিয়েতে পরিচয় হয়। আমি তো কল্পনাও করিনি সে আমায় ঠকাবে। আমি তাকে বলেছিলাম আমার বিয়ে হয়েছে। সে মানতে রাজী ছিলো। ভরসা দিয়েছিলো। এরপর কেন আমায় বাসস্ট্যান্ডে নিতে আসলো না? তা আমার জানা নেই। আর রইলো তোমার সাজ্জাদ ভাইয়ের সাথে ঘোরাঘুরির কথা? আমার শখ হয় ঘোরার। ঘুরতে নিয়ে যায়। ছবিগুলোও আমি আপলোড করি। ওর আইডি ও কম-ই ইউজ করে। আমি-ই বেশি ইউজ করি। কারণ আমার নিজের আইডি বা ফোন কোনো-টাই নেই। আমার অপকর্মের পর ইউজ করতে দেওয়া হয়নি। নেহাত আমার ফুফি, ফুফা ভালো বলে আমার অন্যায় জেনেও মেনে নিয়ে রেখেছে ছেলের বউ করে। নয়তো অন্য কোথাও হলে আমার যে স্বভাব মেনে নিতো না। আর তোমার সো কলড সাজ্জাদ ভাই কম লাভার বেশি। সে যে আমার থেকে বেশি তোমায় ভালোবেসে দুই নৌকায় পা দিয়ে চলছে। সেটাও আমি ভালো মতো জানি। এজন্য আমাদের দুজনের সম্পর্ক ঠিক হয়না। বিয়ের প্রথম রাতেই সে তোমার কথা জানিয়েছিলো। তার ফোনের নোটপ্যাডে তোমায় নিয়ে অজস্র অনুভূতি। আমার মনে অন্য কেউ। সম্পর্ক-টা ঠিক কোনদিক দিয়ে আগায় বলো তো? সম্পর্কের দায়ে সম্পর্ক চলছে আমাদের। বাবা মায়েরা তো একটা ছেলে মেয়েকে জুড়ে দিলে-ই বাঁচে। তাদের মতামত গোল্লায় যাক। তোমার কাছে সব আজাইরা লাগলে-ও আমাদের স্বামী স্ত্রী দুজনের মন দুই মেরুতে। ভালোবাসা-টা আসে কোথা থেকে বলো?”

“সব কথা বুঝলাম। বাট একটা কথা ঠিক করুন। আমার সো কলড লাভার? কি করে সে আমার লাভার? আমি কখনও তাকে ভালোবাসি বলেছি? আপনারা স্বামী স্ত্রী দু’জনের-ই চরিত্রের ঠিক নেই। বিয়ের পর স্বামীর মনে পরনারী, স্ত্রী-র মনে পরপুরুষ। সেটা আনার দুজনই মুখ ফুটে বলে। নির্লজ্জ কোথাকার! লজ্জার ‘ল’ টাও আপনাদের মাঝে নেই না? কে কোন জন্মে কাকে ভালোবেসেছে! সে ধরে বসে থেকে পরিবারের প্রতি-টা মানুষকে প্রতিনিয়ত কষ্ট দিয়ে যাচ্ছেন। তালিয়া জারুর বানতি হ্যায়। এত শেমলেস তো আমিও হতে পারিনি। জীবনে কোন উন্নতি-টা করলাম। যত্তসব ফাল’তু।”

রিয়ানার জবাবে অন্তি হতভম্ব। মুখের উপর অপমান সে মানুষকে করে। তাকে কেউ এভাবে অপমান করবে? চরিত্রে আঙুল তুলবে? এত সাহস? রিফার বেশ মজা লাগছে রিয়ানার উচিত জবাব দেওয়ায়। অন্তি রেগেমেগে রিয়ানার দিকে তেড়ে গিয়ে বলে,

“আমার চরিত্রে ভুলেও আঙুল তুলবেনা রিয়ানা।”

“জাস্ট কিপ ইউর মাউথ শাট । আমার উপর কেউ চিল্লিয়ে কথা বলুক! আমার পছন্দ না। তার মাঝে আপনার মতো নির্লজ্জ মেয়ে-র তো একদম-ই না।”

“তোমার খুব লজ্জা বুঝি? যার ড্রেসআপ, নাইট ক্লাবে পার্টি করার স্বভাব! সে কি করে সৎ চরিত্রের অধিকারী হয়?”

অন্তির প্রশ্নে হাসলো রিয়ানা। হাসতে হাসতে বললো,

“আমি নিজের লাইফ টাকে ইনজয় করতে এসব করেছি। আপনার মতো স্বামী রেখে সো কলড প্রেমিকের কাছে দৌড় দেইনি। আমি নিজেকে শোধরানোর চেষ্টা করেছি। আপনার মতো বিনা চেষ্টায় সংসার গুছিয়ে নেওয়ার বদলে পালাইনি। আপনাকে কথা শোনানোর স্কোপ আপনি নিজে ক্রিয়েট করেছেন। তো কথা তো শুনতেই হবে। পারলে সাজ্জাদ ভাই আর আপনি পারফেক্ট কাপল হয়ে দেখান। আমি মেনে নিবো আপনার সেই দম আর আমার উপর আঙুল তোলার যোগ্যতা আছে।”

রিয়ানা কথাগুলো বলেই রুম থেকে বেরিয়ে আসলো। সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে মনে মনে হাসলো। ভাবলো, ‘অন্তি ভাবী, আপনার মাঝে আমার ভেতরে থাকা তেজ দেখেছি। আমার অপমান গুলো সেই তেজে ঘি স্বরুপ ঢাললাম। এবার আগুন জ্বলবে। সেই আগুনে এবার কেউ পুড়বেনা। এই হোসাইন পরিবার ভালো থাকবে। বিশেষ করে আমার না হওয়া মানুষ-টা। সে কোনোদিন জানবেনা, রিয়ানা হোসাইন তাকে ভালোবেসেছে। জানলে কোনোদিন আর আপনাদের সম্পর্কের উন্নতি হবেনা। আমার করা প্রতি পদের অপমান আপনাদের শুধরে দিবে।’

রিয়ানা ভাবতে ভাবতে নিচে নামতে ধরতেই পা ফসকে সিড়ি থেকে পিছলে পরে যেতে ধরে রিয়ানা। আচমকা এমন হওয়ায় ঘাবড়ে গেলেও নিজেকে সামলে নেয়। সামনের দিকে তাকাতেই দেখে রায়াদ তার দিকেই এগিয়ে আসছে। রায়াদ হন্তদন্ত হয়ে রিয়ানার সামনে এসে হাঁপিয়ে শুধায়,

“আর ইউ ওকে?”

“হ্যাঁ, কিন্তু আপনি আমাদের বাড়িতে? কার সাথে এলেন?”

চলবে?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here