#রংধনুতে_প্রেমের_বাড়ি
#পর্ব_১০
#ফারজানা_মুমু
‘ডিআইজি’ নাম শোনে হা করে তাকাল চৈতি। বিস্ময় দু-চোখ দু-বার বন্ধ করে জোড়ে নিঃশ্বাস ছেড়ে জিজ্ঞাসা করল, আপনি ভাইয়ার সিনিয়র?
-” আপনার ভাইয়া আমার আন্ডারে কাজ করে।
-” এজন্যই ভাইয়া আপনাকে ভয় পায়।
-” হতে পারে কিন্তু আমি জানি না।
বাইক এসে থামলো শান্তা-কান্তার বাড়ির সামনে। অক্ষর চৈতিকে বলল ভিতরে যেতে সে অপেক্ষা করবে জয়-বিজয়দের জন্য।
চৈতি বাসার ভিতর প্রবেশ করল। শান্তা-কান্তার মা রুম দেখিয়ে অন্য কাজে চলে গেলেন। চৈতিকে দেখে জড়িয়ে ধরল দু-বোন। মুখ বাঁকা করে বলল, প্রেম তো ভালোই চলছে । বাসা পর্যন্ত এগিয়ে দিচ্ছে আবার বাসার নিচে দাঁড়িয়ে আছে ব্যাপার কী?
-” তোদের হবু বরেরা বলেছে ওনাকে আসতে সেজন্যই।
শান্তা বলল, আজ কিন্তু ভাইয়াকে দারুণ লাগছে। আমি তো ভাই প্রেমে পড়ে যাচ্ছি।
শান্তার কথায় জানালা দিয়ে নিচে তাকাল চৈতি। অক্ষর ফোন কানে নিয়ে কথা বলছে। চোখে মুখে একরাশ বিরক্তি-রাগ প্রকাশ পাচ্ছে।
কথা বলার সময় হঠাৎ অক্ষর দু’তলায় তাকাল দেখল তার হৃদয়হরণী তাকিয়ে আছে অপলক দৃষ্টিতে। ইশারায় বলল, কী হয়েছে?
মাথা ঝাঁকিয়ে চৈতি বলল, কিছু নয়।
জয়ের ফ্যামিলির সবাই এসেছে শান্তাদের বাসায়। অক্ষরের জরুরি ফোন আসাতে চলে যেতে হয়। জয়-বিজয়কে জানিয়ে নিজ গন্তব্যে পাড়ি জমায় সে। ড্রইং রুমে চলছে বিয়ের আলাপ। পাত্র-পাত্রীরা যেহেতু আগে থেকেই একে অপরদের চিনে-জানে তাই পছন্দ নিয়ে কথা না বাড়িয়ে বিয়ের কথায় বলা হচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হলো ছেলেদের বয়স নিয়ে। মেয়েদের থেকে ছেলেরা চৌদ্দ বছরের বড়। বয়সের পার্থক্য বহুত। মুমিন হোক পাত্তা না দিলেও ওনার স্ত্রী সঈদা বেগমের ঘোর আপত্তি। দুটো মেয়ে ওনাদের, বয়স্ক ছেলেদের হাতে তুলে দিবেন না। স্ত্রীকে বুঝাতে হিমশিম খাচ্ছেন মুমিন হোক। জয়-বিজয়ের ফ্যামিলি আঁচ করতে পারে তাই ওনারা আমন্ত্রণ জানিয়ে বিদায় নেয়।
শান্তা ও কান্তা দরজা আটকিয়ে বসে আছে। অবরোধ এই মুহুর্ত জয়-বিজয়ের সাথে বিয়ে ঠিক না হলে পানি স্পর্শ করবে না। চাঁদ ঘুমিয়ে পড়েছে তাই চৈতি চাঁদকে মুমিন হোকের রুমে শুইয়ে দিয়ে দরজায় নাড়া দিচ্ছে কিন্তু দু’বোনের এক দাবি বিয়ে ঠিক না হওয়া অব্দি দরজা খুলবে না। চৈতি বাধ্য হয়ে অক্ষরকে ফোন দিল,
-” আজ ম্যাসেজ না পাঠিয়ে ফোন? ব্যাপার-স্যাপার কী ম্যাম?
-” শান্তা-কান্তা দরজা খুলছে না।
-” আপনি এখনও ওদের বাসায়? প্রবলেম হয়েছে?
চৈতি জানালো সব কথা। অক্ষর এক মিনিট নিরবতা পালন করে আশস্থ কণ্ঠে বলল, জয়-বিজয়কে নিয়ে আসছি আপনি আন্টির সাথে কথা বলুন।
অক্ষর ফোন কাটল। চৈতি সঈদা বেগমের কাছে যায়। চৈতিকে দেখে জড়িয়ে ধরেন সঈদা। কান্না মিশ্রিত কণ্ঠে বলেন, আমি মা হয়ে মেয়েদের খারাপ চাইবো কখনো বলো তো মা? আমি তো ওদের ভালোর জন্য রিজেক্ট করেছি।
হঠাৎ মায়ের মত পরশ পেয়ে চোখ বুজে রইল চৈতি। কতগুলো দিন পার হলো মা মা গন্ধ সে পায় না। গলা পাকিয়ে কান্না আসলো কিন্তু এখন অশ্রু বিসর্জন দেওয়ার সময় নয়। বুক ছিরে আসা কান্নার দলা গিলে বলল, আন্টি আপনি যদি ওদের অন্য জায়গায় বিয়ে দেন তাহলে কী আপনার মেয়েরা সুখী থাকতে পারবে? পারবে না। আচ্ছা বলুন তো জয়-বিজয় কিংবা ওদের পরিবার নিয়ে আপনার সমস্যা আছে?
-” না মা। আমার শুধু বয়স নিয়ে সমস্যা।
-” বয়স আসল বিষয় নয় আন্টি। আসল বিষয় হলো ভালো থাকা। যে যেখানে ভালো থাকতে চায় আমাদের উচিৎ তাকে সেখানেই রাখা। শান্তা-কান্তার যদি বয়স নিয়ে সমস্যা না থাকে তাহলে তো আমাদের সমস্যা হওয়ার কথা নয়। বিয়ে হবে ওদের, সংসার করবে ওরা, বোঝাপড়া ওদেরই করতে হবে। ওরা যেহেতু চাচ্ছে বিয়েটা হোক তাহলে আমি কিংবা আপনি কেন বারণ করব বলুন তো। তাছাড়া বেশি বয়সের ছেলেদের মাঝে বোঝাপড়া ভালো থাকে, মানিয়ে নিতে পারে, সংসার সম্পর্কে ভালো জানে। আবেগ কম অনুভুতি কাজ করে বেশি। আমার মনে হয় আপনার বিয়েতে রাজি হওয়া উচিৎ।
-” সত্যি বলছো তো মা। আমি আগে ভেবে দেখিনি এখন কী করব?
-” আপনায় কিছু করতে হবে না আন্টি। আপনার যমজ মেয়ের জামাইরা একটু পরেই চলে আসবে। আপাতত শান্তা কান্তাকে কিছু বলবেন না। আপনি বরং যমজ পাত্রের বাবা মাকে আসতে বলুন আবারও।
কৃতজ্ঞতার দৃষ্টিতে তাকিয়ে ফোন দিল পাত্রদ্বয়ের বাড়িতে এখন শুধু আসার অপেক্ষা……..!
অবশেষে বিয়ে ঠিক হল আজ থেকে সাতদিন পর। দুই পরিবারই ভীষন খুশী। চৈতি বিদায় জানিয়ে চাঁদকে নিয়ে বাসার উদ্দেশ্য যাত্রা দিল। চৈতির মুখে হাসির জলক দেখে অক্ষর বলল, এবার আপনার পালা।
-” আগে যুদ্ধে বিজয় হোন তারপর।
-” আর কত পরীক্ষা নিবেন ম্যাম। ডিআইজি হতেও আমার এত সময় লাগেনি কিংবা কষ্ট করতে হয়নি আপনার মন পাওয়ার জন্য যত কষ্ট করছি।
-” কারণ আমি আপনার বস। বসের মন পেতে হলে অনেক কষ্ট করতে হয় ডিআইজি সাহেব। এত তাড়াতাড়ি ধৈর্য হারালে পরীক্ষায় ডাহা ফেল করবেন।
-” অক্ষর কখনো পরীক্ষায় ফেল করেনি ম্যাম। তবে আপনার পরীক্ষায় সে ফেলটুস হতে পারে। কারণ ম্যাডাম এখানে খুবই নি’ষ্ঠু’র।
জোরে হাসলো চৈতি। অক্ষর সাথে তাল মিলিয়ে হেসে উঠল। মামা ও ফুপির হাসি দেখে চাঁদও হেসে উঠল। তারপর আদো কণ্ঠে বলল, আত্তা মামা আমলা হাত্তি কেন? পাগল হয়ে গেছি?
-” নো মামুনি। হাসলে শরীর ও মন ভালো থাকে তাই আমরা হাসছি।
-” আমিও আবাল হাতি।
চাঁদের কথায় অক্ষর চৈতিকে উদ্দেশ্য করে বলল, ম্যাম, বিয়ের পর আমাদেরও চাঁদের মত কিউটিপাই চাই। বুঝেছেন? বিয়ে দেরিতে করলেও বাবা কিন্তু তাড়াতাড়িই হবো।
-” অসভ্য লোক তো আপনি। পুলিশদের ভাষা হবে সুন্দর, সুশীল কিন্তু আপনার ভাষা অ’শ্লীল। আপনাকে এই মুহূর্তে বরখাস্ত করা উচিৎ।
-” বউয়ের সামনে যদি অ’শ্লীল না হই তাহলে সবাই ভাববে আমার ব্যাক্তিগত সমস্যা আছে। আমি বাবা, সমস্যার কাতারে পড়তে চাই না। তাছাড়া বউয়ের সাথে রোমান্স করব না তো কার সাথে করব পাশের বাড়ির মেয়ের সাথে?
-” পাশের বাড়িতে চোখ রাখলেই কা’না করে দিবো বলে দিলাম।
-” বাব্বাহ কত ভালোবাসা কিন্তু আমি ভালোবাসা দেখালেই অ’শ্লীল। আপনি দেখালে সুশীল। একেই বলে নারী সমাজ, নিজেরা ঠিক পুরুষরা বেঠিক।
চৈতি মুখ ভেংচিয়ে বসে রইল। বাইক থামলো তার নির্দিষ্ট গন্তব্য। চাঁদ ও চৈতি আগে বাসায় প্রবেশ করল তার দশমিনিট পর অক্ষর আসলো।
*****
বিছানায গুছানোর সময় পিছন থেকে ঝুমুরকে জড়িয়ে ধরে চয়ন। কাঁধে মাথা রেখে অভিযোগের কণ্ঠে বলে, আমায় দেখেও আজকাল দেখো না। পর হয়ে যাচ্ছি?
কপট রাগ দিয়ে বলল ঝুমুর, স্যার এখন অতিঃ পুলিশ সুপার থেকে পুলিশ সুপার হয়েছেন আমাকে ভালোবাসার সময় আছে?
-” তোমার ভাই আজকাল বড্ড প্যারা দেয়। খিটখিটে লোক একটা। তাইতো সময় দিতে পারি না।
-” আমার দাদাভাইকে নিয়ে বাজে কথা বলবে না।
ঝুমুরের কাঁধে দু-হাত রেখে ঠোঁট চেপে বলল, দাদাভাইয়ের জন্য কত দরদ কিন্তু দরদ নাই শুধু আমার জন্য।
সন্দেহ নজরে তাকিয়ে বলল ঝুমুর, হাব-ভাব সুবিধার নয়। মতলব কী তোমার?
-” অফিস থেকে ছুটি নিয়েছি চারদিনের ভাবছি তোমাকে নিয়ে ঘুরতে যাব।
-” আমাকে নিয়ে মানে?
-” হানিমুনে যাব। চাঁদকে রেখে যাব চৈতির কাছে। দুটো দিন আমরা আলাদাভাবে সময় কাটাব।
-” পাগল হলে নাকি বাচ্চা মেয়েকে একা রেখে আমি ঘুরতে যাব? চৈতি কী ভাববে ওদের একা রেখে গেলে।
-” দুটো দিনই তো সমস্যা নেই। চৈতি চাঁদের সাথে থাকলে চাঁদের আমাদের দরকার পড়বে না।
-” দাদাভাই কী ভাববে?
-” তোমার দাদাভাই হচ্ছে বেরসিক একজন পুরুষ। বিয়ের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে কিন্তু বিয়ে করছে না। তরুণ বয়সে ছ্যাকা-ট্যাকা খেয়েছিল নাকি?
-” আরেকবার আমার দাদাভাইকে নিয়ে বাজে কথা বললে তোমার ঠোঁট সে’লাই করে দিবো।
ভয় পাওয়ার অভিনয় করে বলল চয়ন, আমি ভয় পাচ্ছি জান। ক্ষমা কর আর বলব না।
চয়নের কথায় হেসে দিল ঝুমুর। মনেমনে দুদিন কোথায় যাবে কী ড্রেস পড়বে সাজিয়ে নিলো। অনেকদিন হলো ঘুরাঘুরি হয় না চয়নের সাথে। দুটো দিন না হয় একটু ঘুরাঘুরি করা যাক। তাছাড়া অক্ষরের উপর বিশ্বাস আছে সব সামলে নিবে। চৈতি ও চাঁদের দেখভার অক্ষর নিতে পারবে।
****
চাঁদ-চৈতি সোফায় বসে আছে। চৈতির হাতে চায়ের কাপ। চাঁদ কার্টুন দেখতে ব্যাস্ত। চয়ন ও ঝুমুর সকাল সকাল বেরিয়ে পড়েছে। আজকের দিনটা উজ্জলময়। বৃষ্টি নেই। ফুরফুরে মেজাজে চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে আড়চোখে দেখছে অক্ষরকে। দুপুরের জন্য বিরিয়ানি রান্না করছে অক্ষর। পুরো মনোযোগ তার রান্নাতেই। চাঁদকে সোফায় সুন্দর করে বসিয়ে হাতে পুতুল ধরিয়ে বলল চৈতি, মামুনি তুমি কার্টুন দেখো আমি আসছি।
-” আত্তা।
চা’কু হাতে আলু টুকরো করছে অক্ষর। আরেকটি পাত্রে ভেজিটেবল বসিয়েছে। সুন্দর ঘ্রাণে মো-মো করছে রান্নাঘর। জোরে নাক টেনে বড় বড় চোখ করে বলল চৈতি, বাহ দারুণ সুবাস ছড়িয়েছে তো। সবজি কার জন্য রান্না করছেন সাহেব?
রান্নাতেই মনোযোগ দিয়ে অক্ষর বলল, সবজি আপনার জন্য। দিনদিন পাতলু থেকে মোটু হচ্ছেন তাই আপনার বিরিয়ানি খাওয়া বন্ধ। ভেজিটেবল খাবেন।
গাল ফুলিয়ে বলল চৈতি, আমি মোটু হচ্ছি? নিজে তাহলে হাতি হচ্ছেন।
অক্ষর স-শব্দে হাসলো তারপর চৈতির কানে ফিসফিসিয়ে কিছু বলল। চৈতির কান হঠাৎই গরম হয়ে গেল। চোখ বন্ধ করে মুখ থেকে উচ্চারণ হলো, ছি। আপনি ভীষন অ’সভ্য লোক। লাজ-লজ্জা আপনার ধারে কাছে নেই। আমার মনে হয় লজ্জারও আপনার কাছে আসতে লজ্জা পায় এইভেবে ওদেরকে না আবার লজ্জায় ফেলে দেন।
এক চামচ তরকারি বাটিতে নিয়ে চৈতির সামনে ধরে অক্ষর বলল, আমার লজ্জা নেই আপনি তো প্রথম থেকেই বলছেন । আজ থেকে নতুন কিছু বলার ট্রাই করেন। নিন খেয়ে দেখুন আমার রান্নার হাত কেমন?
একটু মুখে তুলল চৈতি। অবাক হয়ে বলল, ভীষন ভালো। আমি এত ভালো রান্না করতে পারি না। পুলিশ না হয়ে রাধুনী প্রতিযোগিতায় নাম দিলে বিশ্বসেরা রাধুনীর অ্যাওয়ার্ড পেতেন।
-” রাধুনীর অ্যাওয়ার্ড না পেলেও বিশ্বসেরা প্রেমিক অ্যাওয়ার্ড পাব কি বলুন?
অক্ষরের দুষ্টু কথা শুনে চৈতি চলে আসতে নিতেই অক্ষর চৈতির হাত খপ করে ধরল। বলল, রান্না শেষ না হওয়া অব্দি এক পা দরজার ওপারে দিবেন না। কথা অমান্য হলে শা’স্তি হবে ভ’য়ানক।
উপায় না পেয়ে দাঁড়িয়ে রইল চৈতি। তবে মনেমনে গালমন্দ করতে ভুল হলো না।
রান্না শেষ। এবার পরিবেশনের পালা। সুন্দর করে সাজিয়ে ডাইনিং টেবিলে রাখল অক্ষর। চৈতি বসল চেয়ারে। অক্ষর চাঁদকে কোলে বসিয়ে খাইয়ে দিচ্ছে। বিরিয়ানি মুখে তুলতেই মনে হলো অমৃত খাচ্ছে। চাঁদকে খাওয়ানো শেষ হলে অন্য একটি চেয়ারে বসে নিজে খেতে লাগল। হঠাৎ মনের ভিতর শুরু হলো সন্দেহর বীজ। চয়ন হঠাৎ ছুটি চাইলো কেন? আবার ঝুমুরকে নিয়ে ঘুরতে গেল দুদিনের জন্য। চাঁদ কিংবা চৈতি কাওকে সাথে নিলো না। চৈতিকে তার সাথে একা রেখে যাবার লোক চয়ন নয় তাহলে কী অন্যকিছু? সন্দেহ করছে চয়ন? ভাবনার জগৎকে বিদায় জানালো চৈতির শব্দে। দেখল ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে চৈতি, ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করল, কী ভাবছেন?
মুচকি হেসে উত্তর দিল অক্ষর, কিছু নয়। পুলিশ তো সবসময় মাথায় আসামিদের নিয়ে ভাবতে হয়। আপনি ভাববেন না।
-” বাসায় আসামি নিয়ে ভাববেন না সাহেব। আমি কিন্তু ল্যাপটপকে সতীন মেনে নিলেও আসামি সতীন মানব না।
চোখ বন্ধ করে হাসলো অক্ষর কিন্তু মনের ভিতরে চলছে চয়নের ভাবনা। চয়নের উদ্দেশ্য জানতে না পারা অব্দি শান্তি নেই। কিছুতেই শান্তি নেই।
##চলবে
®ফারজানা মুমু